ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

আমাদের আজকের আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগের সমস্যা অনেকের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। তাই অনেকেই ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। তাই তাদের উদ্দেশ্যে ডায়াবেটিস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ন তথ্যগুলো নিয়ে আমাদের আজকের আর্টিকেল।

ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ন পড়ার মাধ্যমে জেনে যাবেন, ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। এছারাও ডায়াবেটিস রোগির খাবার তালিকা, কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে, ডায়াবেটিস হলে কি খাওয়া যাবে না এ বিষয়গুলো জানতে পারবেন। তো চলুন বিস্তারিতভাবে শুরু করা যাক।

ডায়াবেটিস এর প্রতিকার

বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস রোগির সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানবশরীরে রক্তের শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ন। কিন্তু আমাদের শরীর যখন নিজ থেকে ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না, তখন আমাদের রক্তের গ্লুকোজের বা শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়ে যায়। আর তখনি ডায়াবেটিস রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস একটি স্থায়ী রোগ, এ রোগের প্রতিকার নেয় বললেই চলে। তাই ডায়াবেটিস রোগের প্রতিকারের আগে প্রতিরোধ করায় বুদ্ধিমানের কাজ। খাওয়া দাওয়া ও জীবনযাপনে পরিবর্তন আনলেই ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। জেনে নিন ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধের উপায় কি।

নিয়মিত হাঁটা: বিশেষজ্ঞদের মতে ডায়াবেটিস হওয়ার মূল কারন হলো কম হাঁটা। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষের হাঁটার প্রবনতা কমে গেছে। শারিরিক পরিশ্রমের থেকে মানুষ কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের কাজ অথবা অফিসে বসে থেকে কাজের প্রতি চাহিদা বেশি। তবে আমাদের কাজের ধরন যেমনি হোক না কেন, চেষ্টা করতে হবে দৈনিক কিছু সময়, অন্তত এক ঘন্টা হাঁটা। নিয়মিত হাঁটলে ডায়াবেটিস রোগকে সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু ডায়াবেটিস নয় বিভিন্ন রোগ থেকে শরীর সুস্থ থাকবে নিয়মিত হাঁটার কারনে। 

ধূপমান ও মদ্যপান ছাড়তে হবে: ধূমপান ও মদ্যপান ডায়াবেটিস রোগের একটি কারন। শুধু ডায়াবেটিস নয়, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগরে ঝুঁকি বাড়ায় যারা ধূমপান ও মদ্যপান গ্রহন করে। চিকিৎসকের মতে ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধ করতে অবশ্যই ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করতে হবে। কারণ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয় এ অভ্যাসগুলো। 

খাদ্যভাস পরিবর্তন: ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে খাদ্যভাসে পরিবর্তন আনা জরুরি। মিষ্টি, রেড মিট, অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার, ফাস্টফুড, বিরিয়ানি এসব খাবার অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁিক অনেক বেড়ে যায়। তাই যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে বাইরের খাবার, প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবাার ও পানীয়, চিনি জাতীয় পানীয়, অতিরিক্ত লবন ও চর্বিযুক্ত প্রভৃতি খাবারগুলো। পরিবর্তে খেতে হবে পরিমিত শাক-সবজি, ফল, দানা শস্য, স্বাস্থকর তেল, বাদাম প্রভৃতি স্বাস্থকর খাবারগুলো। এছারাও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে একবারেই পেট ভর্তি করে খাওয়া যাবে না, বিরতি দিয়ে অল্প অল্প করে খেতে হবে। খাদ্যভাসে এ পরিবর্তনগুলো আনলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে পাশাপাশি অনান্য রোগের ঝুঁকি কমবে। 

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রন রাখতে হবে: শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল ডায়াবেটিসসহ আরও বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই বছরে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করে নিতে হবে। এছারাও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রন রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে ও সঠিক খাবার খেতে হবে। 

ডায়াবেটিস রোগ থেকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে উপরের টিপসগুলো ফলো করুন। উপরের বলা টিপসগুলো আপনাকে ডায়বেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করবে। 

আরো পড়ুন: পেট ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায় - পেট ব্যাথা কমানোর দোয়া

ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়

ডায়াবেটিস খুবই পরিচিত একটি রোগের নাম। প্রায় প্রত্যেক পরিবারের সদস্যের মধ্যে কারও না কারও  এ রোগটি হয়ে থাকে। এটি এমন একটি শারিরিক সমস্যা যা মৃত্যু পর্যন্ত সাথে করে নিয়ে বেড়াতে হয়। বিশ^ স্বাস্থ সংস্থা অনুযায়ী সারা বিশ্বে ৪২ কোটিরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই এ রোগটি নিয়ে অনেকেই আতঙ্কিত। ডায়াবেটিস হলে শরীরের মধ্যে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়, সে সমস্যাগুলো জেনে আমাদের সতর্ক থাকা জরুরি। তো চলুন জেনে নেওয়া যাকা ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়।

  • ঘন ঘন প্রসাবের বেগ আসা
  • কিছুক্ষন পর পর পিপসা লাগা
  • ক্ষুধা আগের থেকে বেড়ে যাওয়া
  • শরীরে দুর্বল অনুভুত হওয়া 
  • অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া
  • মিষ্টিজাতীয় খাবারগুলো খাওয়ার প্রতি চাহিদা বেড়ে যাওয়া
  • শরীরের কোনো স্থানে ক্ষত হলে, সে ক্ষত সারতে সময় লাগা
  • ওজন কমে যাওয়া
  • মেজাজে পরিবর্তন
  • চোখে ঝাপসা দেখা
  • চামড়ায় খসখসে ভাব ও চুলকানির সৃষ্টি হওয়া

সাধারনত ডায়াবেটিস রোগীদের উপরের বলা লক্ষণগুলো প্রকাশ পেয়ে থাকে। এ লক্ষনগুলো আপনার মধ্যে প্রকাশ পেলে একেবারে নিশ্চিত হয়ে যাবেন  না, যে আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে। তবে লক্ষনগুলো দেখা মাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

ডায়াবেটিস রোগির খাবার তালিকা

ডায়াবেটিস রোগিদের সঠিক খাদ্যভাস গড়ে তোলা জরুরি একটি বিষয়। কারন সঠিক খাদ্যভাস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে আবার ভুল খাদ্যভাস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়। ডায়াবেটিস রোগ একবার কারও হয়ে গেলে তা থেকে সম্পূর্নভাবে সারিয়ে উঠা সম্ভব নয়। সুস্থ থাকতে এ রোগ সবসময় নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে। তাই খাদ্য তালিকায় সঠিক খাবার নির্বাচন করতে হবে। তো চলুন জেনে নিন ডায়াবেটিস রোগির খাবার তালিকা সম্পর্কে।

ডায়াবেটিস রোগিরা যে খাবারগুলো খাবেন:

মাছ: ডায়াবেটিস রোগিদের খাবার তালিকায় ওমেগো থ্রি-ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ গুলো রাখতে হবে। এ জাতীয় মাছগুলো ইনসুলিনের সংবেদনশীলতার উন্নতি ঘটাতে সহায়তা করে থাকে। যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকে।

ডিমের সাদা অংশ: ডিমের সাদা অংশের মধ্যে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন রয়েছে। যা গ্রহনের ফলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। 

টক দই: টক দই এ চিনির পরিমাণ খুব কম। যার ফলে এ খাবারটি খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। 

মটরশুটি: ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য মটরশুটি খুবই উপকারী একটি খাবার। মটরশুটি রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগির খাবার তালিকায় এ খাবার রাখতে হবে। 

সাইট্রাস ফল: সাইট্রাস ফল থেকে ভিটামিন সি’, ফোলেট এবং পটাশিয়াম পাওয়া যায় যা ডায়াবেটিস রোগির স্বাস্থের জন্য উপকারী। তাই ডায়াবেটিস রোগির খাবার তালিকায় লেবু, কমলা, মালটা, জাম্বুরা প্রভৃতি ফলগুলো রাখতে হবে। 

জাম ও অন্য বেরি: জাম ও বেরিজাতীয় ফল থেকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যার ফলে এ জাতীয় ফলগুলো ডায়াবেটিস রোগিদের ইনসুলিনের কার্যকলাপ বাড়াতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগির খাবার তালিকায় যোগ করুন এ জাতীয় ফলগুলো।  

সবুজ শাকসবজি: সবুজ শাকসবজি থেকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও খনিজ পাওয়া যায়। যা গ্রহন করা ডায়াবেটিস রোগিদের স্বাস্থের জন্য উপকারী। পালংশাক, কুমড়ো, ঢেঁড়স, টমেটো, ব্রকলি, বাধাকপি প্রভৃতি শাকসবজি ডায়াবেটিস রোগিদের স্বাস্থ ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগির খাবার তালিকায় বেছে নিন সবুজ শাক সবজি। 

ফাইবার ও আঁশ জাতীয় খাবার: ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলো ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এ খাবারগুলো সহজেই ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রনে আনতে পারে। এ জাতীয় খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে ডাল, ওটস, বাদাম, খোসাসহ ফল, লাল চাল, ভুট্টার খই, গাজর, বিটরুট প্রভৃতি। 

চিয়া বীজ: চিয়া বীজ রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগির খাদ্য তালিকায় এ খাবার রাখতে পারেন। 

ডায়াবেটিস রোগিদের সুস্থতা অধিকাংশই নির্ভর করে খাওয়া দাওয়ার উপর। তাই ডায়াবেটিস রোগিদের খাদ্য তালিকায় সঠিক খাবারগুরো রাখতে হবে।

কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে

কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে

ডায়াবেটিসের নাম শুনলে ভীতি সৃষ্টি হয় সবার। ডায়াবেটিস রোগিদের রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখা জরুরি। অনেক সময় হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে ডায়াবেটিস। সে সময় ডায়াবেটিস রোগিরা চিন্তায় পড়ে যায় কি খাবে আর কি খাবে না। ফলে জানতে চেয়ে থাকেন কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমানো সম্ভব। তো চলুন নিচের আলোচনা থেকে জেনে নিন কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে।

শাক-সবজি: শাকসবজি থেকে প্রচুর পরিমানে ফাইবার পাওয়া যায়। ফাইবার জাতীয় খাবারগুলো সুগারকে নিয়ন্ত্রনে আনতে সহায়তা করে থাকে। এছারাও ইনসুলিন ভালোভাবে কাজ করে থাকে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলো। তাই ডায়াবেটিস কমাতে শাকসবজি খাবেন।

খোসাসহ ফল: বিভিন্ন ফল যেমন আপেল, নাশপাতি, পেয়ারা প্রভৃতি ফলগুলো ডায়াবেটিস কমাতে খোসাসহ খাবেন। খোসাসহ এসব ফল থেকে আঁশ বা ফাইবার পাওয়া যায়। যার ফলে এগুলো নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস কমে। 

লাল চাল: ডায়াবেটিস কমাতে সাদা চালের পরিবর্তে লাল চাল খাবার তালিকায় রাখুন। লাল চাল থেকে প্রচুর পরিমানে আঁশ পাওয়া যায়, যা ডায়াবেটিসকে কমিয়ে আনতে সহায়তা করে থাকে। 

করলা: সবুজ রঙের এ সবজি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস পায়। তাই ডায়াবেটিস কমাতে করলা খেতে পারেন। 

ওটস: ওটসজাতীয় খাবারগুলো ডায়াবেটিস কমাতে দিনে একবার খেতে পারেন। ওটসের মধ্যে থাকা ফাইবার ডায়াবেটিসকে কমিয়ে আনে।

খেজুর: পরিমিত খেজুর ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রনে আনতে সহায়তা করে থাকে।

ডায়বেটিস নিয়ে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। গবেষনায় দেখা গেছে খাদ্যভাস ঠিক থাকলে এ রোগ নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব। তাই ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে কমাতে উপরের বলা খাবারগুলো নিয়মিত খাবেন। যে খাবারগুলোতে ফাইবার বা আঁশের পরিমাণ বেশি রয়েছে সেগুলো বেশি বেশি খাবেন।

আরো পড়ুন: জন্ডিস এর লক্ষণ ও প্রতিকার - জন্ডিস হলে করনীয়

ডায়াবেটিস হলে কি কি খাওয়া যাবে না

 আপনার স্বাস্থকর খাদ্যভাস ডায়াবেটিসকে সহজেই নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারে। যেসব খাবারে ক্যালরির মাত্রা অতিরিক্ত সেসব খাবার ডায়াবেটিস রোগিকে কমিয়ে দিতে হবে, খেতে হবে কম ক্যালরিযুক্ত খাবারগুলো। এছরাও ডায়াবেটিসের সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো ডায়াবেটিস রোগিদের এড়িয়ে চলতে হবে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিস হলে কি কি খাওয়া যাবে না।

  • ঘন চিনিযুক্ত খাবার
  • কোমল পানীয়
  • স্যাচুরেটেড সমৃদ্ধ খাবার
  • কাঁচা লবন
  • অতিরিক্ত তেলে ভাজা ও মসলযুক্ত খাবার
  • অ্যালকোহল, তামাক, জর্দা প্রভৃতি

ডায়াবেটিস রোগিদের প্রধান চিকিৎসা হলো সঠিক খাদ্যভাস। ডায়াবেটিস  নিয়ন্ত্রনে রাখতে সঠিক সময়ে সঠিক খাদ্য পরিমিত গ্রহন করুন। প্রত্যেক ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির খাদ্য তালিকা পৃথক হবে, কারন প্রত্যেক ডায়াবেটিস রোগির বয়স ও ডায়ািেটস এক ধরনের নয়। তাই ডায়াবেটিস রোগির খাবার চার্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তৈরি করায় সবথেকে ভালো।

পরিশেষে বলতে চাই, ডায়াবেটিস একটি স্থায়ী রোগ, তাই আমাদের এ রোগ প্রতিরোধ করা জরুরি। ডায়াবেটিস রোগ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করুন এবং স্বাস্থকর খাবার খাদ্য তালিকায় পরিমিত রাখুন।

লেখকের শেষ বক্তব্য

ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন
comment url