বাংলাদেশের সব থেকে বড় সমস্যার মধ্যে বেকারত্বের সমস্যা অন্যতম। আর সেই বেকারত্বের হার কমাতে বাংলাদেশ-এর সরকারি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক দিচ্ছে প্রবাসী লোন। আপনি যদি দেশের বাহিরে যেতে চান কিন্তু টাকার অভাবে যেতে পারছেন না তাহলে আপনার জন্য রয়েছে সুবর্ণ সুযোগ।
বর্তমানে এই ব্যাংকটিতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন করা যাচ্ছে ঘরে বসেই। তাই এই পোস্ট-এ আমরা আপনাদের জানাব কিভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন করবেন এবং এই লোন পাওয়ার জন্য আপনার আর কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে, আপনার কি কি যোগ্যতা থাকলে ঋণ পাবেন, কত দিনের জন্য লোন পাবেন, সর্বোচ্ছ কত টাকা লোন দেওয়া হবে, এই লোনের জন্য কত % সুদ দিতে হবে।
সব কিছু জানতে পারবেন আজকের এই পোস্ট-এ। মাত্র ২ মিনিট সময় নিয়ে পড়লেই সব জানতে পারবেন। আমরা অযথা কথা বলে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করবনা। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন কি
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হল বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্রমালিকানাধীন বিশেষায়িত বাণিজ্যিক ব্যাংক। প্রবাসী বাংলাদেশীদের আর্থিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালে এই ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠা করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় কলম্বো প্রসেস এর ৪র্থ সম্মেলন চলাকালীন সময় ২০১১ সালের ২০ শে এপ্রিল এই ব্যাংকের শুভ উদ্বোধন করেন।
এরপর ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে দেশের ৫৮ তম ব্যাংক হিসেবে তফসিলি বিশেষায়িত ব্যাংকরূপে তালিকাভূক্ত করে। এটি মহান জাতীয় সংসদে ২০১০ সালের ৫৫নং আইন (প্রবাসী কল্যান ব্যাংক আইন-২০১০) এর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়।
এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্য কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে বিদেশে গমনেচ্ছু বাংলাদেশী বেকার যুবকদের সহায়তা প্রদান, প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেশে প্রত্যাগমনের পর কর্মসংস্থানের সহায়তা প্রদান, প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেশে বিনিয়োগে উৎসাহিতকরণ এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত ও ব্যয়-সাশ্রয়ী পন্থায় সহজে রেমিট্যান্স প্রেরণে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সহায়তা প্রদান।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন এর প্রকারভেদ
ব্যাংকটির বিভিন্ন ধরণের ঋণ সুবিধা চালু থাকলেও প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন প্রধানত ৪ প্রকার। যথা:
- অভিবাসন ঋণ
- পুনর্বাসন ঋণ
- অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ
- বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ
অভিবাসী কর্মীদের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের ঋণ সেবা দিয়ে আসছে। নিম্নে প্রবাসী কল্যান ব্যাংক এর বিভিন্ন ধরণের ঋণ সেবা সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।
১। অভিবাসন ঋণ
বৈধপথে বিদেশ গমণের সময় বিদেশ গমণের বৈধ কাগজপত্র দিয়ে প্রবাসগামী কর্মীরা ১ থেকে ৩ লক্ষ টাকা অভিবাসন ঋণ নিতে পারেন, যা দুই বছরের মধ্যে ২২ কিস্তিতে পরিশোধ করা যায়। সিঙ্গাপুরের ক্ষেত্রে ১০ কিস্তিতে এক বছরের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করতে হয়। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অভিবাসন ঋণের সুদের হার ৯%।
তাছাড়া, প্রবাসী কর্মীরা দেশে বেড়াতে এসে আবার বিদেশ ফেরত যাওয়ার সময় বিমান টিকিট বাবদ ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা অভিবাসন ঋণ নিতে পারেন, যা এক বছরের মধ্যে ১০ কিস্তিতে পরিশোধ করা যায়। এক্ষেত্রেও ঋণের সুদের হার ৯%। অভিবাসন ঋণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এই লিংক থেকে।
২। পুনর্বাসন ঋণ
বৈদ প্রবাসী কর্মীরা যদি বিদেশ হতে একেবারে চলে আসেন এবং দেশে কোন বৈধ প্রকল্প বা ব্যবসার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতে চান সেক্ষেত্রে, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের পুনর্বাসন ঋণের মাধ্যমে পুনর্বাসনের জন্যে প্রকল্পের ধরন অনুযায়ী ১ থেকে ৩ লক্ষ টাকা পুনর্বাসন ঋণ নিতে পারবেন।
এক্ষেত্রে, প্রকল্পের ধরন অনুযায়ী ঋণের কিস্তি ও গ্রেস পিরিয়ড নির্ধারিত হয়। এই ঋণেরও সুদের হার ৯%। পুনর্বাসন ঋণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এই লিংক থেকে। যারা বিদেশ থেকে দেশে ফিরে নিজের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চায় কিন্তু পর্যাপ্ত মূলধন নেই তাদেরকে পুনর্বাসন ঋণ দেওয়া হয়।
এক্ষেত্রে জামানত বিহীন সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়। আর জামানতের বিপরীতে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পেতে পারে। এ ঋণের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছর।
৩. অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ
বাংলাদেশের কোনো নাগরিক বৈধ ভিসায় কাজের উদ্দেশ্য বিদেশে গেলে তার আয়ের উপরে নির্ভরশীল দেশে থাকার তার পরিবারের সদস্যদের জন্য অথবা সে দেশে ফিরলে তার জন্য সহজ শর্তে যে ঋণ প্রদান করা হয় তাকে বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ বলে।
এই স্কিমের অধীনে একজন গ্রাহক জামানত ছাড়া সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা এবং জামানত জমা দিয়ে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ করতে পারে। স্কিমের মেয়াদকাল সর্বোচ্চ ১০ বছর।
উদ্দেশ্যে বিদেশে অবস্থান করলে সে ক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ঐ ব্যক্তি বা তার উপর নির্ভরশীল পরিবারের যেকোন সদস্য (পিতা, মাতা, স্বামী/স্ত্রী, প্রাপ্তবয়স্ক সন্তান, ভাই, বোন) কে সহজ শর্তে জামানতবিহীন/জামানতসহ বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ প্রদান করে।
এক্ষেত্রে প্রকল্পের ধরন অনুযায়ী আবেদনকারী ১ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারেন। প্রকল্প বা ব্যবসার ধরন অনুযায়ী কিস্তি ও ঋণের গ্রেস পিরিয়ড নির্ধারিত হয়। এক্ষেত্রেও ঋণের সুদের হার ৯%। বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এই লিংক থেকে।
৪. বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ
এই স্কিম নতুন চালু করা হয়েছে। ২০২০ সালের করোনা মহামারী এর পর থেকে বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ সুবিধা চালু করা হয়।
যেসকল প্রবাসী কর্মী করোনার কারণে দেশে ফিরে এসেছে তাদেরকে অথবা করোনা আক্রান্ত হয়ে বিদেশে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের পরিবারকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে এই ঋণ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
এই ঋণের ক্ষেত্রেও একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৩ বছর মেয়াদের সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা জামানত বিহীন ঋণ নিতে পারে। আর জামানত যুক্ত ঋণ পাবে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ। তবে গ্রুপ ঋণের ক্ষেত্রে প্রত্যেকে ৫ লাখ টাকা করে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা ঋণ নিতে পারবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি লাগে
অন্যান্য ব্যাংকিং কার্যক্রমের মতো এই ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে আপনাকে কিছু বৈধ কাগজপত্র জমা দিতে হবে। কি কি কাগজপত্র লাগে তা ঋণের ধরন ও টাকার পরিমাণের উপর নির্ভর করছে।
তবে সাধারণত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে যা যা কাগজপত্র লাগে তা হলো:
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভিসার ফটোকপি
- বিএমইটি কার্ডের ফটোকপি
- বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণ্য দলিল
- আবেদনকারীর সদ্যতোলা ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- দুই জন জামিনদারের প্রত্যেকের ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানার প্রামাণ্য দলিল।
- জামিনদারের যেকারো সাক্ষরকৃত ৩টি বৈধ ব্যাংক চেক
- ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি (পুনর্বাসন ও বঙ্গবন্ধু অভিবাসন ঋণের ক্ষেত্রে)
- প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য, ঠিকানা ও সর্বশেষ ১ বছরের আয়-ব্যয় বিবরণী সম্বলিত প্রতিবেদন (পুনর্বাসন ও বঙ্গবন্ধু অভিবাসন ঋণের ক্ষেত্রে)।
উপরে সকল ধরণের স্কিমের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের কথা উল্লেখ করেছি। এছাড়া এ
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন আবেদন সম্পর্কিত বিস্তারিত জানতে আপনার নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইল।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পাওয়ার যোগ্যতা
সকল আবেদনকারীই এই লোন নিতে পারবে না। এই লোনের জন্য উপযোগীদেরই কেবল ঋণ সুবিধা দেওয়া হবে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পাওয়ার যোগ্যতা হলো নিম্নরূপ-
- আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক ও বয়স ১৮ বা তার বেশি হতে হবে।
- যে শাখায় আবেদন করবে আবেদনকারীকে সেই শাখার বাসিন্দা হতে হবে।
- অন্যকোনো ব্যাংক বা NGO এর সাথে ঋণ খেলাপির ইতিহাস থাকা যাবে না।
- আবেদনকারীর সপক্ষে কমপক্ষে ২ জন জামিনদার থাকতে হবে এবং ঋণ পরিশোধে তাদেরকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হতে হবে।
- পুনর্বাসন ঋণ পাওয়ার জন্য ব্যবসায় বা প্রকল্পের ঠিকানা, উদ্দেশ্য সম্বলিত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
- অভিবাসন ঋণ পেতে আবেদনকারীর বিদেশে কাজের জন্য বৈধ ভিসা পেতে হবে।
উপরোক্ত শর্তগুলো পূরণ করতে পারলে আপনি Probashi Kallyan Bank Loan এর জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন ফরম আপনি চাইলে ব্যাংকে গিয়ে তারপরে সেখান থেকে নিয়েও পূরণ করে ব্যাংকের জমা দিতে পারেন অথবা আপনি চাইলে অনলাইন এর মাধ্যমেও ফরমটি পূরণ করে তারপরে ব্যাংকে গিয়ে জমা দিয়ে আসতে পারেন কোন সমস্যা নেই।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন এই লেখাটির উপর ক্লিক করলে আপনি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের যে লোন ফরমটি রয়েছে সেটা এখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন খুব সহজেই। আর এই ফর্মটি পূরণ করার পরে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন অনায়াসে।
এই ঋণগুলি অনলাইনেও আবেদন করা যেতে পারে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া:
১. প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে যান।
২. “ঋণ” ট্যাবে ক্লিক করতে হবে।
৩.আপনি যে ঋণের জন্য আবেদন করতে চান তার উপর ক্লিক করতে হবে।
৪. “অনলাইন আবেদন” বাটনে ক্লিক করতে হবে ।
৫.প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করতে হবে।
৬.প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে ।
৭. “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করতে হবে ।
অনলাইন আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য:
- আপনার নাম, পিতা/মাতার নাম, স্বামী/ স্ত্রীর নাম
- আপনার জন্ম তারিখ, লিঙ্গ, ধর্ম, জাতীয়তা
- আপনার বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা
- আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরির অভিজ্ঞতা
- আপনার আয়ের উৎস
- আপনার নমিনীর তথ্য
- আপনার ঋণের উদ্দেশ্য
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- আপনার ও নমিনীর ছবি
- আপনার ও নমিনীর জাতীয় পরিচয়পত্র
- আপনার আয়ের প্রমাণপত্র
- আপনার নমিনীর আর্থিক অবস্থার প্রমাণপত্র
- ঋণের উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনার বিবরণ।
আবেদন করার পর:
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন এ আপনার আবেদন জমা দেওয়ার পর, ব্যাংক আপনার আবেদনটি যাচাই করবে। যদি আপনার আবেদনটি অনুমোদিত হয়, তাহলে ব্যাংক আপনাকে একটি ঋণ চুক্তি পাঠাবে। ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করার পর, আপনি ঋণের টাকা পাবেন।
অনলাইন আবেদন সংক্রান্ত কিছু টিপস:
- আপনার আবেদনটি যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র আপলোড করতে হবে।
- আপনার আবেদনটি জমা দেওয়ার আগে পুনরায় পরীক্ষা করে নিন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা
এতক্ষণে বিভিন্ন ধরণের লোন সুবিধা সম্বন্ধে জেনেছেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে জানার আগে এই ঋণের সুবিধাগুলো জানা প্রয়োজন।
এবার আসুন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন এর সুবিধা কি কি আছে তা সম্পর্কে খানিকটা জেনে নিই। উপরের প্রকারভেদ দেখে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন আপনার কোন ধরণের লোন প্রয়োজন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন এ সুবিধা গুলো হল:
- সহজ শর্তে দ্রুত ঋণ সেবা পাওয়া যায়।
- সুদের হার অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের তুলনায় অনেক কম।
- জামানত বিহীন ঋণ সেবা পাওয়া যায় এবং জামানত যুক্ত বড় অঙ্কের ঋণ পাওয়া যায়।
- ঋণের অর্থ পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। ফলে ঋণ খেলাফি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
লেখকের শেষ মতামত
এই ছিল আজকের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন সম্পর্কিত সকল তথ্য। এখানে সংক্ষেপে বিস্তারিত জানাতে চেষ্টা করেছি। এর বাইরেও আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকি।
তো বন্ধু আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টটি পড়ে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন নিয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এরপরও বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করে জানাবেন। আর্টিকেলটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন সম্পর্কে জানতে পারবে। ধন্যবাদ।