সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও ফজিলত

অনেকগুলো নফল নামাজ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সালাতুল তাজবিহের নামাজ, যার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহ তাআলার সান্নিধ্য লাভ করে। আল্লাহ তায়ালা এই নামাজের মাধ্যমে বিগত ১০ বছরের ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়, জানা-অজানা আমাদের সকল গুনাহ মাফ করে দেন ইনশাআল্লাহ।

সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও ফজিলত

যদি সম্ভব হয় এই সালাতুত তসবিহের নামাজ দিনে একবার পড়তে বলেছেন, সম্ভব না হলে সপ্তাহে একবার, আর তাও যদি সম্ভব না হয় মাসে একবার, তাও যদি সম্ভব না হয় বছরে একবার এবং এগুলো থেকে কোন একটাও সম্ভব না হলে সারা জীবনে হলেও একবার পড়ার কথা বলেছেন।

অবশ্যই আপনাকে সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম টা ভালোভাবে জেনে এই ভাবে পড়তে হবে যেন আল্লাহতালার কাছে কবুল হয়। অবশ্যই নামাজ পড়ার সময় দুনিয়ার চিন্তা না রেখে নামাজের প্রতি মনোযোগী হতে হবে।

এ নামাজের ফজিলত অনেক বেশি। কেননা নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সকল নামাযের মধ্যে বলেছেনঃ অতএব, হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী থেকে স্পষ্ট যে, সালাতুল তাসবীহ নামাযের ফজিলত অনেক বেশি হতে পারে। তাহলে চলুন সালাতুল তাসবীহ নামাজের নিয়ম ও ফজিলত এবং এই নামাজের অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক।

সালাতুল তাসবিহ কি?

সালাতুল তসবিহ‌ (صلاة تسبيح )‌ এটি একটি আরবি বাক্য যেটাকে বাংলায় তাসবিহের নামাজ বলা হয়। এখানে সালাত অর্থ হচ্ছে নামাজ এবং তাসবিহ মানে ‌سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ এই তাসবিহ কে বুঝানো হয়েছে। যে নামাজের মধ্যে এই তাসবীহটা পড়া হয়ে থাকে, ওই নামাজকে সালাতুল তসবিহ বলা হয়।

সালাতুত তসবিহ নামাজটা মূলত একটি ঐচ্ছিক এবাদত, যেটা কিনা বাধ্যতামূলক নয় নিজের ইচ্ছাতেই পড়তে হয় তথা পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের মত নয়। আমাদের রাসূল (সাঃ) এই নামাজ পড়ার কথা নিজের চাচাকে জীবনে একবার হলেও খুব গুরুত্ব সহকারে বলেছেন।

সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ত

সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ত অন্যান্য নামাজের মতই করতে হয়। এর আলাদা কোন নিয়ম নেই অর্থাৎ আমরা যেসকল ফরজ, সুন্নত নফল নামাজের যেভাবে নিয়ত করে থাকি ঠিক একইভাবে সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ত করতে হবে।

সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ত (আরবি)

نَوَايْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّّهِ تَعَالَى ارْبَعَ رَكَعَاتِ صَلَوةِ التَّسْبِيْحِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللَّهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَر

সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ত (বাংলা)

হে আল্লাহ আমি শুধুমাত্র আপনার সন্তুস্টির জন্যসালাতুত তাসবিহ চার রাকাত সুন্নত সালাতের নাম কেবলামুখী হয়ে আদায় করছি আল্লাহু আকবার।

আরো পড়ুনঃ-  কীভাবে আল্লাহর প্রিয় হবো - আল্লাহর প্রিয় বান্দা কারা

সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম

এই চার রাকাআত নামায যদি প্রতিদিন পড়তে পারেন তাহলে খুব ভালো। সম্ভব না হলে প্রতি জুমু’আয় একবার পড়ুন। তা-ও সম্ভব না হলে প্রতি মাসে একবার পড়ার চেষ্টা করুন, তা-ও যদি আপনার পক্ষে সম্ভব না হয়ে উঠে তাহলে বছরে একবার পড়ুন, তাও যদি সম্ভব না হয়ে উঠে তাহলে জীবনে অন্তত ১ বার হলেও পড়ুন। 

প্রথমেই আমরা এই সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম নিয়ে কথা বলবো। সালাতুত তাসবিহ নামাজ এ ৩০০ বার সুবহানআল্লাহ (সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার) জিকির পড়তে হয়। নামাজ এ ৩০০ বার এই তাসবিহ টি পড়া সম্ভব হলেও তা নামাজ অবস্থায় গুনবো কিভাবে, হিসাব রাখবো কীভাবে তা হয়তো অনেকে বুঝতে পারেন নি

তো আপনাদের জানাই মহান আল্লাহ পাক এটি অনেক সহজ করে দিয়েছে আমাদের জন্য। সালাতুত তাসবিহ নামাজ এ ৪ রাকাত হয়। প্রতি রাকাত এ ৭৫ বার করে ৪ রাকাতে ৩০০ বার এই তাসবিহ পড়া হয়। নিচে এই নামাজ টি পড়ার নিয়ম দেওয়া হলো।

সুরা ফাতেহার সঙ্গে অন্য একটি সুরা মেলানোর পাশাপাশি প্রত্যেক রাকাআতে সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার-এ তাসবিহটি ৭৫ বার পড়তে হবে। তবে একই নিয়মে ৪ রাকাআতে মোট ৩০০ বার তাসবিহ পড়ার মাধ্যমে তা আদায় করতে হয়।

  • প্রতি রাকাতে সুরা ফাতেহা ও অন্য একটি সুরা পড়বেন।
  • প্রথম রাকাতে কেরাত শেষ করে – সুবহানাল্লাহ, ওয়াল হামদু লিল্লাহ, ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” এটি ১৫ বার পাঠ করবেন। 
  • এরপর রুকুতে যাবেন এবং রুকু অবস্থায় দোয়াটি ১০ বার পড়বেন সুবহানাল্লাহ, ওয়াল হামদু লিল্লাহ, ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।
  • এরপর রুকু থেকে মাথা উঠাবেন এবং ১০ বার পড়বেন সুবহানাল্লাহ, ওয়াল হামদু লিল্লাহ, ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।
  • এরপর সিজদায় যাবেন। সিজদা অবস্থায় ১০ বার পড়বেন সুবহানাল্লাহ, ওয়াল হামদু লিল্লাহ, ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।
  • এরপর সিজদা থেকে মাথা উঠাবেন। এরপর ১০ বার পড়বেন সুবহানাল্লাহ, ওয়াল হামদু লিল্লাহ, ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।
  • এরপর আবার সিজদায় যাবেন এবং সিজদা অবস্থায় ১০ বার পড়বেন সুবহানাল্লাহ, ওয়াল হামদু লিল্লাহ, ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।
  • এরপর সিজদা থেকে মাথা উঠাবেন এবং ১০ বার পড়বেন সুবহানাল্লাহ, ওয়াল হামদু লিল্লাহ, ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।
  • এটিই হচ্ছে মূলত ৭৫ বার প্রতি রাকাতে । আর চার রাকাতেই আপনাকে অনুরূপ করতে হবে।
  • দ্বিতীয় রাকাতে তাশাহুদ পড়ার আগে ওই তাসবিহ ১০ বার পড়বেন, তারপর তাশাহুদ পড়বেন। 
  • তারপর আল্লাহু আকবার বলে তৃতীয় রাকাতের জন্য উঠবেন।
  • এরপর বাকি ২ রাকাতে একই নিয়মে এই তাসবিহ পাঠ করবেন।
আরো পড়ুনঃ-  রোজায় স্বাস্থ্যকর খাবার - স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়

এভাবে দ্বিতীয় রাকাআতে দাঁড়িয়ে প্রথম রাকাআতে মতো এ নামাজ আদায় করা। দুই রাকাআতের পর বৈঠকে তাশাহহুদ পড়ে সালাম না ফিরিয়ে উপরের নিয়মে বাকি ২ রাকাআত আদায় করে নেয়া।

[বিদ্রঃ এই নামাজ দিনের যে কোনো সময় পড়তে পারবেন। তবে যে সময় গুলোতে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ তখন পড়লে হবে না। আর কোনো কারণে এই নামাজ এ সাহু সিজদাহ এর প্রয়োজন হলে সেখানে সুবহানাল্লাহ তাসবিহ পড়তে হবে না]

এভাবে যদি প্রতি দিন এক বার করে নামাজ পড়তে সক্ষম হন তাহলে পড়বেন। আর যদি সক্ষম না হন তাহলে প্রতি সপ্তাহে অর্থাৎ প্রত্যেক জুমআর দিন একবার পড়বেন। 

মনে রাখতে হবে

তাসবিহ পড়ার সময় যদি কোনো স্থানে নির্দিষ্ট সংখ্যার চেয়ে কম তাসবিহ পড়া হয় তবে, পরবর্তী যে রোকনে তা স্মরণ হবে সেখানেই তা পড়ে নিলেই হবে।

কোন কারণবশত এই নামাজের সময় যদি সাহু সেজদার প্রয়োজন পড়ে তাইলে এ সেজদা বসাবস্থায় এ তাসবিহ পড়তে হবে না।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজান মাসে সর্বাধিক তাসবিহ সম্বলিত নামাজ পড়ে উল্লেখিত ফজিলত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

সালাতুল তাসবিহ নামাজের ফজিলত

সালাতুত তাসবিহ নামাজের ফজিলত বলে শেষ করা যাবে না। আবু দাউদ শরীফের হাদিস নং ১২৯৭, ইবনে মাজাহ শরিফের হাদিস ১৩৮৭ তে একটি হাদিসের মাধ্যমেই সালাতুত তাসবিহ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। হাদিসটি হল:

এটি এমন একটি আমল যখন আপনি তা করবেন তখন আল্লাহ তায়ালা আপনার যাবতীয় গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। অতীত ও ভবিষ্যতের নতুন-পুরনো, ইচ্ছাকৃত-অনিচ্ছাকৃত, জানা-অজানা, ছোট-বড় যাবতীয় গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।  আমলটি হলো সালাতুত তাসবিহ। 

হে চাচা! যদি সম্ভব হয় এই নামাজ প্রতিদিন একবার পড়বেন। তাও যদি সম্ভব না হয় তাহলে প্রতি শুক্রবার পড়বেন। যদি তাও সম্ভব না হয় তাহলে প্রতি মাসে একবার, আর যদি তাও সম্ভব না হয় তবে প্রতিবছর একবার পড়বেন। আর এটাও যদি সম্ভব না হয় তাহলে জীবনে একবার হলেও সালাতুত তাসবিহ আদায় করবেন।’

সালাতুল তাজবীহ নামাজের ফজিলত ছিল অপরিসীম। আমি গিয়েছিলাম কারণ হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর চাচা হজরত আব্বাস (রা.) তালাকে এই দোয়ার কথা বলেছিলেন,

এতেই আমরা বুঝতে পারছি যে, এ নামাজের ফজিলত অনেক বেশি এবং মহান আল্লাহ তায়ালা এসব নামাজের মাধ্যমে জীবনের ছোট-বড়, ইচ্ছাকৃত ও অনিচ্ছাকৃত সকল গুনাহ মাফ করে দেন। তাই প্রতিটা মুসলিম জাতির উচিত বছরে একবার হলেও এই সালাত আদায় করা। আমরা যদি তা না করতে পারি তাহলে সারা জীবনে একবার হলেও কেন এই প্রার্থনা করব?

আরো পড়ুনঃ-  ইসলামে মোটা হওয়ার উপায় - দ্রুত মোটা হওয়ার উপায়

>> মহান আল্লাহ আপনার সবধরনের গোনাহ মাফ করে দেবেন।

>> ইচ্ছাকৃত কিংবা অনিচ্ছাকৃত গোনাহ মাফ করে দেবেন।

>> সগিরা ও কবিরা গোনাহ মাফ করে দেবেন।

>> গোপন ও প্রকাশ্য গোনাহ মাফ করে দেবেন।

সালাতুত তাসবিহ নামাজের দোয়া

সালাতুত তাসবিহ নামাজে মূলত একটি তাসবিহ মোট ৩০০ বার পড়তে হয় । এই তাসবিহটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সালাতুত তাসবিহ নামাজের দোয়া টি হল : সুবহানাল্লাহ, ওয়াল হামদু লিল্লাহ, ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার। এই তাসবীহগুলো মহান আল্লাহতালার নিকট খুবই পছন্দনীয়। চলুন এবার আমরা সুবহানাল্লাহ, ওয়াল হামদু লিল্লাহ, ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার তাসবিহ টির অর্থ দেখে আসি:

  • সুবহানাল্লাহ অর্থ আল্লাহ পবিত্র
  • আলহামদুলিল্লাহ অর্থ সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য
  • লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই
  • আল্লাহু আকবার অর্থ আল্লাহ মহান।

সালাতুত তাসবিহ নামাজের সময়

সালাতুত তাসবিহ নামাজ আদায় করার নির্ধারিত কোন সময় নেই বললেই চলে। নামাজের জন্য নিষিদ্ধ সময় গুলো ছাড়া এই নামাজ যেকোন সময় আদায় করা যায়। 

সালাতুত তাসবিহ নামাজের সবচাইতে ভালো সময় হতে পারে পবিত্র শবে মেরাজ , পবিত্র শবে বরাত , পবিত্র শবে কদর এর রজনীগুলো। এছাড়াও পবিত্র রমজান মাসের যে কোন দিন নিষিদ্ধ সময় গুলো ব্যতীত এই নামাজ পড়তে পারবেন। 

পবিত্র রমজান মাসে যে কোন ইবাদতের সওয়াব ৭০ থেকে ৭০০ গুন পর্যন্ত মহান আল্লাহতালা বৃদ্ধি করে দেন। তাই পবিত্র রমজান মাসে অন্যান্য ইবাদতের সাথে সালাতুত তাসবিহ নামাজও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা যায়।

লেখকের শেষ মতামত

সালাতুত তাসবিহ নামাজটি অনেক ফজিলত পূর্ণ। সালাতুত তাসবিহ নামাজটিআদায় করার ক্ষেত্রে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেয়ে একটু ব্যতিক্রম। প্রত্যেক রাকাতে ৭৫ বার চার রাকাতে মোট ৩০০ বার তাসবীহ পড়তে হয়। সালাতুত তাসবিহ নামাজ আদায়ের মাধ্যমে যে ফজিলত পাওয়া যায় তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো। পূর্বের জীবনের সমস্ত গুনাহ মাফ এবং সেইসাথে অনেক সওয়াবের অধিকারী হওয়া যায়। রমজান মাসে এ নামাজ আদায়ের ফজিলত সবচেয়ে বেশি।

রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় চাচা হযরত আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহুকে এই নামায শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, এই নামায পড়লে আল্লাহ আয-যাওয়াল আপনার আউয়াল আখেরের সগীরা কবীরা জানা অজানা সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন।

এই ছিল আজকের সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কিত সকল তথ্য সংক্ষেপে বিস্তারিত জানাতে চেষ্টা করেছি। 

এর বাইরেও আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন। আশা করি সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও ফজিলত জানতে পেরেছেন। এরপরও বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানাবেন। আর্টিকেলটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে জানতে পারবে।

Leave a Comment