প্যারাসুট নারিকেল তেলের উপকারিতা

আমাদের আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে প্যারাসুট নারিকেল তেলের উপকারিতা সম্পর্কে। অনেকেই প্যারাসুট নারিকেল তেল ব্যবহার করে থাকেন আবার কেউ ব্যবহার করতে চাইছেন। তাদের সবার জেনে রাখা উচিত এ তেলের উপকারিতা সম্পর্কে। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জেনে যাবেন প্যারাসুট নারিকেল তেলের উপকারিতা সম্পর্কে।

প্যারাসুট নারিকেল তেলের উপকারিতা

চুল ও ত্বকের যত্ন নিয়ে আমরা অনেকই ভাবনায় পড়ে যায়। অনেকেই চুলের সমস্যা ও ত্বকের সমস্যার কি ব্যবাহার করবে এ নিয়ে বেশ চিন্তিত। তবে চুল ও ত্বকের যত্নে বেছে নিতে পারেন প্যারাসুট নারিকেল তেল। প্যারাসুট নারিকেল তেলের মধ্যে অনেক উপকারিগুন রয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।

প্যারাসুট নারিকেল তেলের উপকারিতা

প্যারাসুট নারিকেল তেল আমাদের কাছে সবার পরিচিত। প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি এ তেলের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন উপকারিগুন। এ তেল সাধারণত চুলের যত্নে আমরা ব্যবহার করে থাকি, তবে শুধু চুলে এ তেলের উপকারিতা সীমাবদ্ধ নয়। এছারাও আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপকারিতা প্যারাসুট নারিকেল তেল থেকে পাওয়া যায়। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক প্যারাসুট নারিকেল তেলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।

চুলের স্বাস্থ ভালো রাখে: চুলের যত্নে প্যারাসুট নারিকেল তেল খুবই উপকারি। প্যারাসুট নারিকেল তেলের মধ্যে আমলকি, মেথি ও অ্যালোভেরার প্রাকৃতিক গুনাগুন রয়েছে, যা চুলের সমস্যাকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। নারিকেল তেল দিয়ে বানানো হেয়ার প্যাক চুল পড়া রোধ করে এবং চুল হয়ে উঠে শক্ত, সতেজ এবং প্রানবন্ত। তাই চুলের স্বাস্থকে ভালো রাখতে বেছে নিতে পারেন প্যারাসুট নারিকেল তেল।

ত্বকের ফাঙ্গাল ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে: প্যারাসুট নারিকেল তেলের মধ্যে রয়েছে লরিক এসিড যা আমাদেও ত্বককে ফাঙ্গাল ও ব্যাকটেরিয়াসহ আরও অনান্য সংক্রামন থেকে রক্ষা করে এবং ত্বককে সুস্থ রাখে।

লিপ বাম: প্যারাসুট নারিকেল তেল আমাদের ঠোঁটে লিম বামের কাজ করে থাকে। নিয়মিত প্যারাসুট নারিকেল তেল ঠোঁটের শুষ্কাতা, কালচে ভাব, ও ফাটা ভাব দূর করে এবং ঠোঁট নরম ও সুন্দর থাকে।

পায়ের গোড়ালি ফাটা প্রতিরোধ করে: শীতকাল এলে পায়ের গোড়ালি ফাটার সমস্যা নিয়ে অনেকেই ভুগতে থাকেন। তাই পা ফাটা প্রতিরোধ করতে শীতের শুরু থেকেই ব্যবহার করুন নারিকেল তেল। সে ক্ষেত্রে হালকা গরম পানি দিয়ে পা ভালোভাবে ধুয়ে, নারিকেল তেল পায়ের গোড়ালিতে নিয়মিত মাসাজ করবেন।

স্বাস্থের জন্য উপকারী: রান্নার সময় নারিকেল তেল ব্যবহার করলে তা স্বাস্থের জন্য অত্যন্ত উপকারী। রান্নায় নারিকেল তেলের ব্যবহারে কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করে, হজম শক্তি ভালো থাকে, হার্ট ভালো রাখাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ ঝুঁকি প্রতিরোধ করে থাকে।

প্যারাসুট নারিকেল তেল কি খাওয়া যায়

অনেকের মনে প্রশ্ন আসে প্যারাসুট নারিকেল তেল খাওয়া যায় কি না। কারণ প্যারাসুট নারিকেল তেল সাধারনত আমরা চুল ও ত্বক ভালো রাখতে ব্যবহার করে থাকি। তবে প্যারাসুট খাঁটি নারিকেল তেল রান্নার কাজেও ব্যবহার করা যায়। রান্না করেও  খেতে পারেন এ তেল। এ তেল পরিমিত রান্না করে খেলে স্বাস্থের কোনো ক্ষতি হয় না বরং স্বাস্থের জন্য তা উপকারী। জেনে নিন প্যারাসুট নারিকেল তেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।

  • শরীরের ওজনকে নিয়ন্ত্রনে রাখে
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
  • ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রনে রাখে
  • দাঁতের স্বাস্থের উন্নতি ঘটায়
  • হার্টের স্বাস্থকে ভালো রাখে
  • হাড় মজবুত ও শক্ত করে
  • ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়
আরো পড়ুনঃ-  স্থায়ীভাবে শ্যামলা ত্বক ফরসা করার উপায়

সুতরাং প্যারাসুট নারিকেল তেল আপনি খেতে পারবেন। তবে সতর্ক রাখতে হবে, যাতে তেলে কোনো ক্ষতিকর কেমিক্যাল না থাকে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের নারিকেল তেল পাওয়া যায়, যেগুলোর মধ্যে কিছু তেলের মধ্যে কেমিক্যাল থাকে। আর কেমিক্যালযুক্ত তেল খাওয়া স্বাস্থের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

নারিকেল তেল দিয়ে রূপচর্চা

নারিকেল তেল যেমন আপনার চুল সুন্দর করে তেমনি এ তেল দিয়ে তৈরি ফেইস প্যাক আপনার রূপচর্চার জন্য দারুন কার্যকারী। প্রাকৃতিক ময়শ্চাইরাইজার হিসেবে আমাদের ত্বকে কাজ করে থাকে নারিকেল তেল। আমাদের ত্বকের শুষ্কতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এ তেল। ত্বককে সুস্থ রাখতে নারিকেল তেলের ওপর ভরসা করতে পারেন। জেনে নিন রূপচর্চায় নারিকেল তেল দিয়ে কিভাবে ফেইস প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করবেন।

১. তিন টেবিল চাচম নারিকেল তেল, আধা চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধু, আধা চা চামচ হলুদ গুড়া একটি পাত্রে একসাথে সবগুলো উপাদান নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে ফেইস প্যাক বানিয়ে নিন। এরপর মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে ফেইস প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট মতো রেখে ধুয়ে নিন। এ ফেইস প্যাকটি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করবেন। মুখের কালো দাগ ছোপ দূর হবে এবং ত্বকে উজ্জলতা ফিরে আসবে।

২. এক টেবিল চামচ নারিকেল তেল, এক টেবিল চামচ টক দই ও এক টেবিল চামচ জায়ফল এ তিনটি উপাদান একসাথে মিশিয়ে ফেইসপ্যাক বানিয়ে আপনার রূপচর্চায় ব্যবহার করুন। এ ফেইসপ্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। ত্বকের বলিরেখা দূর করতে এ প্যাকটি খুবই কার্যকারী।

৩. নারিকেল  তেলের সাথে হলুদ গুড়া ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে মুখের ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে নিন। আপনার ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পাবে।

৪. ১ চা চামচ নারিকেল তেল ও ১ চা চামচ গোলাপ জলের সাথে  পরিমানমতো বেসন একসাথে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রনটি ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন, এটি মুখের কালচে ভাব দূর করবে।

নারিকেল তেল দিয়ে ফর্সা

পৃথিবীতে অসংখ্যা মানুষ রয়েছেন, যাদের রং একেক জনের একেক রকম। কেউ ফর্সা, কেউ শ্যামলা, কারও বা গায়ের রং চাপা। যাদের গায়ের রং চাপা, তারা তা নিয়ে মন খারাপ করে থাকে অনেকেই। কারও আবার জন্মগত কারনে রং চাপা হয় না। রোদ, ধুলোবালি, অতিরিক্ত পরিশ্রমে অনেকের চেহেরার উজ্জলতা নষ্ট হয়ে যায়। আবার শীতের মৌসুতে ত্বকের আসল রং পরিবর্তন হয়ে যায়।

আরো পড়ুনঃ-  কীভাবে ওজন কমানো যায় - ওজন কমানোর ব্যায়াম

এজন্য ত্বকের উজ্জলতা ফিরে পেতে অনেকেই ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু বাংলাদেশে এমন অনেক ক্রিম রয়েছে যেগুলো স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। তাই ত্বক ফর্সা করতে এবং ত্বকের উজ্জলতা ধরে রাখতে প্রাকৃতিক উপদানগুলো ব্যবহার করা ত্বকের জন্য উপকারী। প্রাকৃতিক উপাদানগুলোর মধ্যে বেছে নিতে পারেন নারিকেল তেল। হারানো ত্বকের উজ্জলতা এবং উজ্জলতা ধরে রাখতে এ তেল খুবই কার্যকারী। তাই ত্বক ফর্সা করতে নারিকেল তেলের ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিন-

  • ডার্ক সার্কেল আমাদের ত্বকের একটি সমস্যা। এ সমস্যার কারণে আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় এবং ত্বকে কালচে ভাব আসে। তাই ডার্ক সার্কেল দূর করতে নারিকেল তেল হালকা গরম করে চোখের চারপাশে এবং মুখে মাসাজ করুন। ডার্ক সার্কেলের সমস্যা কমবে পাশাপাশি ত্বক উজ্জল হবে।
  • অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে আমাদের মুখে কালচে ভাব চলে আসে। মুখের মধ্যে কালো দাগ ছোপ, আমাদের মুখের আসল রং নষ্ট করে দেয়। তাই এ সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করবেন নারিকেল তেল। এজন্য প্রথমে আপনি আলু কে ব্লেন্ড করে তার রস বের করে মুখের ত্বকে লাগিয়ে, কিছুক্ষন রেখে ধুয়ে নিন। এরপর নারিকেল তেল ও গোলাপজল একসাথে মিশিয়ে মুখের ত্বকে মাসাজ করবেন, কিছুক্ষন রেখে ধুয়ে নিবেন। এ পদ্ধতি সপ্তাহে দুইদিন করলে আপনার ত্বক ফর্সা হবে এবং ত্বকের বিভিন্ন দাগ দূর হবে।
  • ১ চা চামচ নারিকেল তেলের সাথে হাফ চা চামচ মধু, ১ চা চামচ কাঁচা দুধ এবং কাঁচা হলুদ গুড়ো একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে মিশ্রন তৈরি করে নিন। এরপর মুখ, হাত ও পায়ের ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে ২ মিনিট মতো মাসাজ করে ১০ মিনিট মতো রেখে দিন। ১০ মিনিট হয়ে গেলে মুখ পরিষ্কার করে নিবেন।

ত্বকের উজ্জলতা ধরে রাখতে এবং হারানো উজ্জলতা ফিরে পেতে উপরের নিয়মগুলো ফলো করতে পারেন। তবে যারা ত্বক ফর্সা করতে চাইছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই সৃষ্টিকর্তা আমাদের পচ্ছন্দ মতো যে রং দিয়েছে সেটা নিয়ে আমাদের সবার সন্তুষ্ট থাকা উচিত।

তাই বলে ত্বকের যত্ন নিতে হবে না তা নয়। কারণ অনেক সময় আমরা জন্মগতভাবে ফর্সা হলেও ত্বকের যত্ন না নেওয়ার কারনে ত্বকে কালচে ভাব ও বয়সের ছাপ চলে আসে। তাই ত্বকের স্বাস্থ ভালো রাখতে, ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

নারিকেল তেল খাওয়ার নিয়ম

নারিকেল তেল খাওয়ার নিয়ম

ত্বক ও চুলের পাশাপাশি নারিকেল তেল বিভিন্নভাবে খাওয়াও যায়। এ তেল যেমন খেতে সুস্বাদু তেমনি এর রয়েছে বিভিন্ন স্বাস্থ উপকারী গুন। বিভিন্ন খাবারে পরিমিত নারিকেল তেলের ব্যবহারে মানবদেহে পুষ্টি সংযোজন হয়ে থাকে। অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন নারিকেল তেল খাওয়ার নিয়ম কি। বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারেন আপনি নারিকেল তেল। বিস্তারিতভাবে জেনে নিন নারিকেল তেল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

  • বিভিন্ন রান্নায় যেমন-ডিম ভাজা, শাক-সবজি, মাছ ভাজায় সয়াবিন তেলের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন নারিকেল তেল। এতে খাবারের স্বাদ পরিবর্তন হবে আবার পুষ্টিও পাওয়া যাবে।
  • বিভিন্ন ডেজার্ট আইটেম, কেক ও পিঠা নারিকেল তেল দিয়ে বানিয়ে খেতে পারেন।
  • নারিকেল তেল সস অথবা স্যালাড বানানোর সময় ব্যবহার করতে পারেন।
  • চা ও কফি তে নারিকেল তেল ব্যবহার করে খাবেন। প্রতিদিন সকালে চা অথবা কফিতে এক চা চামচ নারিকেল তেল মিশিয়ে খেলে বিভিন্ন স্বাস্থ উপকারিতা পাওয়া যাবে।
আরো পড়ুনঃ-  মাছের ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা

উপরের নিয়মে নারিকেল তেল খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত নারিকেল তেল খাওয়া যাবে না, বেশি নারিকেল তেল স্বাস্থঝুঁকি বাড়ায়। তাই দৈনিক ১ থেকে ২ চা  চামচ নারিকেল তেল খাওয়া যায়। অথবা পুরুষরা ৩০ গ্রাম ও নারীরা ২০ গ্রাম নারিকেল তে প্রতিদিন খেতে পারবেন। তবে খেয়াল রাখবেন নারিকেল তেল পরিমিত খেলেও দীর্ঘসময় ধরে খাওয়া ঠিক নয়।

নারিকেল তেলের অপকারিতা

নারিকেল তেলে রয়েছে স্বাস্থ উপকারী গুন। ত্বক, চুল থেকে শুরু করে স্বাস্থ ঠিক রাখতে নারিকেল তেলের ভূমিকা রয়েছে। তবে নারিকেল তেলের মধ্যে উপকারী গুন থাকা সত্ত্বেও, এর রয়েছে কিছু পার্শপ্রতিক্রিয়া। রোজকার ডায়েটে দীর্ঘদিন ধরে এ তেল ব্যবহারে স্বাস্থের জন্য সেটা ক্ষতি হতে পারে। তাই নারিকেল তেল খাওয়ার আগে জেনে নিন নারিকেল তেলের অপকারিতা সম্পর্কে।

উচ্চরক্তচাপ: নিয়মিত নারিকেল তেল খেলে উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা বেড়ে যায়। নারিকেল তেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকার কারনে, এ তেল খাওয়ার ফলে উচ্চরক্তচাপের সমস্যা হয়ে থাকে।

অ্যালার্জি: ত্বকের স্বাস্থের জন্য নারিকেল তেল খুবই উপকারী। তবে সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে এবং অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে অ্যালার্জি হতে পারে।

ডায়রিয়া: নারিকেল তেলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, যার কারনে অতিরিক্ত এ তেল খেলে ডায়রিয়ার সমস্যা হতে দেখা যায়।

ওজন বাড়ায়: নারিকেল তেলের মধ্যে ফ্যাটের পরিমান বেশি পরিমাণে রয়েছে। যার কারনে নারিকেল তেল নিয়মিত খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যায়।

ব্রনের সমস্যা বাড়ায়: আপনার ত্বক ব্রনযুক্ত হলে, মুখে নারিকেল তেল একেবারেই লাগাবেন না। নারিকেল তেল লাগানোর ফলে ব্রনের সমস্যা আরও বেড়ে যায়।

সুতরাং নারিকেল তেল যারা ব্যবহার করবেন উপরের বলা অপকারিতাগুলো মনে রাখবেন। নারিকেল তেল একেবারে ক্ষতিকর, তা নয়। তবে এ তেল দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করবেন না। নারিকেল তেলের স্বাস্থ উপকারিগুন পেতে মাঝে মধ্যে এ তেল ব্যবহার করবেন।

পরিশেষে বলতে চাই, যারা নারিকেল তেল খেতে চাইছেন অথবা ব্যবহার করতে চাইছেন। অবশ্যই কেমিক্যাল মুক্ত নারিকেল তেল ব্যবহার করবেন। কারণ কেমিকালযুক্ত নারিকেল তেল স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকারক।

লেখকের শেষ বক্তব্য

প্যারাসুট নারিকেল তেলের উপকারিতা সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি প্যারাসুট নারিকেল তেলের উপকারিতা সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।

Leave a Comment