টাকা আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ন একটি অংশ। টাকার অভাব আমাদের বিভিন্ন কষ্টের মধ্যে ফেলে দেয়। তবে এ টাকা আসল ও জাল হয়ে থাকে। আর জাল টাকা আমাদের বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে ফেলে দিতে পারে এবং শিকার হতে হয় প্রতারণার। তাই আমাদের জানতে হবে জাল টাকা চেনার উপায় এবং আসল টাকার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।
এ বিষয়গুলো যদি আমরা বিস্তারিতভাবে জানতে পারি, তাহলে জাল টাকা আমরা সহজেই চিনে নিতে পারবো। আমরা আজকের আর্টিকেলে জাল টাকা চিনার উপায় এবং আসল টাকার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করবো। চলুন তাহলে শুরু করা যাক জাল টাকা চিনার উপায় এবং আসল টাকার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
আসল টাকার বৈশিষ্ট্য
প্রতিদিনের চলার পথে আমাদের টাকার প্রয়োজন। টাকা ছাড়া এক মুহূর্ত চলা যায় না এবং বাঁচা যায় না। টাকা দিয়েই পৃথিবীর সবকিছুর মাপকাঠি করা হয়। অনেক সময় আমাদের মধ্যে অনেকেই জাল টাকার প্রতারণার জালে ফেঁসে যায় এবং বড় ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়ে যায়। এ ধরনের বড় সমস্যায় যাতে আপনাকে পড়তে না হয়, সেজন্য আপনাকে চিনতে হবে আসল টাকা কেমন হয়। নি¤েœ আসল টাকার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে। সে আলোচনা থেকে জেনে নিন আসল টাকার বৈশিষ্ট্য কি কি।
- টাকা যদি আসল হয়, তাহলে আসল টাকার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ ও বাঘের মাথার স্পষ্ট জলছাপ দেখতে পাবেন। জাল টাকায় মধ্যে সেটা স্পষ্টভাবে দেখা যায় না।
- সবধরনের টাকার দুই পাশে ডিজাইন করা থাকে, মধ্যঅংশে লিখা থাকে, ও সমান্তরাল সরল রেখায় উঁচু নিচু হয়ে মুদ্রিত থাকে। যার ফলে টাকাতে হাত দিলে আপনি একটা খসখসে ভাব অনুভব করতে পারবেন।
- প্রত্যেক টাকার মধ্যে ছোট বৃত্তাকার ছাপ রয়েছে, তাই টাকা ভালোভাবে পর্যবেক্ষন করলে, বুঝতে পারবেন হাতের স্পর্শে টাকা উঁচু নিচু মনে হচ্ছে।
- ১০০, ৫০০, ১০০০ টাকার নোটের যে দিকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি আছে, সেদিকে আড়ালে ১০০, ৫০০, ১০০০ সংখ্যাগুলো ছাপানো রয়েছে। নোটগুলো কাত করে দেখলেই আড়ালে যে সংখ্যাগুলো লিখা রয়েছে সেগুলো দেখতে পাবেন।
- প্রত্যেক মূল্যমানের টাকার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো সংবলিত নিরাপত্তা সুতা বিদ্যমান থাকে। খুবই মজবুত হয় নিরাপত্তা সুতা, যার কারনে এ সুতো কোনো কারনে উঠে যায় না।
উপরের বলা বৈশিষ্ট্যগুলো আপনি আসল টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন কিন্তু জাল টাকার মধ্যে এগুলো পাবেন না। এভাবে ভালোভাবে পর্যবেক্ষন করলে আসল টাকা চিনে যাবেন এবং কারও থেকে প্রতারিত হবেন না।
জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন
পৃথিবীর সবকিছু অচল টাকা ছাড়া। আমরা যাই কাজ করি না কেন, টাকার লেনদেন আমাদের করা লাগে। টাকার গুরুত্ব আমরা সবাই বুঝি। তবে আসল টাকার মধ্যে আবার জাল টাকাও বের হয়েছে যার কারনে অনেক বড় ধরনের সমস্যায় আমাদের পড়তে হয়। জাল নোটের শিকার হতে অনেককেই দেখা গেছে। বিশেষ করে বড় কোনো উৎসবে যেমন ঈদে, পূজায় জাল নোটের প্রচলন হতে বেশি দেখা যায়। এ সময়গুলোতে অসাধু ব্যবসায়ীরা জাল নোটের ব্যবহার বেশি পরিমাণে করে থাকে। তাই এ সময় বেশি সাবধানে থাকা জরুরি। জাল নোট পাওয়া থেকে রক্ষা পেতে, জাল নোট শনাক্ত কিভাবে করবেন সে বিষয় জানা জরুরি।
জাল নোট আমরা হাতের স্পর্শে বা চোখে দেখে পরীক্ষা করে নিতে পারি। জাল টাকার নোটগুলো নতুন হয়ে থাকে, ঝাপসা দেখায়, সহজেই কাগজের মতো ভাঁজ হয়ে যায়, অপরদিকে আসল টাকা খসখসে হয়, কাগজের মতো ভাঁজ হয় না। তবে হাতে স্পর্শ বা চোখে দেখা ছাড়াও জাল নোট চিনতে আধুনিক যুগে কিছু প্রযুক্তি বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন। অনেক সময় নিশ্চিতভাবে জাল নোট চিনা কঠিন হয়ে যায়। আর সেদিক বিবেচনা করেই বিজ্ঞানীরা এ ধরনের মেশিন আবিষ্কার করেছেন । মেশিনগুলো অধিক কোয়ালিটি সম্পন্ন হয়ে থাকে, যার কারনে খুব সহজেই জাল নোট ধরা যায়। এ মেশিনগুলো নিখুঁতভাবে আসল টাকা চিনিয়ে দিতে পারে এবং সময় কম লাগে। অল্প সময়ের মধ্যে অনেকগুলো টাকা শনাক্তকরন করা যায়। এ মেশিন ব্যবহারে খুব সহজেই আপনি বুঝে যাবেন জাল নোট কোনগুলো।
জাল টাকা শনাক্তকরনে টঠ রশ্নি ব্যবহার করতে হয়। অর এ মেশিনগুলোতে টঠ রশ্নির প্রভাব রয়েছে, যার মাধ্যমে খুব দ্রুত জাল নোট শনাক্তকরণ করা যায়। এ মেশিনগুলো বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে এবং এর দামও ভিন্ন হয়ে থাকে। কোনো রকম ঝামেলা এবং নির্ভুলভাবে যদি আপনি জাল নোট শনাক্তকরণ করতে চান তাহলে এ মেশিন আপনিও কিনতে পারেন।
আসল ব্যাংক নোট চেনার উপায়
সারা বিশ্ব চলে অর্থ বা টাকা দিয়ে। এ টাকা আমাদের কতটা গুরত্বপূর্ন সেটা আমরা সবাই জানি। এ গুরুত্বপূর্ন বস্তুটি দৈনন্দিন জীবনে আমরা সবসময় ব্যবহার করে থাকি। তবে আমরা সঠিকভাবে টাকা গুলো দেখি কি, অনেকেই ভালোভাবে টাকাগুলো দেখি না। যার কারনে জাল নোট অনেকের হাতে চলে আসে, ফলে আর্থিকভাবে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায়।
আমরা যে টাকাগুলো ব্যবহার করে থাকি সেগুলোর মধ্যে ব্যাংক নোট রয়েছে তা আমরা সবাই জানি। দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ন অংশ হলো বাংলাদেশ ব্যাংক নোটগুলো। ব্যাংক নোটগুলো ব্যাংক দ¦ারা প্রসুত হয়ে থাকে বলে এগুলোকে ব্যাংক নোট বলা হয়। এ নোটগুলো আইনগতভাবে হসান্তরযোগ্য হয়ে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচলতি ব্যাংক নোট রয়েছে ৭ টি। সেগুলো হলো ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ২০০ টাকা, ৫০০ টাকা, ১০০০ টাকা। এ নোটগুলোই ব্যাংক নোট। এখন প্রশ্ন হলো ব্যাংক নোটগুলো আসল কি না কিভানে চিনবেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক আসল ব্যাংক নোট চেনার উপায়গুলো কি কি।
- আসল ব্যাংক নোটগুলোতে বাঘের মাথা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ আলোর বিপরীতে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। আর জাল টাকাগুলোর জলছাপ অস্পষ্ট হয়ে থাকে।
- ব্যাংক নোট ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটগুলোতে হাতে স্পর্শ করলে, নোটগুলো অসমতল অর্থ্যাৎ উঁচু নিচু মনে হবে।
- ১০ টাকা ও ১০০০ টাকার নোটগুলোর উল্টো পিঠের বাঁ দিকে বাংলাদেশ ব্যাংক’ কথাটি লিখা রয়েছে।
- হাত দিয়ে স্পর্শ করে সহজেই চিনে নিতে পারবেন আসল ব্যাংক নোট। আসল টাকা হাত দিয়ে স্পর্শ করলে খসখসে ভাব বুঝতে পারবেন।
- নিরাপত্তা সুতার সাহায্যে সহজেই আসল ব্যাংক নোটগুলো চিনতে পারবেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংবলিত ১০০ ও ৫০০ টাকার নোটগুলোর বাম পাশে নিরাপত্তা সুতা বিদ্যমান রয়েছে, যা চুলের বেনির মতো দেখতে। এ সুতাগুলোর একটি অংশ লাল হতে সবুজ রঙ হতে দেখা যায় এবং অপর অংশে কত টাকার নোট ( ১০০ ও ৫০০) তা মুদ্রিত রয়েছে।
- ২০০ ও ১০০০ টাকার নোটগুলোর মধ্যেও নিরাপত্তা সুতা বিদ্যমান রয়েছে। ২০০ টাকার নিরাপত্তা সুতাটি লাল থেকে সবুজে পরিবর্তীত হয় এবং ১০০০ টাকার নোটের নিরাপত্তা সুতাটি সোনালী থেকে সবুজ রঙে পরিবর্তীত হয়ে থাকে। এছারাও এ নোট দুটির নিরাপত্তা সুতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম ও ২০০, ১০০০ টাকা লিখা আছে।
- আতশি কাচ দিয়ে আসল ব্যাংক নোট চিনা যায়, টাকার মধ্যে খুবই সুক্ষ আকারে ইংলিশে বাংলাদেশ ব্যাংক’ কথাটি অনেকবার লিখা থাকে। এটি আতশি কাচ ছাড়া খালি চোখে দেখতে পাবেন না, স্পষ্টভাবে আতশি কাচ দিয়ে দেখতে পাবেন।
উপরের নিয়মগুলো ভালোভাবে লক্ষ্য করলেই আসল ব্যাংক নোট চিনে নিতে পারবেন।
১০০০ টাকার জাল নোট চেনার উপায়
আগেকার দিনে আমরা অনান্য দেশে জাল নোটের কথা শুনে থাকলেও, বর্তমানে বাংলাদেশেও জাল নোটের প্রবনতা বেড়েই চলেছে। তবে একটু সতর্ক থেকে, কয়েকটি বিষয়ের উপর লক্ষ্য রেখে আমরা এ থেকে মুক্তি পেতে পারি সহজেই। যেসব নোট বেশি পরিমাণে জাল হয়ে থাকে তার মধ্যে ১০০০ নোট একটি। অধিক পরিমাণে এ নোট জাল হয়ে থাকে। তাই অনেকেই জানতে আগ্রহী ১০০০ টাকার জাল নোট চেনার উপায়গুলোর সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ১০০০ টাকার জাল নোট চেনার উপায়গুলো কি কি।
- ১০০০ টাকার নোট গুলো ভালোভাবে হাত দিয়ে স্পর্শ করলে জাল টাকা চিনে নিতে পারবেন। ১০০০ টাকার আসল নোটের সোজা দিকে, ডান পাশের মাঝ বরাবর ৭ টি সমান্তরাল সরল রেখা উঁচু নিচু ভাবে রয়েছে । যার কারনে হাত দিলে টাকা অসমতল মনে হবে। যদি অসমতল না হয় তাহলে বুঝবেন এটি জাল টাকা।
- ১০০০ টাকার নোট যদি আসল হয়, তাহলে টাকাটিতে হাত দিলে খসখসে ভাব অনুভব করতে পারবেন। বিশেষ করে টাকার সোজ দিকের ডান পাশে যেদিকে ৭ টি সমান্তরলা রেখা এবং ছোট ছোট বৃত্তাকার ছাপ রয়েছে সেদিকে হাত দিলে খসখসে মনে হবে। আর যদি টাকা আসল না হয়ে জাল হয়, তাহলে টাকার খসখসে ভাব থাকবেনা, নরম হবে।
- টাকা যদি জাল না হয় তাহলে, ১০০০ টাকার নোটের সামনের নিচের দিকে ঠিক মাঝখানে ১০০০ টাকা লুকায়িত অবস্থায় লিখা রয়েছে। আনুভূমিক ভাবে ১০০০ টাকার নোটটি ধরলে সংখ্যাটি দেখতে পাবেন।
- আসল ১০০০ টাকার নোটটি হাতে নিয়ে এদিক সেদিক করলে মুদ্রিত অংশটির রঙ পরিবর্তীত হতে দেখা যায়। সেক্ষেত্রে রঙ সোনালী হতে সবুজ হতে দেখা যায়।
এভাবে চিনে নিতে পারবেন ১০০০ টাকার নোট কোনটি আসল এবং কোনটি জাল।
৫০০ টাকার জাল নোট চেনার উপায়
টাকা আসল কি জাল বাইরে থেকে বোঝা কঠিন। জাল টাকায় প্রতারিত হতে অনেক মানুষের শোনা গেছে এবং দেখাও গেছে। ৫০০ টাকার নোটগুলো অধিক পরিমাণে জাল হতে দেখা যায়। তাই এ নোটগুলো হাতে পেলে অবশ্যই যাচাই করে নিতে হবে, টাকা আসল না কি জাল। হাত দিয়ে ভালোভাবে স্পর্শ করে এবং চোখে ভালোভাবে দেখে চিনে নিতে পারবেন জাল টাকা। কিন্তু এর জন্য আপনাকে জানতে হবে সঠিক কিছু পদ্ধতি। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ৫০০ টাকার জাল নোট চেনার উপায়গুলো কি কি।
- ৫০০ টাকার নোটের পিছনের বাম পাশে নিচের কর্নারে অতি ক্ষুদ্র আকারে বাংলাদেশ ব্যাংক’ কথাটি বারবার লিখা রয়েছে। তবে এটি খালি চোখে দেখতে পাবেন না, আতশি কাঁচের সাহায্যে অথবা ভালো স্মার্ট ফোনের ক্যামেরা জুম করে দেখতে পাবেন। জাল টাকায় এটি লিখা থাকে না।
- ৫০০ টাকার নোট যদি আসল হয় তাহলে মুদ্রিত অংশের রঙ পরিবর্তীত হয়ে মেজেন্টা হতে সবুজ রঙ হতে দেখা যায়।
- ৫০০ টাকার আসল নোটের সোজা দিকে, ডান পাশের মাঝ বরাবর ৭ টি সমান্তরাল হেলানো সরল রেখা ও তার নিচে ছোটো বৃত্তাকার ৪ টি ছাপ রয়েছে। সেগুলোর ওপর হাত দিলে খসখসে অনুভব করতে পারবেন।
উপরের বলা পদ্ধতিগুলো ফলো করলে ৫০০ টাকার জাল নোট সহজেই শনাক্ত করতে পারবেন।
২০০ টাকার জাল নোট চেনার উপায়
যে টাকাগুলো বেশি জাল হয় সেগুলো হলো ২০০, ৫০০ এবং ১০০০ টাকা নোট। এগুলো টাকা হাতে পেলে বেশি সাবধান হতে হবে। উপরের ১০০০ ও ৫০০ টাকার জাল নোট চেনার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এখন আলোচনা করবো ২০০ টাকার জাল নোট চেনার উপায় সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নিন ২০০ টাকার জাল নোট চেনার উপায়গুলো কি কি।
- ২০০ টাকার আসল নোটের সোজা দিকে, নিচের অংশে মাঝ বরাবর, নোটে টু হানড্রেট টাকা ইংলিশে লুকায়িত অবস্থায় লিখা রয়েছে। আনুভূমিকভাবে নোটটি ধরলে দেখতে পাবেন।
- ২০০ টাকার আসল নোটে, উল্টো পিঠের বাম পাশের নিচের কর্নারে, টু হানড্রেড অতি ক্ষুদ্রভাবে বার বার লিখা রয়েছে।
- ২০০ টাকার আসল নোটের সোজা দিকে, ডান পাশের মাঝ বরাবর ৮ টি সরল রেখা এবং সরল রেখার নিচে ত্রিভুজ আকৃতির ছাপ রয়েছে। সেগুলোর ওপর হাত দিয়ে স্পর্শ করলে খসখসে অনুভব করতে পারবেন।
- ২০০ টাকার আসল নোটের সোজা দিকের উপরের ডান কোনায় ২০০ লিখাটি জ¦লজ¦ল করবে এবং রঙ পরীবর্তীত হবে। আর টাকাটি এদিক সেদিক কাত করলে উজ্জল একটি রেখা ২০০ টাকা লিখার ওপরে ওঠানামা করবে।
এ ছিল ২০০ টাকার জাল নোট চেনার উপায়সমূহ।
পরিশেষে বলতে চাই, টাকা আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় একটি গুরত্বপূর্ন জিনিস। আর এ টাকার জাল নোট বাজারে অনেক ছেয়ে আছে। তাই জাল টাকায় যাতে আপনি প্রতারিত না হন সেজন্য আসল টাকা আপনাকে চিনে নিতে হবে। সঠিকভাবে আসল টাকা নিজে চিনুন, অপরকে চিনাতে সহায়তা করুন এবং প্রতারকের হাত থেকে আর্থিক সমস্যা থেকে নিরাপদে থাকুন।
লেখকের শেষ বক্তব্য
জাল টাকা চিনার উপায় – আসল টাকার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি জাল টাকা চিনার উপায় – আসল টাকার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।