বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৬ – বুলগেরিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত?

বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে: বুলগেরিয়া বর্তমানে অনেক মানুষের জন্য ইউরোপে যাওয়ার পথ সুগম করে দিয়েছে, ফলে এখন অনেকের ইউরোপে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে। ইউরোপে যেতে আগ্রহীদের জন্য তাই বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে, তা জানা আবশ্যক। বর্তমানে এটি আংশিকভাবে সেনজেন অঞ্চলে প্রবেশ করেছে এবং খুব শীঘ্রই এটি সম্পূর্ণভাবে সেনজেনভুক্ত হবে। এছাড়া এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও সদস্য দেশ। 

বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৬

ইউরোপের দেশগুলোতে কাজের বেতন এবং জীবনের মান উন্নত হওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে এই দেশটিতে যেতে চায়। এই কারণে আগ্রহীদের অবশ্যই বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে, তা জেনে নিতে হবে। এর পাশাপাশি বুলগেরিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত জেনে নিতে হবে।

বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৬

ইউরোপের এই উন্নয়নশীল দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে আপনি সরকারিভাবে ও বেসরকারিভাবে অল্প খরচে যেতে পারবেন। তবে বেসরকারিভাবে বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বুলগেরিয়া যেতে চাইলে খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি হয়ে থাকে। 

আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বুলগেরিয়া যেতে প্রায় ৬ লাখ টাকা থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। অন্যদিকে, স্টুডেন্ট ও টুরিস্ট ভিসা নিয়ে এই দেশে যেতে খরচ কিছুটা কম হয়ে থাকে। 

বুলগেরিয়া স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে খরচ প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা হতে পারে। আর টুরিস্ট ভিসায় যেতে খরচ প্রায় ৩ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়।

বেসরকারিভাবে দালালদের মাধ্যমে কিংবা বিভিন্ন এজেন্সির সাহায্যে বাংলাদেশ থেকে বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে, তা সঠিকভাবে কেউ বলতে পারবে না। এর কারণ হলো, এজেন্সি কিংবা দালালরা ব্যক্তিভেদে একেক জনের কাছ থেকে একেক রকম টাকা নিয়ে থাকে। 

তবে, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের এই স্বল্পোন্নত দেশে যেতে চাইলে অবশ্যই বুলগেরিয়া যেতে কত টাকা লাগে, সেই সম্পর্কে একটি ধারণা থাকা জরুরি। এক্ষেত্রে, সরকারিভাবে বোয়েসেলের মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করলে সাধারণত তুলনামূলকভাবে কম টাকা খরচ হয়ে থাকে।

বুলগেরিয়া যেতে কি কি লাগে

বাংলাদেশ থেকে বুলগেরিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসা ক্যাটাগরি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন: কেউ যদি ভ্রমণ বা স্বল্প সময়ের জন্য যেতে চান, তাদের জন্য এক ধরনের ভিসা প্রয়োজন, আবার যারা কাজ, পড়াশোনা বা দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের জন্য যেতে চান, তাদের জন্য ভিন্ন ধরনের ভিসা প্রয়োজন হয়। 

এই ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ীই বুলগেরিয়া যেতে আলাদা আলাদা কাগজপত্র জমা দেওয়া আবশ্যক, যেখানে ভ্রমণের কারণ, আর্থিক সক্ষমতা এবং আবাসনের প্রমাণপত্র যুক্ত করতে হয়।

  • বৈধ পাসপোর্ট
  • ভিসা আবেদন ফরম
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • চাকরির অফার লেটার
  • কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
  • ভিসা আবেদন ফি
  • জাতীয় পরিচয় পত্র
  • আইইএলটিএস স্কোর
  • আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
  • মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির অফার লেটার
  • রিকমেন্ডেশন লেটার
  • ট্রাভেল রেকর্ড

বুলগেরিয়া যাওয়ার উপায় ২০২৬

বাংলাদেশ থেকে বুলগেরিয়া ভিসা পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ হয়ে থাকে। সাধারণত ইউরোপের অন্যান্য দেশের ভিসা পাওয়া কঠিন হলেও, ইউরোপে যাওয়ার স্বপ্ন থাকলে বুলগেরিয়া সেই স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করতে পারে। বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে বোয়েসেলের মাধ্যমে কিংবা বেসরকারিভাবে বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির সাহায্যে ইউরোপের এই দেশে সহজে যাওয়া যায়। 

আরো পড়ুনঃ বিদেশ থেকে মামলা করার নিয়ম জানুন

ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুযায়ী সঠিক ভিসা ক্যাটাগরি নির্বাচন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হয়। সরকারিভাবে বোয়েসেলের মাধ্যমে ইউরোপের এই দেশে অল্প খরচে যেতে পারবেন। 

কেউ চাইলে নিজে নিজেও ভিসা প্রসেসিং করতে পারেন। তবে, অনেকে বাংলাদেশ থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধভাবে গেম দিয়ে এই দেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং উচিত নয়।

বুলগেরিয়া কাজের বেতন কত?

বুলগেরিয়াতে কাজের বেতন ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম হয়ে থাকে, কারণ ইউরোপের মধ্যে এই দেশটিতে সর্বনিম্ন বেতন সবচেয়ে কম। তবে, ইতিবাচক দিক হলো, এদেশের অর্থনীতি ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বর্তমানে বুলগেরিয়ায় কাজের বেতন প্রায় ৭০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। কাজের ক্যাটাগরি, ব্যক্তির দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এই বেতন ভিন্ন ভিন্ন হয়। 

এই দেশে প্রবাসীরা সাধারণত প্রতি মাসে ৭০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকেন। তাই, আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে বুলগেরিয়া যেতে চান, তবে সেখানকার কোন কাজের সম্ভাব্য বেতন কত সেই সম্পর্কে এই ধারণাটি থাকা আবশ্যক।

  • ১. কৃষি কাজের বেতন: বুলগেরিয়ায় অসংখ্য মালিকাধীন কৃষি প্রজেক্টে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এই দেশের কৃষিকাজ বা কৃষি প্রজেক্টগুলোতে কাজ করে প্রবাসীরা প্রতি মাসে সর্বনিম্ন প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন।
  • ২. কন্সট্রাকশন কাজের বেতন: বুলগেরিয়াতে অবস্থানরত বিদেশি কর্মী সব থেকে বেশি কনস্ট্রাকশন সাইটে কাজ করে থাকে। কনস্ট্রাকশন সাইটে কাজের ধরন অনুযায়ী সর্বনিম্ন বেতন ৬০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ বেতন ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • ৩. রেস্টুরেন্ট কাজের বেতন: বুলগেরিয়ার ঐতিহ্যবাহী খাবার উপভোগের জন্য অসংখ্য রেস্টুরেন্ট রয়েছে। বর্তমানে বুলগেরিয়াতে অবস্থিত এই রেস্টুরেন্টগুলিতে, কাজ অনুযায়ী, ন্যূনতম বেতন প্রায় ৬০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়।
  • ৪. ডেলিভারি বয়ের বেতন: বুলগেরিয়াতে বর্তমানে সব থেকে সহজ কাজগুলোর মধ্যে ডেলিভারি বয়ের কাজটি অন্যতম। বুলগেরিয়াতে ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজ করলে প্রতি মাসে ন্যূনতম প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।

বুলগেরিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত?

যদিও বুলগেরিয়া ইউরোপের নিম্ন আয়ের দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম, তবুও সরকার কর্তৃক শ্রমিকদের জন্য সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নির্ধারিত আছে। বর্তমানে বুলগেরিয়ায় কাজের ন্যূনতম বেতন প্রায় ৫৫১ ইউরো।

বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করলে এই সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো অনুযায়ীই বেতন পাবেন। কারণ প্রাইভেট সেক্টরে এই ন্যূনতম বেতন কাঠামো কঠোরভাবে মেনে চলা হয়। বর্তমানে বুলগেরিয়া প্রবাসী শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ৭০ হাজার টাকা।

বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসা বেতন কত?

বুলগেরিয়ার গার্মেন্টস সেক্টরে বিদেশি কর্মীদের চাহিদা রয়েছে। গার্মেন্টস কর্মীদের বেতন প্রায় ৬০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

গার্মেন্টস ভিসা নিয়ে এই দেশে যেতে শ্রমিকদের বয়স ২০ বছর থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে, গার্মেন্টস কর্মীদের বেতন তাদের পদ, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে যারা বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসা নিয়ে যেতে আগ্রহী, তাদের জন্য বুলগেরিয়া গার্মেন্টস ভিসার বেতন সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।

বুলগেরিয়া কোন কাজের বেতন বেশি?

বুলগেরিয়া দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের একটি দেশ। এটি দক্ষ কর্মশক্তি এবং কম জীবনযাত্রার খরচের কারণে বিদেশি শ্রমিকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে।

বর্তমানে বুলগেরিয়াতে কনস্ট্রাকশন শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট স্টাফ, প্যাকেজিং কর্মী, ফুড ডেলিভারি ম্যান ইত্যাদি কাজের বেতন তুলনামূলকভাবে বেশি হয়ে থাকে।

বুলগেরিয়া কাজের ভিসা ২০২৬

বাংলাদেশ থেকে অনেকে কাজের উদ্দেশ্যে বুলগেরিয়ার ভিসা নিয়ে যেতে আগ্রহী। এটি দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের নিম্ন আয়ের একটি দেশ হলেও, হাজারো বাঙালির ইউরোপে যাওয়ার স্বপ্ন সহজ করে দিয়েছে।

আরো পড়ুনঃ টপ ১০ রিক্রুটিং এজেন্সী ইন বাংলাদেশ

বুলগেরিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। তবে, দেশটি এখনো পরিপূর্ণভাবে শেঙ্গেনভুক্ত (Schengen) হতে পারেনি। ২০২৬ সালে এই দেশ আংশিকভাবে শেঙ্গেন অঞ্চলে প্রবেশ করেছে।

বুলগেরিয়া কাজের ভিসা পাওয়ার উপায়

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ বুলগেরিয়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মী নিয়োগ করে। এই দেশে কাজের ভিসা নিয়ে গেলে আপনি বাংলাদেশের তুলনায় বেশি বেতন পাবেন। আশা করা যায় যে, দেশটি খুব শীঘ্রই পরিপূর্ণভাবে শেঙ্গেনভুক্ত হবে।

বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে কিংবা বেসরকারিভাবে কাজের ভিসা নিয়ে ইউরোপের এই উন্নয়নশীল দেশটিতে যাওয়া যায়। বেসরকারিভাবে যেতে চাইলে নিজে নিজে অথবা এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে বোয়েসেলের মাধ্যমে বুলগেরিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়া সম্ভব। বোয়েসেলের ওয়েবসাইটে সরকারিভাবে বুলগেরিয়া নিয়োগ সার্কুলার প্রকাশ করা হয়। উক্ত ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে কাজের জন্য আবেদন করতে হবে।

বুলগেরিয়ায় কাজের ভিসা পেতে হলে, আপনার বৈধ জব অফার লেটার এবং ওয়ার্ক পারমিট থাকা আবশ্যক। এই প্রক্রিয়ায় আপনি নিজে অথবা কোনো এজেন্সির মাধ্যমে অগ্রসর হতে পারেন।

১. নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং: যদি আপনি নিজেরা ভিসা প্রসেস করতে চান, তবে প্রথমে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জব পোর্টাল ওয়েবসাইটে বুলগেরিয়ার চাকরি খুঁজে আবেদন করতে হবে। চাকরির জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হলে, নিয়োগকারী কোম্পানি আপনাকে জব অফার লেটার প্রদান করবে। এই বৈধ অফার লেটার এবং ওয়ার্ক পারমিট হাতে পাওয়ার পরই আপনি নিজে নিজে বুলগেরিয়ার কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

২. এজেন্সির মাধ্যমে প্রসেসিং: বিকল্পভাবে, আপনি ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো একটি এজেন্সির কাছে জমা দিয়ে তাদের মাধ্যমেও বুলগেরিয়ার কাজের ভিসা প্রসেস করাতে পারেন।

পরবর্তী ধাপে নিজে অথবা এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করার পর, আপনাকে ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে দূতাবাসে গিয়ে ইন্টারভিউ দিতে হবে।

বুলগেরিয়া কাজের ভিসা পেতে কি কি লাগে?

নিজে নিজে অথবা এজেন্সির মাধ্যমে বুলগেরিয়া কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে গেলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজপত্র দরকার হয়ঃ

  • মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
  • জব অফার লেটার
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট
  • জাতীয় পরিচয় পত্র
  • পাসপোর্ট
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
  • সিভি
  • কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট

বুলগেরিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি

বাংলাদেশিরা সাধারণত বুলগেরিয়ায় বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকেন। এগুলোর মধ্যে টেক্সটাইল সম্পর্কিত কাজ অন্যতম। টেক্সটাইল ফ্যাক্টরি, কটন ফ্যাক্টরি এবং ওয়্যারহাউজে বাংলাদেশিরা সাধারণত কাজ করে থাকেন। এছাড়া, সেখানে নির্মাণ শিল্প সম্পর্কিত অনেক কাজ হয়। 

রেস্তোরাঁ বা হোটেল ম্যানেজমেন্ট সেক্টরেও কাজের সুযোগ আছে। পাশাপাশি, নার্সিং, ফার্মাসি, প্যারামেডিক ইত্যাদির মতো স্বাস্থ্যসেবা খাতেও কাজ করা যায়। তবে, বুলগেরিয়ায় আসার জন্য আপনি সব সময় নির্মাণ সম্পর্কিত যেকোনো অভিজ্ঞতা অর্জন করে আসার চেষ্টা করবেন।

বুলগেরিয়ায় লজিস্টিক ট্রান্সপোর্ট, কাস্টমার সার্ভিস এবং টেলি মার্কেটিং সেক্টরেও প্রচুর কাজ পাওয়া যায়। বুলগেরিয়াতে মূলত দুই ধরনের কাজ দেখা যায়:

  • হোয়াইট কলার: এটি এমন কাজ, যেখানে কলার ঘাম দিয়ে ভেজে না। এক কথায় বলা যায়, ঘরের মধ্যে আরামদায়ক পরিবেশে কম্পিউটারে বসে কাজ করা।
  • ব্লু কলার: এই কাজটি হলো কঠোর পরিশ্রমের কাজ, যেখানে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করতে হয়।

ব্লু কলার রিলেটেড কাজগুলো হলো:

  • ইলেকট্রিশিয়ান ,
  • প্লাম্বার , 
  • হেবি ভিকেল  ড্রাইভার  ,
  • ওয়েল্ডার , 
  • মেশিন অপারেটর 
  • কার্পেন্টার
  • অটোমোটিভ টেকনিশিয়ান 
  • হিটিং ভেন্টিলাইজেশ এর কাজ (HVAC)
  • লজিস্টিক রিলেটেড কাজ
  • ওয়্যার হাউজ রিলেটেড কাজ

আর যারা দক্ষ এবং পড়াশোনা করেছেন, তাদের জন্য বুলগেরিয়াতে একটি ভালো বিকল্প আছে। সেখানে আইটি সম্পর্কিত এবং কম্পিউটার সম্পর্কিত যেকোনো ধরনের চাকরির প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

বুলগেরিয়া যেতে কত বয়স লাগে

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের দেশ বুলগেরিয়া যাওয়ার জন্য বয়সের সুনির্দিষ্ট কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে, বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে ইউরোপের এই দেশটিতে যেতে চাইলে আবেদনকারীর বয়স ২১ বছর থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

FAQs

বুলগেরিয়া ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?

বুলগেরিয়া ১ টাকা বাংলাদেশের ৬৫.৫৭ টাকা।

বুলগেরিয়া কি সেনজেন ভুক্ত দেশ?

হ্যাঁ, বুলগেরিয়া আংশিকভাবে সেনজেন ভুক্ত দেশ।

বুলগেরিয়া ভিসা রেশিও কেমন?

বুলগেরিয়া ভিসা রেশিও প্রায় ৭০%।

বুলগেরিয়া কোন মহাদেশে অবস্থিত?

বুলগেরিয়া ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত।

বুলগেরিয়া যেতে কত দিন লাগে?

বুলগেরিয়া ভিসার আবেদন করার পর ভিসাটি হাতে পেতে সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩ মাস সময় লাগতে পারে।

লেখকের শেষ মতামত

বুলগেরিয়া ভিসার চাহিদা বাড়ার কারণে অনেক অসাধু দালাল ও এজেন্সি কৃত্রিমভাবে সিন্ডিকেট তৈরি করছে। এর ফলে, বুলগেরিয়া যাওয়ার খরচ প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। আর্থিক ক্ষতি থেকে বাঁচতে এবং প্রতারিত হওয়া এড়াতে, আপনার উচিত হবে এ সকল অসাধু দালাল ও সিন্ডিকেট থেকে সতর্ক থাকা।

আমি সহ আমার টিম প্রতিনিয়ত কাজ করি অনলাইন জগতে বিভিন্ন তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সবার জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে। আমাদের সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন বা মতামত প্রদান করতে আমাদের যোগাযোগ পেইজ ব্যবহার করুন অথবা নিচে কমেন্ট করুন।

Leave a Comment