প্রত্যাশী এনজিও লোন পদ্ধতি – প্রত্যাশী এনজিও লোনের যোগ্যতা

“প্রত্যাশী” একটি এনজিও যা বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়নে কাজ করে। এটি মূলত ক্ষুদ্র লোন, দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবার পরিকল্পনা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অন্যান্য সামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে কাজ করে থাকে। প্রত্যাশী এনজিও লোন প্রদানের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করে, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, কৃষক এবং চাষাবাদ প্রত্যাশীদের।

প্রত্যাশী এনজিও লোন পদ্ধতি

প্রত্যাশী এনজিও লোন হলো প্রত্যাশী সমাজ উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে দেয়া একটি মাইক্রো-ফাইন্যান্স প্রোগ্রাম, যার মাধ্যমে দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষদের বিভিন্ন খাতে ক্ষুদ্রলোন দেওয়া হয়। এই সংস্থাটি মূলত বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও আশেপাশের জেলাগুলোতে বেশি প্রচলিত রয়েছে।

প্রত্যাশী এনজিও কী

প্রত্যাশী একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও), যা বাংলাদেশের একটি উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে কাজ করে থাকে। এই সংস্থাটি মূলত সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে। বিশেষ করে, প্রত্যাশী গ্রামীণ উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। 

প্রত্যাশী একটি অলাভজনক সংস্থা যা সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে এবং সরকারি সহায়তা ছাড়াই বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

প্রত্যাশী এনজিওর কাজ কী?

প্রত্যাশী একটি বেসরকারি সংস্থা (NGO), যা মিসেস মনোয়ারা বেগমের হাত ধরে ১৯৮৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে। এটি মূলত অলাভজনক সংস্থা হিসেবে জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।  প্রত্যাশী এনজিওর প্রধান কাজগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

  • নারীর ক্ষমতায়ন, কন্যাশিশুদের অধিকার রক্ষা, এবং লিঙ্গ সমতা বিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা। 
  • স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা বিস্তারে সহায়তা এবং বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা। 
  • পরিবেশ সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা। 
  • সুবিধাবঞ্চিত ও দরিদ্র মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করা। 
  • নিরাপদ অভিবাসনের জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা। 
  • প্রত্যাশী বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করে, যাতে সমাজের উন্নয়নমূলক কাজে আরও বেশি অবদান রাখা যায়।

প্রত্যাশী এনজিও লোনের ধরন সমূহ

প্রত্যাশী এনজিও সাধারণত বিভিন্ন ধরনের লোন দিয়ে থাকে। নিচে প্রত্যাশী এনজিও লোনের একটি তালিকা দেওয়া হলো:

  • ক্ষুদ্র লোন (Microcredit)
  • সাধারণ লোন (General Loan)
  • শিক্ষা লোন (Education Loan)
  • আবাসন লোন (Housing Loan)
  • ব্যবসা লোন (Business Loan)
  • স্বাস্থ্য লোন (Health Loan)
  • পরিবেশ উন্নয়ন লোন (Environment Development Loan)
  • সামাজিক উন্নয়ন লোন (Social Development Loan)

এই লোনগুলোর প্রত্যেকটিরই নির্দিষ্ট নিয়ম ও শর্তাবলী রয়েছে যা লোন গ্রহণ করার আগে ভালোভাবে জেনে নেয়া উচিত।

প্রত্যাশী এনজিও লোনের যোগ্যতা

এনজিও থেকে লোন পেতে হলে সাধারণত কিছু সাধারণ যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে প্রধান যোগ্যতাগুলো হলো: বয়স, জাতীয়তা, বসবাস এবং আয়ের উৎস। এছাড়া, লোনদানকারী সংস্থার নিজস্ব কিছু শর্তও প্রযোজ্য হতে পারে।

যদি আপনি প্রত্যাশী এনজিও থেকে লোন নিতে আগ্রহী হন, তাহলে আপনাকে নিম্নলিখিত নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে তবেই আপনি লোনের জন্য আবেদনকারী হিসেবে উপযুক্ত হবেন যথাঃ

  • বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছর হতে হবে।
  • প্রত্যাশীর যেকোন ব্র্যাঞ্চে সঞ্চয় হিসাব থাকতে হবে।
  • লোনের একজন গ্যারান্টার লাগবে।
  • লোন পরিশোধের সক্ষমতা থাকতে হবে।
  • স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে ও প্রত্যাশী এনজিওর শাখার আওতাভুক্ত এলাকায় বসবাস করতে হবে।
  • এছাড়া, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকতে হবে। 
  • অতীতে লোন পরিশোধের ক্ষেত্রে কোন খারাপ রেকর্ড থাকা যাবেনা।
  • আবেদনকারী কর্মমুখী বা একটি আয়ের মাধ্যম থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃ-  কম সুদে এনজিও লোন - কম সুদে এনজিও লোনের সুদের হার (আপডেট তথ্য)

প্রত্যাশী এনজিও লোনের শর্তাবলি

এনজিও থেকে লোন নেবার জন্য কিছু সাধারণ শর্তাবলী নিচে উল্লেখ করা হলো:

    • প্রাথমিক পর্যায়ে প্রত্যাশী এনজিও থেকে লোন নিতে হলে শাখা অফিসে বা মাঠকর্মীর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। 
    • প্রত্যাশী এনজিওর গ্রুপে যোগ দিতে হবে। 
    • লোন গ্রহণের সকল যোগ্যতা থাকতে হবে। 
  • পূর্বের লোনখেলাপী ব্যক্তিরা যোগ্য বিবেচিত হন না।
  • লোন গ্রহণের প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র থাকতে হবে।
  • লোন সাপ্তাহিক বা মাসিকহারে নিয়মিত পরিশোধ করতে হবে।

উপরের উল্লিখিত শর্তাবলি অনুসরণ বা মেনে চললে আপনি প্রত্যাশী এনজিও লোনের জন্য উপযুক্ত হবে।

প্রত্যাশী এনজিও লোনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

প্রত্যাশী এনজিও থেকে লোন নেওয়ার জন্য আবেদন করার সময় সাধারণত নিম্নলিখিত কাগজপত্রগুলির প্রয়োজন হয়:

  • প্রত্যাশী এনজিও থেকে সরবরাহ করা যথাযথভাবে পূরণ করা আবেদনপত্র। 
  • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি। 
  • আবেদনকারীর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।। 
  • চাকুরীজীবীদের জন্য বেতন সনদ অথবা অফিস আইডি কার্ড। 
  • ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ট্রেড লাইসেন্স এবং আয়কর পরিশোধের প্রমাণপত্র। 
  • যদি জামানতকারীর প্রয়োজন হয়, তবে তার জাতীয় পরিচয়পত্র, আয়ের প্রমাণপত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। 
  • যদি ফ্ল্যাট বা বাড়ির জন্য লোন নিতে চান, তাহলে তার সাথে সম্পর্কিত কাগজপত্র। 
  • যদি ব্যবসার জন্য লোন নিতে চান, তাহলে ব্যবসার পরিকল্পনা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র। 
  • প্রত্যাশী এনজিও কর্তৃক সময়ে সময়ে নির্ধারিত অন্যান্য কাগজপত্র। 

উপরের কাগজপত্র ছাড়াও, প্রত্যাশী এনজিও লোন প্রদানের ক্ষেত্রে অন্যান্য কিছু শর্ত আরোপ করতে পারে। তাই, লোন নেবার আগে প্রত্যাশী এনজিও এর সাথে বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও শর্তাবলী জেনে নেয়া উচিত।

প্রত্যাশী এনজিও লোন আবেদন পদ্ধতি

প্রত্যাশী এনজিও থেকে লোন পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে, প্রথমে আপনার এলাকার কাছাকাছি কোনো এনজিও সংস্থার সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আবেদন করার জন্য সাধারণত কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্য সরবরাহ করতে হয়। এরপর, সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ জমা দিতে হবে। 

আবেদন যাচাই-বাছাই করার পর লোন অনুমোদন হলে, লোন বিষয়ক চুক্তি সই করে লোন বিতরণ করা হবে। এনজিও থেকে লোন পাওয়ার জন্য আবেদন করার সাধারণ ধাপগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:

নিকটস্থ শাখা অফিসে যোগাযোগ: আপনার এলাকার কাছাকাছি নির্ভরযোগ্য এবং পরিচিত একটি এনজিও সংস্থা নির্বাচন করুন। নির্বাচিত এনজিও সংস্থার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে লোনের জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

প্রাথমিক তথ্য প্রদান: আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন- জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন, আয়ের উৎস সম্পর্কিত প্রমাণ, ছবি, ইত্যাদি সংযুক্ত করুন। 

লোন আবেদন ফরম পূরণ করা: আপনার লোনের প্রয়োজন ও উদ্দেশ্য নিশ্চিত হলে, আপনাকে প্রত্যাশী এনজিওর নির্ধারিত লোন আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। এই ফরমে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, পারিবারিক বিবরণ, আয়ের উৎস, এবং লোনের উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ-  বুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন পদ্ধতি - বুরো বাংলাদেশ লোন নেওয়ার যোগ্যতা

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া: আবেদনপত্রের সাথে আপনার এবং মনোনীত ব্যক্তির (নমিনী) জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, পাসপোর্ট আকারের ছবি, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (যেমন: স্থানীয় চেয়ারম্যানের সনদ, ইউটিলিটি বিলের কপি) জমা দিতে হবে। যদি ব্যবসার জন্য লোন হয়, তাহলে ব্যবসার সংক্ষিপ্ত পরিকল্পনা বা ট্রেড লাইসেন্সের কপিও চাইতে পারে।

আবেদন যাচাই-বাছাই ও গৃহ পরিদর্শন: আবেদনপত্র ও কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর, প্রত্যাশী এনজিওর কর্মকর্তারা আপনার তথ্য যাচাই-বাছাই করবেন। তারা আপনার বাড়ি এবং ব্যবসার স্থান পরিদর্শন করতে পারেন, আপনার আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং লোন পরিশোধের সক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন। এই ধাপটি লোন অনুমোদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রক্রিয়ায় কিছু সময় লাগতে পারে। 

লোন অনুমোদন ও বিতরণ: আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করার পর যদি আপনি যোগ্য বিবেচিত হন, তাহলে লোন অনুমোদন করা হবে। লোন অনুমোদনের পর, সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে লোন বিতরণ করা হবে। সাধারণত লোন বিতরণের পূর্বে একটি লোন চুক্তি সই করতে হতে পারে।

পরিশোধ প্রক্রিয়া: লোন পরিশোধের নিয়মাবলী ভালোভাবে জেনে নিয়ে সময়মতো কিস্তি পরিশোধ করুন।  কিছু এনজিও অনলাইনেও আবেদন করার সুযোগ দিয়ে থাকে। আপনার সুবিধামত যে কোনো একটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। আবেদন করার আগে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট এনজিওর নিয়মাবলী ভালোভাবে জেনে নিবেন।

যোগাযোগ

  • ঠিকানাঃ সৈয়দ বারী, ৯০৩/এ ওমর আলী মাতব্বর রোড, চান্দগাঁও চট্টগ্রাম-৪২১২, বাংলাদেশ
  • ওয়েবসাইট ঠিকানা: prottyashi.org
  • ইমেইল ঠিকানা:  info@prottyashi.org, prottyashi.ctg@gmail.com 
  • মোবাইল: +88-02333336613

প্রত্যাশী এনজিও লোনের সুদের হার কত?

প্রত্যাশী এনজিও’র (NGO) সুদের হার বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য ভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণত ৯% থেকে ১৪% পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই হার লোনের পরিমাণ, পরিশোধের সময়কাল এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে।

আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য, আপনি প্রত্যাশী এনজিও-র সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। এখানে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলো যা সুদের হারকে প্রভাবিত করতে পারে: 

  • সাধারণত, ছোট লোনের জন্য সুদের হার বেশি হতে পারে, যখন বড় লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার কম হতে পারে।
  • যে লোনের পরিশোধের সময়কাল বেশি, তার সুদের হার সাধারণত বেশি হয়।
  • বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য সুদের হার ভিন্ন হতে পারে, যেমন- ক্ষুদ্র ব্যবসা, শিক্ষা, বা আবাসন ইত্যাদি।
  • প্রতিটি এনজিও-র নিজস্ব সুদের হার নির্ধারণের নীতি থাকে।

অতএব, আপনার নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য সুদের হার জানতে, প্রত্যাশী এনজিও-র সাথে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হওয়া ভালো।

প্রত্যাশী এনজিও কত টাকা লোন দেয়? 

প্রত্যাশী এনজিও সাধারণত বিভিন্ন পরিমাণের লোন প্রদান করে থাকে, যা সাধারণত ৫,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে, কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে লোনের পরিমাণ বেশিও হতে পারে। লোনের পরিমাণ নির্ভর করে প্রকল্পের ধরন, সদস্যের লোন পরিশোধের সক্ষমতা এবং এনজিওর নিজস্ব লোন নীতির উপর। লোন নেওয়ার আগে, সদস্যদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট এনজিওর লোন নীতিমালা ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত এবং নিশ্চিত করা উচিত যে, তারা লোনের কিস্তি পরিশোধ করতে পারবে।

আরো পড়ুনঃ-  রিক এনজিও লোন পদ্ধতি - লোনের যোগ্যতা ও সুদের হার (আপডেট তথ্য)

প্রত্যাশী এনজিও লোনের সুবিধা

প্রত্যাশী এনজিও থেকে লোন নিলে বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। সাধারণত, এই ধরনের লোন প্রান্তিক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সহজ শর্তে দেওয়া হয়, যা তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সহায়তা করে। 

প্রত্যাশী এনজিও লোনের কিছু সুবিধা নিচে উল্লেখ করা হলো: 

  • সহজ শর্তে লোন পাওয়া যায়: এনজিওগুলো সাধারণত ব্যাংক লোনের চেয়ে সহজ শর্তে লোন প্রদান করে থাকে। এতে করে লোন গ্রহীতাদের জন্য লোন পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ হয়।
  • কম সুদের হার: অনেক এনজিও-ই ব্যাংক এর চেয়ে কম সুদের হারে লোন প্রদান করে থাকে, যা লোন গ্রহীতাদের জন্য একটি বড় সুবিধা।
  • তাৎক্ষণিক লোন বিতরণ: অনেক এনজিও-ই দ্রুত লোন বিতরণ করে থাকে, যা জরুরি প্রয়োজনে লোন গ্রহীতাদের সাহায্য করে।
  • বিশেষ লোন প্রকল্প: কিছু এনজিও বিশেষ কিছু খাতে (যেমন: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা) লোন প্রদানের জন্য বিশেষ প্রকল্প পরিচালনা করে থাকে, যা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে লোন গ্রহণে সহায়তা করে।
  • সঞ্চয়ে উৎসাহিত করা: কিছু এনজিও লোন প্রদানের পাশাপাশি সদস্যদের সঞ্চয়ে উৎসাহিত করে, যা তাদের ভবিষ্যৎ আর্থিক সুরক্ষায় কাজে লাগে।
  • সামাজিক উন্নয়ন: এনজিওগুলো লোন প্রদানের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করে। 
  • জামানতবিহীন লোন: কিছু কিছু এনজিও জামানতবিহীন লোনও প্রদান করে থাকে, যা অনেকের জন্য একটি বড় সুবিধা।
  • লোন পরিশোধে নমনীয়তা: কিছু এনজিও লোন পরিশোধের ক্ষেত্রে নমনীয়তা প্রদর্শন করে, যা লোন গ্রহীতাদের জন্য স্বস্তি বয়ে আনে।

এই সুবিধাগুলো প্রত্যাশী এনজিও থেকে লোন গ্রহণকারীদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে এবং তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

প্রত্যাশী এনজিও যোগাযোগ ঠিকানা

প্রত্যাশী এনজিওর প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা সাধারণত তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা স্থানীয় শাখায় পাওয়া যায়। যোগাযোগের জন্য আপনি নিকটস্থ শাখায় যেতে পারেন বা তাদের হেল্পলাইন নম্বরে কল করতে পারেন। বিস্তারিত তথ্যের জন্য সরাসরি সংস্থার সাথে যোগাযোগ করা উচিত। নিম্নে যোগাযোগের ঠিকানা উপস্থাপন করা হয়েছে:

  • ঠিকানাঃ সৈয়দ বারী, ৯০৩/এ ওমর আলী মাতব্বর রোড, চান্দগাঁও চট্টগ্রাম-৪২১২, বাংলাদেশ
  • ওয়েবসাইট ঠিকানা: https://prottyashi.org
  • ইমেইল ঠিকানা:  info@prottyashi.org, prottyashi.ctg@gmail.com 
  • মোবাইল: +88-02333336613

লেখকের শেষ মতামত

প্রত্যাশী এনজিও থেকে লোন নিলে বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। সাধারণত, এই ধরনের লোন প্রান্তিক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সহজ শর্তে দেওয়া হয়, যা তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সহায়তা করে। প্রত্যাশী একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও), যা বাংলাদেশের একটি উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে কাজ করে থাকে। 

এই সংস্থাটি মূলত সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে। বিশেষ করে, প্রত্যাশী গ্রামীণ উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। আপনি যদি প্রত্যাশী এনজিও থেকে লোন নিতে চান তাহলে উল্লিখিত শর্তাবলি এবং আবেদন অনুসরণ করে লোন গ্রহণ ক্রতে পারবেন।

আমি সহ আমার টিম প্রতিনিয়ত কাজ করি অনলাইন জগতে বিভিন্ন তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সবার জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে। আমাদের সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন বা মতামত প্রদান করতে আমাদের যোগাযোগ পেইজ ব্যবহার করুন অথবা নিচে কমেন্ট করুন।

Leave a Comment