prosma syrup এর কাজ কি – prosma syrup খাওয়ার নিয়ম

prosma syrup এর কাজ সম্পর্কে আজকে আপনাদের জানানোর জন্য আমাদের এই আয়োজনটি করেছি। তার জন্য আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইটের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনারা সকল তথ্য পেয়ে যাবেন যেগুলো জানা আপনাদের খুবই বেশি দরকার।

তাই অবহেলা না করে আমাদের আজকের এই উপকারি মেডসিন সম্পর্কে ব্লগ পোষ্টটি শুরু থেকে একেবারে শেষ অবদি পড়তে থাকুন। তাহলে prosma syrup এর কাজ কি – prosma syrup খাওয়ার নিয়ম জেনে নেওয়ার পাশাপাশি prosma syrup সিরাপ সেবনের বয়স, prosma syrup দিনে কতবার খেতে হবে, prosma syrup এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং দাম জানতে পারবেন।

prosma syrup এর উপাদান 

আমরা হয়তো জানি যে প্রতিটি ঔষধ কোন না কোন উপাদান এবং কিছু পরিমাণ রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হয়। ঠিক তেমনি প্রোজমা সিরাপও বেশ কয়েকটি রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। প্রোজমা সিরাপ কি কি উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে তা নিচে ঊল্লেখ করা হলঃ

• Diphenhydramine
• Terbutaline
• Ammonium chloride
• Chlorpheniramine
• Sodium citrate
• Menthol
• Guaifenesin

Prosma কিসের ঔষধ

আপনি কি জানেন Prosma কোষের ঔষধ? এটি শ্বাসকষ্ট ঠান্ডা জ্বর সর্দি-কাশি হাঁচি হাঁপানি এবং ব্রুনকাইটিস ইত্যাদি চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধ। এই ওষুধটি যেকোনো বয়সী মানুষ কে সেবন করতে পারবে এবং এই ঔষধি সেবন করার ফলে দ্রুত শ্বাসকষ্ট হাঁপানি খাচ্ছি কাশি থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

prosma syrup এর কাজ কি

এই সিরাপটি খুবই কার্যকারী বিশেষ করে শীতকালে আমাদের জ্বর সর্দি কাশি লেগেই থাকে শীতকালে জ্বর সর্দি কাশি ইত্যাদি থেকে বাঁচতে এই সিরাপটি আপনি সেবন করতে পারেন। এছাড়াও এই সিরাপ এর আরও অনেকে কার্যকারিতা রয়েছে যেমনঃ

• যাদের গলা ব্যথা রয়েছে তারা যদি প্রোজমা সিরাপ সেবন করলে উপশমের সাহায্য করে। 
• আবার যাদের অনবরত হাচ্চি হতেই থাকে তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। 
• যাদের অতিরিক্ত সর্দি কাশি হয় তারা যদি প্রোজমা সিরাপ সেবন করলে এই সমস্যা দূর হবে। 
• প্রোজমা সিরাপ সেবন করলে দীর্ঘদিনের গলার খুসখুসে কাশির সমস্যা দূর হয়ে যায়। 
• গ্যাস এসিডিটির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে থাকে 
• পেটের ব্যথা এবং গলা ব্যথার সমস্যা নিরাময় করে থাকে। 
• শ্বাসকষ্ট এবং এজমার সমস্যা নিরাময় করে থাকে। 
• ঠান্ডা জনিত সমস্যা এবং শ্বাসনালীতে জমে থাকা মিউকাস দূর করে থাকে। 
• শ্বাস-প্রশ্বাস আরো সহজ হয় এবং মাংসপেশী শিথিল হয়।
• আবার অনেকের এই সিরাপ সেবনে ঘুম উন্নত হতে পারে। 
• এছাড়াও দেহের শক্তির মাত্রাকে বাড়াতে এবং এর পাশাপাশি ব্রংকাইটিস উপশম করতে সাহায্য করে।

আপনি যদি প্রোজমা সিরাপ সেবন ক্রএন তাহলে উপরের উল্লিখিত উপকারিতা পাবেন। আর এই সিরাপ বিশেষ করে এলার্জির প্রভাব দূরীকরণে,অতিরিক্ত হাঁচি কাশি এবং সর্দি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সেবন করা হয়। আবার যারা ডাস্ট এলার্জি দ্বারা যারা আক্রান্ত রয়েছেন তাদের জন্য এই সিরাপটি খুব কার্যকারী। অনবরত হাচ্চি এবং কাশি থেকে রেহাই পেতে ঝটপট এই সিরাপটি পান করতে হবে।

prosma syrup খাওয়ার নিয়ম

আপনি যদি যে কোনো ঔষধ ট্যাবলেট কিংবা সিরাপ সঠিক নিয়ম অনুযায়ী বা একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করলে অবশ্যই উপকারিতা লাভ করা যায়। Prosma syrup খাওয়ার সঠিক নিয়ম নিচে উল্লেখ করা হলঃ 

১৮ বছরের ওপরে

যাদের বয়স ১৮ বছরের ওপরে মানে যারা প্রাপ্তবয়স্ক তাদের ক্ষেত্রে দুপুরে এবং রাতে খাবার খাওয়ার পরে ১ চা চামচ Prosma syrup সেবন করতে পারবে। মূলত যাদের গলায় খুসখুসে কাশি এবং অনবরত হাচ্চির পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত ডোজ ২ চা চামচ সেবন করতে পারবে। 

এতে করে গলায় ঠান্ডা, অনবরত হাচ্চি এবং খুশখুসে কাশি দূর হবে। তবে এই সিরাপ সেবন করার আগে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই সিরাপটি পান করাতে হবে। 

৭-১৫ বছরের বাচ্চা

যেসব শিশুদের বয়স ৩ থেকে ৬ বছরের মধ্যে তাদের ক্ষেত্রে এই সিরাপ দিনে ১ বার  হাফ চা চামচ সেবন করাতে হবে। অতিরিক্ত সর্দি জ্বর কাশি হলে দুপুরে এবং রাতে খাবারের পর হাফ চা চামচ একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই সিরাপটি পান করাতে হবে। 

৩-৬ বছরের বাচ্চা

যেসব শিশুদের বয়স ৩ থেকে ৬ বছরের মধ্যে তাদের ক্ষেত্রে এই সিরাপ দিনে ১ বার  হাফ চা চামচ সেবন করাতে হবে। অতিরিক্ত জ্বর সর্দি কাশি হলে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই সিরাপটি পান করাতে হবে। 

বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশি হলে এই সিরাপটি সেবন করানো উচিত নয় কেননা এই সিরাপে বিদ্যমান রাসায়নিক উপাদান বাচ্চার দেহের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। 

উপরের উল্লিখিত নিয়ম মোতাবেক প্রোজমা সিরাপ সেবন করালে অনেক ভালো রেজাল্ট পাবেন। এই সময়ে অনেকেরই জ্বর, সর্দি কাশি লেগেই থাকে। তাই আপনি চাইলে এই সিরাপ বাসায় রাখতে পারেন। 

এই ধরণের সমস্যা দেখা দিলে সিরাপ খাওয়ার মাধ্যমে জ্বর সর্দি কাশি কমানো যাবে। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন যে বাচ্চাদের যে কোন ধরণের মেডিসিন সেবন করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। 

prosma syrup সিরাপ সেবনের বয়স

শুধুমাত্র নবজাতক বাচ্চাদের জন্য এই সিরাপটি খাওয়া নিষেধ কিন্তু ৫ থেকে ৭ বছর কিংবা ১০ বছর এর বাচ্চাদের এই সিরাপটি পান করাতে পারবেন। 

আবার যাদের বয়স ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে তাদের ক্ষেত্রে এই সিরাপ সামান্য পরিমাণ সেবন করাতে হবে। বয়স মোতাবেক এই সিরাপ সেবন করাতে হবে। যেমন যাদের বয়স ১৮ বছরের ওপরে তাদেরকে দিনে২ বার ১ চা চামচ খাওয়াতে পারেন আর যাদের বয়স ১৮ এর নিচে তাদেরকে দিনে একবার। 

যেকোনো বয়সী মানুষ প্রোজমা সিরাপ খেতে পারবে এটি সম্পূর্ণ সাইড ইফেক্ট ছাড়া সর্দি-কাশি জ্বর শ্বাসকষ্ট হাঁপানি দূর করবে। তবে নবজাতক বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যে কোন ঔষধ সেবন করানোর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরী। তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। এর জন্য যে কোন ঔষধ সেবন করানোর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

prosma syrup দিনে কতবার খেতে হবে

এই সিরাপটি অপ্রাপ্তবয়স্ক কিংবা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দিনে ১ বার সেবন করতে হবে আর যাদের বয়স ১৮ বছরের ওপরে তারা দিনে দুইবার এই সিডাবটি সেবন করতে পারবেন। ৭ বছরের কম বয়সের ক্ষেত্রে এই সিরাপ প্রতি ১ চা চামচ করে দিনে একবার সেবন করতে হবে।

১০ বছরের বেশি বয়সের ক্ষেত্রে এই সিরাপ প্রতি ১ চা চামচ করে দিনে একবার সেবন করতে হবে। এর বেশি কেউ যদি সেবঙ্করে তাহলে তার দেহে নানান ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই এই সিরাপ পরিমানে বেশি বা অতিমাত্রায় সেবন করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। 

prosma syrup এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রোজমা সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি? এই সিরাপের কি কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে? প্রতিটি ঔষধেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিহীন ঔষধ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। যেহেতু একটি ঔষধ বিভিন্ন উপাদানের সমন্বয়ে গঠন করা হয় সে ক্ষেত্রে ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকা স্বাভাবিক। চলুন প্রোজমা সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো নিচের অংশ থেকে জেনে নেওয়া যাক।

• অস্বাভাবিকভাবে ঘুম
• ত্বক ও মুখ উস্কো শুষ্ক হয়ে যাওয়া
• গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা পেটে অস্বস্তি অনুভূত হওয়া।
• বারবার বমি।
• মাথাব্যথা।
• এলার্জির প্রতিক্রিয়া ঘটা যেমন ত্বকের rash চুলকানি।
• মাথা ভার হয়ে যাওয়া।
• চোখে ঝাপসা দেখা দৃষ্টি শক্তি সমস্যা ইত্যাদি।

প্রোজমা সিরাপ পান করার ফলে উপরের এই সমস্যাগুলো তৈরি হতে পারে তবে প্রত্যেকের ক্ষেত্রে একই সমস্যা দেখা দিবে ব্যাপারটি এমন নয়। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলতে বোঝায় মাঝে মাঝে যেকোনো একটি ওষুধ সেবন করার ফলে হঠাৎ করে একটি সমস্যা দেখা দেওয়া।

আমরা ঔষধ সেবন করে থাকি সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য অসুস্থতা থেকে আরোগ্য লাভ করার জন্য। কিন্তু প্রতিটি ঔষধের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। যেমন প্রোজমা সিরাপ পান করার ফলে উপরের এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। তবে খুব কম সংখ্যক মানুষের শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়।

prosma syrup এর দাম কত

প্রোজমা সিরাপ এর দাম কত তা আপনারা হয়তো জানেন না । নিচে দেখে নিন প্রোজমা সিরাপ এর দাম দেওয়া রয়েছে।

প্রতি ১০০ মিলি প্রোজমা সিরাপ এর  দাম ৭৬ টাকা। যেকোনো ঔষধের দোকানে এই সিরাপ কিনতে পাওয়া যাবে এছাড়া অনলাইনে অর্ডার করতে পারবেন। এখন তো অনলাইনে যোগ অনলাইনে মাধ্যমে সহজে যেকোনো প্রোডাক্ট ক্রয় করা যায়। অনলাইনে ডেলিভারি চার্জ সহ অন্য ক্রয় করতে পারবেন।

লেখকের শেষ মতামত

তবে পরিশেষে বলব এই সিরাপ ব্যবহারের পূর্বে আপনাদের কিছু তথ্য জেনে রাখা ভালো যাদের দীর্ঘদিন ধরে কাশি থাকে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। আপনার হাঁপানি বা অ্যাজমা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে।  আবার যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে তাদের এই সিরাপ সেবনের আগে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলে পরামর্শ নিন। 

এই ধরণের সমস্য থাকলে আমাদের এই সিরাপটি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এই ওষুধটি অনেক বেশি কার্যকরী একটি ঔষধ এই ধরনের যেকোনো সমস্যার জন্য আপনি সেবন করলে খুব দ্রুত কাজ করে তাই মানুষ এটা বেশ ব্যবহার করে। 

এই ছিল আজকের prosma syrup এর কাজ সম্পর্কিত সকল তথ্য সংক্ষেপে বিস্তারিত জানাতে চেষ্টা করেছি। এর বাইরেও আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন। আশা করি prosma syrup এর কাজ কি তা জানতে পেরেছেন।

এরপরও বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানাবেন। আর্টিকেলটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও prosma syrup এর কাজ কি সেই সম্পর্কে জানতে পারবে।