জিঙ্ক বি ট্যাবলেট হলো একটি পুষ্টিকর সাপ্লিমেন্ট যা জিঙ্ক (Zinc) এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের সমন্বয়ে তৈরি। এটি শরীরের এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের অভাব পূরণের জন্য ব্যবহৃত হয়। জিঙ্ক বি ট্যাবলেট মূলত জিঙ্ক এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অভাব পূরণ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। তবে, এটি কারা খেতে পারবে তা নির্ভর করে ব্যক্তির স্বাস্থ্যগত অবস্থা, বয়স এবং পুষ্টির চাহিদার উপর।
বিশেষ করে যারা ওজন বাড়াতে চান বা শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করেন, তাদের মধ্যে এই প্রশ্নের কৌতূহল বেশি। তাই জিংক বি ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয় কিনা এবং জিংক বি ট্যাবলেট এর উপকারিতা জানতে হলে আর্টিকেলের প্রতিটি অংশ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
জিংক বি ট্যাবলেট খেলে কি হয়
জিংক বি ট্যাবলেট ডাক্তাররা রোগীদের বিভিন্ন কারণে খাওয়ার জন্য নির্দেশিকা দিয়ে থাকে। আমরা এই অংশে জানবো জিংক বি ট্যাবলেট খেলে কি হয়? সাধারনত জিংক আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং হজম শক্তি বাড়ায়। এছাড়াও
- ক্ষুধামন্দা দূর হয়
- শক্তি বাড়ে ও ক্লান্তি কমে
- ত্বক, চুল ও নখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে
- স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত হয়
- রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে
- শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করে
- প্রজনন স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ইত্যাদি।
সংক্ষেপে, জিঙ্ক বি ট্যাবলেট খেলে জিঙ্ক এবং বি ভিটামিনের অভাবজনিত সমস্যাগুলো কমে আসে এবং সামগ্রিকভাবে শরীর সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকে। তবে, যেকোনো সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
জিংক বি ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয়
জিংক বি ট্যাবলেট খেলে সরাসরি মোটা হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। বরং, এটি কিছু ক্ষেত্রে পরোক্ষভাবে ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে, বিশেষ করে যাদের জিঙ্কের ঘাটতি রয়েছে
জিঙ্ক বি ট্যাবলেটে সাধারণত জিঙ্ক এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স (যেমন থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, পাইরিডক্সিন, নিয়াসিনামাইড) থাকে। এই উপাদানগুলোর কাজগুলো হলো:
জিঙ্ক: জিঙ্ক শরীরের প্রায় ৩০০টিরও বেশি এনজাইমের কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য। এটি ক্ষুধামন্দা বা অরুচি দূর করতে সাহায্য করে, যা জিঙ্কের অভাবে দেখা দিতে পারে। যদি জিঙ্কের অভাবে কারো ক্ষুধা কমে যায়, তাহলে জিঙ্ক সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের ফলে স্বাভাবিক ক্ষুধা ফিরে আসতে পারে এবং এর ফলে ওজন কিছুটা বাড়তে পারে, বিশেষ করে অপুষ্টিতে ভোগা ব্যক্তি বা শিশুদের ক্ষেত্রে। এছাড়া, জিঙ্ক বিপাক প্রক্রিয়া (মেটাবলিজম) এবং প্রোটিন সংশ্লেষণে ভূমিকা রাখে।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স: ভিটামিন বি কমপ্লেক্স শক্তি উৎপাদনে এবং খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি সরাসরি ওজন বাড়ায় না, তবে ভিটামিন বি-এর অভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত ওজন হ্রাস রোধ করতে সাহায্য করতে পারে। অর্থাৎ, যদি ভিটামিন বি-এর অভাবে কারো ওজন কমে যায়, তাহলে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের ফলে ওজন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারে।
মোটকথা, জিঙ্ক বি ট্যাবলেট সরাসরি মোটা হওয়ার কারণ নয়। তবে, যাদের জিঙ্কের অভাবে ক্ষুধামন্দা বা অরুচি ছিল, তাদের ক্ষেত্রে এই ট্যাবলেট সেবনের ফলে ক্ষুধা স্বাভাবিক হয়ে আসে এবং এর ফলে ওজন কিছুটা বাড়তে পারে, বিশেষ করে যদি আগে অপুষ্টিজনিত ওজন কম থাকে। এটি সুস্থ ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে, কিন্তু এটি স্থূলতা বা অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধির কারণ নয়।
এবং এর ফলে স্বাভাবিক ওজন ফিরে আসতে বা সামান্য ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে, এটি স্থূলতা বা অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধির কারণ নয়। যদি আপনার ওজন বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ থাকে, তবে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
জিংক বি ট্যাবলেট এর উপকারিতা
জিংক বি ট্যাবলেট এর অনেক উপকারিতা রয়েছে যা এই অংশে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো। জিংক বি ট্যাবলেট এর বিশেষ উপকারিতা হচ্ছে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
জিঙ্ক বি ট্যাবলেট মূলত জিঙ্ক (Zinc) এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের সমন্বয়ে গঠিত একটি সাপ্লিমেন্ট। এই দুটি পুষ্টি উপাদানেরই শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা রয়েছে। যখন কারো খাদ্যে এই পুষ্টি উপাদানগুলোর অভাব দেখা দেয়, তখন ডাক্তাররা জিঙ্ক বি ট্যাবলেট সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
জিঙ্ক বি ট্যাবলেটের প্রধান উপকারিতা:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: জিঙ্ক শরীরের বিভিন্ন সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। ভিটামিন বি৬ এবং বি১২ও প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
ক্ষুদামন্দা দূরীকরণ ও হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে: জিঙ্কের অভাবে অনেক সময় ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়। জিঙ্ক বি ট্যাবলেট এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে, ফলে স্বাভাবিক ক্ষুধা ফিরে আসে। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তরে সাহায্য করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।
ত্বক, চুল ও নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: জিঙ্ক এবং ভিটামিন বি উভয়ই সুস্থ ত্বক, চুল এবং নখের জন্য জরুরি। জিঙ্ক ক্ষত সারাতে এবং ত্বকের কোষ গঠনে সাহায্য করে। ভিটামিন বি৭ (বায়োটিন) চুল ও নখের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী।
স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে: ভিটামিন বি কমপ্লেক্স স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য। এটি স্নায়বিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ ও সামগ্রিক মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি১২ বিশেষ করে স্নায়ুকোষের আবরণ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নত করে: জিঙ্ক পুরুষ ও মহিলা উভয়ের প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি হরমোনের ভারসাম্য এবং শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর সঠিক বিকাশে সহায়তা করে।
এছাড়াও জিঙ্ক বি ট্যাবলেটের আরও উপকারিতা রয়েছে যথাঃ
- দেহের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করে। বিশেষ করে জিংকের ঘাটতি ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের ঘাটতি পূরণ করে থাকে।
- ছেলেমেয়েদের চুল পড়া বন্ধ করে থাকে। চুল পড়া সমস্যা সমাধানে আপনারা জিংক বি ট্যাবলেটগুলো গ্রহন করতে পারেন।
- অনেক সময় আমার পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে উঠি। সে ক্ষেত্রে জিংক বি ট্যাবলেট গ্রহণ করলে পড়াশোনায় মনোযোগ বেড়ে যায়।
- মুখের ব্রণ ধীরে ধীরে ঠিক হতে থাকে। ছেলেমেয়েরা ব্রণ দূর করতে এ ধরনের ট্যাবলেট গ্রহণ করতে পারেন।
- মানসিক দুশ্চিন্তা বা অবসাদ কমে যায়।
- যে কোন কাজে অমনোযোগী ভাব দূর হয়।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাই।
- ইম্যুনিটি বৃদ্ধি পাই।
- খাবারের রুচি বাড়ে।
- উচ্চতা বৃদ্ধি পাই।
- হাড় মজবুত করে।
- শরীরে ক্রান্তি দূর করে।
- ডিহাইড্রেশনের জন্য উপকার।
- দেহে ছত্রাকজনিত রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- মায়েদের ক্ষেত্রে নবজাতক শিশুর বৃদ্ধি বিকাশ করে অর্থাৎ বামনত্ব বা অপরিপক্কতা দূর হয়।
জিঙ্ক বি ট্যাবলেট সাধারণত জিঙ্ক এবং ভিটামিন বি-এর ঘাটতি পূরণের জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে, কোনো সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
জিংক বি ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
জিঙ্ক বি ট্যাবলেট সেবনের নিয়মাবলী নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের ওপর, যেমন আপনার বয়স, স্বাস্থ্যগত অবস্থা এবং কেন আপনি এটি সেবন করছেন। সবচেয়ে ভালো হয় একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া, কারণ তারাই আপনার নির্দিষ্ট অবস্থার ভিত্তিতে সঠিক ডোজ এবং সেবনের নিয়ম বলে দিতে পারবেন।
সাধারণ নিয়মাবলী:
যদি ডাক্তার নির্দিষ্ট করে কিছু না বলে থাকেন, তবে সাধারণত জিঙ্ক বি ট্যাবলেট সেবনের কিছু সাধারণ নিয়ম মানা হয়:
১। ডোজ:
- প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সাধারণত দিনে একবার একটি ট্যাবলেট সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়।
- শিশুদের জন্য ডোজ ভিন্ন হতে পারে এবং তা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হতে হবে।
২। কখন খাবেন:
জিঙ্ক বি ট্যাবলেট সাধারণত খাবারের পর সেবন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। খালি পেটে সেবন করলে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে পেট খারাপ (যেমন বমি বমি ভাব বা পেটে অস্বস্তি) হতে পারে।
নির্দিষ্ট করে সকালে বা রাতে খাওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, তবে প্রতিদিন একই সময়ে সেবন করলে নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস বজায় রাখা সহজ হয়।
৩। কীভাবে খাবেন:
ট্যাবলেটটি পানি দিয়ে পুরো গিলে ফেলুন, চিবিয়ে বা গুঁড়ো করে খাবেন না, যদি না আপনার ডাক্তার সেভাবে নির্দেশ দেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি দিয়ে ট্যাবলেটটি সেবন করুন।
৪। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখবেন:
ডোজ বেশি করবেন না: ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ডোজের অতিরিক্ত ট্যাবলেট সেবন করবেন না। অতিরিক্ত জিঙ্ক বা ভিটামিন বি কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান: গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মায়েরা জিঙ্ক বি সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
জিঙ্ক বি ট্যাবলেট একটি সাপ্লিমেন্ট, এটি কোনো রোগের নিরাময় নয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো জিঙ্ক এবং ভিটামিন বি-এর ঘাটতি পূরণ করে শরীরের স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করা।
জিংক বি ট্যাবলেট এর কাজ কি
জিঙ্ক বি ট্যাবলেট মূলত জিঙ্ক (Zinc) এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের সমন্বয়ে তৈরি একটি পুষ্টিকর সাপ্লিমেন্ট। এর প্রধান কাজ হলো শরীরে জিঙ্ক এবং বি ভিটামিনের অভাব পূরণ করা এবং এই পুষ্টি উপাদানগুলোর মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যকারিতা সচল রাখা। জিঙ্ক বি ট্যাবলেটের মূল কাজগুলো:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: জিঙ্ক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে, যা শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সহায়তা করে। ভিটামিন বি কমপ্লেক্সও প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে
শক্তি উৎপাদন ও ক্লান্তি দূরীকরণ: ভিটামিন বি কমপ্লেক্স খাদ্য থেকে শক্তি উৎপাদনে অপরিহার্য। এটি শরীরের বিপাক প্রক্রিয়াকে (মেটাবলিজম) সচল রেখে ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে।
ক্ষুধামন্দা দূরীকরণ: জিঙ্কের অভাবে অনেকের ক্ষুধামন্দা দেখা দিতে পারে। জিঙ্ক বি ট্যাবলেট এই সমস্যা দূর করে স্বাভাবিক ক্ষুধা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক।
ত্বক, চুল ও নখের স্বাস্থ্য: জিঙ্ক এবং বি ভিটামিন উভয়ই সুস্থ ত্বক, চুল এবং নখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জিঙ্ক ক্ষত সারাতে এবং নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে, আর ভিটামিন বি (বিশেষ করে বায়োটিন) চুল ও নখের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করা: ভিটামিন বি কমপ্লেক্স স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য, স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগ বৃদ্ধিতে সহায়ক।
রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ: ভিটামিন বি৬, বি৯ (ফোলেট) এবং বি১২ লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ, যা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশ: জিঙ্ক এবং বি ভিটামিন শিশুদের সঠিক শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য।
সংক্ষেপে বলতে গেলে, জিঙ্ক বি ট্যাবলেট শরীরে প্রয়োজনীয় জিঙ্ক ও বি ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে সার্বিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবে, এটি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা উচিত।
জিংক বি ট্যাবলেট এর দাম কত
এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানি জিংক বি ওষুধটি তৈরি করেছে। প্রতি পিস জিংক বি ট্যাবলেট এর দাম ৩.৫০ টাকা। জিংক বি ৩০ টি ট্যাবলেট একটি পটের মূল্য ৯০ টাকা এটি আপনারা যেকোন ফার্মেসিতে পেয়ে যাবেন।
আপনারা এই ট্যাবলেটগুলো কেনার আগে অবশ্যই ট্যাবলেট এর বক্সে গায়ে লেখা মেয়াদ ও উৎপাদন তারিখ দেখে কিনবেন। আর ট্যাবলেটগুলো ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখবেন এবং শিশুদের থেকে দূরে রাখবেন।
জিংক বি ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
জিংক বি ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াবা ক্ষতিকর দিকগুলো নিচে আলোচনা করা হলোঃ
- বমি হওয়া বা বমি বমি ভাব
- মাথা ব্যথা
- ডায়রিয়া
- মুখে বিশ্রী স্বাদ
- পাকস্থলী সমস্যা হতে পারে
- অরুচি
- গ্যাসের সমস্যা ইত্যাদি।
উপরের উল্লেখিত লক্ষণ গুলি কোন মারাত্মক লক্ষণ না তবে এই লক্ষণগুলো তীব্র আকার ধারণ করলে জিংক বি খাওয়া বন্ধ করে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। আর গর্ভাবস্থায় এই জিংক বি ট্যাবলেট খেতে পারেন আপনার শরীরকে রোগমুক্ত ও ফিট রাখতে জিংক খেতে পারেন তবে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে।
এজন্য আপনারা কোন কারন ছাড়া জিংক বি ট্যাবলেট গ্রহণ করবেন না। রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জিংক বি ট্যাবলেট সেবন করবেন। শুধুমাত্র আপনাদের শরীরে যদি ভিটামিনের ঘাটতি দেখা যায় তখনই জিংক বি ট্যাবলেট গ্রহণ করবেন।
লেখকের শেষ মতামত
পরিশেষে সবকিছুর মতোই, জিংক বি ট্যাবলেট অতিরিক্ত সেবন বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ করা উচিত নয়। কারণ শরীরে অতিরিক্ত জিংকের উপস্থিতি কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়াও তৈরি করতে পারে।
তাই যেকোনো খাদ্য বা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে নিজের শরীরের চাহিদা, বর্তমান শারীরিক অবস্থা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পুষ্টি ও নিয়মিত জীবনযাপনের মাধ্যমেই স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বাড়ানো সম্ভব।