আপনি কি স্টিফেন হকিং এর আবিষ্কার ও স্টিফেন হকিং এর উক্তি সম্পর্কে জানতে চান? এখানে আমরা স্টিফেন হকিং এর উক্তি এবং স্টিফেন হকিং এর আবিষ্কার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি স্টিফেন হকিং নিয়ে কোন ধারনা থেকে না থাকে তাহলে আপনার জন আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।স্টিফেন হকিং সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায় বিশেষ করে আপনারা যারা আমাদের এই আর্টিকেল পড়ছেন তারা।
আপনাদের জন্য আমরা এই আর্টিকেলে স্টিফেন হকিং এর উক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করি আপনি আমাদের এই আর্টিকেল থেকে স্টিফেন হকিং এর উক্তি সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। এছাড়া স্টিফেন হকিং কে ছিলেন? স্টিফেন হকিং এর জন্ম, স্টিফেন হকিং এর আবিষ্কার সম্পর্কে ও জেনে নিতে পারেন। তাহলে চলুন বন্ধুরা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
স্টিফেন হকিং কে ছিলেন
স্টিফেন হকিং কে ছিলেন? এ বিষয়টি সম্পর্কে আমরা প্রথমে জেনে নেব। কারণ আপনি যদি স্টিফেন হকিং কে ছিলেন? না জানতে পারেন তাহলে এর উক্তি এবং আবিষ্কার সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পাবেন না। তাই প্রথমে আমাদের স্টিফেন হকিং কে ছিলেন? এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
স্টিফেন হকিং একজন ইংরেজি তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিত, একজন সুদক্ষ গণিতবিদ হিসেবে পরিচিত এবং এর পাশাপাশি তিনি একজন বিশ্ব তাত্ত্বিক ও বিজ্ঞান বিষয়ে অতি জনপ্রিয় ধারার লেখক ছিলেন। ২০শ শতকের অন্যতম ও সবচেয়ে সেরা তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানীদের একজন হিসেবে স্টিফেন হকিংকে গণ্য করা হয়। তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এটি মূলত যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ডে অবস্থিত সেখানকার মহাবিশ্ব তত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান ছিলেন।
স্টিফেন হকিং ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড নগরীতে একটি চিকিৎসক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। স্টিফেন হকিং মাত্র ২১ বছর বয়সেই দেহে ধীরগতিতে অগ্রসরমান একরকম চেস্টিও স্নেও কোষ রোগের প্রারম্ভিক জীবনকালীন সূত্রপাত নির্ণয় করা হয়। তো প্রিয় পাঠকগণ আমরা জানতে পারলাম যে স্টিফেন হকিং ছিলেন একজন জনপ্রিয় পদার্থবিজ্ঞানী।
আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে স্টিফেন হকিং কে ছিলেন বা স্টিফেন হকিং এর জীবনী সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা পেয়েছেন। এবার চলুন, স্টিফেন হকিং এর আবিষ্কার সম্পর্কে কিছু ধারনা নেওয়া যাক।
স্টিফেন হকিং এর জন্ম
অনেকে আছে যারা স্টিফেন হকিং এর জন্ম সম্পর্কে জানতে চায়। যেহেতু আমরা এই আর্টিকেল স্টিফেন হকিং সম্পর্কে আলোচনা করছি সেহেতু স্টিফেন হকিং এর জন্ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা স্টিফেন হকিং এর জন্ম সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন স্টিফেন হকিং এর জন্ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
হকিং ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড নগরীতে এটি চিকিৎসক পরিবারে ৮ জানুয়ারি, ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। স্টিফেন হকিং ১৯৫৯ সালের অক্সফোর্ডের ইউনিভার্সিটি কলেজ নামক প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা জীবন শুরু করেন। তিনি মূলত প্রথম শ্রেণীতে মানে মাত্র মাত্র ১৭ বছর বয়সে সম্মানসহ কলা বিদ্যায় স্নাতক উপাধি অর্জন করেছিলেন।
আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে স্টিফেন হকিং এর জন্ম সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা পেয়েছেন। এবার চলুন, স্টিফেন হকিং এর উক্তিগুলো সম্পর্কে কিছু ধারনা নেওয়া যাক।
স্টিফেন হকিং এর উক্তি
প্রিয় বন্ধুরা এখন আমরা স্টিফেন হকিং এর উক্তি সম্পর্কে আলোচনা করব। যারা পৃথিবীতে জনপ্রিয় ব্যক্তি রয়েছে তাদের নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন রকম ঘটনা সম্পর্কে তারা মানুষকে অনুপ্রাণিত করে তার জন্য বিভিন্ন রকমের উক্তি করে থাকে। আজকে আর্টিকেলে স্টিফেন হকিং এর উক্তি সম্পর্কে জানব। তাহলে চলুন স্টিফেন হকিং এর উক্তি গুলো জেনে নেওয়া যাক।
১। কয়েকদিনের পূর্বাভাস না দেখে কেউ হঠাৎ করে একদিনের আবহাওয়া পূর্ভাবাস বলে দিতে পারবে না।
২। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে যারা অদৃষ্টে বিশ্বাস করেন তারাই মূলত রাস্তা পার হওয়ার সময় দুই পাশে ভালোমতো দেখে নেন।
৩। আমি জীবনে ক্লাসে কোনোদিন প্রথম না হয়েও আমি সবার কাছে “আইনস্টাইন” নামেই পরিচিত ছিলাম।
৪। যদিও যন্ত্র ছাড়া আমি একজায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারি না, আমার কথা কম্পিউটারে ভেসে ওঠে তবুও মনের দিক দিয়ে আমি স্বাধীন।
৫। আমাদের বর্তমানের ইন্টারনেটের ব্যবস্থা অনেকটা আমাদের মস্তিষ্কের ভিতর একটা নিউরোন অন্য সকল নিউরোনের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার মতো।
৬। জীবনে কৌতূহলী হওয়া শিখতে হবে। আর জীবনে কৌতূহলী হতে হলে অবশ্যই রাতের আকাশের অসংখ্য তারা, গ্রহ উপগ্রহের দিকে তাকাও, আর এই সারা দুনিয়ার মহাবিশ্বের সকল প্রকারের ব্যাপ্তি দেখে বিস্ময় করো, এর পাশাপাশি সেগুলো উপলব্ধি করার চেষ্টা করো। তুমি যদি নিজের পায়ের দিকে চেয়ে থাকো তাহলে তুমি হয়তো নতুনভাবে কোন কিছু নতুন উপলব্ধি করতে পারবে না।
৭। সারা দুনিয়াতে যা কিছু রয়েছে সেগুলো মূলত পূর্বনির্ধারিত নয়। আপনার যদি এক্ষেত্রে মনে প্রানে বিশ্বাস করে থাকেন, তাহলে খেয়াল করে দেখবেন এক সময় গিয়ে আপনি অনেক দূর পর্যন্ত খুব সহজেই এগিয়ে যেতে পারবেন।
৮। প্রতিবন্ধকতা থাকার জন্য নিজেকে ছোটো বা হেয় করবে না। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা আপনার মনকে প্রতিবন্ধী করতে পারবে না কোনোদিন।
৯। জীবনে মানুষ সবচেয়ে বেশি সাফল্য পায় কথা বলেই। আবার ব্যর্থতার কারণও কথা বলা। তবে আলাপচারিতা সব সময়ে চালিয়ে যাওয়া উচিত।
১০। বিজ্ঞানময় জীবন যাপন করার জন্য শুধুমাত্র অনুসন্ধান করাটাই কাম্য নয় বরং তাতে থাকতে হবে এক ধরণের ভালোবাসা ও অনুরাগ।
আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে স্টিফেন হকিং এর উক্তিগুলো সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা পেয়েছেন। এবার চলুন, স্টিফেন হকিং এর আবিষ্কার সম্পর্কে কিছু ধারনা নেওয়া যাক।
স্টিফেন হকিং এর আবিষ্কার
স্টিফেন হকিং একজন জনপ্রিয় পদার্থবিজ্ঞানী। অনেকে আছে যারা স্টিফেন হকিং এর আবিষ্কার সম্পর্কে জানতে চায়। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে স্টিফেন হকিং এর আবিষ্কার নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে স্টিফেন হকিং এর আবিষ্কার জেনে নেই।
হকিংয়ের প্রধান গবেষণা ক্ষেত্র হচ্ছে মূলত একটি তত্ত্বীয় কসমোলজি আর কোয়ান্টাম মধ্যাকর্ষ যেটি আসলে ১৯৬০ এর দশকে হকিং আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্ব থেকে একটি নতুন মডেল তৈরি করেন ক্যামব্রিজের বন্ধু ও সহকর্মী রজার পেনরোজের সাথে। বিশেষ করে সেই মডেল এর উপর ভিত্তি করেই স্টিফেন হকিং ১৯৭০ সালে প্রথম তাদের পেনরোজ হকিং তত্ত্ব নামক একটিতত্ত্বের প্রথমটি প্রমাণ করতে সক্ষম হন।
কোয়ান্টাম মহাকর্ষে এই তত্ত্বগুলো মূলত প্রথমবারের মতো এককত্বের জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে সময় উপযোগী শর্তসমূহ পূরণ করা হয়। এককত্ব কেবল একটি গাণিতিক বিষয় এমনটি অনেক আগে ভাবা হতো। আসলে যখন এই তত্ত্বটি আসে ঠিক তখন থেকে বোঝা গেল যে, সাধারনত আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্বে এককত্বের বীজ লুকোনো ছিল । আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে স্টিফেন হকিং এর উক্তিগুলো সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা পেয়েছেন।
স্টিফেন হকিং সম্পর্কে লেখকের মতামত
স্টিফেন হকিং কে ছিলেন স্টিফেন হকিং এর জন্ম, স্টিফেন হকিং এর উক্তি, স্টিফেন হকিং এর আবিষ্কার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি আপনারা আজকের আর্টিকেলটি মনযোগ সহকাড়ে পড়ে স্টিফেন হকিং সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে খুটিনাটি অনেক কিছু জানতে পেরেছেন।
স্টিফেন হকিং সম্পর্কে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এছাড়াও স্টিফেন হকিং সম্পর্কে আপনাদের মনে কোন প্রশ্ন থাকে কিংবা কোন ধরণের মতামত জনাতে চান তাহলে এই পোষ্টের নিচে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এবং এরকম আরো আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।