দাউদ আমাদের পরিচিত একটি চর্মরোগ সমস্যার নাম। ছোট, বড় সবাইকে এ সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তবে এ সমস্যা পরিচিত হলেও আমাদের মধ্যে অনেকের জানা নেই দাউদ কিভাবে ভালো হয় এবং দাউদের স্থায়ী কোনো চিকিৎসা আছে কি না। এজন্য একজন ব্যক্তি কয়েকবার দাউদ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
আপনিও কি দাউদ সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ন পড়ুন। আমাদের আজকের আর্টিকেলে দাউদ কিভাবে ভালো হয় এবং দাউদের স্থায়ী চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি পুরো আর্টিকেলটি পড়লে আপনি দাউদের সমস্যায় সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
দাউদ কিভাবে ভালো হয়
সাধারণত ছত্রাক সংক্রামনের কারণে দাউদ হয়ে থাকে। তবে এটি একটি ছোয়াচে রোগ, তাই সংক্রামন ব্যক্তি বা প্রানীর স্পর্শে, সংক্রামন ব্যক্তির জিনিস ব্যবহার করার কারনে, দাউদ রোগের জীবাণু আছে এমন পরিবেশে দাউদ হয়ে থাকে। এটি একটি চর্মরোগ যা মাথার ত্বকে, নকে অথবা মাথা থেকে পায়ের যেকেনো স্থানে হয়ে থাকে। দাদের প্রথম উপসর্গ হলো ফুসকুড়ি। এ ফুসকুড়ির আকার গোলাকার ও লালচে বর্ণের হয়। অবিরাম চুলকাতে থাকে যা অত্যন্ত অস্বস্তিকর। মাথার ত্বকে দাউদ হলে চুল পড়ে যায়।
দাউদের অসহনীয় যন্ত্রনায় কি আপনিও ভুগছেন? কিন্তু দাউদে করণীয় কি, কিভাবে ভালো হয় দাউদ ভেবে পাচ্ছেন না। তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ন আপনাকে পড়তে হবে। দাউদ ভালো করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। দাউদ রোগ বিভিন্ন অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ, ক্রিম, মলম, স্প্রে ও ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে দ্রুত ভালো করা যায়। শরীরের কোনো অংশে দাউদ হলে ওষুধ ছাড়াও ক্রিম বা মলম ত্বকে সরাসরি একটানা লাগালে ভালো হয়। দাউদ ভালো করার ক্রিম, মলম, ওষুধ ও ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত নি¤েœর আলোচনা থেকে জেনে নিন।
দাউদের স্থায়ী চিকিৎসা
দাউদ সমস্যা ছোট কোনো সমস্যা নয়। খুবই ছোঁয়াচে এ রোগ, খুব সহজেই দাউদ একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সমস্যা একবার হলে রোগিকে এ নিয়ে অনেক ভুগতে হয়। দাউদ রোগের স্থায়ী চিকিৎসা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক দাউদের স্থায়ী চিকিৎসা সম্পর্কে।
দাউদ মারাত্মক একটি চর্মোরোগ। এ রোগ একবার কারও হলে তা থেকে সহজেই সেরে উঠা যায় না। অনেকের ভালো হয়ে আবার এ রোগ হতে দেখা যায়। তবে সঠিক চিকিৎসা নিয়ে অবশ্যই দাউদের সমস্যা পুরোপুরি ভালো করা যায়। দাউদের চিকিৎসায় চিকিৎসকেরা অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ রোগিদের দিয়ে থাকে। রোগির শরীরের কোন স্থানে দাউদ হয়েছে এবং সমস্যা কতটুকু গুরুত্বর তা নির্ভর করে দাউদের চিকিৎসা রোগিকে দেওয়া হয়। তাই দাউদের স্থায়ী চিকিৎসা পেতে, দাউদের উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর এ রোগের স্থায়ী সমাধান পেতে অবশ্যই ধের্য ধরে টানা কয়েকমাস দাউদের ওষুধ বা ক্রিম ব্যবহার করুন।
এছারাও দাউদের স্থায়ী সমাধান পেতে চিকিৎসা নেওয়ার পাশাপাশি ঘরোয়া প্রতিকারগুলো মেনে চলতে হবে। যেমন-
- দাউদ আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং আক্রান্ত স্থান স্পর্শ করার পর হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
- বসবাসের পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে হবে।
- আঁটসাটো পোশাক পরিধান করা যাবে না, আরমদায়ক পোশাক পড়তে হবে।
- আক্রান্ত স্থানে যেকোনো সাবান বা স্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ছত্রাক বিরোধী শ্যাম্পু ও সাবান ব্যবহার করতে হবে।
- আক্রান্ত স্থানে নখ দেওয়া যাবে না। কারণ নখের স্পর্শে অন্য জায়গায় এ সমস্যা ছড়িয়ে যেতে পারে।
এছারাও যেভাবে দাউদ ছড়ায়, যে খাবারগুলো সমস্যা বাড়ায় সে খাবারগুলো পরিহার করতে হবে। সঠিক চিকিৎসা ও সাবধানে চলাফেরা করলে আপনার দাউদ পুরোপুরি ভালো করা সম্ভব। দাউদ আপনার শরীরের মধ্যে দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। দ্রুত সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ নিরাময় করা সম্ভব। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো প্রকার ওষুধ খাওয়া যাবে না। এতে সমস্যা আরও বেড়ে যায় এবং ওষুধের কার্যক্ষমতা কমে যায়।
দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ
পরিচিত একটি ত্বকের সমস্যার নাম হলো দাদ। দাদ শরীরের কোনো স্থানে হলে তা থেকে অন্য স্থানে খুবই তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। তাই এ রোগের দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। তবে চিকিৎসা নেওয়ার পাশাপাশি খাবারের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। কারণ এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো দাদ সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই যে খাবারগুলো দাদ সমস্যায় খাওয়া নিষেধ সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। তো জেনে নিন দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ।
চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার: চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবারগুলো দাদের সমস্যায় এড়িয়ে চলতে হবে, কারণ অতিরিক্ত মিষ্টি ছাত্রাক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই চিনিযুক্ত খাবার বা পানীয় এড়িয়ে চলুন। তবে একেবারে মিষ্টি পরিহার করতে না পারলে সামান্য পরিমানে খেতে পারেন।
দুগ্ধজাত খাবার: কারও কারও ক্ষেত্রে দুগ্ধজাত খাবারগুলো দাদের সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে। তাই দুগ্ধজাত খাবারগুলো কমিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়, ফলে দাদের সমস্যা ভালো হতে বাধা দেয়। তাই এ জাতীয় খাবারগুলো খাবার তালিকা থেকে বাদ দিন।
অ্যালকোহল: ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায় অ্যালকোহল সেবন করার কারণে। ফলে শরীর বিভিন্ন সংক্রামনের বিরুদ্ধে লড়ার কার্যক্ষমতা হাড়িয়ে ফেলে। তাই অ্যালকোহল সেবন দাদের সমস্যাই এড়িয়ে চলতে হবে।
এলার্জি জাতীয় খাবার: আপনার যে খাবারগুলোতে এলার্জির সমস্যা রয়েছে, সে খাবারগুলো দাদের সমস্যায় এড়িয়ে চলুন। একেক জনের একেক খাবারে এলার্জি হয়ে থাকে, তাই আপনার যে খাবারে এলার্জি শুধু সে খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন।
দাউদের সমস্যায় উপরের বলা খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন। এসব খাবার ও পানীয় দাদের লক্ষণগুলোকে বাড়িয়ে দেয় এবং সুস্থ হতে বেশি সময় নেয়। আর এমন কিছু খাবার রয়েছে যে খাবারগুলো সংক্রামনের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং দাদ সমস্যা দ্রুত সারাতে ভূমিকা রাখে। সে খাবারগুলো হলো-
- অ্যান্টিফাঙ্গালযুক্ত খাবার যেমন রসুন, আদা, নারিকেল তেল ইত্যাদি।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি।
- প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার যেমন-কেফির, দই, প্রভৃতি।
- চিকেন, মাছ, টফুর প্রভৃতি চর্বিহীন প্রোটিন।
- ওটস, বাদামী চাল প্রভৃতি গোটা শস্য।
দাউদের ঘরোয়া চিকিৎসা
ভাইরাসের আক্রমন আমাদের শরীরে হওয়ার কারনে ত্বকের মধ্যে দাউদ হতে দেখা যায়। দাউদ সমস্যা সমাধানে ডাক্তার দেখানোর পাশাপাশি ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করতে পারেন। এছারাও এমন অনেক দাউদ রয়েছে যেগুলো ঘরোয়াভাবে চিকিৎসা নিয়ে সমাধান করা যায়। তাই দাউদের উপসর্গ দেখা দিলে ঘরোয়া প্রতিকারগুলো করতে পারেন। জেনে নিন দাউদের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে।
মধু: দাউদের সমস্যাকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে মধু। মধুর মধ্যে ছত্রাক নাশক উপাদান রয়েছে, যার ফলে মধু ব্যবহারে ছত্রাকের বৃদ্ধি কমে। তাই দাদ হলে পরিষ্কার তুলোর সাহায্যে আক্রান্ত স্থানে মধু লাগান, নিয়মিত ব্যবহারে দাউদের সমস্যার সমাধান মিলবে।
অ্যালোভেরা জেল: অ্যালোভেরার জেল থেকে রেজিন নামক এক ধরনের উপকারী উপাদান রয়েছে। যা ছত্রাক সংক্রামন রোধ করতে সাহায্য করে। তাই দাদের সমস্যায় অ্যালোভেরার পাতা থেকে জেল বের করে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে দাউদ থেকে মুক্তি পাবেন।
কাচা হলুদের রস: দাউদের সমস্যা থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে, কাঁচা হলুদের রস। হলুদের মধ্যে রয়ছে অ্যান্টি ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি সেপটিক উপাদান। যার ফলে দাউদের সমস্যা রোধ করতে সহায়তা করবে।
টি ট্রি ওয়েল: টি ট্রি ওয়েলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক ও ফাঙ্গাসবিরোধি উপাদান যা দাউদ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। তাই দাউদ হলে টি ট্রি ওয়েল হালকা গরম করে তুলার বলের সাহায্যে আক্রান্ত স্থানে লাগাবেন।
রসুন: ছত্রাকের ইনফেকশন দূর করতে রসুনের ভূমিকা রয়েছে। এজন্য কয়েকটি রসুনের কোয়া পিসে তার সাথে ৩চা চামচ মধু ও ৩ চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে দাউদ আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে নিন। ঘন্টাখানেক রাখার পর গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
জায়ফল: জায়ফলের মধ্যে অ্যান্টি সেপটিক ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুন রয়েছে। যার ফলে দাউদের সমস্যা সমাধানের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই দাউদ সমস্যায় জায়ফলের গুড়ো অল্প পানির সাথে মিশিয়ে, মিশ্রনটি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে নিন। কিছুদিন লাগার পর দেখবেন দাদ অনেকটাই কমতে শুরু করেছে।
দাদের সমস্যা সমাধানে উপরের বলা ঘরোয়া উপায়গুলো বেশ কার্যকারী। কিন্তু সব ধরনের দাউদ থেকে সমাধান নাও পেতে পারেন। তবে দাউদের লক্ষণ দেখার সাথে সাথে এগুলো ব্যবহার করলে দাউদ সেরে যায়।
দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম
খুবই সংক্রামন একটি ব্যাধির নাম হলো দাউদ। এ ব্যাধি একবার হলে, সহজে ত্বক থেকে যেতে চায় না। তবে দাউদের লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে সঠিক চিকিৎসা নিলে এ সমস্যা দ্রুত ভালো করা যায়। তবে সহজে দাউদ ভালো না হওয়ার পরিচিত একটি কারন হলো সঠিক চিকিৎসা না নেওয়া। বিভিন্ন হাটে বাজারে দাউদের ওষুধ ও মলম বিক্রি করা হয়, সেগুলো ব্যবহারে সমস্যা কমার বদলে বাড়ে। তাই দাউদ থেকে মুক্তি পেতে ভালো মলম ব্যবহার করতে হবে। দাউদের সমস্যায় সবচেয়ে ভালো মলম হলো অ্যান্টি ফাঙ্গাল মলম। এ মলম সংক্রামন নিরাময়ে সহায়তা করে থাকে। জেনে নিন দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম কোনগুলো।
ফানজাইরক্স ক্রিম: ছত্রাকজনিত ইনফেকশন দূর করতে এ মলমের খুবই কার্যকারীতা রয়েছে। তাই দাউদের সমস্যায় এটি দিনে দুইবার করে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে পারেন।
ক্লোট্রিমাজল মলম: ক্লোট্রিমাজল একটি অ্যান্টিফাঙ্গাল মলম, যা দাউদ সংক্রামন রোধ করতে ভিষন কার্যকারী। এ মলম দিনে ৩ বার করে ব্যবহার করলে ১৫ দিনের মধ্যে ফল পাওয়া যায়। তবে সম্পূর্ন দাউদ দূর করতে বেশ কিছু সময় ধরে ব্যবহার করতে হবে।
টেরবিনাফিন মলম: টেরবিনাফিল খুবই শক্তিশালী একটি মলম, যা ছত্রাকের সংক্রামন বৃদ্ধি বন্ধ করতে সহায়তা করে। এ মলমটি দিনে দুইবার করে কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করতে হবে। তাহলে স্থায়ীভাবে দাউদ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
দাউদের সমস্যায় উপরের বলা মলমগুলো ব্যবহার করতে পারেন। তবে মুখের ত্বকে দাউদ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের মলম ব্যবহার করবেন না। মুখের ত্বকের জন্য সব ধরনের মলম প্রযোজ্য নয়, এতে পার্শ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম
দাদের সমস্যা প্রায় অনেকের মধ্যে হতে দেখা যায়, খুবই পরিচিত একটি চর্মরোগ এটি। দাদ হলে ত্বকে অসহ্য চুলকানি হয়, যা খুবই অস্বস্তিকর। দাদ সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন উপায় রয়েছে, যার একটি হলো ক্রিম। দাদ দূরকরনীয় ক্রিমগুলোর মধ্যে অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট রয়েছে, যার কারনে ক্রিমগুলো দাদ চুলকানি দূর করতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে।
দাদ চুলকানির অসহ্য যন্ত্রনায় কি আপনিও ভুগছেন? তাহলে এ অবস্থায় ব্যবহার করে দেখতে পারেন দাদ চুলকানি দূর করতে ব্যবহৃত ক্রিমগুলো। এগুলো ব্যবহারে দাদ চুলকানি থেকে আপনাকে মুক্তি দিয়ে সহায়তা করবে। জেনে নিন দাদ চুলকানি দূর করতে কোন ক্রিমগুলো ব্যবহার করবেন।
- Gacozema
- Pevisone
- Avison
- Fungison
এ ক্রিমগুলো টানা ৪ সপ্তাহ মতো ব্যবহার করলে দাদ চুলকানি দূর হবে বলে আশা করা যায়। তবে ছোট বাচ্চাদের কিংবা আপনার মুখের ত্বকে দাদ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে যেকোনো ক্রিম ব্যবহার করবেন।
পরিশেষে বলতে চাই, দাদ মারাত্মক একটি ছোঁয়াচে রোগ তাই এ রোগ প্রতিরোধ করার চেষ্টা করবেন। আর এ রোগের উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন, পাশাপাশি ঘরোয়া প্রতিকারগুলো ব্যবহার করবেন। তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন দাদের লক্ষন গুরুত্বর হলে এ থেকে সমাধান পেতে দীর্ঘসময় লাগবে। তাই ধৈর্য ধরে আপনাকে এ সময় চিকিৎসা নিতে হবে।