গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে তলপেটে ব্যথা হয় কেন – গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথা হওয়াটা স্বাভাবিক। এই সময় নারীরা পেট ব্যথা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভোগেন। কেন গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথা হয় সেটি আপনি এই আর্টিকেল থেকে সম্পূর্ণ জানতে পারবেন। তবে জেনে রাখুন এই সময় এগুলো সাধারণ বিষয় তাই চিন্তার কারণ নেই। প্রতিটি গর্ভবতী নারী এই সমস্যায় ভুগছেন।
আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে, গর্ভাবস্থায় পেট ব্যাথা কারণ এবং গর্ভাবস্থায় পেট ব্যাথা হলে করণীয়। আপনি যদি একজন গর্ভবতী মহিলা হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে এগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। কারণ, অনেকে এই সময় অতিরিক্ত চিন্তা করে থাকে এর ফলে বাচ্চার এবং মায়ের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়। তাই, গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে পেটে ব্যথা হলে কি করবেন জেনে নিন।
গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে তলপেটে ব্যথা হয় কেন
বিভিন্ন কারণে গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে পেট ব্যথা হয়। গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথা হওয়ার কারণগুলো জেনে উল্লেখিত কারণগুলো এড়িয়ে চললে পেট ব্যথা থেকে সুস্থ থাকা যায়। গর্ভবতী প্রত্যেকটি মায়ের জানা প্রয়োজন কেন পেট ব্যথা হয়। গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে তলপেটে ব্যথা হয় কেন তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলঃ
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- উচ্চ রক্তচাপ
- প্রসাবে প্রোটিন
- জ*রায়ু সংক্রমণ
- ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া
- শারীরিক পরিশ্রম
কোষ্ঠকাঠিন্য: গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে তলপেটে ব্যথা হয় কেন তার প্রধান কারণ কোষ্ঠকাঠিন্য। গর্ভাবস্থায় প্রত্যেকটি গর্ভবতী মায়ের কমন একটি সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্য। গর্ভাবস্থায় খাবার হজম হতে চাই না। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় তলপেট ব্যথা করতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ: গর্ভাবস্থায় অনেকেরই প্রথম মাস থেকে রক্তচাপ কমবেশি শুরু হয়। কখনো কম কখনো বা বেশি। এমন সময় উচ্চ রক্তচাপ হলে তলপেট ব্যথা হয়।
প্রসাবে প্রোটিন: অধিকাংশ মহিলাদের গর্ভাবস্থায় প্রসাবের সাথে বিভিন্ন ভিটামিন ও প্রোটিন বেরিয়ে যাই। গর্ভাবস্থায় প্রসাবের সাথে প্রোটিন অথবা ভিটামিন বেরিয়ে গেলে পেট ব্যথার সৃষ্টি হয়।
জ*রায়ু সংক্রমণ: গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে তলপেটে ব্যথা হয় কেন তার একটি প্রধান কারণ জ*রায়ুর সংক্রমণ। অনেক মহিলা রই জ*রায়ুর সংক্রমণ থাকে কিন্তু গর্ভবতী হওয়ার পূর্বে বুঝতে পারেনা। গর্ভবতী হলে এ সংক্রমণ বৃদ্ধি পায় ফলে সংক্রমণ থেকে তলপেটে ব্যথার সৃষ্টি হয়।
ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া: গর্ভাবস্থায় ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দ্বারা গর্ভবতী মা সংক্রমিত হলে পেট ব্যথা হয়। ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হলে ডায়রিয়া হয় ফলে পেটের ব্যাথা দেখা দেয়।
শারীরিক পরিশ্রম: অনেক গর্ভবতী মহিলা রয়েছেন যারা গর্ভবতী অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে শারীরিক পরিশ্রম করেন। সংসারিক বিভিন্ন কাজকর্ম করেন। গর্ভাবস্থায় প্রচুর পরিমাণে শারীরিক পরিশ্রম করলে, ভারী উত্তোলনের মত কাজ করলে তলপেটে ব্যথা হয়।
তবে গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস শিশু দ্রুত বড় হওয়ার কারণে জরায়ু চারপাশে চাপ অনুভব হবে। এর ফলে গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হওয়া এবং মাঝে মাঝে পেটে তীব্র ব্যথা লাগতে পারে। মূলত, জরায়ুর পেশিগুলো দীর্ঘায়িত ও প্রসারিত হওয়ার কারণে গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে পেট ব্যথা হয়। এই সময় পেটে ব্যথা হওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। তাই, অতিরিক্ত চিন্তা করার কোন কারণ নেই।
গর্ভাবস্থায় পেটের ব্যথা অনেক কারণে হয়ে থাকতে পারে। কিছু কিছু কারণ রয়েছে যেমন; হরমোনের পরিবর্তন হলে ব্যথা হবে। এভাবে আরো কিছু কারণ রয়েছে যা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু, এমন ও কিছু কারণ রয়েছে যার ফলে অতিরিক্ত মাত্রায় পেটে ব্যথা হয়। যেমন; পিত্তথলি সমস্যা, মূত্রনালীর সংক্রমণ এবং কিডনিতে পাথর হলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।
গর্ভাবস্থায় তলপেট ভারী লাগে কেন
গর্ভাবস্থায় তলপেট ভারী লাগে কারণ ডিম্বানুর আকার বৃদ্ধি পায়। আপনার গর্ভের সন্তান সন্তান বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে জ*রায়ুর আকার বৃদ্ধি পায়। সন্তানের আকার বৃদ্ধি পেলে গর্ভাবস্থায় তলপেট ভারী হয়। তাছাড়া গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যায় তলপেট ফাঁপা ও ভারী হয়ে থাকতে পারে।
গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে তলপেটে ব্যথা হয় কেন এ প্রসঙ্গে অনেকে জিজ্ঞাসা করেন। গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে তলপেট ব্যথা হওয়ার একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথম অবস্থায় ১-৩ মাসের গর্ভবতী মেয়েদের সবচাইতে বেশি তলপেট ব্যথা হয়। গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথা হলে করনীয় হল সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
গর্ভাবস্থায় পেটে টান লাগা
গর্ভাবস্থায় একজন নারী শারীরিক বিভিন্ন অস্থিরতা অনুভব করে থাকেন। এটি বিভিন্ন কারণেও হতে পারে। গর্ভাবস্থা তার নিজের সাথে করে একজন নারীর জন্য প্রচুর পরিমাণে অদ্ভুত উপসর্গ নিয়ে হাজির হয়–মাথা ব্যাথা, বমি,হাতে পায়ে ব্যাথা, হাত পা ফোলা,মাথা ঘোরা,খেতে না পারা ইত্যাদি।
সাধারণ কিছু কারণ রয়েছে যার ফলে গর্ভাবস্থায় একজন নারী পেট টান টান অনুভব করে-
১. পেটে চাপ
সাধারণত শিশুটি বড় হতে থাকলে জরায়ু পেটে চাপ সৃষ্টি করে। তখনই পেট প্রসারিত হতে থাকে,এবং শক্ত হয়ে যায়।
২. পেট ফাঁপা ও গ্যাস
গর্ভাবস্থায় প্রায় প্রত্যেক নারীর গ্যাসের সমস্যা বা পেট ফাঁপা দেখা দেয়।এসময় সুষম ও স্বাস্থ্যকর ডায়েট না থাকার ফলেই এই ধরনের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
৩. শিশুর আন্দোলন
গর্ভাবস্থার সময়সীমা বাড়ার সাথে সাথে গর্ভের শিশু ও বাড়তে থাকে।তার সাথে শিশু হাত পাও কাজ করতে শুরু করে।এতে করে শিশুর লাথি ও চলন আপনার পেট আরও শক্ত এবং টান টান করে তুলতে পারে। এর মাধ্যমে আপনার শিশু যে সুস্থ রয়েছে তা আপনি জেনে স্বস্তি বোধ করবেন, কিন্তু শিশুর প্রতিটি আন্দোলনে আপনার পেট আরও শক্ত হতে পারে।
৪. অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া
অনেকেই ভেবে থাকেন যে গর্ভাবস্থায়, তাদের বেশি বেশু খাওয়া উচিত। ‘শিশু পেটে থাকার কারনে দুইজনের জন্য খাওয়া উচিত মনে করেন’ পুরানো এই ধারণা অনুসরণ করেন। কিন্তু এটা সত্যি নয়! আপনি গর্ভাবস্থায় দুইজনের হিসাব করে যদি খান, তাহলে আপনার অধিক খাওয়া হবে।এর ফলে,আপনার পেট ভরে উঠবে, শক্ত হবে এবং টানটান হবে।
৫.গর্ভপাত
গর্ভধারণের প্রায় ২৮ তম সপ্তাহ এর আগে গর্ভে শিশুর মৃত্যু হওয়াকে গর্ভপাত বলা হয়। পেট শক্ত হওয়ার পাশাপাশি যদি পেটে ব্যথাও থাকে তবে এটিকে গর্ভপাতের লক্ষণ ধরা যেতে পারে।
গর্ভাবস্থায় পেট টান টান হলে করণীয়
১. সাধারণ শরীরে যদি পানির অভাব থাকে বা পানিশূন্যতা দেখা দিলে পেটে টান অনুভূতি হতে পারে। এই জন্য গর্ভাবস্থায় যেন পানি শূন্যতা দেখা না দেয় তাই পর্যাপ্ত পরিমান পানি পানের চেষ্টা করুন । দিনে কমপক্ষে ২-৩লিটার পানি পান করুন। আর বেশি আপনি যতটা পারেন।
২. খাবার গ্রহণে আপনাকে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের ফলে পেট শক্ত হয়ে আসে তাহলে সারাদিনে অল্প অল্প খান তবে কয়েকবার খান। খাবারে আঁশ জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে রাখুন।
৩. গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন ২০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় পান করা থেকে এড়িয়ে চললুন। সাধারণত ২ কাপ কফিতে বা ২–৩ কাপ চায়ে এই পরিমাণ ক্যাফেইন পাওয়া যায়।
৪. নিয়মিত ব্যায়াম গর্ভাবস্থায় খাবার হজমে সাহায্য করে। তাছাড়া গর্ভাবস্থার নানান জটিলতা কমাতে সাহায্য করতে পারে এই ব্যায়াম ।গবেষণায় দেখা যায় যে, গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ব্যায়াম গর্ভবতীর জন্য নিরাপদ ও কার্যকর। এতে নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা হয়।
৫. যদি বুঝতে পারেন আপনার ব্র্যাক্সটন হিক্স সংকোচন হচ্ছে, তবে আপনি নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে ফেলুন। যেমন, যদি আপনি দাঁড়িয়ে থাকেন তবে বসে পড়ুন বা শুয়ে পড়ুন। তবে হ্যাঁ খেয়াল রাখবেন যেন তাড়াহুড়ো না করেন। দ্রুত জায়গা পরিবর্তন না করে ধীরে ধীরে করুন।
৬. গর্ভাবস্থায় অবশ্যই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করুন পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে । সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৭–৯ ঘণ্টা ঘুমানোকে আদর্শ ঘুমবলে ধরা হয়। এর থেকে কম ঘুম হলে তা আপনার ও গর্ভের শিশুর জন্য খুব ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে এবং গর্ভাবস্থায় জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।তাই গর্ভাবস্থায় নিয়ম করে ঘুম ও বিশ্রাম নিতে চেষ্টা করুন।
গর্ভাবস্থায় পেট চুলকায় কেন
কেন গর্ভাবস্থায় পেট চুলকায়? এটি একটি সাধারণ প্রশ্ন , যা বিভিন্ন শারীরিক এবং হরমোনের পরিবর্তন দ্বারা চিহ্নিত। যদিও এই পরিবর্তনগুলির মধ্যে কিছু অস্বস্তি দেখা দিতে পারে, যা গর্ভবতী মায়েদের কৌতূহলী এবং উদ্বিগ্ন রেখে যায়। একটি সাধারণ ঘটনা যা কিছু গর্ভবতী মহিলার পেটে চুলকানি হয়। এই ব্লগে, আমরা গর্ভাবস্থায় কেন পেট চুলকায় এবং এই অস্বস্তি দূর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করি।
কিছু সহজ কৌশল অনুসরণ করার মাধ্যমে গর্ভকালীন এই চুলকানি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। তবে কিছু ক্ষেত্রে চুলকানির সাথে এমন কিছু লক্ষণ থাকতে পারে, যা জটিল কোনো রোগ নির্দেশ করে। সেক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
গর্ভাবস্থায় পেট চুলকানোর প্রধান ৪টি কারণ নিম্নে তুলে ধরা হলঃ
১। ত্বক টানটান হওয়া: শিশুর বৃদ্ধি এবং জরায়ু প্রসারিত হওয়ার সাথে সাথে পাকস্থলীর ত্বক ক্রমবর্ধমান আকারের সাথে সামঞ্জস্য করার জন্য প্রসারিত হয়। এই দ্রুত প্রসারিত হওয়ার ফলে ত্বকের কোলাজেন ফাইবারগুলি ভেঙে যেতে পারে, যার ফলে গর্ভাবস্থায় পেটে চুলকানি হতে পারে।
২। হরমোনের পরিবর্তন: গর্ভাবস্থায় হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, বিশেষ করে ইস্ট্রোজেন। এই হরমোনের ওঠানামা ত্বকের আর্দ্রতার ভারসাম্যকে প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলেও গর্ভাবস্থায় শুষ্কতা এবং চুলকানি হতে পারে। প্রচুর পানি পান করা এবং মৃদু, সুগন্ধিমুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা ত্বকে হরমোনের পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সাহায্য করতে পারে।
৩। এলার্জি প্রতিক্রিয়া: কিছু গর্ভবতী মহিলার গর্ভাবস্থায় নতুন সংবেদনশীলতা বা অ্যালার্জি হতে পারে। এর ফলে পেট বা শরীরের অন্যান্য অংশে চুলকানি হতে পারে। চুলকানি প্রশমিত করার জন্য সম্ভাব্য অ্যালার্জেন, যেমন নির্দিষ্ট কাপড় বা ত্বকের যত্নের পণ্যগুলি সনাক্ত করা এবং নির্মূল করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করা নির্দিষ্ট কারণগুলি চিহ্নিত করতে এবং উপযুক্ত বিকল্পগুলি খুঁজে পেতে সহায়তা করতে পারে।
৪। লিভারের অবস্থা: বিরল ক্ষেত্রে, গর্ভাবস্থায় চুলকানি লিভারের অবস্থার একটি উপসর্গ হতে পারে যেমন কোলেস্টেসিস, একটি ব্যাধি যেখানে পিত্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। যদি চুলকানি গুরুতর হয়, বিশেষ করে হাত ও পায়ে, এবং গাঢ় প্রস্রাব বা জন্ডিসের মতো অন্যান্য উপসর্গের সাথে থাকে, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসার পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য।
গর্ভাবস্থায় পেট চুলকানি প্রতিরোধ ও উপশম
- হাইড্রেটেড থাকুন: পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান
- করা গর্ভাবস্থায় ত্বকের হাইড্রেশন এবং সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- আরামদায়ক পোশাক পরুন: ঢিলেঢালা, বাতাস চলাচল করবার মতো কাপড় ত্বকে ঘর্ষণ এবং জ্বালা কমাতে পারে। আঁটসাঁট পোশাক এরিয়ে চলুন।
- হালকা সাবান এবং ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন: ত্বকের জ্বালাপোড়ার ঝুঁকি কমাতে হাইপোঅ্যালার্জেনিক এবং সুগন্ধিমুক্ত পণ্য বেছে নিন।
- নিয়মিত ময়শ্চারাইজ করুন: পেট এবং অন্যান্য শুষ্ক জায়গায় একটি ময়েশ্চারাইজার বা তেল প্রয়োগ করা চুলকানি থেকে মুক্তি দিতে পারে এবং ত্বকের স্বাস্থ্যে অবদান রাখতে পারে।
- স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের সাথে পরামর্শ করুন: যদি চুলকানি ক্রমাগত, গুরুতর হয় বা অন্যান্য লক্ষণগুলির সাথে থাকে, তাহলে একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়ন এবং উপযুক্ত নির্দেশনার জন্য একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভাবস্থায় তলপেটে চিন চিন ব্যাথা
গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে তলপেটে ব্যথা হয় কেন তা অনেকেই জানেন না। গর্ভাবস্থায় তলপেটে চিনচিন ব্যথা হওয়ার একাধিক কারণ রয়েছে। গর্ভাবস্থায় প্রথম মাস থেকেই তলপেটে চিন চিন ব্যথা অনুভব করতে পারেন। গর্ভাবস্থায় তলপেটে একাধিক কারণে ব্যথা করে তবে চিনচিন ব্যথা জ*রায়ু ও প্রসবের ইনফেকশনের লক্ষণ। গর্ভাবস্থায় জ*রায়ুর আকার বৃদ্ধি পেতে থাকে এমন সময় তলপেটে চিনচিন ব্যথা অনুভব করতে পারেন।
লেখকের শেষ মতামত
বাচ্চা জন্মদান বা বাচ্চার মা হওয়া একজন মহিলার সবচেয়ে আনন্দের ও জীবনের পরিপূর্ণতা। তাই অনেক ধৈর্য্য, ঘাত-প্রতিঘাত, ব্যথা ও কষ্ট সহ্য করে সন্তান প্রসব করে মা হতে হয়। একজন প্রসূতি মা সন্তান জন্মদানের পরে সন্তানের মুখ দেখে ও পরবর্তিতে সন্তানের মুখে মা ডাক শুনে সকল ব্যথা ও কষ্ট ভুলে যায়।
আজকের এই আর্টিকেলে একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভাবস্থায় পেটের বাম দিকে যে ব্যথাগুলো হয় সেগুলো নিয়ে আলাপ আলোচনা করেছি। আশা করি এগুলো পড়ে আপনরা উপকৃত হবেন ও গর্ভাবস্থায় সবসময় সতর্কতা অবলম্বন করে চলবেন। সর্বোপরি সকল গর্ভবতী মা ও পেটের সন্তান সুস্থ থাকবেন এটাই আমার প্রত্যাশা।
সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
গর্ভাবস্থায় কোন মাস থেকে পেট ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক?
গর্ভধারণের শুরু থেকেই আপনার পেট ব্যথা হতে পারে। তবে সবার ক্ষেত্রেই যে এই সময় থেকে পেট ব্যথা হবে তা নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পেট ব্যথা তেমন দুশ্চিন্তার কারণ নয়। আবার গর্ভধারণের পরে পেট ব্যথা না হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথা কি সবার হয়?
গর্ভাবস্থায় হালকা পেট ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, প্রতি পাঁচ জন গর্ভবতীর মধ্যে চারজনেরই গর্ভাবস্থায় কোনো না কোনো সময়ে পেট ব্যথা হয়। বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম ২০ সপ্তাহে এটি দেখা যায়। অধিকাংশ পেট ব্যথা গর্ভকাল বাড়ার সাথে সাথে উপশম হয়। তবে মনে রাখতে হবে যে, পেট ব্যথার সাথে অন্যান্য জটিলতার কারণে ২৮ শতাংশ গর্ভবতী নারীর গর্ভপাত হয়ে থাকে।
গর্ভাবস্থায় পেটের টান কমানোর উপায়?
গরম পানিতে গোলাকার লিগামেন্টে টান লাগার কারণে যদি আপনার অল্প সময়ের জন্য ব্যথা হয়, তাহলে আপনি কীভাবে নড়াচড়া করবেন তা ভেবে দেখুন। হালকা স্ট্রেচিং করার চেষ্টা করুন। বিছানায় ঘুরতে যাওয়ার সময় বা চেয়ার থেকে ওঠার সময় একটু ধীরে ধীরে নড়াচড়া করুন, যাতে লিগামেন্টগুলি দ্রুত প্রসারিত না হয়।
পেটের বাম পাশে নিচে ব্যথা কেন হয়?
পেটের বাম দিকে ব্যথা বদহজম, গ্যাসের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া, ফুড পয়জনিং বা এমনকি অ্যালার্জির কারণেও হতে পারে। পাকস্থলী, অগ্ন্যাশয়, প্লীহা, কিডনি বা অন্ত্রের মতো অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির মধ্যে প্রদাহ সৃষ্টিকারী সংক্রমণ ব্যথা এবং জ্বালা সৃষ্টি করে।
গর্ভাবস্থায় প্রথম সপ্তাহে কি পেট ব্যথা হয়?
গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে পেটে ব্যথা, যা কিছুটা পিরিয়ডের ব্যথার মতো, খুবই সাধারণ । এগুলি সাধারণত আপনার হরমোনের পরিবর্তন এবং আপনার ক্রমবর্ধমান গর্ভের কারণে হয়। কখনও কখনও গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে পেটে ব্যথা আরও গুরুতর কিছুর লক্ষণ হতে পারে যেমন: অ্যাক্টোপিক গর্ভাবস্থা।