ডালিম খাওয়ার উপকারিতা – ডালিম খাওয়ার নিয়ম

ডালিম খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ একটি ফল। ডালিম খাওয়ার বিশেষ কিছু উপকারিতা রয়েছে। সে উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের অনেকের ধারনা নেই, তবে ডালিম খেলে অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত যে ডালিম খাওয়ার উপকারিতাগুলো কি। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা ডালিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করবো।

ডালিম খাওয়ার উপকারিতা

খাবার তালিকায় যে পুষ্টিকর ফলগুলো আমরা রাখি, তার মধ্যে ডালিম একটি। কি কি উপকার আছে ডালিমের মধ্যে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। তাই তাদের জন্য আজকের আর্টিকেল, আজকের আর্টিকেলটি পড়লে জেনে নিবেন ডালিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। তবে ডালিম শুধু খেলেই হবে না, এ ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে তারপর এ ফল খেতে হবে। এ সকল বিষয় আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ুন এবং জেনে নিন।

ডালিম খাওয়ার নিয়ম

সুপার ফুডের তালিকায় ডালিম ফল রয়েছে। ডালিম দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি খেতেও সুস্বাদু এবং এর উপকারিতাও অনেক। ডালিমের মধ্যে অসংখ্যা পুষ্টি উপাদান রয়েছে। ডালিম থেকে ক্যালোরি, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, ডায়েটরি ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৯ এসকল পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। ডালিমের মধ্যে অসংখ্যা পুষ্টি উপাদান থাকলেও এ ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে সঠিক পরিমানে খেতে হবে। চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক ডালিম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

ডালিম সাধারণত ফল হিসেবে খাওয়া হয়, আর ফল হিসেবে ডালিম খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারি। তবে ডালিম বিভিন্ন খাবারের সাথে ব্যবহার করা যায় যেমন-স্যালাড, জুস, কোষ্ট, স্যুপ, নুডলস এগুলোর সাথে দিয়ে খেতে পারেন।  প্রতিদিন মাঝারি সাইজের একটি ডালিম ফল খাবেন এর বেশি খাওয়া স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর।

যাদের ত্বকে অ্যালার্জি, কাশি, কোষ্ঠকাঠিন্য এসব সম্যাসা রয়েছে তারা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ডালিম খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

ডালিম খাওয়ার উপকারিতা

কম ক্যালোরিযুক্ত ফল হলো ডালিম, তবে এর মধ্যে ফাইবার ও ভিটামিন প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। ডালিমের মধ্যে বিভিন্ন উপকারিগুন রয়েছে। ডালিমে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলো মানবশরীরের জন্য বেশ উপকারী।  আমরা অনেকেই ডালিম খেলেও ডালিমের উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জানা নেই। তবে ডালিম খেলে এর উপকার সম্পর্কে জেনে ডালিম খাওয়া উচিত। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ডালিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো একটি উৎস হলো। তাই ডালিম নিয়মিত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখে: আমরা প্রত্যেকেই যদি সুস্থ থাকতে চাই, তাহলে অবশ্যই আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে। কারণ রক্তচাপ যদি নিয়ন্ত্রনে না থাকে তাহলে আমাদের শরীরে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিয়মিত যদি আপনি ডালিম ফল খেতে পারেন তাহলে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকবে।

আরো পড়ুনঃ-  রুপচর্চায় কাঁচা হলুদের ব্যবহার - কাঁচা হলুদের ফেইসপ্যাক

রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে: রক্ত হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায় এমন ফলের তালিকায় ডালিম রয়েছে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে আমাদের শরীর অচল ও দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই আমাদের শরীরের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক থাকা জরুরি। তাই হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে নিয়মিত ডালিম খাবেন।

হার্টের স্বাস্থ ভালো থাকে: নিয়মিত যারা ডালিম খায় তাদের হার্ট সুস্থ থাকে। এছারাও হৃদরোগিদের, যাদের বুকে ব্যাথা রয়েছে তারা নিয়মিত যদি ডালিম খায় তাহলে ব্যাথা থেকে অনেকটাই উপশম পায়।

ক্লান্তি দূর করে: নিয়মিত ডালিম খেলে শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। সারাদিনের ক্লান্তিভাব দূর করতে প্রতিদিন একটি করে ডালিম খান।

হাড়ের ব্যাথা উপশম করে: ডালিমে থাকা পুষ্টি উপাদান হাড়ের ব্যাথার জন্য খুবই উপকারি একটি ফল। নিয়মিত এ ফল খেলে হাড়ের ব্যাথা উপশম হয়।

স্মৃতি শক্তি বাড়ে: ডালিম স্মৃতিশক্তি বাড়াতে খুবই কার্যকারী একটি খাদ্য উপাদান।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধে ডালিম খুবই উপকারি। ডালিমে থাকা পুষ্টি উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহয্য করে।

উপরের বলা স্বাস্থ উপকারিতাগুলো যদি আপনিও পেতে চান, তাহলে নিয়মিত ডালিম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

ডালিমের বিচির উপকারিতা

স্বাস্থ সচেতন মানুষের নিয়মিত খাদ্য তালিকায় ডালিম রাখেন। কারণ ডালিমের মধ্যে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা মানবশরীরের জন্য খুবই উপকারি। ডালিম ফলটি যেমন স্বাস্থকর তেমনি ডালিমের বিচিতেও অনেক স্বাস্থ উপকারি গুন রয়েছে। তবে আমাদের মধ্যে কিছু মানুষ আছে যারা ডালিমের বিচি ফেলে দিয়ে ডালিম খায়, আর কিছু মানুষ আছে যারা ডালিমের বিচিসহ ডালিম ফল খায়।  আপনার জানেন কি? ডালিমের বিচিতেও স্বাস্থ উপকারি গুন রয়েছে? হ্যাঁ এটা সত্যি ডালিমের বীচি খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। নিচের আলোচনা থেকে জেনে নিন ডালিমের বিচির উপকারিতাগুলো কি কি।

হজম শক্তি বাড়ায়: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর ডালিমের বিচি। যার কারণে ডালিমের বিচি খেলে হজম শক্তির উন্নতি ঘটে। তাই যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে তারা ডালিমের বিচি খাবেন।

অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কমায়: অতিরিক্ত কোলেস্টেরল মানবস্বাস্থের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। সে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে নিয়মিত ডালিমের বিচি খেলে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমে: ডালিম বিচিসহ খেলে হার্টের স্বাস্থ ভালো থাবে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

অতিরিক্ত ওজন কমায়: যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে ভুগছেন, তার ডালিমের বিচি নিয়মিত খাবেন, ওজন কমাতে সাহায্য করে ডালিমের বিচি। ডালিমের বিচি খাওয়ার ফলে পেট দীর্ঘসময় ধরে ভরা থাকে, যার ফলে খাবার কম খাওয়া যায়।

শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের হয়: শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলোকে বের করতে সহায়তা করে ডালিমের বিচি।

উপরের উপকারিতাগুলো ডালিমের বিচি থেকে পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি উপকারগুলো পেতে চান তাহলে ডালিমের সাথে ডালিমের বিচি ফেলে না দিয়ে, বিচিসহ খাবেন।

আরো পড়ুনঃ-  ৭ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় বিস্তারিত জানুন

ডালিম খোসার উপকারিতা

 স্বাস্থ সুরক্ষায় ডালিমের খোসা খুবই উপকারি একটি উপাদান। বিভিন্ন শারিরিক সমস্যার সমাধান মিলে ডালিমের খোসা খেলে। ডালিমের খোসা থেকে ভিটামিন, মিনারেল, ক্যালসিয়াম, ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। ডালিমের খোসা খাওয়া যায় বিষয়টা অনেকের কাছে আশ্চর্য হলেও , এটা সত্য। ডালিমের খোসা সরাসরি চিবিয়ে খাওয়া যায় না, তাই ডালিম খোসার উপকার পেতে ডালিমের খোসাগুলোকে শুকিয়ে পাউডার বানিয়ে বা পানির সাথে ভিজিয়ে ব্যবহার করবেন। অনেকেই ডালিম খোসার উপকার সম্পর্কে জানেন না। নিচের আলোচনা থেকে ডালিম খোসার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।

  • ডালিম খোসা হাড়ের স্বাস্থের জন্য খুবই উপকারি। এ স্বাস্থ উপকারটি পেতে নিয়মিত এক গ্লাস গরম পানির সাথে দুই চা চামচ ডালিম খোসার গুড়ো ভালোভাবে মিশিয়ে তার সাথে লেবুর রস ও লবন মিশান, এরপর পানিটুকু খেয়ে ফেলুন।
  • হজম শক্তির উন্নতি ঘটে ডালিম খোসা খাওয়ার ফলে। এ উপকার পেতে শুকনো ডালিম খোসা গুলো ২০ মিনিট মতো পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ভেজানো ডালিম খোসা, এক চা চামচ জিরা, অল্প করে বাটারমিল্ক এবং এক ড্যাশ রক সল্ট সবগুলো উপাদান একসাথে নিয়ে ব্লেন্ডারে নিয়ে ব্লেন্ড করে  খাবেন। এ উপাদানটি হজমের সমস্যায় অনেক উপকারে আসবে।
  • দাঁতের জন্য খুবই  উপকারি ডালিমের খোসা। পানির সাথে ডালিম খোসার গুড়ো মিশিয়ে দিনে দুইবার করে গার্গল করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে। দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তপাত প্রতিরোধ করতে, ডালিম খোসার গুড়ো দাঁতে ম্যাসাজ করবেন।
  • চুল পড়া ও চুলের খুশকি দূর করতে ডালিমের খোসা ব্যবহার করতে পারেন। তেলের সাথে ডালিম খোসার গুড়ো ভালোভাবে মিশিয়ে রাতে চুল ও চুলের গোড়ায় ব্যবহার করুন। এরপর সকালে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল পড়া ও চুলের খুশকি অনেকটাই কমে যাবে।
  • হৃদরোগের  ঝুঁকি কমে ডালিম খোসা খেলে।  রোদে শুকানো ডালিম খোসার গুড়ো এক চামচ নিয়ে এক গ্লাস গরম পানির সাথে মিশিয়ে খাবেন, হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে।
  • ডালিম খোসার গুড়ো পানির সাথে দিয়ে, ফুটিয়ে নিন। এরপর তাতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে পান করবেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুন ডালিম খোসার মধ্যে রয়েছে। যার কারনে এ খোসার গুড়ো কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে গার্গল করলে, কাশি ও গলা ব্যাথার উপশম হয়।
  • মুখের ত্বক ভালো রাখতে ডালিম খোসার গুড়োর ফেইসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

ডালিমের খোসার উপরের বলা উপকারগুলো পেতে হলে নিয়মিত এ খোসা ব্যবহার করুন। এ খোসা ব্যবহারের সুবিধার্তে খোসাগুলোকে শুকিয়ে পাউডার বানিয়ে ভালো করে একটি ঢাকনাসহ পাত্রে ভরে রাখুন, দীর্ঘদিন সংরক্ষিত থাকবে। তবে অতিরিক্ত ডালিম খোসা সেবন করবেন না। অতিরিক্ত সেবনের ফলে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা হতে পারে।

ডালিম খাওয়ার নিয়ম

গর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় মায়েদের একটু আলাদা সতর্ক ও সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। বিশেষ করে খাওয়া দাওয়ার বিষয়টায়। গর্ভাবস্থায়, গর্ভবতী মায়েদের খাবার তালিকা একেবারেই আলাদা হতে হবে। সেখানে পুষ্টিকর খাবারগুলো সঠিক নিয়মে সঠিক সময়ে খেতে হবে। গর্ভবতী মহিলাদের খাবার তালিকায় ফলিক এসিড, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি সহ বিভিন্ন ধরনের উপাদান সমৃদ্ধ খাবারগুলো রাখা জরুরি। আর এ পুষ্টি উপাদানগুলোর অনেকটায় ডালিম এর মধ্য থেকে পাওয়া যায়। তাই গর্ভবস্থায় খাওয়া যাবে এমন স্বাস্থ উপকারি ফলের মধ্যে ডালিম একটি। বিভিন্ন পুষ্টি গর্ভবতী মায়েদের শরীরে ডালিম ফল সরবরাহ করে থাকে।  তাই বিশেষজ্ঞরা গর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় কি কি উপকার হয় ডালিম খেলে আপনারা জানেন কি? জানতে চাইলে নিচের আলোচনা থেকে জেনে নিন।

আরো পড়ুনঃ-  চিরতরে খুশকি দূর করার উপায়

রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে: গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতা মারাত্মক একটি সমস্যা। এ সমস্যা যাতে না হয় সে জন্য গর্ভবতী মায়েদের সাবধানে চলাফেরা করতে হবে, পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। রক্ত শূন্যতা প্রতিরোধে ডালিম খুবই উপকারি একটি ফল। ডালিমের মধ্য থেকে প্রচুর পরিমানে আয়রন ও ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যার ফলে সহজেই রক্ত শূন্যতা প্রতিরোধ হয় ডালিম খেলে।

মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়: গর্ভের শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটার ওপর মায়েদের খাবার অনেকটাই নির্ভরশীল। ডালিমে থাকা ফোলেট শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। তাই গর্ভবতী মায়েরা ডালিম অবশ্যই খাবেন।

হজমের সমাধান হয়: গর্ভাবস্থায় পরিমান মতো ডালিম খেলে গর্ভবতী মায়েদের হজমের সমস্যা, সমাধান হয়।

ক্লান্তি ভাব দূর হয়: গর্ভাবস্থায় অনেক সময় শরীর দুর্বল ও ক্লান্ত হয়ে যায়। আর শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর করতে ডালিম খুবই কার্যকারী একটি ফল।

ব্যাথা কমায়: গর্ভবতী মায়েদের অনেক সময় শরীরে ব্যাথা হয়ে থাকে। আর ডালিমে থাকা পটাশিয়াম গর্ভবতী মায়ের সে ব্যাথা প্রতিরোধ করতে ভূমিকা রাখে।

গর্ভাবস্থায় ডালিম ফল খাদ্য তালিকায় রাখলে মা ও গর্ভের শিশুর জন্য সেটা খুবই উপকারি তাই গর্ভাবস্থায় ডালিম ফল খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন এবং আপনার শরীরে যদি শারিরিক কোনো সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে ডালিম খাওয়ার সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন। শুধু ডালিম ফল নয়, যেকোনো খাবার গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত, কারণ এমন অনেক খাবার আছে যেগুলো পুষ্টিকর হলেও এমন অনেক গর্ভবতী মায়েদের জন্য সেটা নিষিদ্ধ করে দেয় চিকিৎসকেরা। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গর্ভাবস্থায় খাদ্য তালিকার খাবার নির্বাচন করা ভালো।

লেখকের শেষ বক্তব্য

ডালিম খাওয়ার উপকারিতা – ডালিম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি ডালিম খাওয়ার উপকারিতা – ডালিম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।

Leave a Comment