সানস্ক্রিন ক্রিম কোনটা ভালো – সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম

আপনি যদি ত্বকে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে চান তাহলে তার আগে আগে জেনে নিন সানস্ক্রিন সানস্ক্রিন ক্রিম কোনটা ভালো ও সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম। আমাদের প্রত্যকের দেহের ত্বক ভিন্ন হয় আবার অনেকের ত্বকের সমস্যাও আলাদা আলাদা টাইপের হলেও, রোদে পোড়ার ক্ষেত্রে ত্বকের সমস্যা কিন্তু বলতে গেলে একই রকম। কানাডিয়ান ডার্মাটোলজি অ্যাসোসিয়েশন (CDA) থেকে ত্বকে ক্যান্সারের প্রকোপ স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

সানস্ক্রিন ক্রিম কোনটা ভালো

সূর্যের দুই রকম রশ্মি ইউভি-এ এবং ইউভি-বি‌ উভয়ই ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই বাইরে বের হওয়ার অন্তত ২০-৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। রোদ না থাকলে অর্থাৎ আকাশে মেঘলা থাকলেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। তবে সানস্ক্রিন ব্যবহারের আগে ত্বকে সামান্য পরিমাণ ময়শ্চারাইজার এপ্লাই করে নিলে সারাদিন ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে।

সারাদিন যদি বাড়িতে অবস্থান করেন তাও ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পরপর সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন। এতে করে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে ত্বক পুরোপুরি ভাবে রক্ষা পাবে। সানস্ক্রিন ক্রিম কোনটা ভালো ও সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে এই আর্টিকেলটি মনযোগ দিয়ে পড়ুন।

সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহারের উপকারিতা

আমাদের ত্বকের সবথেকে বেশি ক্ষতি করে সূর্য। সানস্ক্রিন ক্রিম আমাদের ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহারের ফলে আমাদের ত্বক অনেকটা মসৃণ ও কোমল থাকে। সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহারের আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিম্নে সানস্ক্রিন ক্রিম এর উপকারিতা আলোচনা করা হলো:

সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহারের ফলে আমাদের ত্বকে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমায়। কারন সানস্ক্রিন ক্রিম সূর্যের ইউভিএ রশ্মি ও ইউভিবি রশ্মি থেকে আমাদের ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। যাতে আমাদের ত্বকে গভীরে সূর্যের ইউভিএ রশ্মি প্রবেশ করতে পারেনা। ফলে আমাদের ত্বকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।

সানবার্ন এবং সানস্পট প্রতিরোধ সানস্ক্রিন ক্রিমের কার্যকারিতা অনেক। নিয়মিত সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহারের ফলে সানবার্ন এবং সানস্পট হয় না যার কারনে আমাদের ত্বকের বর্ণ একই রকম থাকে। সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহারে আমাদের ত্বকে মাত্রাতিরিক্ত মেলানিন জমা হয় না। ফলে আমাদের ত্বকে উজ্জলতা ‍বৃদ্ধি পায়।

সানস্ক্রিন ক্রিম আমাদের ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকে বাঁচায়। নিয়মিত সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহারে সূর্যের ইউভি রশ্মি ত্বকের কোলাজেন এবং ইলাস্টিন ভেদ করতে পারে না। ফলে আমাদের ত্বক কুঁচকে ‍যাওয়া থেকে রক্ষা হয় এবং টান টান ভাব ধরে রাখে।

আরো পড়ুনঃ-  দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা - মুরগির ডিমের পুষ্টিগুন

সানস্ক্রিন ক্রিম আমাদের ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয়না। কারন সানস্ক্রিন ক্রিম ত্বকের রিঙ্কল এবং ফাইন লাইন কমাতে সাহায্য করে। ফলে আমাদের ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া থেকে বিরত থাকে এবং আমাদের মুখের গঠন বজায় থাকে।

সানস্ক্রিন ক্রিম কোনটা ভালো

সানস্ক্রিন ক্রিম কোনটা ভালো তা বিস্তারিত তথ্য নিচে উল্লেখ করা হলঃ

স্কিন ক্যাফে সানস্ক্রিন: এই সানস্ক্রিন টি এসপিএফ ৫০ সমৃদ্ধ হওয়ায় সূর্যের অতিরিক্ত তাপ এর হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। সূর্যের ইউ ভি রশি থেকে ত্বকে ৯৮ ভাগ প্রটেক্ট করতে পারে। এই ক্রিম যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একনি দূর করার জন্য ব্যবহার করা হয় তারপরে সব ধরনের স্কিনের জন্য এই ক্রিম অনেক ভালো। 

সারমেডিক সুপার সিরামাইড ১০০টিএম প্রোটেকশন সানস্ক্রিন: দীর্ঘদিন এই সানস্ক্রিন টি ব্যবহারের ফলে ত্বকের উপরিভাগ শক্তিশালী হয়। এন্টি এজিং এর বিরুদ্ধে বেশ ভালো কাজ করে, এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য ত্বক ন্যাচারাল ভাবে গ্লো করে।

নিউট্রোজেনা আল্ট্রা শিয়ার ড্রাই-টাচ সানব্লক এসপিএফ 50+: এটি সানস্ক্রিন ক্রিমটি মূলত সবধরনের ত্বকে ব্যবহার করা যায়। অয়েলি ত্বক হোক কিংবা ড্রাই ত্বক হোক না কেন সব ত্বকের সাথেি এই ক্রিমটি মানানসই হিসেবে পরিচিত। এই ক্রিম ত্বককে সূর্যের ইউভিএ রশ্মি থেকে দীর্ঘ সময় ধরে রক্ষা করে।

Aēsop প্রতিরক্ষামূলক ফেসিয়াল লোশন SPF 25: এই সানস্ক্রিন ক্রিমটি মূলত যাদের ত্বক অনেক ড্রাই তাদের ক্ষেত্রে খুবই জন্য কার্যকারী। এটি ত্বককে লম্বা সময় পর্যন্ত সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করে। এবং এর পাশাপাশি ত্বককে ময়েশ্চারাইজিং করতে সহায়তা কর্রে।

La Roche-Posay মিল্ক সানস্ক্রিন SPF 60: এই ধরণের ক্রিমগুলো বিশেষ যাদের ত্বক অনেক তৈলাক্ত কিংবা ড্রাই তাদের ক্ষেত্রে বেশ উপকারি। ত্বকের সুরক্ষা প্রদান করাই হচ্ছে এই ক্রিমের প্রধান কাজ। এর পাশাপাশি আপনার ত্বককে অনেক মলিনতা বজায় রাখতে অন্য ক্রিমের থেকে অনেক বেশি ফলপ্রদ।

CeraVe AM ফেসিয়াল ময়েশ্চারাইজিং লোশন SPF 30: এই সানাস্ক্রিন ক্রিম শুষ্ক ত্বকের জন্য অনেক ভালো। এটি আপনাকে সূর্যের ইউভিবি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। ত্বক হাইড্রেশন করার সাথে সাথে অনেক সময় ধরে ত্বককে সুরক্ষা প্রদান করে।

সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম

যেকোনো ব্র্যান্ডের সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহারের আগে সঠিক সানস্ক্রিন বাছাই করে নেওয়া জরুরি। রেগুলার ইউজ এর জন্য এসপিএফ ৩০ দেখে ক্রয় করুন। তবে যদি অত্যন্ত রোদ পড়ে এমন ফাঁকা কোন স্থানে যেতে চান তাহলে এসপিএফ ৫০ অবশ্যই লাগাতে হবে।

আরো পড়ুনঃ-  মেয়েদের জন্য কোন ক্রিম সবচেয়ে ভালো

যেসব সানস্ক্রিনে বিভিন্ন ধরনের অ্যালকোহল যুক্ত হয়েছে সেগুলো অবশ্যই এড়িয়ে চলুন। যাদের ত্বকে নিয়মিত ব্রণ উঠে, তারা ওয়াটার বেজড সানস্ক্রিন লাগান। সানস্ক্রিন, মশ্চারাইজার, টোনার, সিরাম ইত্যাদি ক্রয়ের ক্ষেত্রে কখনো সস্তা প্রোডাক্ট অথবা কম দামি জিনিস কেনার ট্রাই করবেন না। ভালো ব্রান্ডের সানস্ক্রিন ত্বকের জন্য ব্যবহার করুন। চলুন এবার সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:

  • প্রথমে সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করার আগে একটি ফেস ক্লিনার বা ফেসওয়াশ দিয়ে ভালো মতো আপনার মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে,
  • হাতে সামান্য ক্রিম নিয়ে সম্পূর্ণ মুখে ভালো করে আলতোভাবে লাগিয়ে নিন,
  • সানস্ক্রিন মুখে শুকিয়ে গেলে এই পর্যায়ে ত্বকের যেসব উঁচু স্থানগুলো রয়েছে সেসব জায়গায় আরেক স্তর সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন,
  • তারপরে আপনার দেহে যেগুলো জায়গাতে রোদ পড়ার সম্ভাবনা আছে সেগুলো স্থানে ও সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলা যাবে না,
  • সানস্ক্রিন লাগানোর পর পরই সূর্যের আলোতে যাওয়া যাবে না। আপনাকে অন্তত ৩০ মিনিট পর বাইরে বের হতে হবে। আর যদি বাইরে যাওয়াটা জরুরি হয়ে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে ছাতা ব্যবহার করুন,
  • ৩ ঘন্টা পর মুখ ধুয়ে আবার নতুন করে সানস্ক্রিন লাগান,
  • রোদ না থাকলেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে,
  • সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরে তা মুছে ফেলার জন্য অবশ্যই নরম তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে। 

তৈলাক্ত ত্বকের সানস্ক্রিন ক্রিম

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সানস্ক্রিন ক্রিম খুব দরকারি। তৈলাক্ত ত্বকে সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার না করলে রোদে গেলে ত্বক থেকে অনেক বেশি তেল নির্গত হয়। যা আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়ায়। চলুন জেনে নেই তৈলাক্ত ত্বকের কিছু নাম এবং দাম সম্পর্কে-

  • ল্যাটোমিলাক এসপিএফ ৫০+: ৫০ মিলি – ৪৯৯ টাকা।
  • সানস্ক্রিন স্পেশালিস্ট এসপিএফ ৪০+: ৩০ মিলি – ৩১০ টাকা।
  • লাইকা এসপিএফ ৫০+: ৩০ মিলি – ৩৬০ টাকা।
  • সেবামাইল্ডর এসপিএফ ৫০+: ৫০ মিলি – ৪৬০ টাকা।
  • ডার্মাটোলজিক্যাল এসপিএফ ৩০: ৩০ মিলি – ৩৯৯ টাকা।
  • ওয়াইএসপি এসপিএফ ৫০: ৫০ মিলি – ৬৯৯ টাকা।
  • ল্যাকমি এসপিএফ ৪০+: ৬০ মিলি – ৩৯৯ টাকা।
  • ন্যাচুরাল গ্লো এসপিএফ ৩০: ৫০ মিলি – ২৬০ টাকা।

সানস্ক্রিন ক্রিম এর দাম

ভালো মানের সানস্ক্রিন ক্রিমের নাম জানার সাথে সাথে এগুলো দাম জানা ও জরুরি। সানস্ক্রিন ক্রিমের দাম নির্ভর করে- আপনি কোন ব্রান্ডের সানস্ক্রিন ক্রিম কিনবেন, সানস্ক্রিন ক্রিমের এসপিএফ, কতটুকু কিনবেন এবং কোথায় থেকে কিনবেন তার উপর। চলুন সানস্ক্রিন ক্রিম এর দাম ২০২৪ সম্পকে জানা যাক-

  • নিউট্রোজেনা এসপিএফ ৫০+: ৩০ মিলি – ৫৫০ টাকা।
  • ল্যাকমে এসপিএফ ৫০+: ৬০ মিলি – ৩৫০ টাকা।
  • ল্যাভিশা এসপিএফ ৪০: ৫০ মিলি – ৪০০ টাকা।
  • সেফগার্ড এসপিএফ ৫০+: ১০০ মিলি – 2০০ টাকা।
  • ল্যাটোমিলাক এসপিএফ৫০+: ৫০মিলি – ৫০০ টাকা।
  • অ্যাভিল এসপিএফ৫০: ৫০ মিলি – ৬০০ টাকা।
  • সানস্ক্রিন স্পেশালিস্ট এসপিএফ৪০+: ৩০ মিলি – ৩০০ টাকা।
  • সিবা এসপিএফ৫০: ৩০ মিলি – ৪৫০ টাকা।
  • ফিজিয়োডার্ম এসপিএফ৫০+: ৫০ মিলি – ৭০০ টাকা।
  • ইউসেলিন এসপিএফ৩০: ৫০ মিলি – ৩০০ টাকা।
  • নিউট্রোজেনা এসপিএফ ৫০+: ৮৮ মিলি – ৯৯৯ টাকা।
আরো পড়ুনঃ-  ৭ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় বিস্তারিত জানুন

সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহারের অপকারিতা

সানস্ক্রিন ত্বকের জন্য অধিক উপকারী একটি প্রোডাক্ট হলেও এর কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। চলুন জেনে নেই সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহারের অপকারিতা গুলো কি কি?

  • আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা বিনা প্রয়োজনে সানস্ক্রিন মেখে বসে থাকে, এগুলো ক্রিম হওয়াযর ফলে আপনার ত্বকের জন্য ক্ষতি হতে পারে।
  • যাদের ত্বকে এলার্জি জনিত বিভিন্ন সমস্যা আগে থেকেই রয়েছে তারা সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করার আগে প্রথমে কানের অংশে কিংবা গলাতে সামান্য ব্যবহার করে দেখতে পারেন চুলকানি হয় কিনা!
  • নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করার ফলে অনেকের দেহে লাল ফুসকুড়ি এবং র‍্যাশের মতো সমস্যা হতে পারে,
  • যাদের মুখে ব্রণের সমস্যা তুলনামূলক বেশি তাদের ক্ষেত্রে এই ক্রিম ব্যবহারে ব্রণের প্রকোপ আরও বেরে যেতে পারে,
  • আবার কারও কারও ক্ষেত্রে এই ক্রিম ব্যবহারে ত্বকের জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এক্ষেত্রে তাকে সাবধানতার সহিত ব্যবহার করতে হবে।

সানস্ক্রিন ক্রিম সম্পর্কে লেখকের মতামত

আমরা ইতিমধ্যে সানস্ক্রিন ক্রিম কোনটা ভালো ও সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি। আপনি এই যদি পোষ্টটি শুরু থেকে শেষ অবদি পড়েন তাহলে আশা করছি আমার সানস্ক্রিন ক্রিম নিয়ে যাবতীয় বিষয়সমূহ জেনে আপনাদের উপকারে আসবে। সানস্ক্রিন ক্রিম সম্পর্কে কোন মতামত কিংবা কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন।

আরচাইলে এটি শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে তাদেরও জানানোর সুযোগ করে দিতে পারেন। আজকে আমরা আপনাদের মাঝে সানস্ক্রিন ক্রিম কোনটা ভালো নিয়ে বিস্তারিত অনেক তথ্য আলোচনা করলাম। এমন আরও প্রয়োজনীয় তথ্যমূলক ব্লগ পোষ্ট পড়তে আমাদের এই সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করার অনুরোধ রইলো ধন্যাবাদ।

Leave a Comment