গর্ভাবস্থায় যদি জরায়ুর মুখ না খুলে তাহলে নরমাল ডেলিভারি সম্ভব হয় না। বাচ্চা প্রসবের সময় এমন অনেক জটিলতার সৃষ্টি হয় যে কারণে গর্ভে শিশুকে সিজারিয়ান মাধ্যমে ডেলিভারি করা হয়। এই জটিলতা গুলোর মধ্যে একটি কারণ হলো গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ না খোলা। আজকের আর্টিকেল এর মধ্যে আমরা এমনই কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি।
যেমন গর্ভাবস্থায় জরায়ু মুখ খোলার লক্ষণ, গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নামার লক্ষণ, গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নেমে গেলে করণীয়, জরায়ু নিচে নেমে গেলে কি কি সমস্যা হয় এবং জরায়ু নিচে নেমে যাওয়ার ব্যায়ামন। এই সবগুলো বিষয়ের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আজকের মূল বিষয় হলো গর্ভাবস্থায় জরায়ু মুখ খোলার লক্ষণ ও করণীয় কি। তাহলে চলুন দেরি না করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
গর্ভাবস্থায় জরায়ু মুখ খোলার লক্ষণ
জরায়ুর মুখ খোলার আগে শরীরে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। নিচের লক্ষণ গুলো দেওয়া হল।
- গর্ভাবস্থায় পেটের বাচ্চা নিচের দিকে নেমে আসা এবং উপরের পেট হালকা হয়ে যাওয়া ।
- জরায়ুর মুখ বারবার সংকুচিত এবং প্রসারিত হওয়া।
- জরায়ুর মুখ পাতলা হয়ে যাওয়া এবং প্রসারিত হওয়া ।
- অতিরিক্ত সাদা স্রাব যাওয়া।
- সাদাস্রাবের সাথে রক্তপাত হওয়া।
- স্তন বড় হওয়া বা ফোলা ফোলা ভাব হওয়া।
- পেট, পিঠ বা কোমরে ব্যথা হওয়া।
- শরীরে অস্বস্তি ভাব লাগা।
- পানি ভাঙ্গা।
আবার গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ আসফিয়া জাহান এই বিষয়ে কিছু উল্লেখযোগ্য লক্ষণ বলেহচনে। তিনি বলেন জরায়ুর মুখ কখন খুলে গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খোলার কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে। তবে, প্রত্যেক মহিলার অভিজ্ঞতা আলাদা হতে পারে। কিছু সাধারণ লক্ষণ অন্তর্ভুক্ত:
১. মিউকাস প্লাগের নির্গমন
গর্ভাবস্থার শেষে, যখন জরায়ুর মুখ খোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়, তখন এক ধরনের মিউকাস প্লাগ (শ্লেষ্মা প্লাগ) বেরিয়ে আসে। এটি জরায়ুর ভিতরকে সুরক্ষিত রাখে এবং গর্ভধারণের সময় এক ধরনের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। মিউকাস প্লাগের নির্গমন নির্দেশ করতে পারে যে জরায়ুর মুখ খোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
২. অবিরত সঙ্কুচিত অনুভূতি
জরায়ুর মুখ কখন খুলে অনেক সময়, গর্ভাবস্থায় ব্র্যাকস্টন হিক্স কনট্রাকশন, যা অনুশীলন কনট্রাকশন হিসেবে পরিচিত, জরায়ুর মুখ খোলার পূর্বে ঘটে থাকে। এটি সাধারণত ব্যথাহীন এবং অস্থায়ী, তবে এর মাধ্যমে গর্ভাশয়ের প্রস্তুতির একটি প্রমাণ পাওয়া যায়।
৩. মৃদু পেটের ব্যথা এবং চাপ
গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খুলতে শুরু করলে মায়ের পেটে চাপ এবং কিছু মৃদু ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এটি একটি সংকেত হতে পারে যে প্রসবের সময় নিকটে এসেছে। তবে, এই ব্যথা যদি তীব্র হয় বা ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পায়, তাহলে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে মায়েরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪. জল ভাঙা (Amniotic sac rupture)
গর্ভাশয়ের পানি বা এমনিওটিক স্যাক যখন ভেঙে যায়, তখন এটি জরায়ুর মুখ খোলার প্রক্রিয়ার একটি শক্তিশালী লক্ষণ হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, মায়ের জন্য জরুরি চিকিৎসা সহায়তা নেওয়া উচিত।
উপরোক্ত লক্ষণ গুলি দেখা দিলে বুঝবেন আপনার ডেলিভারির সময় হয়ে এসেছে। এবং যত দ্রুত সম্ভব নরমাল ডেলিভারি হয়ে যাবে।
গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নামার লক্ষণ
অনেক সময় বিভিন্ন কারণে জরায়ু নিচের দিকে নেমে যেতে পারে। একে ইউটেরাল প্রোলাপস বা পদ্মরোগ বলা হয়। জরায়ু নিচের দিকে নেমে যাওয়ার কিছু লক্ষণ রয়েছে। চলুন লক্ষণ গুলো কি কি জেনে নেওয়া যাক।
- যদি জরায়ু নিচের দিকে নেমে যায় তাহলে ভ্যাজাইনার মধ্যে ভারী ভারী অনুভব হয়।
- জরায়ু নিচের দিকে নেমে আসলে প্রস্রাব এবং পায়খানা করার সময় অসুবিধা হয়। বাইরের দিকে বের হয়ে আসে তখন সেটি আবার আঙ্গুল দিয়ে ভিতরের দিকে দিয়ে দিতে হয়।
- সহবাসের সময় ব্যথা অনুভূত হতে পারে এবং হাঁটাচলায় সমস্যা হয়।
- কোমরে এবং পিঠে ব্যথা হয়।
- সাদা স্রাব অথবা রক্তচাপ অনেক সময় ঘা জনিত কারণে পুঁজ, রক্ত স্রাব ক্ষরণ হতে পারে।
- শেষের দিকে জরায়ুতে ঘা বা ক্ষত সৃষ্টি এবং নানা রোকম জটিলতা দেখা দেয়।
সাধারণত অপারেশনের মাধ্যমে জরায়ু অপসারণ করা হয়। কিন্তু অপারেশন জটিল এবং দীর্ঘ ও ঝুঁকিপূর্ণ। আলোচনার প্রেক্ষিতে আপনারা হয়তো এতক্ষণে বুঝে গেছেন যে জরায়ু নিচে নেমে আসার প্রকৃত লক্ষণ গুলো কি।
জরায়ু নিচে নেমে গেলে কি কি সমস্যা হয়
এই সময়ে জরায়ু যোনিপথে অবস্থান করে। তবে যে সমস্যা এই সময়ে প্রধান হয়ে দাঁড়ায় তা হলো, প্রস্রাব ও পায়খানায় অসম্পূর্ণতা। জরায়ু নেমে আসার সময় এর সাথে মূত্রথলি ও মলাশয়ের কিছু অংশ নেমে আসে যা থলির মতো ঝুলতে থাকে, এই থলিতে কিছু প্রস্রাব ও পায়খানা আটকে থাকে।
হাঁচি বা কাশি দিলে এই আটকে থাকা প্রস্রাব ও পায়খানা হঠাৎ বের হয়ে আসে, তাই প্রস্রাব ও পায়খানা সম্পূর্ণ করতে এই সময়ে আঙ্গুল দিয়ে জরায়ুকে আবার ভিতরে ঢুকিয়ে দিতে হয়। জরায়ু সমস্যার প্রাথমিক এই পর্যায়ে তেমন কোন চিকিৎসা নেই। তবে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, শরীরচর্চা এবং শরীরিক ও মানসিক স্বাচ্ছন্দ্য এ অবস্থাকে কিছুটা উন্নত করতে পারে অথবা অবস্থা অপরিবর্তিত রাখতে পারে।
কিন্তু এ অবস্থায় আবার গর্ভধারণ করলে, আনাড়ি ধাত্রী দ্বারা প্রসব করালে, ভারী জিনিস উঠালে অথবা দীর্ঘস্থায়ী কাশি হলে এবং অনেকের ক্ষেত্রে মাসিক বন্ধ হওয়ার পর জরায়ু সম্পূর্ণ বের হয়ে আসে। কোন নারীর জরায়ু যখন যোনিপথ দিয়ে অসম্পূর্ণ বের হয়ে দু’পায়ের মাঝখানে ডিম বা বলের আকারে ঝুলতে থাকে তখন প্রস্রাব ও পায়খানার সমস্যা ছাড়াও তার স্বাভাবিক জীবনধারায় বিঘ্ন ঘটে।
তখন তিনি স্বাভাবিকভাবে বসতে পারেন না, হাঁটা-চলায় সমস্যা বোধ করেন ও সহবাসে তার সমস্যা হয়। পরবর্তীতে সেখানে ঘাঁ বা ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং নানা জটিলতা দেখা দেয়। সাধারণত অস্ত্রোপচার-এর মাধ্যমে তখন জরায়ু অপসারণ করা হয়। তবে অস্ত্রোপচারটি বেশ জটিল, দীর্ঘ ও ঝুঁকিপূর্ণ। জেলা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ব্যবস্থা আছে। তবে এ সময়ে সঠিকভাবে চিকিৎসা না নিলে বা আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থা না নিলে মা এবং বাচ্চার বেশ কিছু ক্ষতি হয়ে যায়।
মায়ের ক্ষতি
- ব্লিডিং হতে হতে মা শকে (জীবন বিপন্ন) চলে যেতে পারে এবং মৃত্যু ঘটতে পারে।
- সময়ের আগেই লেবার শুরু হওয়া।
- বাচ্চার পজিশন উল্টো হয়ে থাকা।
- জন্মের সময় প্রচুর রক্তক্ষরণ।
- জরায়ু ফেলে দিতে হতে পারে, যা মানসিকভাবে মা এবং তার পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
- পরবর্তী গর্ভের সময়ও একই রোগ হওয়া। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি আরেকটু জটিল হয়ে যায়।
বাচ্চার ক্ষতি
- কম ওজনের শিশু জন্মানো।
- অপরিপক্ক শিশু।
- জন্মগত ত্রুটি। স্বাভাবিকের তুলনায় তিন গুণ বেশি ঝুঁকি থাকে।
- জন্মের পরপর শ্বাসকষ্ট।
- মায়ের পেটেই মৃত্যু ঘটতে পারে।
চিকিৎসা
অবশ্যই একজন দক্ষ গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসা করাতে হবে। তাঁর পরামর্শ মতো চলতে হবে। পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। প্রস্রাব, পায়খানা বিছানায় করতে পারলে ভালো। একান্ত না পারলে, কারো সাহায্য নিয়ে বাথরুমে যেতে হবে। বাথরুম এটাচ হলে সবচেয়ে ভালো হয়।
বাম কাতে শোবার চেষ্টা করতে হবে। এতে বাচ্চা রক্ত ভালভাবে পাবে এবং মায়েরও শ্বাসকষ্ট হবে না। অল্প পরিমাণে ঘনঘন খেতে হবে। তিন বেলার জায়গায় পাঁচ বা ছয় বেলা খেতে হবে। প্রতিবার খাওয়ার সময় বাচ্চার নড়াচড়া গুনতে হবে।
গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নেমে গেলে করণীয়
গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নেমে গেলে করণীয় কি সে সম্পর্কে এবার আমরা জানবো। জরায়ুর মুখ যদি বাইরের দিকে বের হয়ে আসে তাহলে দেরি না করে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
ব্যায়াম এবং ওষুধের মাধ্যমে এটি চিকিৎসা করা হয়। তবে জটিলতা যদি বেশি হয় তাহলে অপারেশন করতেও হতে পারে। চিকিৎসা না করলে দুটি সমস্যা দেখা দিতে পারে একটি হলো এন্টারিওর অফ রোলাক্স এবং অপরটি পোস্টেরিয়র ভ্যাজাইনাল প্রলাপস।
- স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে হবে। পুষ্টিকর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সুস্থ থাকা যায়।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা জরুরী। তবে ভারী জিনিসপত্র তোলা যাবে না এবং কিছু করতে হলে কোমর বা পিঠে চাপ না দিয়ে পায়ের উপরে চাপ দিতে হবে।
- সন্তান ডেলিভারির সময় অবশ্যই অভিজ্ঞ ধাত্রী বা হাসপাতালে প্রসব করানো ভালো।
- প্রসবের পরবর্তী সময়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে।
- দীর্ঘ সময় ধরে কাশি, কোষ্ঠকাঠিন্য, প্রস্রাবের সমস্যা থাকে তাহলে চিকিৎসা করাতে হবে।
- সঠিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি মেনে চলতে হবে।
- দুই সন্তানের জন্ম দানের ব্যবধান যেন কখনোই দুই বছরের কম না হয়।
- নিয়মিত ফাইবারযুক্ত খাবার খেতে হবে।
- সবজি বা ফলমূল বেশি করে খেলেও এ ধরনের সমস্যা ঝুঁকি অনেকটাই কমে।
- ধূমপান করা যাবে না এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
জরায়ু নিচে নেমে যাওয়ার ব্যায়াম
গর্ভাবস্থার সময় পেশীশক্তি বাড়ালে তা আপনার জন্মদানের প্রক্রিয়ার সময় পেশী নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। এই পেশীগুলোর স্বাস্থ্য বজায় রাখলে গর্ভাবস্থার সঙ্গে জড়িত দুটি প্রধান সমস্যাকে লঘু করে তোলে – মুত্রথলির নিয়ন্ত্রণে অসুবিধা এবং হেমরয়েড্স।
পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ যেটি কিগেল ব্যায়াম নামে পরিচিত। এটি সাধারণত জন্মদানের পরে সুপারিশ করা হয়, কারণ এটি মূত্রথলির নিয়ন্ত্রণ ফেরাতে ও পেরিনিয়ামকে সাধারণ অবস্থায় ফেরত নিয়ে যেতে সাহায্য করে। এর বিষয়ে সবচেয়ে সুবিধার জিনিস হল এই যে এগুলো যে কোন সময়, যে কোন জায়গায় করা যায়, এবং কেউ জানতেও পারে না।
কীভাবে এই ব্যায়াম করবেন
এই ব্যায়ামের প্রাথমিক পর্যায় হল আপনার প্রস্রাব ধরে রাখার ভান করা। আপনার যোনীর পেশীগুলোকে ১০ সেকন্ডের জন্য সঙ্কুচিত করুন, তারপর আসতে আসতে শিথিল করে দিন। মাঝে মাঝে লোকে ভুল পেশীর ওপর চাপ দেয়, যার ফলে এই ব্যায়ামের কোন সুফল পাওয়া যায় না। পেশী সটান করার সময় আপনি নিজের যোনীর মধ্যে আঙুল দিয়ে দেখতে পারেন যে আঙুলের ওপর চাপ পড়ছে কি না।
যখন আপনি বুঝতে পারবেন আপনার শ্রোণীর বা “পেল্ভিক ফ্লোর”-এর পেশী কোনটা, তখন চেষ্টা করুন সেটাকে ৫-১০ সেকন্ড সঙ্কুচিত করে রাখতে, এবং তার পরে শিথিল করে দিন। এটা ১০-২০ বার করুন। চেষ্টা করবেন যেন শরীরের বাকী সব পেশী, যেমন পেট বা ঊরুর পেশী, সম্পূর্ণ শিথিল থাকে আপনার যোনীর পেশী সঙ্কুচন করানোর সময়। এটা মূত্রথলি খালি থাকলে করবেন, এবং পুরো ব্যায়ামের সময় স্বাভাবিক নিশ্বাস-প্রশ্বাস বজায় রাখবেন।
লেখকের শেষ মতামত
আমাদের দেশের বয়স্ক মহিলারা এই সমস্যায় বেশি পড়েন। তাদের মধ্যে অনেকেই অবহেলা ও অযত্নের আশঙ্কায় বলতে চায় না কাউকে এমনকি নিজের পরিবার থেকেও অনেক সময় লুকিয়ে রাখে। আপনার কাছের কেউ যদি এই রোগে ভুগে থাকেন তবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। অনেক বয়স হলেও বড় কোন শারীরিক সমস্যা না থাকলে অপারেশন করা যায়। বয়স হয়ে গিয়েছে ভেবে অবহেলা করা উচিত নয়। শেষ বয়সে এসে প্রস্রাব, পায়খানার কষ্ট কেউই চায় না। সচেতনতাই স্বস্তি।
আশা করি গর্ভাবস্থায় জরায়ু মুখ খোলার লক্ষণ ও করণীয় কি সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এই পোষ্টটি আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও গর্ভাবস্থায় জরায়ু মুখ খোলার লক্ষণ ও করণীয় কি সেই সম্পর্কে জানতে পারবে। এমন প্রয়োজনীয় ব্লগ পড়তে লার্ন-বিডি.কম ভিজিট করার অনুরোধ রইলো।