বর্তমান সময়ে পরিচিত একটি সমস্যার নাম এলার্জি বা চুলকানি। ছোট অথবা বড় সবার ক্ষেত্রে এ সমস্যা হতে দেখা যায়। তাই এ সমস্যা নিয়ন্ত্রনের পদ্ধতি সবার জেনে রাখা উচিত। আমরা আজকের আর্টিকেলে এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়লে এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে যাবেন।
এলার্জি খুবই যন্ত্রনাদায়ক একটি সমস্যা। এলার্জি থেকেই আমাদের শরীরে চুলকানির সৃষ্টি হয়। এছারাও ত্বকে প্রচন্ড জ্বালা ও ফুলে যায়। অনেক সময় এলার্জি মারাত্বক পর্যায়ে চলে যায়। তাই এলার্জির উপসর্গ দেখার সাথে সাথে এটি দূর করতে হবে। কিভাবে এলার্জি বা চুলকানি দূর করবেন আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ন পড়ে জেনে নিন।
এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায়
এলার্জি প্রায় মানুষের হয়ে থাকে। কারো এ সমস্যা ছোট বেলা থেকে আবার কারও ছোটবেলায় না হলেও বড় হয়ে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমাদের প্রত্যেকের শরীরের মধ্যে রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে, তবে এ ব্যবস্থার যদি কোনো গন্ডগোল হয় এবং যদি সেটা ভালোভাবে কাজ না করে তাহলে অ্যলার্জির বহিঃপ্রকাশ হয়। বিভিন্ন কারনে এলার্জি হয়ে থাকে, একেক জনের এলার্জি একেক কারনে হয়ে থাকে। খাবার থেকে, আবহাওয়ায়, ধুলাবালিতে, ঘামে, বিভিন্ন ওষুধ, গাড়ির ধোয়ায়, পোকামাকড়ে কামড়ালে, মানসিক চাপ, ফুলের গন্ধে ইত্যাদি সাধারনত এসব কারনে এলার্জির সমস্যা হয়ে থাকে। এলার্জি চুলকানি দূর করতে কি করবেন জেনে নিন-
- এলার্জির সমস্যায় কর্পূর ও নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এলার্জির কারনে যদি আপনার শরীরের কোনো অংশ চুলকায় তাহলে, এলার্জির জায়গায় কর্পূর ও নারিকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে লাগিয়ে নিন।
- এলার্জির সমস্যা হলে মধু খেতে পারেন। অনেক এলার্জি আছে, মধু খেলে কমে যায়।
- অ্যালোভেরার মধ্যে বিভিন্ন ওষুধি গুনাগুন রয়েছে। অ্যালোভেরা এলার্জির চুলকানি প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে। এলার্জি থেকে চুলকানি হলে অ্যালোভেরার জেল চুলকানো স্থানে লাগিয়ে নিন, চুলকানি অনেকটাই কমে যাবে।
- অনেকের ঠান্ডাজনিত সমস্যায় এলার্জি হয়ে থাকে, তাই ঠান্ডা এড়িয়ে চলুন।
- বেকিং সোডা দিয়ে এলার্জি কমাতে পারেন। সামান্য পানি নিয়ে তার সাথে অল্প পরিমাণে সোডা যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর চুলকানো স্থানে লাগিয়ে নিন, লাগানোর ১০ মিনিট পর ধুয়ে নিন।
- আপেল সাইডের ভিনেগার দিয়ে এলার্জি জনিত চুলকানির সমস্যা কমিয়ে আনতে পারেন। কয়েক ফোঁটা আপেল সাইডের ভিনেগার পানির সাথে মিশিয়ে নিন এবং নরম কাপড়ের সাহায্যে তা এলার্জির স্থানে লাগিয়ে নিন। আপেল সাইডার ভিনেগারের মধ্যে থাকা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য এলার্জির সমস্যাকে কমিয়ে দেয়।
- এলার্জির সমস্যা হলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবেন এবং এলার্জির স্থান নখ দিয়ে চুলকানো থেকে বিরত থাকবেন।
রক্তের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
এলার্জির ধরন অনেক রয়েছে, যার একটি হলো রক্তে এলার্জি। অনেকের এ ধরনের এলার্জির সমস্যা হতে দেখা যায়। রক্ত দূষিত হওয়ার কারণে রক্তে এলার্জি হতে দেখা যায়। ধুলাবালি, অস্বাস্থকর খাবার, ফুলের পাপড়ি, পালিত পশুর লোম থেকে রক্তে এলার্জি হতে পারে। রক্তে অ্যালার্জি হলে শ^াসকষ্ট, শরীরে চুলকানি, হাঁচি পড়া, নাক দিয়ে অতিরিক্ত পানি পড়া, চামড়ায় র্যাশ বের হওয়ার মতো সমস্যা হতে দেখা যায়। রক্তে এলার্জি হলে কিডনি ও লিভারের সমস্যা হতে দেখা যায়। এসব ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের রোগ রক্তে এলার্জি থাকার কারনে হতে পারে। তাই রক্তে এলার্জি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন এবং পাশাপাশি এলার্জি দূর করতে কিছু ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে এলার্জি কমানোর চেষ্টা করবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক রক্তের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়গুলো কি কি।
- রক্তের এলার্জি কমাতে নিম পাতার রস খেতে পারেন। এ রস খেলে এলার্জি থেকে অনেকটাই আপনি আরাম পাবেন।
- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারগুলো রক্তের এলার্জি কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। তাই এ খাবারগুলো খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
- রক্তের এলার্জি দূর করতে হলুদ ও মধু ব্যবহার করতে পারেন। শরীরের বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ কমাতে হলুদ ও মধুর ভূমিকা রয়েছে। হলুদ ও মধু একসাথে মিশিয়ে পান করলে রক্তের এলার্জি অনেকটাই কমে আসে।
- আদা রক্তের এলার্জি কমাতে সাহায্য করে। আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টিহিস্টামিন বৈশিষ্ট্য রক্তের এলার্জি কমিয়ে আনে। তাই রক্তের এলার্জি দূর করতে আদা চা পান করুন।
- করলার রস খেলে এলার্জি কমে যায় অনেকটাই। তাই রক্তের এলার্জি দূর করতে সপ্তাহে দুইদিন করলার রস পান করুন।
- রক্তে এলার্জির সমস্যা দূর করতে হলে আপনার যদি ধূপপান করার অভ্যাস থাকে, তাহলে সেটা অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
- এলার্জিযুক্ত খাবারগুলো পরিহার করতে হবে। এলার্জির সমস্যা হলে যদি আপনি এলার্জিজনিত খাবারগুলো খান, তাহলে এ সমস্যা আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আপনার যে খাবারগুলো থেকে অ্যালার্জি হয় সে খাবারগুলো পরিহার করতে হবে।
উপরের নিয়মগুলো ফলো করে রক্তের এলার্জি কমাতে পারেন। এছারাও রক্তের এলার্জি কমানোর অনেক ওষুধ রয়েছে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করবেন।
পায়ের এলার্জি দূর করার উপায়
পায়ের এলার্জি খুবই বিরক্তিকর একটি বিষয়। ছত্রাকের সংক্রামন, থাইরয়েডের সমস্যা, কিডনির সমস্যা, শুষ্ক ত্বকের কারনে পায়ের এলার্জি হয়ে থাকে। এ থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন, পাশাপাশি ঘরোয়া প্রতিকার গুলো করতে হবে। আপনিও কি পায়ের এলার্জিতে ভুগছেন? ক্রমাগত পা চুলাকাচ্ছেন? তাহলে জেনে নিন পায়ের এলার্জিতে ঘরোয়া প্রতিকারগুলো। ঘরোয়া প্রতিকারগুলো পায়ের চুলকানি অনেকটাই আরাম দিতে পারে। পায়ের এলার্জি থেকে চুলকানিতে ঘরোয়া প্রতিকারগুলোর নিম্নরূপঃ
- পায়ের এলার্জিতে পায়ের স্থান জ্বালাপোড়া করলে, জ্বালাপোড়ার স্থানে ঠান্ডাজাতীয় জিনিস যেমন আইস প্যাক লাগাতে পারেন। চুলকানি থেকে অনেকটই উপশম পাবেন।
- শুষ্ক ত্বকে অনেক সময় এলার্জি বেড়ে যায়, তাই শুষ্ক ত্বক হাইড্রেট করার জন্য ময়েশ্চারাইজার ক্রিম পায়ে লাগাতে পারেন।
- নিম পাতা এলার্জির সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে আনে, যদি সমস্যা গুরুত্বর না হয়। নিম পাতা পায়ের এলার্জিতে ব্যবহার করতে পারেন। কয়েকটি নিম পাতা পানির মধ্যে নিয়ে সে পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন এরপর পানি ঠান্ডা হলে সে পানি দিয়ে পা ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন। এভাবে নিম পাতা ব্যবহার করলে পায়ের এলার্জি থেকে উপশম পাবেন।
- বিভিন্ন প্রাকৃতিক পন্য যেমন কর্পূর, মেন্থল চুলকানির ত্বককে আরাম দিতে সাহায্য করে। তাই পায়ের এলার্জিতে এলার্জিজনিত স্থানে এগুলো লাগাতে পারেন।
- এলার্জিজনিত ত্বকে সমস্যা হয় এমন সাবান এড়িয়ে চলুন। পায়ের এলার্জিকে আরও বাড়িয়ে দেয় এধরনের ব্যবহৃত সাবানগুলো।
- পায়ের এলার্জি দূর করতে ট্রি ট্রি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। ট্রি ট্রি অয়েল পায়ের এলার্জি কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। ট্রি ট্রি অয়েলের মধ্যে থাকা অ্যান্টিআইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য, এলার্জির চুলকানি অনেকটায় কমিয়ে আনবে।
পায়ের এলার্জিজনিত সমস্যাই উপরের বলা ঘরোয়া টিপসগুলো ফলো করবেন। আর সমস্যা যদি গুরুত্বর এবং দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বাচ্চাদের এলার্জি দূর করার উপায়
এলার্জি সমস্যা থেকে আমাদের বাচ্চারাও রেহায় পায় না। এ নিয়ে বাচ্চার মায়েরা মারাত্মকভাবে চিন্তিত হয়ে পরে। এলার্জি থেকে বাচ্চাদের ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, পাতলা পায়খানা, ত্বক লাল হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়। এলার্জি বিভিন্ন জায়গায় হতে পারে, শরীরে অথবা শ্বাসনালীতেও হতে পারে। অর্থ্যাৎ বাহ্যিক বা অভ্যান্তরীন এলার্জি সবার ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। শিশুদের এলার্জি বাইরের সংস্পর্শ হতে বেশি দেখা যায়। এছারাও পুরোনো কাপড়, ধুলাবালি, খাবার থেকেও বাচ্চাদের এলার্জি হয়। বাচ্চাদের এলার্জি হলে বাবা-মায়েরা চিন্তা করবেন না, এলার্জির সমস্যাই ওষুধ ব্যাবহারের আগে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় করতে পারেন, যা থেকে বাচ্চাদের এলার্জি দূর হবে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক বাচ্চাদের এলার্জি দূর করতে ঘরোয়া উপায়গুলো কি কি।
- প্রাচীনকাল থেকেই নিম পাতা ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বাচ্চাদের এলার্জির সমস্যা হলে নিম পাতা পানিতে দিয়ে, সে পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে ব্যবহার করতে পারের। নিম পাতার ব্যবহারে এলার্জি অনেকটাই কমে আসে।
- বাচ্চাদের এলার্জি হলে পুদিনা পাতার নির্যাস বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন। গলার এলার্জি থেকে বাচ্চাদের মুক্তি এনে দেবে।
- বাচ্চাদের এলার্জি থেকে মুক্তি দিতে কুসুম গরম পানির সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়াবেন। তবে বাচ্চার বয়স এক বছরের কম হলে মধু খাওয়াবেন না।
- বাচ্চাদের এলার্জির সমস্যা থেকে যদি শরীরের চাকা দেখা যায়। তাহলে চাকা স্থানে অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করতে পারেন, বাচ্চারা এলার্জি থেকে অনেকটাই উপশম পাবে।
উপরের বলা ঘরোয়া প্রতিকারগুলো আপনার বাচ্চার এলার্জিজনিত সমস্যায় করবেন। ধৈর্য হারাবেন না, চিন্তিত হবেন না বাচ্চাদের এলার্জির সমস্যা দেখা দিলে ঘরোয়া প্রতিকারগুলো মেনে চলবেন। যদি সমস্যা না কমে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
মুখে এলার্জি দূর করার উপায়
এলার্জি খুবই চিন্তাদায়ক একটি সমস্যা। চিন্তা আরও বেশি হয় যদি সমস্যা মুখে হয়। অনেকের ক্ষেত্রে মুখে এলার্জি হতে দেখা যায়। আর সে এলার্জি মুখের সুন্দর ত্বককে নষ্ট করে দেয়। তাই মুখে এলার্জি হলে মানসিকভাবেও আমরা ভেঙে পড়ি। তবে একটু যত্ন নিলে মুখের ত্বকের এলার্জি কমানো যায়। এক্ষেত্রে কিছু ঘরোয়া উপায় মুখের এলার্জি কমাতে করতে পারেন।
অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েল মুখের এলার্জি দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন। অলিভ অয়েল থেকে ভিটামিন ই’ পাওয়া যায় যা মুখের এলার্জির চুলকানি কমাতে সহায়তা করে।
ট্রি ট্রি অয়েল: ট্রি ট্রি অয়েলের মধ্যে অ্যান্টি-আইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রয়েছে, যা মুখের এলার্জি কমাতে সাহায্য করে। তাই মুখে এলার্জি হলে ট্রি ট্রি অয়েল আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
তুলসি পাতা: তুলসি পাতা দিয়েও ত্বকের এলার্জির চুলকানি কমাতে পারেন। কয়েকটি তুলসি পাতা ভালো করে ধুয়ে পেস্ট করে নিন, পেস্ট করা পাতা আক্রান্তা স্থানে লাগিয়ে নিন। লাগানোর ৩০ মিনিট পর ধুয়ে নিন, অনেকটাই আরাম পাবেন।
অ্যালোভেরা জেল: অ্যালোভেরা জেল মুখের এলার্জি কমাতে ব্যবহার করতে পারেন। মুখের ত্বকে এলার্জিজনিত চুলকানি হলে অ্যালোভেরার জেল লাগিয়ে নিন, চুলকানি কমে যাবে।
ঠান্ডা পানি: ঠান্ডা পানি এলার্জি অনেকটাই কমিয়ে আনে। তাই মুখে এলার্জি হলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুবেন, মুখের জ্বালাপোড়া অনেকটাই কমে যাবে।
কর্পূর ও নারিকেল তেল: মুখের এলার্জি কমাতে কর্পূর ও নারিকেল তেল একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
মুখের এলার্জি হলে উপরের টিপসগুলো ফলো করবেন পাশাপাশি খাদ্যভাস ও জীবনযাত্রার দিকে খেয়াল রাখবেন। যদি মুখের এলার্জি গুরুত্বর না হয় তাহলে ঘরোয়া উপায়গুলোর সাহায্য নিয়ে এলার্জি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।
ঠান্ডা এলার্জি দূর করার উপায়
শীতকাল আসলে ঠান্ডা এলার্জির সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। শীত ছাড়াও ঠান্ডা এলার্জির সমস্যা হতে দেখা যায় তবে শীতকালে বেশি হয়। ঠান্ডা আবহাওয়া, ঠান্ডা বাতাস, বৃষ্টির পানি ইত্যাদি থেকে এ সমস্যা হয়ে থাকে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার মেনে চলতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ঠান্ডা এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে।
পেয়ারা: ঠান্ডাজনিত এলার্জি দূর করতে পেয়ারা খেতে পারেন। পেয়ারার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা খাওয়ার ফলে ঠান্ডা জনিত এলার্জি দূর হয়। পেয়ারা ছাড়ারও ভিটামিস সি সমৃদ্ধ ফলগুলো ঠান্ডা এলার্জি কমাতে খাবেন।
কালোজিরা: কালোজিরাকে সকল রোগের মহৌষধ বলা হয়। তাই ঠান্ডা এলার্জি দূর করতে নিয়মিত কালোজিরা খাবেন। শুধু কালোজিরা খেতে না পারলে মধুর সাথে, ভর্তা বানিয়ে অথবা কালোজিরার বড়ি বানিয়ে খেতে পারেন।
ঘি: ঘি এর মধ্যে ঠান্ডাজনিত এলার্জি দূর করার উপাদান রয়েছে। তাই ঠান্ডাজনিত সমস্যায় নিয়মিত খাবারের সাথে ঘি খাবেন।
মধু: এলার্জিজনিত ঠান্ডার সমস্যায় কুসুম গরম পানির সাথে মধু মিশিয়ে খান। এলার্জিজনিত ঠান্ডার কষ্ট থেকে অনেকটাই উপশম এনে দেয় মধু।
ভেষজ চা: ঠান্ডা এলার্জির সমস্যই ভেষজ চা বানিয়ে খাবেন, এটি ঠান্ডার সমস্যা অনেকটাই কমাতে সাহায্য করে।
গরম পানির ভাপ: ঠান্ডা এলার্জির সমস্যাই গরম পানির ভাপ নাকে নিবেন। গরম পানির ভাপ নিলে সমস্যা অনেকটাই কমে আসে।
উপরের বলা টিপসগুলো ঠান্ডা এলার্জির সমস্যায় করবেন। এছারাও এলার্জিজনিত ঠান্ডার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সতর্ক থাকাটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ন। কারণ এ সমস্যা অল্পতেই হয়ে যায়। পানি ও ঠান্ডা জিনিস থেকে সাবধানে থাকবেন, বিশেষ করে শীতকালে।
পরিশেষে বলতে চাই, এলার্জির সমস্যা হয়ে গেলে এ থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া কঠিন। তাই সমস্যা হওয়ার আগেই সতর্ক থাকতে হবে। সবসময় পরিষ্কার থাকুন, মাস্ক পড়ে রাস্তায় বের হবেন , ধুলাবালির কাজ কম করবেন এবং যে জিনিস বা খাবারে এলার্জির সমস্যা হয় সেটি এড়িয়ে চলুন এলার্জি থেকে ভালো থাকবেন ।
লেখকের শেষ বক্তব্য
এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।