বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায়
আজকে আমরা জানবো বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় এবং বিদেশ থেকে রেমিটেন্স পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কিত বিদেশ থেকে রেমিটেন্স এবং টাকা পাঠানোর এ টু জেড তথ্য সম্পর্কে আমরা জানব।
তাই আপনি যদি বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় এবং রেমিটেন্স সম্পর্কে জানতে চান তাহলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন এবং আমাদের সাথে থাকুন আরো জানতে বিস্তারিত নিচে দেখুন নিচে এ টু জেড তথ্য উল্লেখ করা হলো।
প্রবাসী কাদেরকে বলে
প্রবাসী মূলত তাদেরকেই বলে যারা জীবনের সফলতা আনার জন্য দেশের বাইরে গিয়ে বিদেশে কর্মরত থাকে এবং টাকা উপার্জন করে থাকে বিদেশে টাকা উপার্জনের জন্য যাওয়াকে মূলত প্রবাসী বলে থাকে দেশের বাইরে চাকরির জন্য এবং কর্মরত অবস্থায় থাকাকে বলা হয় প্রবাসী।
রেমিটেন্স কি
রেমিটেন্স হল এক ধরনের টাকা প্রেরণ করা বা অর্থ প্রেরণ করার মাধ্যম যেমন বিদেশে কর্মরত কিছু শ্রমিক বা চাকরিজীবী থাকে তারা যা টাকা উপার্জন করে সে টাকা নিজের পরিবারের জন্য বা আত্মীয়-স্বজনের জন্য অর্থ প্রেরণ করে থাকে সেই অর্থ প্রেরণ করাকেই বলা হয় রেমিট্যান্স।
রেমিট্যান্স থেকে সরকারের আয়
রেমিটেন্স থেকে সরকারের আয় কিভাবে হয়ে থাকে চলুন জেনে নেয়া যাক রেমিট্যান্স থেকে সরকারের আই মূলত যখন অন্য দেশ থেকে প্রবাসীরা টাকা পাঠিয়ে থাকে সেটা কোন টাকা নয় ডলার সেই ডলার বাংলাদেশে এসে ডলার ভাঙ্গিয়ে তা টাকায় পরিণত করতে হয় এর মাধ্যমেও সরকারের একটি আই আছে এবং সেই ডলার টাকায় রূপান্তরিত হয়ে বাংলাদেশের যেকোনো পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের মাধ্যমেও সরকারের আয় হয়ে থাকে এবং আরো অনেক মাধ্যমে রেমিটেন্স থেকে সরকারের আয় হয়ে থাকে কারণ এখন বর্তমানে প্রবাসীদের কাছ থেকে আই দাঁড়িয়েছে প্রবাসীরা 23.91 বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে বাংলাদেশ এর থেকে ডলারে একটা করে আসলেও কত হিসাব করেছেন।
আরো পড়ুন: আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর নিয়ম
বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায়
বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায় অনেকেরই হয়তোবা জানা নেই। যারা প্রবাসী তারা প্রতি মাসে হয়তো তাদের পরিবার-পরিজনের জন্য নিয়মিত অর্থ পাঠিয়ে থাকেন। এই অর্থ আমাদের দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই বিষয়ে হয়তো আপনারা জানেন।
অনেকেই জানেন না আসলে বিদেশ থেকে নিকের দেশে মানে আমাদের বাংলাদেশে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠানো যায়। এই ব্লগ পোস্টে আমরা এই প্রশ্নের উত্তর দেবো এবং বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করব।
একক লেনদেনে
- বিকাশ: ২৫০,০০০ টাকা
- রকেট: ৫০,০০০ টাকা
- নগদ: ৫০,০০০ টাকা
- উপায়: ৫০,০০০ টাকা
- এম ক্যাশ: ৫০,০০০ টাকা
মাসিক সীমা
- বিকাশ: ৫০০,০০০ টাকা
- রকেট: ২,০০,০০০ টাকা
- নগদ: ২,০০,০০০ টাকা
- উপায়: ২,০০,০০০ টাকা
- এম ক্যাশ: ২,০০,০০০ টাকা
যেমন রেমিটেন্স এর মাধ্যমে টাকা পাঠালে বাংলাদেশের জন্য লেনদেনের সর্বোচ্চ আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাঠাতে পারবেন এবং এর সাথে ২.৫% সরকারি প্রণোদান যুক্ত হয়ে যাবে অনেকেই মনে করে হয়তোবা আড়াই লক্ষর বেশি বিকাশের মাধ্যমে রেমিটেন্সে টাকা পাঠানো হয় কিন্তু আড়াই লক্ষর বেশি হলে কখনোই বিকাশ অ্যাড মানি এবং মানি রিসিভ করতে দেবে না তখন রেমিটেন্স ও সরকারি ভাতা ব্যতীত কোন কিছুই সম্ভব হবে না রিচার্জের মাধ্যমটি শুধু চালু রইবে।
বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোর নিয়ম
বিদেশ থেকে রেমিটেন্স এটা পাঠানোর অথবা রেমিটেন্স পাঠানোর কয়েকটি ধাপ রয়েছে যেমন কয়েকটি মাধ্যমে রেমিট্যান্স সার্ভিস দিয়ে থাকে যথা
মোবাইল ব্যাংকিং
- বিকাশ
- রকেট
- নগদ
- উপায়
- এম ক্যাশ
ব্যাংকিং চ্যানেল
- অনলাইন ব্যাংকিং
- মোবাইল ব্যাংকিং
- এটিএম, শাখা
- Western Union
- MoneyGram
- Remitly
- TransferWise
এই কয়েকটি মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটেন্সের মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়ে থাকে এ কয়টি মাধ্যমে দ্রুত টাকা পাঠানো যায় বিদেশ থেকে যেকোনো দেশ-বিদেশে তাই আপনারা যদি রেমিটেন্স সম্পর্কিত তথ্য জানতে চান তাহলে উপরোক্ত মাধ্যম গুলো আপনার জন্য অনেক মূল্যবান এই কয়টি মাধ্যমের দ্রুত টাকা পাঠানো যায় বিদেশ থেকে দেশে।
বিদেশ থেকে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে
বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে, যেমন ট্রান্সফারের উপযুক্ত উপায় ব্যাংকের নীতি, কারেন্সি এক্সচেঞ্জ দর, ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংকিং এবং ট্রান্সফার সার্ভিস এর দ্বারা যে ধরুন সেবা নেওয়া হয়।
যেহেতু বিদেশ থেকে আমাদের বাংলাদেশে টাকা বিভিন্ন উপায়ে আসে তাই একেক ক্ষেত্রে একেক সময় লাগতে পারে যেমনঃ
- ব্যাংক ট্রান্সফার
- রেমিটেন্স কোম্পানি
- পোস্টাল সার্ভিস
- ইউনিট পেমেন্ট ইত্যাদি।
এছাড়াও অন্যান্য সার্ভিস এর মাধ্যমে। সময়প্রয়োজন হবে, সেটি নির্ভর করবে যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং বিদেশেও বাংলাদেশের ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে। সাধারণভাবে অনেক সময় ট্রান্সফার করা টাকা এক থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত সময় নিতে পারে।
বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর নিয়ম
বিদেশের কষ্টার্জিত টাকা সবাই তার পরিবার-পরিজনের কাছে পাঠিয়ে থাকে, এই নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন কিভাবে টাকা বাংলাদেশে পাঠানো যায়, চলুন এবার আমরা জেনে নিই, বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর নিয়ম গুলোঃ
ব্যাংক ট্রান্সফার: বাংলাদেশের ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারেন, এটি একটি নির্দিষ্ট ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পাদিত হতে পারে, এবং ব্যাংকের নির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি অনুসরণ করতে হবে।
রেমিটেন্স সার্ভিস: বিদেশের রেমিটেন্স কোম্পানি ব্যবহার করে টাকা পাঠাতে পারেন, যেমন ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, মানিকগ্রাম ইত্যাদি। আপনি নিকটতম ব্যাংকে সম্মানিত রেমিটেন্স সার্ভিস কেন্দ্রে গিয়ে টাকা প্রেরণ করতে পারেন।
ইমনি ট্রান্সফার: ইমনি ট্রান্সফার পেইমেন্ট সিস্টেমে খুব সহজেই বাংলাদেশে টাকা পাঠান যায়।
অনলাইন রেমিটেন্স সার্ভিস: এই ধরনের সার্ভিসের মাধ্যমে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানো যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, মানিগ্রাম, ইটালিয়ান পোস্ট, ইয়ন, বিকাশ ইত্যাদি।
বিশেষজ্ঞ ট্রান্সফার সার্ভিস: কিছু ব্যাংক এবং রেমিটেন্স কোম্পানি এখনি/দ্রুত বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর সার্ভিস প্রদান করতে পারে যা সাধারণভাবে দ্রুত এবং সুরক্ষিত, আপনার নিকটস্থ ব্যাংক বা রেমিটেন্স সার্ভিস সেন্টারে যাওয়া এবং ব্যক্তিগত তথ্য এবং নির্দেশনা পেতে সবচেয়ে ভালো উপায় হতে পারে।
আরো পড়ুন: ডলারের দাম কিভাবে নির্ধারিত হয়
বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
বিদেশ থেকে বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠানো। তো আপনি কি বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম জানতে চাচ্ছেন? ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানো অনেক সহজ। প্রথমত আপনার নিজের একটি সচল অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে, এরপরে ইসলামী ব্যাংকের "সেলফিন" সার্ভিস এর সাথে যুক্ত হতে হবে।
তারপর বিদেশে ইসলামী ব্যাংকের ফরেন রেমিটেন্স হাউস এর যেকোন একটি শাখা খুঁজে বের করে সেখানে গিয়ে সেই দেশের মুদ্রা জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট কালেকট করে নিয়ে সাবমিট করলে একটি ইউজার স্লিপ আপনাকে দিবেন এরপর টাকা দেশের ব্যাংকে ট্রান্সফার করে দিবেন।
এছাড়াও বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, সহ আরো অন্যান্য ব্যাংকে টাকা পাঠানোর প্রায় একই ধরনের নিয়ম রয়েছে। প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক কিছুটা পার্থক্য থাকলেও প্রায় একই ধরনের সময় প্রয়োজন হয়ে থাকে।
লেখকের শেষ মতামত
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি বিদেশ থেকে রেমিটেন্স পাঠানোর নিয়ম এবং প্রবাসী রেমিটেন্স সম্পর্কে এটুজেট তথ্য আরো জেনেছি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোথায় এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার এ টু জেড তথ্য এক কথায় বলা যায় প্রবাসী এবং রেমিটেন্স সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য তুলে ধরা
হয়েছে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে তাই আপনি যদি না জেনে থাকেন সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার চেষ্টা করুন নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন কারণ আমরা সঠিক তথ্যগুলো দেওয়ার চেষ্টা করে থাকি এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।