রিজিক হলো আল্লাহর দেওয়া বিশেষ দান। যা আমাদের জীবনধারনের জন্য প্রয়োজন। আমাদের জীবনে রিজিকের ভূমিকা অপরিসীম। শুধু মানুষের না সকল প্রানীর রিজিক মহান আল্লাহ তায়ালা দিয়ে থাকেন। মহান আল্লাহ তায়ালা রিজিক নিয়ে কোরআনে অনেক কিছু বলে দিয়েছেন। রিজিক নিয়ে আল্লাহ তায়ালার বেশ কিছু বানী রয়েছে যা আমরা আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করবো।
আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়লে রিজিক নিয়ে আল্লাহর বানী এবং রিজিক বৃদ্ধির দোয়া সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছারাও আমাদের পুরো আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে রিজিক বৃদ্ধির পরীক্ষিত আমল, রিজিক আগে থেকেই নির্ধারিত কিনা এসব তথ্য রিজিক সম্পর্কে জানতে পারবেন। তো চলুন বিস্তারিতভাবে শুরু করা যাক রিজিক নিয়ে আল্লাহর বানী ও রিজিক বৃদ্ধির দোয়া সম্পর্র্কে।
সম্পদ ও রিজিক বৃদ্ধির দোয়া
রিজিক মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য নির্ধারিত হয়ে থাকে। আল্লাহ তায়ালায় হলেন আমাদের রিজিকদাতা। তাই রিজিক চাইতে হলে আমাদের মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে চাইতে হবে। তিনি ছাড়া কেউ আমাদের রিজিক ও সম্পদ বৃদ্ধি করতে পারে না। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা) আল্লাহর কাছে হালাল রিজিক চাইতেন। দোয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য অর্জন করতে পারবো। তাই সম্পদ ও রিজিক বৃদ্ধিতে আমাদের দোয়া করতে হবে। জেনে নিন সম্পদ ও রিজিক বৃদ্ধিতে কোন দোয়া পড়তে হবে।
রিজিক ও সম্পদ বাড়ার দোয়া:
বাংলা উচ্চারন: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসয়ালুকাল হুদা, ওয়াত তুকা, ওয়াল আফাফা ওয়াল গিন।
অর্থ: হে আল্লাহ আমি তোমার কাছে হেদায়েত, তাকওয়া, চরিত্রের নির্মলতা ও ধনাঢ্যতা প্রার্থনা করছি। ( তিরমিজি হাদিস: ৩৪৮৯)
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিআ ওয়া রিযকান তায়্যিবা ওয়া আমালান মুতাকাব্বিালা।
অর্থ: হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান প্রার্থনা করছি, উত্তম পবিত্র রিজিক কামনা করছি এবং কবুল হওয়ার মতো কর্ম তৎপরতা কামনা করছি। (ইবনে মাজাহ মুসনাদে আহমাদ)’
উপরের দোয়া গুলো হালাল রিজিক ও সম্পদ বৃদ্ধিতে পাঠ করবেন। এছারাও রিজিক ও সম্পদ বৃদ্ধি করতে বেশি বেশি ইস্তেগফার ( আস্তাগফিরুল্লাহ’) পাঠ করতে হবে, দান সদকা করতে হবে। রিজিক বাড়াতে সকাল ও সন্ধ্যায় সাইয়েদুল ইস্তিগফার পাঠ করুন। সকাল সন্ধ্যায় সুরা কুরাইশ পাঠ করুন। জুলফিকার কিতাবে রিজিক ও সম্পদ বৃদ্ধিতে সুরা কুরইশ পাঠ করার কথা বলা হয়েছে।
রিজিক বৃদ্ধির পরীক্ষিত আমল
রিজিক আল্লাহর দেয়া একটি নেয়ামত। আল্লাহ তায়ালা আমাদের রিজিকদাতা। অথচ আমাদের মধ্যে অনেকেই রিজিকের পেছনে ছুটাছুটি করতে গিয়ে আল্লাহর ইবাদত করতে ভুলে যায়। তবে আল্লাহর ইবাদত ছাড়া রিজিক বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। তাই রিজিক বাড়াতে চাইলে আমাদের আমল করতে হবে। এমন অনেক আমল কুরআন ও হাদিসের মধ্যে রয়েছে যেগুলো করার মাধ্যমে রিজিক বৃদ্ধি পায় এবং দারিদ্রতা দূরে থাকে। চলুন রিজিক বৃদ্ধির আমলগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
১. অভাব দূর করতে এবং রিজিক বৃদ্ধি করতে প্রতিদিন রাতে সূরা ওয়াকিয়াহ পাঠ করবেন। সূরা ওকিয়াহকে বলা হয় প্রাচুর্যের সূরা। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্নিত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করবে তাকে কখনই দারিদ্র স্পর্শ করতে পারবে না। (বাইহাকি: শুআবুল ঈমান ২৪৯৮)।
২. রিজিক বাড়াতে চাইলে তাকওয়ার ওপর অটল থাকতে হবে। আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ন বিশ্বাস ও তাকে যিনি ভয় করবে মহান আল্লাহ তায়ালা সে বান্দাকে বরকত দান করেন। সূরা তালাক আয়াত নং ২-৩ এ বলা হয়েছে, বাংলা: যে কেউ আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তার নিষ্কৃতির পথ করে দেবেন। আর তাকে তার ধারণাতীত উৎস হতে রুযী দান করবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহন উপর নির্ভর করবে, তার জন্য তিনিই যথেষ্ট হবেন। নিশ্চয় আল্লাহ তার ইচ্ছা পূরণ করবেনই। আল্লাহ সবকিছুর জন্য স্থির করেছেন নির্দিষ্ট মাত্রা।
৩. রিজিক বাড়াতে সময়মতো নামাজ আদায় করুন, ইবাদতে নিজেকে ব্যস্ত থাকুন। যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদত বন্দেগিতে মগ্ন থাকে সে ব্যক্তির রিজিকে মহান আল্লাহ তায়ালা বরকত দেন।
৪. বেশি বেশি তওবা ও ইস্তেগফারের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালা বান্দার রিজিকে বরকত দেন। তাই রিজিক বাড়াতে বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করবেন মহান আল্লাহ তায়ালা সব ধরনের দুশ্চিন্তা দূর করে দিবেন এবং রিজিকের ব্যবস্থা করে দিবেন।
৫. বেশি বেশি দান সদকা করার মাধ্যমে রিজিক বৃদ্ধি পায়। সূরা সাবা, আয়াত নং ৩৯ এ আল্লাহ তায়ালা বলেছেন- আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় করো, তিনি তার বিনিময় দেবেন। তিনিই উত্তম রিজিকদাতা।
উপরিক্ত আমলগুলো রিজিক বৃদ্ধির জন্য করবেন, এ আমলগুলো করার মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের রিজিক বৃদ্ধি করবেন। ইন-শা-আল্লাহ’
রিজিক নিয়ে আল্লাহর বানী
রিজিক আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ন একটি অংশ। আমাদের জীবন পরিচালনার যা যা প্রয়োজন তা সবকিছুই হলো রিজিক। শুধু খাওয়া বা অর্থই রিজিক নয়, আমাদের পুরো জীবন জুড়ে যা পায় , যা অর্জন করি তা সবই হলো রিজিক। আমাদের সবার রিজিক আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকেই আসে, অথচ আমরা রিজিক নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। তবে রিজিক নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। কুরআন ও হাদিসের মধ্যে আল্লাহ তায়ালা রিজিক সম্পর্কে বলে দিয়েছেন, যা থেকে আমরা বুঝতে পারি রিজিক নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই, রিজিক আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। জেনে নিন রিজিক নিয়ে আল্লাহর বানীসমূহগুলো।
পবিত্র কুরআনে সূরা হুদ আয়াত নং ৬’ এ বলা হয়েছে পৃথিবীর প্রত্যেক জীবের জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর। তিনি জানেন তারা কোথায় থাকে এবং কোথায় সমাপিত হয়। সবকিছু এক সুবিন্যস্ত কিতাবে রয়েছে।
রিজিকের জন্য চেষ্টা করতে হবে, কিন্তু রিজিকদাত হলো মহান আল্লাহ তায়ালা। কোরআন মাজিদে বর্নিত আছে, সুরা আয যারিয়াত আয়াত নং ৫৮’-নিশ্চয় আল্লাহ হলেন তিনি, যিনি রিজিকদাতা এবং মহাশক্তিধর ও মহাপরাক্রমশালী।
সুস্থভাবে বাঁচতে আমাদের রিজিকের প্রয়োজন। সে রিজিক সঠিক সময়, সঠিক জায়গায় মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের দিয়ে থাকেন। তিনি আমাদের রিজিক দিতে পারেন আবার ইচ্ছা করলে বন্ধ করতে পারেন। কোরআন মাজিদের সূরা মূলক আয়াত নং ২১’- আল্লাহ তায়ালা বলেন, এমন কে আছে যে তোমাদের রিজিক দান করবে? যদি তিনি তার রিজিক বন্ধ করে দেন?
রিজিক নিয়ে কোরআনের আল্লাহর বানী থেকে আমরা বুঝতে পারি রিজিকের মালিক একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। তিনি আমাদের উত্তম রিজিক দাতা। তাই রিজিক নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। তবে আমাদের রিজিক খুঁজতে হবে কর্মের মাধ্যমে।
রিজিক নিয়ে চিন্তা
রিজিক নিয়ে আমরা কম বেশি সবাই চিন্তিত। রিজিক নিয়ে চিন্তা করা একজন প্রকৃত মুসলিমের মধ্যে পড়ে না। কারণ আল্লাহ তায়ালা যাকে সৃষ্টি করেন তার রিজিকিও তিনি নির্ধারিত করে দেন। আল্লাহর হকুমে সঠিক উৎস থেকে হালাল রিজিক ঠিকই আসবে। রিজিক নিয়ে চিন্তা না করে মহান আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে হালাল পথে এগিয়ে যাওয়ায় প্রকৃত মুসলিমের কাজ। আমাদের তো রিজিক নিয়ে চিন্তার কোনো মানেই হয় না, কারন যেখানে আমাদের রিজিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব মহান আল্লাহ তায়ালা নিজেই নিয়েছেন।
রিজিক থেকে যদি আমরা দূরে সরতেও চাই, তাহলেও মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের রিজিক আমাদের কাছে পৌঁছে দিবেন। এ মর্মে হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সা.বলেছেন-আদম সন্তান মৃত্যু থেকে যেভাবে পালিয়ে বেড়ায়, রিজিক থেকেও যদি সেভাবে পালিয়ে বেড়াত, তবুও তার রিজিক তার কাছেই পৌঁছাত।’
আল্লাহ তায়ালার রিজিকের ব্যাপারে আমাদের দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। আল্লাহর হুকুম হলে আমাদের রিজিক ঠিকই আমাদের কাছে আসবে। শুধু আমাদের তাওয়াক্কুল ঠিক রাখতে হবে, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে। হাদিসে বর্নিত রয়েছে-তোমরা যদি সঠিকভাবে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করতে, তবে তিনি তোমাদের রিজিক দান করতেন, যেমন পাখিকে রিজিক দান করে থাকেন। তারা খালি পেটে সকালে বের হয় এবং পেট ভর্তি হয়ে রাতে ফিরে আসে।’
রিজিক নিয়ে হতাশ হবেনা, আমাদের রিজিকদানকারি তো মহান আল্লাহ নিজেই। আল্লাহ তায়ালা আমাদের নিকটে অবশ্যই রিজিক পৌঁছাবেন। তাহলে কেন আমরা রিজিক নিয়ে এত বেশি চিন্তা করবো। সুরা হুদ আয়াত নং ৬- বলা হয়েছে, এবং পৃথিবীতে যত প্রানী আছে সবার রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহরই।’
সুতরাং রিজিক নিয়ে চিন্তার করবেন না। ধৈর্য ধারন করতে হবে, বিশ্বাস রাখতে হবে মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন এর ওপর। মহান আল্লাহ নিজেই কোনো না কোন উৎস থেকে আমাদের রিজিকের ব্যবস্থা করে দিবেন।
রিজিক কি নির্ধারিত
আমাদের জীবনধারনে জন্য যা যাবতীয় প্রয়োজন তার সবকিছু হলো রিজিক। রিজিক আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য নেয়ামত। শুধু অর্থ ও খাওয়া দাওয়া আমাদের রিজিক ন। রিজিক হলো সুস্থতা, ভালো জীবনসঙ্গী, নেককার সন্তান, ব্যবসা বণিজ্য অর্থ্যাৎ আমাদের জীবন ধারনের জন্য যেসব জিনিস আমাদের উপকারে আসে তাই রিজিক। রিজিক নিয়েই মানুষের সবথেকে বেশি দুশ্চিান্তা। তাই অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে রিজিক কি নির্ধারিত?
রিজিকের প্রয়োজনীয়তা আমরা সবসময় অনুভব করি। প্রত্যেকের রিজিক মহান আল্লাহ তায়ালা নির্ধারিত করে দিয়েছেন। আমরা যা কিছু লাভ করি এবং যা কিছু পায় না তার সবকিছু নির্ধারিত। কিন্তু রিজিকের অনুসন্ধান বা তালাশের দায়িত্ব বান্দার। মহান আল্লাহ কুরআনের মধ্যে বলে দিয়েছেন- ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহরই। ( সূরা হুদ আয়াত: ৬)’
রিজিক আল্লাহর মাধ্যমে নির্ধারিত বলে এই নয় যে রিজিকের অনুসন্ধান বা তালাশ আমাদের করতে হবে না। আল্লাহর ওপর সম্পূর্ন ভরসা রেখে আমাদের রিজিকে অনুসন্ধান করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা কুরআন মাজিদে বলেছেন, অতঃপর তোমরা নামাজ শেষ হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করবে আর আল্লাহকে অধিক স্মরন করবে যাতে তোমরা সফল হতে পারো। ( সুরা জুমুআ আয়াত: ১০)
তবে আমল ও দোয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের রিজিক বাড়াতে পারি। আবার খারাপ কর্ম থেকে আমাদের রিজিক কমে যেতে পারে। রিজিক আমাদের জন্য নির্ধারিত হলেও কিছু কর্মের মাধ্যমে রিজিকে বরকত কমে যায়। যেমন:
- পাপকাজে লিপ্ত ব্যক্তির রিজিকে বরকত কমে যায়।
- যে ব্যক্তি মিথ্যা কসম কাটে এবং মানুষের সাথে ধোঁকাবাজি করে অর্থের সন্ধান করে তাদের রিজিক কমে যায় এবং বরকত ধ্বংস হয়ে যায়।
- আল্লাহর দেওয়া প্রাপ্ত নেয়ামতের যে ব্যক্তি শুকরিয়া আদায় করে না সে ব্যক্তির রিজিক কমে যায়।
- যে ব্যক্তি সুদের মাধ্যমে ব্যবসা করতে চাই, সে ব্যক্তির বরকত নষ্ট হয়ে যায়।
- জাকাত না দেওয়া ব্যক্তির বরকত উঠিয়ে নেওয়া হয়।
- যারা রিজিক খুঁজতে হারাম উপার্জনে লিপ্ত হয়, সে ব্যক্তির বরকত কমে যায়।
অন্যদিকে যেসব আমলে রিজিকে বরকত আসে সেগুলো হলো-
- তাকওয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালা রিজিকে বরকত দেন।
- যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করবে সে ব্যক্তির রিজিকে বরকত আসে।
- বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ ব্যক্তির রিজিক বৃদ্ধি পায়।
- আত্মীয়স্বজনের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ব্যক্তির রিজিক বৃদ্ধি পায়।
- দোয়ার মাধ্যমে রিজিক বাড়ে।
উপরের আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারি রিজিক হলো দুটির সংমিশ্রন একটি আল্লাহর ইচ্ছা অপরটি মানুষের কর্মের ফল। তবে রিজিক নিয়ে আমাদের সবসময় ইতিবাচক ধারনা আনতে হবে। আল্লাহর ওপর সম্পূর্নরূপে বিশ্বাস রেখে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। রিজিক নিয়ে এত বেশি চিন্তা বা ভাবনার কিছু নেয়, কারণ রিজিক আমাদের হাতে নয়। তাই বলে বসে থাকলে হবে না, আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে কর্ম করতে হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই উত্তম রিজিক দানকারী।
লেখকের শেষ বক্তব্য
রিজিক নিয়ে আল্লাহার বানী – রিজিক বৃদ্ধির দোয়া সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি রিজিক নিয়ে আল্লাহার বানী – রিজিক বৃদ্ধির দোয়া সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।