মানবদেহের জন্য আমলকি খুবই উপকারি ভেষজ ফল। আমলকির মধ্যে বিভিন্ন ওষুধিগুন রয়েছে, আজকের আর্টিকেলে আমরা সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আমাদের আর্টিকেলটি পুড়োটাই পড়লে জেনে যাবেন আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও আমলকি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
আমলকির মধ্যে অসংখ্যা উপকারিগুন থাকায় প্রাচীনকাল থেকেই আমলকির ব্যবহার হয়ে আসছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আমলকি খেলেও, এটি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সবার সঠিক ধারণা নেই। আমলকি শুধু খেলেই হবে না এটি খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জেনে তারপর আমলকি খাওয়া উচিত। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চাচ্ছি। তো চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে।
প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত
আমলকি খুবই স্বাস্থকর একটি ভেষজ ফল। আমলকির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি’, ভিটামিন এ’, ভিটামিন বি১, বি২, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফরফরাস, প্রোটিন, এবং পর্যাপ্ত পানি ছাড়াও আরও অসংখ্যা পুষ্টি উপাদান আমলকির মধ্যে রয়েছে। আমলকির মধ্যে অসংখ্যা পুষ্টি উপাদান থাকায় সুস্থ সবল থাকতে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় আমলকি রাখতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। পুষ্টিবিদরা আমলকির স্বাস্থ উপকারিতা সম্পর্কে অনেক প্রশংসা করে থাকেন। তাদের মতে সুস্থ ও সবল থাকতে একজন মানুষের যেসব ভিটামিন ও মিনারেল প্রয়োজন তার অনেকটাই আমলকির মধ্যে রয়েছে। তবে আমলকির মধ্যে অসংখ্যা উপকারি গুন থাকলেও এটি সঠিক নিয়মে খেতে হবে। অতিরিক্ত আমলকি খেলে স্বাস্থের ক্ষতি হতে পারে। তাই জানতে হবে প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত।
আমলকির মধ্যে বিভিন্ন ওষুধিগুন রয়েছে। আমাদের শরীরে আমলকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ অসংখ্যা রোগের সমাধান করে থাকে। তাই বলে কি আমলকি যতটা ইচ্ছা ততটাই খাবেন? না’ দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমাণে আমলকি খেতে হবে তাহলে আমলকির সঠিক উপকার পাওয়া যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ টি আমলকি ফল খাওয়া স্বাস্থের জন্য উপকারি। এর থেকে বেশি আমলকি প্রতিদিন খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই স্বাস্থের সঠিক উপকার পেতে প্রতিদিন ২ টি করে আমলকি খাবেন, খেয়াল রাখবেন ৩ টির বেশি যাতে না হয়।
খালি পেটে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা
আমলকির মধ্যে অনেক স্বাস্থ উপকারি গুন রয়েছে। হাজারো পুষ্টিগুনে ভরপুর এ ফল,আমলকি বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায় যেমন কাঁচা আমলকির রস করে, কাঁচা চিবিয়ে, আচার, ক্যান্ডি, মোরব্বা, প্রভৃতি নিয়মে খেতে পারেন। যেকোনো সময় আমলকি খাওয়া যায়। সকালের নাস্তায়, বিকেলে অথবা রাতে আমলকি খেতে পারেন। অনেকেই আমলকি সকালে খালি পেটে খেতে চান এবং জানতে চেয়েছেন খালি পেটে আমলকি খাওয়ার উপকারিত কি। খালি পেটে আমলকির জুস খাওয়া স্বাস্থের জন্য খুবই উপকারি। তবে কি কি উপকার হয় খালি পেটে আমলকি খেলে নিশ্চয় সবাই তা জানেন না। তো চলুন জেনে নিন খালি পেটে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা কি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে: যারা নিয়মিত খালি পেটে আমলকির জুস খায়, তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খালি পেটে আমলকি খাবেন।
শরীর সতেজ থাকে: সকালে খালি পেটে আমলকির জুস খেয়ে দিন শুরু করলে, সারাদিন আপনার শরীর সতেজ থাকবে এবং ক্লান্তি ভাব দূর হবে।
ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখে: নিয়মিত সকালে খালি পেটে আমলকির জুস পান করলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন হ্রাস পায় এবং ওজনকে নিয়ন্ত্রনে রাখে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে খালি পেটে আমলকির জুস খাবেন।
সর্দি কাশি প্রতিরোধ করে: আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি’ রয়েছে, যা সর্দি কাশি প্রতিরোধে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। সর্দি কাশি প্রতিরোধ করতে খালি পেটে আমলকির জুস খাওয়া বেশ কার্যকারী।
চুল সুন্দর রাখে: আমলকি চুলের স্বাস্থের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি উপাদান। খালি পেটে আমলকির জুস নিয়মিত খেলে চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয় এবং চুলকে সুন্দর রাখে।
লিভার সুস্থ রাখে: আমলকির মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান লিভারকে সুস্থ রাখে। প্রতিদিন যদি খালি পেটে আমলকির জুস পান করা যায়, তাহলে লিভারকে বিভিন্ন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং লিভার সুস্থ রাখে।
শরীরকে দূষনমুক্ত করে: প্রতিদিন খালি পেটে আমলকির জুস খেলে, আমলকিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে দূষনমুক্ত করবে। বিভিন্ন রোগ হওয়া থেকে শরীরকে মুক্তি দিবে।
খাবারে রুচি বাড়ে: যাদের খাবারের প্রতি অনীহা রয়েছে, রুচি নেয় তারা প্রতিদিন আমলকির জুস খালি পেটে খাবেন। এভাবে নিয়মিত খেলে খাবারে রুচি আসবে।
উপরের বলা স্বাস্থ উপকারগুলো পেতে সকালে খালি পেটে আমলকি খেতে পারেন। তবে সকালে খালি পেটে আমলকি খেতে চাইলে কাঁচা আমলকির জুস বানিয়ে খাবেন, খালি পেটে আমলকি এভাবে খেলে স্বাস্থ উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়। তবে সবার জন্য সব খাবার, সব সময়ে প্রযোজ্য নয়, যাদের অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে, রক্তের মাত্রা ঠিক নেই তারা খালি পেটে আমলকির জুস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
শুকনো আমলকি খাওয়ার নিয়ম
আমলকিতে থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের জন্য অত্যান্ত প্রয়োজনীয়। শরীরকে সুস্থ রাখতে আমলকির জুড়ি মেলা ভার। আমলকি কাঁচা অথবা আমলকি শুকিয়ে খেতে পারেন। শুকনো আমলকি কিভাবে খাবেন অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। তো জেনে নিন শুকনো আমলকি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
আমলকিকে ছোট ছোট করে কেটে তার সাথে অল্প পরিমাণে লবন মিশিয়ে রোদে শুকিয়ে নিবেন। এভাবে আমলকি দীর্ঘদিন সংরক্ষন করা যায় এবং এটি খাওয়া স্বাস্থের জন্য বেশি উপকারি। প্রতিদিন একটি করে শুকনো আমলকি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়। শুকনো আমলকি মুখে দিয়ে চুষে খেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং বমি বমি ভাব অনেকটাই কমে আসে। গরম জলের সাথে শুকনো আমলকি খাওয়া স্বাস্থের জন্য বেশি উপকারি। শুকনো আমলকি পানিতে ভিজিয়ে কিছুক্ষন রাখার পর সে পানি খেলে হজমের সমস্যার সমাধান হয়। শুকনো আমলকির আচার বানিয়েও খেতে পারেন।
এছারাও শুকনো আমলকির গুড়ো করে খাওয়াও স্বাস্থের জন্য বেশ উপকারি। গরম পানি অথবা মধুর সাথে মিক্স করে গুড়ো করা আমলকি প্রতিদিন খেতে পারেন। এভাবে নিয়মিত শুকনো আমলকি গুড়ো খেলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়, শরীর সতেজ রাখে, ঠান্ডা-সর্দি দূর হয়, শরীরের দুর্বলাতা কাটে, এসিডিটির সমস্যাসহ শরীরের বেশ কিছু সমস্যার সমাধান হয়। ঘুমের সমস্যার সমাধানে গুড়ো করা আমলকির সাথে মাখন মিশিয়ে মাথায় লাগাতে পারেন। খাবারের রুচি বাড়াতে গুড়ো আমলকি মাখনের সাথে মিক্স করে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। দুধের সাথে শুকনো আমলকি গুড়ো ও তার সাথে অল্প পরিমাণে চিনি মিশিয়ে খেতে পারেন, বিভিন্ন উপকার পাবেন।
কাঁচা আমলকি খাওয়া উপকারিতা
পুষ্টিগুনে ভরপুর আমলকির মধ্যে অসংখ্যা উপকারিগুন রয়েছে। নিয়মিত আমলকি খেলে চুল থেকে শুরু করে ত্বক অর্থ্যাৎ পুরো শরীরকে রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। একটি কমলালেবুর মধ্যে যতটুকু ভিটামিন সি রয়েছে তার থেকে ছোট একটি আমলকিতে বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। তাই আমলকি খেলে সহজেই ভিটামিন সি’ এর চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। আয়ুর্বেদশাস্ত্রেও আমলকির হাজারো গুনের কথা বলা হয়েছে। কাঁচা আমলকির রস, চিবিয়ে লবন দিয়ে অথবা স্যালাড বানিয়ে খেলে স্বাস্থের বিভিন্ন উপকার মেলে। আমলকি কাঁচা খাওয়ার ফলে শরীর যেসব উপকার পায় তা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। নিচের আলোচনা থেকে জেনে নিন কাঁচা আমলকি খাওয়ার উপকারিত সম্পর্কে।
- প্রতিদিন কাঁচা আমলকি চিবিয়ে খেলে চোখের স্বাস্থ ভালো থাকে। চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখে ছানি পড়া, চোখ চুলকানো, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া এসব প্রতিরোধ করতে কাঁচা আমলকি খুবই উপকারি।
- সর্দি, কাশি, গলাব্যাথা সমস্যার প্রতিরোধে কাঁচা আমলকি খুবই উপকারী।
- কাঁচা আমলকি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে ভূমিকা পালন করে থাকে।
- দাঁতে কোনো ক্ষত থাকলে কাঁচা আমলকির জুস বানিয়ে খাবেন, অনেক স্বস্তি পাবেন।
- শরীরের কোনো অংশ ক্ষত থাকলে কাঁচা আমলকির জুস বানিয়ে নিয়মিত খাবেন। ক্ষত তাড়াতাড়ি শুকাতে কার্যকারী ভূমিকা রাখে।
- শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়াতে কাঁচা আমলকি ব্লেন্ড করে মধুর সাথে নিয়মিত খাবেন।
- শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, কাঁচা আমলকিকে ছোট ছোট করে কেটে গরম পানিতে মিশিয়ে কিছুক্ষন রাখার পড়, পানি ও আমলকিগুলো খেয়ে নিবেন।
- কাঁচা আমলকিতে থাকা পলিফেনল ক্যানসার প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকার রাখে।
- শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমায় কাঁচা আমলকি।
- কাঁচা আমলকি ব্লেন্ড করে তার সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হবে এবং ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জল করবে।
- খাবারে অরুচি হলে কাঁচা আমলকি খাবেন, খাবারের প্রতি চাহিদা বাড়বে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যায় কাঁচা আমলকির জুস বানিয়ে খাবেন।
- দাঁত শক্ত ও মজবুত রাখতে কাঁচা আমলকির রস খুবই উপকারি একটি খাদ্য উপাদান।
- মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে আমলকির জুস খুবই উপকারি।
- হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা দূর করতে আমলকির মোরব্বা বানিয়ে খাবেন।
- অল্প বয়সে চুল পাকা রোধ হয় নিয়মিত কাঁচা আমলকি খেলে।
উপরের বলা স্বাস্থ উপকারিতা গুলো যদি আপনি পেতে চান, তাহলে নিয়মিত কাঁচা আমলকি আপনি খেতে পারেন।
আমলকির ক্ষতিকর দিক
আমলকির স্বাস্থ উপকারিতার কথা জানলাম, আমরা সবাই বুঝে গেছি যে আমলকি একি উপকারি ফল। সত্যিই আমলকি একটি উপকারি ফল, আমলকির কোনো ক্ষতিকর দিক নেই। তবে অতিরিক্ত আমলকি খাওয়া স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। আর সবার জন্য আমলকি খাওয়া স্বাস্থকর নয়, এমন অনেক রোগ আছে যেগুলো মানবদেহে হয়ে থাকলে আমলকি খাওয়া ঠিক নয়। শুধু আমলকি নয়, যেকোনো খাবার যতই পুষ্টিকর হোক না কেন সবার জন্য খাওয়া ঠিক নয় এবং অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে স্বাস্থের বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে। অতিরিক্ত আমলকি খাওয়ার ফলে যে ক্ষতিগুলো হয়ে থাকে সেগুলোর সাথে আমরা এখন পরিচিত হবো। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক আমলকির ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি।
অ্যাসিডিটি: আমলকি অ্যাসিডির সমস্যা দূর করে থাকলেও, অতিরিক্ত আমলকি খাওয়ার ফলে অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
প্রসাবে জ্বালাপোড়া: অতিরিক্ত আমলকি খেলে প্রসাবে জ¦ালাপোড়ার সৃষ্টি হতে দেখা যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য: আমলকিতে ফাইবার রয়েছে, যার কারণে অতিরিক্ত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে দেখা যায়।
উচ্চ রক্তচাপ: যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য আমলকি না খাওয়াই ভালো। কিডনির সমস্যা: যারা কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে আছেন, তাদের জন্য আমলকি খাওয়া ঠিক নয়। কারন আমলকি খাওয়ার ফলে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায় এবং কিডনি ঠিকভাবে কাজ করে না।
গর্ভাবস্থায়: গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত আমলকি খাওয়া ঠিন নয়। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত আমলকি খাওয়ার ফলে অ্যাসিডিটি ও পেট ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় আমলকি খেতে চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আমলকি খাবেন।
ওজন বেড়ে যায়: আমলকি ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখলেও, অতিরিক্ত আমলকি খাওয়ার ফলে অস্বাভাবিক ভাবে ওজন বেড়ে যায়।
সার্জারি হলে: শরীরের যদি সার্জারি বা অস্ত্রপাচার হয়ে থাকে তাহলে আমলকি এড়িয়ে চলতে হবে।
চুলের ত্বকের ক্ষতি হয়: অতিরিক্ত আমলকি খেলে মাথার ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাথায় চুলকানি, জ্বালাপোড়া ও খুশকির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অতিরিক্ত আমলকি খাওয়ার পলে উপরের বলা অপকারগুলো হয়ে থাকে। তবে আমলকির মধ্যে অসংখ্যা পুষ্টি উপাদান রয়েছে, তাই আমলকির উপকার পেতে সঠিক নিয়মে সতর্কতার সাথে আমলকি খাবেন। দৈনিক ৩ টির বেশি আমলকি কখনই খাবেন না। শুধু আমলকি নয়, সুস্থ থাকলে যেকোনো খাবার সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপর খাবার তালিকায় রাখবেন।
পরিশেষে বলতে চাই, পর্যাপ্ত পরিমাণে সঠিক খাবার খান এবং শরীরকে সুস্থ ও সুন্দর রাখুন।
লেখকের শেষ বক্তব্য
আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।