ফজরের কাজা নামাজ পড়ার সময় – কাজা নামাজের নিয়ত

নামাজ প্রত্যেক মুসলিমদের জন্য একটি ফরজ ইবাদত। কোনো যৌক্তিক কারণে যদি নামাজের ওয়াক্তের সময়ে নামাজ ছুটে যায় তাহলে সে নামাজ কাজা আদায় করতে হয়। কাজা নামাজের কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আমাদের জেনে রাখা উচিত।

ফজরের কাজা নামাজ পড়ার সময়

অনেক সময় ঘুম থেকে না জাগতে পারার কারনে ফজরের নামাজ কাজা হয়। সেক্ষেত্রে কিভাকে ফজরের কাজা নামাজ আদায় করবেন আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জেনে যাবেন। এছারাও কাজা নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন আজকের এই আর্টিকেলে। তো চলুন তাহলে বিস্তারিত শুরু করা যাক ফজরের কাজা নামাজ পড়ার সময় ও কাজা নামাজের নিয়ম সম্পর্কে।

কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত

নামাজ ইসলামের সবচেয়ে গুরত্বপূর্ন একটি ফরজ ইবাদত। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা) আল্লহর পক্ষ থেকে তার উম্মাহদের নামাজ পড়ার জন্য তাগিদ দিয়েছেন। পবিত্র আল কুরআনে মহান আল্লহ তায়ালা ৮২ বার সালাত শব্দটি বলেছেন এবং এর গুরত্ব বর্ননা করেছেন। নামাজের স্থান ইমানের পর পরই। নামাজ না পড়ার শাস্তি যেমন আখিরাতে রয়েছে তেমনি দুনিয়ার জীবনেও রয়েছে। প্রত্যেক মুসলিমের জন্য দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে।

আর এ নামাজের পত্যেকটি ওয়াক্তের একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। সে সময়ের মধ্যেই প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজ আদায় করে নিতে হবে। তবে যৌক্তিক কোনো কারনে অথবা গভির ঘুমের কারনে কোনো ওয়াক্তের নামাজ যদি সময়ের মধ্যে আদায় করতে না পারে তাহলে ওই নামাজ সময়ের পর পড়ার পদ্ধতিকে কাজা নামাজ বলা হয়। আমাদের মধ্যে অনেকের নামাজ কাজা হয়ে থাকে। তাই জেনে নিন কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে।

১. ফরজ নামাজ যদি সময়ের মধ্যে পড়তে না পারেন তাহলে সময় পার হওয়ার পর সে নামাজ কাজা পড়া ফরজ আর ওয়াজিব নামাজ কাজা পড়া ওয়াজিব। সুন্নাহ নামাজের কাজা না পড়লে কোনো অসুবিধা নেয়। তবে সুন্নাহ পড়া ভালো।

২. ফিকহে কিতাব থেকে পাওয়া যায়, ফজরের ছুটে যাওয়া কাজা নামাজ যদি সেইদিন যোহরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগেই কাজা করে নেওয়া হয় তাহলে দুই রাকাত সুন্নাত ও ফরজ দুটোই পড়তে হবে। আর যদি জোহরের ওয়াক্ত পড়ার পর কাজা আদায় করে তাহলে শুধু দুই রাকাত ফরজ পড়লেই হবে, সুন্নাত পড়ার প্রয়োজন নেয়। ( সুনানে তিরমিজি: ৪২৩)।

৩. ওয়াক্তে নামাজ যে নিয়মে সুরা-কেরাত পড়ে আদায় করতে হয় ঠিক সে নিয়মে সুরা-কেরাত পড়ে কাজা নামাজ আদায় করতে হবে।

৪. নামাজ কাজা হয়ে গেলে যখনই আপনার নামাজের কথা মনে হবে তখনই কাজা নামাজ পড়ে নেবেন। নামাজ কাজা হয়ে গেছে ভেবে যখন ইচ্ছা পড়া ভুল পদ্ধতি। এমন অনেকেই রয়েছেন যারা ভাবে নামাজতো কাজা হয়েই গেছে তা যখন খুশি পওে, পড়লেই হয়ে যাবে। এটি একেবারেই অনুচিত।

৫. নামাজের কিছু নিষিদ্ধ সময় রয়েছে যে সময়গুলোতে নামাজ পড়ার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আর সে সময় গুলোতে কাজা নামাজের কথা মনে পড়লেও, পড়া যাবে না। সেক্ষেত্রে সময় পার হওয়ার সাথে সাথে পড়ে ফেলতে হবে।

আরো পড়ুনঃ-  তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কখন জানুন

অতএব, নামাজ যদি ছুটে যায় তাহলে তা কাজা পড়া আবশ্যক।

কাজা নামাজের নিয়ত

কুরআন ও হাদিসে একাধিক বার নামাজ পড়ার কথা বলা হয়েছে। নামাজ পড়তে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। রাসুল (সা.) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, উত্তম আমল কোনটি? তিনি উত্তরে বলেছিলেন ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে নামাজ পড়া। তাই চেষ্টা করতে হবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নামাজ পড়ে নেওয়া এবং কোনোভাবেই সময় পার না হওয়া, এমনকি সফরে থাকলেও। তবে এমন অনেক মূহুর্ত আসে যে সময়ে নামাজ ছুটে যায়। আর সে নামাজগুলো সময় পাওয়ার সাথে সাথে পড়ে নিতে হয় যাকে কাজা নামাজ বলা হয়ে থাকে।

যেকোনো ইবাদতের ক্ষেত্রে নিয়ত করা জরুরি। ওয়াক্তের নামাজে যেমন নিয়ত করতে হয় তেমনি কাজা নামাজ আদায়ের সময় নিয়ত করতে হবে। জেনে নিন কাজা নামাজের নিয়ত সম্পর্কে।

কাজা নামাজের নিয়ত: সাধারণত ওয়াক্তের সালাত আদায়ের সময় যে নিয়মে নিয়ত করেন সেই নিয়মেই কাজা নামাজের নিয়ত করতে হবে শুধু সামান্য একটু পার্থক্য রয়েছে আর সেটি হলো- আরবিতে নিয়ত করলে, আন উসাল্লিয়া’ শব্দের জায়গায় আন আকদিয়া’ পড়তে হবে। আর আপনি যে ওয়াক্তের কাজা নামাজ পড়বেন অর্থ্যাৎ ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব কিংবা এশার এগুলোর নাম বলতে হবে যেভাবে ওয়াক্তের নামাজে বলেন।

সেক্ষেত্রে আপনি যদি ফজরের কাজা নামাজের নিয়ত করেন তাহলে আরবি-

উচ্চারণ: নাওয়াইতুয়ান আকদিয়া লিল্লাহি ত’আলা রাকাআতি ছালাতিল ফাজরি ফায়েতাতি ফারযুল্লাহি তা’য়ালা মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লহু আকবার।

অর্থ: আমি কিবলামুখী হয়ে আল্লহর উদ্দেশ্যে ফজরের দুই রাকাত কাযা নামাজ আদায় করছি। আল্লহু আকবার।

ওয়াক্তের নামাজেও আমরা এ নিয়মে নিয়ত করে থাকি। তবে এভাবে মুখে উচ্চারন করে নিয়ত করা সমাজের প্রচলিত একটি পদ্ধতি। এ নিয়মে আমাদের রাসুল (সা.) নিয়ত করেন নি। কোনো হাদিস বা কুরআন থেকেও এটি বর্নিত নয়। নিয়ত অর্থ-ইচ্ছা বা সংকল্প, আর ইচ্ছা হবে অন্তর থেকে। যেকোনো ইবাদতের ক্ষেত্রে মৌখিক নিয়তের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেয়। যেকোনো ইবাদতের ক্ষেত্রে নিয়ত করা অবশ্যই করতে হবে। তবে তা হবে অন্তর থেকে, মুখে উচ্চারন করা জরুরি নয়। আর এভাবে আমাদের প্রিয় নবী ও তার সাহাবারা নিয়ত করতেন না।

সুতরাং কাজা নামাজ পড়ার সময়ে মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত বলা অত্যবশকীয় নয়। বরং অন্তরে ইচ্ছা নিয়ে আল্লহু আকবার বলে নামাজ শুরু করে দেবেন।

ফজরের কাজা নামাজ পড়ার সময়

নামাজ অত্যবশকীয় একটি ফরজ ইবাদত। প্রাপ্ত বয়স্ক সকল নারী ও পুরুষের জন্য ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দেওয়া হয়েছে। ৫ ওয়াক্ত সালাত শুরু হয় ফজর থেকে। এ নামাজের মাধ্যমে মুমিন ও মুনাফিকদের পার্থক্য করতে শেখায়। কারন যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ নিয়মিত পড়ে সে ব্যক্তি মুমিন হিসেবে গন্য। আর মুমিন ছাড়া, মুনাফিকদের ফজর নামাজ পড়া কষ্টকর।

তবে আমাদের মধ্যে যারা নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে তাদের অনেক সময় ফজরে ঘুম ভাঙ্গে না। যার ফলে ফজরের নামাজ কাজা হয়। এখন প্রশ্ন হলো ফজরের কাজা নামাজ পড়ার সময় কখন? চলুন বিস্তারিত জেনে নিই ফজরের কাজা নামাজ পড়ার সময় কখন।

আরো পড়ুনঃ-  তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন মহিলাদের

অতিরিক্ত ঘুমে যদি ফজরের নামাজের সময়ে ঘুম থেকে জাগ্রত হতে না পারেন। তাহলে সে নামাজ কাজা পড়া আবশ্যক। আর যখনি ঘুম ভাঙবে এবং স্মরন হবে যে নামাজ ছুটে গেছে ঠিক তখনি তাড়াতাড়ি করে কাজা নামাজ আদায় করে নিতে হবে। তবে নামাজের নিষিদ্ধ সময়ে কাজা নামাজ পড়া নিষেধ। তাই যখন সূর্যদোয় হবে ঠিক তখন থেকে শুরু করে যতক্ষন না আলো ভালোভাবে ছড়িয়ে পড়বে ততক্ষন নামাজ পড়া নিষেধ। এ সময় কাজা নামাজ ও পড়া যাবে না। সেক্ষেত্রে সূর্যদোয়ের ১০ মিনিট পরে কাজা নামাজ আদায় করে নিতে হবে।

তবে মনে রাখবেন নামাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পড়া ফরজ। সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যোদয় হওয়া পর্যন্ত সময়টা ফজর নামাজের সময়। আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে কিংবা অবহেলায় নিয়মিত ফজর নামাজ কাজা করে পড়লে তা আদায় হবে না। তাই নামাজের ব্যপারে অধিক সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে। আর সতর্ক হওয়া সত্ত্বেও যদি কাজা হয়েও যায় তাহলে নামাজের নিষিদ্ধ সময় ব্যতীত যত দ্রুত সম্ভব তা পড়ে নিবেন।

কাজা নামাজ সম্পর্কে হাদিস

প্রত্যেক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। সে সময়ের মধ্যে নামাজ পড়া ফরজ। তবে যৌক্তিক কোনো কারনে বা গভীর ঘুমের কারনে ওয়াক্তের সময়ে নামাজ পড়তে না পারলে পরবর্তী সময়ে সে নামাজ কাজা পড়ে নিতে হয়। শরীয়তে কাজা নামাজ পড়ার হুকুম দেওয়া হয়েছে। কাজা নামাজ সম্পর্কে বহু হাদিস বর্নিত হয়েছে। চলুন জেনে নিই কাজা নামাজ সম্পর্কে হাদিসগুলো কি।

*আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি কোনো নামাজ পড়তে ভুলে যায় অথবা ঘুমিয়ে পড়ে তাহলে তার কাফফারা হলো স্মরন হওয়া মাত্র তা পড়ে নেওয়া।” ( বুখারী, মুসলিম)

*কোনো ওজর বা অপারগতার কারনে নামাজ সময়মতো আদায় করতে না পারলে উক্ত অপারগতা শেষ হওয়ার পর ওই নামাজের কাজা আদায় করা ফরজ।” (বুখারি, হাদিস ৫৬২)

* যদি ফজরের নামাজ সুন্নতসহ কাজা হয়ে যায়, তবে সূর্য ঢলে যাওয়ার আগে আগে ফরজের সঙ্গে সুন্নতও কাজা করতে হবে। (আবু দাউদ, হাদিস ৭৫)

তবে মনে রাখবেন, হাদিসে কাজা নামাজের কথা উল্লেখ থাকলেও নিয়মিত কাজা আদায়ের নামাজ কবুল হবে না। বর্তমান সময়ে আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ রয়েছে যারা নামাজের ওয়াক্তের সময়ে অযৌক্তিক কারনে নামাজ পড়ে না। অতঃপর অহেতুক কারন দেখিয়ে নামাজ কাজা আদায় করে।

সারা জীবনের কাজা নামাজ আদায়ের নিয়ম

কিয়ামতের দিন সর্বোপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে নামাজের। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ে নামাজ আদায় করা ফরজ। তবে আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছে যাদের ওপর নামাজ ফরজ হয়ে গেছে অথচ নামাজ পড়েনি। কিন্তু এখন তার ভুল বুঝতে পেরে আল্লহর পথে ফিরে এসেছে। আর সে কারনে তার পূর্বের নামাজগুলো ছুটে আছে। সেক্ষেত্রে সারা জীবনের কাজা নামাজ আদায়ের নিয়ম কি চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

পূর্বের ছুটে যাওয়া নামাজগুলো না পড়ার কারনে কাজা নামাজ পড়তে হবে কি হবে না-এ বিষয় নিয়ে আলেমদের মতদ্বৈধতা রয়েছে। একদল আলেমদের মতে না পড়া নামাজগুলোর সমাধান কখনও তওবা দিয়ে হয় না, কাজা আদায় করা জরুরি। কারণ হাদিস থেকে বর্ণিত-রাসুল (সা.) বলেছেন, কেউ যদি নামাজের কথা ভুলে যায় সে যেন স্মরন হওয়া মাত্রই তা আদায় করে নেয়। ( মুসলিম: ৬৮৪)

আরো পড়ুনঃ-  তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল বিস্তারিত জানুন

সেক্ষেত্রে হিসাব করে নিবে সে জীবনে কত ওয়াক্ত নামাজ কাজা করেছে এবং সে অনুযায়ী তাকে কাজা নামাজ পড়ে নিতে হবে। মনে মনে এই বলে নিয়ত করবে, আগে ছুটে যাওয়া জোহর বা আসর এভাবে ওয়াক্তের নাম বলে নিয়ত করবে।

তবে আরেকদল আলেমদের মতে, সারা জীবনের সালাতের এভাবে কাজা হয় না। তাদের মতে দৈনিক ওয়াক্তের নামাজ যদি ঘুমের কারনে অথবা ভুলবশত ছুটে যায় তাহলে সে নামাজ স্মরন হওয়া মাত্রই পড়ে নিতে হবে, সেটাই হবে তার জন্য ওই নামাজের ওয়াক্ত। তাই তাদের মতে যেদিন থেকে আপনার নামাজের জ্ঞান এসেছে সেদিন থেকে আগের নামাজগুলোর জন্য ক্ষমা চাইবেন। আর বেশি বেশি সুন্নাহ ও নফল নামাজ এবং নফল ইবাদত করবেন। কারণ হাদিসে এসেছে বেশি বেশি নফল ইবাদতগুলো করলে ফরজের ঘাটতি পূরন হয়ে যায়।

সুতরাং সারা জীবনের ছুটে যাওয়া নামাজগুলোর থেকে সমাধান পেতে, বেশি বেশি নফল নামাজ ও নফল ইবাদতগুলো করবেন এবং মহান আল্লহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।

নামাজ কাজা করার শাস্তি

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ প্রাপ্তবয়স্ক প্রত্যেক নারী ও পুরুষের জন্য ফরজ করা হয়েছে। মহান আল্লহ পবিত্র কুরআনে অনেক বার নামাজের কথা তুলে ধরে এর গুরুত্বারোপ করেছেন। নামাজের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যান লাভ করা যায়। মুমিন ব্যক্তির প্রধান পরিচয় হলো নামাজ। নামাজ হলো বেহেশতের চাবিকাঠি। নামাজ আল্লহর নৈকট্য লাভের অনত্যম একটি মাধ্যম। এজন্যই ইমানের পর নামাজের স্থান।
তবুও আমরা নামাজে অনীহা প্রকাশ করি। কেউ আছে নামাজ একেবারেই পড়ে না। আবার এমন এক দল আছে যারা ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে ঠিক, কিন্তু তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পড়ে না। নিয়মিত নামাজ কাজা করে আদায় করে। তবে নামাজ অহেতুক কাজা করা একেবারেই নিষিদ্ধ। এর পরিনতিও ভয়াভহ। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক নামাজ কাজা করার শাস্তি সম্পর্কে।

নিয়মিত নামাজ কাজা করা শরিয়তে গ্রহনযোগ্য নয়। এটি এক প্রকার আল্লহর হুকুম অমান্য করা। নামাজ কাজা করার ফলে একদিকে যেমন সওয়াব থেকে বঞ্চিত হবে অন্যদিকে এর জন্য রয়েছে পরকালে শাস্তি। নামাজ বিভিন্ন অজুহাতে কাজা করা এবং না পড়া দুটিই সমান অপরাধ। এর জন্য রয়েছে পরকালে ভয়ঙ্কর আজাব।

পবিত্র আল কুরআনে এসেছে-কিয়ামতের দিন জাহান্নামীদের জিজ্ঞাসা করা হবে, কেন তোমরা সাকার নামক জাহান্নামে এলে? তারা বলবে আমরাতো নামাজি ছিলাম না…(সুরা মুদ্দাসসির: ৩৮)
নামাজ কাজা করা ব্যক্তি কুফরিদের অন্তর্ভূক্ত। নামাজ না পড়া ব্যক্তিকে কুফরি গুনাহ নিয়ে আল্লহর সামনে হাজির হতে হবে। যার পরিমাণ হলো জাহান্নামের ভয়াভহ শাস্তি। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, নবী ও হেদায়েত প্রাপ্তদের পর এলো এমন এক অপদার্থ বংশধর, যারা নামাজ বিনষ্ট করলো এবং প্রবৃত্তির পূজারি হলো। সুতরাং তারা গাই’ নামক জাহান্নামে শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে। ( সুরা মরিয়ম: ৫৯-৬০

কিয়ামতের দিন সর্বোপ্রথম নামাজের হিসাব নেওয়া হবে। আর অহেতুক কারনে নামাজ কাজা করার রয়েছে কঠিনতম শাস্তি। তাই নামাজকে অবহেলা করা যাবে না। নামাজের প্রতি যতœবান হতে হবে এবং কাজা পড়া থেকে দূরে থাকতে হবে। নামাজ ওই হবে কিয়ামতের দিন নাজাতের কারণ।

Leave a Comment