বিকাশের এজেন্ট হয়ে কত কমিশন পাওয়া যায় এবং বিকাশ এজেন্ট সিম নেওয়ার নিয়ম পুরো আর্টিকেলের মাধ্যমে দেখানো হবে। বর্তমান সময়ে অনেকেই ব্যবসা করার চিন্তা করে থাকে, আর এর মধ্যে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসাটি অন্যতম। বিকাশের এজেন্ট হয়েও যে ব্যবসা করা যায় এই সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। বিকাশের এজেন্ট হয়ে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করা যায়।
তবে বিকাশ এজেন্ট হয়ে ক্যাশ ইন ও ক্যাশ আউট করলে কত টাকা কমিশন পাওয়া যায় তা সম্পর্কে আমরা আর্টিকেলে জানানোর চেষ্টা করব। বিকাশ এজেন্ট সিম নেওয়ার নিয়ম এবং বিকাশ এজেন্ট কমিশন সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন।
বিকাশ এজেন্ট সিম নেওয়ার নিয়ম
বিকাশ এজেন্ট সিম (এজেন্ট অ্যাকাউন্ট) পেতে হলে আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হবে এবং নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। এটি সাধারণত বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর বা রিজিওনাল অফিসের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য আপনার কিছু মৌলিক যোগ্যতা এবং ডকুমেন্ট থাকতে হবে:
- বৈধ ট্রেড লাইসেন্স: আপনার ব্যবসার নামে অবশ্যই একটি বৈধ ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে। এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত।
- জাতীয় পরিচয়পত্র: আবেদনকারীর (যিনি এজেন্ট হবেন) একটি বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে।
- টিন সার্টিফিকেট: আপনার ব্যবসা প্রতিষ্টানের ট্রেড লাইসেন্সের নামে একটি টিন সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
- একটি দোকান/ব্যবসা প্রতিষ্ঠান: আপনার একটি নির্দিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা দোকান থাকতে হবে, যেখানে গ্রাহকরা সহজে লেনদেন করতে পারবেন। দোকানের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে ভালো লেনদেন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- ব্যাংক অ্যাকাউন্ট: একটি সক্রিয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে, যা এজেন্ট অ্যাকাউন্টের সাথে লিংক করা হবে।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি: আবেদনকারীর ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি প্রয়োজন হতে পারে।
- যোগাযোগের তথ্য: মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল ঠিকানা (যদি থাকে)।
- মোবাইল ফোন নম্বর: একটি মোবাইল ফোন নম্বর, যা আগে কখনো বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়নি।
বিকাশ এজেন্ট সিম বা অ্যাকাউন্ট পাওয়ার জন্য সাধারণত দুটি প্রধান পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়:
১. বিকাশের ওয়েবসাইটে আবেদন করা:
প্রথমে বিকাশের (bkash.com/business/agent) ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
এরপরে ফর্মে আপনার নাম, দোকানের নাম, ব্যবসার ধরন, ঠিকানা, যোগাযোগের তথ্য (মোবাইল নম্বর, ইমেইল) দিতে হবে।
তারপরে এনআইডি আছে কিনা, এবং বৈধ ট্রেড লাইসেন্স আছে কিনা – এই তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
ফর্ম জমা দেওয়ার পর বিকাশের পক্ষ থেকে আপনার দেওয়া তথ্য যাচাই করা হবে। যদি আপনি যোগ্য হন, তাহলে তারা আপনার সাথে যোগাযোগ করবে এবং পরবর্তী ধাপের নির্দেশনা আপনাকে একটি বিকাশ এজেন্ট সিম দেবে।
২. নিকটস্থ বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর বা রিজিওনাল অফিসে যোগাযোগ:
প্রথমে আপনার এলাকার নিকটতম বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর বা রিজিওনাল অফিস খুঁজে বের করুন। বিকাশের ওয়েবসাইট বা হেল্পলাইন থেকে তাদের ঠিকানা ও ফোন নম্বর জানতে পারবেন।
এরপরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (উপরে উল্লিখিত) নিয়ে সরাসরি ডিস্ট্রিবিউটর অফিসে যান।
এরপরে সেখানে আপনাকে একটি আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। বিকাশের প্রতিনিধিরা আপনার যোগ্যতা এবং দোকানের অবস্থান যাচাই করবে।
সব ঠিক থাকলে, যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষে আপনার আবেদন অনুমোদিত হবে এবং আপনাকে একটি বিকাশ এজেন্ট সিম এবং অ্যাকাউন্ট দেওয়া হবে। আপনাকে বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করার নিয়মাবলী শিখিয়ে দেওয়া হবে।
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে নেওয়ার আগে আপনাকে বিকাশ এজেন্ট হতে কি কি লাগে তা জানতে হবে। বিকাশ এজেন্ট হতে কি কি লাগে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ
- ট্রেড লাইসেন্স
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- পোস্টপেইড সিম কার্ড(যেটাতে কোন বিকাশ একাউন্ট খোলা নেই)
- একটি দোকান
- ভোটার আইডি কার্ড
- টিন সার্টিফিকেট
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট সাধারনত দুটি উপায়ে চালু করা যায় একটি অফলাইনে এবং অপরটি অনলাইনে মাধ্যমে।
১। বিকাশ অফিস থেকে এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
- বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য প্রথমে সকল শর্ত জেনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে বিকাশ বিক্রয় প্রতিনিধি / বিকাশ ড্রিস্টিবিউটর অফিসে যেতে হবে।
- কাগজপত্র সঠিকভাবে যাচাই-বাছাইয়ের পর বিকাশ এজেন্ট দেওয়ার উপযুক্ত মনে হলে ট্রেনিং- এ ডাকা হবে।
- ট্রেনিংয়ের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে আপনার সিমটিকে লেনদেনের জন্য সক্রিয় করে দেওয়া হবে।
অনলাইনে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
আমরা অনলাইনে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম নিয়ে উপরে আলোচনা (বিকাশ এজেন্ট সিম নেওয়ার নিয়ম) করেছি। তবুও এখানে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে দিচ্ছি।
- প্রথমে বিকাশের (bkash.com/business/agent) ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
- এরপরে দোকানের নাম লিখতে হবে।
- এরপরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জেলার নাম ও এলাকার নাম সিলেক্ট করতে হবে।
- এরপরে এজেন্ট হওয়ার জন্য যেই SR এর সাথে যোগাযোগ করতে চান তার নাম লিখতে হবে।
- এরপরে আপনার একটি সচল মোবাইল নাম্বার লিখতে হবে।
- এরপরে আপনার মোবাইলে ব্যবহৃত ইমেইল এড্রেস লিখতে হবে।
- এরপরে অতিরিক্ত তথ্য যা আপনি জমা দিবেন সেটি লিখতে হবে।
- যদি জাতীয় পরিচয় পত্র থেকে থাকে তাহলে থাকলে হ্যাঁ করতে হবে।
- যদি বৈধ ট্রেড লাইসেন্স থেকে থাকে, তাহলে হ্যাঁ সিলেক্ট করতে হবে।
- আপনার ট্রেড লাইসেন্স এর নাম্বারটি লিখতে হবে।
- সর্বশেষে, ‘আমি রোবট নই’ লেখার পাশে চেকবক্সে ক্লিক করে ক্যাপচা পূরণ করুন।
- এবার আপনার সাইন আপ অ্যাপ্লিকেশনটি জমা দিন।
এই আবেদনটি সাবমিট করার পর সবকিছু ঠিক থাকলে আপনার তথ্যটি জেলা অফিসে পাঠানো হবে। এরই মধ্যে বিকাশের একজন SR আপনার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত
বিকাশ এজেন্ট হয়ে ব্যবসা করে কত কমিশন লাভ করা যায় তা অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন। তাই আমরা এখানে বিকাশ এজেন্ট কমিশন সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করলাম। লেনদেনের উপর ভিত্তি করে বিকাশ এজেন্টরা কমিশন পান।
বিকাশ এজেন্ট হয়ে কাজ করলে কমিশন নিয়ে লাভ করতে পারবেন। যার কারণে বর্তমানে কমবেশি সকলেই বিকাশ এজেন্ট হয়ে ব্যবসা শুরু করছে। বিকাশ বাংলাদেশ অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। কোটি কোটি মানুষ এই বিকাশ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা লেনদেন করে থাকে। আর টাকা লেনদেন করার জন্য বিকাশ এজেন্টের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
আপনি যদি বিকাশ এজেন্ট হন তাহলে গ্রাহকদের টাকার লেনদেনের সাহায্য করে অথবা ক্যাশ ইন ও ক্যাশ আউট সার্ভিস দিয়ে কমিশন নিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত হয়ে থাকে তা অনেকেরই অজানা রয়েছে। বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা লাভ কমিশন নিম্নে দেখানো হলোঃ
(১) বিকাশ এজেন্ট কমিশন (*২৪৭# কোড ডায়াল করে)
- প্রতি ১,০০০ টাকা = ৪.১০ টাকা,
- প্রতি ১০,০০০ টাকা = ৪১ টাকা,
- প্রতি ১,০০,০০০ টাকা = ৪১০ টাকা পাবে।
(২) বিকাশ এজেন্ট কমিশন (অ্যাপস থেকে)
- প্রতি ১,০০০ টাকা = ৪.৩০ টাকা,
- প্রতি ১০,০০০ টাকা = ৪৩ টাকা,
- প্রতি ১,০০,০০০ টাকা = ৪৩০ টাকা পাবে।
এছাড়াও বিকাশের নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করে কাজ করলে মাস শেষে এক্সট্রা ইনসেনটিভ লাভ পাওয়া যায়। বিকাশ এজেন্ট কমিশন যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে। তাই সময়ের সাথে সাথে আপডেট থাকতে বিকাশের অফিশিয়াল সাইটে ভিজিট করে কমিশন দেখে নিন।
বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য কোনো ফি নেই। তবে, ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রাথমিকভাবে এজেন্ট একাউন্টে এবং ক্যাশ হিসেবে কিছু অর্থ রাখতে হবে। এটি সম্পূর্ণ পরিপূর্ণভাবে আপনার উপর নির্ভর করবে।
গ্রামাঞ্চলঃ সাধারণত, গ্রামাঞ্চলে ২০-৫০ হাজার টাকা ব্যালেন্স রাখা প্রয়োজন হতে পারে।
শহরাঞ্চলঃ শহরাঞ্চলে যেহেতু বিকাশের লেনদেন বেশি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বিকাশ এজেন্ট একাউন্টে বেশি টাকা রাখা উচিত। এজেন্ট একাউন্টে ১,০০,০০০ টাকা বা তার বেশি এবং ক্যাশ হিসেবে প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থ রাখবেন।
বিকাশ এজেন্ট হতে নির্দিষ্ট কোনো ফি লাগে না, তবে ব্যবসা শুরু করার জন্য কিছু মূলধন এবং অন্যান্য শর্ত পূরণ করতে হয়।
বিকাশ এজেন্ট লিমিট
বিকাশ এজেন্ট একাউন্টের দৈনিক এবং মাসিক লেনদেনের একটি নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে। এজেন্ট থেকে ক্যাশ ইন (টাকা জমা করা) এবং ক্যাশ আউট (টাকা উত্তোলন) উভয় ক্ষেত্রেই এই সীমা প্রযোজ্য।
বিকাশ এজেন্ট একাউন্টের লিমিট :
- বিকাশ এজেন্ট থেকে দিনে ক্যাশ ইন এবং ক্যাশ আউট সর্বোচ্চ ১০ বার করা যাবে।
- একদিনে বিকাশ এজেন্ট থেকে কোন নাম্বারে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পাঠানো যায়, এরচেয়ে বেশি ক্যাশ ইন করতে পারবেন না।
- প্রতি লেনদেনে ক্যাশ ইন এবং সেন্ড মানি উভয় ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত করা যাবে।
- প্রতি মাসে এজেন্ট থেকে ক্যাশ ইন করা যাবে সর্বোচ্চ ৩,০০,০০০ টাকা।
- এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউটের ক্ষেত্রেও প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা এবং মাসিক সর্বোচ্চ ২,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত উত্তোলন করা যাবে।
- একজন গ্রাহক যে কোনো মুহূর্তে তার একাউন্টে সর্বোচ্চ ৫০০,০০০ টাকা রাখতে পারবেন।
এই লিমিটগুলো গ্রাহকের লেনদেন সুবিধার্থে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিকাশ এজেন্ট এর সুবিধা
বিকাশ এজেন্ট সিমের অনেক সুবিধা রয়েছে। ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ, আয় বৃদ্ধি, এবং গ্রাহকদের কাছে আরও বেশি সেবা পৌঁছানোর মতো নানা সুবিধা পাওয়া যায়। কিছু প্রধান সুবিধা নিচে দেওয়া হলোঃ
বিকাশ এজেন্ট হওয়া বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য একটি লাভজনক এবং সুবিধাজনক সুযোগ। এটি কেবল আয়ের উৎসই নয়, বরং আপনার বিদ্যমান ব্যবসাকেও সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করে।
বিকাশ এজেন্ট হওয়ার প্রধান সুবিধাগুলো
১. অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ:
বিকাশ এজেন্টরা ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, পে বিল, সেন্ড মানি, পেমেন্ট গ্রহণ এবং অন্যান্য সেবার মাধ্যমে কমিশন অর্জন করেন। যত বেশি গ্রাহক আপনার দোকান থেকে লেনদেন করবেন, আপনার আয়ের পরিমাণ তত বাড়বে। অনেক এজেন্ট তাদের প্রধান ব্যবসার পাশাপাশি বিকাশ সেবা দিয়ে প্রতিদিন অতিরিক্ত আয় করতে পারেন।
২. ব্যবসায়িক পরিচিতি ও গ্রাহক বৃদ্ধি:
যখন কোনো গ্রাহক বিকাশ সেবা নিতে আপনার দোকানে আসেন, তখন তাদের কাছে আপনার দোকানের অন্যান্য পণ্য বা সেবার বিষয়ে জানার সুযোগ তৈরি হয়। এতে আপনার বিদ্যমান ব্যবসার প্রচার হয় এবং নতুন গ্রাহক পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। বিকাশ দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সেবা হওয়ায়, এর এজেন্ট হলে আপনার দোকানের পরিচিতি ও সুনাম বৃদ্ধি পাবে।
৩. ২৪/৭ লেনদেনের সুবিধা:
বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করে এজেন্টরা ছুটির দিন বা ব্যাংকিং সময়ের বাইরেও যেকোনো সময় ই-মানি গ্রহণ এবং ট্রান্সফার করতে পারেন। এটি গ্রাহকদের জন্য যেমন সুবিধাজনক, তেমনি এজেন্টদের জন্য লেনদেনের সুযোগ বাড়ায়।
৪. সহজ পরিচালনা ও নিরাপত্তা:
বিকাশ এজেন্টদের জন্য একটি ডেডিকেটেড অ্যাপ রয়েছে, যা লেনদেন পরিচালনা, ব্যালেন্স চেক, রিপোর্ট দেখা, এবং অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য একটি ওয়ান-স্টপ সমাধান। বিকাশের লেনদেন ব্যবস্থা অত্যন্ত সুরক্ষিত, যা এজেন্টদের অর্থ এবং লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
৫. ব্যবসার সক্ষমতা বৃদ্ধি:
এজেন্টরা তাদের লিংকড ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সহজেই ই-মানি ক্যাশ ইন এবং ক্যাশ আউট করতে পারেন (B2B Send ও B2B Receive), যা নগদ টাকার ব্যবস্থাপনার চাপ কমায়।
৬. বিকাশ কর্তৃপক্ষের সহায়তা ও প্রণোদনা:
বিকাশ নতুন এজেন্টদের জন্য লেনদেন প্রক্রিয়া, নিরাপত্তা এবং অ্যাপ ব্যবহারের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করে। যেকোনো সমস্যায় বিকাশের কাস্টমার কেয়ার বা ডিস্ট্রিবিউটর অফিস থেকে সহায়তা পাওয়া যায়।
৭. সামাজিক অবদান:
এজেন্ট হিসেবে আপনি দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে সরাসরি অবদান রাখেন, কারণ আপনি ব্যাংকিং সেবাবঞ্চিত বা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবা পাওয়ার সুযোগ করে দেন।
সংক্ষেপে বলতে গেলে, বিকাশ এজেন্ট হওয়া কেবল একটি নতুন ব্যবসা বা আয়ের উৎসই নয়, বরং এটি আপনার বর্তমান ব্যবসাকে আধুনিকীকরণের মাধ্যমে গ্রাহক বাড়ানো এবং সমাজের আর্থিক অগ্রযাত্রায় অংশ নেওয়ার একটি চমৎকার সুযোগ।
লেখকের শেষ মতামত
আজকের আর্টিকেলটিতে বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত ও বিকাশ এজেন্ট সিম নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যারা বিকাশের এজেন্ট হয়ে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই কমিশন সম্পর্কে জেনে নিবেন।
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম ব্যক্তিগত বিকাশ একাউন্ট খোলার মত সহজ ব্যাপার নয়। বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর অফিসে গিয়ে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে এজেন্ট একাউন্ট খোলা যায় । তবে অনলাইনেও বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট নেওয়ার জন্য আবেদন করা যায়।