প্রফেশনাল ভাবে নতুন ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম

বর্তমান সময়ে এসে অনলাইনে কাজ করে বাকি সবার মত আপনিও যদি ফাইবার থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে এর আগে অবশ্যই আপনাকে ফাইবার একটি একাউন্ট খুলতে হবে এবং প্রফেশনাল ভাবে নতুন ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম জানতে হবে। 

প্রফেশনাল ভাবে নতুন ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনি যদি ফাইবারে কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে এজন্য আপনাকে ফাইবারে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। আপনি যদি অনলাইনে কাজ করেন লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার জন্য অন্যতম একটি সেরা মার্কেটপ্লেস ফাইবার হতে পারে।

ফাইবার একাউন্ট কি

ফাইবার হচ্ছে এমন একটি মার্কেটপ্লেস যেখানে মানুষ কাজ করে দিতে আসে এবং কাজ করেও নিতে আসে , উদাহরণ হিসেবে আপনাকে বুঝিয়ে বলি, ধরুন আপনি একটা টি-শার্ট ডিজাইন করে নেবেন। এটি হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ তো আপনি মানুষ পাচ্ছেন না এগুলো কাজ করে নেয়ার জন্য আপনি ফাইবার মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট করতে পারেন ।

এবং আপনি একজন বায়ার হিসেবে যেকোন ফ্রিল্যান্স বিষয়ক কাজ করে নিতে পারবেন । এবং এখানে আপনি দক্ষতা অর্জন করেও আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারেন এবং এখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।

তাকে নির্দিষ্ট অর্থ দিয়ে কাজ করিয়ে নেয় এবং যে কাজ করিয়ে দেয় সে একজন ফ্রিল্যান্সার । সে এখানে অর্থের বিনিময়ে কাজ করতেছে । তো প্রথমত আপনাকে এগুলো কাজ করে নিতে এবং করে দিতে হলে আপনাকে এসব বিষয়ে জানতে হবে কাজ শিখতে হবে । কাজ শিখা হয়ে গেলে ফাইবার মার্কেটপ্লেসে একটি প্রফেশনাল ভাবে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে ।

এবং সে একাউন্ট খুলতে অনেক অভিজ্ঞতার প্রয়োজন । এগুলো অভিজ্ঞতা সম্পর্কে এবং কিভাবে একটি প্রফেশনাল ফাইবার মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন সব কিছু আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি এবং গোপন ট্রিক্স শেয়ার করেছি।

প্রফেশনাল ভাবে নতুন ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনি যদি একটি প্রফেশনাল ভাবে নতুন ফাইবার একাউন্ট খুলতে চান তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই উপকৃত। অনেকেই প্রপার ভাবে ফাইবার একাউন্ট খোলা দেখায় না । তো কিভাবে একটি প্রফেশনাল ভাবে নতুন ফাইবার অ্যাকাউন্ট খুলবেন।

সবকিছু প্রপার ভাবে একদম এ-টু জেড সবকিছু নিয়ে এই আর্টিকেলে সম্পুর্ন্ন আলোচনা করা হয়েছে।এবং সবশেষে কিভাবে কাজ পাবেন এগুলো বিষয় নিয়ে গোপন ট্রিক্স শেয়ার করা হয়েছে।

স্টেপ — ০১ঃ প্রথমে (Fiverr.com) ডিরেক্ট এই লিংকে ক্লিক করতে হবে অথবা গুগলে এই লিখে সইন্ধান করলেইও হবে যেটা আপনার কাছে সুবিধা মনে হয়। 

নতুন ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম

তারপরে ফাইভারের যে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের ভেতরে ক্লিক করতে হবে ও ওয়েবসাইটের ভেতরে গিয়ে ডান পাশের ওপরে জয়েন নাও বাটনের ক্লিক করতে হবে।

এরপরে আপনার সামনে কন্টিনিউ উইথ google, কন্টিনিউ উইথ email , apple ও ফেসবুকের অপশন আসবে ওখান থেকে আপনি কন্টিনিউ উইথ গুগলে ক্লিক করে আপনার পার্সোনাল ইমেলটি দিয়ে সিলেক্ট করে দিতে হবে।

নতুন ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম

স্টেপ — ০২ঃ জিমেল সিলেক্ট করার পরে আপনার পার্সোনাল ইমেইল ঠিকানা (abc@gmail.com) দিতে হবে ও তার নিচের অনপশনে  একটি “Strong Password” ব্যবহার করতে হবে যাতে কেউ একবার দেখার পরে আপনার পাসওয়ার্ডটা লিক করে দিতে না পারে। 

নতুন ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম

এরপরে “Continue” বাটনে ক্লিক করলে আপনার সামনে নতুন একটি পেজ আসবে সেখানে একটি “Username” সিলেক্ট করতে হবে। আপনার নাম (Ashik2095) দিয়ে কয়েকটি সংখ্যা ব্যবহার করতে পারেন। ইউজার নামের পাশে গ্রীন টিক আসবে এমন ইউজার নেম দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ-  বাংলাদেশে এসএসসি পাশে পার্ট টাইম জব - পার্ট টাইম জব ইন বাংলাদেশ

এরপরে আপনাকে “Crete my account” অপশনে ক্লিক করতে হবে তারপরে “continue” বাটনে ক্লিক করে আপনার জিমেইলটি ভেরিফাই করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে ফাইবার থেকে আপনার ইমেইলে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠাবে সেই কোডটি পেস্ট করে ভেরিফাইড করে নিতে হবে। 

এরপরে করে কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করে হোম পেজে যেতে হবে।  ফাইবার সম্পর্কে আমরা উপরে বিস্তারিত জেনেছি ও একটি একাউন্টও আমরা ক্রিয়েট করেছি। এখন আমরা ফাইবার একাউন্টের হোম প্রেজে কি কি কাজ করতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানবো।

নতুন ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম

স্টেপ — ০৩ঃ এরপরে “Create my account” অপশনে ক্লিক করতে হবে তাহলে এখানে দুইটা অপশন থাকবে একটা “I am a client এবং আরেকটা হল I am a freelancer. এখানে আপনি যদি কাউকে দিয়ে কাজ করায় নিতে চান তাহলে আপনি I am a client সিলেক্ট করবেন ও আপনি যদি কাজ করে সেটাকে বিক্রি করতে চান তাহলে আপনি am a freelancer এখানে টিক মার্ক দিয়ে নিচে নেক্সট বাটনে ক্লিক করবেন।

নতুন ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম

স্টেপ — ০৪ঃ তারপরে আপনার সামনে আরো একটি পপাপ মেসেজ আসবে এখানে চারটা অপশন থাকবে এখানে বলবে আপনি কোন ধরনের কাজে এক্সপার্ট সেটা সিলেক্ট করে নেবেন। আপনি যদি নিজে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করেন ও সে কাজ ফাইবারে বিক্রি করতে চান তাহলে আপনি অবশ্যই “Solo Freelancer” এটা সিলেক্ট করবেন। তারপর নেক্সট বাটনে ক্লিক করবেন।

নতুন ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম

এরপরে ফ্রিল্যান্সিং এ আপনার কোন কোন সেক্টরে অভিজ্ঞতা রয়েছে সেগুলো সিলেক্ট করে দিবেন।

নতুন ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম

স্টেপ — ০৫ঃ তারপরে ফিনিশ নাও বাটন আসবে ওখানে ক্লিক করলে আপনার সামনে আরেকটি প্রপাপ মেসেজ আসবে যেখানে লেখা থাকবে কমপ্লিট ইউর ফ্রিল্যান্সিং প্রোফাইল ও স্টার্ট এক্সপ্লেটার আপনি জাস্ট “Complete your freelancer profile” এখানে ক্লিক করবেন।

নতুন ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম

ফাইবার একাউন্ট ভেরিফাই করার নিয়ম

ফাইবার অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করা হয়ে গেলে আমরা যে কয়টি স্টেপে ক্রিয়েট করা দেখেছি এই কয়টি স্টেপে ক্রিয়েট করা হয়ে গেলে । তারপর আমাদের আরও অনেক কাজ বাকি রয়েছে সেগুলো কাজ করে নিতে হবে এবং ভেরিফাই করতে হবে। তো চলুন আমরা আবার ধাপে ধাপে স্টেপ বাই স্টেপ ভেরিফাই এর কাজ সম্পন্ন করে নেই।

স্টেপ — ০১ঃ প্রথমে ফাইবারের প্রোফাইলে ক্লিক করতে হবে। 

ফাইবার একাউন্ট ভেরিফাই করার নিয়ম

স্টেপ — ০২ঃ এরপরে প্রোফাইলের ড্যাশবোর্ডে চলে যাবেন সেখানে গিয়ে আপনার একটি প্রফেশনাল টাইপ ছবি দিয়ে দিবেন। 

ফাইবার একাউন্ট ভেরিফাই করার নিয়ম

স্ক্রিনশটে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি আপনি তিনটা ধাপ সম্পন্ন করবেন প্রথম ধাপ হচ্ছে একটি প্রোফাইল পিকচার দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে ডিসপ্লে নেম তারপর আপডেট করতে হবে । স্ক্রিনশটে আমরা দেখেছি কোন কোন স্টেপ আপনি প্রথমে এড করবেন। 

ফাইবার একাউন্ট ভেরিফাই করার নিয়ম

এভাবে আপনি আপনার প্রোফাইল রাখার চেষ্টা করবেন । তবে কারো কোন কিছু কপি করা যাবে না এখানে নিজের মত করে নিজের ক্রিয়েটিভিটি দেখাতে হবে । ফাইবারে কোন কপি পেস্ট চলে না আশা করি বুঝাতে পেরেছি।

স্টেপ — ০৩ঃ এরপরে একটু স্ক্রলিং করে তিনটি ধাপ (ডেসক্রিপশন, ল্যাঙ্গুয়েজ এবং স্কিল পূর্ণ করতে হবে।

ফাইবার একাউন্ট ভেরিফাই করার নিয়ম

প্রথমে আপনি অন্যান্য ফাইভারে অ্যাকাউন্ট গুলো ফলো করে দেখবেন তাদের ডেসক্রিপশন গুলো কেমন এবং কি রকম ডেসক্রিপশন ব্যবহার করেছে লিখেছেন তারা। ওইগুলো ডেসক্রিপশন দেখে একটু আইডিয়া নেবেন নিয়ে নিজের মত করে একটি সুন্দর করে ডেসক্রিপশন লিখবেন । তবে হ্যাঁ কোন কিছু কপি করা যাবে না। 

তারপর আপনি ভাষা এড করবেন এখানে আমি যে বিষয়ে যে ভাষা জানি সেই দুটো ভাষায় যুক্ত করেছি একটি হচ্ছে ইংলিশ বেসিক এবং বাংলা Fluent । তবে আপনি যে যে ভাষা জানেন সেগুলো ভাষা এখানে এড করতে পারেন সমস্যা নেই।

আরো পড়ুনঃ-  কল সেন্টারে পার্ট টাইম জব - কল সেন্টারে চাকরির যোগ্যতা

স্টেপ — ০৪ঃ এরপরে আপনি যে যে দক্ষতা অর্জন করেছেন সেগুলো এড নিউ বাটনে ক্লিক করে অ্যাড করবেন।

ফাইবার একাউন্ট ভেরিফাই করার নিয়ম

স্টেপ — ০৫ঃ এরপরে Become a seller অপশনে ক্লিক করার পরে যতগুলো অপশন আসবে সবগুলোতে কন্টিনিউ করে দেব। কারেন্ট নিয়োগ করতে করতে আমাদের আরও একটি ইন্টারফেস ড্যাশবোর্ড চলে আসবে ওই ড্যাশবোর্ড হচ্ছে আমাদের ভেরিফিকেশনের মূল ড্যাশবোর্ড।

স্টেপ — ০৬ঃ এরপরে উপরে আপনাকে সর্বোচ্চ ৮০% কিংবা ৯০% সম্পন্ন করতে হবে । এজন্য NID অনুযায়ী আপনার ফাস্ট নাম এবং লাস্ট নাম দিতে হবে।  কারণ এনআইডি অনুযায়ী নাম না দিলে পরবর্তীতে ভেরিফিকেশনের সময় সমস্যা হবে।

ফাইবার একাউন্ট ভেরিফাই করার নিয়ম

ফার্স্ট নেম এবং লাস্ট নেম দেওয়ার পর একাউন্ট ২৫ পার্সেন্ট সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এবং তারপর নিচে আরো অনেকগুলো ধাপ আছে আপনি দেখে নিতে পারবেন ওগুলো ধাপ যদি পূর্ণ না করা থাকে তাহলে আপনি নিজে নিজে পূর্ণ করে রাখবেন। তারপর সম্পূর্ণ করা হয়ে গেলে সবার নিচে দেখবেন কন্টিনিউ বাটন তারপর আপনি কন্টিনিউ করে পরবর্তী পেজে চলে যাবেন।

স্টেপ — ০৭ঃ এরপরে আপনাকে কয়েকটা কাজ সিলেক্ট বা চেক মার্ক দিতে হবে। এ কয়টি ধাপ যদি আপনার সম্পন্ন হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিচে এসে কন্টিনিউ করে পরবর্তী ধাপে চলে যেতে পারেন। 

ফাইবার একাউন্ট ভেরিফাই করার নিয়ম

আপনার যদি পার্সোনাল ওয়েবসাইট থেকে থাকে তাহলে আপনি পার্সোনাল ওয়েবসাইটও এড করতে পারবেন নিচে এবং সার্টিফিকেশান এড করতে পারবেন এবং তারপর এডুকেশন এড করে নিতে পারবেন। এগুলো এড করে কান্টিনিউ বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী পেইজে প্রবেশ করতে হবে। 

ফাইবার একাউন্টে মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন

এবার আমরা মোবাইল নাম্বারটি ভেরিফিকেশন করার উপায় জেনে নিব। 

ফাইবার একাউন্টে মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন

মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করার জন্য Add Phone Number নামক অপশনে আপনার ব্যক্তিগর নাম্বারটি অ্যাড করতে হবে। 

ফাইবার একাউন্টে মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন

ফোন নাম্বার বসানোর পর ভেরিফাই বাই মেসেজ এবার ক্লিক করে আমরা ভেরিফাই করে নেব। আমাদের ফোনে একটি মেসেজ আসবে মেসেজে কোড আসছে ওই কোডটি আমাদের আরো একটি পেজে বসাতে হবে।

ফাইবার একাউন্টে মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন

আপনার  সেই নাম্বারে আসা OTP বসিয়ে Submit Code এ ক্লিক করে দিতে হবে তাহলেই আপনার অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন সাকসেসফুল হয়ে যাবে।

ফাইবার একাউন্টে মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন

এরপরে “Ok” অপশনে ক্লিক করতে হবে, করার পরে সিকিউরিটি অপশন দেখতে পাবেন সেখানে কিছু প্রশ্ন থাকবে। 

আপনি যদি সঠিক উত্তরটি দিতে পারেন তাহলে আপনার পক্ষে একাউন্টটি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে এই জন্য এখানে এখন আপনাকে সিকিউরিটি question এড করতে হবে।

ফাইবার একাউন্টে মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন

সিকিউরিটি question এড করা হয়ে গেলে ফিনিশ বাটনে ক্লিক করে এই প্রসেস টি সম্পন্ন করে নেবেন। এগুলো ধাপ সব যদি সম্পূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে গিগ তৈরি করার পেজে নিয়ে যাবে। আর কোথাও যদি ভুল হয়ে থাকে কোন কিছু স্টেপ যদি ভুল করে থাকেন তাহলে গিগ তৈরি করার পেজে নিয়ে যাবে না।

ফাইবার একাউন্টে মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন

এরপরে যেই পেইজটি আপনার সামনে আসবে সেটি হচ্ছে গিগ তৈরি করার ড্যাশ বোর্ড। এই বিষয়ে আমরা পরবর্তী আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব। 

ফাইবার মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং এর কি কি কাজ রয়েছে

অনেকে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন ফাইবার মার্কেটপ্লেস এর ফ্রিল্যান্সিং এর কি কি কাজ আছে। তাই আমরা এখন এ বিষয়ে সম্পর্কে জানব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ফাইবার মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং এর কি কি কাজ রয়েছে।

  • ওয়েবসাইট ডিজাইন
  • প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন
  • আর্টিকেল এবং ব্লক পোষ্ট
  • অনুবাদ ও সম্পাদনা
  • ওয়েবসাইট কন্টাইন লেখা
  • টি-শার্ট ডিজাইন
  • সোশ্যাল মিডিয়া ডিজাইন
  • ভিডিও মার্কেটিং
  • ক্যারেক্টার অ্যানিমেশন
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • জাভা স্ক্রিপ ডেভেলপমেন্ট
  • এইচটিএমএল এবং সি এস এস ডেভেলপমেন্ট
  • ছবি এডিটিং
  • লোগো ডিজাইন
  • শফিফাই ডেভলপমেন্ট
  • অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি
আরো পড়ুনঃ-  এড ফি ছাড়া অনলাইন জব সাইট - ছেলে ও মেয়েদের জন্য অনলাইন জব

ফাইবারে কিভাবে কাজ পাবেন

ভাইবার মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার কিছু বিশেষ টিপ রয়েছে এগুলো আপনি ফলো করলে ফাইবার মার্কেটপ্লেস থেকে ভালো পরিমাণে কাজের অর্ডার পাবেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল

➡️প্রথমত আপনি যে একজন ফাইবার মার্কেটপ্লেস এ দক্ষ ফ্রিল্যান্সার এইটা পরিস্কার বোঝার জন্য প্রফেশনাল সেলার প্রোফাইল তৈরি করতে হবে।

➡️অনেক বাইয়ার আছে যারা মূলত আপনার টাইটেল ও ডিসক্রিপশন দেখে কাজ দিয়ে থাকে তাই আপনার গিগ টাইটেল ও ডেসক্রিপশন বক্স সুন্দর করে সাজাতে হবে।

➡️আপনার গিগ পোস্টে আকর্ষণীয় ইমেজ রাখতে হবে। এগুলো যদি আপনি সঠিক ভাবে পোস্ট করে রাখেন তাহলে ফাইবার মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার চান্স বেড়ে যাবে।

➡️সঠিক কিওয়ার্ড ডেসক্রিপশনা ও ট্যাগ লিস্টে যোগ করতে হবে। সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনি আপনার গিগ পোস্ট ফাইবার র‍্যাঙ্কে রাখতে পারবেন।

➡️আপনি চাইলে আপনার গিগ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রমোট করতে পারেন এটার মাধ্যমে আপনি ফাইবার মার্কেটপ্লেস থেকে ভালো পরিমাণে কাজের অর্ডার পেতে পারেন।

শুধু এগুলো সব ঠিকঠাক করে রাখলে হবে না আপনাকে ফাইবার ওয়েবসাইটের সময় দিতে হবে এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে যাতে আপনি সেখানে একটিভ থাকেন। সেটা দেখে সেলার আপনাকে কাজের অর্ডার দিতে।

ফাইবারে  কি ভাবে প্রথম অর্ডার পাবেন

ফাইবারে অর্ডার পেতে  হলে আপনাকে সর্বপ্রথম আপনার গিগ টাকে রেঙ্কে আনতে হবে। আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট কি ওয়ার্ড বেছে নিতে হবে যেগুলো ফাইবার ওয়েসাইট সার্চ রেজাল্ট এ কম থাকে এবং সেগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার গিগ পোস্ট কে রেঙ্কিং এ আনতে সক্ষম হবেন। 

কারন আপনি যদি আপনার গিগ পোস্ট কে রেঙ্কিং না রাখতে পারেন তাহলে সহজে আপনি কোন অর্ডার পাবেন না।  এজন্য আপনি যেগুলো কি ওয়ার্ড সার্চ রেজাল্ট এ কম থাকবে সেগুলো আপনার গিগ পোস্ট এ ব্যবহার করবেন। 

আপনি যদি ফাইবার থেকে ভালো পরিমাণে অর্ডার পেতে চান তাহলে অবশ্যই ফাইভার সার্চ লিস্ট এ যেই গিগ গুলো থাকবে তার মধ্যে যারা কোন স্টার পাইনি কিন্তু রেঙ্কিং এ আছে তাদের কে ফলো করবেন তাদের মত করে গিগ পোস্ট সাজাবেন তারা যেই ভাবে তাদের গিগ কে উপস্থাপন করে সেই ভাবে আপনাকেও  সুন্দর করে আপনার গিগ পোস্ট রেডি করতে হবে।

আপনাকে বেশির ভাগ সময় ফাইবার একাউন্ট এ থাকতে হবে। কারন ফাইবার ওয়েবসাইট এ আপনি যত অনলাইন এ থাকবেন তারা আপনার গিগ পোস্ট কে তত রেঙ্কিং এ নিয়ে যাবে এতে করে আপনি খুব সহজে ফাইবার ওয়েবসাইট থেকে ভালো পরিমাণে অর্ডার পেতে পারেন। একজন নতুন সেলার এর জন্য অনলাইন এ থাকা সব চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 

সুধু ফাইবার এ গিগ দিয়ে আপনি অর্ডার পাবেন তা কিন্তু না আপনাকে আপনার গিগ কে মার্কেটিং করতে হবে। সোশাল মিডিয়াই মার্কেটিং করার জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে লিঙ্কডিং, ফেসবুক ও ইন্সট্রাগ্রাম। লিঙ্কডিং এ আপনি যেই বিষয় নিয়ে কাজ করবেন সেই বিষয় নিয়ে সুন্দর করে প্রোফাইল সাজাতে হবে।আপনার কাজের স্কিল নিয়ে প্রতিদিন পোস্ট করতে হবে।

আপনার সার্ভিস অনুযায়ী তেমন লোক জন এড করবেন এবং সেখানে আপনার গিগ পোস্ট এর লিঙ্ক কে প্রমট করলে সেখানে থেকে অর্ডার আসার চান্স থাকে। ফেসবুক বা  ইন্সট্রাগ্রাম এর মাধমেও আপনি আপনার গিগ পোস্ট কে প্রমট করতে পারেন। 

আপনি যদি ফেসবুক বা  ইন্সট্রাগ্রাম এ বিজনেস একাউন্ট ক্রিয়েট করেন এবং সেখানে বাইরের দেশের ফলোয়ার ফেসবুক বুস্ট এর মাধ্যমে আনতে পারেন। আর সেখানে আপনাকে নিয়মিত কাজের স্কিল এর ভিডিও আপলোড করতে হবে তাহলেই কাজের অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। 

লেখকের শেষ মতামত

একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে Fiverr-এ প্রফেশনালভাবে একটি একাউন্ট খোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ প্রথম ইমপ্রেশনই ভবিষ্যতের কাজ নির্ধারণে ভূমিকা রাখে।

Fiverr-এ একটি প্রফেশনাল একাউন্ট খোলার মূল ভিত্তি হলো—সত্য তথ্য + পরিষ্কার প্রোফাইল + পেশাদার টোন। এটি ভবিষ্যতের ক্লায়েন্টদের আস্থা অর্জনের প্রথম ধাপ।

আমি সহ আমার টিম প্রতিনিয়ত কাজ করি অনলাইন জগতে বিভিন্ন তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সবার জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে। আমাদের সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন বা মতামত প্রদান করতে আমাদের যোগাযোগ পেইজ ব্যবহার করুন অথবা নিচে কমেন্ট করুন।

Leave a Comment