হানি নাটস এর উপকারিতা – হানি নাট খাওয়ার নিয়ম

বর্তমানে হানি নাটস শব্দটি সোসাল মিডিয়ায় খুবই পরিচিত একটি শব্দ। তাই আমাদের অনেকের  মনে প্রশ্ন আসে, কি এই হানি নাটস এবং কিভাবে এটি তৈরি করা হয়? এটি খেলে কি কোনো উপকার পাওয়া যাবে? কিভাবে এটি খেতে হবে এবং কোন সময়ে খেতে হবে? এসব বিষয় কেউ জানেন আবার কারো জানা নেই। আজকের আর্টিকেলে আমরা হানি নাটস সম্পর্কে আলোচনা করবো। আর্টিকেলটি পড়লে হানি নাটস সম্পর্কে আপনারা ধারনা পেয়ে যাবেন।

হানি নাটস এর উপকারিতা

হানি নাটস মূলত একটি খাবারের নাম।  স্বাস্থকে ভালো রাখতে এই খাবার গুরত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে থাকে। এই খাবার খেতে খুবই সুস্বাদু তার সাথে মানবদেহের জন উপকারী। তবে এ খাবার সম্পর্কে আমাদের অনেকের মধ্যে ধারনা নেয়। চলুন তাহলে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক এ খাবার সম্পর্কে।

হানি নাটস কিভাবে তৈরি করে

হানি নাটস খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। পুষ্টিকর এই খাবারকে অনেকেই মধুময় নামে চিনে থাকে। নাম শুনে কিছুটা হলেও আন্দাজ করা যায় কি আছে এই খাবারের মধ্যে। এটি বিভিন্ন খাদ্য উপাদানের সংমিশ্রনে তৈরি করা হয়। এ খাবারে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান একসাথে যোগ করা হয়। মধুর সাথে বিভিন্ন জাতের বাদাম, অনান্য জাতের পুষ্টিকর  খাদ্য একসাথে দিয়ে হানি নাটস খাবারটি তৈরি করা হয়। জেনে নিন কিভাবে হাটি নাটস তৈরি করা হয়।

হাটি নাটস বা মধুময় বাদাম তৈরিতে যেসব উপাদান লাগে সেগুলো হলো-

মিশ্র ফুলের মধু, কাঠবাদাম, পেস্তা বাদাম, থাই চিনা বাদাম, চিনা বাদাম, আলুবোখরা, চিয়া সিড, আখরোট, কালোজিরা, গোল্ডেন কিসমস, ব্ল্যাক কিসমিস, সাদা তিল, সূর্যমূখীর বীজ, খুরমা খেজুর, মিষ্টি কুমড়ো বীজ, তীন ফল, চেরি ফল, ড্রাই আপেল, ড্রাই আনারস, খাঁটি মধু, এসব পভৃতি উপাদান হানি নাটস তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।

হানি নাটস তৈরিতে আপনি প্রধান উপকরন হিসেবে খাঁটি মধু, যেকোনো বাদাম, খেজুর, আখরোট বাদাম, কালোজিরা এবং সাদা তিল নিতে পারেন। এছারাও উপরে বলা যেকোনো উপকরণ অথবা সবগুলো উপকরণ  নিয়ে এ খাবারটি তৈরি করতে পারেন। এ খাবার তৈরি করতে প্রথমে শুকনো খাদ্য উপাদানগুলো সবগুলো একসাথে নিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিবেন। আর খেজুরের বীচি ফেলে ছোট ছোট করে কেটে ব্যবহার খেজুর ব্যবহার করবেন। খাদ্য উপাদানগুলো একসাথে মেশানো হয়ে গেলে তার সাথে মধু যোগ করে দিবেন। মধু এমন ভাবে অ্যাড করবেন যাতে সব উপাদানের সাথে ভালো ভাবে মিশে যায় এবং মধুর পনিমাণটা বেশি করে নিবেন। এরপর এটি এমন পাত্রে রাখবেন, যাতে সেখানে বাতাস প্রবেশ করতে না পারে। কারন বাতাস প্রবেশ করলে তৈরিকৃত হানি নাটস তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এভাবে বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারবেন হানি নাটস বা মধুময় বাদাম।

হানি নাটস বা মধুময় বাদাম তৈরিতে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, যেসব খাদ্য উপাদান আপনি এটি তৈরি করতে ব্যবহার করবেন সেগুলো যাতে খাঁটি হয়। তাহলে এ খাবারের সঠিক পুষ্টি উপাদান আপনি পাবেন।

আরো পড়ুনঃ-  মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায় - মেছতা দূর করার ওষুধ

হানি নাটস খেলে কি ওজন বাড়ে

মধু এবং বাদাম এই দুই খাদ্য উপাদান স্বাস্থের জন্য খুবই উপকারী। প্রাচীনকাল থেকে স্বাস্থকে ঠিক রাখতে এ খাবারের প্রচলন রয়েছে। মধু, বিভিন্ন প্রকারের বাদাম এবং তার সাথে আরও বিভিন্ন উপাদানের সংমিশ্রনে হানি নাটস তৈরি করা হচ্ছে। যেসব উপাদান হানি নাটস তৈরিতে ব্যবহার করা হয় সবগুলো উপাদান স্বাস্থের জন্য উপকারি। তবে এ খাবারের স্বাস্থ উপকারিতা থাকলেও, অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন হানি নাটস খেলে ওজন বাড়ে কিনা। স্বাভাবিকের থেকে কম অথবা বেশি ওজন হলে সেটা শরীরের জন্য ঠিক নয়। কম ওজন যেমন শরীরের জন্য ক্ষতিকর তেমনি বেশি ওজনও স্বাস্থের জন্য ভালো নয়। তাই আমাদের যেকোনো খাবার সম্পর্কে ভালোভাবে যেনে তার পর খাওয়া উচিত।

হ্যাঁ হানি নাটস অতিরিক্ত খেলে অবশ্যই ওজন বাড়ে। তবে পরিমাপ করে খেলে ওজন বাড়ার ভয় নেই। পরিমাপ করে খেলে হানি নাটস এর উপকারিতা সবাই পাবে। পুষ্টিবীদদের মতে স্বাস্থের উন্নতির জন্য অবশ্যই এই খাবার গুরত্বপূর্র্ন ভূমিকা রাখে। তবে এ খাবারের মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে, যা আমাদের শরীরে বেশি প্রবেশ করলে ওজন বাড়াসহ বিভিন্ন ক্ষতি করতে পারে।

মধু এবং বাদাম উচ্চক্যালরি সম্পন্ন দুটি খাবার। ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া আমাদের স্বাস্থের জন্য খুবই উপকারি। তবে মানবদেহের জন্য বয়স, পুরুষ অথবা নারী এবং উচ্চতা অনুযায়ী ক্যালরির মান নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সে অনুযায়ী আমাদের প্রত্যেকের শরীরে ক্যালরি নিতে হবে। কারন উচ্চক্যালরি যুক্ত খাবার প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে খেলে সেটা শরীরে গিয়ে জমা হয় এবং ওজনকে বাড়িয়ে দেয়। এছারাও ফ্যাটের অন্যতম উৎস হলো বাদাম। বাদামের মধ্যে প্রচুর পরিমানে ফ্যাট থাকে, যা বেশি পরিমানে গ্রহন করলে তা দেহের মধ্যে চর্বি জমিয়ে দেয় এবং ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়।

হানি নাটস যেহেতু বাদাম, মধু দিয়ে তৈরি করা হয় এবং এ খাবারের মধ্যে প্রচুর পরিমানে ক্যালোরি রয়েছে সেহেতু এ খাবার পরিমিত না খেলে দেহে চর্বি জমে পাশাপাশি ওজন বেড়ে যায়। তবে আপনার শরীরে যতটুকু ক্যালরি প্রয়োজন সে অনুযায়ী হানি নাটস খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে না। তাই পরিমিত ভাবে হানি নাটস খাবেন, ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকবে।

হানি নাট খাওয়ার নিয়ম

হানি নাটস এর উপকারিতা

বাদাম এবং মধু তার সাথে বিভিন্ন খাদ্য উপাদান মিশিয়ে তৈরা করা হচ্ছে হানি নাটস বা মধুময় বাদাম খাবারটি। শরীরের জন্য বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান হানি নাটস এর মধ্যে রয়েছে। এ খাবারে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ভিটামিন, খনিজ উপাদানসহ আরও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান এর মধ্যে রয়েছে। পুষ্টিবীদরা এ খাবারকে পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে একটি বলে অভিহিত করেছেন। নিয়মিত  হানি নাটস খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন উপকার করে থাকে।  বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন হানি নাটস এর  উপকারিতা সম্পর্কে।

  • হানি নাটস  এর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্যাট রয়েছে, যা খাওয়ার ফলে নারী এবং পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোনের বৃদ্ধি হয়।
  • হানি নাটস খেলে শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর হবে এবং শরীরে নতুন শক্তির জোগান দেবে।
  • হার্টের বিভিন্ন সমস্যায় যারা ভুগছেন, এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে, নিয়মিত হানি নাটস খেলে।
  • নিয়মিত হানি নাটস খেলে শারিরিক এবং মানসিক স্বাস্থ ভালো থাকে।
  • যাদের ঘুমের সমস্যা আছে ঠিকমতো ঘুম হয় না, তাদের জন্য হানী নাটস খুবই উপকারি। নিয়মিত হানী নাটস খেলে ঘুমের সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে।
  • অল্প বয়সেই বার্ধক্যের ছাপ, এ সমস্যা দূর হবে দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমানে হানি নাটস খেলে।
  • মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় নিয়মিত হানি নাটস খেলে।
  • খাবারের অরুচি থাকলে, হানি নাটস খাবেন খাবারে রুচি বাড়বে।
  • হানি নাটস এর মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত এবং মজবুত রাখে।
  • ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে থাকে হানি নাটস খেলে। হানি নাটস মানবদেহের রক্তে থাকা দূষিত পদার্থগুলোকে বের করে আনে এবং রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে।
  • হানি নাটস এর মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান দাঁতের মাড়ি শক্ত করে এবং দাঁতকে বিভিন্ন সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করে।
  • পেটের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে হানি নাটস খুবই গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে থাকে। হানি নাটস এর মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলো নিয়মিত মানবদেহে প্রবেশ করলে কিডনি ও লিভার ভালো থাকে।
  • যাদের ওজন বয়স এবং উচ্চতার তুলনায় স্বাভাবিকের থেকে কম, তাদের জন্য খুবই কার্যকারী উপাদান এই হানি নাটস। হানি নাটস এর মধ্যে থাকে প্রচুর ক্যালোরি, যা নিয়মিত খেলে ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকবে।
আরো পড়ুনঃ-  মেয়েদের মন ভালো করার উপায় - মেয়েদের ভালোবাসার ইশারা

মধু ও বাদাম এ দুটি খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার,  একসঙ্গে খেলে উপকারিতা আরও বেড়ে যায়। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত হানি নাটস আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন।

হানি নাটস খাওয়ার নিয়ম

হানি নাটস বা মধুময় বাদাম এর মধ্যে মানবদেহের জন্য উপকারি বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে। শরীরের জন্য এ খাবার উপকারী বলে ব্যপকভাবে এ খাবারের চাহিদা বাড়ছে। এ খাবারের মধ্যে অসংখ্যা পুষ্টি উপদান রয়েছে এবং এটি আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারি। ইতিমধ্যে আমাদের সেটা ধারনা হয়ে গেছে। তবে এ খাবারের উপকারিতা বেশি হলেও, এটি সঠিক নিয়মে খেতে হবে। জেনে নিন হানি নাটস খাওয়ার নিয়ম-

স্বাস্থ ঠিক রাখতে আমাদের প্রতিদিন কোনো না কোনো পুষ্টিকার খাবার, খাবারের তালিকায় রাখি। স্বাস্থ ঠিক রাখতে এমন একটি উপযোগি খাবার হলো হানি নাটস। তবে স্বাস্থ ঠিক রাখতে শুধু পুষ্টিকর খাবার তালিকায় রাখলেই হবে না। যে খাবার আপনি প্রতিদিন খাবেন, সে খাবার অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে সঠিক নিয়মে খাবেন। হানি নাটস এর মধ্যেও অসংখ্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে, তাই আমাদের এ খাবার খেতে হবে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন হানি নাটস হাতের মুঠোয় করে এক মুঠ, চা চামচে খেলে এক থেকে দুই চা চামচ খাবেন। এছারাও স্¦াস্থের কোনো সমস্যা নেয় এমন প্রাপ্ত বয়স্ক নারী অথবা পুরুষ দৈনিক ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম হানি নাটস খেতে পারবেন, তাতে কোনো সমস্যা হবে না।

কিন্তু সবার জন্য হানি নাটস খাওয়া উচিত নয়। জেনে নিন হানি নাটস খাওয়া কাদের জন্য উপযোগি নয় এবং অতিরিক্ত হানি নাটস খেলে কি ক্ষতি হয়।

  • প্রয়োজনের অতিরিক্ত হানি নাট শরীরের বিভিন্ন ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়ায়। ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হলে হানি নাটস খাওয়া যাবে না। হানি নাটস এর মধ্যে প্রচুর পরিমানে ক্যালরি রয়েছে যা ওজন বাড়ায়, তাই যাদের শরীরে অতিরিক্ত ওজন তারা হানি নাটস না খাওয়ায় ভালো।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের হানী নাটস খাওয়া উচিত নয়। হানি নাটস খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে এবং ডায়াবেটিসজনিত বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়।
  • কিডনীর  সমস্যায় যারা আক্রান্ত তাদের জন্য হানি নাটস খাওয়া ঠিক নয়।
  • প্রয়োজনের অতিরিক্ত হানি নাটস খেলে শ্বাসকষ্ট বা অ্যালার্জি জনিত সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
  • হার্টের বিভিন্ন সমস্যা হতে দেখা দিতে পারে।
আরো পড়ুনঃ-  সবচেয়ে বেশি আঁশযুক্ত খাবার - আঁশযুক্ত খাবার কি কি

মনে রাখবেন আপনার মধ্যে যদি কোনো জটিল শারিরিক সমস্যা না থাকে তাহলে পর্যাপ্ত পরিমাণে হানি নাট খাবেন স্বাস্থ ভালো থাকবে। তবে আপনার শরীরে কোনো সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এটি খাবেন।

হানি নাটস খাওয়ার সময়

হানি নাটস বহু পুষ্টিগুনে ভরপুর একটি খাদ্য উপাদান। শারিরিক ও মানসিক স্বাস্থের জন্য খুবই উপকারি এ খাবার। সারাদিনের ব্যস্ততা ও কাজের চাপে শরীরের অবসাদগ্রস্থতা দূর করতে সাহায্য করে এ খাবার। এ খাবার অনেকেই আমরা খেয়ে থাকি আবার অনেকেই খাব বলে সিধান্ত নিচ্ছে। তবে জানেন কি এই খাবার খাওয়ার কোনো সময় আছে কিনা বা খাওয়ার সময় কখন। না জেনে থাকলে, জেনে নিন হানি নাটস খাওয়া সময় কখন-

হানি নাটস খাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেয়, শুধু পরিমান করে খাওয়াটাই জরুরি। তবে সকালে অথবা বিকেলে হানি নাট খাওয়ার উপযুক্ত সময় হিসেবে ধরা হয়। সকালে খালি পেটে অথবা সকালের নাস্তার পর অর্থ্যাৎ দুপুরে খাওয়ার আগের সময়টা হানি নাটস খাওয়া সঠিক সময়। বিশেষ করে যাদের হজমে সমস্যা , তাদের জন্য এ সময়ে হানি নাট খাওয়া বেশ উপকারী। এছারাও এ সময় হানি নাটস খেলে আমাদের শরীরে সারাদিনের যে শক্তির প্রয়োজন হয়, সেটা সহজেই এ খাবার পূরন করে থাকে। তাই সকালে খালি পেটে অথবা সকালের যেকোনো সময় এ খাবার খাওয়া বেশ উপকারি। বিকেলেও এ খাবার খাওয়া ভালো। কারন সারাদিনের কাজ করে শরীর ক্লান্ত থাকলে, সে ক্লান্তি ভাব দূর হয় বিকেল বেলা হানি নাটস খেলে।

সর্বপরি বলতে চায়, হানি নাটস ভালো একটি খাবার। সঠিক সময়ে, পর্যাপ্ত পরিমানে এবং উপরের বলা নিয়ম অনুসারে হানি নাটস খাবেন। শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং শরীর প্রতিনিয়ত সুস্থ থাকবে।

লেখকের শেষ বক্তব্য

হানি নাটস এর উপকারিতা – হানি নাট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি হানি নাটস এর উপকারিতা – হানি নাট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।

Leave a Comment