যারা প্রথমবার পিজি হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যেতে চান, তাদের মনে সাধারণত একটা প্রশ্ন থাকে যে কীভাবে এখানে ডাক্তার দেখাতে হয়? এই নিয়মগুলো আগে থেকে জেনে রাখলে আপনি নির্ভয়ে এবং কম সময়ে ডাক্তার দেখাতে পারবেন। এতে আপনি সময়মতো সঠিক চিকিৎসা নিতে পারবেন।
যেহেতু এই হাসপাতালে অনেকগুলো বিভাগ আছে এবং একেক বিভাগে একেক ধরনের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার চিকিৎসা দেন, তাই আপনি যদি সঠিক নির্দেশনা না পান, তাহলে আপনার রোগের জন্য অভিজ্ঞ ডাক্তার খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। তাই আজকে আমরা ঢাকা পিজি হাসপাতালে ডাক্তারকে রোগী দেখানোর নিয়ম বিস্তারিত জেনে নিব।
ঢাকা পিজি হাসপাতালে ডাক্তারকে রোগী দেখানোর নিয়ম
পিজি হাসপাতাল বাংলাদেশের সব থেকে বড় সরকারি মেডিকেল কলেজ, গবেষণাগার এবং চিকিৎসা কেন্দ্র। এ কারণে এখানে সাধারণত সাধারণ কোনো রোগের চিকিৎসা করা হয় না। বেশিরভাগ মানুষ অন্য ক্লিনিকে চিকিৎসা নেওয়ার পরও যখন পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেন না, তখন তারা এখানে আসেন।
যেহেতু এই হাসপাতালে অনেকগুলো বিভাগ আছে এবং একেক বিভাগে একেক ধরনের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার চিকিৎসা দেন, তাই আপনি যদি সঠিক নির্দেশনা না পান, তাহলে আপনার রোগের জন্য সঠিক ডাক্তার খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে।
পিজি হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর নিয়ম হচ্ছেঃ
- ডাক্তার দেখানোর প্রাথমিক প্রস্তুতি
- রেফারাল এবং পূর্ববর্তী অ্যাপয়েন্টমেন্ট ও প্রেসক্রিপশন প্রদান
- রেজিস্ট্রেশন করা
- ডাক্তার দেখানোর দিন
- ফি পেমেন্ট
- ডাক্তারের দেওয়া নির্দেশনা অনুসরণ
- পরামর্শ ও সতর্কতা
ডাক্তার দেখানোর প্রাথমিক প্রস্তুতি: পিজি হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর জন্য প্রথমেই আপনাকে কিছু প্রস্তুতি নিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে:
- পরিচিতি ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ: পিজি হাসপাতালে আপনি যদি প্রথমবার চিকিৎসা করতে যান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি রেজিস্ট্রেশন কার্ড বানাতে হবে।
- ডাক্তার নির্বাচন: আপনার সমস্যার ধরন অনুযায়ী সঠিক বিভাগের ডাক্তার নির্বাচন করতে হবে। বিভিন্ন বিভাগের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ডাক্তার আছেন, যেমন- মেডিসিন, সার্জারি, গাইনোকোলজি ইত্যাদি।
- অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন: পিজি হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে হলে আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া জরুরি। আপনি চাইলে অনলাইনেও অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারেন, এতে আপনার সময় বাঁচবে।
রেফারাল এবং পূর্ববর্তী অ্যাপয়েন্টমেন্ট ও প্রেসক্রিপশন প্রদান: আপনি যদি পিজি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনার আগের হাসপাতাল বা ক্লিনিক থেকে একটি রেফারেল বা টোকেন নিয়ে আসতে হবে। এই টোকেনটা আপনার জন্য একটি সুপারিশপত্র বা ছাড়পত্রের মতো কাজ করবে।
রেফারেলের পাশাপাশি, আপনার আগের চিকিৎসার প্রেসক্রিপশন এবং সব পরীক্ষার রিপোর্টও সঙ্গে রাখতে হবে। তাই এগুলো যদি আপনার না থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই সংগ্রহ করবেন এবং অবহেলা না করে সেগুলো ভালোভাবে সংরক্ষিত রাখবেন।
রেজিস্ট্রেশন করা: ঢাকা পিজি হাসপাতালে প্রথমবার চিকিৎসা নিতে গেলে আপনাকে অবশ্যই একটি রেজিস্ট্রেশন কার্ড বানাতে হবে। এটি ছাড়া আপনি কোনো সেবা পাবেন না। একবার রেজিস্ট্রেশন করে ফেললে পরবর্তীতে যতবারই আপনি ডাক্তার দেখান না কেন, নতুন করে আর রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না। অর্থাৎ, একজন রোগীর জন্য শুধু একবারই রেজিস্ট্রেশন করা যথেষ্ট।
যেহেতু এটি বাংলাদেশের একমাত্র বড়মাপের চিকিৎসালয় এবং গবেষণাকেন্দ্র তাই এখানে এই কাজ বাদেও বেশ কয়েকটি ব্যতিক্রম ধর্মী নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। তো যাই হোক, এটি আপনি বিভিন্নভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন। নিচে ৪টি পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম উল্লেখ করা হলঃ
সশরীরে হাসপাতালে গিয়ে: আপনি যদি পিজি হাসপাতালের আশেপাশে থাকেন বা সেখানে আপনার কোনো পরিচিত ব্যক্তি থাকে, তাহলে সরাসরি হাসপাতালে গিয়ে নির্দিষ্ট বিভাগের রেজিস্ট্রেশন কাউন্টারে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন। তবে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার জন্য কিছু জরুরি কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে, যেমন: আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র, আগের চিকিৎসার প্রেসক্রিপশন এবং রোগের সব পরীক্ষার রিপোর্ট।
অনলাইনের মাধ্যমে: অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হলে এই অ্যাড্রেসে প্রবেশ করে কয়েকটি অপশন বেছে নিতে হবে।
প্রথমে একটি অপশন আসবে “আপনি কি আগে কোনো ডাক্তার দেখিয়েছেন?” সেখানে ‘না’ সিলেক্ট করুন। এরপরের অপশনে “আপনার রোগের জন্য কোন বিভাগের ডাক্তার দরকার তা কি আপনি জানেন?” এখানে আপনাকে ‘হ্যাঁ’ সিলেক্ট করতে হবে। এরপর আপনার রোগের জন্য কোন বিভাগের ডাক্তার দরকার, তা ঠিক করে নিন। তারপর সাক্ষাতের তারিখ, আপনার নাম, মোবাইল নম্বর, বয়স এবং লিঙ্গ সঠিকভাবে দিয়ে দিন।
এরপর ডান দিকে নিচে থাকা “অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিশ্চিত করুন” অপশনে ক্লিক করতে হবে। যদি আপনি সব তথ্য ঠিকমতো দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনার দেওয়া মোবাইল নম্বরে একটি কনফার্মেশন এসএমএস চলে আসবে।
ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করে: আপনি সরাসরি হাসপাতালের রিসেপশনে ফোন করে বা হাসপাতালের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারেন। যদি সরাসরি হাসপাতালে গিয়ে বা অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার সুবিধা না থাকে, তবে এই উপায়ে আপনি সহজেই ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে পারেন।
ফলো-আপ অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে: ইতিপূর্বে রেজিস্ট্রেশনের করে এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে থাকলে পরবর্তী সময়ে এপয়েন্টমেন্ট নেয়াটা খুবই সহজ। কারণ প্রথমবারের পরে পরবর্তী সময়ে আপনি যতবার ডাক্তার দেখাবেন সে সময় আপনার শুধুমাত্র ফলো-আপ অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ করতে হবে।
এটি গ্রহণ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার পূর্ববর্তী চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট এবং প্রেসক্রিপশন দেখাতে হবে। এটি গ্রহণ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ওই ডাক্তারের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে গ্রহণ করতে হবে যেটি ডাক্তারই আপনাকে বলে দিবে।
ফি পেমেন্ট: অ্যাপয়েন্টমেন্টের ফি নির্ভর করে আপনি কোন সময়ে ডাক্তার দেখাচ্ছেন তার ওপর। যদি সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে দেখাতে চান, তাহলে ফি লাগবে মাত্র ৩০ টাকা। আর যদি দুপুর ৩টা থেকে ৬টার মধ্যে ডাক্তার দেখাতে চান, তাহলে ফি হবে ২০০ টাকা।
সকালের চেয়ে বিকেলে অ্যাপয়েন্টমেন্টের খরচ বেশি হওয়ার কারণ হলো, সকালে মূলত নতুন ডাক্তার বা প্রশিক্ষণার্থীরা রোগী দেখেন। অন্যদিকে, বিকেলে অভিজ্ঞ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রোগী দেখেন, আর এ কারণেই খরচটা বেশি। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে অভিমত জানাবো যে, আপনারা সব সময় বিকেলের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দেখানোর জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ করবেন। আপনি এই ফি ৫ টি মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন।
মাধ্যমগুলো হচ্ছেঃ
- রেজিস্ট্রেশন কাউন্টারে,
- ক্যাশ কাউন্টারে,
- বিভাগীয় কাউন্টারে,
- অনলাইনে এবং যে সব জায়গায় ইনডোর ভর্তির জন্য ফি নেওয়া হয়, সেখানে।
আপনি এই পদ্ধতিগুলোর যেকোনো একটি ব্যবহার করে ফি জমা দিতে পারেন। তবে রেজিস্ট্রেশন কাউন্টারে সরাসরি ফি জমা দিলে কোনো ঝামেলা হয় না।
ডাক্তার দেখানোর দিন: ডাক্তার দেখানোর দিন কিছু বিষয় মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ:
- সঠিক সময়ে উপস্থিত হন: অ্যাপয়েন্টমেন্টের ১৫ মিনিট আগে হাসপাতালে পৌঁছানো ভালো। এতে আপনার রেজিস্ট্রেশনের কাজটা তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।
- আবশ্যক কাগজপত্র সঙ্গে রাখুন: আপনার পরিচিতি কার্ডের পাশাপাশি আগের চিকিৎসার কাগজপত্র এবং সব পরীক্ষার রিপোর্ট সঙ্গে রাখুন।
- পরিষ্কার ও সুশৃঙ্খল থাকুন: নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সুশৃঙ্খল রাখুন। এতে ডাক্তারের সাথে আপনার কথা বলা সহজ হবে।
ডাক্তারের দেওয়া নির্দেশনা অনুসরণ: আপনার রোগের ধরন এবং শারীরিক পরিস্থিতি অনুসারে চিকিৎসকেরা যথাযথ চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণের পরামর্শ দিবেন। আপনি যদি সুস্থতা অর্জন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের দেওয়া সকল নির্দেশনা পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে অনুসরণ করতে হবে। অনেক সময় চিকিৎসকেরা নির্দিষ্ট সময় পরে পুনরায় অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে বলে। সেক্ষেত্রে আপনি ফলো-আপ অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ করবেন।
পরামর্শ ও সতর্কতা
- সময়মত চিকিৎসা নিন: আপনার সমস্যার গুরুত্ব বুঝে সময়মত চিকিৎসা নিন। দেরি করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
- চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে চলুন: চিকিৎসকের পরামর্শ ও নির্দেশনা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- হাসপাতালের নিয়ম মেনে চলুন: পিজি হাসপাতালের সমস্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলুন। এটি হাসপাতালের শৃঙ্খলা রক্ষা করবে।
- সঠিক তথ্য দিন: আপনার সমস্যার সঠিক তথ্য দিন। এটি চিকিৎসকের জন্য সঠিক চিকিৎসা নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে।
সর্বশেষ, যেহেতু পিজি হাসপাতাল একটি কমিউনিটি বা কতৃপক্ষের দ্বারা পরিচালিত হয়। এজন্য, যেকোনো নিয়ম পরিবর্তন হতেই পারে। তাই নিজ যোগ্যতায় খেয়াল রেখে সমস্ত সেবা গ্রহন করুণ। পিজি হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর নিয়ম সহজে মেনে চললে আপনার চিকিৎসা প্রক্রিয়া সহজ ও কার্যকর হবে। নিয়মিত ফলোআপ ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন এবং সুস্থ থাকুন।
পিজি হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ ও সেবা
পিজি হাসপাতালে বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে রয়েছে:
- মেডিসিন বিভাগ: সাধারণ রোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা করা হয়।
- সার্জারি বিভাগ: সব ধরনের অপারেশন ও অস্ত্রোপচার সংক্রান্ত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
- গাইনোকোলজি বিভাগ: নারীদের বিশেষ রোগ, গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসবের চিকিৎসা করা হয়।
- চক্ষু বিভাগ: এখানে চোখের বিভিন্ন সমস্যার চিকিৎসা করা হয়, যেমন- চশমার পাওয়ার পরীক্ষা করা এবং চোখের অপারেশন।
- দাঁতের বিভাগ: দাঁত ও মুখের রোগের চিকিৎসা করা হয়, যেমন- দাঁত তুলা, রুট ক্যানাল ইত্যাদি।
পিজি হাসপাতাল যোগাযোগ ঠিকানা
হাসপাতালের সেবা পেতে হলে প্রথমে তার ঠিকানা সম্পর্কে জানা দরকার। পিজি হাসপাতালের ঠিকানা নিচে দেওয়া হলো, যা আপনাকে সহজেই সেখানে পৌঁছাতে সাহায্য করবে। প্রয়োজনে যোগাযোগের নম্বরও দেওয়া আছে, যেখানে কথা বললে হাসপাতালে আসা আপনার জন্য আরও সহজ হবে।
ওয়েবসাইটঃ www.bsmmu.edu.bd
ফোন:
+ 8-02-961051-58,
+ 8-02-961058-60,
+ 6-02-614545-49
+ 6-02-612550-54
সেন্ট্রাল টেলিফোন নম্বরঃ +88-02-55165760-94
পিজি হাসপাতাল কোথায়
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার শাহবাগ এলাকায় অবস্থিত। এর পূর্ব পাশে বারডেম, পশ্চিম পাশে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসনের একাডেমিক ভবন এবং দক্ষিণে রয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব-দক্ষিণ কোণে A ব্লকের পূর্ব পাশে ১ নম্বর গেট আছে। এর একটু দূরেই আছে ২, ৩ ও ৪ নম্বর গেট। হাসপাতালের পশ্চিম দিকে একটি মসজিদ আছে, যার সামনেই ৫ নম্বর গেট। এই ৫টি গেটের যেকোনো একটি দিয়ে আপনার সুবিধা মতো প্রবেশ করতে পারবেন।
পিজি হাসপাতাল কবে বন্ধ থাকে
আমরা বিভিন্ন সোর্স এর মাধ্যমে জানতে পেরেছি। পিজি হাসপাতাল দিন রাত ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। তবে, এই প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট কিছু ছুটি থাকে। কারণ, এই প্রতিষ্ঠানে যারা কাজ করে, তাদের একটু ব্রেক নেওয়ার প্রয়োজন হয়। নিচে পিজি হাসপাতালের ছুটির চার্ট নিচে উল্লেখ করা হলঃ
সেবা/বিভাগ | খোলা থাকার সময় | বন্ধ থাকার সময় | ছুটির উদ্দেশ্য |
ইমার্জেন্সি সেবা | ২৪ ঘণ্টা, সারা বছর | কখনো বন্ধ থাকে না | সরকারি ছুটি এবং বিশেষ দিনেও চালু থাকে। |
আউটডোর সেবা | রবি ও বৃহস্পতিবার, সকাল ৮:০০ – দুপুর ২:৩০ | শুক্রবার, শনিবার, এবং সরকারি ছুটির দিন | সাধারণ রোগী দেখা হয় কার্যদিবসে। |
ইনডোর সেবা | সারা বছর, ২৪ ঘণ্টা | কখনো বন্ধ থাকে না | ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা সেবা চালু থাকে। |
পরীক্ষা/নিরীক্ষা (ল্যাব) | রবি ও বৃহস্পতিবার, সকাল ৮:০০ – দুপুর ৩:০০ | শুক্রবার, শনিবার, এবং সরকারি ছুটির দিন | জরুরি পরীক্ষা ইমার্জেন্সি বিভাগে করা যায়। |
অফিস/প্রশাসনিক বিভাগ | রবি ও বৃহস্পতিবার, সকাল ৯:০০ – বিকাল ৫:০০ | শুক্রবার, শনিবার, এবং সরকারি ছুটির দিন | সাধারণ প্রশাসনিক কাজ কার্যদিবসে। |
বিশেষ দিবস/জাতীয় ছুটি | নির্দিষ্ট পরিষেবাগুলি সীমিত | সরকারি ছুটির দিন | যেমন: একুশে ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ, ঈদ, পূজা, বড়দিন ইত্যাদি। |
লেখকের শেষ মতামত
পরিশেষে বলতে চাই, ঢাকা পিজি হাসপাতালে প্রথমবার চিকিৎসা নিতে গেলে আপনাকে অবশ্যই একটি রেজিস্ট্রেশন কার্ড বানাতে হবে। এটি ছাড়া আপনি কোনো সেবা পাবেন না। আপনি চাইলে অনলাইনে বা সরাসরি হাসপাতালের রিসেপশনে গিয়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারেন। অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিলে আপনার সময় বাঁচবে।
পিজি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে আপনাকে একটু নিয়ম মেনে চলতে হবে, তবে এখানকার অভিজ্ঞ ডাক্তার এবং আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা আপনাকে সেরা সেবা দেবে। যেকোনো প্রয়োজনে হাসপাতালের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।