আমেরিকা যাওয়ার উপায় - আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশের অনেক মানুষের স্বপ্ন আমেরিকা রাষ্ট্র যাওয়ার। তবে আমেরিকা কিভাবে যাওয়া যায়, যেতে কত খরচ হয় বিষয়গুলো সম্পর্কে অনেকের সঠিক ধারনা নেই। তবে যারা আমেরিকা যেতে চান, তাদের আগে থেকে বিষয়গুলো জেনে নেওয়া ভালো। আমরা আজকের আর্টিকেলে আমেরিকা যাওয়ার উপায় এবং যেতে কত টাকার লাগে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

আমেরিকা যাওয়ার উপায়

আপনিও কি আমেরিকা যেতে  চান? আমেরিকা যাওয়া কি আপনারও স্বপ্ন? তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আমরিকা যাওয়ার জন্য যে তথ্যগুলো জানা প্রয়োজন, সেগুলোর সম্পর্কে ধারনা আপনি পেয়ে যাবেন। তো চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নিন, আমেরিকা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে।

আমেরিকা যাওয়ার উপায়

আমেরিকা পৃথিবীর উন্নতমানের একটি দেশ।  সেখানকার বিশাল বিশাল ভবন, আকর্ষনীয় নানা জায়গা, উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা, অত্যধুনিক প্রযুক্তি এগুলো সব একত্রে নিয়ে খবুই চমৎকার একটি দেশ হলো আমেরিকা। আমেরিকা অনেকের কাছে খুবই পচ্ছন্দের একটি জায়গা। বিভিন্ন কারনে আমেরিকা যেতে অনেকেই চাই, কেউ চাকরির জন্য, কেউ কর্ম করতে , কেউ পড়াশুনা করতে, কেউবা ঘুরতে। আমেরিকা উন্নতশীল দেশ হওয়ায় সেখানে যাওয়ার অনেকের আগ্রহ বেশি। আমেরিকা আপনি যে কারনেও যান না কেন, আপনাকে জানতে হবে আমেরিকা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে নিন আমেরিকা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে।

কয়েকটি ভিসা ক্যাটাগরিতে আমেরিকা ভিসা পাওয়া যায়, সে সবগুলোর থেকে শিক্ষা ক্যাটাগরিতে ভিসা পাওয়া বেশি সহজ। শিক্ষা ক্ষেত্রে বা যারা স্থায়ীভাবে চাকরির ভিসা পেতে হলে ইবি সিরিজের ক্যাটাগরি ১ থেকে ৫ ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে হবে। ইবি ক্যাটাগরি ছাড়াও বেশ কিছু ক্যাটাগরি আমেরিকা যাওয়ার জন্য রয়েছে।

ইবি-১: এ ক্যাটাগরিতে আমেরিকা যাওয়ার আবেদন করতে হলে বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। কোনো বিষয়ের ওপর বিশেষ দক্ষতা বা গবেষনাক্ষেত্রে দক্ষতা থাকলে এ ক্যাটাগরিতে আবেদন করে ভিসা পাওয়া যায়।

ইবি-২: উচ্চতর কোনো বিষয়ে দক্ষতা থাকলে এ ভিসা আপনি সহজেই পেয়ে যাবেন। তবে একটি বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। সেটি হলো আমেরিকার কোনো প্রতিষ্ঠানের চাকরির অফার লেটার লাগবে। 

ইবি-৩: এ ক্যাটাগরিতে ভিসা পেতে হলে প্রফেশনাল দক্ষতা বা দক্ষ কর্মী হতে হবে। দক্ষতার পাশাপাশি আমেরিকার কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরির অফার লেটার থাকতে হবে। 

ইবি-৪: বিশেষ অভিবাসীদের এ ক্যাটাগরিতে আমেরিকা ভিসা দিয়ে থাকে। এর  মধ্যে রয়েছে চিকিৎসক, নাটোর সাবেক কর্মী, সশস্ত্র বাহিনী সদস্য, ইরাক ও আফগানিস্থানের ভাষা জানেন এমন ব্যক্তি, ইংরেজি অনুবাদ করতে পারেন এমন ব্যাক্তি অন্যতম।

ইবি-৫: যার আমেরিকা গিয়ে উদ্যোক্ত হওয়ার অর্থ থাকে তারা এ ভিসা পেয়ে থাকে। আপনার যদি সে পরিমাণ অর্থ থেকে থাকে তাহলে আপনিও এ ভিসা সহজে পেয়ে যাবেন। তবে আপনাকে প্রথমে ভিসা পেতে হলে সেখানে গিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে এবং কমপক্ষে ৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করতে হবে।

স্টুডেন্ট ভিসা: এ ভিসা সহজভাবে পেতে হলে সরকারি ভাবে বা স্কলারশিপের প্রয়োজন। স্কলারশিপ ছাড়া এ ভিসা পাওয়া কঠিন। শিক্ষাগত যোগ্যাতা ছাড়া এমনিতেই এ ভিসা পাওয়া যায় না। 

কর্মসংস্থান ভিসা: আপনাকে যদি আমেরিকার কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কাজের জন্য অফার লেটার পাঠায়, তাহলে আপনি এ ভিসা পেতে পারেন।

পরিবার ভিসা: আমরিকায় আইনগত ভাবে আপনার পরিবার বা বৈধ সঙ্গীর নাগরিকত্ব থাকে তাহলে আমেরিকা যাওয়ার ভিসা আপনি পাবেন। আমেরিকায় পরিবারের কেউ থাকলে, সে আপনাকে আমেরিকা নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করতে পারবেন। এছারাও আপনার বাগদান বৈধ ভাবে আমেরিকার কোনো নাগরিকের সাথে হলে এবং বাগদানের দুই বছর পার হলে তিনি আপনাকে আমেরিকা নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ডাইভার্সিটি ভিসা লটারি: আমেরিকা থেকে প্রতিবছর লটারি পাঠানো হয়, সে লটারির মাধ্যমে আমেরিকার দেশ বিভিন্ন দেশ থেকে অভিবাসী নিয়ে থাকে।  কিন্তু বাংলাদেশিদের জন্য এ ভিসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

উপরের বলা ভিসা ক্যাটাগরিতে আপনি যদি আবেদন করতে চান, তাহলে আবেদন করার জন্য যোগ্যতা থাকা অবশ্যক। যোগ্যতা ব্যতীত আমেরিকার ভিসা পাওয়া যাবে না। 

আরো পড়ুন: মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং - মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা খরচ

আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে

আমেরিকার দেশ উন্নতশীল বলে, এ দেশকে শক্তিশালী দেশ বলা হয়। উন্নতশীল দেশের পাশাপাশি সুন্দরতম দেশ হিসেবেও খ্যাত আমেরিকা। তাই মানুষের কাছে আকর্ষনীয় একটি দেশ  হলো আমেরিকা। প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে গিয়ে পাড়ি জমায়। সেখানে গেলে সবার জীবন সুন্দর ভাবে গড়ে ওঠে। বাংলাদেশ থেকেও অনেক মানুষের সেখানে যাওয়ার জন্য আগ্রহী। বাংলাদেশ থেকে যারা আমেরিকা যেতে আগ্রহী, তারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে। চলুন বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে।

বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি আমেরিকা যেতে চান তাহলে কত টাকা লাগবে, সেটা কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে। যেমন ধরুন-কোন ভিসায় যাবেন, ভিসার মেয়াদ কতদিনের, লোকেশন কোথায় ইত্যাদি। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভিসা রয়েছে, যেমন- টুরিস্ট ভিসা, কাজের ভিসা, চিকিৎসা ভিসা প্রভৃতি। এখানে একেক ভিসায় একেক ধরনের আবেদন ফি নেওয়া হয়। কোথায় নামবেন সে অনুযায়ী বিমান ভাড়া আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। তবে আনুমানিক ধারনা আপনাদের দেওয়া যেতে পারে। সেটা হলো-বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে আনুমানি খরচ হবে ১৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। তবে পরিচিত কোনো ব্যাক্তির মাধ্যমে আমেরিকা যেতে চান তাহলে খরচ কম পড়ে। আর যদি বাংলাদেশি এজিন্সির মাধ্যমে যান তাহলে খরচ একটু বেশি পড়বে। স্টুডেন্ড ভিসায় খুব একটা খরচ বেশি হয় না। ৫ থেকে ১৫ লাখ টাকার  মধ্যেয় যাওয়া যায়।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার দুরত্ব ৮২১৯ মাইল। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা আপনি সরাসরি যেতে পারবেন না, প্রথমে আপনাকে বাংলাদেশ থেকে দুবাই পৌঁছাতে হবে এরপর দুবাই থেকে আমেরিকা যেতে হবে। বাংলাদেশ থেকে দুবাই যেতে ৫ ঘন্টা এবং দুবাই থেকে আমেরিকা যেতে ২০ ঘন্টা সময় লাগে। তাহলে মোট ২৫ ঘন্টার মধ্যেই আপনি আমেরিকা পৌঁছে যেতে পারবেন।

আমেরিকা থাকা খাওয়া খরচ কত

আমেরিকায় অনেকেই বাসা ভাড়া করে থাকতে চান, আসলে প্রথমে গিয়েই বাড়ি কিন সম্ভব হয় না। তাই প্রথমে বাড়ি ভাড়া করে থাকা লাগে। আমেরিকায় যারা গিয়ে বাসা ভাড়া নিতে চান তারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, আমেরিকায় থাকা ও খাওয়ার খরচ কত? তো চলুন জেনে নিন আমেরিকায় থাকা ও খাওয়া খরচ কত, এ বিষয় সম্পর্কে।

আমেরিকায় থাকা  ও খাওয়ার খরচ নির্দিষ্ট ভাবে বলা যায় না। কারণ জায়গা ভেদে, বাড়ির আকার ভেদে, কোন ধরনের খাবার খাবেন এ বিষয়ের ওপর খরচটা নির্ভর করবে। যেমন ধরুন,  বেডরুম যদি আপনার আকারে বড় হয় তাহলে খরচ বেশি হবে আবার ছোট হলে খরচ কম হবে। এলাকাভিত্তিকও থাকা অর্থ্যাৎ বাসা ভাড়া আলাদা হয়ে থাকে। বাসা ভাড়া নিয়ে বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি আপনাকে পড়তে হবে। এবার খাওয়ার খরচ সম্পর্কে জেনে নিন।

 আপনি কোন ধরনের খাবার কি পরিমাণে খাবেন তার ওপর নির্ভর করবে খাওয়ার খরচ কত হবে। আপনি যদি সাধরন ভাবে একবেলা খেতে চান তাহলে ৬ ডলার দিয়েও খেতে পারবেন। রান্না করা খাবারগুলো মনে করনে ভাত, ডাল, মাছ, মাংস এসব জাতীয় খাবার যদি খান তাহলে মাসে আপনার ৪০০ ডলালের মধ্যে হয়ে যাবে। তবে বাচ্চা থাকলে খাবারের খরচ বেশি হবে। যে খাবারগুলোর দাম বেশি সে খাবারগুলো যদি আপনি খান, তাহলে মাসে ৪০০ ডলারের বেশি খরচ হবে। অর্থ্যাৎ যে ধরনের খাবার আপনি খাবেন, সে অনুযায়ী খরচ আপনার হবে।

বড় শহরগুলোতে যেমন আপনার ইনকাম বেশি তেমনি খরচও আপনার প্রতি মাসে অনেকটাই বেশি হয়ে যায়।

আমেরিকায় প্রবাসীদের বেতন কত

উন্নতদেশ দেশ আমেরিকায় বিভিন্ন দেশের মানুষ কাজের জন্য সেখানে পাড়ি জমায়। সেখানে কাজের ও চাকরির ধরনে অনুযায়ী বেতন হয়ে থাকে। অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন আমেরিকায় প্রবসীদের বেতন কত? এ বিষয়ে বিস্তারিত নিচের আলোচনা থেকে জেনে নিন।

আমেরিকায় প্রবাসীদের বেতন কেমন হবে সেটা কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। যেমন পেশার ধরন, অবস্থান, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কোম্পানির আকারের ওপর নির্ভর করে। আমেরিকায় যে প্রবাসিরা স্বাস্থ ও প্রযুক্তি খাতে চাকরি করে, তাদের বেতন সর্বচ্চো বেশি হয়ে থাকে। একজন নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার বছরে ৯৮ হাজার ডলার ইনকাম করে থাকে। একজন ডাক্তার প্রতি বছরে ২ লক্ষ ৬ হাজার ডলার আয় করে থাকে। শিক্ষক শিক্ষিকারা বছরে ৬০ হাজার ডলার মতো আয় করে থাকেন। ব্যাংকাররা বছরে ৪৫ হাজার ডলার মতো আয় করে থাকেন।

অনেক প্রবাসীরা রেস্টুরেন্টে কাজ করে থাকে। যারা রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ করে থাকে সপ্তাহে তারা যদি ৪০ ঘন্টা মতো কাজ করে তাহলে তাদের সাপ্তাহিক বেতন ১ হাজার থেকে ১২০০ ডলার মতো হয়ে থাকে। অনেক প্রবাসিরা আবার ট্যাক্সি  ক্যাব চালায়। যারা ট্যাক্সি ক্যাব চালায় তাদের বেতন সপ্তাহে ৫ দিন করলে ১০০০ মতো ডলার মতো হয়। নিজের যদি ট্যাক্সি থাকে তাহলে খুবই ভালো মানের ইনকাম করতে পারা যায়।

যে প্রবাসীগুলো আবাসিক হোটেলগুলোতে কাজ করে তাদের বছরে ৬০ হাজার থেকে শুরু করে ১২০ হাজার ডলার মতো হয়ে যায়। এ জবটা অনেক ভালো, ভালো মানের স্যালারি সেখান থেকে পাওয়া যায়। যারা সিকিউরিটি গার্ড এর জব করে তাদের বছরে ৩৫ হাজার ডলার মতো আয় হয়ে থাকে।

আসলে বেতন ফিক্সড ভাবে বলা সম্ভব নয়, কারণ অনেক কাজে অভিজ্ঞতা থাকলে সেখানে বেতনটা বেশি হয়ে থাকে, উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে এবং ভালো মানের যদি কোম্পানি হয় তাহলে বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে। ছোট এলাকাগুলোর থেকে বড় এলাকাগুলোয় যারা জব করে, জব একই ধরনের হলেও ছোট এলাকাগুলোর থেকে বড় এলাকাগুলোতে বেতন বেশি হয়ে থাকে।

আরো পড়ুন: ঘরে বসে বিনা পুঁজিতে ব্যবসা - ঘরে বসে ক্ষুদ্র ব্যবসা

আমেরিকায় বাসা ভাড়া কত

আমেরিকায় থাকা অর্থ্যাৎ বাসা ভাড়া কত হবে নির্দিষ্ট ভাবে বলা কঠিন।  কারণ জায়গা ভেদে, বাড়ির আকার ভেদে, এ বিষয়ের ওপর বাসা ভাড়া  নির্ভর করবে। ওয়ান বেডরুমের বাসা যদি ভাড়া নিতে যান তাহলে, বেডরুম যদি ছোট সাইজের হয় অর্থ্যাৎ সাড়ে ছয়শত বর্গফুট হয়, তাহলে মাসিক ভাড়া ১০০০ ডলার মতো ভাড়া হয়ে থাকে আবার আপনি যদি বড় সাইজের ওয়ান বেডরুম ভাড়া করতে চান তাহলে মাসিক ভাড়া ১৫০০ ডলার  মতো ভাড়া হয়ে থাকে। আবার এলাকা অনুযায়ী বাসা ভাড়ার ধরন ভিন্ন হয়ে থাকে। সাড়ে আটশ বর্গফুটের বাসা আপনি যদি ভালো এলাকাগুলোতে ভাড়া নিতে চান তাহলে ভাড়া  একটু বেশি হবে আবার একটু খারাপ এলাগুলোতে যদি ভাড়া নিতে চান তাহলে ভাড়া কম হবে। তবে খারাপ এলাকাগুলোর পরিবেশ তেমন ভালো না। সেখানে চুরি, ছিনতাই বেশি হয়ে থাকে।

আবার ধরুন আপনি পড়াশোনার জন্য গেছেন, আর থাকার জন্য বিশ^বিদ্যলয়ের একেবারেই পাশে বাসা খুঁজছেন তাহলে সেখানে ভাড়াটা বেশি হয়ে থাকে। আর বিশ^বিদ্যালয় থেকে দূরে বাসা ভাড়া নিতে চাইলে ভাড়া কম হয়ে থাকে।

ছোট শহরগুলোতে যদি আপনি বাসা ভাড়া নিতে চান, তাহলে প্রতি মাসে আপনার ১০০০ ডলার মতো খরচ করতে হবে। কিন্তু বড় শহরগুলোতে যদি আপনি থাকতে চান তাহলে বাসা ভাড়ার জন্য আপনাকে মাসে ২ থেকে ৩ হাজার ডলার মতো খরচ করতে হবে।

আরো পড়ুন: নিজেকে পরিবর্তন করার উপায় - অভ্যাস পরিবর্তন করার উপায়

আমেরিকায় কি কি কাজের চাহিদা বেশি

বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে আমেরিকা একটি। অর্থনৈতিক দিক থেকে খুবই এগিয়ে রয়েছে আমেরিকা দেশটি। তাই বিভিন্ন দেশের মানুষরা আমেরিকা দেশটিকে কাজের জন্য বেছে নেয়। সেখানে গিয়ে উন্নত ভাবে জীবনযাপন করা যায়। তাই বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ সেখানে যেতে চায়। আমেরিকায় বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে, তার মধ্যে এমন কিছু কাজ রয়েছে যেগুলোর চাহিদা সেখানে বেশি হয়ে থাকে। কাজের চাহিদাগুলো জেনে যদি আপনি সে কাজগুলো বেছে নেন, তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনি সাফল্য অর্জন করতে পারবেন। তো চলুন জেনে নিন আমেরিকায় কি কি কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে।

নিচে দেখে নিন আমেরিকায় কি কি কাজের চাহিদা বেশি-

  • ডাক্তার 
  • নার্স
  • ইঞ্জিনিয়ার
  • শিক্ষক
  • ডেলিভারি ম্যান
  • ড্রাইভার
  • পেইন্টার
  • নির্মান শ্রমিক
  • ওয়েটার
  • ইলেকট্রিশিয়ান

বর্তমানে উপরের বলা এ কাজগুলোর কর্মীর চাহিদা আমেরিকায় বেশি। আমেরিকায় খরচের পরিমানটা অনেক বেশি হয়ে থাকে। তাই আমেরিকা যদি আপনি যেতে চান তাহলে টাকার পরিমানটা অবশ্যই বেশি হতে হবে।

লেখকের শেষ বক্তব্য

আমেরিকা যাওয়ার উপায় - আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি আমেরিকা যাওয়ার উপায় - আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন
comment url