ইতালি যেতে কত টাকা লাগে: ইতালি, ইউরোপের শেনজেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত একটি দেশ, যা অনেক বাংলাদেশির কাছেই স্বপ্নের দেশ। ইউরোপের এই সমৃদ্ধ দেশটিতে শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা এবং ভ্রমণের জন্য অনেকেই যেতে আগ্রহী হন। ইতালির উন্নত শিক্ষার মান এবং তুলনামূলকভাবে বেশি সর্বনিম্ন বেতন এর মূল কারণ।

বাংলাদেশ থেকে যারা এই সেরা গন্তব্যে যেতে চান, তাদের মনে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে: ইতালি যেতে মোট কত টাকা লাগতে পারে? পাশাপাশি, আগ্রহীদের ইতালি যাওয়ার সহজ উপায়, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, বেতন কত, ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে।
ইতালি যেতে কত টাকা লাগে?
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার ক্ষেত্রে ভিসার খরচ ভিসা ক্যাটাগরি ভেদে ভিন্ন হয়। যেমন: স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা এবং কাজের ভিসার খরচ এক হয় না। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে মোটামুটি ৮ লক্ষ টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ ডেনমার্ক যেতে কত টাকা লাগে
মনে রাখতে হবে, সরকারিভাবে এই দেশে যেতে খরচ সাধারণত কম হয়। তবে, বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করলে খরচ স্বভাবতই বেশি লাগে। যদি কেউ নিজেই ভিসা প্রসেসিং করেন, তাহলে তিনি শুধু অফিসিয়াল বা দাপ্তরিক খরচেই যেতে পারবেন।
সাধারণত, স্টুডেন্ট ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসার খরচ অন্যান্য ক্যাটাগরির তুলনায় কম হয়ে থাকে। এছাড়াও, কম খরচে পরিচিত আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে এই দেশে যাওয়ার সুযোগ পাওয়া যেতে পারে।
ইতালি ভিসা খরচ ২০২৬
বিশ্বের যেকোনো দেশে বৈধভাবে প্রবেশ করতে হলে সেই দেশের সরকারের অনুমতিপত্র বা ভিসার প্রয়োজন হয়, ইতালিও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই ইতালি যেতে হলে সবার আগে ইতালি সরকারের কাছে ভিসার আবেদন করতে হবে।
ভিসার জন্য আবেদন করতে আনুমানিক ১৩,০০০ থেকে ১৬,০০০ টাকা আবেদন ফি প্রদান করতে হয়। তবে, আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করছেন, সেখানে পরিচিত লোক থাকলে ১০,০০০ থেকে ১২,০০০ টাকা আবেদন ফি দিয়েও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যেতে পারে। এরপর, ভিসা সম্পন্ন হতে মোট আনুমানিক ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
১. ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
ইতালি প্রতি বছরই সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতে বিভিন্ন শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে। এই সকল নিয়োগের মাধ্যমে ইতালিতে যেতে হলে ইতালি ওয়ার্ক পারমিট থাকা একান্ত জরুরি।
এই ওয়ার্ক পারমিট পেতে হলে ইতালির নিয়োগকর্তার নিকট আবেদন করতে হয়। বর্তমানে, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তৈরি করতে আনুমানিক ৫ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
২. স্টুডেন্ট ভিসায় ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
ছাত্র-ছাত্রীরা হলো একটি দেশের প্রধান ভবিষ্যৎ। এদের মধ্য থেকেই কেউ ভবিষ্যতে দেশের রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেবে।
তবে, উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার উদ্দেশ্যে অনেকেই দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন। ইতালিতে উচ্চশিক্ষার জন্য স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে আনুমানিক ২ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা বা তারও অধিক খরচ হতে পারে।
৩. টুরিস্ট ভিসায় ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
আমাদের সমাজে ভ্রমণপিপাসু মানুষ রহ রহ দেখা যায়। তাঁরা প্রতিনিয়ত নিজ দেশের পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণের পাশাপাশি বিদেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণেরও ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
বহির্বিশ্ব ভ্রমণের এই তালিকায় ইতালি সাধারণত অনেকের কাছেই সবার উপরে থাকে। টুরিস্ট ভিসায় ইতালি যেতে চাইলে আনুমানিক ৩ লাখ টাকার আশেপাশে খরচ হতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে ইতালি যেতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে একটি ভিসা পেতে হবে। এর জন্য ইতালির কোনো কোম্পানি থেকে প্রথমে ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে। এরপর আপনি বাংলাদেশে অবস্থিত ইতালির দূতাবাস থেকে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এই সকল প্রক্রিয়া সফলভাবে শেষ করার পরেই আপনি বৈধ পথে বাংলাদেশ থেকে ইতালি পৌঁছাতে সক্ষম হবেন। যদিও অনেকে আবার অধিক টাকা উপার্জনের লক্ষ্যে অবৈধ পথে ইতালি পৌঁছানোর চেষ্টা করে থাকে। হয়তো কেউ কেউ সফলও হয়েছেন, কিন্তু অবৈধ পথে ইতালি যাওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে কি কি লাগে?
ইতালি ভিসার জন্য আবেদন করতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। এই কাগজপত্রগুলো ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।
তবে, বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে সাধারণভাবে যেসব কাগজ লাগে, তার মধ্যে অন্যতম হলো:
- ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট (যেমন: আইইএলটিএস, জিআরই, টোফেল স্কোর)।
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- বৈধ পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার
- রিকমেন্ডেশন লেটার
- ভ্রমণের ইতিহাস
- একাডেমিক সার্টিফিকেট
- একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
- কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
- ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
- মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট
ইতালি সর্বনিম্ন বেতন কত?
ইউরোপের শেনজেনভুক্ত দেশ ইতালিতে কাজের সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো সরকার কর্তৃক নির্ধারিত। ইতালিতে বৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীরা এই সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো অনুযায়ী বেতন পাওয়ার অধিকারী।
আরো পড়ুনঃ কুয়েত সর্বনিম্ন বেতন কত?
বর্তমানে ইতালিতে সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ১,৪০০ ইউরো। এই দেশে কাজের বেতন সাধারণত প্রতি ঘণ্টা অনুযায়ী হিসাব করা হয়। ইউরোপের এই দেশে কর্মীদের প্রতিদিন আট ঘণ্টা বেসিক ডিউটি থাকে।
ইতালিতে বৈধভাবে কাজ করলে প্রবাসীরা সর্বনিম্ন বেতন হিসেবে প্রায় ১ লক্ষ টাকার বেশি পাবেন। যদি কেউ ওভারটাইম কাজ করেন, তবে তাঁর কাজের বেতন আরও বেশি হবে।
ইতালিতে বেতন কত?
ইতালিতে কাজের বেতন সাধারণত কাজের ধরন, শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা—এই বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করে ব্যক্তিভেদে আলাদা হয়ে থাকে।
বর্তমানে ইতালিতে কাজের বেতন প্রায় ১ লক্ষ টাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত এই দেশে কাজের একটি সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো রয়েছে। কাজের ক্ষেত্রে যদি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বেশি থাকে, তবে বেতনও বেশি পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে ইউরোপের এই দেশে যেতে আগ্রহীদের জন্য ইতালির সর্বনিম্ন বেতন কত, তা জানা জরুরি। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ইতালিতে অবৈধ অভিবাসীদের কাজের বেতন তুলনামূলকভাবে কম হয়ে থাকে।
ইতালিতে বিভিন্ন কাজের বেতনের একটি ধারণা নিচে দেওয়া হলো:
- শ্রমিকদের বেতন: ইতালিতে সাধারণ শ্রমিকদের বেতন প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
- ইতালিতে সর্বোচ্চ বেতন: ইতালির নাগরিকদের সর্বোচ্চ বেতন প্রায় ৪৩ হাজার ইউরো পর্যন্ত হতে পারে। তবে, প্রবাসীরা সাধারণত এত বেশি বেতন পান না।
- কৃষি কাজের বেতন: ইতালিতে কৃষি কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে এই খাতে বেতন প্রায় ১ লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
- ড্রাইভিং বেতন: ইতালির পরিবহন সেক্টরে দক্ষ ড্রাইভারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনি কোম্পানির অধীনে অথবা স্বাধীনভাবে এই পেশায় কাজ করতে পারবেন। ড্রাইভিং ভিসার বেতন প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
- ইলেকট্রনিক কাজের বেতন: ইতালিতে ইলেকট্রনিক কাজের বেতন প্রায় ২ লাখ টাকা থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
ইতালি কোন কাজের বেতন বেশি?
ইতালি প্রবাসী বাঙালিদের জন্য একটি সম্ভাবনাময় কর্মক্ষেত্র। এই দেশে কৃষি, নির্মাণ শিল্প, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট এবং পরিবহন সেক্টরে বাঙালিদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
বর্তমানে ইতালিতে যেসব কাজের বেতন বেশি পাওয়া যায়, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো: রাজমিস্ত্রি, প্লাম্বার, ইলেকট্রিশিয়ান, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট স্টাফ, ড্রাইভিং, এবং ফুড ডেলিভারি ম্যান।
ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৬
অভিবাসীদের কাছে ইতালি নিঃসন্দেহে স্বপ্নের দেশ। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর বৈধ ও অবৈধ—উভয় পথেই হাজার হাজার মানুষ ইউরোপের এই দেশে যাচ্ছে। কাজের উদ্দেশ্যে বৈধভাবে ইতালিতে যেতে চাইলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে ধারণা রাখা অত্যন্ত জরুরি।
আরো পড়ুনঃ কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৬
ইতালিতে বৈধ এবং অবৈধ উভয় প্রকার প্রবাসীদেরই কাজের সুযোগ রয়েছে। কাজের বেতন তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি হওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ সমুদ্র পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে এই দেশে পাড়ি জমাচ্ছে।
১. ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়
বর্তমানে বাংলাদেশি নাগরিকদের কাছে ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যেন এক সোনার হরিণ, আর তাই এই ভিসা পাওয়ার জন্য দেশের মানুষ মরিয়া হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ থেকে আপনি সরকারিভাবে কিংবা বেসরকারিভাবে উভয় উপায়েই ইতালি কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে ইতালি কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে বোয়েসেল, বিএমইটি, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, ও আমি প্রবাসী অ্যাপ-এর মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করতে হবে। এই সরকারি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ব্যবহার করেই ইতালি জবের জন্য আবেদন করতে হয়।
এই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট বা অ্যাপে ইতালি জব সার্কুলার প্রকাশ করে থাকে। আগ্রহীরা সেখানে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে কাঙ্ক্ষিত চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন। কর্তৃপক্ষ যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের পর তাদের ইতালি প্রেরণ করে।
বেসরকারিভাবেও বিভিন্ন এজেন্সির সহযোগিতায় ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রসেসিং করা যায়। এক্ষেত্রে এজেন্সিকে ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে জমা দিতে হয়। এজেন্সিগুলো তাদের নিজস্ব দায়িত্বে কাজের অফার সংগ্রহ করে ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করে দেয়।
এছাড়াও, কেউ চাইলে নিজে নিজে কাজের অফার সংগ্রহ করেও ভিসা প্রসেসিং করতে পারে। ভিসা আবেদনের পর আবেদনকারীকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে একটি নির্দিষ্ট তারিখে বাংলাদেশেই অবস্থিত ইতালি দূতাবাসে সাক্ষাৎকারের জন্য যেতে হবে এবং সে সময় ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।
২. ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কি কি লাগে?
ইতালি কাজের উদ্দেশ্যে যেতে হলে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রয়োজন। ইতালি কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে নিচে উল্লেখিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো প্রস্তুত করতে হবে।
- বৈধ পাসপোর্ট
- সিভি
- একাডেমিক সার্টিফিকেট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- জব অফার লেটার
- কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
- কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
- ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট
ইতালি ভিসা আবেদন করার নিয়ম
ইতালি ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করা যায়, তবে সঠিকভাবে আবেদন করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করা প্রয়োজন।
প্রথমেই আপনাকে ইতালি ভিসার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। সেখানে আপনি আপনার ভিসার ক্যাটাগরি নির্বাচন করবেন এবং “কিভাবে আবেদন করতে হয়” অপশনে ক্লিক করে প্রদর্শিত নির্দেশাবলী অনুসরণ করবেন।
আবেদন শুরু করার আগে, এটা নিশ্চিত করা দরকার যে আপনি প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্টস আগে থেকেই সংগ্রহ করে রেখেছেন, কারণ এসব কাগজপত্র ছাড়া আবেদন সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। এরপর আবেদন ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করে সাবমিট করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
সবশেষে আপনাকে ভিসা আবেদন ফি পরিশোধ করতে হবে। অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হলে ফরমটি ঢাকার গুলশানে অবস্থিত ইতালি ভিসা অফিসে জমা দিতে হবে। এই প্রক্রিয়াগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করলে ইতালি ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
ইতালি ভিসা আবেদন লিংক ২০২৬
ইতালি ভিসার জন্য আবেদন করতে গিয়ে অনেকেই সঠিক আবেদন লিংক খুঁজে পান না, ফলে তাদের অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সমস্যা হয়। তবে ইতালি ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি আপনার ভিসা আবেদন অনলাইনে জমা দিতে পারবেন।
ইতালি ভিসা আবেদনের সঠিক লিংকটি হলো: visa.vfsglobal.com/bgd/en/ita/apply-visa
অনলাইনে অসংখ্য ভুয়া লিংক ছড়িয়ে থাকায় সেগুলোর মাধ্যমে আপনার মূল্যবান তথ্য হারানোর ঝুঁকি থাকে। তাই সঠিক লিংকটি যাচাই করে নিশ্চিত হয়ে তবেই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত।
ইতালি কোন কাজের চাহিদা বেশি?
ইতালি প্রবাসী বাঙালিদের কাছে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় গন্তব্য। এই দেশটি বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে কাজের সুযোগের জন্য সুপরিচিত। বর্তমানে ইতালিতে যে কাজগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- কৃষি শ্রমিক,
- কনস্ট্রাকশন শ্রমিক,
- হোটেল ও রেস্টুরেন্ট কর্মী,
- ক্লিনার,
- ফুড ডেলিভারি ম্যান,
- ড্রাইভিং,
- ইলেকট্রিশিয়ান, এবং প্লাম্বিং-এর মতো কাজ।
FAQs
বাংলাদেশ টু ইতালি বিমান ভাড়া কত?
বাংলাদেশ থেকে ইতালির বিমান ভাড়া সাধারণত প্রায় ৬০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে কত সময় লাগে?
বাংলাদেশ থেকে বিমানে করে ইতালি পৌঁছাতে সাধারণত প্রায় ১৫ ঘন্টা থেকে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগে।
বাংলাদেশ থেকে ইতালির দূরত্ব কত কিলোমিটার?
বাংলাদেশ থেকে ইতালির দূরত্ব প্রায় ৭,২৯৫ কিলোমিটার।
ইতালি ১ ইউরো বাংলাদেশের কত টাকা?
ইতালির ১ ইউরো সমান বাংলাদেশের প্রায় ১২৬ টাকা।
ইতালি ভিসা প্রসেসিং করতে কত সময় লাগে?
ইতালি ভিসা প্রসেসিং করতে সাধারণত প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগে। তবে মনে রাখতে হবে যে, ভিসার জন্য ইন্টারভিউ দেওয়ার অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি সময় লাগতে পারে।
লেখকের শেষ মতামত
ইতালিতে যাওয়ার খরচ ও বেতন নির্দিষ্টভাবে নির্ধারিত নেই। তবে বেতনের পরিমাণ আপনার কাজের ক্ষেত্র, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, শিল্প এবং কাজের অবস্থানের ওপর নির্ভর করে। আপনার যদি বিভিন্ন কাজের অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে বেশি টাকা বেতন উত্তোলন করা সম্ভব।
আপনাদের সুবিধার্থে, এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা বর্তমান ইতালিতে বেতন কত, সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য উল্লেখ করেছি। আপনি যদি ইতালি কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান, তাহলে অবশ্যই বৈধ পথে আবেদন করুন এবং প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকুন। এছাড়াও, ইতালিয়ান ভাষা শিখে এবং দক্ষতা বাড়িয়ে আপনি সেখানে উচ্চ বেতনের সুযোগ পেতে পারেন।