ঘরে বসে বিনা পুঁজিতে ব্যবসা – ঘরে বসে ক্ষুদ্র ব্যবসা

ঘরে বসে বিনা পুঁজিতে ব্যবসা, শুনতে একটু অবাক লাগছে । কিন্তু অবাক হলেও ঘরে বসে বিনা পুঁজিতে ব্যবসা বর্তমান সময়ে সম্ভব হচ্ছে। তবে একেবারেই বিনা খরচে ব্যবসা শুরু করা খুবই কঠিন অল্প হলেও খরচ হয়। তারপরও এমন কিছু ব্যবসা আছে যেগুলোতে খরচ ও হয় না আর ঘরে বসেই করা যায়। যারা ঘরে বসে বিনা খরচে ব্যবসা করতে চান তাদের জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেল। আজকের আর্টিকেলটি পড়লে জানতে পারবেন কোন ব্যবসাগুলো করলে কোনো পুঁজি লাগে না এবং ঘরে বসেই করা যায়।

ঘরে বসে বিনা পুঁজিতে ব্যবসা

ঘরে বসে ব্যবসা বিশেষ করে মেয়েদের জন্য খুবই সুবিধাজনক। অনেক মেয়ে আছে কিছু হলেও উপার্জন করতে চায়। কিন্তু বাইরে বের হতে না পারার কারনে সেটা পেরে উঠতে পারছে না। যারা বাইরে কাজ করতে যেতে পারছেন না, ঘরে বসেই কাজ করতে চাইছেন এবং যাদের কাছে ব্যবসা করার জন্য কোনো রকম পুঁজি নেই। তাদের জন্য আজকে কিছু ব্যবসার আইডিয়া দিব, সেগুলো জেনে ঘরে বসে বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করতে পারবেন। চলুন তাহলে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিই ঘরে বসে বিনা পুঁজিতে কোন ব্যবসা গুলো করা যাবে।

ক্ষুদ্র ব্যবসার বৈশিষ্ট কি কি

ক্ষুদ্র ব্যবসা বলতে সাধারন ভাবে আমরা বুঝি, ছোট ধরনের ব্যবসা। ক্ষুদ্র ব্যবসা গুলো বেশির ভাগ ব্যক্তি মালিকাধীন হয়ে থাকে। ক্ষুদ্র ব্যবসায় পুঁজি কম এবং অল্প সংখ্যক কর্মচারী দিয়ে এ ব্যবসার পরিচালিত হয়। ক্ষুদ্র ব্যবসা তৈরি করা সহজ এবং এ ব্যবসায় তেমন কোনো ঝামেলা নেই। ক্ষুদ্র ব্যবসার বৈশিষ্ট গুলো কি একনজরে দেখে নেওয়া যাক।

স্বল্প মূলধন: ক্ষুদ্র ব্যসার প্রধান বৈশিষ্ট হলো মূলধন কম। অল্প পুঁজি দিয়ে এ ব্যবসা প্রথমে শুরু করা যায়।

ব্যক্তি স্বাধীন: ব্যক্তি নিজেই এ ব্যবসা পরিচালিত করতে পারে। ক্ষুদ্র ব্যবসা মালিকের  সরাসরি তত্ত্বাবধানে সবকিছু হয়ে থাকে।

সহজ নিয়ন্ত্রন: এ ব্যবসা ব্যক্তি মালিকানাধীন হয়ে থাকে এবং মালিক সরাসরি এ ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রন করে থাকে।

স্বল্প মেয়াদি পরিকল্পনা: এ ব্যবসা ক্ষুদ্র হওয়ায় এ ব্যবসার পরিকল্পনাও ক্ষুদ্র হয়ে থাকে।

কম সংখ্যাক কর্মী: ব্যবসা ক্ষুদ্র হওয়ায় এ ব্যবসায় বেশি সংখ্যাক কর্মচারীর প্রয়োজন হয় না।

আইনী পদক্ষেপ: এ ব্যবসায় কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয় না, ফলে আইনী কোনো ব্যবস্থাও নিতে হয় না।

পরিশ্রম কম: এ ব্যবসা ছোট পরিসরে হওয়ায়, এ ব্যবসায় অতিরিক্ত পরিশ্রম না করলেও হয়।

পারিবরিক সুবিধা: এ ব্যবসার একটি বৈশিষ্ট হলো পরিবারের সবাই চাইলে এ ব্যবসায়  একসাথে কাজ করতে পারে।

ঘরে বসে বিনা পুঁজিতে ব্যবসা

এমন অনেক মানুষ পৃথিবীতে আছে, যারা পুঁজির অভাবে কোনো ব্যবসা করতে পারছে না। ঘরে বসেই বেকারত্ব জীবন নিয়ে দিন পার করছে। তারা সবসময় ভাবে যদি বিনা পুঁজিতে ঘরে বসে কোনো ব্যবসা করা যেত তাহলে ভালো হতো। ঘরে বসে ব্যবসা আপনি করতে পারবেন, তবে এর জন্য আপনাকে জানতে হবে কি এমন ব্যবসা আছে যেগুলো বিনা পুঁজিতে ঘরে বসেই করতে পারবো। চলুন তাহলে বিনা পুঁজিতে এমন কয়েকটি ব্যবসার আইডিয়া আপনাদের দিই যেগুলো ঘরে বসেই করতে পারবেন।

  • আপনার কাছে যদি ব্যবসা করার জন্য কোনো টাকা না থাকে, তাহলে আপনি রিসেলার ব্যবসা করতে পারেন। এ কাজটি আপনি ঘরে বসে অনলাইনে করতে পারবেন। রিসেলারের কাজ হলো কোনো কোম্পানির হয়ে অনলাইনে মালামাল বিক্রি করা। এটি করতে হলে অবশ্যই আপনাকে মালামাল বিক্রি করার জন্য সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে।
  • আপনি যদি পড়ালেখায় খুবি ভালো হয়ে থাকেন, তাহলে বাড়িতে বসেই আপনি পুঁজি ছাড়া ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য আপনি বাড়িতেই টিউশনি করা শুরু করে দিন। এ ব্যবসায় আপনি সফল হতে পারবেন তবে এর জন্য প্রথমে আপনাকে একটু কষ্ট করে বাইরে প্রচার করতে হবে। কিন্তু বিনা পুঁজিতে এ ব্যবসা খুবই লাভজনক হয়ে থাকে।
  • আপনার মধ্যে যদি কম্পিউটার, সেলাইয়ের কাজ, রান্নায় পারদর্শিতা, ড্রয়িং, নাচ গান অথবা যেকোনো একটি বিষয়ে যদি পারদর্শি হয়ে থাকেন তাহলে বাড়িতেই আপনি ট্রেনিং সেন্টার খুলতে পারেন। এর জন্য আপনাকে কোনো মূলধন লাগবে না।
  • আপনার মধ্যে যদি ফ্রিলান্সিং এর দক্ষতা থেকে থাকে, তাহলে ফ্রিলান্সিং এর যেকোনো কাজ আপনি বাড়িতে বসেই করতে পারেন।
  • যারা লিখালিখির কাজে পারদর্শী তারা বাড়িতে বসে ব্লগিং করতে পারেন। এর জন্য চাইলে আপনি নিজে ওয়েবসাইট খুলে আর্টিকেল লিখে পোস্ট করতে পারেন অথবা অন্যদের আপনি আর্টিকেল লিখে দিতে পারেন। যাদের জন্য আপনি আর্টিকেল লিখবেন বিনিময়ে আপনাকে তারা টাকা দিয়ে দিবে।
  • ভালো মানের ইউটিউব চ্যানেল খুলেও আপনি বাড়িতে বসে ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে সবাই এখন ইউটিউব চ্যানেল দেখছেন, প্রতিদিন মানুষ ইউটিউবে সময় পার করছেন। তাই আপনি ইউটিউবে একটি চ্যানেল খুলে সেখানে প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ন ভিডিও আপলোড করবেন।
  • বর্তমানে সময়ে বিনা পুঁজিতে লাভজনক একটি ব্যবসার নাম হলো ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট। এর জন্য আপনাকে যেকোনো কোম্পানির জন্য বাড়ি থেকে বসে কাজ করে দিতে হবে।
  • আপনি যদি ডেটা এন্ট্রির কাজ যেনে থাকেন, তাহলে ঘরে বসেই অনলাইনে এ কাজটি আপনি করতে পারবেন। বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি এখন ডেটা এন্ট্রির জন্য অনলাইনে কর্মী খুজছেন।
  • বিনা পুঁজিতে আপনি বাড়িতেই গ্যারেজের ব্যবসা করতে পারেন। বড় বড় শহরে যাদের বাড়ি আছে তাদের জন্য এ ব্যবসা খুবই লাভজনক। আপনার বাসা গ্যারেজের জন্য ভাড়া দিয়ে প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ-  শহরে ব্যবসার আইডিয়া - পাইকারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য

উপরের আলোচনা থেকে আশা করি ঘরে বসে বিনা পুঁজিতে কি ব্যবসা করবেন জানতে পারলেন। এসব ব্যবসা করতে হলে আপনার মধ্যে বিশেষ অভিজ্ঞতা থাকা লাগেবে এবং ধৈর্য ধারন করে ব্যবসা চালিয়ে যেতে হবে। তাহলেই আপনি ব্যবসা করে সফল হতে পারবেন।

ঘরে বসে ক্ষুদ্র ব্যবসা

ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা

বর্তমান যুগে প্রযুক্তি উন্নতি হওয়ার ফলে প্রায় অনেক ব্যবসা এখন অনলাইনে করা যাচ্ছে। বিনা পুঁজি ছাড়ায় অনলাইন ব্যবসা সম্ভব হচ্ছে। ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে  এ ধরনের ব্যবসা পরিচালিত হয়। অনলাইন ব্যবসা বেকারদের জন্য এক বড় ধরনের সুযোগ এনে দিয়েছে। এ ধরনের ব্যবসাই খরচ অফলাইনের থেকে কম হয়ে থাকে। কি ধরনের ব্যবসা আপনি অনলাইনে করতে পারবেন জেনে নিন।

  • পাইকারি দামে আপনি যেকোনো পন্য প্রথমে কিনুন এরপর সেগুলো বাড়িতে রেখেই অনলাইনে বিক্রি করুন। আজকাল এ ব্যবসা করে অনেকেই লাভবান হচ্ছে, তবে যে পন্য গুলো আপনি কিনবেন সেগুলো অবশ্যই বাজারের বিক্রি দাম জেনে সে দামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিক্রি করতে হবে।
  • আপনি যদি হস্তশিল্পে পারদর্শী হন, তাহলে হস্তনির্মিত পন্য গুলো নিজ হাতে আপনি বাড়িতেই তৈরি করুন। এরপর সেগুলো কোনো বড় বাজারে যারা হস্তপন্য ক্রয়  করে তাদের কাছে দিতে পারেন অথবা আপনি নিজেই অনলাইনের মাধ্যমে সেগুলো বিক্রি করতে পারেন।
  • বর্তমানে অনলাইন ব্যবসাগুলো মধ্যে জনপ্রিয় একটি ব্যবসা হচ্ছে ই-বুক লিখা। আপনি যদি লিখালিখির কাজে পারদর্শী হন, তাহলে বিভিন্ন গুরুত্বপূন্য তথ্য জেনে বই লিখে নিন। এরপর  ওয়েবসাইটে আপনার লেখা বইগুলো প্রকাশ করুন। এ ব্যবসায় ধৈর্য এবং সময়ের প্রয়োজন, সময় ধরে চেষ্টা করলে সফল হতে পারবেন।
  • আপনার যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর দক্ষত থাকে, তাহলে অনলাইনে ব্যবসা করার আপনার জন্য বড় সুযোগ। বর্তমানে অনেক কোম্পানি এখন গ্রাফিক ডিজাইনার খুঁজছে, সে কোম্পানি গুলো চেষ্টা করলে খুঁজলেই পেয়ে যাবেন।
  • আপনি যদি ট্রেইলার্সের কাজ জেনে থাকেন, তাহলে অনালাইনে আপনি একটি ট্রেইলার সেন্টার খুলে। অনলাইনে ট্রেইলারের কাজ মানুষকে শিখাতে পারেন অথবা নতুন ডিজাইনের ড্রেস বানিয়ে সেগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন।
  • রান্নার কাজ যদি আপনি ভালো করে করতে পারেন , তাহলে প্রতিদিন মজার মজার রেসিপি বানিয়ে অনলাইনে সেগুলো বিক্রি করতে পারবেন। এরজন্য আপনাকে ডেলিভারি ম্যান রাখতে হবে। এ ব্যবসা শহরাঞ্চলে বেশি লাভজনক, কারন শহরে কর্মব্যস্ত জীবনে হাতের তৈরি খাবারের ব্যপক চাহিদা রয়েছে। এছারাও আপনি চাইলে রান্না কিভাবে করছেন সেগুলো ভিডিও করে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেগুলো সেখানে আপলোড করতে পারেন।
  • অনলাইনে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং করে আপনি ঘরে বসেই ইনকাম করতে পারবেন। এরজন্য আপনাকে বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানিগুলোর প্রোডাক্ট ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রচার করতে হবে। তবে এ কাজটি করার জন্য মার্কেটিং সম্পর্কে সঠিক ধারনা থাকতে হবে
  • অনলাইনে আপনি মসলা বিক্রি করেও ব্যবসা শুরু করতে পারেন। প্রতিদিনের রান্নার কাজে গুরুত্বপূর্ন উপাদান হলো মসলা, তবে বর্তমানে বাজারে খাঁটি মসলা পাওয়া যায় না। তাই আপনি বাজার থেকে গোটা মসলা কিনে, সেগুলো বাড়িতে গুড়া করে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। একবার যদি চেষ্টা করে এ ব্যবসা চালু করতে পারেন, তাহলে খাঁটি মসলা সবাই কিনতে আগ্রহী হবে।
আরো পড়ুনঃ-  ব্যবসা করতে কি কি প্রয়োজন - ব্যবসা শুরু করার পদ্ধতি

অনালাইনে ব্যবসা করতে উপরের যেকোনো একটি ব্যবসা আপনি বাছাই করে নিতে পারেন। মনে রাখবেন এ ব্যবসায় বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং আপনাকে প্রতিযোগিতা মূলক হতে হবে। তাহলেই আপনি অনলাইন ব্যবসা করে সফল হতে পারবেন।

ব্যবসা করার কৌশল

অনেকেই ব্যবসাকে ঝামেলা মনে করেন, তবে সঠিক কৌশলে ব্যবসা করলে কোনো ঝামেলায় হবে না। ব্যবসা করতে হলে প্রথমেই আমাদের ব্যবসা করার কৌশল সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। ব্যবসা করার সঠিক নিয়ম যদি আমরা না জানি, তাহলে ব্যবসা করার কয়েকদিন পর থেকেই লোকসানের মুখ আমাদের দেখতে হবে। ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য সহকারে করে যেতে হবে। ব্যবসা করতে কি কি কৌশল অবলম্বন করবেন জেনে নিন-

ব্যবসা শুরু করার আগে দেখে নিন আপনার কি পরিমান মূলধন আছে। কারন ব্যবসা করার মূল অস্ত্র হলো মূলধন। আপনার কাছে যে পরিমান মূলধন আছে সে অনুযায়ী আপনাকে ব্যবসা নির্ধারন করতে হবে। আপনার কাছে মূলধন কম আছে, কিন্তু আপনি যদি বড় ব্যবসা করতে যান তাহলে সে ব্যবসায় লোকসান বেশি হয়। ব্যবসা  শুরু করার আগে যে ব্যবসা করবেন সে ব্যবসা নির্বাচন করে, ব্যবসাকে উদ্দেশ্য করে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে নিন কিভাবে ব্যবসা করলে ভালো হবে।

ব্যবসার শুরুতেই আপনাকে গ্রাহকের মন জয় করতে হবে, অর্থ্যাৎ গ্রাহকের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। আপনি যে ব্যবসায় করুন না কেন, ব্যবসার মুল বিন্দু হলো গ্রাহক। তাই আপনাকে গ্রাহকের বিশ্বাসকে অর্জন করতে হবে। গ্রাহক কে আপনি যদি সততার সাতে সঠিক পন্য দিতে পারেন, তাহলেই গ্রাহকের বিশ্বাস অর্জন করতে পারবেন।

এমন ব্যবসা আপনাকে করতে হবে, যে ব্যবসা সম্পর্কে আপনি জানেন এবং কিছু হলেও সে ব্যবসা সম্পর্কে আপনার ধারনা আছে। একটা ব্যবসা আপনি করতে গেলেন অথচ সে ব্যবসা সম্পর্কে আপনার কোনো ধারনায় নেই। তাহলে ঐ ব্যবসা আপনি বেশিদিন টিকিয়ে রাখতে পারবেন না। তাই আপনি যে ব্যবসা করবেন সে ব্যবসা সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা থাকা লাগবে। সেই সাথে আপনাকে ব্যবসার জন্য সঠিক প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ-  মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

আপনার ব্যবসা যদি বড় হয়, তাহলে সে ব্যবসাই অবশ্যই অনেক কর্মী থাকবে। আর সে কর্মীদের আপনাকে সঠিকভাবে নেতৃত্ব প্রদান করতে হবে। প্রতিটা কর্মীর দিকে খেয়াল রাখতে হবে যে তারা মন দিয়ে সততার সাথে কাজ করছে কি না। তার সাথে আপনাকে কর্মীদের সাথে নম্র ব্যবহার করতে হবে এবং কর্মীদের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।

ব্যবসায় সফল হতে আপনার মধ্যে সর্বদা ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে এবং কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কঠোর পরিশ্রময় পারে ব্যবসাকে সফলতার শিকরে দাড় করাতে। যেকোনো ব্যবসা প্রথমে শুরু করার সময়টা আপনার কাছে একটু কঠিন হবে, সে কঠিন সময় অবশ্যই আপনাকে ধৈর্যতার সাথে পার করতে হবে। ব্যবসার শুরুর দিকে আপনি কখনয় ব্যবসার টাকা সরাবেন না, বিশেষ করে ব্যবসার ক্যাশ টাকা কখনয় সরাবেন না।

পরিশেষে বলতে চাই আপনি যে ব্যবসায় করুন না কেন অবশ্যই মনোযোগ এবং দক্ষতার সাথে করবেন। কারন মনোযোগ ও দক্ষতার অভাবে আপনি ব্যবসাই কোনোদিনও সফল হতে পারবেন না, ব্যর্থ হয়ে যাবেন।

লেখকের শেষ বক্তব্য

ঘরে বসে বিনা পুঁজিতে ব্যবসা – ঘরে বসে ক্ষুদ্র ব্যবসা সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি ঘরে বসে বিনা পুঁজিতে ব্যবসা – ঘরে বসে ক্ষুদ্র ব্যবসা সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।

Leave a Comment