পূবালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন (সর্বশেষ আপডেট) – যোগ্যতা ও আবেদন পদ্ধতি

পূবালী ব্যাংক থেকে বিদেশে পড়ালেখার জন্য স্টুডেন্ট লোন প্রদান করা হয়ে থাকে। স্টুডেন্ট লোনের ক্ষেত্রে পিতা-মাতা অথবা লিগ্যাল গার্ডিয়ান চাইলে সর্বোচ্চ ২৫ লক্ষ টাকা লোন আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া, ১২ মাস থেকে ৬০ মাসের মাঝে লোন পরিশোধ করার সুযোগ তো থাকছেই।

পূবালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন

পূবালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন নিতে কী কী লাগে, স্টুডেন্ট লোন আবেদন করার নিয়ম নিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে এই পোষ্টটি শেষ অব্দি পড়ুন।

পূবালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন

পূবালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোনে এর ক্ষেত্রে বিদেশে পড়ালেখা করতে ইচ্ছুক এমন শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন প্রদান করা হয়ে থাকে। লোন পরিশোধের ক্ষেত্রে ১২ মাস থেকে ৬০ মাস পর্যন্ত কিস্তি সুবিধা পাওয়া যাবে। এছাড়া, লোনের সাথে থাকছে আকর্ষণীয় ইন্টারেস্ট রেট।

স্টুডেন্ট লোনের জন্য আবেদন করতে পূবালী ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষার্থী এবং তার অভিভাবকের যোগ্যতা থাকতে হবে। লোন নেয়ার জন্য যোগ্যতার পাশাপাশি লোন আবেদন করার সময় বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

লোন আবেদন করার সময় যে সিকিউরিটি জামানত রাখা হবে, তার ৮০% অথবা ২৫ লক্ষ টাকার মাঝে যেটি কম, সেই পরিমাণ অর্থ লোন নিতে পারবেন। লোন আবেদন করতে কী কী কাগপজপত্র লাগে এবং শর্তগুলো কী কী তা নিম্নে বর্ণনা করা হয়েছে।

পূবালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন নেওয়ার যোগ্যতা

পূবালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন পেতে হলে শিক্ষার্থী এবং তার অভিভাবককে কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হয়। পিতা-মাতা অথবা শিক্ষার্থীর লিগ্যাল গার্ডিয়ান উক্ত লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। লোন আবেদন করতে যেসব যোগ্যতার প্রয়োজন হয় সেগুলো হচ্ছে —

  • আবেদনকারীকে অবশ্যই শিক্ষার্থীর বাবা, মা অথবা অন্য কোনো প্রথম শ্রেণীর আত্মীয় হতে হবে।
  • আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে এবং বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে।
  • ঋণের মাসিক কিস্তি (EMI) পরিশোধের জন্য আবেদনকারীর একটি স্ট্যাবল ইনকাম সোর্স থাকা আবশ্যক।
  • আবেদনকারীর সর্বনিম্ন মাসিক নিট আয় ঋণের মাসিক কিস্তির অন্তত তিনগুণ হতে হবে।
  • যদি ঋণের পরিমাণ পাঁচ লক্ষ টাকার বেশি হয়, তবে আবেদনকারীকে অবশ্যই একজন করদাতা হতে হবে।
  • ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় আবেদনকারীর বয়স ৬৫ বছরের বেশি হওয়া যাবেনা।
  • শিক্ষার্থীকে অবশ্যই একটি স্বীকৃত বিদেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রস্তাবপত্র (Offer Letter) থাকতে হবে।
  • শিক্ষার্থীর একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।

পূবালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন আবেদন করতে গেলে তারা শুরুতেই এসব বিষয় যাচাই করার মাধ্যমে আপনি পূবালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন নেয়ার জন্য যোগ্য কিনা তা যাচাই করে নিবে। যদি যোগ্য হয়ে থাকেন, তাহলে লোন আবেদন করতে কী কী কাগজপত্র লাগবে তা জানিয়ে দিবে। 

আরো পড়ুনঃ-  ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

এছাড়া, তাদের সাথে আলোচনা করে আপনি কত টাকা লোন নিতে ইচ্ছুক, কত বছর মেয়াদে লোন নিতে চান এবং লোনের জন্য ইন্টারেস্ট রেট কত টাকা তা জানতে পারবেন। পাশাপাশি, লোন নেয়ার সময় আপনি জামানত হিসেবে কী রাখবেন সেটিও আলোচনা করতে হবে।

পূবালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

পূবালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন এর জন্য আবেদন করতে চাইলে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। কী কী কাগজপত্র জমা দিতে হবে তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।

লোন আবেদন করার সময় পূবালী ব্যাংকে অবশ্যই এসব কাগজের কপি নিয়ে যেতে হবে। এরপর, ব্যাংকের কর্মকর্তার সাথে বিস্তারিত আলোচনা করে লোন আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনকারী এবং গ্যারান্টরের কাগজপত্র: শিক্ষার্থী নিজে লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তার পিতা-মাতার অথবা প্রথম শ্রেণির আত্মীয় লোনের জন্য আবেদন করতে পারবে। লোন আবেদন করতে আবেদনকারীর এবং যাকে গ্যারান্টর রাখা হবে তার যেসব কাগজপত্র লাগবে সেগুলো নিম্নরূপ –

  • আবেদনকারীর ও গ্যারান্টরের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
  • আবেদনকারী, গ্যারান্টর ও শিক্ষার্থীর ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • আবেদনকারীর সর্বশেষ আয়কর পরিশোধের সনদ/রিটার্ন/প্রাপ্তি রসিদ (প্রযোজ্য হলে)
  • অন্তত ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • বেতনভুক্ত ব্যক্তির বেতন সনদ
  • ব্যবসায়ীর বৈধ ট্রেড লাইসেন্স ও অন্যান্য আর্থিক কাগজপত্র

শিক্ষার্থীর কাগজপত্র: লোন আবেদন যে শিক্ষার্থীর জন্য করা হচ্ছে, তার পড়ালেখা এবং ব্যক্তিগত বিষয়ক বেশ কিছু কাগজপত্র প্রদান করতে হবে। এগুলো হচ্ছে –

  • শিক্ষার্থীর পাসপোর্ট
  • বিদেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তির প্রস্তাবপত্র (Offer Letter)
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রোফাইল
  • টিউশন ও জীবনযাত্রার খরচসহ স্টাডি প্ল্যান ও বাজেট
  • আইইএলটিএস/টোফেল সহ সকল শিক্ষাগত সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্টের ফটোকপি

উপরোক্ত কাগজপত্রগুলো ছাড়াও ব্যাংক থেকে আরও কিছু কাগজপত্র চাওয়া হবে। এগুলোর একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।

ব্যক্তিগত গ্যারান্টি

  • ইএমআই আদায়ের জন্য অ্যাকাউন্ট ডেবিট করার অনুমতি
  • পোস্ট-ডেটেড ও স্বাক্ষরিত এমআইসিআর চেক

পূবালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন আবেদন প্রক্রিয়া উপরে উল্লিখিত কাগজপত্রগুলোর কপি প্রয়োজন হবে। এছাড়াও আরও অন্যান্য কাগজপত্র লাগতে পারে সেজন্য সরাসরি পূবালী ব্যাংকে গিয়ে যোগাযো গ করা ভালো। আর জামানত হিসেবে পূবালী ব্যাংক বা অন্য কোনো ব্যাংকের যথাযথভাবে খালাস ও লিয়েন মার্ক করা এফডিআর এর কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। মনে রাখতে হবে, উক্ত জামানত এর ৮০% অর্থ কিংবা ২৫ লক্ষ টাকার মাঝে যেটি কম, সেই পরিমাণ অর্থ পূবালী ব্যাংক হতে স্টুডেন্ট লোন নেয়া যাবে।

আরো পড়ুনঃ-  আইডিএলসি হোম লোন (আপডেট তথ্য) - আবেদন প্রক্রিয়া ও যোগ্যতা

পূবালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন আবেদন প্রক্রিয়া

পূবালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন আবেদন করতে প্রথমেই আপনার নিকটস্থ পূবালী ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করতে হবে। সরাসরি ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করার মাধ্যমে লোনের আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন এবং আপনার কোনো তথ্য জানার থাকলে তা জেনে নিতে পারবেন।

ব্যাংকে যোগাযোগ করুন: ব্যাংকে গিয়ে লোন প্রসেসিং করে এমন কর্মকর্তার সাথে কথা বলুন। আপনি স্টুডেন্ট লোন নিতে আগ্রহী এটি তাকে জানাতে হবে। এরপর, তারা আপনার থেকে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইবে আপনি যোগ্য কিনা যাচাই করার জন্য। এরপর, কী কী কাগজপত্র লাগবে সেটি জানিয়ে দিবে। (কী কী কাগজপত্র লাগবে তা ইতোমধ্যে উপরের তালিকায় উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।)

আবেদনপত্র সংগ্রহ করুন: যদি নিজে থেকে লোনের আবেদন ফরম পূরণ করতে চান, তাহলে তাদের থেকে লোনের আবেদন ফরমটি সংগ্রহ করুন। আবেদনপত্রটি অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে পূরণ করুন। কোনো তথ্য ভুল দেয়া যাবেনা। যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে ব্যাংকের কর্মকর্তার থেকে সহযোগিতা নিতে পারেন। অথবা, ব্যাংকের কর্মকর্তার নিকট থেকেই ফরমটি পূরণ করে নিতে পারেন।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিন: আবেদনপত্রের সাথে উপরে উল্লেখ করা সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে নিন এবং সেগুলো সঠিকভাবে সাজিয়ে জমা দিন। কাগজপত্র জমা দেওয়ার সময় একটি রিসিপ্ট নিতে ভুলবেন না।

ব্যাংক কর্তৃক তথ্য যাচাই: আপনার আবেদনপত্র এবং দাখিল করা কাগজপত্র ব্যাংক কর্তৃক যাচাই করা হবে। যাচাই প্রক্রিয়ায় কিছু সময় লাগতে পারে। ব্যাংক আপনার দেওয়া তথ্যের সত্যতা যাচাই করবে এবং আপনি এই লোন নেয়ার জন্য সক্ষম কিনা তা যাচাই করবে। যদি ব্যাংক আপনার আবেদন এবং কাগজপত্র সবকিছু ঠিক মনে করে, তবে আপনার লোন অনুমোদন করবে।

লোন অনুমোদন: লোন অনুমোদনের পর আপনাকে এ বিষয়ে জানানো হবে। অনুমোদিত লোনের অর্থ কিভাবে নিতে চান এ বিষয়ে তাদের সাথে আলোচনা করতে পারেন। সাধারণত লোনের অর্থ শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়ে থাকে।

উপরোক্ত এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে পূবালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন আবেদন করতে পারবেন। সঠিকভাবে লোন আবেদন করলে লোনের অর্থ শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্টে প্রদান করা হবে।

পূবালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন সুদের হার

পূবালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোনের ক্ষেত্রে ৯% থেকে ১৪% এর মাঝে ইন্টারেস্ট রেট প্রযোজ্য হবে। ব্যাংক কর্তৃক লোনের পরিমাণ এবং মেয়াদের উপর ভিত্তি করে লোনের সুদের হার কম বা বেশি করতে পারে। ব্যাংকে সরাসরি যোগাযোগ করার মাধ্যমে সুদের হার কত % প্রযোজ্য হবে তা জেনে নিতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ-  জমি বন্ধক রেখে লোন দেয় কোন ব্যাংক (আপডেট তথ্য জানুন)

ব্যাংক থেকে যত টাকা লোন গ্রহণ করবেন, তত টাকার উপর লোনের সুদের হার প্রযোজ্য হবে। বেশি মেয়াদে লোন গ্রহণ করলে সাধারণত সুদ বেশি দিতে হয়। তাই, আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী সঠিক পরিমাণ অর্থ লোন নেয়ার চেষ্টা করুন।

পূবালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোনের পরিমাণ

পূবালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যেতে পারে। তবে এখানে একটি বিষয় মনে রাখা দরকার, ঋণের পরিমাণ কখনোই উপযুক্ত জামানতের মূল্যের ৮০% এর বেশি হবে না। অর্থাৎ, যদি আপনার জামানতের মূল্য ৩০ লক্ষ টাকা হয়, তবুও আপনি সর্বোচ্চ ২৫ লক্ষ টাকাই ঋণ হিসেবে পাবেন।

আবার, যদি আপনার জামানতের মূল্য ২০ লক্ষ টাকা হয়, তবে আপনি সর্বোচ্চ ১৬ লক্ষ টাকা (২০ লক্ষের ৮০%) ঋণ পেতে পারেন। তবে এটি হচ্ছে সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ যা আপনি ঋণ নিতে পারবেন। আপনি চাইলে এর থেকে কম পরিমাণ অর্থ লোন নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে, কিস্তির পরিমাণ ও মেয়াদ কমে আসবে।

ঋণ যত টাকাই নেন না কেন, আপনি চাইলে ১২ মাস থেকে ৬০ মাস অর্থাৎ ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর মেয়াদে পূবালী ব্যাংক থেকে স্টুডেন্ট লোন নিতে পারবেন। এই সময়ের মাঝে প্রতি মাসে কিস্তির অর্থ আপনার ব্যাংক হিসাব থেকে তারা কর্তন করে রাখবে।

সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)

পূবালী ব্যাংকের স্টুডেন্ট লোনের প্রসেসিং ফি কত?

পূবালী ব্যাংকের স্টুডেন্ট লোনের প্রসেসিং ফি ঋণের অর্থের ০.৫০% প্রযোজ্য হবে।

পূবালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোনের মেয়াদ কতদিন?

সর্বনিম্ন ১২ মাস থেকে শুরু করে ৬০ মাসের মাঝে স্টুডেন্ট লোনের অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন। প্রতি মাসে কিস্তি আকারে এই লোনের অর্থ পরিশোধ করতে হবে।

পূবালী ব্যাংকের হেল্পলাইন নাম্বার

পূবালী ব্যাংকের হেল্পলাইন নাম্বার +8809666821816 ।

বাংলাদেশে পূবালী ব্যাংকের শাখা কয়টি?

সমগ্র বাংলাদেশে পূবালী ব্যাংকের ৫০৮টি শাখা , ২০৭টি উপ-শাখা, ৪টি ইসলামিক শাখা এবং ২১টি ইসলামিক উইন্ডো রয়েছে।

লেখকের শেষ মতামত

পূবালী ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন নিতে কী কী কাগজপত্র লাগে, লোনের শর্তসমূহ এবং লোন আবেদন করার পদ্ধতি বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টে। যারা স্টুডেন্ট লোনের জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন, তারা পূবালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় যোগাযোগ করার মাধ্যমে অথবা তাদের হেল্পসেন্টার +8809666821816 নাম্বারে কল করে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারবেন।

আমি সহ আমার টিম প্রতিনিয়ত কাজ করি অনলাইন জগতে বিভিন্ন তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সবার জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে। আমাদের সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন বা মতামত প্রদান করতে আমাদের যোগাযোগ পেইজ ব্যবহার করুন অথবা নিচে কমেন্ট করুন।

Leave a Comment