ফোন ব্যাকআপ দিলে কি হয় – মোবাইল রিসেট দিলে কি হয়

আপনারা হয়ত অনেকেই জানেন না যে ফোন ব্যাকআপ দিলে কি হয়। তাই এই আপনারা হয়তো অধিকংশ মানুষ গুগলের গিয়ে এ বিষয়ে জানার জন্য সার্চ করে থাকেন । তাই আমরা আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের এই বিষয়ে একটি ক্লিয়ার ধারণা জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নিন ফোন ব্যাকআপ দিলে কি হয়।

ফোন ব্যাকআপ দিলে কি হয়

ফোন ব্যাকআপ কি ডাটা ব্যাকআপ কি ফোন ব্যাকআপ দিলে কি হয় Backup এর বাংলা অর্থ কি মোবাইল রিসেট দিলে কি হয় এর সকল বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আপনারা জানতে পারবেন। তো আপনি যদি এই সমস্ত বিষয়ে একেবারে ক্লিয়ার ধারনা নিতে চান বা সঠিক তথ্যগুলি জেনে নিতে চান, তাহলে অবহেলা না করে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে একদম শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

ফোন ব্যাকআপ কি

মোবাইল ফোন চালায় না এমন মানুষ কমই রয়েছে। কিন্তু অনেকেই জানেনা ফোন ব্যাকআপ কি তাই আজকের আর্টিকেলের এই অংশ আমি আপনাদের বলব ফোন ব্যাকআপ কি? আপনি যদি এই অংশটি ভালোভাবে পড়েন তাহলে ফোন ব্যাকআপ কি সে সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবেন বা বুঝতে পারবেন। আমরা এই বিষয়ে এমন কিছু তথ্য প্রদান করব  যা জেনে আপনার উপকারে আসবে।

ফোন ব্যাকআপ কি? ফোন ব্যাকআপ মূলত মূল ডেটা থেকে কপি করে অন্য কোথাও সংরক্ষণ করে রাখাকে বোঝায়। যেমন আপনার মোবাইল ফোন এ অডিও ভিডিও এবং ছবি থাকে এগুলো অনেক সময় ডিলেট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তাই আপনি যদি এগুলো কপি করে অন্য কোথাও রেখে দেন তাহলে সেটাকেই বলা হয় ফোন ব্যাকআপ। ফোন ব্যাকআপ নেওয়ার মূল উদ্দেশ্য আসল ডেটা গুলো হারিয়ে না যায় এবং পরবর্তীতে পাওয়া যায়। আশা করছি বুঝতে পারলেন ফোন ব্যাকআপ কি। এখন চলুন ডাটা ব্যাকআপ কি তা নিচের অংশে থেকে জেনে নেই।

আরো পড়ুনঃ-  ফোন কেনার আগে যা জানা দরকার

ডাটা ব্যাকআপ কি

উপরে আপনারা জানতে পারলেন ফোন ব্যাকআপ কি। কিন্তু অনেকে আবার জানতে চায় ডাটা ব্যাকআপ কি? ডাটা ব্যাকআপ হল আপনার কম্পিউটারের কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যদি আপনি কপি করে অন্য কোথাও রেখে দেন এবং আসল ডেটা যদি ডিলিট হয়ে যায় পরবর্তীতে ওই ডেটা ফিরিয়ে আনাকে ডাটা ব্যাকআপ বলে।

ডাটা ব্যাকআপ নেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কারণ আপনি যে কাজগুলো করেন সেগুলো করতে অনেক কষ্ট হয় এবং সেই কাজগুলো যদি ব্যাকআপ নেওয়া না থাকে এবং ডিলিট হয়ে যায় তাহলে আপনার কষ্ট আরো বেশি হয়ে যাবে।

সেজন্য কম্পিউটারে যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ ডাটা রয়েছে সেগুলো ব্যাকআপ নিয়ে রাখা ভালো যেন ডিলিট হয়ে গেলেও পরবর্তীতে সেই ডাটা গুলো আবার খুব সহজেই পাওয়া যায়। আশা করছি বুঝতে পারলেন ডাটা ব্যাকআপ কি? এখন চলুন নিচের অংশে জানুন ফোন ব্যাকআপ দিলে কি হয় সেই সম্পর্কে।

ফোন ব্যাকআপ দিলে কি হয়

উপরে আপনারা জানতে পেরেছেন ফোন ব্যাকআপ কি এবং ডাটা ব্যাকআপ কি। কিন্তু অনেকে আবার জানতে চেয়ে থাকেন ফোন ব্যাকআপ দিলে কি হয় তাই আজকের আর্টিকেলের এই অংশে আমি আপনাদের বলব ফোন ব্যাকআপ দিলে কি হয়।

তাহলে চলুন এই অংশে জেনে নেয়া যাক ফোন ব্যাকআপ দিলে কি হয় সেই সম্পর্কে।ফোন ব্যাকআপ কি এই অংশটি পড়ে আপনারা ব্যাকআপ সম্পর্কে ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন তবুও আবার বলতেছি ফোন ব্যাকআপ দিলে কি হয়। ফোন ব্যাকআপ দিলে আপনার যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা অডিও ভিডিও ছবি যেগুলো রয়েছে সেগুলো যদি ডিলিট হয়ে যায়।

তাহলে পরবর্তীতে সেগুলো আবার ফিরিয়ে আনতে পারবেন। আর যদি ফোন ব্যাকআপ না দেওয়া থাকে তাহলে মেইন ডাটা অডিও ভিডিও ছবি যদি ডিলিট হয়ে যায় তাহলে আর কখনো ফিরিয়ে আনতে পারবেন না। এইজন্যই মূলত ফোন ব্যাকআপ দেওয়া হয়।

আরো পড়ুনঃ-  এক্সেল এর কাজ কিভাবে করতে হয়

এবং আপনি যদি আপনার ফোন রিসেট মারতে চান তাহলে ফোন ব্যাকআপ নিয়ে রিসেট দিবেন তাহলে সমস্ত ডাটা আবার পেয়ে যাবেন। আশা করছি বুঝতে পারলেন ফোন ব্যাকআপ দিলে কি হয়। এখন চলুন নিচের অংশে জেনে নিন Backup এর বাংলা অর্থ কি?

Backup এর বাংলা অর্থ কি

উপরে আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গেছেন ফোন ব্যাকআপ কি ডাটা ব্যাকআপ কি এবং ফোন ব্যাকআপ দিলে কি হয়। এখন যারা জানতে চান Backup এর বাংলা অর্থ কি তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলের এই অংশটি।

যাদের মোবাইল ফোন ল্যাপটপ কম্পিউটার রয়েছে তারা কমবেশি সবাই ব্যাকআপ শব্দের সাথে পরিচিত। কারণ কম্পিউটার ল্যাপটপ বা মোবাইলে যে সব কাজ করা হয়ে থাকে সেগুলো একসময় না এক সময় ব্যাকআপ হয়তো নিয়েছেন তাই ব্যাকআপ শব্দের সাথে বেশিরভাগই পরিচিত।

আসলে ব্যাকআপ হল যেকোন তথ্য কপি করে অন্য জায়গায় রেখে দেওয়াকে বলা হয়। ব্যাকআপের বাংলা অর্থ হলো বিকল্প ব্যবস্থা। আবার বলা যায় সংরক্ষণ করে রাখা। আশা করছি বুঝতে পারলেন Backup এর বাংলা অর্থ কি? এখন চলুন নিচের অংশে জেনে নিন মোবাইল রিসেট দিলে কি হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।

মোবাইল রিসেট দিলে কি হয়

মোবাইল রিসেট দিলে কি হয়

ফোন ব্যাকআপ কি এবং ফোন ব্যাকআপ দিলে কি হয় তা আপনারা ইতোমধ্যে খুব ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। কিন্তু অনেকে মোবাইল রিসেট দিতে চাই কিন্তু জানে না মোবাইল রিসেট দিলে কি হয় তাই আজকের আর্টিকেলের এই অংশে আপনারা জানতে পারবেন মোবাইল রিসেট দিলে কি হয়। তাহলে চলুন জেনে নিন মোবাইল রিসেট দিলে কি হয় সেই সম্পর্কে।

অনেকের মোবাইল স্লো হয়ে যায় সেজন্য রিসেট দিয়ে থাকি মোবাইল রিসেট দিলে মোবাইলে থাকা যত ডাটা অ্যাপস অডিও ভিডিও এবং ফাইল রয়েছে সকল কিছু ডিলিট হয়ে যায় এবং মোবাইল একদম নতুনের মত হয়ে যায়। তাই আপনি যদি আপনার মোবাইল রিসেট দেন তাহলে আপনার সকল তথ্য এবং অ্যাপস হারিয়ে ফেলবেন। তাই মোবাইল রিসেট দেওয়ার আগে অবশ্যই সেই ডাটা গুলো অন্য কোথাও ব্যাকআপ নিয়ে রেখে দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ-  ভালো রাউটার চেনার উপায় - সবচেয়ে ভালো রাউটার কোনটি

অনেকে আবার বলে থাকেন মোবাইল রিসেট দিলে কি মোবাইল ফাস্ট হয় তাহলে আমি বলব আপনি যদি মোবাইল রিসেট দেন তাহলে হয়তো দু একদিন কিছুটা ফাস্ট হবে এবং কয়েকদিন পরে আবার আগের মত স্লো হয়ে যাবে। আপনি মোবাইল রিসেট দেওয়ার পরে আবার যেই অ্যাপগুলো ডাউনলোড দিবেন সেগুলো আবার অনেক চাপ দেবে।

এবং নতুন করে প্রসেসরের ওপর চাপ পড়ার জন্য আবারো ফোন স্লো হয়ে যাবে। তবে আপনার যদি অনেক পুরনো মোবাইল হয় তাহলে কয়েক মাস পর পর রিসেট দিতে পারেন এতে করে কিছুটা উপকারিতা পাবেন। আশা করছি বুঝতে পারলেন মোবাইল রিসেট দিলে কি হয়।

ফোন ব্যাকআপ সম্পর্কে লেখকের মতামত

আমরা ইতিমধ্যে আজকের এই আর্টিকেলে ফোন ব্যাকআপ কি, ডাটা ব্যাকআপ কি , ফোন ব্যাকআপ দিলে কি হয় , Backup এর বাংলা অর্থ কি , মোবাইল রিসেট দিলে কি হয় ইত্যাদি সহ এ সকল বিষয়ে  বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনারা আজকের আর্টিকেলটি পড়ে ফোন ব্যাকআপ ও রিসেট সম্পর্কে অনেক প্রয়োজনীত তথ্য গুলো জেনে নিতে পেরেছেন।

আজকের পোস্টটি পড়ার পরে এই বিষয়ে যদি আপনাদের আরো কিছু জানার থাকে কিংবা আপনার যদি এই বিষয়ে কোন মতামত থেকে থাকে, তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারেন। এবং এমন আরো বিভিন্ন রকম পোস্ট করতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment