আপনি যদি বাংলাদেশে থেকে প্রতি মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো ইনকাম করতে চান, তাহলে এক্ষেত্রে আপনার আপনার মনে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক করতে পারে যে আমি কিভাবে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করবো? এর সঠিক উপায় কি? তাহলে আমার মনের হয় এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেতে আপনি সঠিক স্থানে রয়েছেন। আশা করি আপনি এই পোষ্টের যতটুকু সময় ব্যয় করবেন প্রতিটা সময় আপনার জীবনের মোড় ঘুরাতে অবদান রাখবে।
এছাড়া ও আপনি জানতে পারবেন মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায়, কোটি টাকা আয় করার উপায়, টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাড়তি আয় করার উপায় ইত্যাদি। এগুলো এমন কিছু অজানা তথ্য প্রদান করব যেগুলো অনুসরন করে আপনি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অতএব আপনার উচিত হবে আম সম্পূর্ন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
উপস্থাপনা
বাংলাদেশে বসে থেকে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ কত শতাংশ মানুষ আয়ের সীমা ৫০ হাজার টাকা তা নিয়ে সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না। তবে অনুমান করা হয় যে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ৩০% মানুষ মাসের ৫০ হাজার টাকার বেশি আয় করে থাকে।
আপনি হতে পারেন একজন বেকার অথবা নতুন কর্মজীবী কিংবা আপনি একজন গৃহিনী এজন্য হয়তো নতুন কিছুর খোঁজ করছেন। মূলত যে কেউ হন না কেন যারা টাক ইনকাম করতে ইচ্ছুক তারা অবশ্যই আমাদের আজকের এই ব্লগটি সময় নষ্ট না করে আমাদের মনোযোগ দিয়ে পড়ে মাসে ৫০ হাজার টাকা কিংবা তার বেশি মানে লক্ষাধিক টাকা ইনকামের উপয়াগুলি বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।
মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
কফি হাউস দিয়ে আয়: বর্তমান সময়ে কফি হাউসের ব্যবসা বলতে গেলে খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। তাই আপনি যদি কোন ব্যস্ত জায়গায় কফি হাউজ দিতে পারেন তাহলে আপনি প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকার বেশিও উপার্জন করতে পারবেন।
মুদিখানার দোকান থেকে আয়: আপনি যদি একটি ভালো প্লেসে মুদিখানার দোকান দিতে পারেন তাহলে এই ব্যবসা থেকেও মাসে মোটামুটি ৫০ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন। তবে এই ব্যবসাতে ইনকাম কম-বেশি হয়ে থাকে।
পাইকারি ব্যবসা করে আয়: পাইকারি ব্যবসা এখন অনেক লাভজনক ব্যবসা। তাই আপনি চাইলে পাইকারি ব্যবসা করেই প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্ন পাইকারি ব্যবসা রয়েছে যেমন গ্রীষ্মকালীন ফলের পাইকারি ব্যবসা, রাসায়নিক কৃষি পণ্যের পাইকারি ব্যবসা, বিভিন্ন ধরনের চা-পাতার পাইকারি ব্যবসা ইত্যাদি।
জুতার ব্যবসা করে আয়: আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা জুতার ব্যবসা করেও মাসে ৫০ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করছেন। তাই আপনি চাইলে আপনার আপনার সাধ্যমতো প্রথমে একটি ছোট খাটো জুতার ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
কসমেটিক্স এর ব্যবসা করে আয়: কসমেটিক্স এর ব্যবসা করে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়বে। আপনি চাইলে স্কুল বা কলেজের পাশে কসমেটিকস এর দোকান দিতে পারেন তাহলে খরিদ্দারের অভাব হবে না আপনি অনায়াসেই ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন
মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায়
ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয়: আপনি এই আধুনিক সময়ে এসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে চান, তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং কে বেছে নিতে পারেন। কেননা বর্তমান সময়ে এসে এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা এতটাই বেড়েছে যে বলে শেষ করা যাবেনা। আর এই উপায়ে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করাটাও খুব কঠিন কিছু নয়।
আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ভালো অ্যামাউন্ট ইনকাম করত্যে চান তাহলে বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও সেরা আইটি সেন্টার হিসেবে ফিউচার ড্রিম আইটিকে বেছে নিয়ে তাদের থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করতে পারেন। তারা অনেক কম টাকায় এই কোর্স করিয়ে থাকে।
ওয়েবসাইট বানিয়ে আয়: যাদের ওয়েবসাইট নিয়ে একটু বেশি আগ্রহ রয়েছে তারা চাইলে ওয়েবসাইট বানিয়ে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে ইউনিক কনটেন্ট রাইতার হতে হবে তাহলে হবে। আর ইউটিউবে এটা নিয়ে অনেকেই ফ্রিতে শিখাচ্ছে।
গ্রাফিক ডিজাইন: বর্তমান সময়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনরদের চাহিদা অনেক বেশি। আপনি যদি ভালো কোন আইটি প্রতিষ্ঠান গ্রাফিক্স ডিজাইন স্কিল শিখতে পারেন তাহলে এই পেশায় আপনি খুব সহজেই প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য প্রয়োজন সঠিক হাইডলাইন তাহলে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন এ সফলতা লাভ করতে পারবেন।
ইনফ্লুয়েন্সার কাজ করে আয়: ইনফ্লুয়েন্সাররা প্রায়ই ব্র্যান্ড এবং কোম্পানি গুলোর দ্বারা তাদের পণ্য বা পরিষেবা গুলোকে প্রচার করার জন্য ভাড়া করা হয়। এই প্রক্রিয়াটিকে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং বলা হয়। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং হচ্ছে মূলত এখনকার সময়ে অতি জনপ্রিয় কৌশল যা লক্ষ্য দর্শকদের সাথে সংযোগ স্থাপন জন্য ব্যবহার করা হয়। এ উপায় অবলম্বন করলে আপনি খুব সহজেই মেহনত করলেই মাসে লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।
কোটি টাকা আয় করার উপায়
কোটি টাকা আয় করতে হলে আপনাকে বড় ব্যবসা করতে হবে। আর বড় ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। বড় ব্যবসা শুরু করার আগে আর্থিক স্বচ্ছলতা ভালো থাকতে হবে। কোটি টাকা আয় করা জন্য নিম্নে বড় ব্যবসার আইডিয়া দেওয়া হলোঃ
- ক্যাটারিং এর ব্যবসা করা
- গার্মেন্টস শিল্পকারখানা তৈরি করা
- আমার শিশুর বব্যবহার্য দ্রব্য তৈরি করা
- ডেকোরেটরের ব্যবসা করা
- রিয়েল এস্টেট এর ব্যবসা করা
- কাঠের ফার্নিচার তৈরির ব্যবসা করা
- সিরামিক জাতীয় পণ্যের দোকান তৈরি করা
- গিফট কর্নার তৈরি করা
- ফার্মেসির দোকান খোলা
- রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করা
- বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গেজেট বিক্রির ব্যবসা করা
- বড় বড় খামার তৈরি করা
- আইসক্রিম পার্লার খোলা ইত্যাদি।
টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়
আজকেই এই অনলাইন যুগে টাকা ইনকাম করা অনেকটা সহজ আরার অনেকটা কঠিন। তাদের কাছে কঠিন যারা সামসাময়িক কোন বিষয়ে খোঁজ খবর রাখেন না। মোবাইলে গেম আর রিলস দেখা ছাড়া যাদের অন্য কোন কাজ নেই তাদের কাছে কঠিন।
টাকার তো আর পা নেই যে আপনা আপনি আপনার কাছে চলে আসবে। টাকা ইনকাম করতে অধিক পরিশ্রম করতে হয় না। কেবলমাত্র একটু বুদ্ধি খাটালে আপনি মাসে অনেক ভালো মানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। টাকা ইনকাম করার ২ টি সহজ সহজ উপায় নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
ব্লগিং করে
টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় অন্যতম সহজ উপায় হলে ব্লগিং করা। এখানে আপনি যে কোন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতে পারবেন। এছাড়া আপনি যে বিষয়ে জানতে আগ্রহী সেটি নিয়ে লেখতে পারেন। তার জন্য গুগোল আমাদের সব কিছু সহজ করে দিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা আপনি যা জানেন তাই নিয়েই আর্টিকেল লেখে গুগল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব।
ইউটিউবিং করে
ইউটিউব এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে যেকোন বিষয় নিয়ে ভিডিউ তৈরী করে তা আপলোড করা যায়। আর ইউটিউবের দেয়া শর্তসমূহ পূর্ন করে তা থেকে ইনকাম করা সম্ভব। মানুষ অনলাইন নির্ভশীল হওয়াতে এটি আরো সহজ হয়েছে। আপনি কোন একটি বিষয়ে জানেন, তাই দিয়েই ভিডিও তৈরী করতে পারবেন। প্রাথমিক পর্যায়ে হয়তো একটু পরিশ্রম করতে হবে, তবে এখানে একবার শর্তসমূহ পূর্ণ হলে আপনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
বাড়তি আয় করার উপায়
আপনি যে পেশাজীবি মানুষই হোননা কেন? আপনি যদি জীবনে ভালো কিছু করতে চান তাহলে অবশ্যই বাড়তি আয় করার উপায় জেনে সেই মোতাবেক সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। কিন্তু আপনি যদি একটা পেশা নিয়েই স্বাভাবিক জীবন যাপন করেন তাহলে জীবনে উন্নতি করাটা খুব কঠিন হয়ে যাবে।
মূল কথা জীবনে নিজের বিভিন্ন শখ আল্লাদ পূরণ করতে হলে আপনাকে স্বচ্ছল ভাবে বাড়তি আয় করার উপায় বের করতে হবে। তবেই পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো থাকবেন। তাহলে চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে অনুসরণ করলে আপনার অতিরিক্ত ইনকাম হবে সেই সম্পর্কে ২ টি বাড়তি আয় করার উপায় বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ফ্রিল্যান্সিং করে বাড়তি আয়
আপনার চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে বাড়তি আয় করতে হলে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং কেই বেছে নিতে হবে। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে পরিচিত নয় এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। সকল পেশার মানুষ এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করতে পারেন। যেখানে আপনার মূল ইনকামের সাথে সাথে বাড়তি কিছু অর্থ ইনকাম করা যায়।
এটি এমন একটি কাজ যা আপনি যে কোন দেশ বা জায়গা থেকে করতে পারবেন। তার জন্য কেবল মাত্র প্রয়োজন হবে ইন্টারনেট সংযোগ এবং একটি নিদিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা। সেটি হোক ডাটা এন্ট্রি, ডিজিটাল মার্কের্টিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা অন্য কোন দক্ষতা।
এগুলো কোন একটি বিষয়ে যদি আপনার দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে আপওয়াক, ফাইবার বা অন্য যেকোন প্লাটফর্মে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে কাজের জন্য আবেদন করে খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং করে বাড়তি আয় করতে পারবেন।
স্টক ব্যবসা করে বাড়তি আয়
আপনি চাইলে এখন বাড়িতে বসে থেকে বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির স্টক কিনতে পারেন। যখন একটি স্টক এর দাম কমে যায় তখন যদি আপনি stock কিনে রাখেন তাহলে পরবর্তীতে সেটি অনেক দামে বিক্রি করা সম্ভব হয়। আপনি অনলাইনের মাধ্যমে চাইলে বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানির স্টক বা শেয়ার কিনতে পারবেন। স্টক ব্যবসার মাধ্যমেই একজন ব্যক্তি খুব সহজে কোটিপতি হতে পারে আবার খুব সহজেই নিচে নেমে যেতে পারে। তাই স্টক ব্যবসার ক্ষেত্রে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।
- আলুর স্টক ব্যবসা
- ধানের স্টক ব্যবসা
- তেলের স্টক ব্যবসা
- কাপড়ের স্টক ব্যবসা
- বিভিন্ন রকম মসলার স্টক ব্যবসা
- শেয়ার বজারে শেয়ার কেনাবেচা করা
- বৈদেশিক মুদ্রার স্টক ব্যবসা
- মিচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ
- সিগারেট সহ বিভিন্ন তামাকজাতীয় দ্রব্যের স্টক ব্যবসা
- রড, সিমেন্ট, বালির স্টক ব্যবসা
লেখকের শেষ মতামত
আজকে আপনাদের মাঝে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনারা এই বিষয়ে জানতে পেরে অনেক উপকৃত হয়েছেন। আশা করছি, উল্লিখিত উপায় গুলোর মাধ্যমে আপনারাও মাসে লক্ষাধিক টাকা প্রত্যেক মাসে ইনকাম করতে পারবেন।
আর আজকের পোষ্ট এই ছিল আমাদের মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় এর খুঁটিনাটি বিষয়াদি। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি শুরু পড়েন তাহলে থাকলে নিশ্চয় আপনি বাড়তি আয় করার উপায়, টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়, কোটি টাকা আয় করার উপায় ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত জেনে গেছেন।