স্থায়ীভাবে শ্যামলা ত্বক ফরসা করার উপায়

প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চাইছেন শ্যামলা ত্বক স্থায়ীভাবে কীভাবে ফরসা করা যায়। স্থায়ীভাবে শ্যামলা ত্বক ফরসা করার উপায় কী? সুন্দর ত্বক আমরা সবাই পেতে চাই। হতে চাই দুধের মতো ফর্সা। সারাদিন সংসারের অথবা বাইরের কাজ, রোদ, ধুলাবালি বিভিন্ন কারনে চেহারার উজ্জলতা হারিয়ে যায়। ত্বকের সঠিক উজ্জলতা, কালো ত্বক ফরসা করতে চাইলে প্রয়োজন সঠিক যত্ন। শুধুই কী যত্নই ত্বককে ফরসা করে তোলে?  বিষয়টি জানতে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

স্থায়ীভাবে শ্যামলা ত্বক ফরসা করার উপায়

প্রাকৃতিক ভাবে ফরসা করার উপায়

ত্বকের রঙ কেমন হবে এটি নির্ধারন করে ত্বকে থাকা মেলালিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। এটির মাত্রা কমলে ত্বক ফরসা হয় এবং এটির মাত্রা বেড়ে গেলে ত্বকের উজ্জলতা কমে যায়। ফর্সা হতে কে না চাই? আমরা সবাই চাই ফরসা হতে। প্রাকৃতিক ভাবে ত্বকের যত্ন নিয়ে কালো ত্বক ফর্সা করা যায়। চলুন জেনে নিই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে কীভাবে ত্বক ফরসা করা যায়-

১. অ্যালোভেরা জেল ত্বকের জন্য খুবই উপকারি। অ্যালোভেরা জেল ও ব্যাসন একসাথে মিশিয়ে মুখে লাগান এরপর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জল দেখাবে।

২. কাঁচা দুধের সাথে মধু ভালো করে মিশিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে নিন। স্ক্রাবটি সুতি কাপরের সাহায্যে ত্বকে লাগিয়ে নিবেন। তারপর ১০ মিনিট মতো রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৩. চালের গুড়ো, হলুদের গুড়ো, দুধের স্বর এবং পরিমানমতো দুধ একসাথে সব উপাদান মিশিয়ে , মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রনটি মুখে আলতোভাবে লাগিয়ে নিন শুকানোর পর ধুয়ে ফেলুন।

৪. নারিকেল তেলের সাথে এলোভেরা জেল, মধু, মধু না থাকলে গ্লিসারিন দিতে পারেন, এরপর সামান্য দুধ দিয়ে মিশ্রন তৈরি করে ত্বকে লাগিয়ে ভালো করে মাসাজ করুন। আপনার ত্বক পরিষ্কার হবে।

৫. বেসন, দুধ এবং লেবুর রসকে একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

৬. ত্বকের জন্য চন্দন গুড়ো খুবই উপকারি। চন্দন গুড়োর সাথে দুধ মিশিয়ে প্রতিদিন মাসাজ করুন। কিছু দিনের মধ্যে আপনার ত্বক ফরসা হবে।

৭. আলুর রস মুখের ত্বকের জন্য বেশ উপকারি। নিয়মিত ত্বকে আলুর রস ব্যবহার করুন। ত্বক মসৃন দেখাবে।

৮. হলুদ ও টমেটোর ফেইসপ্যাক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। ত্বক উজ্জল করবে অল্পদিনেই।

উপরের স্ক্রাবগুলো প্রতিদিনই সময় বের করে দিনে বা রাতে একবার ব্যবহার করুন। অবশ্যই আপনার ত্বক ফর্সা ও উজ্জল দেখাবে। এছারাও নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থকর খাবার চেহারার সৌন্দর্য বাড়ায়।

কী খেলে ফরসা হওয়া যায়

ভালো খাবার ত্বকের ছাপ দূর করে। মসৃন উজ্জল ত্বক সবার প্রিয়। তবে সঠিকভাবে পরিচর্যা না করলে, সঠিক খাবার না খেলে ফর্সা ত্বক পাওয়া যায় না। কিছু খাবার আছে যা গ্রহনে আপনার ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জল করে। এগুলো হলো-

পানি: সুন্দর ত্বকের জন্যে প্রচুর পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পানি ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়। ত্বকে পানির পরিমান কমে গেলে ব্রন বের হয়।

আরো পড়ুনঃ-  এলোভেরা চুলে ব্যবহারের নিয়ম - চুলের যত্নে এলোভেরা প্যাক

গাজর: নিয়মিক গাজর খেলে ত্বক হবে সজিব ও উজ্জল। ক্ষতিকর সূর্য থেকে ত্বককে রক্ষা করে গাজর।

বাদাম: খাদ্যতালিকায় বাদাম রাখুন। বাদামে থাকে ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন ই’। যা আপনার ত্বককে উজ্জল বানায়।

কলা: কলাতে থাকে প্রচুর আয়রন এবং ভিটামিন এ’। এটি স্বাস্থের পাশাপাশি ত্বককে সুস্থ রাখে।

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার:  নাশপাতি, বাদাম, মটরশঁটি খেলে আপনার ত্বক উজ্জল হবে।

জিরা: প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় জিরা রাখুন। ব্রনের সমস্যা দূর করে আপনার ত্বককে উজ্জল করে।

পালংশাক: স্কিনের জন্য খুবই উপকারি একটি সবজি। স্কিনের তারন্যও বজায় রেখে সেই সাথে বার্ধকের ছাপ দূর করে।

ডিম: প্রতিদিনের সকালের নাস্তাই ডিম রাখুন। আপনার ত্বক হবে ঝলমলে।

ফলের মধ্যে খাবেন: আপেল, পেঁপে, আম, বেদানা, তরমুজ, চেরি, জাম্বুরা, মাল্টা, আমলকি ইত্যাদি। এসব ফল আপনার ত্বককে বয়সের ছাপ থেকে দূরে রাখে।

ফরসা হবার ডাক্তারি ক্রিম

সুন্দর ত্বক পাওয়ার জন্য আমরা কত কিছুই না করি। প্রাকৃতিক ভাবে যত্ন ছাড়াও এমন কিছু ক্রিম আছে যেগুলো ব্যবহার করতে ডাক্তারেরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ঘরোয়া পদ্ধতিতে কীভাবে ফরসা হওয়া যায় তা আমি উপরে আলোচনা করেছি। এখন আপনাদের জানাবো ফরসা হওয়ার জন্য কোন ক্রিম ডাক্তারেরা ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছেন। চলুন যানা যাক-

Himalaya Revitalizing Night Cream: এই ক্রিম আপনার ত্বকের গভিরে পৌঁছায় এবং ত্বক উজ্জল করে। এই ক্রিম এমন এক উপাদান দিয়ে তৈরি যা আপনার ত্বককে নরম, কোমল ও ফর্সা করে। ব্রান্ডের ক্রিমটা সবসময় কিনবেন।

Lotus Herbal Night Cream: এই ক্রিমে আঙ্গুর, তুঁত, দুধের এনজাইম এসব উপাদান রয়েছে। যা আপনার ত্বককে সতেজ রাখে তেলতেলে ভাব দূর করে। জেদি দাগ  দূর করে আপনার ত্বক ফর্সা করবে। আপনার ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে মুখ ও ঘাড়ে আলতোভাবে লাগিয়ে নিন। অবশ্যই রাতে লাগাবেন। যেহেতু এটি নাইট ক্রিম।

Bella Vita Papayablem  Anti Blemish: এই ক্রিমটি এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি যা ব্যবহারে আপনার স্কিনকে ময়েশ্চারাইজার করবে। যে কোনো ধরনের স্কিন ড্যামেজ থেকে বাঁচাবে। ফলে আপনার ত্বক উজ্জল ও সুন্দর করবে।

Gernier Light Conplete: প্রাকৃতিক উপাদান লেবুর নির্যাস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই ক্রিমটি। সূর্যের আলোর রশ্নি থেকে ক্ষতিকার প্রভাব কমায় এবং ত্বকের গ্লো বাড়ায়।

এসব ক্রিম ছেলে মেয়ে উভয়ই ব্যবহার করতে পারবে।

ক্রিমের সর্তকতা

ত্বককে ফর্সা করার জন্য আরও অনেক রকমের ক্রিম পাওয়া যায়। আপনার ত্বকের (PH) মাত্রা জেনে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করবেন। সতর্কতার সাথে ক্রিম কিনবেন। বাংলাদেশে অসংখ্যা এসব নামে ভেজাল ক্রিম রয়েছে।

ভেতর থেকে ফরসা হওয়ার উপায়

ত্বকে মেলালিন নামক রাসায়নিক পদার্থ ত্বককে ফর্সা ও কালো করে। মেলালিনের মাত্রা কম হলে ত্বক ফর্সা হয়। প্রাকৃতিকভাবে যত্নের মাধ্যমে ঘরোয়া উপায়ে মেলালিনের মাত্রা কমিয়ে ভেতর থেকে ফর্সা হওয়া যায়। ঘরোয়া উপায়গুলো জেনে নিই-

১. ভেতর থেকে ফরসা হতে লেবুর রস ব্যবহার করুন। লেবুর রস পানির সাথে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষন পর ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক ভেতর থেকে ফরসা হবে।

২. কাঁচা হলুদ ত্বকের জন্য উপকারি। কাঁচা হলুদ গুড়া করে লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

৩. দুধের ব্যবহার- এক টেবিল চামচ দুধ ও এক চা চামচ মধু নিন। এরপর দুধ ও মধু ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

আরো পড়ুনঃ-  দাঁত সাদা করার উপায় - দাঁত সাদা করার ঘরোয়া উপায়

৪. টমেটো ও লেবুর রস একসাথে মিক্স করে মুখে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার করুন।

৫. বেসন সবসময় আমাদের ত্বকের রং উজ্জল করে। বেসনের সাথে বাটার মিল্ক মিশয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার করুন।

দুধ, টমেটো, বেসন, মধু ও লেবুতে থাকা পুষ্টি উপাদান ত্বকের বার্ধক্য ছাপ দূর করে, ব্রনের  হাত থেকে বাঁচায় এবং ত্বককে ভেতর থেকে ফরসা করে তোলে।

হাত পা ফরসা করার উপায়

মুখের ত্বক উজ্জলের পাশাপাশি হাত-পা সুন্দর ও ফরসা করতে আমরা সবাই চাই। অনেকের এমন আছে যাদের মুখের তুলনায় হাত-পা কম ফরসা। মুখের সাথে হাত পায়ের মিল পাওয়া যায় না। রোদ ধুলাবালি বিভিন্ন কারনে হাত-পায়ের রঙ কালো হয়। আমরা মুখের ত্বকের যত্ন যতুটুকু নেয়, হাত ও পায়ের জন্য ততটা নিনা। প্রাকৃতিক উপায়ে হাত, পায়ের উজ্জলতা আমরা আনতে পারি সঠিক যতেœর মাধ্যমে। নিচের ঘরোয়া উপায় গুলো হাত ও পায়ের যত্ন করতে পারেন।

১. হলুদ ও শশার স্ক্রাব- প্রাকৃতিক উপায়ে হলুদ শশার স্ক্রাব হাত-পা ফরসা করতে ভীষন কার্যকরী। শশের রসের সঙ্গে হলুদ গুড়া মিশিয়ে ভালো করে হাত ও পায়ে লাগিয়ে নিবেন। এরপর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। হাত পা ফর্সা হবে।

২. মধু ও টমেটোর স্ক্রাব- ত্বকের জন্য টমেটো খুবই উপকারি। চার টেবিল চামচ টমেটোর রস তার সাথে দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে হাত,পায়ে লাগিয়ে নিন। শুকানোর পর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

৩. টমেটো- টমেটো ব্লেন্ড করে হাত ও পায়ে লাগিয়ে নিন। এতে আপনার হাত ও  পা উজ্জল দেখাবে।

৪. চালের গুড়া ও তরমুজের রসের স্ক্রাব বানিয়ে গোসলের আগে হাত ও পায়ে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।

৫. অ্যালোভেরা জেল- অ্যালোভেরা কেটে জেল বের করে নিন অথবা বাজারে কিনতে পাওয়া যায় অ্যালোভেরা জেল হাত পায়ে ভালো করে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন ।

৬. দুধ ও পেঁপে দিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে হাত ও পায়ে ভালোভাবে লাগিয়ে। শুকানোর পর ধুয়ে ফেলুন।

৭. মশুর ডাল ত্বকের জন্য খুবই উপকারি। মশুর ডালের সাথে দুধ মিশিয়ে হাত-পায়ে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট মতো রেখে ধুয়ে ফেলুন।

এছারাও হাত ও পা ফরসা করতে আপনি লোশন বা ক্রিম ব্যবহার  করতে পারেন। উল্লেখযোগ্য কিছু লোশনের নাম হলো- পাতাঞ্জলি হোয়াইটেনিং বডি লোশন, ডায়মন্ড স্পেশাল কেয়ার বডি লোশন, খাজানা বডি লোশন ইত্যাদি। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করবেন।

দাগমুক্ত ত্বক পাওয়ার উপায়

ত্বকের সমস্যা সারা বছরেই লেগে থাকে। ধুলো বালি, ময়লা, প্রখোর রোদের কারনে ত্বকে দেখা দেয় বিভিন্ন সমস্যা। মুখে ব্রনের দাগ বা দাগছোপ আমাদের ত্বকের আসল সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। এই দাগমুক্ত ত্বক পেতে আপনাকে কয়েকটি টিপস মানতে হবে। আপনার বাড়িতে থাকা নিত্যপ্রয়োজনীয় উপকরন দিয়েই ত্বকের দাগ দূর করা যায়। জেনে নিই মুখের দাগ কিভাবে দূর করবেন।

১. কমলার খোসা ব্লেন্ড কওে মুখে লাগালে ব্রন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ত্বক ফ্রেস দেখাবে। আপনার ত্বক হবে দাগমুক্ত।

২. আলুতে থাকা ক্যাটোকোলেস ত্বকের কালোদাগ দূর করে। মেসতার দাগ উঠাতে আলুর রস ১০ মিানট মুখে লাগিয়ে রেখে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।

আরো পড়ুনঃ-  কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় - ভিটামিন এর কাজ কি

৩. পাতি লেবুর রস পানির সাথে মিশিয়ে দাগযুক্ত স্থানে লাগিয়ে নিন। কিছক্ষন পর ধুয়ে ফেলুন।

৪. ত্বকে দাগ উঠাতে টক দইয়ের সাথে মধু মিশিয়ে মুখে লাগান ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

৫. কাজুবাদাম গুড়ো ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার করে। কাজুবাদামের সাথে মধু মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করুন। স্ক্রাবটি মুখে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। তক্বের দাগ দূর হবে।

৬. টমেটোর সাথে চিনি মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করে। দাগ অনেকটাই কমে যাবে।

৭. পাঁকা পেঁকে ত্বকের দাগ দূর করে।

ত্বককে দাগমুক্ত করতে চাইলে অতিরিক্ত রোদে যাবেন না। আপনার ত্বক সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকবে।

ত্বক খসখসে হওয়ার কারন

অল্পতেই ত্বক শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে এ সমস্যাই কম বেশে সবাই ভুগছে। ভিটামিন এ, বি এর অভাব হলে ত্বক শুষ্ক হয়। অত্যাধিক বাতাস ত্বক শুষ্ক করে ফেলে। শীতকালের আবহাওয়া, ক্ষারযুক্ত সাবান, কিছু চর্মরোগ, কিছু ঔষধ সেবন, পরিমিত বিশ্রামের ঘাটতি, অতিরিক্ত কাজ, ক্ষারযুক্ত সাবান, সূর্যের উত্তাপে, এসব বিভিন্ন কারনে ত্ব শুষ্ক হয়ে যায়। তবে ঘরোয়া উপায়ে আপনি ত্বকের খসখসে ভাব দূর করে ত্বকে আনতে পারেন লাবন্যতা। চলুন জেনে নিই ঘরোয়া উপায়গুলো কী-

লেবু ও মধু: লেবু ত্বকের রুক্ষভাব দূর করে ত্বক উজ্জল করে। তাই খসখসে ভাব দূর করতে ৩ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ২ টেবিল চামচ মধু দিয়ে প্যাক বানিয়ে ফেলুন। এবার এটি আপনার ত্বকের খসখসে জায়গায় লাগিয়ে নিন। ২০মিনিট মতো রেখে ধুয়ে ফেলুন। ঠোঁটের শুষ্কতা ভাব দূর করতে, কুসুম গরম পানিতে সুতি কাপড় ভিজিয়ে ঠোট পরিষ্কার করে তারপর ভ্যাসলিন অথবা গ্লিসারিন লাগিয়ে নিন।

১ চা চামচ বেসনের সঙ্গে দুধ এবং হলুদের গুড়া ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। হাত-পায়ের শুষ্কতা দূর করতে অ্যালোভেরা জেল রাতে মাখিয়ে নিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলুন। এছারাও প্রচুর শাকসবজি খান। পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করুন।

শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায়

আপনার একটু বাড়তি সাবধানতা ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে পারে। শীতকালে ত্বকের আদ্রতা কমে যায়। যার কারনে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই শীতের শুরু থেকেই ত্বকের যত্ন নিতে হবে। চলুন দেখি কীভাবে  ত্বকের যত্ন নিবেন-

গোসলের পর সারা শরীরে বডি লোশন ব্যবহার করবেন। ঠোঁটের শুষ্কতা ভাব দূর করতে প্রতিদিন রাতে শুয়ার আগে ঠোঁটে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগান। ঠোঁট ফাটবেনা। শুষ্ক ত্বকে অ্যালোভেরার জেল খুবই উপকারি। নারিকেল তেলের সাথে জেল মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে নিন। ত্বকের দূষিত পদার্থ দূর করে। ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করে। অলিভ অয়েল ও জলাপাই তেল ত্বকের জন্য ভালো। ভিটামিন ই’ এবং অ্যান্টিঅক্সাইড রয়েছে যা ত্বককে সতেজ করে। শীতকালে উপরের স্টেপগুলো মানলে ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ত্বককে ময়েশ্চারাইজার দেখাবে।  এছারাও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে শীতকালীন  বিভিন্ন ক্রিম ও লোশন ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা দূর করা যায়।

লেখকের শেষ বক্তব্য

স্থায়ীভাবে শ্যামলা ত্বক ফরসা করার উপায় সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি স্থায়ীভাবে শ্যামলা ত্বক ফরসা করার উপায় সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।

Leave a Comment