জুলাই বিপ্লব ২০২৪ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়। মূলত ছাত্রদের কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া এই আন্দোলন, পরবর্তীতে এক সফল গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। এই আন্দোলনে জেনারেশন জেড এর নেতৃত্বে একজন স্বৈরশাসকের পতন ঘটে। তৎকালীন ফ্যাসিবাদী সরকার যখন কঠোর দমন-নিপীড়ন শুরু করে, তখন আন্দোলনটি দ্রুতই অসহযোগ আন্দোলনে পরিণত হয়।

এই বিপ্লবটি শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের অধিকার আদায়, ন্যায্য দাবির পক্ষে অবস্থান এবং দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই সংঘটিত হয়েছিল।” সাম্প্রতিক এই বিপ্লব দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছে।
ফলস্বরূপ, বিসিএস, ব্যাংক, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ও অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় জুলাই বিপ্লব ২০২৪ সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন আসার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে, এই আর্টিকেলে বাংলাদেশ জুলাই বিপ্লব ২০২৪-এর উপর ভিত্তি করে গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তরসমূহ আলোচনা করা হবে।
জুলাই বিপ্লব ২০২৪ সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন উত্তর
১. প্রশ্ন: ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি কবে পালিত হয়?
উত্তর: ৩১ জুলাই ২০২৪।
আরো পড়ুনঃ পৌরনীতি ও সুশাসন নিয়ে সকল প্রশ্ন
২. প্রশ্ন: আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন হ্যাশট্যাগটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছিল?
উত্তর: #SaveBangladeshiStudents বা #QuotaProtest।
৩. প্রশ্ন: কোটা সংস্কার দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ নামক সংগঠনটি কখন তৈরি হয়েছিল?
উত্তর: ১ জুলাই ২০২৪ সালে।
৪. প্রশ্ন: ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ কবে তাদের পক্ষ থেকে তিন দিনের কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিল?
উত্তর: ১ জুলাই ২০২৪ সালে।
৫. প্রশ্ন: ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪’ বাংলাদেশে কোন অভ্যুত্থানের সঙ্গে তুলনা করা হয়?
উত্তর: ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান।
৬. প্রশ্ন: কোন তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ছাত্রসমাবেশ ও বিক্ষোভ সংঘটিত হয়েছিল?
উত্তর: ১ জুলাই ২০২৪ সালে।
৭. প্রশ্ন: কোন তারিখটিতে আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে দেশজুড়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়?
উত্তর: ৯ জুলাই ২০২৪ সালে।
৮. প্রশ্ন: জুলাই বিপ্লব ২০২৪ এর অন্যতম স্লোগান কোনটি?
উত্তর: কোটা না মেধা? মেধা মেধা
৯. প্রশ্ন: জুলাই বিপ্লব ২০২৪ বাংলাদেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: এটি জনগণের ঐক্য ও গণআবেগের ঐতিহাসিক নিদর্শন।
১০. প্রশ্ন: কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রথম কোন তারিখে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়?
উত্তর: ১৬-১৭ জুলাই ২০২৪ (চট্টগ্রাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশেপাশে)।
১১. প্রশ্ন: আন্দোলনের প্রথম শহীদ (যিনি গুলিবিদ্ধ হন) কে ছিলেন?
উত্তর: আবু সাঈদ (১৬ জুলাই, চট্টগ্রামে)।
১২. প্রশ্ন: চট্টগ্রামে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনাটি কোথায় ঘটেছিল?
উত্তর: ষোলশহর স্টেশন ও মুরাদপুর মোড়।
১৩. প্রশ্ন: আন্দোলনে হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল কোন বাহিনীর গুলিতে?
উত্তর: পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী।
১৪. প্রশ্ন: ৩১ জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নিহতের সংখ্যা কত ছিল?
উত্তর: ২১২ জন।
১৫. প্রশ্ন: ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪’-এর শহিদের নামের গেজেট কবে প্রকাশিত হয়?
উত্তর: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫।
১৬. প্রশ্ন: আন্দোলনের ফলে সামরিক ও বেসামরিক উভয় ক্ষেত্রে কী ধরনের পরিবর্তন আসে?
উত্তর: বিভিন্ন পদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ।
১৭. প্রশ্ন: জুলাই বিপ্লবের সময় ছাত্রদের একটি প্রধান দাবি কী ছিল?
উত্তর: ছাত্র সংসদ নির্বাচন।
১৮. প্রশ্ন: আন্দোলনের সময় দেশের কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে? উত্তর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯. প্রশ্ন: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ প্রকাশিত গেজেটে কতজন শহিদের নাম ছিল?
উত্তর: ৮৩৪ জন (মোট নিহতের সংখ্যা)।
২০. প্রশ্ন: আন্দোলনের সময় কোন দলীয় ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে?
উত্তর: বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
২১. প্রশ্ন: আন্দোলনের সময়কার সহিংসতায় কোন এলাকাগুলো সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত ছিল?
উত্তর: শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, চট্টগ্রাম ষোলশহর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
২২. প্রশ্ন: আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের প্রধান স্লোগানগুলোর মধ্যে শহীদদের নিয়ে একটি স্লোগান কী ছিল?
উত্তর: ‘তোর কোটা তুই নে, আমার ভাই ফিরিয়ে দে’।
২৩. প্রশ্ন: আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতা কর্তৃক কোন স্থাপনা বা ভবনে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে?
উত্তর: বিভিন্ন দলীয় অফিস ও স্থাপনা।
২৪. প্রশ্ন: আন্দোলনের ঘটনায় পদত্যাগের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোথায় চলে যান?
উত্তর: ভারত (দিল্লি)।
২৬. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানে কোটা সংস্কার বিষয়টি কোন মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত?
উত্তর: সমতার অধিকার।
২৬. প্রশ্ন: বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের প্রধান দুটি দাবি কী ছিল?
উত্তর: কোটা সংস্কার এবং সরকারের পদত্যাগ।
২৭. প্রশ্ন: দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ হামলার প্রতিবাদে পরদিন (১২ জুলাই) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয় কবে?
উত্তর: ১১ জুলাই ২০২৪ সালে।
২৮. প্রশ্ন: তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার এক বক্তব্যে কোটা আন্দোলনকারীদের পরোক্ষভাবে ‘রাজাকারের নাতি-পুতি’ হিসেবে অভিহিত করেন কবে?
উত্তর: ১৪ জুলাই ২০২৪ সালে।
২৯. প্রশ্ন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগের কর্মীরা কবে?
উত্তর: ১৫ জুলাই ২০২৪ সালে।
৩০. প্রশ্ন: কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রথম শহিদ আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হয় কবে?
উত্তর: ১৬ জুলাই ২০২৪ সালে।
৩১. প্রশ্ন: আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ সারা দেশে বিজিবি মোতায়েন করা হয় কবে?
উত্তর: ১৮ জুলাই ২০২৪ সালে।
৩২. প্রশ্ন: সারা দেশে দশ দিন বন্ধ থাকার পর মোবাইল ইন্টারনেট কবে সচল হয়?
উত্তর: ২৮ জুলাই ২০২৪ সালে।
৩৩. প্রশ্ন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক তিন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আট দফা দাবি পেশ করেন কবে?
উত্তর: ২০ জুলাই ২০২৪ সালে।
৩৪. প্রশ্ন: কোটা পূণর্বহাল সংক্রান্ত রায় সর্বোচ্চ আদালত প্রদান করে কবে?
উত্তর: ২১ জুলাই ২০২৪ সালে।
৩৫. প্রশ্ন: আন্দোলনকারীরা সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন, ছাত্রঘর্মঘট এবং সারা দেশে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন কবে?
উত্তর: ৬ জুলাই ২০২৪ সালে।
৩৬. প্রশ্ন: হাইকোর্টের কোটা বাতিল রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থী আবেদন করে কবে?
উত্তর: ৯ জুলাই ২০২৪ সালে।
৩৭. প্রশ্ন: শেখ হাসিনা সরকার জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের জন্য ১৪ দলের বৈঠক কবে অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর: ২৯ জুলাই ২০২৪ সালে।
৩৮. প্রশ্ন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা কবে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করে?
উত্তর: ৩১ জুলাই ২০২৪ সালে।
৩৯. প্রশ্ন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ নতুন কর্মসূচি কবে পালন করে?
উত্তর: ১ আগস্ট ২০২৪ সালে।
৪০. প্রশ্ন: ছয়জন সমন্বয়ক, যাঁরা ডিবি হেফাজতে ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে, তাঁদের কবে মুক্তি দেওয়া হয়?
উত্তর: ১ আগস্ট ২০২৪ সালে।
৪১. প্রশ্ন: কোন তারিখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে জুমার নামাজের পর ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি পালিত হয়?
উত্তর: ২ আগস্ট ২০২৪ সালে।
৪২. প্রশ্ন: শিক্ষক ও নাগরিক সমাজের ‘দ্রোহযাত্রা’ কর্মসূচি পালন এবং শিল্পীসমাজের ব্যতিক্রমী প্রতিবাদে শামিল হন সর্বস্তরের মানুষ কবে?
উত্তর: ২ আগস্ট ২০২৪ সালে।
৪৩. প্রশ্ন: ‘মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা দেয় কবে?
উত্তর: ৩০ জুলাই ২০২৪ সালে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ২০২৪ সাধারণ জ্ঞান
১. প্রশ্ন: ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মূল কারণ কী ছিল?
উত্তর: সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা (৩০%) পুনর্বহালের বিষয়ে হাইকোর্টের রায়।
আরো পড়ুনঃ অনার্স সাবজেক্ট কি কি জানুন
২. প্রশ্ন: কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রথম পর্যায় কবে শুরু হয়?
উত্তর: ৬ জুন ২০২৪।
৩. প্রশ্ন: হাইকোর্ট কবে ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে?
উত্তর: ৫ জুন ২০২৪।
৪. প্রশ্ন: আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মূল প্ল্যাটফর্মের নাম কী ছিল?
উত্তর: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
৫. প্রশ্ন: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কবে আবেদন করে?
উত্তর: ৯ জুন ২০২৪।
৬. প্রশ্ন: হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে শুনানি কবে অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর: ৪ জুলাই ২০২৪।
৭. প্রশ্ন: আপিল বিভাগ কবে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে সরকারি চাকরিতে ৯৩% মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশ দেয়?
উত্তর: ২১ জুলাই ২০২৪।
৮. প্রশ্ন: আপিল বিভাগের রায়ের পর সরকার কবে প্রজ্ঞাপন জারি করে?
উত্তর: ২৩ জুলাই ২০২৪।
৯. প্রশ্ন: কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক কে ছিলেন?
উত্তর: আসিফ মাহমুদ।
১০. প্রশ্ন: কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রধান স্লোগান কী ছিল?
উত্তর: ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’।
১১. প্রশ্ন: কোন তারিখে আন্দোলনের রূপ ‘অসহযোগ আন্দোলন’-এ পরিবর্তিত হয়?
উত্তর: ২৮ জুলাই ২০২৪ (আনুমানিক, জুলাই বিপ্লব শুরু হওয়ার পর)।
১২. প্রশ্ন: অসহযোগ আন্দোলনের রূপরেখা কে ঘোষণা করেন?
উত্তর: আসিফ মাহমুদ।
১৩. প্রশ্ন: অসহযোগ আন্দোলনের মূল লক্ষ্য কী ছিল?
উত্তর: তৎকালীন সরকারের পদত্যাগ।
১৪. প্রশ্ন: আন্দোলনের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কবে পদত্যাগ করেন?
উত্তর: ৫ আগস্ট ২০২৪।
১৫. প্রশ্ন: শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কী গঠিত হয়?
উত্তর: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার (বা অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার)।
১৬. প্রশ্ন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে কে দায়িত্ব নেন?
উত্তর: ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১৭. প্রশ্ন: ড. মুহাম্মদ ইউনূস কবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন?
উত্তর: ৮ আগস্ট ২০২৪।
১৮. প্রশ্ন: কোটা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি কবে জানানো হয়?
উত্তর: আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে।
১৯. প্রশ্ন: ‘জুলাই বিপ্লব ২০২৪’ নামে কোন আন্দোলন পরিচিতি লাভ করে?
উত্তর: কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী গণঅভ্যুত্থান।
২০. প্রশ্ন: কোটা আন্দোলন কখন ‘এক দফা এক দাবি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ’ স্লোগান ধারণ করে?
উত্তর: জুলাই মাসের শেষ দিকে/অসহযোগ আন্দোলন ঘোষণার পর।
২১. প্রশ্ন: অসহযোগ আন্দোলনের প্রধান কর্মসূচির মধ্যে একটি কী ছিল?
উত্তর: ট্যাক্স, খাজনা, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিলসহ কোনো ধরনের বিল পরিশোধ না করা।
২২. প্রশ্ন: অসহযোগ আন্দোলনে প্রবাসীদের প্রতি কী আহ্বান জানানো হয়?
উত্তর: ব্যাংকিং চ্যানেলে কোনো ধরনের রেমিট্যান্স দেশে না পাঠানো।
২৩. প্রশ্ন: অসহযোগ আন্দোলনে কল-কারখানা ও গার্মেন্টস কর্মীদের প্রতি কী নির্দেশ ছিল?
উত্তর: কাজে না যাওয়া।
২৪. প্রশ্ন: অসহযোগ আন্দোলনের সময় জরুরী ব্যক্তিগত লেনদেনের জন্য সপ্তাহে কোন দিন ব্যাংক খোলা রাখার কথা বলা হয়?
উত্তর: প্রতি সপ্তাহের রবিবার।
২৫. প্রশ্ন: ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে আন্দোলনকারীরা কোন কর্মসূচি ঘোষণা করে?
উত্তর: কমপ্লিট শাটডাউন।
২৬. প্রশ্ন: ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সরকার ভেঙে দেন কে?
উত্তর: রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
২৭. প্রশ্ন: ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে কোন সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হয়?
উত্তর: সংসদ ভেঙে যায় এবং প্রধানমন্ত্রী পদ শূন্য হয়।
২৮. প্রশ্ন: সরকারের পতনের পর সেনাবাহিনীর প্রধানের ভূমিকা কী ছিল?
উত্তর: তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
২৯. প্রশ্ন: অসহযোগ আন্দোলনের ফলে দেশে কী ধরনের অর্থনৈতিক প্রভাব পড়েছিল?
উত্তর: ব্যাংক লেনদেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ, গার্মেন্টস উৎপাদন ও রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
৩০. প্রশ্ন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কে নিয়োগ দেন?
উত্তর: রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
৩১. প্রশ্ন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি প্রধান লক্ষ্য কী ছিল?
উত্তর: একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।
৩২. প্রশ্ন: জুলাই বিপ্লবের পর বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধানের পদ থেকে কে পদত্যাগ করেন?
উত্তর: জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
৩৩. প্রশ্ন: কোটা আন্দোলনের শুরুর দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রছাত্রীদের কোন ‘ট্যাগ’ দেওয়ার অভিযোগে আন্দোলন আরও তীব্র হয়?
উত্তর: ‘রাজাকার’
৩৪. প্রশ্ন: জুলাই বিপ্লবের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল মন্ত্র কী ছিল?
উত্তর: ‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা’।
জুলাই বিপ্লব ২০২৪ বাংলাদেশ সাধারণ জ্ঞান
১. প্রশ্ন: জুলাই বিপ্লব ২০২৪ এর মূল উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর: সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের মাধ্যমে পরিবর্তনের দাবি তোলা।
আরো পড়ুনঃ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় রেজাল্ট দেখার নিয়ম দেখুন
২. প্রশ্ন: জুলাই বিপ্লব ২০২৪ কোন মাসে সংঘটিত হয়?
উত্তর: জুলাই মাসে।
৩. প্রশ্ন: জুলাই বিপ্লবটি কোন জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে সর্বাধিক আলোচিত হয়েছিল?
উত্তর: শিক্ষার্থী, তরুণ ও সাধারণ জনগণ।
৪. প্রশ্ন: এই আন্দোলনের সূচনা কীভাবে হয়েছিল?
উত্তর: অনলাইন প্রচার, প্রতিবাদ ও মানববন্ধনের মাধ্যমে।
৫. প্রশ্ন: জুলাই বিপ্লব ২০২৪ চলাকালে কোন সামাজিক মাধ্যম বেশি ব্যবহৃত হয়েছিল?
উত্তর: ফেসবুক ও টিকটক।
৬. প্রশ্ন: এই বিপ্লবে কোন মূল স্লোগানটি জনপ্রিয় হয়েছিল?
উত্তর: “ন্যায় চাই, পরিবর্তন চাই।”
৭. প্রশ্ন: জুলাই বিপ্লব ২০২৪ চলাকালে সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে?
উত্তর: কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধসহ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
৮. প্রশ্ন: জুলাই বিপ্লব ২০২৪ কে “তরুণদের বিপ্লব” বলা হয় কেন?
উত্তর: কারণ এতে তরুণ ও শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল।
৯. প্রশ্ন: এই বিপ্লবের অন্যতম কারণ কী ছিল?
উত্তর: দুর্নীতি, বেকারত্ব ও রাজনৈতিক অসন্তোষ।
১০. প্রশ্ন: জুলাই বিপ্লব ২০২৪ কবে সর্বাধিক তীব্র রূপ নেয়?
উত্তর: জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে।
১১. প্রশ্ন: জুলাই বিপ্লবের সময় গণমাধ্যমের ভূমিকা কেমন ছিল?
উত্তর: অনলাইন ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া সক্রিয়ভাবে প্রতিবেদন করে।
১২. প্রশ্ন: বিপ্লবের সময় জনগণ কোন প্রতীক ব্যবহার করেছিল?
উত্তর: পতাকা ও হাতে মোমবাতি নিয়ে প্রতিবাদ।
১৩. প্রশ্ন: এই বিপ্লবের আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
উত্তর: আন্তর্জাতিক মহল গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে বিবৃতি দেয়।
১৪. প্রশ্ন: জুলাই বিপ্লব ২০২৪-কে অনেক বিশ্লেষক কী নামে অভিহিত করেন?
উত্তর: “বাংলাদেশের নবজাগরণ আন্দোলন”।
১৫. প্রশ্ন: এই বিপ্লবের ফলাফল কী ছিল?
উত্তর: রাজনৈতিক পরিবর্তন ও প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসের সূচনা।
১৬. প্রশ্ন: বিপ্লবে কোন শ্রেণির মানুষও সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়েছিল?
উত্তর: শ্রমিক ও পেশাজীবী সমাজ।
১৭. প্রশ্ন: বিপ্লবের সময় কোন বড় সামাজিক বার্তা প্রচারিত হয়েছিল?
উত্তর: “দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ চাই।”
১৮. প্রশ্ন: জুলাই বিপ্লব ২০২৪ কীভাবে পরিচালিত হয়েছিল?
উত্তর: শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ, প্রতিবাদ ও অনলাইন প্রচারণার মাধ্যমে।
১৯. প্রশ্ন: বিপ্লব চলাকালে জনগণ কী দাবি জানায়?
উত্তর: রাজনৈতিক সংস্কার, কর্মসংস্থান ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা।
২০. প্রশ্ন: জুলাই বিপ্লব ২০২৪ বাংলাদেশের ইতিহাসে কী ধরনের আন্দোলন হিসেবে বিবেচিত?
উত্তর: গণজাগরণের প্রতীকী বিপ্লব।
২১. প্রশ্ন: বিপ্লবের পরবর্তী সময়ে দেশের তরুণ সমাজের ভাবনা কী ছিল?
উত্তর: পরিবর্তন ও নতুন নেতৃত্বের প্রত্যাশা।
২২. প্রশ্ন: সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদালতের রায়- কোটাপ্রথা হিসেবে মেধাভিত্তিক ৯৩ শতাংশ; ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ নির্ধারণ করা হয় কবে?
উত্তর: ২১ জুলাই ২০২৪ সালে।
২৩. প্রশ্ন: কোটাপ্রথা সংস্কার করে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তৈরি প্রজ্ঞাপন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেন কবে?
উত্তর: ২২ জুলাই ২০২৪ সালে।
জুলাই বিপ্লব ২০২৪ সাধারণ জ্ঞান (আদালতের রায় ও কোটা বিন্যাস)
১. প্রশ্ন: ২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে কত শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের পরিপত্র জারি করা হয়?
উত্তর: ১০০ শতাংশ।
২. প্রশ্ন: হাইকোর্টের যে রায়ের ভিত্তিতে আন্দোলন শুরু হয়, তাতে কত শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করা হয়েছিল?
উত্তর: ৩০ শতাংশ।
৩. প্রশ্ন: আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায় অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে কত শতাংশ নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়?
উত্তর: ৯৩ শতাংশ।
৪. প্রশ্ন: আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায় অনুযায়ী সংরক্ষিত কোটা (Reserved Quota) মোট কত শতাংশ? উত্তর: ৭ শতাংশ।
৫. প্রশ্ন: আপিল বিভাগের রায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য কত শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়?
উত্তর: ৫ শতাংশ।
৬. প্রশ্ন: চূড়ান্ত রায়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য কত শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়?
উত্তর: ১ শতাংশ।
৭. প্রশ্ন: চূড়ান্ত রায়ে তৃতীয় লিঙ্গ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কত শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়?
উত্তর: ১ শতাংশ।
৮. প্রশ্ন: আপিল বিভাগের রায়ে কোটা সংক্রান্ত আইন বা বিধি প্রণয়নের এখতিয়ার কার ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে?
উত্তর: সংসদ/সরকার।
৯. প্রশ্ন: আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী কোটা পূরণে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে কী করার নির্দেশ ছিল?
উত্তর: মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে।
১০. প্রশ্ন: বর্তমানে সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটার সঠিক বিন্যাস কী (জুলাই বিপ্লবের পর)?
উত্তর: মেধা ৯৩%, সংরক্ষিত ৭% (৫% মুক্তিযোদ্ধা, ১% ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, ১% তৃতীয় লিঙ্গ ও প্রতিবন্ধী)।
১২. প্রশ্ন: সরকারি চাকরিতে প্রথম কোটা ব্যবস্থা কবে চালু হয়?
উত্তর: ১৯৫০-এর দশকে (তৎকালীন পাকিস্তান আমলে)।
১৩. প্রশ্ন: কোটা সংস্কারের দাবিতে ২০১৮ সালে গঠিত আন্দোলনের প্ল্যাটফর্মের নাম কী ছিল?
উত্তর: বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
১৪. প্রশ্ন: বাংলাদেশের সংবিধানের কত নম্বর অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে সমান সুযোগের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ২৯ (১) ও ২৯ (২) অনুচ্ছেদ।
লেখকের শেষ মতামত
পরিশেষে, জুলাই বিপ্লব ২০২৪ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য এই বিষয়ে সাধারণ জ্ঞান ও MCQ (মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন) পড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার প্রস্তুতি জোরদার করতে এবং জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করতে, উপরে উল্লেখিত PDFটি ডাউনলোড করে নিন।