কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কালোজিরা আমাদের প্রায় সবার পরিচিত একটি শব্দ। প্রাচীনযুগ থেকেই মানুষ সুস্থ থাকতে কালোজিরাকে বেছে নিয়েছে। আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে কালোজিরা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছারাও বিভিন্ন পদের রান্নার স্বাদ বাড়াতে কালোজিরা ব্যবহার করা হয়। কালোজিরার মধ্যে আশ্চর্য কিছু গুন রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আজকের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো।

কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কালোজিরা খুবই পুষ্টিগুনে ভরপুর একটি উপাদান। মানবদেহের জন্য জরুরি একটি উপাদান হলো এই কালোজিরা। কালোজিরা চুল ও ত্বকের জন্যও বেশ উপকারি। কালোজিরার মধ্যে এত উপকার থাকা সত্ত্বেও, অতিরিক্ত পরিমাণে কালোজিরা খেলে শরীরে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং সঠিক নিয়মে না খেলে কি ক্ষতি হয় এসব বিষয় জেনে কালোজিরা খাওয়া উচিত। আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়লে এসব বিষয় বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন তাহলে জানা যাক কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা

কালোজিরা হলো প্রায় সকল রোগের মহৌষধ। কালোজিরার মধ্যে লুকিয়ে আছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ মুসলিম ধর্মগ্রন্থে বলা হয়েছে মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের ওষুধ হলো কালোজিরা। গবেষনাতেও প্রমানিত হয়েছে কালোজিরা খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে নিরাময় পাওয়া যায়। পুষ্টিবীদদের মতে কালোজিরা খেলে শরীর থাকবে সবসময় সুস্থ। এছারাও রান্না ঘরের এক বিশেষ উপাদান হলো কালোজিরা। কালোজিরার ভর্তাসহ বিভিন্ন রান্নার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে কালোজিরা। কালোজিরা মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন স্বাস্থ উপকারিতা। কালো জিরার মধ্যে প্রোটিন, আমিষ, শর্করা, লিনোলিক এসিড, অলিক এসিড, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম, ভিটামিন এ, বি২, ভিটামিন সি এবং প্রয়োজনীয় রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, যেগুলো আমাদের স্বাস্থের জন্য বেশ উপকারি।  জেনে  নিন কালোজিরা খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায়।

  • শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে কালোজিরা খাওয়ার ফলে।
  • কালোজিরা খেলে মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালনের বৃদ্ধি ঘটে এবং স্মৃতি শক্তি ধারালো হয়।
  • শিশুদের দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে কালোজিরা।
  • ত্বক ও চুলের স্বাস্থ ঠিক থাকে নিয়মিত কালোজিরা খেলে।
  • দাঁতের ব্যথা উপশমে কার্যকারী ভূমিকা রাখে কালোজিরা। দাঁতে ব্যাথা হলে কালোজিরা কুসুম গরম পানিতে দিয়ে কুলকুচি করলে ব্যাথা অনেকটায় কমে যায়।
  • বিভিন্ন ক্ষতস্থানের, ক্ষত সারাতে কালোজিরা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
  • কালোজিরা খেলে নারী ও পরুষের যৌক্ষমতা বাড়ে এবং পরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তির সম্ভাবনা তৈরি করে।
  • মেদ কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে কালোজিরা। চা বানানোর সময় চা পাতার সাথে সমপরিমাণ কালোজিরা পানিতে দিয়ে, চায়ের মতোই পান করুন, নিয়মিত খেলে মেদ কমে যাবে।
  • মাত্রারিক্ত ঋতুস্রাব হলে নিয়মিত কালোজির খান। অতিরিক্ত ঋতুস্রাবে কালোজিরার উপকারিতা অপরিসীম।
  • শীতকালে ত্বক শুষ্ক দেখায়, সেক্ষেত্রে কালোজিরার তেল আপনার শরীরে ব্যবহার করবেন। শুষ্ক ত্বক সমস্যার সমাধান পাবেন।
  • হজমের সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে থাকে কালোজিরা।
  • হার্টের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে কালোজিরা। শুধু কালোজিরার তেল বুকে মালিশ করলে হার্টের ব্যাথার উপশম হয়।
  • জন্ডিস বা লিভারের বিভিন্ন সমস্যায় কালোজিরার উপকারিতা অপরিসীম।
  • কালোজিরা নিয়মিত খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের ঘা, ফোঁড়া এবং ছোঁয়াচে রোগ থেকে বাঁচা যায়।
আরো পড়ুনঃ-  সবচেয়ে বেশি আঁশযুক্ত খাবার - আঁশযুক্ত খাবার কি কি

স্বাস্থ ভালো রাখতে নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এসব উপকারিতা ছাড়াও আরও অনেক উপকারি গুন রয়েছে কালোজিরার মধ্যে। এককথায় বলা যায় মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের ওষুধ হলো কালোজিরা।

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

কালোজিরা বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে। প্রতি গ্রাম কালোজিরার মধ্যে অসংখ্যা উপকারি পুষ্টি উপাদান রয়েছে। নিয়মিত যারা কালোজিরা খায় তাদের শরীরের প্রতিটি অংশ ঠিক থাকে। কালোজিরা খাওয়ার একাধিক নিয়ম রয়েছে, যেভাবেই খান না কেন এর উপকার পাওয়া যাবে। কালোজিরার সব ধরনের  নিয়মগুলো আমাদের মধ্যে অনেকের জানা নেয়। আসুন জেনে নিই কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম-

  • কালোজিরা বিভিন্ন তরাকারিতে মসলা হিসেবে খেতে পারেন।
  • কালোজিরাকে  ভেজে এর গুড়ো বানিয়ে সামান্য দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে পেটের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়।
  • কালোজিরার সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন, বিভিন্ন রোগের সমস্যার সমাধান হবে।
  • বাজারে কালোজিরার তেল পাওয়া যায়, সেই তেল শরীরের ব্যাথাযুক্ত স্থানে ব্যবহার এবং খেতে পারেন।
  • শুধু কালোজিরা চিবিয়ে খেতে পারেন।
  • কালোজিরা ও রসুনের ভর্তা করে খেতে পারেন।
  • কালো জিরা ব্লেন্ড করে ত্বকে লাগাতে পারেন।
  • কালো জিরা পানিতে দিয়ে পানি ফুটিয়ে পান করতে পারেন।
  • কালোজিরার সাথে পেয়ারা পাতা গুড়ো এবং কারোজিরার সাথে পুদিনা পাতা মিশিয়ে খাওয়া যায়।
  • চাটনি, বিস্কুট, কেক, মিষ্টি, ফিরনি, বরফি, সিঙ্গারাসহ বিভিন্ন খাবারে কালোজিরা ব্যবহার করতে পারেন, এসব খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয় কালোজিরা।
  • মাথা ব্যাথা হলে কালোজিরা পুঁটলিতে বেঁধে শুকতে পারেন, কালোজিরার গন্ধও বেশ উপকারি।

ওজন কমাতে কালো জিরা খাওয়ার নিয়ম

শরীরকে সুস্থ রাখতে বেশ কিছু ভেষঝ উপাদান রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো কালোজিরা। কালোজিরার মধ্যে একধিক গুন রয়েছে, যা আমাদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। আমাদের শরীরে একটি পরিচিত সমস্যার নাম হলো অতিরিক্ত ওজন। বয়স এবং উচ্চতার তুলনায় অতিরিক্ত ওজন শরীরের জন্য অস্বস্তিকর একটা বিষয়। আমাদের মধ্যে যাদের শরীরের ওজন বেশি এবং অনিয়মিত ভাবে ওজন বেড়েই চলেছে, তারাই শুধু জানে এ সমস্যা কতটা ভয়ানক। চলাফেরা থেকে খাওয়া দাওয়া সব বিষয়ে ভুগতে হয় ওজন অস্বাভাবিক হলে। এর জন্য কত কি নায় করে থাকেন ওজন কমানোর জন্য। তবে আপনারা কি জানেন শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাবে আপনার ঘরে থাকা বিশেষ এক উপাদান কালোজিরা। কালোজিরার মধ্যে থাকা ফাইবার বা আঁশ ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে। তবে জানতে হবে কোন নিয়মে খেলে কালোজিরা দিয়ে ওজন কমানো যায়। জেনে নিন ওজন কমাতে কীভাবে খাবেন কালোজিরা।

  • কালোজিরা প্রথমে গুড়ো করে নিন এখন হালকা গরম পানি করে তার সাথে কালোজিরা গুড়ো ভালো করে মিশান। এরপর এর সাথে এক চা চামচ করে মধু এবং লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রন শেষে এটি খালি পেটে পান করুন, কয়েকদিনে মধ্যে আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে যাবে।
  • রাতে এক গ্লাস পানিতে কয়েকটি কালোজিরা দিয়ে, সারারাত সে পানিমিশ্রিত কালোজিরা রেখে দিন। এরপর সকালে সে পানি ছেঁকে খাবেন, এভাবে নিয়মিত অভ্যাস করে খেলে ওজন কমবে।
  • কয়েকটি কালোজিরার দানা মধু দিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে ওজন দ্রুত কমবে।
  • কালোজিরার বেশ কয়েকটি দানা (১০ টি) একটি বাটিতে নিয়ে তার সাথে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে। এটি ২ থেকে ৩ দিন রোদে রেখে দিন এবার এই দানাগুলো প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ টা সেবন করুন, ওজন কমতে শুরু করবে।
  • কালোজিরার তেলও ওজনকে নিয়ন্ত্রনে আনে। বাড়িতে স্যালাড বানিয়ে তার সাথে পরিমাপমতো কালোজিরার তেল মিশিয়ে খেলে ওজন নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে। এছারাও ওজন কমাতে দইয়ের সাথে কালোজিরা মিশিয়ে খেতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ-  আঁচিল চেনার উপায় - আঁচিল দূর করার উপায়

তবে খেয়াল রাখবেন ওজনকে তাড়াতাড়ি কমাতে, এটা ভাববেন না যে বেশি করে কালোজিরা খাবেন। প্রতিদিন অতিরিক্ত পরিমানে কালোজিরা খাওয়া যাবে না। একদিনে কতটুকু কালোজিরা খাবেন পুরো আর্টিকেলটি পড়লেই জানতে পারবেন।

সকালে খালি পেটে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা

কালো জিরা খেলে শরীরে বিভিন্ন উপকার মেলে এতক্ষনে সেটা আমরা নিশ্চয় বুঝে গেছি। কালোজিরা খাওয়ার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো সকালে খালি পেটে কালোজিরা খাওয়া। সকালে খালি পেটে শুধু কালো জিরা, কালোজিরার তেল কিংবা কালোজিরা গুড়োর  সাথে মধু মিশিয়ে খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। এ নিয়মে কালোজিরা আমরা অনেকেই খেয়ে থাকি, তবে জানেন কি এ নিয়মে কালোজিরা খেলে কি উপকার পাওয়া যায়? জেনে নিন সকালে খালি পেটে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতাগুলো কি-

  • প্রতিদিন সকালে খালি পেটে সঠিক পরিমানে কালোজিরা এবং মধু একসাথে মিশিয়ে খেলে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  • কালোজিরার সাথে মধু মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে ডায়াবেটিকস রোগিদের জন্য খুবই উপকারি। এভাবে কালোজিরা খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাকে কমিয়ে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রনে রাখে।
  • বাতের ব্যাথায় প্রতিদিন সকালে খালি পেটে শুধু কালোজিরা চিবিয়ে খাবেন, ব্যাথা থেকে মুক্তি পাবেন।
  • সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে থাকে।
  • কালোজিরা শরীরে বিভিন্ন ক্ষতিকর ব্যকটেরিয়াগুলোর সাথে লড়াই করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। সকালে খালি পেটে খেলে এর কার্যকারীতা বেশি পাওয়া যায়।
  • গ্র্যাস্ট্রিক  বা অ্যাসিডিটির সমস্যা সমাধানে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কালোজিরা খাবেন।
  • হাঁপানি এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমাস্যার সমাধান হয় প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পরিমাপ করে কালোজিরা খেলে।
  • প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে স্মরনশক্তি বৃদ্ধি পায়।
  • চর্মরোগের সমস্যার সমাধান হয় নিয়মিত সকালে কালোজিরা খেলে।
  • অস্বাভাবিক ওজনকে কমিয়ে স্বাভাবিক ওজন ফিরিয়ে এনে দেয় সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে।
  • জৈব শক্তির বৃদ্ধি ঘটে প্রতিদিন নিয়মিত সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে।
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

মধু ও কালোজিরা একসাথে মিক্স করে খেলে শরীর থাকবে প্রতিনিয়ত সুস্থ। একাধিক রোগের সাথে লড়াই করে কালোজিরা মানবদেহকে রোগমুক্ত রাখে। কিন্তু জানেন কি শুধু কালোজিরা ছাড়াও, কালোজিরার সাথে মধু মিশালে এর মধ্যে ওষুধিগুন আরও বেড়ে যায়। কালোজিরা ও মধু একসাথে খেলে রক্ত থেকে বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থগুলো বের হয়ে আসে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকার সম্পর্কে।

  • যেসব মায়েরা বাচ্চাদের পর্যাপ্ত দুধ দিতে পারছেন না অর্থ্যাৎ দুধ কম হচ্ছে। সেসব মায়েরা কালোজিরার সাথে মধু মিক্স করে খাবেন, দুধের ঘাটতি পূরন হবে।
  • মধু ও কালোজিরা একসাথে পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হবে।
  • কালোজিরার তেলের সাথে পরিমাণমতো মধু মিশিয়ে খেলে মাথা ব্যাথার সমস্যা ভালো হয়ে যায়।
  • এক চা চামচ কালোজিরার সাথে তিন চা চামচ মধু ও দুই চা চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, ব্যাথা, সর্দি, কাশি দূর হয়।
  • মধু ও কালোজিরা একসাথে খেলে শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়।
  • নিয়মিত কালোজিরা ও মধু একসাথে মিশিয়ে খেলে রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে হয়।
  • কালোজিরা ও মধু একসাথে মিক্স করে শিশুদের খাওয়ালে, শিশুদের মস্তিষ্ক সুস্থ এবং মানসিক বৃদ্ধি ঘটে।
  • কালোজিরা ও মধু একসাথে খেলে লিভারের ফ্যাট কমে এবং লিভারের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে।
  • শরীর থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টরেলের মাত্রা কমে কালোজিরা ও মধু একসাথে খেলে এবং কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে শারিরিক ও মানসিকভাবে শরীরকে সুস্থ রাখে।
আরো পড়ুনঃ-  আলু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

মধুর সাথে গোটা কালোজিরা অথবা কালোজিরার তেল যেকোনো একটি মিশিয়ে খেলেই উপরের বলা উপকারগুলো পাবেন। শরীরকে দৈহিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ রাখতে নিয়মিত কালোজিরার সাথে মধু মিশিয়ে খাবেন। তবে সঠিক নিয়মে কালোজির ও মধু খেলে এর উপকার বেশি পাওয়া যাবে, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে একদিনে দুইবার মধু খেতে হবে, সকালে খালি পেটে ২ চামচ এবং রাতের খাবারের ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পরে এই কালোজিরা মধু খেলে উপকার পাওয়া যায়।

প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়

কালোজিরার মধ্যে হাজারেরও অধিক ওষুধিগুন রয়েছে। কালোজিরার মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান মানবদেহকে সুরক্ষা করে। কিন্তু এর মধ্যে অধিক পুষ্টিউপাদান আছে বলে, অধিক মাত্রায় এটি খাওয়া যাবে না। অতিরিক্ত অথবা অনিয়মিত ভাবে কালোজিরা খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। প্রতিদিন আপনি সঠিক মাপে কালোজিরা খেলে শরীরে কোনো সমস্যা হবে না। তবে প্রতিদিন কালোজিরা সঠিক মাপে না খেলে শরীরে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।

অতিরিক্ত কালো জিরা খেলে কারো কারো ক্ষেত্রে অ্যালার্জিজনিত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। পেটে ব্যাথাসহ, পাকস্থলীর সংকোচন, বুক জ্বালা-পোড়া, বমি বমি ভাব, এবং শ্বাসপ্রশ্বাসেও সমস্যা হতে পারে। গর্ভবতী মায়েদের জন্য সঠিক পরিমাণে কালোজিরা খেতে হবে, তানাহলে গর্ভপাতে আশঙ্কা থাকতে পারে। লিভার ও কিডনির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এছারাও অতিরিক্ত কালোজিরা খেলে রক্তের শর্করার পরিমাণ কমে গিয়ে ডায়াবেটিকস রোগিদের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

কালোজিরার মধ্যে একাধিক উপকারি গুন রয়েছে, পর্যাপ্ত পরিমানে দৈনিক ১ থেকে অতিরিক্ত ৩ গ্রাম অথবা দুই চা চামচ কালোজিরা খাবেন। এর অতিরিক্ত কালোজিরা শরীরের জন্য ক্ষতি হতে পারে। তাই নিয়মিত সঠিক মাপে কালোজিরা খান এবং স্বাস্থকে ঠিক রাখুন।

লেখকের শেষ বক্তব্য

কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।

Leave a Comment