আমরা হয়তো পেভিসন ক্রিম অনেকেই ব্যবহার করে থাকি কিন্তু পেভিসন ক্রিম কিসের কাজ করে এবং পেভিসন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম জানা নেই। আজকে আমরা সাইনোভিয়া ফার্মা পি এল সি কোম্পানির একটি উন্নত মানের ক্রিম নিয়ে আলোচনা করে যাচ্ছি। এই ক্রিম তৈরিতে তারা মোট দুটি উপাদান ব্যবহার করেছে। এই দুটি উপাদান আমাদের শরীরের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়।
আপনারা হয়তো অবগত আছেন আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ঔষধের তথ্য আপলোড করা হয় আজকেও তার ব্যতিক্রম হবে না। আজকের এই আর্টিকেল থেকে সবার প্রথমে আলোচনা করতে চলেছি এই ক্রিম কিসের কাজ করে এবং পেভিসোন ক্রিম এর উপাদানসমূহ সম্পর্কে।
এরপরে আমরা আপনাদের জানাবো সঠিকভাবে এই ক্রিমের কি পরিমান মাত্রা ব্যবহার করা যায় সেই সম্পর্কে। আশা করছি শেষ পর্যন্ত আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন এবং এখান থেকে জানতে পারবেন গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য যেটা আপনাদের ভবিষ্যতে কাজে আসবে।পেভিসোন ক্রিম একটি বহুল ব্যবহৃত ত্বকের ওষুধ যা বিশেষ করে ফাঙ্গাল সংক্রমণ এবং প্রদাহের জন্য ব্যবহৃত হয়।
পেভিসোন ক্রিম এর উপাদান
পেভিসোন ক্রিম হচ্ছে মূলত একটি এন্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং এন্টি-ফাঙ্গাল জাতীয় ওষুধ। যা ত্বকের বিভিন্ন ধরণের ক্ষতিকর ফাঙ্গাল সংক্রমণ এবং প্রদাহজনিত সমস্যার চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়।
এই ক্রিমের মূল উপাদানসমূহ হচ্ছে:
ইকোনাজল নাইট্রেট (1%):
- এটি হচ্ছে মূলত একটি শক্তিশালী এন্টি-ফাঙ্গাল এজেন্ট যা আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরণের ফাঙ্গাস নিরাময় করতে সহায়তা করে থাকে।
ট্রাইআমসিনোলোন এসিটোনাইড (0.1%):
- এটি হচ্ছে মূলত কোর্টিকোস্টেরয়েড, যা ত্বকের লালভাব, চুলকানি এবং প্রদাহ দূর করে। আবার এটি আরামদায়ক অনুভূতি দিতে কার্যকর এবং ত্বকের অস্বস্তি কমাতে সহায়ক।
পেভিসন ক্রিম এর উপকারিতা
পেভিসন ক্রিম আমরা অনেকেই দেহের চুলকানি দূর করার জন্য ব্যবহার করে থাকি। তবে এটি দেহের চুলকানি নিরাময় করার পাশাপাশি হাত-পায়ের দাগ দূর করতে সক্ষম। এছাড়াও, এই ক্রিম আমাদের দেহের আরও অনেক উপকারিতা দিয়ে থাকে, যা নীচে উল্লেখ করা হলো:
- পেভিসন ক্রিম এর মধ্যে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকার ফলে পায়ের যেকোনো ধরণের দাগ দূর করে দেয়।
- দাদ বা দাউদ থেকে যেই কালো দাগ সৃষ্টি হয়, সেটি দূর করতে বেশ ভালো উপকারি ভূমিকা পালন করে।
- বিভিন্ন কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন ধরণের চুলকানি দূর করতে সহায়তা করে।
- এলার্জিজনিত সমস্যা নিরাময়ে পেভিসন ক্রিম বেশ ভালো উপকারি ভূমিকা পালন করে।
- একজিমা, জীবাণুজনিত প্রদাহ, ছত্রাক ইত্যাদি প্রতিকারে এটি কার্যকর।
বিঃদ্রঃ যেকোনো ব্যবহারবিধির পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ আবশ্যক।
পেভিসন ক্রিম কেন ব্যবহার করা হয়
পেভিসন ক্রিম আমাদের দেহের যেকোনো ধরনের চুলকানি এবং প্রদাহ দূর করতে ব্যবহার করা হয়। এটি সাধারনত যেসব সমস্যার প্রতিকারে ব্যবহার করা হয়, তা নিম্নে উল্লেখ করে দেয়া হল:
- একজিমাটোস মাইকোসেস
- সোরিয়াসিস
- টিনিয়া পেডিস (অ্যাথলেটস ফুট)
- টিনিয়া করপোরিস (রিং ওরম)
- টিনিয়া ক্রুরিস (জক ইটছ)
- ইনফ্লামেটোরি ইন্টারট্রিগো
- ডায়াপার ডার্মাটাইটিস
পেভিসন ক্রিম (Pevisone Cream) একটি স্টেরয়েড-ভিত্তিক টপিক্যাল মলম, যা মূলত ত্বকের বিভিন্ন প্রদাহজনিত ও অ্যালার্জিক সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। নিচে এর ব্যবহার, উপকারিতা, সতর্কতা ও সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
পেভিসন ক্রিমের ব্যবহারের প্রধান কারণ
১। ত্বকের প্রদাহ ও অ্যালার্জিজনিত সমস্যা:
- একজিমা (Atopic Dermatitis)
- কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস (ত্বকে অ্যালার্জিক/ইরিট্যান্ট প্রতিক্রিয়া)
- সোরিয়াসিস (হালকা থেকে মাঝারি ক্ষেত্রে)
- লাইকেন প্ল্যানাস বা লাইকেন সিমপ্লেক্স ক্রনিকাস
২। চুলকানি ও র্যাশ:
- পোকামাকড়ের কামড়, ঘামাচি, বা ত্বকের জ্বালাপোড়ায় প্রশমন দেয়।
৩। অন্যান্য ব্যবহার:
- স্ক্যাল্পের শুষ্কতা বা সেবোরিক ডার্মাটাইটিস (চিকিৎসকের পরামর্শে)।
- ভালভার লাইকেন স্ক্লেরোসাস (যোনির বাইরের ত্বকের সমস্যা, তবে সতর্কতার সাথে)।
পেভিসন ক্রিম কিসের কাজ করে
সাধারণত পেভিসন ক্রিমে বিদ্যমান উপাদান গুলো বিস্তীর্ণ বনানী ছত্রাক বিরোধী হিসেবে কাজ করে থাকে। এটি মূলত নানান প্রকারের প্রদাহ ও বিভিন্ন চুলকানি এবং এলার্জি বিরোধী ভূমিকা পালন করে।
স্বাভাবিকভাবেই আপনারা যখন এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হবেন তখন অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাবেন তবে প্রথম দিকে অনেকেই এই রোগগুলোকে অবহেলা করে। এটা একেবারেই উচিত নয়। যদি এইগুলো শরীরে দেখা দেয় তাহলে বসে না থেকে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত এতে করে অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে পেভিসন ক্রিম ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ পাবেন।
আবার এই ক্রিমটি জীবাণু ও ছত্রাক মিশ্র সংক্রমণ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। যেমন একজিমা, এছাড়াও এটি ত্বকের ব্যাকটেরিয়া জনিত সমস্যার ক্ষেত্রে বেশ ভালো কার্যকারিতা প্রদান করে থাকে। এই ধরনের যে রোগগুলো রয়েছে সেগুলো আপনাদের কাছে খুব পরিচিত।
যেমন মনে করুন একজিমাটোস মাইকোসেস, সোরিয়াসিস, টিনিয়া পেডিস, ডায়াপার ডার্মাটাইটিস এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু রোগ আছে যেগুলো কখনো অবহেলা করতে হয় না। আপনি যদি সঠিক সময় সঠিক ডাক্তারের কাছে যান তাহলে অবশ্যই এই রোগগুলো থেকে রেহায় পেতে পারেন।
ইকোনাজোল: CYP3A4/2C9 দ্বারা বিপাকিত কমপিডির তাত্ত্বিক সম্ভাবনা, ওরাল অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট যেমন ওয়ারফারিন এবং অ্যাসেনোকোমারোল।পেভিসোন ক্রিম কিসের কাজ
ট্রায়ামসিনোলন: প্লাজমা স্যালিসিলেটের মাত্রা কমানো। এনএসএআইডিগুলির সাথে জিআই রক্তপাত এবং আলসারেশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
পেভিসন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম
সাধারণত দিনে দুইবার এই ক্রিম ব্যবহার করা যাবে আপনি চাইলে সকাল এবং সন্ধ্যাতে দুইবার এই ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন আক্রান্ত স্থানে। তবে একটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন অতিরিক্ত মাত্রায় ক্রিম কখনোই আক্রান্ত স্থানে দেবেন না যতটুকু দরকার একেবারে সামান্য সেখানে এপ্লাই করবেন।।
এরা ছিল প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসা। এই চিকিৎসা কাল আপনি দুই সপ্তাহের বেশি করতে পারবেন না অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় আপনাকে নির্ধারণ করে নিতে হবে।
শিশুদের ত্বক এমনিতেই অনেক কমল হয়ে থাকে তাই তাদের ক্ষেত্রে এই ধরনে ক্রিম ব্যবহার করলে সেটা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এই পেভিসন ক্রিম বাচ্চাদের শরীরে ব্যবহার করা যাবে কিনা তার সম্পর্কে আমাদের কাছে চতুর্থ আছে সেই মোতাবেক আমরা বলতে পারি এখানে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
পেভিসোন ক্রিম এর সঠিক ব্যবহারবিধি
সঠিকভাবে পেভিসোন ক্রিম ব্যবহার করলে দ্রুত উপকার পাওয়া সম্ভব। এর জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:
১। সংক্রমিত স্থান পরিষ্কার করুন:
- ক্রিম ব্যবহারের আগে সংক্রমিত স্থানটি হালকা সাবান এবং পানি দিয়ে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিন।
২। ক্রিম প্রয়োগ করুন:
- আক্রান্ত স্থানে হালকা স্তর হিসেবে ক্রিম লাগাতে হবে তারপরে সেখানে মৃদু হাতে মালিশ করুন যাতে এটি ভালোভাবে চারিদিকে শোষিত হয়।
৩। দিনে দুইবার ব্যবহার করুন:
- এই ক্রিম মূলত দিনে ২ বার (সকাল ও রাত) ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়।
৪। ব্যবহারের সময়কাল:
- আপনার ডাক্তারের নির্দেশনা মোতাবেক নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্যবহার করুন। আপনার ত্বকের সংক্রমণ একেবারে সেরে যাওয়ার আগে ব্যবহার বন্ধ না করা।
পেভিসন ক্রিম কি যোনিতে ব্যবহার করা যাবে?
পেভিসন ক্রিম (Pevisone Cream) মূলত একটি স্টেরয়েড-ভিত্তিক মলম, যা সাধারণত চর্মরোগ যেমন একজিমা, ডার্মাটাইটিস, অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া ইত্যাদির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এর প্রধান উপাদান ফ্লুওসিনোলোন অ্যাসেটোনাইড (Fluocinolone Acetonide)। যোনিতে (ভ্যাজাইনা) এই ক্রিম ব্যবহার করা নিরাপদ কিনা, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা নিচে দেওয়া হলো:
১. পেভিসন ক্রিমের সাধারণ ব্যবহার
- এটি ত্বকের প্রদাহ, চুলকানি, লালভাব ইত্যাদি কমাতে সাহায্য করে
- শুষ্ক ত্বক, সোরিয়াসিস বা ফুসকুড়িতেও ব্যবহৃত হয়।
২. যোনিতে ব্যবহারের সম্ভাব্য ঝুঁকি
- স্টেরয়েডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: যোনিপথের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল। স্টেরয়েড ক্রিম দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারে ত্বক পাতলা হয়ে যেতে পারে, জ্বালাপোড়া বা ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
- ইস্ট ইনফেকশনের সম্ভাবনা: স্টেরয়েড যোনির প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য নষ্ট করে ক্যান্ডিডা (ইস্ট) ইনফেকশন বাড়াতে পারে।
- অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: চুলকানি বেড়ে যাওয়া, র্যাশ, বা ফোলাভাব দেখা দিতে পারে।
৩. কখন ব্যবহার করা যেতে পারে?
শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শে অল্প সময়ের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, যদি যোনিপথের আশেপাশের ত্বকে (যেমন ভালভা) কোনো নির্দিষ্ট চর্মরোগ (যেমন লাইকেন স্ক্লেরোসাস) থাকে। যোনির ভিতরে (ভ্যাজাইনাল মিউকোসা) এটি সাধারণত নিরাপদ নয়।
৪. বিকল্প চিকিৎসা
যোনিতে চুলকানি বা ইনফেকশন হলে অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম (ক্লট্রিমাজল, মাইকোনাজল) বা প্রোবায়োটিক্স ব্যবহার করা উত্তম। হাইপোঅ্যালার্জেনিক ও ফ্র্যাগ্রেন্স-মুক্ত ময়েশ্চারাইজার (যেমন ভ্যাসেলিন) ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫. গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা
স্ব-চিকিৎসা এড়িয়ে চলুন: যোনিপথের সমস্যায় পেভিসন ক্রিম ব্যবহারের আগে অবশ্যই গাইনোকোলজিস্ট বা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ-এর পরামর্শ নিন। লক্ষণ অবহেলা করবেন না: যদি জ্বালাপোড়া, স্রাব বা ব্যথা বাড়ে,即刻 চিকিৎসা নিন।
৬. সাধারণ নির্দেশনা
- ব্যবহারের আগে যোনিপথ পরিষ্কার ও শুকনা রাখুন।
- ক্রিমটি শুধুমাত্র বাহ্যিক ত্বকে (ভালভা) প্রয়োগ করুন, ভ্যাজাইনাল ক্যানালে নয়।
- গর্ভাবস্থা বা স্তন্যদানকালে ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
- সর্বোপরি, যোনির স্বাস্থ্যসম্মত চিকিৎসার জন্য একজন বিশেষজ্ঞের নির্দেশনা অনুসরণ করুন।
পেভিসোন ক্রিম ব্যবহারের সতর্কতাসমূহ
পেভিসোন ক্রিম ব্যবহারের সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। তা না হলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
- খোলা ক্ষত বা সংক্রমিত জায়গায় প্রয়োগ করবেন না
- অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না
- চোখ, মুখ বা জিহ্বায় লাগতে দেবেন না
- গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য সতর্কতা
- পরিশেষে এই ক্রিম ব্যবহার করার আগে অবশ্যই একজন নিবন্ধিত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
পেভিসন ক্রিম এর দাম কত
সাইনোফিয়া ফার্মা পিএলসি এর এই পেভিসন ক্রিম বর্তমান দাম ৭০ টাকা। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনারা এটা ব্যবহার করবেন।
পেভিসন ক্রিম এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
পেভিসন ক্রিম এর উপকারিতার পাশাপাশি এটী ব্যবহারে বেশ কয়েকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে যা নিম্নে উল্লেখ করে দেয়া হলঃ
- ত্বকের জ্বালাভাব বা চুলকানি।
- লালভাব বা ত্বকের শুষ্কতা।
- দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে ত্বক পাতলা হয়ে যেতে পারে।
- যদি এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো গুরুতর হয়, তবে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
পেভিসন ক্রিম অধিকাংশ সময়ে আমাদের ত্বকে ভালো মতো কাজ করে। তবে অনেক সময় সামান্য লালচে ভাব বা হালকা জ্বালাপোড়া অনুভূত হতে পারে।
লেখকের শেষ মতামত
পরিশেষে, পেভিসন ক্রিম { Pevisone Cream } সাধারণত ছত্রাক জনিত সংক্রমণ বা ফাঙ্গাল সংক্রমণ এবং প্রদাহজনিত ত্বকের সমস্যা নিরাময় ব্যবহৃত হয়। পেভিসন ক্রিম মূলত স্টেরয়েড এবং এন্টিফাঙ্গাল উপাদানের মিশ্রণ, যা ত্বকের ফাঙ্গাস দূর করার পাশাপাশি প্রদাহ কমাতে ভূমিকা পালন করে।
পেভিসন ক্রিম অ্যাথলেটস ফুট, দাদ, ঘামের কারণে ত্বকের ভাজে ফাঙ্গাল ইনফেকশন এবং ক্যান্ডিডিয়াসিসের মত সংক্রমণ নিরাময়ের ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও যাদের ত্বকে এলার্জির কারণে লালচে দাগ বা প্রদাহ দেখা দেয়, তাদের জন্যও পেভিসন ক্রিম অনেক কার্যকরী।
এই ছিল আজকের পেভিসন ক্রিম কিসের কাজ করে এবং পেভিসন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কিত সকল তথ্য সংক্ষেপে বিস্তারিত জানাতে চেষ্টা করেছি। এর বাইরেও আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন। আশা করছি পেভিসন ক্রিম কিসের কাজ করে তা জানতে পেরেছেন।
এরপরও বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানাবেন। আর্টিকেলটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও পেভিসন ক্রিম কিসের কাজ করে সেই সম্পর্কে জানতে পারবে।
সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)
পেভিসোন ক্রিম কতদিন ব্যবহার করা উচিত?
ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী সাধারণত ২-৪ সপ্তাহ পর্যন্ত ক্রিম ব্যবহার করা হয়
এটি কি শিশুর জন্য নিরাপদ?
শিশুদের ক্ষেত্রে এই ক্রিমটি ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
এই ক্রিম কি মেলাজমার জন্য ব্যবহার করা যায়?
না, পেভিসোন মূলত ফাঙ্গাল সংক্রমণের জন্য ব্যবহৃত হয়। মেলাজমার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
পেভিসোন ক্রিম ত্বকের সংক্রমণ এবং প্রদাহজনিত সমস্যার জন্য একটি কার্যকর ওষুধ। সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে এটি দ্রুত উপকার প্রদান করতে পারে। পেভিসোন ক্রিম কিসের কাজ তবে, যেকোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে এটি ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।