বাংলাদেশে বিনা জামানতে ঋন দেয় কোন ব্যাংক

ব্যাংক থেকে ঋন আমরা  অনেকেই নিয়ে থাকি। বিভিন্ন কাজ ক্ষেত্রে আমাদের ঋনের প্রয়োজন হয়। এ ঋন সাধারনত ব্যাংক থেকে জামানত দিয়ে নিতে হয়। তবে বাংলাদেশে এমন অনেক ব্যাংক রয়েছে যে ব্যাংকগুলো বিনা জামানতে ঋন দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশে বিনা জামানতে ঋন দেয় কোন ব্যাংক

অনেকেই বিনা জামানতে ব্যাংক থেকে ঋন নিতে চাইছেন। তবে সঠিক তথ্য আপনাদের জানা নেই যে কোন ব্যাংকগুলো বিনা জামানতে ঋন দেয়। এছারাও কিভাবে ঋন পাবেন, মাসিক কিস্তির হিসাব, পরিশোধের নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী। আমরা আজকের আর্টিকেলে এসব তথ্যই তুলে ধরেছি। আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ন পড়লে জেনে যাবেন বাংলাদেশে  বিনা জামানতে ঋন দেয় কোন ব্যাংক। চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশে বিনা জামানতে ঋন দেয় কোন ব্যাংক।

বিনা জামানতে ঋন দেয় কোন ব্যাংক

যে ঋন নিতে গিয়ে কোন প্রকার অর্থ বা সম্পদ ব্যাংকে জমা দিতে হয় না সেটি হলো বিনা জামানতে ঋন। বাংলাদেশে বেকারত্বের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ার কারনে ব্যাংক থেকে ঋন নেওয়ার গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ছে। বেকার হয়ে বসে না থেকে অনেকেই ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা শুরু করছে। তবে জামানত দিয়ে সব গ্রাহকের ক্ষেত্রে ব্যাংকে লোন নেওয়া সম্ভব হয় না। তাই অনেক গ্রাহক আছেন যারা বিনা জামানতে ব্যাংক থেকে ঋন নিতে চাইছেন। কিন্তু অনেকের সঠিক তথ্য জানা নেই, যে বাংলাদেশে এমন কয়েকটি ব্যাংক রয়েছে যেগুলো বিনা জামানতে ঋন দিয়ে থাকে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক বিনা জামানতে ঋন দেয় কোন কোন ব্যাংকগুলো।

বাংলাদেশ  ব্যাংকগুলোর সাথে চুক্তি করে ৪৩ টি ব্যাংক ও আর্থিক ৮ টি প্রতিষ্ঠান বিনা জামানতে ঋন দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন। বিনা জামানতে ঋন দেওয়া সরকারি ব্যাংকগুলো হলো-

  • সোনালী ব্যাংক
  • জনতা ব্যাংক
  • রূপালী ব্যাংক
  • বেসিক ব্যাংক
  • অগ্রনী ব্যাংক
  • কর্মসংস্থান ব্যাংক
  • রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক

বেসরকারী বিনা জামানতে ব্যাংকগুলো হলো-

  • মার্কেন্টাইল ব্যাংক
  • ডাচ বাংলা ব্যাংক
  • ইস্টার্ন ব্যাংক
  • ব্যাংক এশিয়া
  • মেঘনা ব্যাংক
  • ওয়ান ব্যাংক
  • সীমান্ত ব্যাংক
  • যমুনা ব্যাংক
  • এবি ব্যাংক সহ প্রভৃতি বেসরকারি ব্যাংকগুলো বিনা জামানতে ঋন দিয়ে থাকে।

তবে মনে রাখবেন বিনা জামানতে সবাই ঋন পায় না। ঋন নিতে কিছু শর্ত রয়েছে যেগুলো ঋন গ্রহীতার পূরন করা আবশ্যক।

ব্যাংক ঋন পাওয়ার উপায়

সুদের বিনিময়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তলন করায় হলো ব্যাংক ঋন। বিভিন্ন কারনে ব্যাংকে লোন নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে যায়। মেয়াদের দিক বিবেচনায় ব্যাংকের ঋন দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি স্বল্পমেয়াদী অপরটি দীর্ঘমেয়াদী। স্বল্পমেয়াদী ঋনগুলোর সময় কম হয়, সাধারণত এ ঋনগুলোর মেয়াদ এক বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর দীর্ঘমেয়াদী ঋনগুলো দীর্ঘসময়ের হয়ে থাকে। ব্যাংকে ঋন কিভাবে পাবেন অনেকের সে বিষয়ে সঠিক ধারন নেয়। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্যাংক এ ঋন নেওয়ার উপায়গুলো।

আরো পড়ুনঃ-  ব্র্যাক ব্যাংক লোন পদ্ধতি - ব্র্যাক ব্যাংক লোন সুবিধা

দুই ধরনের ঋন ব্যাংক থেকে পাওয়া যায়। একটি যেকোনো সম্পত্তি বা আর্থিক সম্পদ জামানত দিয়ে ঋন আর অন্যটি বিনা জামানতে ঋন। ব্যাংক থেকে ঋন নিতে কিছু শর্ত পালন করা জরুরি। তাই ঋন নেওয়ার আগে  প্রথমে আপনি দেখে নিবেন কোন ব্যাংকগুলোর শর্তগুলো আপনি পালন করতে পারবেন। আর যে ব্যাংকের শর্তগুলো আপনি পূরন করতে সক্ষম হবেন, সে ব্যাংক থেকেই ঋন আপনাকে নিতে হবে। ব্যাংক থেকে ঋন নিতে যে বিষয়গুলো আপনার খেয়াল রাখা ও জানা জরুরি সেগুলো হলো-

  • ব্যাংক থেকে ঋন নিবেন কোন প্রয়োজনে।
  • যে ব্যাংক থেকে ঋন নিবেন সে, ব্যাংক ঋনের শর্তগুলো কি।
  • যে ব্যাংক থেকে ঋন নিবেন সে ব্যাংকের সুদের হার কত।
  • সে ব্যাংকের সুবিধা ও অসুবিধা।
  • জামানত দিয়ে ঋন নিবেন নাকি বিনা জামানতে।

এরূপ প্রভৃতি বিষয়গুলো ঋন নেওয়ার আগে ভেবে নিবেন। এবার জেনে নিন ব্যাংক থেকে ঋন নেওয়ার উপায় গুলো কি কি-

ব্যাংক থেকে ঋন নেওয়ার কয়েকটি উপায় রয়েছে, সেটির মধ্যে আপনার ইচ্ছা মতো বাছাই করে নিবেন যে আপনি কোন উপায়ে ঋন নিবেন। ব্যাংক থেকে ঋন নেওয়ার উপায়গুলো-

  • ব্যবসা ব্যানিজ্য সংক্রান্ত ঋণ
  • বাড়ি নির্মাণ সংক্রান্ত ঋণ
  • ব্যক্তিগত সংক্রান্ত ঋণ
  • গাড়ি ক্রয় সংক্রান্ত ঋণ
  • প্রবাস সংক্রান্ত ঋণ
  • কৃষি সংক্রান্ত ঋণ
  • বেকার সংক্রান্ত ঋণ
  • পড়াশোনা সংক্রান্ত ঋণ
  • চিকিৎসা সংক্রান্ত ঋণ
  • বিবাহ সংক্রান্ত ঋণ
  • ক্ষুদ্র ও মাঝারি ঋণ
  • যে কোনো দুর্যোগে তাৎক্ষণিক ঋণ
  • শিল্প কারখানার জন্য ঋণ

উপরের বলা ঋন সোর্স থেকে আপনি যেকোনো একটি সোর্স বাছাই করবেন। এরপর আপনার বাছাইকৃত ব্যাংক থেকে ঋন আপনি নিতে পারবেন।

ব্যাংক লোনের মাসিক কিস্তির হিসাব

ব্যাংক থেকে যারা লোন নেয়, তাদের একটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লোন পরিশোধ করতে হয়। যদি আপনি ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান তাহলে আপনাকে মাসিক কিস্তি হিসাব করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। আপনি ব্যাংক থেকে লোন নিতে চাইছেন, কিন্তু বুঝতে পারছেন না আপনার মাসিক কিস্তি কত পড়বে। তো আপনার এ সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা ব্যাংক থেকে লোনের কিস্তির হিসাব বের করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করেছি। তো চলুন নি¤েœর আলোচনা থেকে জেনে নিন ব্যাংক লোনের কিস্তির হিসাব সম্পর্কে বিস্তারিত।

ব্যাংক থেকে লোনের মাসিক কিস্তির হিসাব বের করতে কয়েকটি বিষয় আপনার জানতে হবে। সেগুলো হলো-

  • প্রথমে ভেবে নিন কত টাকা লোন আপনি ব্যাংক থেকে করতে চাইছেন।
  • সে ব্যাংকের দের হার কত (%)
  • কত বছরের মেয়াদে লোন নিচ্ছেন।

ঘরে বসে যদি আপনি ব্যাংক লোনের মাসিক কিস্তির হিসাব বের করতে চান, তাহলে প্রথমে আপনার ফোন থেকে EMI ক্যালকুলেটর ডাউনলোড করতে হবে এবং সে ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে আপনি বের করে নিতে পারবেন ব্যাংক লোনের মাসিক কিস্তির হিসাব। তো জেনে নিন ইএমআই’ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে কিভাবে ব্যাংক লোনের মাসিক কিস্তির হিসাব বের করবেন।

মনে করুন আপনি ১ লক্ষ টাকা লোন নিচ্ছেন ১ বছর মেয়াদে এবং যে ব্যাংক থেকে লোন নিচ্ছেন তার সুদের হার ৮%। তাহলে সেক্ষেত্রে মাসিক কিস্তির হিসাব দেখে নিন-

আরো পড়ুনঃ-  ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম বিস্তারিত জানুন

EMI অ্যাপস এ গিয়ে ৩ টি অপশন দেখতে পাবেন। যথা- Amount, Interest %, Period

Amount এর ঘরে টাকার পরিমাণ অর্থ্যাৎ ১ লক্ষ্য, Interest এ সুদের হার অর্থ্যা ৮ বসাবেন, Period ঘরে কত বছরের জন্য লোন নিচ্ছেন সেটা বসাবেন অর্থ্যাৎ ১। এরপর ক্যালকুলেড করলে মাসিক হিসাব পেয়ে যাবেন। উপরের টাকার পরিমাণ অনুযায়ী অর্থ্যাৎ ১ লক্ষ্য টাকা যতি আপনি ৮% সুদে ১ বছরের জন্য নেন, তাহলে আপনাকে মাসিক কিস্তি লাগবে ৮৬৯৯ টাকা। আর ১ লক্ষ্য টাকায় সুদ লাগবে ৪৩৮৬ টাকা, তাহলে  মোট টাকার পরিমান লাগবে ১,০৪,৩৮৬ টাকা।

উপরের আলোচনা যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আশা করি ব্যাংক লোনের মাসিক কিস্তির হিসাব বের করে নিতে পারবেন।

সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক

সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক

ব্যাংকের ঘরে আমাদের বিভিন্ন আর্থিক প্রয়োজন মিটানোর জন্য যেতে হয়। অনেকের স্বপ্ন বড় কোনো ব্যবসা করা অথবা সুন্দর একটি বাড়ি তৈরি করা। তবে বর্তমান সময়ে দ্রব্য সামগ্রীর দাম বাড়ার কারনে মানুষের ইনকামের টাকা বা সম্পদ থেকে প্রাপ্ত টাকায় স্বপ্নগুলো পূরণ করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। তাই স্বপ্ন পূরনের জন্য ব্যাংক থেকে লোন নিতে হয় অনেককেরই। তবে অনেক ব্যাংক রয়েছে, যেগুলো থেকে লোন নিলে মোটা অঙ্কের সুদ দিতে। যার কারনে সে ব্যাংকগুলো থেকে লোন নেওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। তাই যারা লোন নিতে চাইছেন তারা অনেকেই জানতে চান সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক সবচেয়ে কম সুদের কোন ব্যাংকগুলো লোন দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশের যে ব্যাংকগুলো কম সুদে লোন দিয়ে থাকে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-

  • এবি ব্যাংক
  • বেসিক ব্যাংক
  • ব্র্যাক ব্যাংক

এ ব্যাংক তিনটি থেকে কম সুদে লোন আপনি পেয়ে যাবেন। সুদের হার সম্পর্কে জেনে নিন-

এবি ব্যাংক: এবি ব্যাংক বেসরকারি একটি ব্যাংক। কম সুদে লোন দেওয়া ব্যাংকের তালিকায় রয়েছে এবি ব্যাংক’। এ ব্যাংকটি সবথেকে কম সুদে গ্রাহকদের লোন দিয়ে থাকে। পার্সোনাল লোন যদি আপনি নিতে চান তাহলে সবথেকে ভালো হবে এবি ব্যাংক লিমিটেড থেকে লোন নেওয়া। কম সুদে পার্সোনাল লোন এ ব্যাংক থেকে পেয়ে যাবেন। পার্সোনাল লোন এবি ব্যাংক ৭.৪৩% সুদে  লোন দিয়ে থাকে। ২০ লক্ষ পর্যন্ত পার্সোনাল লোন এ ব্যাংক থেকে আপনি নিতে পারবেন। এ ব্যাংকের সর্বচ্চো লোনের মেয়াদ ৫ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে।

বেসিক ব্যাংক: কম সুদে লোন নিতে হলে বেসিক ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারেন। বিশেষ করে যারা নতুন বাড়ি তৈরি করতে লোন নিতে চাইছেন তাদের জন্য এ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া ভালো হবে। বেসিক ব্যাংকের যেকেনো একটি শাখা থেকে বাড়ি বানানোর জন্য লোন আপনি পেয়ে যাবেন। বেসিক ব্যাংক গ্রাহকদের ৮% সুদে লোন দিয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ-  বাংলাদেশ ব্যাংক ওয়েবসাইট - বাংলাদেশ ব্যাংক নোটিশ

ব্র্যাক ব্যাংক: কম সুদে যে ব্যাংকগুলো লোন দিয়ে থাকে তার মধ্যে একটি হলো ব্র্যাক ব্যাংক। পার্সোনাল লোনগুলো ব্র্যাক ব্যাংক থেকে নিতে পারেন। এ ব্যাংকটি ৯% সুদে গ্রাহকদের লোন দিয়ে থাকে।

কম সুদে ব্যাংক থেকে লোন নিতে চাইলে উপরের বলা তিনটি ব্যাংক এর মধ্য থেকে যেকোনো একটি থেকে লোন আপনি নিতে পারেন।

ব্যাংক লোন পরিশোধের নিয়ম

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চাহিদার যেন শেষ নেই। সে চাহিদা ছোট অথবা বড় হয়ে থাকে। আমরা ছোট চাহিদাগুলো সহজেই পূরন করতে পারলেও বড় চাহিদাগুলো পূরন করতে হিমশিম খেয়ে যায়। আর তখনি ব্যাংক থেকে আমরা ঋন নেওয়ার কথা ভাবি। ব্যাংক থেকে লোন নিলে সেটা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, প্রত্যেক মাসে পরিশোধ করতে হয়। যদি এ লোন পরিশোধ করতে না পারেন তাহলে আইনি সহ বেশ কিছু সমস্যার মধ্যে আপনি পড়ে যাবেন। তাই ব্যাংক থেকে লোন নিলে সেটা পরিশোধ করা অত্যান্ত জরুরি একটি বিষয়। তবে অনেকেই আছেন ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার পড়ে কোন নিয়মে ব্যাংক লোন পরিশোধ করবেন বুছে উঠতে পারে না। তো চলুন কয়েকটি সহজ নিয়ম জেনে নিন ব্যাংক লোন পরিশোধের।

প্রথমতো, আপনার পুরো মাসের একটি বাজেট তৈরি করে নিন। হিসাব রাখবেন মাসে আপনি কোথায় কি খরচ করছেন। সে খরচ থেকে কিছু টাকা জমানোর চেষ্টা করুন। এতে আপনার লোন পরিশোধ করতে সুবিধা হবে।

দিত্বীয়ত্ব, লোনের টাকা পরিশোধের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিন। এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা লোনের টাকাকে গুরুত্ব সহকারে দেখেন না, যার কারনে বড় ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। আপনি যদি কোনো কাজ বা চাকরি করে থাকেন, তাহলে হিসাব করুন কত টাকা মাস শেষে আপনি কাজ করে বা চাকরি করে পাচ্ছেন। এরপর দেখুন মাসে আপনি কি কি জিনিস ক্রয় করছেন। এমন অনেক জিনিস আছে যেগুলো আপনার তেমন প্রয়োজন না তবুও আপনি সেগুলোর পেছনে খরচ করছেন। তাই যে জিনিস গুলো আপনার প্রয়োজন হলেও, লোন পরিশোধ হওয়া পর্যন্ত যদি আপনি জিনিসগুলো না কিনেন তাহলে আপনার বড় কোনো অসুবিধা হবে না। আর সে কারনে লোন পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত বিষয়গুলো এড়িয়ে চলুন।

তৃত্বীয়ত্ব, আপনি যে ইনকাম প্রত্যেক মাসে করে থাকেন, সে ইনকাম দিয়ে যদি আপনার লোন সোজ করতে না পারেন, তাহলে যে কাজ আপনি করে থাকেন সে কাজের পাশাপাশি অন্য কাজ করে আয় বাড়ানোর চেষ্টা করুন।

ব্যাংক থেকে লোন নিলে, যদি সেটা পরিশোধ করতে কষ্ট হয়ে যায় তাহলে লোন পরিশোধ করতে উপরের বলা নিয়মগুলো ফলো করতে পারেন। এ নিয়মগুলো আপনার ব্যাংক লোন পরিশোধ করতে অনেকটাই সহয়তা করবে।

লেখকের শেষ বক্তব্য

বাংলাদেশে বিনা জামানতে ঋন দেয় কোন ব্যাংক সে সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি বাংলাদেশে বিনা জামানতে ঋন দেয় কোন ব্যাংক সে সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।

Leave a Comment