আইডিএলসি হোম লোন (আপডেট তথ্য) – আবেদন প্রক্রিয়া ও যোগ্যতা

আইডিএলসি হোম লোন নিজের স্বপ্নের বাড়ি তৈরি বা কেনার ক্ষেত্রে একটি নির্ভরযোগ্য এবং সহজ সমাধান দিতে পারে। আইডিএলসি হোম লোন বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয় লাভ করেছে। আইডিএলসি এর যেকোন গ্রাহকের মাএ ২০ হাজার টাকা মাসিক আয় হলে তিনি আইডিএলসি থেকে হোম লোন নিতে পারবেন। তবে আইডিএলসি হোম লোন সম্পর্কে জানেন কি? 

আইডিএলসি হোম লোন

আইডিএলসি ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে আপনার কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা এবংন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করতে হবে। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজ আমরা আপনাকে আইডিএলসি হোম লোন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানাবো।

আইডিএলসি হোম লোন কি?

আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তারা বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সেবা প্রদান করে, যার মধ্যে হোম লোন বা গৃহলোন অন্যতম প্রধান। এই ব্যাংকের হোম লোন মূলত মানুষের নিজের বাড়ির স্বপ্ন পূরণ করতে সাহায্য করে।

সহজ কথায় বলতে গেলে, আইডিএলসি হোম লোন হলো আইডিএলসি ফাইন্যান্স থেকে নেওয়া একটি লোন, যা বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট কেনা, তৈরি করা, পুরোনো বাড়ি সংস্কার করা বা সম্প্রসারণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

আইডিএলসি ব্যাংক “সবার জন্য বাড়ি” প্রতিপাদ্য নিয়ে গ্রামীণ ও শহরের প্রতিটি মানুষের নিরাপদ আবাসন নিশ্চিত করতে মাত্র ২০ হাজার টাকা মাসিক আয়ে ২০ বছর থেকে ২৫ বছর মেয়াদে মাসিক সহজ কিস্তির মাধ্যমে পিন পরিশোধ করার সুবিধা রয়েছে। কেবলমাত্র শহরে নয় বরং বর্তমানে গ্রামে পাকা বাড়ি, সেমি পাকা বাড়ি নির্মাণ বা নতুন বাড়ি ক্রয় করার জন্য অর্থ লোনের সুবিধা রয়েছে। 

আইডিএলসি হোম লোনের বৈশিষ্ট্য

অন্যান্য ব্যাংকের মতো আইডিএলসি ব্যাংকের হোম লোনের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার কারণে ব্যাংকটি গ্রাহকের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এ সকল বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে:

  • আইডিএলসি সাধারণত সম্পত্তির মূল্যের ৭০% থেকে ৮০% পর্যন্ত লোন দিয়ে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে, তারা রেজিস্ট্রেশন খরচও লোনের অন্তর্ভুক্ত করে নিতে পারে, যা ক্রেতাদের জন্য একটি বড় সুবিধা।
  • গ্রাহকেরা লোন পরিশোধ করার জন্য সর্বোচ্চ ২৫ বছর পর্যন্ত সময় পেয়ে থাকেন।
  • আইডিএলসি এর গ্রাহকরা রেজিস্ট্রেশন এর খরচ ছাড়াই এপয়েন্টমেন্ট কেনার জন্য লোন নিতে পারবেন।
  • সুদের হার নির্ধারণের স্বচ্ছ প্রক্রিয়া।
  • তারা সাধারণত কোনো লুকানো চার্জ বা ফি নেয় না, যা গ্রাহকদের জন্য একটি স্বস্তির বিষয়।
  • আইডিএলসি-এর লোনের আবেদন প্রক্রিয়া তুলনামূলকভাবে সহজ এবং দ্রুত। তারা চেষ্টা করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লোন অনুমোদন ও বিতরণ করতে।
  • জটিল কাগজপত্র জমা দেওয়ার ঝামেলাও অনেকটাই কম।
  • আপনি লোনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আংশিকভাবে বা পুরো লোনটাই পরিশোধ করে দিতে পারবেন। এতে আপনার সুদের খরচ কমে আসবে।

আইডিএলসি হোম লোন পাওয়ার যোগ্যতা

আইডিএলসি থেকে আপনি যদি বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার জন্য লোন নিতে চান, তাহলে ওরা কিছু জিনিস খেয়াল করে। সহজ কথায় বলতে গেলে, আইডিএলসি দেখতে চায় যে আপনি লোনটা সময়মতো ফেরত দিতে পারবেন কিনা এবং আপনার আর্থিক অবস্থা কেমন। চলুন, জেনে নিই, আইডিএলসি থেকে হোম লোন পেতে হলে আপনার কী কী যোগ্যতা থাকতে হবে।

  • আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • লোনের জন্য আবেদন করার সময় আপনার বয়স অন্তত ২৫ বছর হতে হবে।
  • লোনের মেয়াদ শেষ হওয়ার সময়, যদি আপনি চাকরিজীবী হন, আপনার বয়স ৬৫ বছরের বেশি হওয়া চলবে না। আর যদি ব্যবসায়ী বা পেশাজীবী হন, তাহলে ৭০ বছরের বেশি হওয়া চলবে না।
  • আপনি যদি চাকরি করেন, তাহলে বর্তমান কর্মস্থলে কমপক্ষে ১ বছর এবং সব মিলিয়ে মোট ২ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকা ভালো।
  • যদি ব্যবসা বা পেশায় থাকেন, তাহলে সেই কাজ বা পেশায় কমপক্ষে ২-৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা জরুরি।
  • আপনার যদি বৈধ কোনো ব্যবসা থাকে, তাহলেও লোনের জন্য যোগ্য। এক্ষেত্রেও মাসিক আয় ৫০,০০০ টাকা বা তার বেশি হওয়াটা জরুরি।
  • আপনার যদি বাড়ি ভাড়া থেকে নিয়মিত আয় আসে, তাহলেও লোন পাওয়ার সুযোগ আছে। এক্ষেত্রে মাসিক আয় ৪০,০০০ টাকা বা তার বেশি হলে ভালো।
  • আপনি যদি বিদেশে চাকরি করেন বা ব্যবসা করেন এবং নিয়মিত টাকা পাঠান, তাহলেও আইডিএলসি থেকে হোম লোন নিতে পারবেন। ওরা আপনার আয়ের প্রমাণ এবং দেশে টাকা পাঠানোর রেকর্ড যাচাই করবে।
আরো পড়ুনঃ-  সীমান্ত ব্যাংক পার্সোনাল লোন - সীমান্ত ব্যাংক লোন আবেদন পদ্ধতি

এছাড়াও আইডিএলসি দেখবে, আপনি এর আগে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিয়ে থাকলে, সেটা সময়মতো পরিশোধ করেছেন কিনা। আপনার যদি খারাপ কোনো রেকর্ড থাকে, তাহলে লোন পাওয়া কঠিন হতে পারে।

আপনি যে বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনছেন, সেটা আইডিএলসি-এর অনুমোদিত এলাকার মধ্যে হতে হবে।

সবচেয়ে বড় কথা, সেই সম্পত্তিতে কোনো ঝামেলা থাকা চলবে না। অর্থাৎ, সম্পত্তির দলিলপত্র ঠিকঠাক থাকতে হবে, কোনো মামলা-মোকদ্দমা বা অন্য কোনো ব্যাংকের লোন বা বন্ধক থাকলে চলবে না।

আইডিএলসি এই যোগ্যতাগুলো দেখে নিশ্চিত হয় যে, তারা আপনাকে লোন দিয়ে ঝুঁকি নিচ্ছে না এবং আপনিও সহজে লোনটা পরিশোধ করতে পারবেন। সবচেয়ে ভালো হয়, আইডিএলসি-এর কাছের কোনো শাখায় সরাসরি গিয়ে কথা বলা। ওরা আপনার পরিস্থিতি অনুযায়ী সব সঠিক তথ্য দিতে পারবে।

আইডিএলসি হোম লোন প্রয়োজনীয় কাগজ

আইডিএলসি (IDLC) থেকে হোম লোন নিতে গেলে কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হয়, যাতে ওরা বুঝতে পারে আপনার পরিচয় কী, আপনার আয় কত আর আপনি যে সম্পত্তিটা কিনছেন, সেটার কাগজপত্র সব ঠিক আছে কিনা। ব্যাংকগুলো আসলে দেখতে চায় আপনি লোনটা শোধ করতে পারবেন তো, আর যে জিনিসটা বন্ধক রাখছেন, সেটার মালিকানা আপনারই কিনা।

এখানে আইডিএলসি হোম লোনের জন্য সাধারণত কী কী কাগজপত্র লাগে, তার একটা সহজবোধ্য তালিকা দেওয়া হলো:

  • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি। অবশ্যই বৈধ জাতীয় পরিচয় পত্র ও স্পষ্ট জাতীয় পরিচয় পত্র হতে হবে।
  • আপনার পাসপোর্ট সাইজের কয়েক কপি ছবি সাধারণত ২-৩ কপি লাগবে।
  • গ্যারান্টারের জাতীয় পরিচয় পত্র ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রদান করতে হবে।
  • আপনি যে ঠিকানায় থাকেন, তার প্রমাণ হিসেবে বাসার বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল বা পানির বিলের একটা কপি শেষ ১-৩ মাসের দিতে পারেন।
  • আবেদনকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিগত ১২ মাস বা ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রদান করতে হবে।
  • আবেদনকারীর সর্বশেষ প্রধান কৃত ই-রিটার্ন এর ফটোকপি বা ট্যাক্স সার্টিফিকেট বা ই-টিআইএন প্রদান করতে হবে।
  • আবেদনকারী যে বাড়ি বা ফ্ল্যাটটা কিনছেন, তার মালিকানার সব দলিলপত্রের ফটোকপি যেমন: মূল দলিল, বায়া দলিল, খতিয়ান এবং নামজারির কাগজ এই কাগজগুলো অবশ্যই নির্ভুল আর ঝামেলামুক্ত হতে হবে।
  • চাকরিজীবীদের জন্য অফিস থেকে একটা বেতন সনদপত্র বা শেষ ৩-৬ মাসের বেতনের স্লিপ লাগবে। এবং ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করতে হবে।
  • আবেদনকারী যদি বাড়ির মালিক হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্রের কপি এবং যে অ্যাকাউন্টে ভাড়া আসে, তার ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
  • আইডিএলসি থেকে দেওয়া লোনের আবেদন ফরমটা খুব সাবধানে পূরণ করে আপনার স্বাক্ষর করতে হবে।
  • আপনার অতীত লোনের রেকর্ড যাচাই করার জন্য একটা সম্মতিপত্র দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ-  প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ও সুবিধা

কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর আইডিএলসি আপনার দেওয়া তথ্যগুলো ভালোভাবে যাচাই করে। ওরা আপনার কর্মস্থল বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও খোঁজ নিতে পারে।

আইডিএলসি-এর যেকোনো শাখায় সরাসরি গিয়ে কথা বলা সবচেয়ে ভালো। ওদের কর্মীরা আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ঠিক কোন কোন কাগজ লাগবে, তা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে পারবে। কারণ মাঝেমধ্যে নিয়মে ছোটখাটো পরিবর্তন আসে।

আইডিএলসি হোম লোন আবেদন প্রক্রিয়া

আইডিএলসি থেকে হোম লোন নেওয়াটা বেশ সহজ একটা প্রক্রিয়া, কারণ ওরা চেষ্টা করে গ্রাহকদের জন্য ব্যাপারটা যতটা সম্ভব ঝামেলামুক্ত করতে। আসলে ওরা আপনাকে সাহায্য করতে চায় আপনার স্বপ্নের বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার পথে। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত আপনার পরিচয়, আয় এবং আপনি যে সম্পত্তি কিনছেন, তার কাগজপত্র সব ঠিক আছে কিনা, এগুলো দেখে লোন দেয়।

আইডিএলসি হোম লোনের জন্য যেভাবে আবেদন করবেন তা নিচে ধাপে ধাপে উল্লেখ করা হলঃ

নিকটস্থ শাখায় যোগাযোগ করা: আপনার নিকটস্থ আইডিএলসি ফাইন্যান্সের শাখায় সরাসরি চলে যান। সেখানে একজন কর্মকর্তা আপনাকে সাহায্য করবেন। অথবা, যদি আইডিএলসি-এর ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ থাকে, তাহলে সেখান থেকেও প্রাথমিক আবেদন করতে পারেন।

আবেদনপত্র পূরণ করা: আবেদন ফরম পূরণ করুন: ওরা আপনাকে একটা লোনের ফরম দেবে। সেই ফরমটা মনোযোগ দিয়ে পূরণ করুন। আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, যোগাযোগের ঠিকানা, আয়ের উৎস, আর আপনি যে লোনটা নিচ্ছেন সেটার উদ্দেশ্য – সবকিছু পরিষ্কারভাবে লিখুন। কোনো কিছু বুঝতে সমস্যা হলে, সেখানকার কর্মকর্তার সাহায্য নিন।

কাগজপত্র জমা দেওয়া: প্রাথমিক কাগজপত্র জমা দিন: ফরম পূরণের পর, আপনার পরিচয়পত্র, ছবি, ঠিকানার প্রমাণ, আর আয়ের প্রাথমিক কাগজপত্রগুলো জমা দিন।

কাগজপত্র যাচাই আর সম্পত্তির মূল্যায়ন: আপনি কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর আইডিএলসি সেগুলো ভালোভাবে যাচাই করবে। আপনার আয়ের উৎস ঠিক আছে কিনা, আপনি আগে কোনো লোন নিয়ে থাকলে সেটা সময়মতো পরিশোধ করেছেন কিনা – এসব ওরা দেখবে। আপনি যে বাড়ি বা ফ্ল্যাটটা কিনছেন, সেটার কাগজপত্র (যেমন দলিল, নকশা ইত্যাদি) আইডিএলসি-এর আইনজীবীরা ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখবেন, যাতে পরে কোনো আইনি ঝামেলা না হয়।

আরো পড়ুনঃ-  হোম লোনের জন্য সেরা ১০টি ব্যাংক - হোম লোনের সুবিধা অসুবিধা

লোন অনুমোদন ও বিতরণ: কাগজপত্র যাচাই এবং মূল্যায়ন সব ঠিক থাকলে, আইডিএলসি আপনার লোনের আবেদন অনুমোদন করে দেবে। এটা আপনার জন্য সবচেয়ে খুশির খবর! লোন অনুমোদনের পর আপনাকে আইডিএলসি-এর সাথে একটা লোনের চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে। এই চুক্তিতে লোনের পরিমাণ, সুদের হার, পরিশোধের মেয়াদ, মাসিক কিস্তি এবং অন্যান্য শর্তাবলী বিস্তারিত লেখা থাকবে। চুক্তি স্বাক্ষর হয়ে গেলে, আইডিএলসির পক্ষ থেকে আপনার লোনের টাকা সরাসরি বিক্রেতার অ্যাকাউন্টে অথবা আপনার নিজের অ্যাকাউন্টে জমা দিয়ে দেওয়া হবে। অনেক সময় চেক বা পে-অর্ডারের মাধ্যমেও বিতরণ করা হয়।

লোন পরিশোধ: লোন পাওয়ার পর, চুক্তি অনুযায়ী আপনাকে প্রতি মাসে নির্ধারিত তারিখে মাসিক কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। আপনি যদি সময়মতো কিস্তি পরিশোধ করেন, তাহলে আপনার ক্রেডিট স্কোর ভালো থাকবে এবং ভবিষ্যতে অন্য কোনো লোন পেতে সুবিধা হবে। আবেদন করার আগে আইডিএলসি-এর কর্মকর্তাদের কাছে লোনের সব শর্ত, সুদের হার, এবং কোনো অতিরিক্ত চার্জ আছে কিনা – এসব বিষয় পরিষ্কারভাবে জেনে নিন। কোনো লুকানো খরচ আছে কিনা, তা জিজ্ঞেস করতে দ্বিধা করবেন না। আবেদন ফরমে এবং কাগজপত্র জমা দেওয়ার সময় সব তথ্য সঠিক এবং সত্য দিন। মিথ্যা তথ্য দিলে আপনার আবেদন বাতিল হতে পারে বা পরবর্তীতে সমস্যা হতে পারে। 

আবেদন করার পর আইডিএলসি এর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। যদি কোনো বাড়তি কাগজ বা তথ্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে দ্রুত তা সরবরাহ করুন। এই প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করলে আইডিএলসি থেকে হোম লোন পাওয়া আপনার জন্য বেশ সহজ হবে।

আইডিএলসি হোম লোন সুদের হার

আইডিএলসি হোম লোনের সুদের হার নির্দিষ্ট করে বলা বেশ কঠিন, কারণ এটা বেশ কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে এবং সময় অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারের পরিস্থিতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী সুদের হার নির্ধারণ করে। এক্ষেত্রে লোনের সুদের হার ৯ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১৪ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে।

লেখকের শেষ মতামত

আইডিএলসি হোম লোন এমন একটি সুবিধা ব্যবস্থা যা গ্রাহকদের সহজেই তাদের স্বপ্নের বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মালিক করতে পারেন।  আইডিএলসি এর হোম লোন যেমন ভাবে জনপ্রিয় তেমনি বর্তমানে আইডিএলসি এর হোম লোন সকলের কাছে বেশ প্রশংসনীয়। মাত্র ২০ হাজার টাকা মাসিক আয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে আইডিএলসি হোম লোন নিয়ে আপনার স্বপ্নের বাড়ি তৈরি করতে পারেন।

আমি সহ আমার টিম প্রতিনিয়ত কাজ করি অনলাইন জগতে বিভিন্ন তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সবার জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে। আমাদের সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন বা মতামত প্রদান করতে আমাদের যোগাযোগ পেইজ ব্যবহার করুন অথবা নিচে কমেন্ট করুন।

Leave a Comment