পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার উপকারিতা – পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কি

দৈনন্দিন জীবনে আমাদের সবাইকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি থাকতে হবে। সুস্থ থাকার সাথে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বিশেষ ভাবে জড়িত। আমাদের পরিবেশের মধ্যে থাকে অসংখ্যা রোগ জীবানু, এই রোগজীবানু আমাদের শরীরে সহজে আক্রমন করে। রোগ জীবানুর হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করেতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে এবং রাখতে হবে।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার উপকারিতা

কিভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবো এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার উপকারিতায় বা কি তা নিয়ে আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সামনে আলোচনা করবো। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে জেনে নিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার উপকারিতা কি এবং কি উপায়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবো।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কি

বিভিন্ন রোগ জীবানু, ময়লা, আবর্জনা বা বর্জ্য থেকে মুক্ত থাকা বা রাখার অভ্যসই হলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বলতে আমরা অনেকেই বুঝি- আমাদের শরীর ও কাপড় পরিষ্কার অর্থ্যাৎ দৈহিক পরিচ্ছন্নতাই  হলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। কিন্তু না পরিষ্কার শুধু শরীর ও কাপড় পরিষ্কার রাখলেই হয় না।  এর সাথে আমাদের ঘর বাড়ি, বাড়ির চারপাশের পরিবেশ, খাবার ও পানীয়,  বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ যাবতীয় সবকিছু পরিষ্কার এবং তার সাথে আমাদের মন পরিষ্কার রাখাই হলো সত্যিকারের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা।

ব্যক্তিগত স্বাস্থ, পারিবারিক স্বাস্থ এবং সামাজিক স্বাস্থের জন্য যে পদক্ষেপ গুলো আমরা নিয়ে থাকি সেগুলোও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা একটি অংশ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা থাকা মানুষের স্বভাবগত আচরন যা সবার মধ্যে থাকে না। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসসহ বিভিন্ন রোগ জীবানু। এসব রোগ জীবানু মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকারক, তাই সুস্বাস্থের জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ রাখতে নিজেকেই সচেতন হতে হবে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ মূলত আমাদের সবার ওপর নির্ভরশীল।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার উপকারিতা

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আমাদের সুস্বাস্থের জন্য খুবই গুরত্বপূর্ন একটি অংশ। ধর্ম, রাষ্ট্র, সমাজ অথবা ব্যক্তি জীবনে সবক্ষেত্রে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষভাবে গুরত্ব দেওয়া হয়েছে। সুস্থ জীবনযাপন এবং সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে হলে, পরিষ্কার রাখতে হবে পরিবেশ। পরিবেশ পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি আমাদের দেহের মাথার চুল থেকে পায়ের নখ এবং পোশাক পরিচ্ছেদ সবময় পরিষ্কার ও পরিপাটি রাখতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা যেমন স্বাস্থকে ভালো রাখে তেমনি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন মানুষকে সবাই ভালোবাসে।

সুস্থ শরীর আমাদের জন্য খুবই গুরত্বপূর্ন আর শরীর সুস্থ রাখতে, থাকতে হবে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বাঁসা বাধে অসংখ্যা রোগ জীবানু যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। এসব রোগজীবানুকে দূর করতে এবং সুস্থ থাকতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি। স্বাস্থ বিশেষজ্ঞরা, সুস্বাস্থের জন্য সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার নির্দেশ দিয়ে থাকেন।

অপরিষ্কার পরিবেশে যারা থাকে তাদের ক্ষেত্রে- ডায়রিয়া, মাথাব্যাথা, গলা ব্যাথা, পেট ব্যথা অতিরিক্ত জ্বর, ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন ভাইরাস জনিত রোগ হয়ে থাকে। তাই এসব থেকে বাঁচতে নিজেই সতর্ক হন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন সবকিছু। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকার বিশেষ উপকার হলো রোগজীবানু থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

আরো পড়ুনঃ-  দাঁত সাদা করার উপায় - দাঁত সাদা করার ঘরোয়া উপায়

দৈহিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা শরীর থেকে ময়লা ও দুর্গন্ধ দূর করে। দৈহিক ভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ত্বকের উজ্জলতা বাড়ে, পেশির ক্লান্তি দূর করে এবং নিজেকে তরতাজা ও ঝকঝকে লাগে।

আমরা প্রায় দেখি বর্ষা শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে যায় মানুষের জ্বর , ঠান্ডা, কাশি ইত্যাদি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ। এসবের কারনে মূলত দায়ী অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ। বর্ষাাকালে বাড়ির আঙিনা ও রাস্তাঘাটে জমে থাকা আবর্জনা জমে থেকে পচন ধরে এবং বিভিন্ন ব্যকটেরিয়া ও মশা, মাছির জন্ম নেয়। ফলে এসব ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে। পরিবেশে ময়লা আবর্জনা আমাদের মনের ওপর প্রভাব ফেলে। অপরিষ্কার পরিবেশ আমাদের মনের শান্তি নষ্ট করে দেয় এবং অকারনে মেজাজ খিটখেটে করে তোলে। একটু খেয়াল করলেই আমরা সেটা বুঝতে পারি। পরিষ্কার পরিবেশে থাকলে আমাদের দেহ ও মন দুটোই ভালো থাকে।

বিজ্ঞান গবেষনায় দেখা গেছে অপরিষ্কার পরিবেশে থাকলে মানসিক ও হতাগ্রস্থ রোগির জন্ম নেই। মানসিক স্বাস্থের ওপর পরিচ্ছন্নতার প্রভাব সুস্পষ্ট। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মানসিক অবসাদ দূর করে এবং মানসিক শান্তি বয়ে আনে। তাই মানসিক রোগ থেকে বাঁচতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আমাদের শারিরিক ও মানসিক স্বাস্থকে ভালো রাখে। আমাদের স্বাস্থ ভালো রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আমাদের উপহার দেয় সুন্দর রোগমুক্ত পরিবেশ। তাই ময়লা আবজর্নাকে দূরে সরিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়ে তুলুন।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার উপায়

জীবনে চলার পথে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা অপরিসীম। প্রতিদিনের রুটিনে আমাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচতে হলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকাটা জরুরি। করোনার মতো মহামারি থেকে বাঁচতেও চিকিৎসকেরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে বলছেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা মূলত ব্যক্তির নিজের হাতেই। কিছু নিয়ম আছে যেগুলো আপনি আমি মেনে চললে খুব সহজেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে পারবো। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার উপায়গুলো হলো-

  • প্রতিদিনের ব্যবহৃত পোশাক এবং জুতা পরিষ্কার করে রাখুন। জুতার ময়লা ও পোশাকে থাকা ঘাম দুর্গন্ধে আমাদের শরীর অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।
  • বাইরের পোশাক বাড়িতে পড়বেন না, বাইরে থেকে এসে পোশাক বদলে ফেলুন। বাইরে থেকে ফিরে হাত, পা, মুখ ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  • দৈনন্দিন জীবনে প্রতিদিন আমাদের ত্বক, মুখ, জিহ্বা, চোখ, কান, চুল, নাক অর্থাৎ আমাদের শরীর মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। নিয়মিত সাবান ও স্যাম্পু দিয়ে গোসল করতে হবে। আমাদের শরীর পরিষ্কার না থাকলে বিভিন্ন রোগ জীবানু আমাদের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে।
  • ঘরে থাকা সকল জিনিস, আপনার বিছানা থেকে শুরু করে ঘরে যেসকল আসবাবপত্র রয়েছে সেগুলো প্রতিদিন পরিষ্কার রাখতে হবে।
  • টয়লেটে মলত্যাগ করতে হবে, টয়লেটে জুতা পড়ে যেতে হবে এবং টয়লেট শেষে হাত ভালো করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে।
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে জায়গার জিনিস জায়গায় রাখার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  • আমাদের খাবার স্বাস্থসম্মত, পানি বিশুদ্ধ এবং খাবারের আসবাবপত্র সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
  • আমাদের ঘরবাড়ি যেভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখি, সেভাবে বাড়ির চারপাশের দিকে নজর দিতে হবে। ময়লা আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলা যাবে না, নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে।
আরো পড়ুনঃ-  মেয়েদের মন ভালো করার উপায় - মেয়েদের ভালোবাসার ইশারা

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার অভ্যস আপনার শিশুর মধ্যেও গড়ে তুলুন। ছোট থেকে শিখালে তারাও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা থাকবে সবসময়। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে উপরের টিপসগুলো ফলো করবেন। উপরের টিপসগুলো ছাড়াও আপনার চলার পথে একটু সতর্ক হলেই পরিষ্কার থাকতে পারবেন। অপরিচ্ছন জায়গা মানেই রোগ জীবানুর ঘর তাই আপনাদের বাচ্চা এবং পরিবারের সকলকে রোগ জীবানু থেকে বাঁচতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন সবকিছু।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ

ইসলাম একটি পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থার নাম। জীবনে প্রতিটা ধাপে ইসলাম আমাদের আদর্শ শিখিয়ে দিয়েছেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা একজন মুমিন ব্যাক্তির গুন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপর আমাদের ইসলাম ধর্মও গুরত্ব আরোপ করেছেন। ইসলাম ধর্মে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা ঈমানের অঙ্গ। কোনো ঈমাদার ব্যক্তি কখনও অপরিষ্কার থাকতে পারে না। নিয়মিত গোসল না করলে শরীরে দুর্গন্ধ হয়, মুখ পরিষ্কার না করলে মুখে গন্ধ, নখ পরিষ্কার না করলে নখে জমবে ময়লা,  মাথার চুল পরিষ্কার না করলে মাথায় বাঁধবে জট- কোনো ঈমানদার ব্যক্তির বৈশিষ্ট্যে এসব থাকে না। প্রকৃত ঈমানদার ব্যক্তি সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং পরিপাটি থাকে।

আবু মালেক আশআরি (রা) থেকে বর্নিত, রাসুল (সা.) বলেছেন- পবিত্রতা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্নিত, তিনি  বলেন আমি রাসুল সা. বলতে শুনেছি-যখন কেউ তোমরা ঘুম থেকে উঠবে, তখন সে যেন তিনবার হাত না ধুয়ে পাত্রে হাত না রাখে। কেননা, তোমাদের কেউ জানে না ঘুমের মধ্যে তার হাত কোথায় ছিল অথবা তার হাত কোথায় কোথায় ঘুরেছিল। (সুনানে আবু দাউদ : ১০৫)

ইমান ও ইবাদতের অংশের মধ্যে পড়ে পবিত্রতা। মহান আল্লাহ তায়ালা এরসাদ করেছেন- নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা তাওবাকারীদের ভালোবাসেন এবং ভালোবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জন কারীদের। (সুরা বাকারা, আয়াত ; ২২২)

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে-হে বনি আদম, প্রত্যেক নামাজের সময় তোমরা সুন্দর পরিচ্ছদ পরিধান করো। (সুরা আরাফ, আয়াত : ৩১)। শরীর ও কাপড়ে যদি প্রসাব ও নাপাক বস্তু লেগে থাকে, মুসলিমদের নামাজ তা দিয়ে কখনয় আদায় হবে না। তাই ইসলামে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার বিশেষভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ইসলাম সামাজিক পরিচ্ছন্নতার দিকেও গুরত্ব দিয়েছেন। রাসুল সা. রাস্তা থেকে ময়লা আবর্জনা অর্থাৎ কষ্টদায়ক বস্তু অপসারনকে সুন্দরতম আমল বলেছেন। তিনি বলেন, আমার উম্মতের সব ভালো ও মন্দ আমল পেশ করা হয়েছিল। আমি দেখলাম তাদের সব উত্তম কাজের মধ্যে রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূরীকরনও একটা উত্তম কাজ। তিনি আরও বলেছেন- তোমরা তোমাদের আঙিনা পরিচ্ছন্ন রাখো। কেননা ইহুদিরা তাদের আঙিনা পরিচ্ছন্ন রাখেনা। (কানজুল উম্মাল, হাদিস ; ৪১৪৯১)

আরো পড়ুনঃ-  হানি নাটস এর উপকারিতা - হানি নাট খাওয়ার নিয়ম

দৈহিক পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি, ঘরবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এটি ইমানের একটি অংশ, মুসলমানদের বাড়ি সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। মুসলমানদের বাড়ি এমনভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে যেন সবজায়গা নামাজের উপযোগি হয়। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ইবাদতের একটি অংশ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন মানুষকে মহান আল্লাহ তায়াল পচ্ছন্দ করেন। তাই আমাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।

পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার উপায়

পরিবেশ বলতে আমরা বুঝি আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে সবকিছুই হলো আমাদের পরিবেশের অংশ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে, পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। আমাদের চারপাশে থাকা আবর্জনা পরিবেশকে দূষন করে এবং বিভিন্ন রোগ জীবানু সেখানে জন্ম নেয়। একটু সচেতন হলেই আমরা পরিবেশ পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে পারবো। আসুন জেনে নেওয়া যাক পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার উপায়গুলো কি-

আমাদের বাড়িতে থাকা অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ডাস্টবিনে না ফেলে জানালা বা দরজা দিয়ে বাড়ির চারপাশে ও রাস্তায় ফেলে দিই। এ থেকে পরিবেশে জমা হয় ময়লা ও আবর্জনা। আবর্জনাগুলো পঁচে একসময় রোগ জীবানুর সৃষ্টি করে। একসময় এসব রোগজীবানু আমাদের শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি করে। পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে এসব ময়লা আবর্জনা গুলো নির্দিষ্ট স্থানে, ডাস্টবিনে ফেলতে হবে।

যেখানে সেখানে কফ, থুথূ ও মলমূত্র ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকতে হবে পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে। এসব পরিবেশ দূষনের জন্য বিশেষভাবে দায়ী, এসব থেকে জন্ম নেয় বিভিন্ন রোগব্যাধি। তাই আমাদের এসব থেকে বিরত থাকতে হবে।

সুন্দর জীবনযাপনে রাখতে হবে সুন্দর পরিবেশ। বাড়ির আশেপাশে ও রাস্তাঘাটে অনেকেই আছে গাছপালা কেটে রাস্তার ধারে ফেলে রেখে দেয়। ফলে মানুষের চলাচলের ব্যঘাত ঘটায় এবং পরিবেশ নোংরা করে দেয়। পরিবেশ সংরক্ষনের জন্য গাছপালা গুরত্বপূর্ন তাই গাছপালা কাটা উচিত নয়। তবুও অতি প্রয়োজনে যদি গাছ কাটেন, তাহলে সে গাছ রাস্তা থেকে টেনে নির্দিষ্ট কোনো স্থানে রাখবেন।

রাস্তা ঘাটে যেখানে সেখানে ফেলে দেওয়া হচ্ছে গরুর-ছাগলের মল। ফলে প্রতিনিয়ত এ থেকে পরিবেশ দূষন হচ্ছে এবং বেড়েই চলেছে রোগ জীবানু ও মশা-মাছির উপদ্রব। পরিবেশে পরিষ্কার রাখতে এসব করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও দূষনহীন পরিবেশ পেতে চাইলে নিজেকে সতর্ক থাকতে হবে, তার সাথে অন্যদের সতর্ক করতে হবে। একসাথে মিলেমিশে পরিবেশ পরিষ্কার রাখার প্রতিজ্ঞা করলে, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ পাওয়া সহজ হয়।

লেখকের শেষ বক্তব্য

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার উপকারিতা – পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কি সেই সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার উপকারিতা – পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কি সেই সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।

Leave a Comment