ইনভেস্ট ছাড়া টাকা ইনকাম করতে চান, তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। বর্তমানে টাকা ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে। বিশেষ করে ইনভেস্ট ছাড়াই বিভিন্ন উপায়ে অনলাইন থেকে টাকা রোজগার করতে পারবেন।
এমন অনেক জনপ্রিয় উপায় রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি দীর্ঘদিন ধরে ইনভেস্ট ছাড়া টাকা উপার্জন করতে পারবেন। ইনভাইট ছাড়া কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
বিনা টাকায় ইনকাম করার উপায়
বিনা টাকায় আয় করার ইচ্ছা অনেকেরই থাকে, বিশেষ করে যখন অর্থনৈতিক চাপ থাকে বা নতুন কিছু শুরু করার সুযোগ খোঁজা হয়। বর্তমান ডিজিটাল যুগে, সঠিক দক্ষতা, ইন্টারনেট সংযোগ এবং কিছুটা সময় বিনিয়োগ করে বিনা পুঁজিতেই আয় করা সম্ভব। এখানে বিনা টাকায় ইনকাম করার ১০টি বিস্তারিত উপায় আলোচনা করা হলো, যা আপনাকে একটি স্পষ্ট ধারণা দেবে:
১. ফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং হলো বিনা বিনিয়োগে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুমুখী উপায়। এখানে আপনি আপনার দক্ষতা ব্যবহার করে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করেন এবং তার বিনিময়ে অর্থ পান। এটি অনেকটা স্বাধীনভাবে কাজ করার মতো, যেখানে আপনি নিজের সময় এবং কাজের ধরন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
➡️কীভাবে শুরু করবেন:
প্রথমে আপনার বিদ্যমান দক্ষতাগুলো চিহ্নিত করুন। আপনি কী কী বিষয়ে পারদর্শী? লেখালেখি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং, ডেটা এন্ট্রি, অনুবাদ, বা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের কাজ? এই ধরনের কাজগুলোর জন্য অনলাইনে প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
২. ইউটিউব চ্যানেল তৈরি
ইউটিউব এখন শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি একটি শক্তিশালী আয়ের উৎসও। যদি আপনার ভিডিও বানাতে ভালো লাগে বা কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে আপনার গভীর জ্ঞান ও আগ্রহ থাকে, তাহলে একটি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করতে পারেন।
➡️কীভাবে শুরু করবেন:
- প্রথমত, একটি বিষয়বস্তু (Niche) নির্বাচন করুন। যেমন:
- শিক্ষা: টিউটোরিয়াল, ভাষা শেখানো, পরীক্ষার প্রস্তুতি।
- বিনোদন: কমেডি স্কেচ, ভ্লগিং, রিভিউ।
- গেমিং: লাইভ স্ট্রিমিং, গেমপ্লে ভিডিও, রিভিউ।
- রান্না: রেসিপি, কুকিং টিপস।
➡️আয়ের উপায়:
- গুগল অ্যাডসেন্স
- স্পন্সরশিপ (Sponsorships)
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
৩. ব্লগিং
যদি আপনার লেখালেখির প্রতি আগ্রহ থাকে এবং কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে আপনার জ্ঞান থাকে, তাহলে একটি ব্লগ শুরু করতে পারেন। ব্লগিং হলো আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট বা প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত আর্টিকেল বা পোস্ট লেখা।
➡️কীভাবে শুরু করবেন:
প্রথমেই একটি নির্দিষ্ট বিষয় (Niche) নির্বাচন করুন যা নিয়ে আপনার লিখতে ভালো লাগে এবং যে বিষয়ে আপনার পর্যাপ্ত জ্ঞান আছে। যেমন – ফ্যাশন, প্রযুক্তি, ভ্রমণ, রান্না, ব্যক্তিগত অর্থায়ন, শিক্ষা, বা স্বাস্থ্য।
➡️ফ্রি ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম:
- Blogger.com (Google):
- WordPress.com (Free Plan):
➡️আয়ের উপায়:
ব্লগিং থেকে আয় করতে কিছুটা সময় লাগে, কারণ এটি ট্র্যাফিক তৈরির উপর নির্ভর করে।
- গুগল অ্যাডসেন্স (Google AdSense)
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)
- স্পন্সরড কন্টেন্ট (Sponsored Content)
৪. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অন্য কোম্পানির পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করে কমিশন অর্জন করা। এর জন্য আপনাকে কোনো পণ্য তৈরি করতে বা স্টক রাখতে হয় না। আপনি শুধু একটি নির্দিষ্ট পণ্যের প্রচার করবেন এবং আপনার তৈরি করা বিশেষ লিঙ্ক (অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক) ব্যবহার করে কেউ সেই পণ্যটি কিনলে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন।
➡️কীভাবে শুরু করবেন:
- একটি প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করুন
- একটি Niche নির্বাচন করুন
- অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামগুলিতে যোগ দিন
- কন্টেন্ট তৈরি করুন
৫. অনলাইন সার্ভে এবং PTC সাইট
অনলাইনে কিছু প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে আপনি ছোট ছোট কাজ করে বা মতামত দিয়ে আয় করতে পারেন। যদিও এই পদ্ধতিগুলোতে আয়ের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম, তবে এটি বিনা বিনিয়োগে দ্রুত কিছু অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের একটি সহজ উপায়।
➡️জনপ্রিয় সার্ভে সাইট:
- Swagbucks
- Google Opinion Rewards
➡️জনপ্রিয় PTC সাইট:
- NeoBux: এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় PTC সাইটগুলোর মধ্যে একটি। এখানে বিজ্ঞাপন ক্লিক করা, মিনি জব করা, বা গেম খেলার মাধ্যমে আয় করা যায়।
৬. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
বর্তমান সময়ে ছোট থেকে বড় প্রায় সব ব্যবসায়ী এবং ব্র্যান্ডের সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতি অপরিহার্য। যদি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকে এবং আপনি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে (যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স/টুইটার, টিকটক, লিংকডইন) পোস্ট তৈরি ও পরিচালনা করতে পারেন, তাহলে ছোট ব্যবসার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করে আয় করতে পারেন।
➡️আপনার কাজগুলো কী হবে:
- সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট তৈরি করা (পোস্ট, ছবি, ভিডিও)।
- পোস্ট শিডিউল করা।
- দর্শকদের মন্তব্যের জবাব দেওয়া এবং তাদের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করা।
- সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইন চালানো।
➡️আয়ের সম্ভাবনা
একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার প্রতি মাসে একাধিক ক্লায়েন্টের কাছ থেকে আয় করতে পারেন। কাজের পরিধি এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে আয় পরিবর্তিত হয়। এটি বিনা বিনিয়োগে একটি বড় আয়ের উৎস হতে পারে, যদি আপনি কার্যকরভাবে সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালনা করতে পারেন।
৭. অনলাইন টিউটরিং বা কোচিং
যদি আপনার কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে (যেমন গণিত, বিজ্ঞান, ইংরেজি ভাষা, ইতিহাস, কোডিং, সঙ্গীত) গভীর জ্ঞান থাকে এবং আপনি অন্যদের শেখাতে আগ্রহী হন, তাহলে অনলাইনে টিউটরিং বা কোচিং করে আয় করতে পারেন। এর জন্য কোনো প্রাথমিক বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই, শুধু আপনার জ্ঞান এবং একটি স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগ দরকার।
➡️কীভাবে শুরু করবেন:
আপনার দক্ষতা চিহ্নিত করুন: আপনি কোন বিষয়ে সেরা? কোন বিষয়ে আপনি অন্যদের সাহায্য করতে পারেন?
- Tutoring Platforms:
- Chegg Tutors,
- TutorMe, Skooli,
- Preply, Italki (ভাষার জন্য)
নিজস্ব উদ্যোগ: আপনি আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া পেজ তৈরি করে ক্লায়েন্ট খুঁজে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি আপনার চার্জ নিজেই নির্ধারণ করতে পারবেন।
৮. অনলাইন পণ্য বিক্রি
যদিও এই পদ্ধতিগুলোতে সাধারণত কিছু প্রাথমিক বিনিয়োগ লাগে, তবে ড্রপশিপিং (Dropshipping) এবং প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড (Print-on-Demand) মডেলগুলো বিনা টাকায় শুরু করার জন্য বা খুব কম বিনিয়োগে শুরু করার জন্য বেশ ভালো বিকল্প।
➡️ড্রপশিপিং
ড্রপশিপিং হলো একটি ই-কমার্স মডেল যেখানে আপনি পণ্য স্টক না করেই বিক্রি করতে পারেন। যখন কোনো কাস্টমার আপনার অনলাইন স্টোর থেকে একটি পণ্য অর্ডার করে, তখন আপনি সেই অর্ডারটি সরাসরি সাপ্লায়ারের কাছে পাঠিয়ে দেন এবং সাপ্লায়ার সরাসরি কাস্টমারের কাছে পণ্যটি ডেলিভারি দেয়। আপনার লাভ হলো পণ্যটির বিক্রয় মূল্য এবং সাপ্লায়ারের কাছ থেকে কেনা মূল্যের পার্থক্য।
➡️কীভাবে শুরু করবেন
- একটি অনলাইন স্টোর তৈরি করুন
- সাপ্লায়ার খুঁজে নিন
- পণ্য নির্বাচন করুন
➡️প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড
এটিও ড্রপশিপিংয়ের মতোই, তবে এখানে আপনি আপনার নিজস্ব ডিজাইন (টি-শার্ট, মগ, ফোন কভার ইত্যাদিতে) প্রিন্ট করে বিক্রি করেন। যখন কাস্টমার অর্ডার দেয়, তখন একটি থার্ড-পার্টি প্রিন্টিং কোম্পানি আপনার ডিজাইন করা পণ্যটি প্রিন্ট করে সরাসরি কাস্টমারের কাছে পাঠিয়ে দেয়।
➡️জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম:
- Printful, Printify,
- Teespring,
- Redbubble।
➡️কীভাবে শুরু করবেন (বিনা টাকায়):
- একটি ডিজাইন তৈরি করুন: ক্যানভা (Canva) বা অন্য কোনো ফ্রি ডিজাইন টুল ব্যবহার করে টি-শার্ট বা অন্যান্য পণ্যের জন্য ডিজাইন তৈরি করুন।
- একটি প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট খুলুন: Teespring বা Redbubble-এর মতো সাইটগুলোতে আপনি ফ্রিতে আপনার ডিজাইন আপলোড করে দোকান খুলতে পারেন।
যখন কোনো পণ্য বিক্রি হয়, তখন প্রিন্টিং কোম্পানি উৎপাদন এবং শিপিংয়ের খরচ কেটে বাকিটা আপনাকে প্রদান করে। এখানে আপনার কোনো পণ্যের স্টক রাখা লাগে না।
৯. স্টক ছবি ও ভিডিও বিক্রি
যদি আপনার ভালো ছবি তোলার বা ভিডিও বানানোর শখ থাকে এবং আপনার ক্যামেরা বা স্মার্টফোনে ভালো মানের ছবি বা ভিডিও ক্যাপচার করার ক্ষমতা থাকে, তাহলে আপনি সেগুলো অনলাইনে বিক্রি করে আয় করতে পারেন। অনেক কোম্পানি, ওয়েবসাইট, ব্লগার বা ইউটিউবার তাদের কন্টেন্টের জন্য স্টক ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করে।
➡️কীভাবে শুরু করবেন:
- উচ্চ-মানের ছবি/ভিডিও তুলুন: ল্যান্ডস্কেপ, মানুষ, বস্তু, সাধারণ জীবনের দৃশ্য বা নির্দিষ্ট কোনো থিমের উপর ছবি তুলুন।
- সম্পাদনা করুন: ছবি বা ভিডিওগুলোকে পেশাদার দেখাতে সামান্য এডিটিং করুন (রং, আলো, শার্পনেস)।
স্টক প্ল্যাটফর্মে আপলোড করুন:
- Shutterstock
- Adobe Stock
আয়ের সম্ভাবনা: প্রতিবার আপনার ছবি বা ভিডিও ডাউনলোড হলে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন (রয়্যালটি) পাবেন। যত বেশি ছবি বা ভিডিও আপনার থাকবে এবং সেগুলোর মান যত ভালো হবে, আয়ের সম্ভাবনা তত বাড়বে। এটি প্যাসিভ ইনকামের একটি ভালো উৎস হতে পারে, কারণ একবার আপলোড করার পর সেগুলো বারবার বিক্রি হতে পারে।
১০. পুরনো জিনিস বিক্রি
আপনার ঘরে বা আশেপাশে অনেক অব্যবহৃত বা পুরনো জিনিস থাকতে পারে যা আপনার কাছে কোনো কাজে আসে না, কিন্তু অন্যের কাছে মূল্যবান হতে পারে। এগুলো বিক্রি করে আপনি সহজেই বিনা পুঁজিতে আয় করতে পারেন।
➡️কীভাবে শুরু করবেন:
- জিনিসপত্র খুঁজে বের করুন: পুরনো পোশাক, জুতো, বই, আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট, খেলনা, শোপিস, বা অ্যান্টিক জিনিসপত্র।
- পরিষ্কার ও মেরামত করুন: বিক্রি করার আগে জিনিসগুলো পরিষ্কার করুন। যদি সামান্য মেরামত প্রয়োজন হয়, করে নিন যাতে দেখতে ভালো লাগে।
- ভালো ছবি তুলুন: স্পষ্ট এবং আকর্ষণীয় ছবি তুলুন। বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ছবি তুলুন এবং কোনো ত্রুটি থাকলে তা ছবিতে তুলে ধরুন।
➡️অনলাইন প্ল্যাটফর্মে লিস্ট করুন:
- বিক্রয় ডট কম (Bikroy.com)
- ফেসবুক মার্কেটপ্লেস (Facebook Marketplace)
- ফেসবুক গ্রুপ
বিনা টাকায় আয় করার এই ১০টি উপায়ই সম্ভব, তবে এর জন্য আপনার ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম, এবং শেখার মানসিকতা থাকতে হবে। আপনি যে ক্ষেত্রেই কাজ করতে চান, সেই বিষয়ে আপনার দক্ষতা প্রতিনিয়ত বাড়াতে থাকুন। অনলাইন কোর্স, ইউটিউব টিউটোরিয়াল, বা ব্লগ পোস্ট পড়ে নতুন কিছু শিখতে পারেন। একই ধরনের কাজ করা অন্যদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করুন।
তাদের অভিজ্ঞতা থেকে শিখুন। কার্যকরভাবে আপনার সময় ব্যবহার করুন। একটি রুটিন তৈরি করুন এবং তা মেনে চলুন। অনলাইনে অনেক ভুয়া সাইট বা স্ক্যামার আছে যারা ‘ফ্রি টাকা’ বা ‘সহজ টাকা’র লোভ দেখিয়ে প্রতারণা করে। কোনো অ্যাপ বা সাইটে কাজ করার আগে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করে নিন। যেখানে টাকা বিনিয়োগ করতে বলা হয়, সেখানে সতর্ক থাকুন।
কোনো রাতারাতি বড়লোক হওয়ার সহজ পথ নেই। প্রতিটি সফলতার পেছনেই লেগে থাকা এবং ধৈর্য থাকা জরুরি। আপনার আগ্রহ এবং বিদ্যমান দক্ষতা অনুযায়ী উপরের যেকোনো একটি বা একাধিক উপায় বেছে নিতে পারেন। শুরু করার জন্য কোনো টাকার প্রয়োজন না হলেও, আপনার সময় এবং প্রচেষ্টাই হবে আপনার প্রধান বিনিয়োগ।
কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করব
টাকা ইনভেস্ট বা টাকা ডিপোজিট ছাড়া অনেকগুলো অ্যাপ ইন্টারনেটে পেয়ে যাবেন যেগুলোতে কাজ করে ফ্রিতে টাকা আয় করা যায়। সেখানে আপনাকে কোন ধরনের টাকা ডিপোজিট করতে হবে না। বরং আপনি তাদের দেখানো কাজগুলো করে ফ্রি টাকা আয় করতে পারবেন। এই ধরনের অনেকগুলো অ্যাপ রয়েছে যা আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
অ্যাপগুলো ব্যবহার করার পূর্বে তাদের রিভিউ ও ফিডব্যাক চেক করে দেখে নিবেন। আর যেই অ্যাপগুলোতে ফ্রিতে কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায় সেই অ্যাপ গুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। আমরা কিছু ফ্রি টাকা ইনকাম করার অ্যাপ গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দেব। ইনভেস্ট ছাড়া টাকা আয় করা যায় এমন জনপ্রিয় কিছু অ্যাপস সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
১। অ্যাপস থেকে ফ্রি টাকা ইনকাম
- InboxDollars
- CashPirate
- Paidverts
- Workup job
- Swagbucks
- Daily taka
- PollPay
- Picoworkers
- GiftHunterClub
- Taka income pto
- Lucky Mini
২। এড দেখে ফ্রি টাকা ইনকাম
আপনি বর্তমানে বিভিন্ন সাইটে বা প্ল্যাটফর্মে এড দেখে টাকা ইনকাম করে নগদে পেমেন্ট নিতে পারেন। বর্তমানে এমন অনেক সাইট খুঁজে পাওয়া যাবে যেখানে অ্যাড দেখেই টাকা ইনকাম নগদ পেমেন্ট পাওয়ার সুবিধা রয়েছে।
তবে কোন সাইট গুলোতে বিশ্বস্ততার সাথে এড দেখে টাকা ইনকাম করে পেমেন্ট পাওয়া যায় সেই সম্পর্কে জানা অতীত জরুরী। আর আমরা এখন সেই বিশ্বস্ত সাইটগুলো সম্পর্কেই আপনাদের জানাবো।
- Slidejoy App
- Cash App
- Money Cash App
- Earn Money App
- Swagbucks
- Freecash
- ZoomBucks
৩। গেম খেলে ফ্রি টাকা ইনকাম
বর্তমান সময়ে অনেকে বিশ্বাস করতে চায় না যে, অনলাইনে গেম খেলে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায়। কিন্তু এইটাই সত্যি! বর্তমানে এমন অনেক গেম তৈরি হচ্ছে যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি ফ্রিতে টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি শুধু গেম খেলেন তাহলে হবে না এসব গেম খেলে বিজয়ী হতে হবে তাহলেই শুধুমাত্র টাকা আয় করতে পারবেন। এমন কিছু গেমের নাম হলো অনলাইন লুডো গেম, অনলাইন স্পেন গেম, অনলাইন কুইজ গেম ইত্যাদি।
এছাড়া বিভিন্ন গেম খেলে ভিডিও তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোডের মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়। নিচে কিছু জনপ্রিয় গেম খেলে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস ও ওয়েবসাইট গুলোর নাম দেওয়া হল-
- MPL – Biggest Gaming App
- Freecash – Online Income
- Hago
- Mistplay
- Rewarded Play
- AppStation: Games & Rewards
- Cash Giraffe
- Money Well – Games for rewards
- Dream 11 eSports gaming platform।
- Paytm First Games
৪। ভিডিও দেখে ফ্রি টাকা ইনকাম
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে আপনার যদি তেমন কোন ধরনের ধারণা না থাকে। সেক্ষেত্রে আপনিও ভিডিও দেখে টাকা আয় করতে পারেন আর এখান থেকে আয় করা টাকা নগদের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারেন।
- Swagbucks
- InboxDollars
- MyPoints
- Tremor Video
- AppTrailers
- Perk TV
- Lucktastic
- Nielsen Computer
- Vindale Research
- You-Cubez
৫। রেফার করে ফ্রি টাকা ইনকাম
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সহজ মাধ্যম হচ্ছে রেফার করে ফ্রি টাকা ইনকাম করে নগদে পেমেন্ট নেওয়া। রেফার করে আয় করার জন্য শুধুমাত্র রেফারেল লিঙ্ক শেয়ার করার মাধ্যমেই টাকা আয় করতে পারবেন। তবে যাকে লিঙ্ক শেয়ার করবেন সে যদি রেফারেল লিঙ্ক প্রবেশ করে একাউন্ট তৈরি করে শুধুমাত্র তাহলেই আপনি টাকা পাবেন।
এমন অনেক অ্যাপ রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে ফ্রিতে আপনার মোবাইল ফোন দিয়ে রেফার করে ইনকাম করতে পারবেন। রেফার করে ফ্রি টাকা ইনকাম করার সেরা অ্যাপ গুলো হল
- Nagad app
- Bkash app
- Upay app
- Rocket app
- Google pay
- TuskBucks
- Earn Cash
- Earn money
- ySense
- TeraBox
- Q Link
৬। কুইজ খেলে ফ্রি টাকা ইনকাম
কুইজ খেলে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায় এমন জনপ্রিয় কুইজ খেলার ওয়েবসাইট গুলো সম্পর্কে তুলে ধরা হলো-
- Swagbucks
- BrainBaazi
- Survimo
- Quiz Box
- Quizizz.com
- Daily Quize – Earn money
- Metro Opiniom
- TaskBucks
- Big Cash
- Quiz 4 All
৭। লটারি খেলে ফ্রি টাকা ইনকাম
অনলাইনে অনেক অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট রয়েছে যে গুলোতে প্রচুর টাকা ইনভেস্ট করে মানুষ লটারি খেলে। আর পরবর্তীতে সে টাকাগুলো হেরে যায়। এজন্য আমরা বলি কখনও টাকা দিয়ে লটারি খেলবেন না। কারণ আমরা আপনাকে এমন কিছু ফ্রি লটারি খেলে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানাবো যার মাধ্যমে আপনি বিনা টাকায় ইনকাম করতে পারবেন।
আবার অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে আপনি ফ্রি টাকা ইনকাম করে নগদে পেমেন্ট নিয়ে নিতে পারবেন। সে সকল অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট গুলো হলো-
- Clip Claps
- Pick My Postcode
- Small Worker
- Rozdhan
- Free Birthday Lottery
- Qureka
- Lucky Emoji
- Winzo Gold
লেখকের শেষ মতামত
আশা করছি আপনি এতক্ষণে নিশ্চয় বিনা টাকায় ইনকাম করার উপায় সমূহ জানতে পেরেছেন। এর পাশাপাশি কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করবেন সেটাই জেনে গেছেন।