স্বাধীনতা দিবস কবে – বাংলাদেশ স্বাধীন হয় কত তারিখে

সম্মানিত পাঠক, আপনি কি স্বাধীনতা দিবস কবে এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হয় কত তারিখে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত যাবতীয় তথ্য জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই স্বাধীনতা দিবস নিয়ে সঠিক সন্ধান পেতে আপনি একদম ঠিক জায়গাতেই এসেছেন। আমরা আজকের এই ব্লগ পোষ্টে আপনাদের সুবিধার কথা ভেবেই স্বাধীনতা দিবস কবে ও বাংলাদেশ স্বাধীন হয় কত তারিখে তা বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। 

স্বাধীনতা দিবস কবে

আপনি যদি আমাদের সাথে শুরু থেকে একেবারে শেষ অবদি আজকের সম্পন্ন ব্লগ পোষ্ট জুড়ে থাকেন, তাহলে স্বাধীনতা দিবস কবে ও বাংলাদেশ স্বাধীন হয় কত তারিখে নিয়ে জেনে নেওয়ার পাশাপাশি ২৬ শে মার্চ এর তাৎপর্য, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কি হয়েছিল ইত্যাদি সম্পর্কে এ টু জেড জানতে পারবেন। তো আপনি যদি স্বাধীনতা দিবস নিয়ে এগুলি বিষয়ে ক্লিয়ার ধারণা পেতে চান তাহলে শেষ অবদি পড়ুন।

উপস্থাপনা

আমরা অনেকেই আছি যারা ২৬ শে মার্চ কি দিবস এটা জানিনা এই দিনে বাঙ্গালিরা কি দিবস পালন করে সেই বিষয়ে অনেকেই জানে না। অত এব আজকে আপনাদের মাঝে ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে সকল বিষয় আপনাদের কে জানাবো।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য ছোটদের ২০২৪, স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে ১০ টি বাক্য, স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য সকল কিছু আমার এই আর্টিকেলে পেয়ে যাবেন। তো চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আমরা প্রথমে ২৬ মার্চ কি দিবস সেই বিষয়ে ধারণা নেওয়া যাক।

স্বাধীনতা দিবস কবে

১৯৭১ সালে ২৫ শে মার্চ রাতে পার হয়ে রাতে স্বাধীনতা দিবস আমরা সকল মানবজাতি অর্জন করেছি। আর এই স্বাধীনতা অর্জন আমাদের সকলের আপ্রাণ চেষ্টা ও কষ্ট করেছি হয়েছে। আমরা যদি এ কষ্ট না করতাম তাহলে আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ পরাধীন থেকে যেত। স্বাধীনতা অর্জন করার পেছনে আমাদেরকে অনেক পরিশ্রম রয়েছে এবং আমাদের সকলের অনেক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা এই স্বাধীনতাকে অর্জন করেছি। আর স্বাধীনতা দিবস হচ্ছে ২৫ শে মার্চ রাতে পার হয়ে ২৬শে মার্চ। আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে স্বাধীনতা দিবস কবে তা জানতে পেরেছেন এবার চলুন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয় কত তারিখে তা জেনে নেই।

আরো পড়ুনঃ-  ২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস - ২৬ মার্চ ১৯৭১ এর ইতিহাস

বাংলাদেশ স্বাধীন হয় কত তারিখে

আমাদের এই সোনার বাংলাদশ স্বাধীন হয়েছে ২৬শে মার্চ। এই রাতে আমরা আমাদের এই সোনার বাংলাকে স্বাধীনভাবে পেয়েছি। আর এই স্বাধীনতা অর্জন করার জন্য সকলকে প্রচূর মায়া ত্যাগ করতে হয়েছে, অনেক অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। মূলত ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা অর্জন করা হয়েছে। যার ফলে আমরা এই সোনার বাংলাকে স্বাধীন এবং মুক্তভাবে পেয়েছি।

এবং এজন্যই আমাদের সকলের মুখের ভাষা বাংলা। আর এই বাংলা ভাষাকে আমাদের মাতৃভাষা হিসেবে পেতে বা মাতৃভাষা হিসেবে অর্জন করার জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হয় কত তারিখে তা জানতে পেরেছেন এবার চলুন, ২৬ শে মার্চ এর তাৎপর্য নিয়ে কিছু বিস্তারিত যাবতীয় তথ্যগুলি জেনে নেওয়া যাক। 

২৬ শে মার্চ এর তাৎপর্য

২৬ শে মার্চ ইতিহাসে যে দিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলি, স্মারক এবং ব্যক্তিগত উভয়ই একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ধারণ করে উন্মোচিত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে স্বাক্ষর করা হচ্ছে আরেকটি ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্যে বিবেচিত। যা সাধারনত ১৯৭১ সালে দেশটির মুক্তিকে চিহ্নিত করে পাকিস্তান নামক দেশ। এই দিনটি বাংলাদেশীদের জন্য মানসিক এবং গভীর সাংস্কৃতিক তাৎপর্য বহন করে, যেটা আসলে একটি স্থিতিস্থাপকতা এবং জাতীয় গর্বের প্রতীক হিসেবে পরিচিত। তদুপরি, ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা অর্জনের জন্য একটি স্মরণীয় স্মারক হিসেবে কাজ করে থাকে।

আরও ব্যক্তিগত নোটে, ২৬শে মার্চ বিশ্ব বেগুনি দিবসকেও বোঝায়, মৃগীরোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিবেদিত একটি আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা। এই বিশ্বব্যাপী উদ্যোগটি এই স্নায়বিক ব্যাধিতে বসবাসকারী ব্যক্তিদের সহায়তা প্রদানের সাথে সাথে মৃগীরোগের আশেপাশের মিথগুলি দূর করার চেষ্টা করে। 

এই দিনটি মৃগীরোগে আক্রান্তদের প্রতি সমর্থন, শিক্ষা এবং সহানুভূতিকে উত্সাহিত করে, সমাজের মধ্যে বোঝার এবং গ্রহণযোগ্যতার গুরুত্বের উপর জোর দেয়। পরিশেষে বলা যায়, এই ২৬শে মার্চ তাৎপর্যের বিভিন্ন ধরণের স্তর প্রতিনিধিত্ব করে যেমন:

  • এটি ঐতিহাসিক বিজয়ের প্রমাণ হিসাবে দাঁড়িয়েছে ঠিক স্বাধীনতা আন্দোলনের মতো।
  • সামাজিক কারণগুলির জন্য মৃগীরোগ সচেতনতার মতো একজন উকিল হিসাবে কাজ করছে। 
  • এই তারিখটি আমাদের সম্মিলিত চেতনাকে রূপ আখ্যানের একটি টেপেস্ট্রি অন্তর্ভুক্ত করে। 
  • এই দিনটি আমাদের সকলের মানবতাকে অনুপ্রাণিত অ জাগ্রত করতে সহায়তা করে।
আরো পড়ুনঃ-  খ্রিষ্টানদের বড় দিন কবে - বড় দিন কত তারিখ

তো আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে ২৬ শে মার্চ এর তাৎপর্য সম্পর্কে একটি ক্লিয়ার ধারণা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কি হয়েছিল তা জেনে নেওয়া যাক।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কি হয়েছিল

১৯৭০ সালের পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচন হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তানি শাসক বঙ্গবন্ধুর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনা। বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে সময় পিছিয়ে দিত। আস্তে আস্তে পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

যার ফলে একেক সময় একেক রকমের আন্দোলন সৃষ্টি করে। ২৫ শে মার্চ রাতে ঢাকায় গণহত্যা শুরু করা হয় মূলত পাকিস্তানি শাসক আন্দোলন বন্ধ করা জন্য। আর এই এই গণহত্যা কে আমরা অপারেশন সার্চলাইট হিসেবে জেনে থাকি। ২৫ শে মার্চ গণহত্যা শুরু হওয়ার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষনা দেন। 

তিনি যখন স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন ঠিক তার কিছুক্ষণ পরেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সজ্ঞানে গ্রেফতার করে। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই দিনের ঘোষণায় বলেন ‘তোমাদের হাতে যেগুলো সরঞ্জাম রয়েছে সেগুলো দিয়েই যুদ্ধ কর’। “রক্ত যখন আমরা দিয়েছি, তখন রক্ত আরও দেব তবুও এই বাংলার মানুষকে আমরা একদিন স্বাধীন করেই ছাড়ব ইনশাল্লাহ।” আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি মূলত সেই দিনের স্বাধীনতার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে।

২৬ শে মার্চকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে কখন ঘোষণা করা হয়?

২৬ শে মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আজকের এই বাংলাদেশ। সেই দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষণা দেন মুক্তিযুদ্ধের। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা শুনে সকল মানুষ যুদ্ধের জন্য ঝাপিয়ে পড়ে। অবশেষে ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।

কিন্তু সেই সময় বলা চলে এই ২৬ শে মার্চের খুব একটা গুরুত্ব ছিল না। ২৬শে মার্চ কে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপনের ঘোষণা করা হয় যেটি এক বিশেষ প্রতিবেদনে  ১৯৭২ সালে ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়। এক বিশেষ প্রতিবেদনে এবং এই দিনে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেইদিন থেকে ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত হয়।

আরো পড়ুনঃ-  ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য 2024

স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে লেখকের মতামত

বন্ধুরা আশা করছি আমার স্বাধীনতা দিবস কবে নিয়ে এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। এই আর্টিকেলটিতে স্বাধীনতা দিবস কবে সেটা নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি, বাংলাদেশ স্বাধীন হয় কত তারিখে, ২৬ শে মার্চ এর তাৎপর্য, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কি হয়েছিল এবং ২৬ শে মার্চকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে কখন ঘোষণা করা হয় তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। তো আশা করি আপনারা এই ব্লগ পোষ্টের মাধ্যমে এগুলো সমস্ত বিষয়ে অবগত হয়েছেন। 

আপনাদের যদি এই ব্লগ পোষ্টটি ভালো লেগে থাকে কিংবা আপনাদের মাঝে কোন মতামত থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং চাইলে শেয়ার করে অন্যদের জানানোর সুযোগ করে দিতে পারেন। আজকে আমরা আপনাদের মাঝে স্বাধীনতা দিবস কবে ও বাংলাদেশ স্বাধীন হয় কত তারিখে নিয়ে বিশেষ কিছু বিস্তারিত অনেক তথ্য আলোচনা করলাম। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। ধন্যবাদ।

Leave a Comment