শহরে ব্যবসার আইডিয়া – পাইকারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য

বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সঠিক ভাবে ব্যবসা করার জন্য সঠিক পরিকল্পনাও জরুরী। আপনি যদি ২০২৪ সালে এসে শহরে ব্যবসার আইডিয়া করার চিন্তা-ভাবনা করে থাকেন তাহলে আপনাকে যেকোন ব্যবসা করলেই হবে না বরং আপনাকে সাফল্যতার কথা মাথায় রেখে আপনার সুবিধা অনুযায়ী একটি ব্যবসা করার জন্য সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে।

শহরে ব্যবসার আইডিয়া

কেননা এখন বাজারে অনেক প্রতিযোগীদের সাথে মোকাবেলা করতে হবে। কারণ, ব্যবসা সবাই করতে পারে না বা সবাই সাফল্য অর্জন করতে পারে না। এজন্য, আপনি যেই ব্যাবসায় করেন না কেন টাকা ও সময় দিতেই হবে। যেকোনো ব্যবসা শুরু করার পূর্বে সে ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হবে হবে।

আপনি যদি ব্যবসার জগতে একেবারে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য ১৫ টি লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করেছি। সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলেই আপনি ব্যবসার ধারণা নিতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে প্রথমে ব্যবসা কত প্রকার ও কি কি জেনে নেই।

ব্যবসা কত প্রকার ও কি কি

ব্যবসা কত প্রকার ও কি কি সে সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন কারণ আমরাই সঠিকভাবে জানানোর চেষ্টা করব ব্যবসা কত প্রকার ও কি কি সেই সম্পর্ক যেমন ব্যবসার ধরন অনুযায়ী ব্যবসা হল তিন প্রকার যেমন সেবা বাণিজ্য এবং শিল্প এবং ব্যবসায়িক আয়তনের ভিত্তিতে ব্যবসা হল পাঁচ প্রকার যেমন এক মালিকানা ব্যবসা অংশীদারি ব্যবসা যৌথ মূলধনী ব্যবসা সরকারি ব্যবসা এবং সমিতি ব্যবসা আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন তাহলে এগুলো জেনে থাকা আপনার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান যে কোন ব্যবসার ক্ষেত্রে এগুলো কাজে দিয়ে থাকে এবং এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র ব্যবসিকদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ-  গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া - ব্যবসা করতে কি কি প্রয়োজন

শহরে ব্যবসার আইডিয়া

শহরের ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চান তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন কারণ আমরাই সঠিক উপায় জানানোর চেষ্টা করব শহরে ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে যেমন শহরের ব্যবসার আইডিয়া অনেকগুলো রয়েছে কিন্তু এর মধ্যেও কিছু প্রয়োজনীয় এবং সুবিধা ও প্রয়োজন আছে যে ব্যবসা গুলো সবচাইতে লাভজনক এবং শহরের ব্যবসা আইডিয়া হিসেবে গণ্য করা যায় সে সকল ব্যবসা গুলো কি কি চলুন জেনে নেয়া যাক গ্রামের তুলনায় শহরের ব্যবসায় একটু কম্পিটিশন হয়ে থাকে তবুও ক্রেতারা গ্রামের চাইতে শহরে বেশি জিনিসপতি কিনে থাকে সেজন্যই যে কোন ব্যবসাতে শহরের ব্যবসিকরা ব্যাপক লাভ করে থাকে শহরের কয়েকটি ব্যবসার আইডিয়া নিচে উল্লেখ করা হলো।

কাঁচ সামগ্রী বিক্রি ব্যবসা

আধুনিকতার এই যুগে এসে এখন বিভিন্ন প্রকারের নান্দনিক জিনিসপত্র পাওয়া যায়। তার মধ্যে অন্যতম হল কাঁচ সামগ্রী। আমাদের প্রতিটা পরিবারেই কম বেশি এই কাঁচের সামগ্রী গুলো দেখতে পাওয়া যায়। আর এখন কাঁচ শিল্পকে আগের চেয়ে তুলনামূলক অনেক প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। তাই আপনি চাইলে শহরে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

ফুড কার্ট ব্যবসা

অন্যান্য ব্যবসা গুলোর মধ্যে আরও একটি উল্লেখযোগ্য ব্যবসা হচ্ছে ফুড কার্ট ব্যবসা। বর্তমান সময়ে এর চাহিদা অনেক বেশি। ফুট কার্টে যেগুলো খাবারের চাহিদা অনেক রয়েছে সেগুলো হচ্ছে চটপটি, ফুচকা, কোল্ড কফি, হট কফি, ফলের জুস ইত্যাদি।

চশমা দোকানের ব্যবসা

যতগুলো লাভজনক ব্যবসা রয়েছে তার মধ্যে চশমার দোকানের ব্যবসা বেশ উল্লেখযোগ্য। চশমার দোকান করতে বেশি মুনাফার প্রয়োজন হয় না। তবে এই ব্যবসা করতে হলে জায়গা নির্বাচনের ব্যাপারে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। বিশেষ করে যেখানে মানুষ শপিং করার জন্য যায়, সেই এলাকাতে দোকান দিতে হবে

শাড়ির ব্যবসা

ব্যবসার ক্ষেত্রে ভারতীয় উপমহাদেশে অনেক পুরাতন একটা ব্যবসা হচ্ছে শাড়ির ব্যবসা। যেহেতু এটা একটা বেশ ঐতিহ্যবাহী পুরাতন ব্যবসা এবং অনেকেই এই ব্যবসা করে, তাই আমরা যারা বেকার আছি তারা এই ব্যবসাটা নির্দ্বিধায় করতে পারি।

আরো পড়ুনঃ-  ঘরে বসে বিনা পুঁজিতে ব্যবসা - ঘরে বসে ক্ষুদ্র ব্যবসা

কফি শপের ব্যবসা

স্মার্ট ব্যবসা গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কফি শপের ব্যবসা। বর্তমান সময়ে আধুনিক অনেক ধরনের কফি মেকিং মেশিন পাওয়া যায়, যেগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই কফি শপের বিজনেস করা সম্ভব।

স্টেশনারি ব্যবসা

স্টেশনারি ব্যবসা করে অনেকেই লাভবান হচ্ছে। এই ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই স্কুল-কলেজের সামনে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে স্টেশনারি দোকান দিতে হবে। কারণ এই পণ্যগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসা

মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসা চিরচারিত ব্যবসা। ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেকোনো সময় সমস্যা হতে পারে। কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দেবে আমরা সার্ভিসি করাতে নিয়ে যায়। সুতরাং বলা চলে মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

এরকম অনেকগুলো ব্যবসা শুরু করতে পারেন শহরের ভেতরে এই ব্যবসা গুলো অনেক লাভজনক হয়ে থাকে এবং সবচাইতে ভালো মানের শহরের ব্যবসার আইডিয়া বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে এখানে যে সকল ব্যবসায়ের আইডিয়াগুলো দেওয়া হলো এই ব্যবসা গুলোকে শহরের ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে ধরা যায়।

পাইকারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য

পাইকারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য

পাইকারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক মূল্যবান কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক পাইকারি ব্যবসায়ীর বৈশিষ্ট্য গুলো যেমন পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাজ হল খুচরা ব্যবসায়ীকদের কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়া এটা একটি পাইকারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্যর মধ্যে পড়ে আরো কিছু বৈশিষ্ট্যর নিচে উল্লেখ করা হলো।

  • পণ্য সংগ্রহ করা
  • পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের পরিমাণ নির্ধারণ করা
  • পণ্যের সংখ্যা নির্ধারণ করা
  • ভোক্তার নিকট পণ্য বিক্রয় করা
  • পাইকারি ব্যবসায়ের অবস্থার নির্ধারণ করা
  • একক প্রতি মুনাফা নির্ধারণ করা
  • অধিক মূলধন নির্ধারণ করা
  • এবং অত্যাধিক ঝুঁকি গ্রহণ করা

এখানে কয়েকটি পাইকারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো সর্বশেষে ঝুঁকি গ্রহণ করা এই জন্য উল্লেখ করা হয়েছে পাইকারি ব্যবসাতে ঝুঁকি রয়েছে কিন্তু খুচরা ব্যবসার সাথে কোন ঝুঁকি নয় এগুলো মূলত পাইকারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ-  ব্যবসা করতে কি কি প্রয়োজন - ব্যবসা শুরু করার পদ্ধতি

পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসার পার্থক্য

পাইকারি ব্যবসার তুলনায় খুচরা ব্যবসাতে কোন রিস্ক নেই তাই পাইকারি তুলনায় খুচরা ব্যবসায় অনেক লাভজনক হয়ে থাকে যেমন বাজারে পাইকারি রেট কম বেশি হয়ে থাকে কিন্তু খুচরা রেট কম বেশি হওয়ার ঝুঁকি থাকে না যেমন পাইকাররা উৎপাদনকারীর কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করে থাকে এবং খুচরা ব্যবসায়িকরা পাইকারদের কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করে থাকে পাইকারি ব্যবসাতে অনেক মূলধন লাগে কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীদের স্বল্প মূলধনে হয়ে যায় পাইকারি ব্যবসায়িকরা প্রচুর মাল ক্রয় করে গুদামজাত করে থাকে এতে ঝুঁকির আশঙ্কা থেকে যায় কিন্তু খুচরা ব্যবসায়িকরা কোন ধরনের গুদামজাত করা লাগেনা তাই ঝুঁকির হাত থেকে বেঁচে যায় প্রতিটা পাইকার তাদের পূর্ণ ভালো রাখার জন্য গুদামজাত করে থাকে এবং খুচরা পাইকাররা তাদের দোকানেই রেখে দেয় এগুলো মূলত পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ের পার্থক্য এর পাশাপাশি আরো কিছু পার্থক্য রয়েছে পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ের মধ্যে।

শহরে ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে লেখকের মতামত

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি শহরে ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে। আরো জেনেছি ব্যবসা কত প্রকার ও কি কি সম্পর্কে, পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসার পার্থক্য সম্পর্কে পাইকারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি সম্পর্কে জেনেছি এক কথায় বলতে গেলে বলা যায় শহরে ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এই পোস্টের মাধ্যমে তাই আপনি যদি শহরে ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চান আমি সাজেস্ট করব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য তাহলে ব্যবসা সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Leave a Comment