কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে: মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে বাংলাদেশের অনেক প্রবাসী বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। বাংলাদেশ থেকে যাঁরা কুয়েতে যেতে আগ্রহী, তাঁদের আনুমানিক খরচ সম্পর্কে একটি ধারণা থাকা প্রয়োজন।

কুয়েত হলো মধ্যপ্রাচ্যের একটি ছোট রাষ্ট্র, যার অর্থনীতি মূলত তেল রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল। তবে বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার মোট খরচটি মূলত ভিসা ক্যাটাগরি, ভিসার মেয়াদ এবং প্রসেসিং এজেন্সির ওপর ভিত্তি করে ভিন্ন ভিন্ন হয়।
বাংলাদেশ থেকে যাঁরা পড়াশোনা, ভ্রমণ বা কাজের উদ্দেশ্যে কুয়েতে যেতে চান, কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে এবং কুয়েত কোন কাজের বেতন কত ধারণা রাখা দরকার। এছাড়াও, কুয়েত যেতে কী কী লাগবে ও কোন কাজের চাহিদা বেশি সংক্রান্ত তথ্যগুলোও আগ্রহীদের ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।
কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে ২০২৬
কুয়েতে যাওয়ার খরচ মূলত ভিসার ক্যাটেগরি এবং আপনার উদ্দেশ্যের ওপর নির্ভর করে কম-বেশি হয়। তাই কুয়েতে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের এ সংক্রান্ত বর্তমান খরচের ধারণা থাকা জরুরি।
আরো পড়ুনঃ বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৬
বর্তমানে কাজের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে প্রায় ৫ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। সরকারিভাবে গেলে খরচ তুলনামূলক কম হয়, তবে বিভিন্ন এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে যাওয়ার ক্ষেত্রে খরচ সাধারণত বেশি হয়।
অন্যদিকে, আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কুয়েতে পড়াশোনার জন্য যেতে চান, তবে এর জন্য প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। আর যারা টুরিস্ট ভিসায় যেতে চান, তাদের সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। আপনি যদি নিজের উদ্যোগে সরাসরি কুয়েতের ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করেন, তবে অফিসিয়াল খরচের মধ্যেই কুয়েত যাওয়া সম্ভব।
সরকারি ভিসায় কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে
যেকোনো দেশের ভিসা সরকারি ও বেসরকারি এই দু’ভাবে তৈরি করা যায়। সরকারি ভিসার খরচ কম হলেও এর সংখ্যা খুবই সীমিত। অন্যদিকে, বেসরকারি ভিসার খরচ বেশি হলেও এর পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে।
যে ভিসাগুলো কুয়েত সরকার সরাসরি বাংলাদেশ বোয়েসেলের মাধ্যমে নিয়োগ করে, সেগুলো সরকারি ভিসা হিসেবে বিবেচিত হয়। কাজের ভিসাগুলোর মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট একটি সরকারি ভিসা।
এছাড়া, সিজনাল বা ঋতুভিত্তিক কিছু কাজ এবং কিছু নির্দিষ্ট কোম্পানি ভিত্তিক ভিসা সরকার কর্তৃক নিয়োগ দেওয়া হয়। সরকারি ভিসায় কুয়েত যেতে সাধারণত ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, কাজের নিয়োগের ধরনের ওপর নির্ভর করে এই ভিসার দাম কম বা বেশি হতে পারে।
কুয়েত বেতন কত ২০২৬
কুয়েতের অর্থনীতি তেল রপ্তানির উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল এবং এই খাত থেকে দেশটি প্রচুর পরিমাণে অর্থ আয় করে। তাই তেল ও গ্যাস শিল্পে কর্মরত কর্মীদের বেতন তুলনামূলকভাবে বেশি হয়ে থাকে।
বর্তমানে এই খাতে কর্মরত অনভিজ্ঞ শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন প্রায় ৭০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়। অন্যদিকে, তেল ও গ্যাস শিল্পে অভিজ্ঞ শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ৯০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
কুয়েত কোন কাজের বেতন কত
কুয়েত মধ্যপ্রাচ্যের একটি সমৃদ্ধশালী দেশ, যেখানে বিপুল সংখ্যক বিদেশী শ্রমিক বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত আছেন। যারা কাজের উদ্দেশ্যে এই দেশে যেতে চান, তাদের কুয়েতের বেতন কাঠামো সম্পর্কে একটি ধারণা রাখা আবশ্যক।
আরো পড়ুনঃ কানাডা কাজের বেতন কত?
যদিও কুয়েতের অর্থনীতি মূলত তেল-নির্ভর, অন্যান্য সেক্টরেও শ্রমিকদের কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে। একারণে, দীর্ঘদিন ধরে এই দেশটি বিদেশী শ্রমিকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় কর্মস্থল হিসেবে পরিচিত।
কুয়েতে শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে এবং কাজের ধরন, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে বেতন ভিন্ন হয়ে থাকে। আরব দেশগুলোতে ক্লিনারদের বেতন সাধারণত কম হয়।
বর্তমানে কুয়েতে কাজের বেতন প্রায় ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। কিছু বিশেষ কাজ আছে, যেমন: গাড়ি মেকানিক, এসি মেকানিক, বা ড্রাইভিং—এগুলো করলে কুয়েতে তুলনামূলকভাবে বেশি আয় করা সম্ভব।
বাংলাদেশ থেকে যারা কাজের ভিসা নিয়ে কুয়েত যেতে আগ্রহী, তাদের অবশ্যই কুয়েতের বর্তমান বেতন কাঠামো সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। আপনার কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা যত বেশি থাকবে, তত ভালো বেতনে কাজ পাওয়ার সুযোগ থাকবে।
১. কুয়েত ক্লিনার ভিসা বেতন কত?
অন্যান্য কাজের তুলনায় কুয়েতে ক্লিনারের বেতন তুলনামূলকভাবে কম। বর্তমানে একজন ক্লিনারের মাসিক বেতন প্রায় ১০৫ থেকে ১৫০ কুয়েতি দিনার (KD) পর্যন্ত হয়ে থাকে, যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৪০ হাজার টাকা থেকে ৫৭ হাজার টাকার সমতুল্য।
তবে কুয়েতে আয়ের উপর কোনো কর দিতে হয় না এবং ওভারটাইম করার সুযোগ থাকায় একজন ক্লিনার প্রতি মাসে সর্বনিম্ন প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
২. কুয়েত রেস্টুরেন্ট ভিসা বেতন কত?
কুয়েতের রেস্টুরেন্ট ভিসা সহজে পাওয়া যায় এবং প্রতি বছর এই খাতে বিপুল সংখ্যক কর্মীর চাহিদা থাকায় এই ভিসার কদর অনেক বেশি। রেস্টুরেন্টের কাজগুলো সাধারণত ঘন্টাভিত্তিক হয়ে থাকে।
অনেকেরই কুয়েতে রেস্টুরেন্ট ভিসার বেতন সম্পর্কে জানার আগ্রহ আছে। এই ভিসায় বেতন বাংলা টাকায় ৪০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়। কুয়েতি দিনারে এই বেতন সরকারিভাবে ১১৫ দিনার থেকে ১৭০ দিনার পর্যন্ত হয়ে থাকে, যা ক্ষেত্রবিশেষে ২০০ দিনার পর্যন্তও হতে পারে।
৩. কুয়েত হোটেল ভিসা বেতন কত
কুয়েতে হোটেল কর্মীদের বেতন তাদের পদমর্যাদার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। যেমন, হোটেলের রিসেপশনিস্টদের মাসিক বেতন সাধারণত প্রায় ১৮০ থেকে ৩০০ কুয়েতি দিনার হয়, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকার সমতুল্য।
অন্যদিকে, হোটেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ন্যূনতম বেতন প্রায় ৩২০ থেকে ৪৫০ কুয়েতি দিনার পর্যন্ত হয়ে থাকে। বাংলাদেশী টাকায় এই পরিমাণটি প্রায় ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
৪. কুয়েত ড্রাইভিং বেতন কত?
কুয়েতে ড্রাইভারদের বেতন তাদের অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে। সাধারণত কোম্পানি বা ব্যক্তিগত ড্রাইভারদের মাসিক বেতন প্রায় ১৫০ থেকে ৩০০ কুয়েতি দিনার হয়ে থাকে, যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৫৭ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকার সমান।
তবে, কুয়েতের সরকারি খাতে বা বড় কোম্পানিগুলোতে নিযুক্ত ড্রাইভারদের বেতন তুলনামূলকভাবে বেশি হয়, যা প্রায় ৯৬ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
৫. কুয়েতের কস্নট্রাকশন ভিসার বেতন কত
কুয়েত মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ যেখানে নির্মাণ কাজ প্রতিনিয়ত চলছে এবং এই খাতে কর্মীর চাহিদা অনেক বেশি। তাই অনেকেই কুয়েতে কনস্ট্রাকশন ভিসার বেতন সম্পর্কে জানতে চান। আপনি যদি একদম নতুন হিসেবে কনস্ট্রাকশন কাজে যোগ দেন, তবে আপনার বেতন কিছুটা কম হতে পারে।
তবে কিছুটা অভিজ্ঞতা অর্জন করলে আপনার সর্বনিম্ন বেতন ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এটি ১ লক্ষ টাকা পর্যন্তও হতে দেখা যায়। কুয়েতি দিনারে কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন সর্বনিম্ন ১৪০ দিনার থেকে শুরু করে ৩০০ দিনার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত?
কুয়েত কোম্পানি ভিসা নিয়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগ পাওয়া যায়। কুয়েতে কোম্পানি ভিসার বেতন মূলত কাজের ক্যাটেগরি, ব্যক্তিগত দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
বর্তমানে কুয়েতে কোম্পানি ভিসার বেতন প্রায় ৩৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই দেশে একটি সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো রয়েছে। তবে ডেলিভারি ম্যান, এসি টেকনিশিয়ান, ইলেকট্রিশিয়ান, এবং ড্রাইভিং-এর মতো কাজগুলোতে তুলনামূলকভাবে বেশি বেতন দেওয়া হয়।
কুয়েত সর্বনিম্ন বেতন কত?
কুয়েত এশিয়ার দেশ হওয়া সত্ত্বেও এখানে একটি সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নির্ধারিত আছে। এই দেশে প্রতি মাসের জন্য সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ৭৫ কুয়েতি দিনার, যা মূলত অভিবাসী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
কুয়েতে শ্রমিকদের নিয়মিত কর্মঘণ্টা হলো দৈনিক ৮ ঘণ্টা এবং সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টা। যদি কেউ ওভারটাইম কাজ করেন, তবে কাজের বেতন ২৫% থেকে ১০০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি?
কুয়েত যেতে আনুমানিক কত টাকা খরচ হতে পারে, সে সম্পর্কে জানার পর এবার দেশটির চাহিদা সম্পন্ন কাজগুলো সম্পর্কে জানানো হলো। আপনি যদি আগে থেকেই এই কাজগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখেন, তবে অভিজ্ঞতা অর্জন করে দেশটিতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে পারবেন। নিচে কুয়েতের চাহিদা সম্পন্ন কাজগুলো সুন্দরভাবে বর্ণনা করা হলোঃ
আরো পড়ুনঃ বুলগেরিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
- Construction work
- Electrician
- Mechanical
- Cleaner বা পরিছন্নতার কাজ।
- Chef বা পাচকের কাজ।
- Welding বা ঢালাই কাজ।
- Driving
- Hotel and restaurant
- Plumber
- Company job ইত্যাদি।
কুয়েত যেতে কি কি লাগে?
কুয়েতের ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে একজন বাংলাদেশী নাগরিককে প্রথমে তার ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি এবং কাজের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। ভিসা আবেদনের আগে অবশ্যই একটি পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি, মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট এবং চাকরির আবেদনপত্র সংগ্রহ করাও জরুরি। এছাড়া আরও কিছু অতিরিক্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টও লাগতে পারেঃ
- এনআইডি বা জন্ম সনদ এর ফটো কপি।
- সর্বনিম্ন ৬ মাস মেয়াদী পাসপোর্ট।
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- মেডিকেল টেস্ট এর রিপোর্ট।
- পুলিশ ক্লিয়ারনেস।
- ব্যাকং ব্যালেস এর স্টেটমেন্ট ।
- চাকরির আবেদন পত্রের ডকুমেন্ট।
- কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার কাজগপত্র।
- ড্রাইভিং এর কাজ হলে বাংলাদেশি ড্রাইভিং লাইসেন্স।
- ভিসা আবেদন পত্র।
কুয়েত যাওয়ার জন্য উল্লিখিত ডকুমেন্টগুলো প্রায় সব ধরনের ভিসার ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হয়। তবে ভিসা নিয়োগের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কিছু উল্লেখ থাকলে, সেই কাগজপত্রগুলোও জমা দিতে হবে। মনে রাখবেন, ভিসা নিয়োগের ধরনের ওপর নির্ভর করে কিছু ডকুমেন্টের পরিবর্তন হতে পারে।
কুয়েত যেতে কত বছর বয়স লাগে?
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে হলে নির্দিষ্ট বয়সের শর্ত পূরণ করতে হয়। স্টুডেন্ট এবং টুরিস্ট ভিসার আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১৮ বছর বয়স হতে হবে। তবে টুরিস্ট ভিসার জন্য যদি আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের কম হয়, তবে অভিভাবকের অনুমতিপত্র নিতে হবে।
অন্যদিকে, কাজের ভিসা নিয়ে কুয়েত যেতে চাইলে কমপক্ষে ২১ বছর বয়স হতে হয়। যদিও কিছু ক্ষেত্রে ১৮ বছর বয়স হলেও ভিসা আবেদন করা যেতে পারে। তবে আবেদনকারীর বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে থাকলে কুয়েতের কাজের ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
FAQs
বাংলাদেশ টু কুয়েত বিমান ভাড়া কত?
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার বিমান ভাড়া সাধারণত প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ টু কুয়েত কত কিলোমিটার?
বাংলাদেশ থেকে কুয়েতের আকাশ পথের দূরত্ব প্রায় ৪,২৫০ কিলোমিটার থেকে ৪,৩০০ কিলোমিটার এর মধ্যে। ঢাকা থেকে কুয়েত সিটি-এর মধ্যবর্তী গড় দূরত্ব প্রায় ৪২৪০ কিলোমিটার।
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত সময় লাগে?
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে কত সময় লাগে, তা নির্ভর করে আপনি কোন রুটে এবং কোন ফ্লাইটে যাচ্ছেন তার ওপর। যদি ঢাকা থেকে কুয়েত সিটি পর্যন্ত সরাসরি ফ্লাইট থাকে, তাহলে সাধারণত ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট থেকে ৬ ঘণ্টার মতো সময় লাগতে পারে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এক বা একাধিক স্থানে যাত্রা বিরতি নিয়ে যেতে হয়। ট্রানজিট ফ্লাইটের ক্ষেত্রে মোট সময় নির্ভর করে বিরতির সময়কালের ওপর। সব মিলিয়ে সাধারণত ৮ ঘণ্টা থেকে শুরু করে ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগতে পারে।
কুয়েত কোন ভিসা ভালো?
কুয়েতে কোম্পানি ভিসা সবচেয়ে সুবিধাজনক হিসেবে বিবেচিত হয়। কারণ এই ভিসা নিয়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়, যেমন: থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা এবং কর্মস্থলে আসা-যাওয়ার ব্যবস্থা ইত্যাদি।
লেখকের শেষ মতামত
কুয়েত মধ্যপ্রাচ্যের একটি তেল-সমৃদ্ধ দেশ এবং বিদেশী শ্রমিকদের জন্য একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় কর্মস্থল, যেখানে কাজের প্রচুর সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। আপনার জন্য এই প্রবন্ধটি সাজানো হয়েছে যেন আপনি কুয়েত যাওয়ার প্রয়োজনীয় খরচ এবং সেখানে কোন কাজের বেতন কত, সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে পারেন।
আশা করা যায়, কুয়েতে যাওয়ার খরচ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সব তথ্য আপনি সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। খুব দ্রুত কুয়েতে পাড়ি জমান এবং সেখানে একটি ভালো কাজ নিয়ে নিজেকে দক্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে একটি উন্নত জীবনমান তৈরি করুন।