ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা

ডাবের পানি খুবই পুষ্টিকর একটি পানীয়। ডাবের পানি আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারি একটি খাদ্য। তাই আমরা অনেকেই ডাবের পানি খেয়ে থাকি। তবে ডাবের পানি খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় তা আমরা বিস্তারিতভাবে জানি না।

ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা

তবে আমরা যারা ডাবের পানি খাই, তাদের সবার জানা উচিত ডাবের পানির উপকারিতা সম্পর্কে। ডাবের পানি খাওয়া স্বাস্থের জন্য উপকারি হলেও, এটি পরিমিত খেতে হবে। কারণ অতিরিক্ত ডাবের পানি খাওয়া ঠিক নয়। তাই ডাবের পানি খেতে হবে নিয়ম মেনে। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়লে ডাবের পানি খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা ও অপকারিতা সহ আরও বেশ কিছু তথ্য জানতে পারবেন।

ডাবের পানির উপকারিতা

ডাবের পানি খুবই সুস্বাদু একটি পানীয়। এটি শুধু খেতেই সুস্বাদু নয় এর মধ্যে অনেক স্বাস্থ উপকারি গুন রয়েছে। ডাবের পানি থেকে ভালো কোলেস্টেরল, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, শর্করা, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি৬ সহ বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। এসব পুষ্টি উপাদান শরীরের অভ্যন্তরীন ও বাহ্যিক দুটি দিকই ভালো রাখে। ডাবের পানির উপকারিতা সম্পর্কে অনেকের সঠিক তথ্য জানা নেই। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ডাবের পানির উপকারিতা সম্পর্কে।

ত্বকের স্বাস্থ ভালো রাখে: আমাদের ত্বকের জন্য ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি খুবই উপকারী দুটি পুষ্টি উপাদান। আর এ পুষ্টি উপাদানগুলো ডাবের পানি থেকে খুব সহজেই আমরা পেতে পারি। তাই ডাবের পানি খেলে ত্বকের বিভিন্ন দাগ দূর করে এবং ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: সুস্থ থাকতে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। আর ডাবের পানি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ডাবের মধ্যে থাকা থিয়ামিন, রাইবোফ্লবিন সহ বেশ কিছু উপকারি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে সাহায্য করে।

হাড় শক্ত ও মজবুত হয়: ডাবের পানি থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। যা নিয়মিত খেলে হাড় শক্তিশালী ও মজবুত হয়।

চুলের গোড়া মজবুত হয়: ভিটামিন এ আমাদের চুলের জন্য বেশ উপকারি একটি পুষ্টি উপাদান। আর ডাবের পানি থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। তাই ডাব যদি নিয়মিত খান, তাহলে আপনার চুলের স্বাস্থ ভালো থাকবে। আপনার চুল হবে শক্ত ও মজবুত।

চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়: ডাবের মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে সহায়তা করে। তাই যারা চোখের নিচের কালো দাগ সমস্যাই ভুগছেন তারা নিয়মিত ডাব খাবেন।

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে রাখে: ডাবের পানি নিয়মিত খেলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে থাকে। ডাবের মধ্য থেকে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন সি পুষ্টি উপাদানগুলো পাওয়া যায়। যার কারনে ডাব খেলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে থাকে।

পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করে: সুস্থ শরীরের জন্য আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পানি খুবই প্রয়োজন। তবে অতিরিক্ত গরমের কারনে, আমাদের শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে পানি বের হয়ে যায়। ফলে শরীরকে পর্যাপ্ত পানি দেওয়া সম্ভব হয় না। যার কারনে অনেক সময় আমাদের শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। তবে ডাবের পানি যদি নিয়মিত  খাওয়া যায়। তাহলে সহজেই আমাদের শরীরে পানির ঘাটতি পূরন করা সম্ভব হয়।

শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়: নিয়মিত ডাবের পানি খেলে আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলো  বের হয়ে আসে। ফলে আমাদের শরীর সুস্থ ও সতেজ থাকে।

আরো পড়ুনঃ-  কীভাবে ওজন কমানো যায় - ওজন কমানোর ব্যায়াম

প্রতিদিন সুস্থ থাকতে ডাবের পানির কোনো বিকল্প নেয়। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত ডাবের পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন।

ডাবের পানি খাওয়ার নিয়ম

ডাবের পানির মধ্যে আদ্রতা রক্ষাকারী উপাদান রয়েছে। নিয়মিত খাবার তালিকায় যদি ডাবের পানি রাখা যায় তাহলে বিভিন্ন স্বাস্থ্যোপকার পাওয়া যায়। তাই পুষ্টিবীদরা নিয়মিত ডাবের পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ডাবের পানি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। তবে ডাবের পানি খাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেয়। কচি ডাবের পানি কাটার সাথে সাথে স্বাভাবিকভাবে খাওয়াই বেশি উপকারী। তবে বিভিন্ন খাবারের সাথে যোগ করেও খাওয়া যায় । তো চলুন জেনে নিন স্বাভাবিকভাবে পান করা ছাড়াও আর কোন কোন নিয়মে ডাবের পানি খাওয়া যায়।

১. স্মুদিতে ডাবের পানি ব্যাবহার করে খেতে পারেন। স্মুদিতে ডাবের পানি ব্যবহারে স্মুদি খেতে যেমন সুস্বাদু হয় তেমনি এর উপকারিতাও বেড়ে যায়। তাই স্মুদি তৈরিতে সাধারন পানির বদলে ডাবের পানি ব্যবহার করতে পারেন।

২. ডাবের পানির বরফ তৈরি করে খেতে পারেন। অতিরিক্ত গরমে ফলের জুসের সাথে ডাবের পানি যোগ করে ফ্রিজে রেখে বরফ তৈরি করে খেতে পারেন। অতিরিক্ত গরমে এভাবে ডাবের পানি খেলে বিভিন্ন উপকার আপনি পাবেন।

৩. তাজা ফলের জুসের সাথে ডাবের পানি যোগ করে খেতে পারেন। আমরা অনেকেই সকালের নাস্তায় কমলা, মাল্টা, আনারস এ ধরনের তাজা ফলের জুস খেয়ে থাকি। আপনি এ ফলের জুসগুলোর সাথে ডাবের পানি যোগ করে খেতে পারেন। এটি খেতে সুস্বাদু হয় পাশাপাশি শরীরে বিভিন্ন পুষ্টির যোগান দিয়ে থাকে।

প্রতিদিন একই নিয়মে অর্থ্যাৎ স্বাভাবিক ভাবে ডাবের পানি খেতে ভালো না লাগলে উপরের নিয়মে ডাবের পানি খেতে পারেন। এভাবে ডাবের পানি খেলেও স্বাস্থ উপকারিতা পাওয়া যায় এবং দিনের শুরুতে অর্থ্যাৎ সকালে ডাবের পানি খাবেন। অনান্য সময়ের থেকে সকাল বেলা ডাবের পানি খাওয়া স্বাস্থের জন্য বেশি উপকারি বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে একেবারে খালি পেটে সকালে দৈনিক ডাবের পানি খাওয়া ঠিক নয়।

ডাব খেলে কি গ্যাস হয়

শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির জোগান দিতে ডাবের পানি খুবই উপকারী একটি পানীয়। ডাব যতক্ষন না নারিকেল এ পরিনত হয়, ততক্ষন সেটা ডাব থাকে। ডাবের সাধারনত আমরা ভেতরের পানি শরীরের বিভিন্ন উপকারের জন্য খেয়ে থাকি। সত্যি সেটা পুষ্টিগুনে ভরপুর ও উপকারি। বর্তমান সময়ে অসুস্থ রোগিদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাই সুস্থ থাকতেই প্রতিদিন ডাব খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ডাবা যারা খেতে চাইছেন অনেকের মনে প্রশ্ন আসে ডাব খেলে কি গ্যাস হয়। তো চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক ডাব খেলে গ্যাস হয় কি না।

ডাবের পানির মধ্যে অসংখ্যা স্বাস্থ উপকারী গুন রয়েছে। শরীর সুস্থ থাকতে এ পানীয় খাওয়ার কোনো তুলনা হয় না। তবে ডাবের পানির মধ্যে এত স্বাস্থ উপকারী গুন থাকলেও এটি খেতে হবে সঠিক নিয়মে। নিয়মিত যদি আপনি ডাবের পানি খেতে চান তাহলে দৈনিক ২০০ মিলিলিটার ডাবের পানি খাওয়া উচিত। প্রতিদিন যদি ২০০ মিলিলিটার ডাবের পানি খান তাহলে শরীরে কোনো ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে না।

ডাবের পানি খেলে গ্যাস হয় না। তবে আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ডাবের পানি খান, তাহলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। এছারাও অতিরিক্ত ডাবের পানি খেলে গ্যাসট্রিকের সমস্যা হতে দেখা যায়।

আরো পড়ুনঃ-  কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - কাঁচা কলার পুষ্টিগুণ

তবে সবার শরীর এক ধরনের নয়। অনেকেরই সঠিক নিয়মে ডাবের পানি খেলেও গ্যাস অথবা বায়ু জনিত উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সবার ক্ষেত্রে নয়, কিছু কিছু লোকের এ সমস্যা হতে পারে। তাই আপনি প্রথমে সঠিক নিয়মে ডাবের পানি খেয়ে দেখুন। যদি গ্যাসট্রিকের সমস্যা হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এটি খাবেন।

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা

গর্ভাবস্থার সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ন একটা সময়। এ সময় গর্ভবতী মায়েদের সচেতন থাকাটা জরুরি। বিশেষ করে খাওয়া দাওয়ার দিকে। কারণ গর্ভের সন্তানের স্বাস্থ ভালো থাকার বিষয়টা অনেকটাই মায়েদের খাবারের ওপর নির্ভর হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় যেকোনো খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালো ভাবে জেনে তারপর খাওয়া উচিত। ডাবের পানির স্বাস্থ উপকারিতা সম্পর্কে প্রায় আমরা সবাই জানি। তবে গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা সম্পর্কে জানেন কি? জেনে নিন গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির কি কি উপকারিতা পাওয়া যায়।

  • গর্ভাবস্থায় পরিচিত একটি সমস্যা হলো, শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া। তবে এ সমস্যা থেকে খুব সহজেই সমাধান পাওয়া যায় ডাবের পানি পান করলে। গর্ভাবস্থায় দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে প্রতিদিন এক গ্লাস করে ডাবের পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন।
  • একজন গর্ভবতী নারীদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত থাকা প্রয়োজন। আর ডাবের পানি শরীরের রক্ত বাড়াতে সহায়তা করে থাকে।
  • গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খাওয়ার ফলে মা যেমন সুস্থ থাকে তেমনি গর্ভের শিশুর মস্তিষ্ক ভালো থাকে।
  • গর্ভাবস্থায় অনেক মায়েদের কোষ্ঠকাঠ্যিনের সমস্যা হয়ে থাকে। এ সময় নিয়মিত ডাবের পানি খেলে কোষ্ঠকাঠ্যিনের সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।
  • গর্ভাবস্থায় পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ডাবের পানি।
  • নিয়মিত ডাবের পানি খাওয়ার ফলে রক্তাচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে।
  • বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা যদি গর্ভাবস্থায় হয়ে থাকে। তাহলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় নিয়মিত ডাব খেলে।

গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো ডাবের পানি থেকে পাওয়া যায় । তাই নিয়মিত ডাবের পানি খাওয়ার অভ্যাস  করুন। এতে মা ও শিশু দুজনের স্বাস্থ ভালো থাকবে। তবে সঠিক নিয়মে ডাবের পানি খাবেন, অতিরিক্ত খাবেন না আর শরীরে যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডাবের পানি খাবেন।

প্রতিদিন ডাব খেলে কি হয়

শরীরকে সবসময় সুস্থ ও সতেজ রাখতে ডাবের পানি খুবই কার্যকারী একটি পানীয়। তাই চিকিৎসকেরা ডাবের পানি খাওয়ার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। প্রতিদিন পরিমিত ডাব খাওয়া স্বাস্থের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত ডাব খাওয়ার ফলে অনেক স্বাস্থ উপকারিতা পাওয়া যায়। ডাব খাওয়ার ফলে শরীরের মধ্যে কোনো ধরনের রোগের সৃষ্টি হয় না। তাই স্বাস্থ সচেতন মানুষেরা প্রতিদিনের খাবার তালিকায় এটি রাখতে চায়। জেনে নিন প্রতিদিন ডাব খেলে কি হয়।

  • প্রতিদিন পরিমিত ডাব খেলে অতিরিক্ত ওজন কমে আসে সহজেই। ডাবের পানি থেকে কিছু উপকারী এনজাইম পাওয়া যায়, যেগুলোর কারনের আমাদের শরীরে  অতিরিক্ত মেদ জমার সুযোগ পায় না। ফলে ওজন কমে যায় সহজেই।
  • হার্টের স্বাস্থ ভালো রাখতে ডাব খুবই উপকারী। আমাদের শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধিতে ডাবের পানি বিশেষ  ভূমিকা নিয়ে থাকে। ফলে ডাব নিয়মিত খেলে হার্ট আ্যাটাকের ঝুঁকি কমে এবং হার্টের স্বাস্থ ভালো থাকে।
  • শরীরের ওপর বয়সের ছাপ তৈরিতে বাধা দিয়ে থাকে ডাবের পানি। তাই ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে নিয়মিত ডাব খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  • প্রতিদিন ডাব খেলে কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়ে। ডাবের পানির মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে থাকে।
  • দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ ভালো থাকবে যদি প্রতিদিন ডাব খেতে পারেন। ডাবের পানির মধ্যে ক্যালসিয়াম থাকার কারনে দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থে উন্নতি ঘটে থাকে।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকে প্রতিদিন ডাব খেলে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখা নিয়ে ডায়াবেটিস রোগিরা প্রায় চিন্তিত হয়ে যায়। তবে চিন্তা না করে প্রতিদিন ডাব খাবেন, ডাব সুগারের মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে থাকে।
  • কিডনি স্টোন দূর করতে ডাবের পানির জুড়ি অনেক। কিডনি স্টোন যদি বাড়তে শুরু করে তাহলেই শুরু করুন ডাবের পানি খেতে। এটি খাওয়ার ফলে কিডনি স্টোন দূর হয়ে যেতে পারে।
  • ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে থাকে ডাবের পানি। প্রতিদিন ডাবের পানি খেলে বিভিন্ন ধরনের ক্যাান্সার প্রতিরোধ করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ-  সকালে খালি পেটে কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা

প্রতিদিন ডাব খেলে উপরের উপকারিতাগুলো ছাড়াও আরও বেশ উপকারিতা পেয়ে যাবেন। বিভিন্ন স্বাস্থ ঝুঁকি কমাতে এ পানির রয়েছে অনেক কার্যকারী গুন।

ডাবের পানির অপকারিতা

অধিক পুষ্টিগুনে ভরপুর ডাবের পানি। স্বাস্থ সুরক্ষায় ডাবের পানি সব থেকে পুষ্টি সমৃদ্ধ পানীয়। ডাবের পানির মধ্যে অসংখ্য স্বাস্থ উপকারী গুন রয়েছে। তবে ডাবের মধ্যে অসংখ্যা স্¦াস্থ উপকারিতা থাকা সত্তেও ডাব খেতে হবে পরিমিত। অতিরিক্ত ডাব খেলে শরীরে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছারাও ডাবের পানি সবার ক্ষেত্রে খাওয়া উচিত নয়। ডাব পরিমিত, সঠিক নিয়মে খেলে শরীরে কোনো ধরনের সমস্যা হয় না। তবে নিয়ম করে ডাবের পানি না খেলে শরীরের জন্য সেটা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তো চলুন ডাবের পানির অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

  • কিডনি সুস্থ রাখতে ডাবের পানি খুবই উপকারি একটি পানীয়। তবে কিডনি রোগিদের জন্য ডাবের পানি খাওয়া ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ডাবের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম কিডনি রোগিদের ক্ষতির কারন হয়ে দাড়ায়।
  • যাদের শরীরের ওজন অতিরিক্ত এবং ওজন কমাতে চাইছেন তাদের জন্য ডাবের পানি খাওয়া  ঠিক নয়। ডাবের পানিতে প্রচুর ক্যালরি রয়েছে ফলে  এটি খেলে শরীরে ক্যালরির মাত্রা বেড়ে যায়।  যার কারণে ওজন কমার বদলে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
  • যারা উচ্চরক্তচাপের ওষুধ সেবন করছেন, তাদের জন্য ডাবের পানি খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ ও ডাবের পানি একসাথে খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই কমে যেতে পারে। ফলে শারিরিক জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।
  • যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের অতিরিক্ত ডাবের পানি খাওয়া স্বাস্থের জন্য ঝুঁকিপূর্ন। ডাবের পানি খাওয়ার ফলে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই ডায়াবেটিস রোগিদেরও পরিমিত ডাবের পানি গ্রহন করতে হবে।
  • অতিরিক্ত ডাবের পানি খেলে ডায়রিয়া হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • নিউমোনিয়া রোগিদের জন্য ডাবের পানি খাওয়া ঠিক নয়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

এ ছিল ডাবের পানির কিছু ক্ষতিকর দিক। তবে আপনার শরীরে যদি কোনো স্থায়ী রোগ না হয়ে থাকে, তাহলে দৈনিক ডাবের পানি খেলে শরীরে কোনো ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

পরিশেষে বলতে চাই, ডাবের পানির উপকারের শেষ নেই বলা চলে। তাই প্রতিদিন পরিমিত ও সঠিক নিয়মে ডাব খান এবং শরীরকে সুস্থ রাখুন।

লেখকের শেষ বক্তব্য

ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।

Leave a Comment