ইমপ্ল্যান্ট হচ্ছে মূলত একটি নিরাপদ ও কার্যকর জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি যা শুধুমাত্র একজন নিবন্ধিত ডাক্তারের দ্বারা স্থাপন এবং অপসারণ করা উচিত। আপনারা অনেকেই ইমপ্ল্যান্ট জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি এবং ইমপ্ল্যান্ট জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি খরচ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।
ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহারের আগে আপনার ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ইতিহাস এবং পছন্দের উপর ভিত্তি করে একজন চিকিৎসকের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করা উচিত, যাতে আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিটি বেছে নেওয়া যায়। ইমপ্ল্যান্ট জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
ইমপ্ল্যান্ট জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
ইমপ্ল্যান্ট জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হলো মহিলাদের জন্য একটি অত্যন্ত কার্যকর, দীর্ঘমেয়াদী এবং সুবিধাজনক অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। এটি আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতিগুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় এবং কার্যকর একটি উপায় এই পদ্ধতিতে একটি ছোট, নমনীয় রড বা ক্যাপসুল মহিলার বাহুর ভেতরের দিকে ত্বকের নিচে স্থাপন করা হয়।
এটি ধীরে ধীরে প্রজেস্টিন নামক একটি হরমোন নিঃসরণ করে, যা সফলভাবে গর্ভধারণ প্রতিরোধ করে।
একটি গর্ভনিরোধক ইমপ্ল্যান্ট সন্নিবেশ একটি সহজ এবং দ্রুত পদ্ধতি যা সাধারণত প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগে। ইমপ্ল্যান্ট জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করা হলঃ
পদ্ধতিটি আগে: প্রথমে ডাক্তার আপনার স্বাস্থ্য ইতিহাস জেনে নিবেন এবং পদ্ধতিটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবেন, এর সুবিধা-অসুবিধা ও সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বুঝিয়ে দেবেন। আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনি গর্ভবতী নন।
পদ্ধতির সময়: আপনার অ-প্রভাবশালী বাহুর (যেমন ডানহাতি হলে বাম বাহু) ভেতরের দিকে, কনুই থেকে প্রায় ৮-১০ সেন্টিমিটার উপরে একটি স্থান নির্বাচন করা হয়। স্থানটি জীবাণুমুক্ত করে স্থানীয় অ্যানেস্থেশিয়া ইনজেকশনের মাধ্যমে অসাড় করা হয়।
অসাড় হওয়ার পর, ডাক্তার একটি বিশেষ অ্যাপ্লিকেটর ব্যবহার করে ত্বকে একটি ছোট ছিদ্র (প্রায় ২ মিমি) তৈরি করেন। এই অ্যাপ্লিকেটরের মাধ্যমে ইমপ্ল্যান্ট রডটি (বা রডগুলো) ত্বকের ঠিক নিচে (সাবকিউটেনিয়াস টিস্যুতে) স্থাপন করা হয়। এটি সাধারণত কয়েক মিনিট সময় নেয়।
পদ্ধতিটি পরে: ইমপ্ল্যান্ট স্থাপনের পর ছিদ্রটি ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। কয়েক দিনের জন্য ঐ স্থানে সামান্য ব্যথা, ফোলা বা কালশিটে পড়তে পারে, যা স্বাভাবিক।
ইমপ্ল্যান্ট সঠিকভাবে ত্বকের নিচে স্থাপন হয়েছে কিনা তা ডাক্তার অনুভব করে নিশ্চিত করেন। এটি একটি নিরাপদ পদ্ধতি, তবে অবশ্যই প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী দ্বারা করানো উচিত।
ইমপ্ল্যান্ট কিভাবে কাজ করে?
ইমপ্ল্যান্ট থেকে ধীরে ধীরে প্রজেস্টিন হরমোন রক্তপ্রবাহে নিঃসৃত হয়। এই হরমোন মূলত তিনটি উপায়ে কাজ করে গর্ভাবস্থা প্রতিরোধ করে:
১. ডিম্বস্ফোটন রোধ: প্রজেস্টিন হরমোন ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নির্গত হওয়া (ডিম্বস্ফোটন) বন্ধ করে দেয়। ডিম্বাণু নির্গত না হলে শুক্রাণু নিষিক্ত করার জন্য কোনো ডিম্বাণুই থাকে না, ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে না।
২. সার্ভিকাল মিউকাস ঘন করা: এটি জরায়ুর মুখের (সারভিক্স) শ্লেষ্মা (মিউকাস) ঘন ও আঠালো করে তোলে। এর ফলে শুক্রাণু জরায়ু পার হয়ে ডিম্বাণুর কাছে পৌঁছাতে পারে না।
৩. জরায়ুর আস্তরণ পরিবর্তন: এটি জরায়ুর ভেতরের আস্তরণ (এন্ডোমেট্রিয়াম) পাতলা করে দেয়। এর ফলে যদি কোনো ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়েও যায়, তবে তা জরায়ুতে স্থাপিত হতে পারে না।
এই তিনটি প্রক্রিয়া সম্মিলিতভাবে ইমপ্ল্যান্টকে অত্যন্ত কার্যকর একটি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হিসেবে গড়ে তোলে।
ইমপ্ল্যান্ট এর সুবিধা ও অসুবিধা
জন্মনিয়ন্ত্রণ ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহারের অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে:
- অত্যন্ত কার্যকর: এটি আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলোর মধ্যে অন্যতম কার্যকর।
- দীর্ঘমেয়াদী: একবার স্থাপন করলে ৩ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত গর্ভধারণ প্রতিরোধ করে, যা প্রতিদিন বড়ি খাওয়ার ঝামেলা থেকে মুক্তি দেয়।
- সুবিধাজনক: একবার স্থাপন করার পর এটি দৈনন্দিন মনোযোগের প্রয়োজন হয় না।
- প্রসবোত্তর ব্যবহার: বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের জন্য এটি একটি নিরাপদ পদ্ধতি। সাধারণত শিশুর জন্মের ৬ সপ্তাহের পর এটি ব্যবহার করা যায়, কারণ এটি মায়ের বুকের দুধের গুণগত মান বা পরিমাণে কোনো তারতম্য ঘটায় না।
- সহজে অপসারণযোগ্য: যদি কোনো কারণে গ্রহীতা ইমপ্ল্যান্ট আর ব্যবহার করতে না চান বা সন্তান নিতে চান, তবে প্রশিক্ষিত ডাক্তার দিয়ে এটি যেকোনো সময় খুলে নেওয়া যায়।
- দ্রুত উর্বরতা ফিরে আসা: ইমপ্ল্যান্ট খুলে ফেলার পর পরই নারীর গর্ভধারণ ক্ষমতা দ্রুত ফিরে আসে।
- ইস্ট্রোজেন-মুক্ত: যাদের ইস্ট্রোজেন-ভিত্তিক গর্ভনিরোধক ব্যবহারে সমস্যা হয়, তাদের জন্য এটি একটি ভালো বিকল্প, কারণ এতে শুধু প্রজেস্টিন হরমোন থাকে।
- মাসিক চক্রের উন্নতি: কিছু মহিলার ক্ষেত্রে এটি মাসিকের ব্যথা কমাতে বা মাসিক চক্রকে আরও হালকা করতে সাহায্য করে।
ইমপ্ল্যান্টের অসুবিধা
- ইমপ্ল্যান্টের কিছু সম্ভাব্য অসুবিধা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে, যা সাধারণত ক্ষতিকারক নয় এবং সময়ের সাথে সাথে কমে আসে:
- রক্তপাতের পরিবর্তন: এটি সবচেয়ে সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
- মাসিকের মধ্যবর্তী সময়ে ফোঁটা ফোঁটা রক্তস্রাব (Spotting) হতে পারে।
- মাসিক অনিয়মিত হতে পারে, অর্থাৎ মাসিকের সময়কাল এবং পরিমাণে পরিবর্তন আসতে পারে।
- কিছু মহিলার মাসিক সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যা অনেকের কাছে সুবিধাজনক মনে হলেও কারো কারো জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
- খুব কম ক্ষেত্রে বেশি দিন ধরে অল্প অল্প রক্তক্ষরণ অথবা অতিরিক্ত রক্তস্রাব হতে পারে।
- স্থাপন ও অপসারণের ব্যথা: ইমপ্ল্যান্ট স্থাপন বা অপসারণের সময় স্থানীয়ভাবে কিছুটা ব্যথা, লালচে ভাব বা ফোলাভাব হতে পারে। ছোট একটি ক্ষত বা কালশিটে পড়তে পারে, যা কয়েক দিনের মধ্যে সেরে যায়।
অন্যান্য সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
- মাথাব্যথা
- বমি বমি ভাব
- স্তনে ব্যথা বা সংবেদনশীলতা
- মেজাজ পরিবর্তন বা মানসিক পরিবর্তন (হরমোনের সাথে অভ্যস্ত হতে সময় লাগে)
- ওজন বৃদ্ধি (যদিও এটি সব ক্ষেত্রে দেখা যায় না)
- ব্রণ (কিছু ক্ষেত্রে বাড়তে বা কমতে পারে)
কারা ইমপ্ল্যান্ট গ্রহণ করতে পারবেন?
ইমপ্ল্যান্ট সাধারণত নিম্নলিখিত মহিলাদের জন্য উপযুক্ত:
- যারা দীর্ঘদিনের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ চান।
- যারা প্রতিদিন বড়ি খাওয়ার কথা মনে রাখতে পারেন না বা অন্য কোনো দৈনন্দিন পদ্ধতির ঝামেলা চান না।
- যারা ইস্ট্রোজেন-ভিত্তিক গর্ভনিরোধক ব্যবহার করতে পারেন না (যেমন, স্তন্যদানকারী মা, যাদের রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি আছে)।
- প্রসবোত্তর মা যারা বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন (শিশুর জন্মের ৬ সপ্তাহ পর)।
কারা ইমপ্ল্যান্ট গ্রহণ করতে পারবেন না?
কিছু ক্ষেত্রে ইমপ্ল্যান্ট গ্রহণ করা উচিত নয়:
- যারা বর্তমানে গর্ভবতী।
- যাদের স্তন ক্যান্সার আছে বা পূর্বে ছিল।
- যাদের লিভারের গুরুতর রোগ আছে।
- যাদের রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা আছে।
- অনির্ণীত অস্বাভাবিক যোনি রক্তপাত।
- কিছু নির্দিষ্ট ঔষধ সেবন করছেন যা ইমপ্ল্যান্টের কার্যকারিতা কমাতে পারে।
ইমপ্ল্যান্ট স্থাপনের উপযুক্ত সময়
- মাসিক চলাকালীন প্রথম ৭ দিনের মধ্যে।
- যদি নিশ্চিত হওয়া যায় যে গ্রহীতা গর্ভধারণ করেননি, তবে মাসিক চক্রের যেকোনো সময়ে।
- যদি গ্রহীতা পূর্বে অন্য কোনো আধুনিক গর্ভনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন, তবে সেই পদ্ধতির শেষ হওয়ার পরপরই ইমপ্ল্যান্ট স্থাপন করা যেতে পারে।
ইমপ্ল্যান্ট জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি খরচ
গর্ভাবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য ইমপ্ল্যান্ট পদ্ধতিটি বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। এর খরচ বিভিন্ন কারণের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। এখানে ইমপ্ল্যান্ট জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির খরচের একটি বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হলো:
১. সরকারি পর্যায়ে খরচ:
বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর (Directorate General of Family Planning – DGFP) এর অধীনে সরকারি হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং অন্যান্য সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ইমপ্ল্যান্ট পদ্ধতি বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। এই পদ্ধতির সামগ্রী (ইমপ্ল্যান্ট রড) এবং স্থাপন ও অপসারণের খরচ সরকার বহন করে।
কিছু ক্ষেত্রে, সরকারি পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমে গ্রহীতাকে উৎসাহ ভাতা প্রদান করা হয়। যেমন, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইমপ্ল্যান্টের ক্ষেত্রে মোট ৪১৬.০০ টাকা (প্রয়োগের সময় ১৭৩ টাকা + ১ম ফলোআপ ৮১ টাকা + ২য় ফলোআপ ৮১ টাকা + ৩য় ফলোআপ ৮১ টাকা) ভাতা দেওয়া হয়। এটি মূলত যাতায়াত বা অন্যান্য ছোটখাটো খরচ মেটানোর জন্য।
২. বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের খরচ:
সরকারি সুবিধা ছাড়াও, বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং এনজিও (NGO) গুলোতেও ইমপ্ল্যান্ট সেবা পাওয়া যায়। এখানে খরচ কিছুটা বেশি হতে পারে, কারণ তারা সামগ্রীর দাম, ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মীর ফি এবং ক্লিনিকের সার্ভিস চার্জ নিয়ে থাকে।
খরচের ধরন: বেসরকারি ক্লিনিকে ইমপ্ল্যান্টের খরচের মধ্যে সাধারণত নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে:
- ইমপ্ল্যান্ট রডের দাম: এটি ব্র্যান্ডভেদে ভিন্ন হতে পারে।
- স্থাপন ফি (Insertion Fee): ডাক্তার বা নার্স দ্বারা ইমপ্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য ফি।
- পরামর্শ ফি (Consultation Fee): ইমপ্ল্যান্ট স্থাপনের আগে ডাক্তারের পরামর্শের জন্য ফি।
- ফলো-আপ ভিজিট: কিছু ক্লিনিক ফলো-আপ ভিজিটের জন্য আলাদা ফি নিতে পারে।
- ঔষধ ও আনুষঙ্গিক খরচ: কিছু প্রয়োজনীয় ঔষধ এবং ব্যান্ডেজের খরচ।
বেসরকারি পর্যায়ে আনুমানিক খরচ:
বেসরকারি ক্লিনিকে ইমপ্ল্যান্ট স্থাপনের মোট খরচ ২,০০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকা বা তার বেশি হতে পারে। এই খরচ ক্লিনিকের মান, ডাক্তারের অভিজ্ঞতা এবং ইমপ্ল্যান্টের ব্র্যান্ডের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।
যেমন, কিছু বেসরকারি সংস্থা বা ক্লিনিক “আই-প্ল্যান্ট” (Jadelle) এর মতো ৫ বছর মেয়াদী ইমপ্ল্যান্ট সরবরাহ করে, যার দাম বিভিন্ন ক্লিনিক বা সরবরাহকারীর উপর নির্ভর করে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। নেক্সপ্ল্যাননের দামও একইভাবে পরিবর্তিত হয়।
৩. অপসারণের খরচ:
ইমপ্ল্যান্টের মেয়াদ শেষ হলে বা গ্রহীতা সন্তান ধারণ করতে চাইলে এটি অপসারণ করতে হয়। অপসারণের জন্যও কিছু খরচ হতে পারে:
সরকারি পর্যায়ে: সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ইমপ্ল্যান্ট অপসারণও বিনামূল্যে করা হয়।
বেসরকারি পর্যায়ে: বেসরকারি ক্লিনিকে ইমপ্ল্যান্ট অপসারণের জন্য ৫০০ টাকা থেকে ২,০০০ টাকা বা তার বেশি খরচ হতে পারে, যা ক্লিনিক এবং অপসারণ প্রক্রিয়ার জটিলতার উপর নির্ভর করে। কিছু ক্ষেত্রে, ইমপ্ল্যান্ট যদি ত্বকের নিচে বেশি গভীরে চলে যায় বা খুঁজে পেতে অসুবিধা হয়, তবে অপসারণের খরচ বেশি হতে পারে।
লেখকের শেষ মতামত
ইমপ্ল্যান্ট জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আধুনিক পরিবার পরিকল্পনার একটি বিপ্লব। এর উচ্চ কার্যকারিতা, দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা এবং ব্যবহারের সুবিধার কারণে এটি বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মহিলার জন্য একটি পছন্দের বিকল্প হয়ে উঠেছে। এটি মহিলাদের জন্মনিয়ন্ত্রণে স্বাধীনতা এবং নিয়ন্ত্রণ প্রদান করে, যা তাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
তবে, যেকোনো চিকিৎসা পদ্ধতির মতোই, এর সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই রয়েছে। তাই, ইমপ্ল্যান্ট গ্রহণের আগে একজন যোগ্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে বিস্তারিত আলোচনা করে আপনার ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যগত অবস্থা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।