রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম চাকরি – রেস্টুরেন্ট ওয়েটার চাকরি

রেস্টুরেন্টে পার্ট-টাইম চাকরি বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়, বিশেষ করে শিক্ষার্থী এবং যারা বাড়তি আয়ের সুযোগ খুঁজছেন তাদের জন্য। এই ধরনের চাকরি আপনাকে কর্মজীবনের মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি কিছু বাড়তি উপার্জনের সুযোগ করে দেয়।

রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম চাকরি

রেস্টুরেন্টে পার্ট-টাইম কাজ শুরু করার আগে বেতনের পাশাপাশি কাজের সময়, যোগ্যতা, শিফট এবং অন্যান্য সুবিধাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া ভালো। এতে করে আপনি একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। তাহলে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম চাকরি সম্পর্কে জেনে নেই।

রেস্টুরেন্ট পার্ট টাইম জব কি?

রেস্টুরেন্ট পার্ট টাইম জব মূলত হলো রেস্টুরেন্টে বিভিন্ন কাজ করা। যেমন আপনি রেস্টুরেন্টে ওয়েটার হয়ে সার্ভিস দিলেন অথবা ক্যাশ ম্যানেজার হয়ে কাজ করলেন। এছাড়া আরো বিভিন্ন পদে রেস্টুরেন্টে চাকরি করা যায়।

রেস্টুরেন্টে পার্ট-টাইম জব বলতে বোঝায় এমন একটি কাজ যা রেস্টুরেন্টে নির্দিষ্ট বা সীমিত সময়ের জন্য করা হয়, সাধারণত ফুল-টাইম কাজের থেকে কম ঘণ্টা। এই ধরনের কাজগুলো প্রায়শই শিক্ষার্থীদের, যারা অতিরিক্ত আয়ের সন্ধান করছেন, অথবা যারা খাদ্য পরিষেবা শিল্পে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চান তাদের জন্য খুবই উপযোগী।

রেস্টুরেন্টে কাজের ধরন

রেস্টুরেন্টে বিভিন্ন পজিশনে পার্ট টাইম কাজ করা যায় যথাঃ

  • ওয়েটার / ওয়েট্রেস 
  • কিচেন হেল্পার
  • ক্যাশিয়ার
  • ক্লিনিং স্টাফ
  • হোম ডেলিভারি বয়
  • রিসেপশন বা গেস্ট হ্যান্ডলিং ইত্যাদি।

রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম চাকরি

রেস্টুরেন্টে পার্ট-টাইম চাকরি বলতে বোঝায় এমন একটি কাজ যা রেস্টুরেন্টে নির্দিষ্ট বা সীমিত সময়ের জন্য করা হয়, সাধারণত ফুল-টাইম কাজের থেকে কম ঘণ্টা। এই ধরনের কাজগুলো প্রায়ই শিক্ষার্থীদের, যারা অতিরিক্ত আয়ের সন্ধান করছেন, অথবা যারা খাদ্য পরিষেবা শিল্পে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চান তাদের জন্য খুবই উপযোগী।

রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম চাকরির সুযোগ সুবিধাঃ

রেস্টুরেন্টে পার্ট-টাইম চাকরির বেশ কিছু সুযোগ ও সুবিধা রয়েছে, যা অনেককে এই ধরনের কাজে আগ্রহী করে তোলে। নিচে প্রধান সুবিধাগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:

১. নমনীয় কাজের সময়সূচীঃ রেস্টুরেন্টগুলোতে সাধারণত শিফটে কাজ হয় (যেমন সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা বা রাতের শিফট)। এর ফলে আপনি আপনার পড়াশোনা, অন্য কোনো কাজ বা ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতি সামলিয়ে নিজের সুবিধামতো সময়ে কাজ করার সুযোগ পান।

২. অতিরিক্ত আয়ের উৎসঃ পার্ট-টাইম চাকরির অন্যতম প্রধান সুবিধা হলো এটি একটি অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ তৈরি করে। আর্থিক স্বাধীনতা হিসেবে নিজের হাত খরচ চালানো, পড়াশোনার খরচ যোগানো, বা পরিবারের আয়ে সাহায্য করার জন্য এই আয় খুবই কার্যকরী।

৩. মূল্যবান কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনঃ রেস্টুরেন্টে কাজ করার মাধ্যমে আপনি এমন কিছু দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন যা ভবিষ্যতে আপনার ক্যারিয়ারে কাজে আসবে, তা যে কোনো শিল্পেই হোক না কেন।

  • গ্রাহক সেবা
  • যোগাযোগ দক্ষতা
  • দলগত কাজ
  • সময় ব্যবস্থাপনা ও মাল্টিটাস্কিং
  • চাপ সামলানোর ক্ষমতা 

যারা এই শিল্পে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী, তাদের জন্য পার্ট-টাইম কাজ একটি চমৎকার প্রাথমিক পদক্ষেপ। এছাড়াও নতুন পরিবেশে কাজ করা, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা এবং সফলভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়ে। অনেক কল সেন্টারে ঘণ্টা হিসেবেও বেতন দেওয়া হয়। এছাড়াও, সেলস কমিশন, পারফরম্যান্স বোনাস এবং উৎসব বোনাস পাওয়ার সুযোগ থাকে।

আরো পড়ুনঃ-  শহরে ব্যবসার আইডিয়া - পাইকারি ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য

এই সব সুবিধাগুলো রেস্টুরেন্টে পার্ট-টাইম চাকরিকে অনেক মানুষের কাছে একটি আকর্ষণীয় বিকল্প করে তোলে।

রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম চাকরির জন্য কোথায় আবেদন করবেন:

  • jobs.bdjobs.com
  • Bdjobs
  • Chakri.com
  • Bikroy.com
  • Kormo Jobs
  • shomvob
  • bd.jora.com

উল্লিখিত ওয়েবসাইটে  রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম চাকরি এর বিজ্ঞপ্তি পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আমাদের দেশে অনেক রেস্টুরেন্ট রয়েছে যারা পার্ট টাইম চাকরির জন্য তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটেও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। আবার ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন চাকরির গ্রুপে কল সেন্টার জবের বিজ্ঞপ্তি শেয়ার করা হয়।

রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম চাকরির জন্য আবেদন করার আগে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত নির্দিষ্ট যোগ্যতা এবং কাজের সময়সূচী ভালোভাবে দেখে নেওয়া উচিত। আপনার যদি কিছু অভিজ্ঞতা ও কথা বলার ভালো দক্ষতা থাকে আর আপনি যদি চাপ সামলাতে পারেন তাহলে রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম চাকরি আপনার জন্য ভালো অপশন হতে পারে।

চাকরি খোঁজার সময় টিপস:

  • আপনার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার সাথে মেলে এমন পদের জন্য আবেদন করুন।
  • অনেক রেস্টুরেন্ট পার্ট-টাইম কর্মীদের জন্য এন্ট্রি-লেভেলের কাজ যেমন ডিসওয়াশার বা কিচেন হেল্পার থেকে শুরু করার সুযোগ দেয় এবং পরবর্তীতে অভিজ্ঞতার সাথে সাথে উচ্চ পদে উন্নীত করে।
  • আপনার এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে সরাসরি খোঁজ নিতে পারেন বা অনলাইন জব পোর্টালগুলোতে (যেমন বিডিজবস, লিংকডইন) রেস্টুরেন্ট জবের জন্য অনুসন্ধান করতে পারেন।

রেস্টুরেন্ট ওয়েটার চাকরি

রেস্টুরেন্ট ওয়েটার বা ওয়েট্রেস (Server) একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ, যা রেস্টুরেন্টের গ্রাহক সেবার মান এবং ওভারল ডাইনিং অভিজ্ঞতাকে সরাসরি প্রভাবিত করে। এই চাকরির জন্য কিছু নির্দিষ্ট দায়িত্ব ও দক্ষতার প্রয়োজন হয়।

একজন ওয়েটারের মূল কাজ হলো গ্রাহকদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করা এবং রেস্টুরেন্টের সুষ্ঠু কার্যক্রমে সাহায্য করা। এর মধ্যে কয়েকটি প্রধান কাজ হলো:

  • রেস্টুরেন্টে আসা অতিথিদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানানো এবং তাদের জন্য উপযুক্ত টেবিলের ব্যবস্থা করা।
  • গ্রাহকদের মেনুর বিভিন্ন পদ, তাদের উপাদান, রান্নার ধরণ এবং বিশেষ অফার বা “স্পেশাল ডিশ” সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো। প্রয়োজনে সুপারিশও করা।
  • গ্রাহকদের অর্ডার মনোযোগ সহকারে নেওয়া এবং কোনো ভুল না করে রান্নাঘরে পৌঁছে দেওয়া। 
  • রান্নাঘর থেকে প্রস্তুতকৃত খাবার এবং পানীয় সঠিক সময়ে, সঠিক টেবিলে এবং সঠিক গ্রাহকের কাছে পরিবেশন করা।
  • গ্রাহকদের যেকোনো অতিরিক্ত চাহিদা (যেমন – এক্সট্রা সস) পূরণ করা বা খাবারের মান, সার্ভিস নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে দ্রুত এবং পেশাদারিত্বের সাথে তা সমাধান করার চেষ্টা করা। প্রয়োজনে ম্যানেজারের কাছে বিষয়টি জানানো।
  • গ্রাহক চলে যাওয়ার পর ব্যবহৃত বাসনপত্র সরিয়ে ফেলা, টেবিল পরিষ্কার করা এবং পরবর্তী গ্রাহকদের জন্য টেবিলটি প্রস্তুত করা (যেমন – নতুন করে সেট করা)।
  • গ্রাহকের খাবার শেষে নির্ভুল বিল প্রস্তুত করা এবং নগদ টাকা বা কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করা।
  • এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ একজন ওয়েটারের অনুপস্থিতি পুরো টিমের উপর চাপ ফেলে।

ওয়েটারদের কাজের চাপ রেস্টুরেন্টের ধরন এবং ব্যস্ততার উপর নির্ভর করে। একটি জনপ্রিয় বা বড় রেস্টুরেন্টে ব্যস্ত সময়ে কাজের চাপ অনেক বেশি থাকে। এই সময়ে দ্রুততার সাথে একাধিক গ্রাহকের অর্ডার নেওয়া, খাবার পরিবেশন করা, বিল তৈরি করা এবং একই সাথে গ্রাহকদের চাহিদা মেটানো বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। লম্বা সময় ধরে দাঁড়িয়ে কাজ করার কারণে শারীরিক ক্লান্তিও আসে।

আরো পড়ুনঃ-  বিদেশ থেকে বিকাশ ব্যবসা - দুবাই তে কি কি ব্যবসা করা যায়

বাংলাদেশের অনেক রেস্টুরেন্টে, বিশেষ করে ভালো মানের রেস্টুরেন্টগুলোতে, গ্রাহকরা ওয়েটারদের টিপস দিয়ে থাকেন। এই টিপস বেতনের বাইরে একটি অতিরিক্ত আয়ের উৎস। কিছু রেস্টুরেন্টে টিপস সবার মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়, আবার কিছু ক্ষেত্রে ওয়েটার নিজেই টিপস রাখেন। টিপসের পরিমাণ গ্রাহকের সন্তুষ্টি এবং রেস্টুরেন্টের ব্যস্ততার উপর নির্ভর করে।

কারা রেস্টুরেন্ট পার্ট টাইম জব করতে পারবেন

রেস্টুরেন্টে পার্ট-টাইম জব করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো শর্ত না থাকলেও, কিছু বৈশিষ্ট্য বা পরিস্থিতি থাকলে এই ধরনের কাজগুলো তাদের জন্য খুবই উপযোগী হয়। নিচে কিছু শ্রেণির মানুষ এবং তাদের জন্য এই কাজগুলো কেন উপযুক্ত, তা উল্লেখ করা হলো:

  • যারা শিক্ষার্থী
  • যারা অতিরিক্ত আয়ের সন্ধান করছেন
  • নতুন কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চান যারা
  • যারা নমনীয় কাজের সময়সূচী চান
  • সামাজিক দক্ষতা বাড়াতে চান যারা

তবে, রেস্টুরেন্টে পার্ট-টাইম জব কিছুটা চাপপূর্ণ হতে পারে, বিশেষ করে ব্যস্ত সময়ে। তাই যাদের শারীরিক এবং মানসিক চাপ সামলানোর ক্ষমতা আছে, তাদের জন্য এই কাজগুলো বেশি উপযোগী।

রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম চাকরির যোগ্যতা ও দক্ষতা

রেস্টুরেন্টে পার্ট-টাইম চাকরির জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকা জরুরি, যা কেবল ভালো সার্ভিস দিতেই নয়, বরং কাজের ক্ষেত্রে সফল হতেও সাহায্য করে। নিচে প্রতিটি বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১. শিক্ষাগত যোগ্যতা

বেশিরভাগ পার্ট-টাইম রেস্টুরেন্ট জবের জন্য সাধারণত ন্যূনতম এসএসসি বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই শিক্ষাগত যোগ্যতার চেয়ে কাজের প্রতি আগ্রহ ও শেখার মানসিকতা বেশি গুরুত্ব পায়।

যদি কারো হসপিটালিটি বা হোটেল ম্যানেজমেন্টের উপর কোনো ছোট কোর্স করা থাকে, তাহলে সেটি একটি অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, বিশেষ করে ওয়েটার/ওয়েট্রেস, রিসেপশনিস্ট বা বারিস্টা পদের জন্য।

২. অভিজ্ঞতা

পার্ট-টাইম রেস্টুরেন্ট চাকরির ক্ষেত্রে পূর্ব অভিজ্ঞতা সবসময় বাধ্যতামূলক নয়, বিশেষ করে এন্ট্রি-লেভেলের পদগুলোতে। অনেক রেস্টুরেন্ট ফ্রেশারদের কাজ শেখানোর জন্য প্রস্তুত থাকে এবং তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলে।

যদি আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে আপনার শেখার আগ্রহ, পরিশ্রম করার মানসিকতা এবং ইতিবাচক মনোভাব তুলে ধরা জরুরি।

৩. শারীরিক সক্ষমতা

রেস্টুরেন্টের কাজ শারীরিক দিক থেকে বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তাই শারীরিক সক্ষমতা একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা। শারীরিক সুস্থতা এবং পর্যাপ্ত স্ট্যামিনা থাকলে এই কাজের চাপ মোকাবিলা করা সহজ হয়।

৪. যোগাযোগ দক্ষতা

রেস্টুরেন্টের চাকরিতে যোগাযোগ দক্ষতা অত্যন্ত জরুরি। গ্রাহক, সহকর্মী এবং ম্যানেজমেন্টের সাথে কার্যকর যোগাযোগের ক্ষমতা আপনার সফলতার চাবিকাঠি।

৫. প্রফেশনাল আচরণ

রেস্টুরেন্টের চাকরিতে পেশাদারিত্ব বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধ এবং কাজের প্রতি অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে।

এই যোগ্যতা ও দক্ষতাগুলো থাকলে রেস্টুরেন্টে পার্ট-টাইম চাকরি পাওয়া এবং সেখানে সফল হওয়া সহজ হয়। আপনার যদি এই বিষয়ে আরও কিছু জানার থাকে, তাহলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম জবের বেতন

বাংলাদেশে রেস্টুরেন্টে পার্ট-টাইম চাকরির বেতন বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। এর মধ্যে প্রধান কিছু বিষয় নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • পদের ধরনের উপর নির্ভর করে
  • অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে
  • কাজের সময়ের উপর নির্ভর করে
  • রেস্টুরেন্টের ধরনের উপর নির্ভর করে এবং
  • অবস্থানের উপর নির্ভর করে।
আরো পড়ুনঃ-  ছোট ব্যবসার আইডিয়া - নতুন ব্যবসার আইডিয়া

সাধারণভাবে বলতে গেলে, বাংলাদেশে রেস্টুরেন্টে পার্ট-টাইম জবের বেতন ৬,০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা বা তার বেশি হতে পারে, যা পদের ধরণ এবং অভিজ্ঞতা অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়।

কিছু নির্দিষ্ট পদের জন্য বেতনের ধারণা:

  • ওয়েটার/ওয়েট্রেস: সাধারণত ৬,০০০ টাকা থেকে ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। কিছু বড় রেস্টুরেন্টে বা ভালো টিপস পেলে এর থেকে বেশিও হতে পারে।
  • শেফ/অ্যাসিস্ট্যান্ট শেফ: অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার উপর নির্ভর করে ৮,০০০ টাকা থেকে ২৫,০০০ টাকা বা তারও বেশি হতে পারে। ফাস্ট ফুডের শেফদের বেতন তুলনামূলক কম হতে পারে।
  • বারিস্টা (ক্যাফেতে): সাধারণত ৮,০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা। যদি আপনার লাতে আর্ট বা ক্যাপাচিনো তৈরির বিশেষ দক্ষতা থাকে, তাহলে বেতন বেশি হতে পারে।
  • ক্লিনিং স্টাফ: সাধারণত ৫,০০০ টাকা থেকে ৮,০০০ টাকা।

মনে রাখবেন, কিছু কিছু রেস্টুরেন্টে বেতনের পাশাপাশি খাবার সুবিধা, মোবাইল বিল, চিকিৎসা ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, উৎসব বোনাস ইত্যাদি অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হয়। আপনি যদি রেস্টুরেন্টে পার্ট-টাইম চাকরির খোঁজ করেন, তাহলে Bikroy.com, Bdjobs.com-এর মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখতে পারেন। 

রেস্টুরেন্ট পার্ট টাইম জব পাওয়ার উপায়

রেস্টুরেন্ট পার্ট টাইম চাকরি অফার বা সুযোগ আপনি বিভিন্ন জব জব পোর্টাল ওয়েবসাইট গুলোতে পেয়ে যাবেন। রেস্টুরেন্ট পার্ট টাইম চাকরির সকল সার্কুলার গুলো আপনি অনলাইন জব ওয়েবসাইটে পাবেন। আর অনলাইন জব ওয়েবসাইট গুলো হলোঃ

  • jobs.bdjobs.com
  • Bdjobs
  • Chakri.com
  • Bikroy.com
  • Kormo Jobs
  • shomvob
  • bd.jora.com

কেন রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম চাকরি করবেন

রেস্টুরেন্টে পার্ট-টাইম চাকরি করার বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে, বিশেষ করে শিক্ষার্থী বা যারা অতিরিক্ত আয়ের সন্ধান করছেন তাদের জন্য। নিচে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ তুলে ধরা হলো:

  • অতিরিক্ত আয়ের উৎস
  • নমনীয় কাজের সময়সূচী
  • কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন
  • সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধি
  • খাদ্য পরিষেবা শিল্প সম্পর্কে ধারণা
  • পরিবেশ পরিচিতি ও নেটওয়ার্কিং
  • কর্মজীবনের প্রস্তুতি
  • মানসিক চাপ মোকাবেলার ক্ষমতা

সুতরাং, শুধু আর্থিক লাভের জন্যই নয়, ব্যক্তিগত এবং পেশাগত বিকাশের জন্যও রেস্টুরেন্টে পার্ট-টাইম চাকরি করা একটি দারুণ সুযোগ।

লেখকের শেষ মতামত

একজন স্টুডেন্ট হিসেবে আপনি কিছু যোগ্যতা নিয়ে নিঃসন্দেহে রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম জব করতে পারেন। পড়াশোনার পাশাপাশি রেস্টুরেন্টে পার্ট টাইম জব করে নিজের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারবেন এবং পরিবারকে আর্থিকভাবে ও সহায়তা করতে পারবেন। 

রেস্টুরেন্টে পার্ট-টাইম চাকরির জন্য আবেদন করার আগে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত নির্দিষ্ট যোগ্যতা এবং কাজের সময়সূচী ভালোভাবে দেখে নেওয়া উচিত। আপনার যোগাযোগ দক্ষতা ভালো হলে আর আপনি যদি চাপ সামলাতে পারেন তাহলে রেস্টুরেন্টের জব আপনার জন্য ভালো অপশন হতে পারে।

পরিশেষে, রেস্টুরেন্টে সব সময় নতুন কিছু শেখার সুযোগ থাকে। নতুন পদ, নতুন রান্না বা গ্রাহক সেবার নতুন কৌশল শিখতে আগ্রহী হন। সময়মতো কাজে আসা, দায়িত্ব পালন করা এবং সহকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই টিপসগুলো অনুসরণ করলে রেস্টুরেন্টে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল!

আমি সহ আমার টিম প্রতিনিয়ত কাজ করি অনলাইন জগতে বিভিন্ন তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সবার জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে। আমাদের সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন বা মতামত প্রদান করতে আমাদের যোগাযোগ পেইজ ব্যবহার করুন অথবা নিচে কমেন্ট করুন।

Leave a Comment