দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী – অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার নিয়ম

সভ্যতার আদিলগ্ন থেকেই দরখাস্ত বা আবেদনপত্র এর প্রচলন। সেই সূত্রে জীবনের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের দরখাস্ত লেখার প্রয়োজন হয়। এই প্রয়োজনের তাগিদে আমাদের সঠিকভাবে জানতে হবে দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী। দরখাস্ত বা আবেদনপত্র বিষয়টি একটি ফরমাল ব্যাপার। এজন্য, কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলি অনুসরণ করে সঠিকভাবে দরখাস্ত লিখতে হয়।

দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী

কিন্তু আমরা অনেকেই সঠিকভাবে এটি লিখতো পারি না। ফলে দরখাস্তের মাধ্যমে আমরা যে আর্জি জানায়, সেটি অনেক ক্ষেত্রে কার্যকর হয় না। আজ আপনাদের সাথে এই অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি শেয়ার করব। সকল ধরনের দরখাস্ত লেখার নিয়ম আপনারা আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। তাহলে শেষ পর্যন্ত থাকুন আমাদের সাথে।

স্কুলে ছুটির জন্য দরখাস্ত, আর্থিক আনুদানের জন্য দরখাস্ত, চাকরির জন্য দরখাস্ত সহ বিভিন্ন কারণে দরখাস্ত লিখতে হয়। কিন্তু, দরখাস্ত লেখার সঠিক নিয়ম না জানার কারণে অনেকেই অন্য কারও থেকে দরখাস্ত লিখতে নেন। আজ এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ পড়লে দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী এবং অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

এই পোস্টের সূচিপত্র

দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী

দরখাস্ত লেখার কিছু নিয়ম রয়েছে। প্রতিটি কাজের যেমন কিছু নিয়ম রয়েছে, ঠিক তেমনি দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লেখার কিছু সঠিক নিয়ম রয়েছে। আমরা যদি সঠিক নিয়মে দরখাস্ত না লিখি, তবে সেই দরখাস্ত আমরা যে কাজের জন্য জমা দিবো, সেটি সম্পন্ন হবে না। 

প্রধান শিক্ষক এর কাছে ছুটি চেয়ে দরখাস্ত করার সময় আমরা যদি সঠিক ভাবে দরখাস্ত সাজিয়ে লিখতে না পারি, তবে সঙ্গত কারণেই, প্রধান শিক্ষক আমাদের দরখাস্ত মঞ্জুর করবেন না। এর ফলে আমরা ছুটিও পাবো না। তো চলুন, দরখাস্ত লেখার সময় আমাদের যেসব নিয়ম মনে রাখতে হবে এবং দরখাস্তে উল্লেখ করতে হবে, সেগুলো এক নজরে দেখে নেয়া যাক। 

এরপর, এসব নিয়ম অনুযায়ী আমি কিছু দরখাস্ত লেখার নিয়ম ছবি এবং নমুনা সহকারে উল্লেখ করে দিবো। দরখাস্তে যেসব বিষয় উল্লেখ করতে হবে –

দরখাস্ত লেখার সময় আমাদের কিছু নিয়ম মানতে হবে। দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লেখার যেসব নিয়মাবলি রয়েছে, সেগুলো না মেনে যদি আমরা একটি পত্র লিখি, তবে সেটি আবেদন পত্র হবে না। সাধারণ চিঠি এবং উক্ত দরখাস্তের মাঝে তেমন পার্থক্য থাকবে না। 

দরখাস্ত লেখার সময় তাই আমাদের কিছু বিষয়ের উপর নজর দিতে হবে। এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমি নিচে তালিকা আকারে উল্লেখ করে দিয়েছি। এগুলো অনুসরণ করে একটি দরখাস্ত লিখতে পারলে সেটি অনেক মানসম্পন্ন একটি দরখাস্ত হবে।

দরখাস্তের উপরে বাম দিকে তারিখ লিখে দিতে হবে।

তারিখ এর নিচে বরাবর লিখতে হবে।

বরাবর লেখার পর তার নিচে প্রাপক এর নাম লিখে দিতে হবে। অর্থাৎ, যার উদ্দেশ্যে দরখাস্ত লিখছেন। যেমন – প্রধান শিক্ষক।

এরপরে যিনি প্রাপক তার নাম লিখার পরে তার ঠিকানা উল্লেখ করে দিতে হবে।

এরপরে দরখাস্তের যেটা বিষয় হবে সেটা উল্লেখ করে দিতে হবে।

বিষয় লেখার পর, অত্যন্ত বিনয়ের সহিত মহোদয়/জনাব/মহাশয় ইত্যাদি সম্ভাষণ উল্লেখ করে দিতে হবে।

অতঃপর, আপনি কি কারণে দরখাস্ত লিখছেন, সে কারণটি পরিষ্কার ভাবে, সাজিয়ে-গুছিয়ে লিখে দিবেন।

এরপর, প্রেরক এর ঠিকানা উল্লেখ করে দিবেন।

দরখাস্ত লেখার সময় উপরে উল্লিখিত সকল বিষয় মাথায় রাখতে হবে। দরখাস্ত লেখার সময় অবশ্যই সেটি মার্জিত ভাষায় লিখতে হবে। আমরা যেহেতু অন্য একজনের কাছে কোনো আবেদন নিয়ে দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লিখছি, তাই আমাদের লেখার মাঝে অবশ্যই বিনয় ফুটিয়ে তুলতে হবে। 

আবেদন পত্রের মাঝে যেন আদেশমূলক কোনো শব্দ বা বাক্য না থাকে। দরখাস্ত লেখা শেষে এটি সুন্দর একটি খামে ভরে জমা দিতে হবে। এভাবে করে একটি দরখাস্ত লিখে জমা দিতে পারলে আমাদের আবেদন মঞ্জুর হবার চান্স অনেক বেশি থাকে।

আপনি যদি স্কুল বা কলেজের পরিক্ষার জন্য কোনো দরখাস্ত লিখতে চান কিন্তু দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী না জেনে থাকেন, তবে উপরে উল্লিখিত সকল পদ্ধতি অনুসরণ করেই লিখতে পারবেন। সব ধরণের আবেদন পত্র লেখার নিয়ম একই। 

অসুস্থতার জন্য ছুটির আবেদন পত্র, দরখাস্ত লেখার নিয়ম ছবি, বেতন মওকুফের জন্য আবেদন, অগ্রিম ছুটির জন্য আবেদন, ইত্যাদি সব ধরণের দরখাস্ত লেখার একই নিয়ম। আপনি পরিক্ষার জন্য লিখুন কিংবা অফিসিয়াল কাজের জন্য আবেদন পত্র লিখুন, সব ধরণের আবেদন পত্র লিখার একই নিয়ম।

এই নিয়মাবলীগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে সহজেই একটি দরখাস্ত লিখতে পারবেন। দরখাস্ত লেখার পর এটি জমা দিতে পারেন। আশা করা যায় আপনার দরখাস্তটি অনুমোদন হবে।

এরপরেও আমরা আপনাকে আরও সহজ ভাবে বোঝানোর জন্য একটি আদর্শ দরখাস্তের কাঠামো উল্লেখ করেছি যেটি মূলত পাঁচটি অংশে বিভক্ত থাকে:

  • প্রথমে: তারিখ ও প্রাপকের ঠিকানা
  • বিষয়: দরখাস্তটি কী সম্পর্কে, তা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে।
  • সম্বোধন: যথাযথ সম্মানসূচক সম্বোধন ব্যবহার করুন।
  • মূল বক্তব্য: এখানে আপনার দরখাস্তের মূল উদ্দেশ্য বর্ণনা করুন।
  • শেষ: বিদায় সম্ভাষণ ও স্বাক্ষর

১। তারিখ ও প্রাপকের ঠিকানা

দরখাস্তের শুরুতে তারিখ লিখতে হয়। তারিখ লেখার পর, যার কাছে দরখাস্তটি লেখা হচ্ছে, তার পদবি এবং অফিসের ঠিকানা উল্লেখ করতে হয়।

উদাহরণ:

  • তারিখ: ২০ অক্টোবর, ২০২৫

বরাবর,

প্রধান শিক্ষক,

(বিদ্যালয়ের নাম),

(জেলার নাম)।

২। বিষয়

বিষয় অংশে দরখাস্তটি কী নিয়ে লেখা হচ্ছে, তা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হয়। এটি দরখাস্তের মূল উদ্দেশ্য বুঝতে সাহায্য করে।

উদাহরণ:

  • বিষয়: ছুটির জন্য আবেদন।
  • বিষয়: বিনা বেতনে অধ্যয়নের জন্য আবেদন।

৩। সম্বোধন

আপনি মূলত যাকে উদ্দেশ্য করে দরখাস্ত লিখবেন তার প্রতি সম্মান জানিয়ে উপযুক্ত সম্বোধন ব্যবহার করা আবশ্যক। 

উদাহরণ:

  • জনাব,
  • মহোদয়,
  • শ্রদ্ধেয় স্যার,
  • শ্রদ্ধেয়া ম্যাডাম,

৪। মূল বক্তব্য

এটি দরখাস্তের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে আপনি আপনার সমস্যার কথা বা যে কারণে দরখাস্তটি লিখছেন, তা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করবেন। আপনার বক্তব্য স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত।

উদাহরণ:

সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির একজন নিয়মিত ছাত্র/ছাত্রী। আমার বাবা একজন কৃষক এবং আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। তাই, আমি আপনার কাছে বিনা বেতনে অধ্যয়নের জন্য আবেদন করছি।

৫। শেষ

শেষে, আপনাকে নিজের নাম ও পরিচয় উল্লেখ করে একটি বিদায় সম্ভাষণ জানাতে হবে।

আরো পড়ুনঃ-  অনার্স এর পূর্ণরূপ কি - অনার্স সাবজেক্ট কি কি

উদাহরণ:

অতএব, মহোদয়/মহাত্মন, আপনার নিকট আমার আকুল আবেদন, আমাকে বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ দিয়ে বাধিত করবেন।

 

বিনীত,

আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র/ছাত্রী,

(নাম)

(শ্রেণী)

(রোল নম্বর)

তো চলুন, নিচে কিছু দরখাস্ত লেখার নমুনা উল্লেখ করে দিয়েছি, সেগুলো দেখে নেয়া যাক।

দরখাস্ত নমুনা

দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লেখার একটি সুন্দর কাঠামো রয়েছে। যা অনুসরণ করে আমরা যদি একটি দরখাস্ত লিখি, তবে সেটি অনেক মানসম্পন্ন হবে। আমাদের মাঝে অনেকেই বিভিন্ন কাজে দরখাস্ত লিখে থাকে, কিন্তু অনেকের দরখাস্তের মাঝে অনেক ভুল থাকে। 

তাই, অনেকেই বলে যে তার দরখাস্ত মঞ্জুর হয়নি। আপনি যদি দরখাস্ত লিখতে না পারেন, তবে উপরে উল্লেখ করে দেয়া দরখাস্ত লেখার নিয়ম এবং নিচে দেয়া দরখাস্ত নমুনা দেখে অনেক সহজেই একটি সুন্দর আবেদন পত্র লিখে ফেলতে পারবেন। তো চলুন, দরখাস্তের নমুনা দেখে নেয়া যাক।

তারিখ

বরাবর

প্রাপকের নাম (কর্তৃপক্ষের নাম)

ঠিকানা

বিষয় :

সম্ভাষণ, (জনাব/মহোদয়/মহাশয় ইত্যাদি)

যে কারণে বা যে বিষয়ে দরখাস্ত লিখছেন সেটি অনেক সুন্দর ও সাবলীল ভাবে উল্লেখ করে দিবেন। এছাড়াও, দরখাস্ত লেখার সময় মার্জিত ও বিনয় ভাব প্রকাশ পায় এমন শব্দ চয়ন করবেন। এতে করে দরখাস্তটি অনেক মানসম্পন্ন হবে।

 

বিদায় সম্ভাষণ, (বিনীত, নিবেদক)

প্রেরকের নাম

ঠিকানা

অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার নিয়ম

অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার নিয়ম আজকের আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয়। আমরা প্রত্যেকেই কমবেশি দরখাস্ত লিখে থাকি। আমরা কেউ হাতে দরখাস্ত লিখি আবার কেউ কম্পিউটারে টাইপ করে লিখি। আমরা যেই মাধ্যমেই দরখাস্ত লিখি না কেন আগে ভালোভাবে দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানতে হবে। 

আর অফিসিয়াল দরখাস্তের ক্ষেত্রে তো কোন কথাই নেই। সুন্দরভাবে আপনার দরখাস্ত দিয়ে না লিখলে কিংবা এলোমেলোভাবে সাজালে দরখাস্ত তো গ্রহণযোগ্য পাবেই না বরং আপনি সকলের কাছে হেও প্রতিপন্ন হবেন। আপনি একজন চাকুরিজীবী হয়ে যে দরখাস্ত লেখা শিখতে হবে বিষয়টা কিন্তু এমন নয়  আমাদের প্রত্যকেরই অফিসিয়াল দরখাস্ত লিখার নিয়ম ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। 

তাই চলুন দেরি না করে অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার নিয়ম নিম্নরূপঃ

অফিসিয়াল দরখাস্তের ক্ষেত্রেও প্রথমে দরখাস্তের তারিখ লেখা গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ আপনি কোন তারিখে দরখাস্তটি লিখছেন সেটি দরখাস্তের প্রথমে লিখবেন।

তারিখ লিখে বরাবর লিখবেন তারপরে একটা কমা (,) চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে। 

তারপর অফিসে যার নিকট দরখাস্ত লিখছেন তাকে এখানে উল্লেখ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ অফিসের বস, কিংবা অফিসে চেয়ারম্যান, অফিসের এমডি অথবা প্রতিষ্ঠানের সিইও ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে।

তারপর আপনি কোন বিষয়ে অফিসে দরখাস্ত লিখছেন সেটি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস দরখাস্ত লেখার ক্ষেত্রে। কারণ দরখাস্তের বিষয় যদি ঠিক না থাকে তাহলে দরখাস্ত লেখা না লেখা সমান কথা। কারণ কর্তৃপক্ষকে বোঝাতে হবে আপনি কোন বিষয়ে দরখাস্তটি লিখেছেন। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দরখাস্তের ক্ষেত্রে।

তারপর অত্যন্ত নম্র এবং ভদ্রতার সাথে জনাব বা স্যার ইত্যাদি ভাষা ব্যবহার করে একটি অফিসিয়াল দরখাস্তের বডি শুরু করতে হবে। দরখাস্তের বডির মধ্যে আপনি যে বিষয়ে দরখাস্তটি লিখছেন তা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। যাতে অফিসের কর্তৃপক্ষ সেটি দেখে ভালোমতো বুঝতে পারে আপনি দরখাস্তে কোন বিষয়টি বোঝাতে চেয়েছেন।

দরখাস্তের বডি যদি সঠিকভাবে না লিখতে পারেন কিংবা আপনার দরখাস্তের বিষয়টি ভালোভাবে ব্যক্ত করতে না পারেন তাহলে কিন্তু দরখাস্তের কোন মাল থাকবে না। একটি অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

দরখাস্তের বডি ঠিকঠাক ভাবে লেখা হলে নিচে নিবেদক লিখে আপনার নামসহ পূর্ণ ঠিকানা এবং কোন পদে চাকরি করেন সব বিষয়গুলো উল্লেখ করতে হবে। এতে করে অফিসের কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারবে এবং আপনাকে চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী তারা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে। এটি লেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অফিশিয়াল দরখাস্তের ক্ষেত্রে।

পরিশেষে আপনার নিজের সিগনেচার করে দরখাস্ত লেখা শেষ করতে হবে।

এভাবে একটি দরখাস্ত লিখলে দরখাস্তটি অফিসিয়াল দরখাস্তের আওতাভুক্ত হয়। পাশাপাশি দরখাস্তটি দেখতে খুবই সুন্দর এবং মানানসই দেখায়। উপরোক্ত নিয়ম ফলো করে একটি দরখাস্ত লিখলে আপনার দরখাস্তটি গ্রহণযোগ্যতা পাবে। উপরে বর্ণিত নিয়মই হলো অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার নিয়ম। আশা করি কিভাবে অফিসিয়াল দরখাস্ত লিখতে হয় এ বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন।

অফিসে ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম

আমরা যারা চাকুরীজীবি তারা যে বছরে একদিনও অফিসে অনুপস্থিত হবো না এর নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। মানুষের সুবিধা-অসুবিধা, বিপদ-আপদ থাকতেই পারে।

কিন্তু অফিস চলবে অফিসের নিয়মে। অফিস কর্তৃপক্ষ চাইবে তাদের কর্মচারী-কর্মকর্তাগণ প্রতিদিনই অফিসে আসুক। তবে, যদি এক অথবা দু’দিন জরুরি প্রয়োজন আসতে নাই পারে তাহলে অধীনস্থদের ফরমালি কিছু নিয়ম কানুন পালন করতে হয়।

তন্মধ্যে একটি হলো অনুপস্থিতির জন্য অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখা। চাকরিজীবীদের অফিসে অনুপস্থিত হওয়ার কারণ উল্লেখ করে দরখাস্ত লিখে ছুটি নিতে হয়।

৫ই মে, ২০২৫

বরাবর,

বিপণন ব্যবস্থাপক

পানকৌড়ি পাবলিকেশন্স লি. রাজশাহী

বিষয়: বিশেষ প্রয়োজনে ছুটির আবেদন।

জনাব,

সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি আপনার প্রতিষ্ঠানের বিপনন বিভাগের সহকারী বিপণন ব্যবস্থাপক। আমি সাধারণত নিয়মিত-ই অফিসে উপস্থিত হয় এবং যথাসময়ে সকল কাজ সম্পূর্ণ করে থাকি। আমার মা হঠ্যাৎ অসুস্থ হওয়ায় তাকে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য আগামী ৬ই মে আমি আমার মাকে নিয়ে রাজধানী শহর ঢাকাতে যাওয়াটা খুবই জরুরি। এজন্য আমি আগামী ৩ দিন অফিসে উপস্থিত হতে পারব না।

অতএব, জনাবের নিকট আকুল আবেদন এই যে, আমার মায়ের চিকিৎসার জন্য আমাকে আগামী ৬-৯ই জুলাই পর্যন্ত ছুটি মঞ্জুর করে আমাকে বাধিত করবেন।

 

নিবেদক-

আবদুল জাব্বার

সহকারী বিপণন ব্যবস্থাপক

মোবাইল নং: ০১৪০০-০০০০০০

প্রধান শিক্ষকের কাছে দরখাস্ত লেখার নিয়ম

স্কুল কিংবা কলেজ, যেকোনো কারণে প্রধান শিক্ষকের নিকট দরখাস্ত লিখতে হতে পারে। কিন্তু, আপনি যদি দরখাস্ত লেখার নিয়ম না জানেন, তাহলে মহা বিপদে পড়ে যাবেন। তবে, নিচের দরখাস্ত লেখার নমুনা অনুসরণ করে সহজেই বাংলায় একটি দরখাস্ত লিখতে পারবেন।

৫ মে, ২০২৫

বরাবর

প্রধান শিক্ষক

রাজশাহী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়

রাজশাহী সদর, রাজশাহী

বিষয়: ছাত্র কল্যাণ তহবিল হতে আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন

জনাব,

সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির একজন নিয়মিত ছাত্র। আমি সর্বদা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করে থাকি এবং এবারও দশম শ্রেণিতে সর্বোচ্চ স্থান অধিকার করেছি। আমার বাবা একজন কৃষক। আমাদের ৬ সদস্যের পরিবারে ৩ ভাইবোন আমরা স্কুলে পড়ি। কৃষি করে সংসারের ভরণপোষণ ও আমাদের সকলের পড়াশোনার খরচ বহন করা বাবার পক্ষে ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। ফলে আমার লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

অতএব, মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন এই যে, আমার পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জোগান দেওয়ার প্রেক্ষিতে ছাত্র কল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য করে আমাকে বাধিত করবেন।

 

নিবেদক-

আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র

সানি রহমান

আরো পড়ুনঃ-  এডমিশন শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু টিপস

শ্রেণি: দশম শাখা: ক রোল নং: ০১

এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনার স্কুল বা কলেজের প্রধান শিক্ষকের নিকট দরখাস্ত লিখতে পারবেন। দরখাস্তের বিষয় এবং মূলভাব পরিবর্তন করে একই নিয়মে দরখাস্ত লিখতে পারবেন।

চেয়ারম্যানের কাছে দরখাস্ত লেখার নিয়ম

আপনার বাসা যদি হয় ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে, তাহলে নিশ্চয়ই চেয়ারম্যানের থেকে বিভিন্ন সময় সহযোগিতা নেয়ার প্রয়োজন পড়ে থাকে। চেয়ারম্যানের কাছে দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানা থাকলে যেকোনো প্রয়োজনে দরখাস্ত লিখে চেয়ারম্যানের কাছে আপনার আবেদন জানাতে পারবেন।

নিচে চেয়ারম্যানের কাছে দরখাস্ত লেখার নিয়ম নিয়ে একটি নমুনা উল্লেখ করে দিয়েছি। এটি অনুসরণ করে সহজেই যেকোনো প্রয়োজনে দরখাস্ত লিখতে পারবেন।

৫ মে, ২০২৫

বরাবর,

চেয়্যারম্যান 

বাদে হাজরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ

মোহনপুর, রাজশাহী

বিষয়: টিউবওয়েল সংস্থাপনের জন্য আবেদন

জনাব,

আমি আপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত বাদে হাজরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্গত ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পাড়া গ্রামের একজন বাসিন্দা। গত কয়েক মাস ধরে আমাদের এলাকায় তীব্র নিরাপদ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। টিউবওয়েলের অভাবে আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যায় ভুগছি। নিরাপদ পানির অভাবে অনেকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতি আমাদের জন্য ক্রমশ অসহনীয় হয়ে উঠছে।

এমতাবস্থায়, আমি আপনার কাছে যত দ্রুত সম্ভব আমাদের এলাকায় দুটি নিরাপদ পানির টিউবওয়েল স্থাপনের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

অতএব, মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন এই যে, এই এলাকায় দুটি নিরাপদ পানির টিউবওয়েল সংস্থাপনের ব্যবস্থা করলে এলাকাবাসী আপনার নিকট চির কৃতজ্ঞ থাকবো।

 

নিবেদক-

সানি রহমান (গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে) 

গ্রাম: পশ্চিম পাড়া ওয়ার্ড নং: ০৬

উপরোক্ত বাংলায় দরখাস্ত লেখার নিয়ম অনুসরণ করে সহজেই আপনার এলাকার চেয়ারম্যানের কাছে একটি আবেদন পত্র লিখতে পারবেন। যেকোনো আবেদন নিয়ে দরখাস্ত লেখার জন্য উপরোক্ত দরখাস্ত লেখার নিয়ম ছবিগুলো অনুসরণ করতে পারেন।

চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম

আমাদের শিক্ষিত সমাজে পেশাগত জীবনের শুরুতে সবাইকে-ই কমবেশি চাকরির দরখাস্ত লিখতে হয়। কারণ প্রতিটা চাকরিতেই দরখাস্ত হচ্ছে প্রবেশদ্বার। তাই এই দরখাস্ত লেখা শেখা খুবই জরুরি।

এই দরখাস্তটি হতে হবে মার্জিত এবং কেন উক্ত চাকরির পোস্টে কর্তৃপক্ষ আপনাকে নিয়োগ দিবে তার সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করতে হবে। তো চলুন, চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম আমরা একটি নমুনার মাধ্যমে জেনে নিই।

৫ই মে, ২০২৫

বরাবর,

সাধারণ ব্যবস্থাপক

এসিআই লি.

কারওয়ানবাজার, ঢাকা

বিষয়: হিসাবরক্ষণ পদে নিয়োগের জন্য আবেদন

জনাব,

সবিনয় নিবেদন এই যে, গত ৪ই ফেব্রুয়ারী দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানতে পারলাম যে আপনার প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষণ বিভাগে হিসাবরক্ষণ পদে কয়েকজন লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আমি উক্ত পদের জন্য আমার জীবনবৃত্তান্ত আপনার জ্ঞাতার্থের নিকট তুলে ধরলাম।

নাম:

পিতার নাম:

মাতার নাম:

বর্তমান ঠিকানা:

স্থায়ী ঠিকানা:

জাতীয়তা:

ধর্ম:

বৈবাহিক অবস্থা:

ইমেইল এড্রেস:

মোবাইল নম্বর:

শিক্ষাগত যোগ্যতা:

অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা:

সানরাইজ লি. এ গত ৩ বছর যাবৎ হিসাবরক্ষণ পদে চাকরির অভিজ্ঞতা। 

মাইক্রোসফট এক্সেলে ও পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে পারদর্শী

অতএব, জনাবের নিকট আকুল আবেদন এই যে, উক্ত পদে আমাকে যোগ্য বিবেচনা করে একজন প্রার্থী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে আমাকে বাধিত করবেন।

 

নিবেদক-

সানি রহমান

রাজশাহী

হলের সিটের জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম

তারিখ: ০৫/ ০৫/ ২০২৫ইং

বরাবর,

প্রভোস্ট

মহসিন হল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী।

বিষয়ঃ হলে সিটের জন্য আবেদন।

জনাব,

যথাবিহীত সম্মানপূর্বক আমার বিনীত নিবেদন এই যে,  আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২০২২ সেশনের  বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র।  ভর্তির সময় হল নির্বাচনে মহাসিন হলে আমার সিট বরাদ্দ হয়। ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে যে, আগামী ১ লা জুলাই থেকে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে । তাই ক্লাস শুরু হওয়ার পূর্বে আমার হলে ওঠা প্রয়োজন।

অতএব, মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন এই যে,  আমার উল্লিখিত পরিস্থিতিবিবেচনা করে হলে একটা সিট যাতে আমি বরাদ্দ পেতে পারি তার বিহিত ব্যবস্থা করলে মর্জিত হয়।

বিনীত নিবেদক

সুমন হোসেন

সেশন:২১-২২, সেমিস্টার ১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী।

প্রশংসাপত্র চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট দরখাস্ত লেখার নিয়ম

তারিখ: ০৫/ ০৫/ ২০২৫ইং

বরাবর,

অধ্যক্ষ

বালিয়াপুকুর বিদ্যানিকেতন।

বালিয়াপুকুর, রাজশাহী।

বিষয়: প্রশংসা পত্রের জন্য আবেদন।

জনাব,

যথাবিহীত আমার বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। কখনো কোনো আইন শৃঙ্খলা বিরোধী কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আমি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে ভর্তি হতে ইচ্ছুক।এজন্য আমার আপনার স্বাক্ষরিত একটি প্রশংসা পত্র অত্যন্ত প্রয়োজন।

অতএব, মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন এই যে, একটি চারিত্রিক ও শিক্ষা বিষয়ক প্রশংসাপত্র আমি যাতে পেতে পারি তার ব্যবস্থা করলে আপনার মর্জিত হয়।

 

বিনীত নিবেদক

আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র

সানি রহমান

বালিয়াপুকুর বিদ্যানিকেতন।

শ্রেণি: অষ্টম

রোল নম্বর: ৩

আর্থিক অনুদানের জন্য দরখাস্ত লেখার নিয়ম

তারিখ: ০৫/ ০৫/ ২০২৫ইং

বরাবর,

অধ্যক্ষ

বালিয়াপুকুর বিদ্যানিকেতন ।

বালিয়াপুকুর, রাজশাহী।

বিষয়: আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদন।

জনাব,

যথাবিহীত সম্মানপূর্বক আমার বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্র। আমার বাবা একজন দরিদ্র কৃষক। আমার বাবা আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তিনি গত কয়েক মাস যাবত শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ। এমতাবস্থায় আমাদের পরিবারের খরচ ও চার ভাই বোনের লেখাপড়ার খরচ বহন করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।

অতএব, মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন এই যে, আমার এই উল্লিখিত সমস্যা বিবেচনা করে দরিদ্র তহবিল হতে আমি যাতে আর্থিক সহায়তা পাই তার ব্যাবস্থা করতে আপনার মর্জিত হয়।

 

বিনীত নিবেদক

আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র

সুমন হোসেন

বালিয়াপুকুর বিদ্যানিকেতন

শ্রেণি: অষ্টম

রোল নম্বর: ৩

চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য দরখাস্ত লেখার নিয়ম

তারিখ: ০৫/০৫/২৫ইং

বরাবর,

ব্যবস্থাপনা পরিচালক

সুপার টেকনোলজি লিমিটেড।

৪৩০/এ, তেজগাঁও,

ঢাকা-১২১৫।

বিষয়ঃ চাকরি হতে অব্যাহতির জন্য আবেদন।

জনাব,

যথাবিহীত সম্মানপূর্বক আমার বিনীত নিবেদন এই যে, আমি সুমন হোসেন আইডি নম্বরঃ 212559 আপনার প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মচারী। আমি দীর্ঘদিন আপনার প্রতিষ্ঠানে একজন প্রডাকশন সুপারভাইজার হিসেবে চাকরি করে আসছে। কিন্তু আমার কিছু পারিবারিক সমস্যার কারণে আমার পক্ষে আগামী ১৫/০৫/২৫ তারিখের পর থেকে চাকরী করা সম্ভব নয়।

অতএব, সবিনয়ের কাছে আমার আকুল আবেদন এই যে, আমি যাতে আগামী ১৫/০৫/২৫ তারিখের পর থেকে চাকরি হতে অব্যাহতি পাই তার বিহীত ব্যবস্থা করতে আপনার মর্জি হয়।

বিনীত নিবেদক

নামঃ সুমন হোসেন

পদবিঃ প্রোডাকশন সুপারভাইজার

আইডি নম্বরঃ 212559

বিভাগঃ প্রোডাকশন

সুপার টেকনোলজি লিমিটেড

তেজগাও, ঢাকা-১২১৫।

জরিমানা মওকুফের জন্য দরখাস্ত লেখার নিয়ম

তারিখ: ০৫/০৫/২৫ইং

বরাবর,

অধ্যক্ষ

বালিয়াপুকুর বিদ্যানিকেতন।

বালিয়াপুকুর, রাজশাহী

বিষয়: জরিমানা মওকুফের জন্য আবেদন।

জনাব,

যথাবিহীত সম্মানপূর্বক আমার বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্র। আমার পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতার অভাবে আমি আমার বেতন সহ অন্যান্য ফি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছি। 

আমার বাবা আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তিনি গত কয়েকমাস যাবৎ অসুস্থ। আমি ছাড়া আমার আরো এক ছোট ভাই ও বোন রয়েছে। তাই পরিবারের খরচ যোগাতে গিয়ে সঠিক সময়ে ফি জমা দিয়ে পারিনি।

আরো পড়ুনঃ-  দৈর্ঘ্য পরিমাপের একক সমূহ জেনে নিন

অতএব, জনাবের নিকট আকুল আবেদন এই যে, আমার উল্লিখিত সমস্যা একটু বিবেচনা করে আমি জরিমানা থেকে মওকুফ পেতে পারি তার বিহীত ব্যবস্থা করতে আপনার মর্জিত হয়।

বিনীত নিবেদক

আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র

সুমন হোসেন

বালিয়াপুকুর বিদ্যানিকেতন।

শ্রেণি: অষ্টম

রোল নম্বর: ৩

সহকারী শিক্ষক পদে চাকরির জন্য দরখাস্ত লেখার নিয়ম

তারিখঃ ০৫/ ০৫/ ২০২৫ইং

বরাবর,

সভাপতি

বালিয়াপুকুর বিদ্যানিকেতন।

বালিয়াপুকুর, রাজশাহী।

বিষয়ঃ  শিক্ষক পদে  চাকরির জন্য আবেদন।

জনাব,

যথাবিহীত সম্মানপূর্বক আমার বিনীত নিবেদন এই যে,  আমি গত   ১লা ডিসেম্বর  তারিখে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানতে পারলাম যে,  আপনার বিদ্যালয় দুইজন সহকারী শিক্ষক প্রয়োজন। আমি আপনার বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি করতে ইচ্ছুক।  আমি উক্ত পদের জন্য একজন প্রার্থী হিসেবে নিচে আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী আপনার নিকট পেশ করলাম।

 প্রার্থীর নামঃ 

 পিতার নামঃ 

 মাতার নামঃ

 বর্তমান ঠিকানাঃ 

 স্থায়ী ঠিকানাঃ 

 জন্মতারিখঃ 

 জাতীয়তাঃ 

 ধর্মঃ 

 মোবাইল নম্বরঃ 

 ই-মেইলঃ 

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ

পরীক্ষার নাম বোর্ড /প্রতিষ্ঠানের নাম পাশের সন গ্রেড/ ক্লাস
এস এস সি যশোর ২০০৭ জিপিএ-৫.০০
এইচ এস সি যশোর ২০০৯ জিপিএ-৫.০০
বি বি এ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৩ সিজিপিএ-3.50
এম বি এ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৪ সিজিপিএ-3.50

সংযুক্তিঃ

১। দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি

২। একাডেমিক সকল সনদপত্রের সত্যায়িত কপি

৩। চারিত্রিক সনদপত্র

৪। নাগরিকত্ব সনদপত্র

৫। পোস্টাল অর্ডার নাম্বার ও  ফটোকপি

অতএব, জনাব সমীপে আমার একান্ত আবেদন এই যে, উপরিউক্ত তথ্যাদি, আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সমূহ বিবেচনা করে আপনার বিদ্যালয়ে একজন সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দানে আপনার মর্জি হয়।

বিনীত নিবেদক

সানি রহমান

বিবিএ এন্ড এমবিএ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

রাজশাহী।

অফিসে অনুপস্থিত থাকার জন্য দরখাস্ত লেখার নিয়ম

তারিখ- ০৫/০৫/২০২৫ ইং

ববরাবর,

ব্যবস্থাপক

সোনালী ব্যাংক লি.

রংপুর শাখা, রংপুর ।

বিষয়ঃ অনুপস্থিতর জন্য ছুটির আবেদন।

জনাব,

সবিনয় বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী আপনার অধিনস্থ সোনালী ব্যাংক লিঃ, রংপুর শাখা, রংপুর এ অফিসার হিসেবে কর্মরত আছি। আমার শারিরীক অসুস্থতার কারণে গত ২৭/০৪/২০২৫ খ্রিঃ হতে ৩০/০৪/২০২৫ খ্রিঃ তারিখ পর্যন্ত মোট ০৪ (চার) দিন অফিসে উপস্থিত হতে পারিনি।

অতএব, মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন এই যে, আমার অসুস্থতার বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে বিবেচনা করে উপরোল্লিখিত অনুপস্থিতি কালের ০৪(চার) দিন ছুটি মঞ্জুর করতে আপনার সদয় মর্জি হয়।

 

বিনীত

আপনার একান্ত বাধ্যগত

(সানি রহমান)

অফিসার

সোনালী ব্যাংক লিঃ

রংপুর শাখা, রংপুর ।

গার্মেন্টসে অনুপুস্তিতির জন্য ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম

তারিখ- ০৫/০৫/২০২৫ ইং

বরাবর,

ব্যবস্থাপক

গ্রীণ টেক্সটাইল গ্রুপ

গাজীপুর।

বিষয়ঃ অনুপস্থিতির জন্য ছুটির আবেদন।

জনাব,

সবিনয় বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী আপনার অধিনস্থ গ্রীণ টেক্সটাইল গ্রুপ, ময়মনসিংহ এর একজন সিনিয়র প্রোডাকশন ম্যনেজার। আমার শারিরীক অসুস্থতার কারণে গত ২৭/০৪/২০২৫ খ্রিঃ হতে ৩০/০৪/২০২৫ খ্রিঃ তারিখ পর্যন্ত মোট ০৪ (চার) দিন অফিসে উপস্থিত হতে পারিনি।

অতএব, মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন এই যে, আমার অসুস্থতার বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে বিবেচনা করে উপরোল্লিখিত অনুপস্থিতি কালের ০৪(চার) দিন ছুটি মঞ্জুর করতে আপনার সদয় মর্জি হয়।

 

বিনীত

আপনার একান্ত বাধ্যগত

(মোঃ সানি রহমান)

সিনিয়র প্রোডাকশন ম্যানেজার

গ্রীণ টেক্সটাইল গ্রুপ

গাজীপুর।

কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম

তারিখঃ ০৫/০৫/২০২৫

বরাবর,

সভাপতি

আল মদিনা কোং লিঃ

কাজীরবাগ, ফেনী।

বিষয়ঃ কম্পিউটার অপারেটর পদের জন্য আবেদন।

জনাব,

বিনীত নিবেদন এই যে, গত ০৫/০৪/২০২৫ খ্রিঃ তারিখে দৈনিক “bdjobs” অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, কম্পিউটার অপারেটর পদে আপনার প্রতিষ্ঠানে 3 জন লোক নিয়োগ দেওয়া হবে। আমি উক্ত পদের একজন প্রার্থী হিসেবে আমার শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ যাবতীয় আনুষাঙ্গিক তথ্যাদি মহোদয়ের নিকট তুলে ধরলাম।

১। নামঃ মোঃ 

২। পিতার নামঃ 

৩। মাতার নামঃ 

৪। বর্তমান ঠিকানাঃ 

৫। স্থায়ী ঠিকানাঃ 

৬। জন্ম তারিখঃ

৭। জাতীয়তাঃ 

৮। ধর্মঃ 

৯। শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ

পরীক্ষার নাম বোর্ড পাশের সন প্রাপ্ত গ্রেড
এসএসসি ঢাকা ২০০৫ জিপিএ-৫
এইচএসসি ঢাকা ২০০৭ জিপিএ-৫
বিএসসি ঢাকা ২০১২ প্রথম শ্রেণী
এমএসসি ঢাকা ২০১৪ প্রথম শ্রেণী

অতএব, মহোদয় সমীপে বিনীত প্রার্থনা আমার উলেখিত তথ্যাবলী বিবেচনা পূর্বক আমাকে উক্ত পদে নিয়োগ দানে আপনার মর্জি হয়।

 

বিনীত নিবেদক

(মোঃ জুলহাস উদ্দীন)

মোবাঃ ০১৭১*******

সংযুক্তিঃ

১। পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি ২ কপি।

২। একডেমিক সকল সনদপত্রের সত্যায়িত কপি।

৩। চারিত্রিক সনদপত্র।

৪। নাগরিকত্ব সনদপত্র।

সহকারী ব্যবস্থাপক পদের জন্য দরখাস্ত লেখার নিয়ম

তারিখঃ ০৫/০৫/২০২৫

বরাবর,

আর, এফ, এল

মধ্য বাড্ডা, লিংক রোড

ঢাকা-১২১২।

বিষয়ঃ সহকারী ব্যবস্থাপক পদের জন্য আবেদন।

জনাব,

যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শণ পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, গত ১৮.০৫.২০২১ইং তারিখ “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি মারফত জানতে পারলাম যে, আপনার প্রতিষ্ঠানে ‘‘সহকারী ব্যবস্থাপক’’ পদে কিছু সংখ্যক লোক নিয়োগ করা হবে। আমি উক্ত পদের একজন প্রার্থী হিসেবে নিম্নে আমার শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী আপনার সদয় বিবেচনার জন্য পেশ করলাম।

১। নামঃ 

২। পিতার নামঃ 

৩। মাতার নামঃ

৪। বর্তমান ঠিকানাঃ 

৫। স্থায়ী ঠিকানাঃ 

৬। জন্ম তারিখঃ 

৭। জাতীয়তাঃ 

৮। ধর্মঃ 

৯। শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ

পরীক্ষার নাম বোর্ড পাশের সন প্রাপ্ত গ্রেড
এসএসসি ঢাকা ২০০৫ জিপিএ-৫
এইচএসসি ঢাকা ২০০৭ জিপিএ-৫
বিএসসি ঢাকা ২০১২ প্রথম শ্রেণী
এমএসসি ঢাকা ২০১৪ প্রথম শ্রেণী

 

বিনীত নিবেদক

(মোঃ সানি রহমান)

মোবাঃ ০১৭১*******

সংযুক্তিঃ

১। পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি ২ কপি।

২। একডেমিক সকল সনদপত্রের সত্যায়িত কপি।

৩। চারিত্রিক সনদপত্র।

৪। নাগরিকত্ব সনদপত্র।

কি কি কারনে দরখাস্ত বাতিল হতে পারে

দরখাস্ত বা আবেদনপত্র লেখার নিয়মাবলী অনুসরণ না করে দরখাস্ত লিখলে সেটি গ্রহনযোগ্য হবে না। নিয়মের প্রতি সর্তক থেকে দরখাস্ত লিখতে হবে। যেসব কারনে দরখাস্ত বাতিল হতে পারে-

  • নির্দিষ্ট স্থানে তারিখ, নাম না থাকলে।
  • বিষয় বস্তু স্পষ্টভাবে উপস্থাপন না হলে।
  • নির্দিষ্ট যায়গায় স্বাক্ষর না দিলে।
  • কর্তৃপক্ষের নির্দেশমত ফোটো না দিলে।
  • পেশাগত বা শিক্ষাগত যোগ্যতা ঠিক মত না দিলে।
  • আবেদনের ফি যথাযথ না দিলে।
  • দরখাস্তের নির্ধারিত ফরম্যাট অনুসরন না করলে।
  • দরখাস্তের নির্দিষ্ট ফরম সঠিকভাবে পূরণ না করলে।
  • বয়স ঠিকমতো না অন্তর্ভুক্ত করলে।
  • অভিজ্ঞতা চাওয়া হলে সেটা স্কিপ করে গেলে।
  • প্রমাণ পত্রাদি চাইলে তা সঠিকভাবে উপস্থাপন না করিলে।

লেখকের শেষ মতামত

একজন শিক্ষার্থীর বিভিন্ন কারনে দরখাস্ত লিখতে হতে পারে। যেমন, অনুপস্থিতির জন্য ছুটির আবেদন, জরিমানা মওকুফ এর জন্য আবেদন, অসুস্থতার জন্য ছুটির আবেদন, বিনাবেতনে অধ্যায়নের জন্য আবেদন, উপবৃত্তির জন্য আবেদন ইত্যাদি। তেমনি একজন চাকরিজীবির জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে দরখাস্ত লেখার প্রয়োজন হয় যেমন, অফিসিয়াল ছুটির আবেদন ,চাকরি থেকে অব্যবহিত পত্র, সহকারী শিক্ষক পদে চাকরির দরখাস্ত ইত্যাদি। 

এই সকল দরখাস্ত লেখার জন্য সঠিকভাবে দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী জেনে নেওয়া জরুরি। দরখাস্তের মাধ্যমে আপনি আপনার সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন,  তাই আবেদন পত্র লেখার সময় সতর্কতার সাথে আবেদনপত্র লেখার নিয়ম অনুযায়ী আবেদন পত্র লিখবেন। কেননা, দরখাস্ত লেখার নিয়ম অনুযায়ী দরখাস্ত না লিখলে অনেক সময় আপনার দরখাস্ত বাতিলও হয়ে যেতে পারে।

এই ছিল আজকের দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী এবং অফিসিয়াল দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কিত সকল তথ্য সংক্ষেপে বিস্তারিত জানাতে চেষ্টা করেছি। এর বাইরেও আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন। আশা করছি দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী জানতে পেরেছেন।

এরপরও বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানাবেন। আর্টিকেলটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী সম্পর্কে জানতে পারবে।

Leave a Comment