একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক আয় কত

আপনি কি একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক আয় কত তা জানতে চাচ্ছেন? অন্যান্য দেশের মতোও আমাদের বাংলাদেশেও ফ্রিল্যান্সার রয়েছে,যারা তাদের ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং আয়কে ধরে নিয়েছে বর্তমানে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সময়ে এসে তাদের মাসিক আয়ও বাড়ছে। তবে তাদের এসব আয় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করেই হয়েছে।

একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক আয় কত

আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাচ্ছেন। যার ফলে হয়তো এই বিষয়ে অবগত হতে চান যে একজন ফ্রিল্যান্সার মাসে কত টাকা আয় করতে পারবে? তো আপনি যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন, তাহলে এই পোষ্টটি একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কারণ আজকে একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক আয় কত তা আলোচনা করার পাশাপাশি, সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস তালিকা, কিভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায় ইত্যাদি তুলে ধরব।

উপস্থাপনা

ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি মুক্তি পেশা যা আপনি যখন চাইবেন তখন ইচ্ছা কাজ করতে পারবেন। এটি একটি স্বাধীন পেশা। ফ্রিল্যান্সিং মূলত এমন এক ধরনের পেশা জিটি আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ করেন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এক ধরনের চাকরির মত। কিন্তু এখানে ভিন্নতা হলো আপনি যখন ইচ্ছা নিজের স্বাধীন মত কাজ করতে পারবেন।

আপনি যখন ইচ্ছা তখন কাজ করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে কিছু স্কিল জানতে হবে সেই স্কিলের মাধ্যমে আপনি আপনার বিদেশী ক্লায়েন্টের কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। এরপর সেই কাজ শেষ করার বিনিময়ে আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে একটি নির্দিষ্ট অর্থ প্রদান করবেন। 

আরো পড়ুন: ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়

ফ্রিল্যান্সিং জব ক্যাটাগরি

আপনি কি একজন ফ্রিল্যান্সার হতে চান? তাহলে জেনে নিন এ বছরের সবচেয়ে বেশি চাহিদা সম্পন্ন ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ। ফ্রিল্যান্সিং বর্তমান সময়ে একটি জনপ্রিয় বিকল্প কর্মসংস্থান। অনেক মানুষ চাকরি ছাড়াই অনলাইনে নিজের সময় এবং সুবিধামত নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে লক্ষ আয় করছে। ফ্রিল্যান্সিং কাজের অনেক সুবিধা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • নিজের রুটিনে কাজ করার স্বাধীনতা
  • সমমানের দেশীয় চাকুরির চেয়ে বেশি আয়ের সম্ভাবনা
  • ভবিষ্যতে ব্যবসা গড়ে তোলার সুযোগ

এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার স্বপ্নের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। তবে, ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করার আগে, আপনাকে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এ প্রচুর কাজ রয়েছে যেগুলোকে প্রধান ৭টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যায়-

  • Development & IT
  • Design & Creative
  • Finance & Accounting
  • Admin & Customer Support
  • Engineering & Architecture
  • Sales & Marketing
  • Writing & Translation

সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ

ফ্রিল্যান্সিং সবচেয়ে জনপ্রিয় অনেক ধরনের কাজ রয়েছে যেগুলোর চাহিদা মার্কেটপ্লেসে অনেক বেশি। মূলত আমরা এর মধ্য থেকে কিছু প্রধান কাজ বা সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ যা প্রতিনিয়ত হচ্ছে তা নিচে দেওয়া হচ্ছে :

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: ওয়েবসাইট ডিজাইন,মেইনটেইনেন্স সংক্রান্ত কাজ করে থাকে।বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তাদের অনলাইন উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকে।তাই এই কাজের মূল্য অনেক বেশি।

গ্রাফিক্স ডিজাইন: ফ্রিল্যান্সিং এ অন্য আরেকটি জনপ্রিয় ওয়ার্ক হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। মূলত লগো তৈরি, ব্যানার তৈরি, পোস্টার ডিজাইন ইত্যাদি হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ।

ডিজিটাল মার্কেটিং: অনলাইন ব্যবসার বৃদ্ধির জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক প্রকার। মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে ইন্টারনেট মোবাইল ফোন সোস্যাল মিডিয়া ইত্যাদি ব্যবহার করে তার মাধ্যমে কোন কনজিউমারের কাছে পণ্য সম্পর্কে একটি এডস বা পন্থা দেখানো। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ডিমান্ড অনেক বেশি।

ভবিষ্যতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চেয়ে অনেক গুণ বেশি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।  কারণ আগেকার সময়ে টিভিতে অ্যাডস দেখানোর মাধ্যমে আমাদেরকে কোন পণ্যের সম্পর্কে জানানো হতো কিন্তু এখন অনলাইনে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কোন পণ্যের সম্পর্কে তথ্য এবং অ্যাডস দেখানো হয়। দিনে দিনে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উপর ঝুঁকে পড়ছে মানুষ। আপনি চাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন।

আরো পড়ুন: ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি

কন্টেন্ট রাইটিং ও কপিরাইটিং

এটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট, আর্টিকেল, ওয়েবসাইট কন্টেন্ট, প্রোডাক্ট ডিস্ক্রিপশন ইত্যাদি। এই কাজের জন্য কিছু দক্ষতার প্রয়োজন যেমন - SEO, রিসার্চ এবং ক্রিয়েটিভ রাইটিং।

মোবাইল এপ ডেভেলপমেন্ট: এন্ডয়েড ও iOS এর মতো এপস উন্নয়ন করে আয়।এটির জন্য আপনার কিছু দক্ষতার প্রয়োজন যেমন - java, swift, kotlin, react nativ ইত্যাদি। বর্তমানে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে তাই এটিও একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর। 

কোডিং: কোডিং হলো কোন কম্পিউটার প্রোগ্রামে প্রোগ্রামিং কমান্ড। যেগুলো প্রোগ্রামিং ভাষায় প্রকাশ করতে হয়। তার মাধ্যমে কোন অ্যাপ ডেভলপমেন্ট অথবা ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে ওয়েব ডিজাইন পর্যন্ত করা সম্ভব। 

একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক আয় কত

একজন ফ্রিল্যান্সাররের মাসিক আয় এটা নির্ভর করে তার কাজের দক্ষতার উপরে।এমনকি তাদের কাজের পরিমাণের উপরেও নির্ভর করে।একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার মাসে অন্তত $500-$10,000 আয় করতে পারে শুধুমাত্র তার দক্ষতা অনুযায়ী। তাহলে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে একজন ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক আয় কত তা বিস্তারিতভাবে জেনে নেই।

নতুন ফ্রিল্যান্সার: আপনি যদি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে ভালোমতো স্কিল শেখার পরে আপনার প্রতি মাসে প্রায় ১০০ ডলার থেকে ২০০ ডলার ইনকাম হতে পারে কম দক্ষ ও অভিজ্ঞতার জন্য। তবে এই ইনকাম অনেকের আস্তে আস্তে দক্ষ অনুসারে বাড়তে থাকবে হতে পারবে। মূলত আমরা কেউই দক্ষ হয়ে জন্ম নেই না, দক্ষ তাকে হতে হয়। তাই লেগে থাকা ভালো।

মধ্য ফ্রিল্যান্সার: মধ্য ফ্রিল্যান্সার বলতে বুঝায় তাদেরকে যারা কি না মোটামুটি দক্ষ।তারা মূলত মাসে ইনকাম করতে পারে। যাদের কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে,যারা মোটামুটি কাজ পারে।তাদের মাসিক ইনকাম হতে পারে ৫০০ ডলার থেকে ১০০০ ডলার এর মধ্যে হয়ে থাকে।

অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার: অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার হচ্ছে মূলত যারা মিনিমাম ৫ থেকে ১০ বছর এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কঠোর পরিশ্রম করে আসছে বলতে বুঝায় যারা। তারা খুব দক্ষ হওয়ার ফলে সকল ক্ষেত্রে তারা আয় করতে পারেন। তাদের এত বছরের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অনুসারে তারা মিনিমাম আয় বা তাদের গড় মাসিক আয় থাকে ১০০০ ডলার থেকে ৫০০০ ডলার এর ভিতরে বা তার চেয়ে বেশি।

অবশ্য এই ইনকাম নির্ভর করে কাজের ধরন,দক্ষতা,অভিজ্ঞতা, কাজের পরিমাণ ও ক্লায়েন্টের সংখ্যা।নতুন যারা তারা যদি প্রথম অবস্থায় যায় তাদের ক্লায়েন্ট সংখ্যা খুব কম হতে পারে।এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই, কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন একদিন হবেই।

কিভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায়

কিভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায়

ফ্রিল্যান্সিং কাজের যে স্বাধীনতা বা নমনীয়তা রয়েছে, তা বর্তমান প্রজন্মের বহু যুবক-যুবতীকেই ব্যাপকভাবে আকৃষ্ট করেছে। আর, যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং কাজের ক্ষেত্রে, সেই কাজের প্রতি প্যাশন থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার।

ফ্রিল্যান্সিং পেশাগুলো আধুনিক যুগে আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। তাই, আগের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক মানুষই সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপায় খুঁজছেন। তাই আমরা পোষ্টের এই অংশে এই বিষয়ে আলোচনা করতে চলেছি। আপনি যেভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন তা নিম্নরূপঃ

  • সর্ব প্রথম ইংরেজিতে দক্ষ হওয়া
  • কম্পিউটারের বেসিক জানা
  • কঠোর পরিশ্রম করা
  • গুগল সার্চ জানা
  • নিজের স্কিল ডেভেলপ করা
  • ফ্রিলান্সিং এর সেক্টর বাছাই করা
  • কম্যুনিকেশন স্কিল অর্জন করা
  • পেশাদারিত্ব হতে হবে
  • সঠিকভাবে সময় ব্যবস্থাপনা করতে হবে
  • অধ্যবসায় হতে হবে 
  • কর্তব্যপরায়ণতা হতে হবে 
  • উদ্যোগী মনোভাব থাকতে হবে
  • নীতিপরায়ণতা থাকতে হবে
  • লক্ষ্য নির্ধারণ ও মূল্যায়ন করতে হবে
  • নমনীয়তা ভাব থাকাটা জরুরি
  • নতুন কিছু শেখার আগ্রহ থাকতে হবে ইত্যাদি।

একজন সফল ফ্রীল্যান্সার হয়ে ওঠার সেরা উপরের উল্লিখিত টিপস নিয়ে, আপনি নিজেকে একজন পেশাদার ও উন্নতিশীল ফ্রীলান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস তালিকা

ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়ার জন্য এখন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে আপনি কাজ পেতে পারেন। তাহলে চলুন সময়ক্ষেপণ না করে নিম্নে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর তালিকাগুলি জেনে নেই।

  • আপওয়ার্ক (Upwork)
  • ফাইভার (Fiverr)
  • ফ্রিল্যান্সিং.কম (Freelancing.com)
  • গুরু (Guru)
  • পিপল পার আওয়ার (People Per Hour)
  • টপটাল (Toptal)
  • লিঙ্কেডিন (Linkedin)
  • বিল্যান্সার (Balancer)

তবে আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে নতুনদের জন্য কোন মার্কেটপ্লেস সবচেয়ে ভালো হবে? চিন্তার কোন কারণ নেই সেজন্য আমরা পোষ্টের এই অংশে নতুনদের জন্য ২ টি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস নিয়ে আলোচনা করেছি। যেখানে নতুনরা চাইলে সেখানে নতুন একাউন্ট ক্রিয়েট করে প্রোফাইল শতভাগ সম্পন্ন করে আয় করতে পারেন। নিচে কিছু প্লাটফর্মের নাম দেওয়া হলো যেমন: 

Upwork: আপওয়ার্ক হচ্ছে ইন্টারনেটের একটি বড় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্ল্যাস।এটি বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ দিয়ে থাকে। যেমন-ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডাটা এন্ট্রি, রাইটিং,গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি কাজ এই প্লাটফর্মে করা যায়। আপওয়ার্কে ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন করা সম্ভব। 

Freelancer: ফ্রীল্যান্সার ডট কম প্লাটফর্মে আপনি চাইলে ছোট ছোট বিভিন্ন কাজগুলি খুব সহজেই বিড করে ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।

এগুলোই মূলত নতুনদের জন্য সেরা প্লাটফর্ম। যেখানে আপনি ছোট কাজ করে প্রাথমিক অবস্থায় কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।

আরো পড়ুন: গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনলাইনে আয়ের উপায়

ফ্রিল্যান্সার এর মাসিক আয় নিয়ে লেখকের মতামত

বিশ্বের শীর্ষে অবস্থা করছে এই বাংলাদেশের তরুণরা। নতুনদের জন্য এসব কাজ কঠিন মনে হতে পারে,তবে একটু ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করে দেখবেন সবকিছু বুঝতে পারবেন।প্রথমে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য করে যেতে হবে।কারণ ফ্রিলান্সার মার্কেটে বর্তমানে অনেক লোক কাজ করে যাচ্ছে। তাই কাজ পেতে একটি সময় লাগতে পারে, কাজ পাবেন না এমন কিছু না,পাবেন তবে একটু দেরি হতে পারে।

আর একবার যদি একটি ভালোভাবে করে দিতে পারেন তাহলে ক্লায়েন্টেদের সাথে পরিচিত হলে আরো অনেক কাজ পাবেন। মূলত এইভাবেই আপনি এগিয়ে যেতে পারবেন। তো আশা করি এই পোষ্টটি ভালো লেগেছে। আপনাদের সুবিধার্থেই আমরা পোস্ট লিখে থাকি তাই সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন
comment url