কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা – কাঁচা কলার পুষ্টিগুণ

প্রিয় পাঠক আপনি কি কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা – কাঁচা কলার পুষ্টিগুন সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের আর্টিকেলে আমরা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। কলা আমরা প্রায় সবাই খেয়ে থাকি তবে কলার উপকার ও অপকার সম্পর্কে আমাদের অনেকের জানা নেই। তবে কলার উপকারিতা কি, কলা খেলে কোনো ক্ষতি হয় কিনা এসব বিষয় আমাদের জানা উচিত। এসব বিষয় জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পরুন।

কলা খাওয়ার উপকারতিা ও অপকারতিা

কলা কাঁচা হোক বা পাকা এই দুই ধরনের কলা খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য উপকারি। কলার মধ্যে বিভিন্ন উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরে গিয়ে,আমাদের পুষ্টির চাহিদা পূরন করে থাকে। আমাদের স্বাস্থ ভালো রাখতে খাদ্যতালিতকায় নিয়মিত কলা রাখা প্রয়োজন। তবে কলা খাওয়ার কিছু সঠিক নিয়ম আছে যেগুলো জেনে কলা খেতে হবে। কলা আমরা কখন খাবো, কোন বয়সে কতটুক খাবো, কতটুকু কলা খেলে স্বাস্থের জন্য ভালো। এসব বিষয় আপনাদের জানাবো বলেই আজকের আর্টিকেলটি। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

কলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুন

কলা আমাদের প্রায় সবার পচ্ছন্দের একটি খাবার। সহজলভ্য এই  পাকা কলার মধ্যে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। একটি 100 গ্রাম ওজনের পাকা কলার মধ্যে থাকে পানি ৬২.৭ গ্রাম, প্রোটিন ১.১ গ্রাম, শর্করা ২৩ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ২৫ গ্রাম, ফ্যাট ০.৮, ক্যালসিয়াম ৫ গ্রাম, লৌহ ০.৯ মি.লিগ্রাম, থায়ামিন ০.১০ গ্রাম, চিনি ১২গ্রাম, ভিটামিন সি ২৪ মি.লি গ্রাম এবং শক্তি  ১০৫ কিলো ক্যালোরি। পাকা কলা খেলে আমরা অনেক উপকার পেয়ে থাকি। চলুন জেনে নিই পাকা কলা খেলে কি কি উপকার মেলে। কাঁচা কলার পুষ্টিগুন ও উপকার সম্পর্কে পরবির্ততে আলোচনা করা আছে।

  • কলাতে থাকে ক্যালসিয়াম। আর ক্যালসিয়াম আমাদের হাড় কে মজবুত করে ও দাঁতকে সুরক্ষা রাখে।
  • কলাতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা আমাদের শরীরে গিয়ে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • আমার শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি হলে শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনের মধ্যে থাকে না। আর কলা খেলে পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরন হয়। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্য প্রতিরোধে পাকা কলার জুরি অনেক। কলাতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। নিয়মিত পাকা কলা খেলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • ওজন কম নিয়ে যারা সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত কলা খেতে পারেন। কলাতে প্রচুর ক্যালোরি থাকে যা শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে।
  • কলা খেলে আমাদের পেট পরিষ্কার হয়, হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
  • শরীরে দুর্বলতা দূর হয় কলা খাওয়ার মাধ্যমে। যাদের শরীর দুর্বল তারা শরীরে শক্তি জোগাতে খাদ্যতালিকায় কলা রাখুন।
  • কলাতে থাকে ভিটামিন বি৬ যা মস্তিস্কের কার্যকারিতা ঠিক রাখে এবং মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়।
  • কলা খেলে চোখ সুস্থ থাকে। কলাতে থাকে ভিটামিন এ যার ফলে আমাদের চোখ সুস্থ থাকে।
  • কলাতে থাকা ভিটামিন সি আমাদের ত্বক সুস্থ ও সুন্দর রাখে। ত্বক সুস্থ রাখতে নিয়মিত কলা খাবেন।
  • আমাদের কিডনি ভালো রাখতে পটাশিয়াম একটি গুরত্বপূর্ন উপাদান। আর কলায় রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম যা আমাদের শরীরে গিয়ে কিডনি সুরক্ষা রাখে।
  • বিষন্নতা ও অতরিক্ত মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রনে আসে নিয়মিত কলা খেলে।
  • কলা খেলে আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কলা রাখবেন।
  • ডায়রিয়া হলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। কলা খেলে শরীরে পানির ঘাটতি দূর করে।
  • কলাতে প্রচুর আয়রন আছে, আয়রনের অভাবে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। তাই কলা খেলে রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর হবে।
আরো পড়ুনঃ-  কীভাবে ওজন কমানো যায় - ওজন কমানোর ব্যায়াম

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কলা রাখুন এবং শরীরকে বিভিন্ন সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করুন।

রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা

স্বাস্থ ভালো রাখতে প্রতিদিন  পাকা কলা খাওয়া জরুরি। আমাদের দেহে নতুন করে শক্তি সঞ্চার ঘটে কলা খাওয়ার মাধ্যেমে। পাকা কলা খাওয়া ভালো আমরা সবাই সেটা জানি। তবে রাতে কলা খাওয়া যাবে কি? এ নিয়ে সবার মনে প্রশ্ন । আমরা অনেকেই মনে করি রাতে কলা খাওয়া যাবেনা।  তবে রাতে কলা খাওয়ার বিষয় নিয়ে বিশেষজ্ঞরা  দুটি মত দিয়েছেন। কেউ বলেন রাতে কলা খাওয়া যাবে আবার কেউ বলেন রাতে কলা খাওয়া উচিত নয়। রাতে কলা খাওয়া যাবে না এটা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। কলা একটি ঠান্ডা ফল। তাই যাদের সর্দি, কাশি, অ্যাজমা এবং কিডনির সমস্যা আছে তারা রাতে কলা খাবেন না। যাদের এসব সমস্যা নেয় তার রাতে কলা খেতে পারেন কোনো সমস্যা নেয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক রাতে কলা খেলে কি উপকার হয়।

  • যাদের ঘুমের সমস্যা আছে, ঠিকমতো ঘুম হয় না। তারা রাতে কলা খেলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। রাতে ঘুমানোর আগে কলা খাবেন, তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে। তবে অতিরিক্ত কলা খাওয়া যাবেনা।
  • যাদের পেশিতে সমস্যা হয় , ব্যাথ্যা করে তারা রাতে কলা খাবেন। কলাতে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম পেশির শিথিলতা প্রদান করে। তাই প্রতিদিন রাতে ১ টি করে কলা খেতে পারেন এতে কোনো সমস্যা হবে না।
  • রাতে কলা খাওয়ার আর একটি উপকার হলো শরীরের ক্লান্তি দূর হয়। আমরা সারাদিন কাজ করার ফলে রাতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। আর সারাদিনের কাজের ক্লান্তি কলা খেলে দূর হয় এবং শরীরে নতুন করে শক্তির জোগান দেয়।
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি হয় রাতে কলা খেলে । আমাদের অনেকের রাতে  খাবার খাওয়ার পরে খাবার হজম হতে চায় না। যাদের এ সমস্যা আছে তারা রাতে  একটি কলা খেতে পারেন কোনো সমস্যা হবে না।

উপরে আমরা রাতে কলা খাওয়ার উপকার সম্পর্কে জানলাম।  সবার জন্য রাতে কলা খাওয়া ঠিক নয়। কলা ঠান্ডা জাতীয় ফল, যাদের অল্পতেই ঠান্ডা লেগে যায় তারা রাতে কলা খাবেন না। রাতে কলা খেলে তাদের সর্দি, কাশি বেড়ে যেতে পারে। এছারাও যাদের ডায়বেটিকস ও অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তারাও রাতে কলা খাবেন না। তবে যাদের এসব সমস্যা নেয় তারা নিয়ম অনুযায়ী,  পরিমাপ করে কলা খাবেন। শরীর এবং স্বাস্থকে ভালো রাখবে।

আরো পড়ুনঃ-  ঘর থেকে ইঁদুর তাড়ানোর উপায় - ইঁদুর মারার বিষের নাম

দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত

কলা খাওয়ার গুনের যেন শেষ নেই। বিশেষজ্ঞরা দুধ ও ডিমের পর কলা খেতে বলেছেন। কলা আমাদের স্বাস্থ ভালো রাখেতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কলা নিয়মিত খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কলা আমাদের শরীরে অনেক উপকারে আসে। নিয়মিত কলা খেলে হার্টের সমস্যা ভালো হয় ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টির এক বড় উৎস হলো এই কলা।  কলা খাওয়া স্বাস্থের জন্য ভালো এটা সত্য তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। কলাও এর ব্যাতিক্রম নয়। তাই কলা খাওয়া স্বাস্থের জন্য ভালো হলেও  সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে কলা না খেলে শরীরে বিভন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তাই আমাদের জানা জরুরি প্রতিদিন আমরা কয়টি করে কলা খাবো।

প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই টি করে কলা খাওয়া ভালো। দুটি কলা স্বাস্থের জন্য উপকারি। তবে তাই বলে খুব বড় কলা দুইটা খাওয়া যাবে না। কলা যদি খুব বড় হয় তাহলে ১ টা, মাঝারি কলা হলে ২ টা এবং খুব ছোট হলে ৩ টা করে দৈনিক খেতে পারেন। সকালে কলা খাওয়া স্বাস্থের জন্য ভালো, রাতে কলা খাওয়া কারো ক্ষেত্রে নিষেধ। তাই সকালে অথবা বিকেলে কলা খাবেন। তবে খুব ভরা পেটে কলা খাওয়া ঠিক নয়।

নিয়মের মধ্যে কলা খাবেন। অতিরিক্ত কলা খেলে শরীরে বিভিন্ন পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তাই দৈনিক নিয়ম করে কলা খাবেন।

কলার ক্ষতিকর দিক

কলা এমন এক উপাদান যার মধ্যে অনেক পুষ্টিগুন রয়েছে। কলা আমাদের শরীরে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, আয়রনের মতো আরও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরন করে থাকে। স্বাভাবিক ভাবে কলা খেলে কলার তেমন কোনো ক্ষতিকর দিক নেই। কলার মধ্যে এত পুষ্টিগুন থাকা সত্তেও অতিরিক্ত কলা খাওয়া ঠিক নয়। অতিরিক্ত কলা খেলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। আমরা অনেকেই মনে করে থাকি কলার মধ্যে অনেক পুষ্টি গুন আছে, তাই বেশি কলা খেলে শরীর বেশি পুষ্টি পাবে। এটা ভূল ধারনা। সেটা আমাদের অনেকের জানা নেই। চলুন জেনে নিই কলা অতিরিক্ত খেলে কি হয় , কলার ক্ষতিকর দিক গুলো কি।

  • কলা খেলে কিডনি ভালো থাকে। তবে যারা আগে থেকেই কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে আছেন তারা কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • কলাতে থাকে টাইমারাইন নামক এক ধরনের উপাদান, যা মাইগ্রোনের ব্যাথ্যাকে বাড়িয়ে দেয়। তাই যাদের মাইগ্রোনের সমস্যা আছে তারা অতিরিক্ত কলা খাবেন না।
  • কলা খেলে ক্লান্তি দূর হয়। তবে অতিরিক্ত কলা খেলে দেহে ক্লান্তিবোধ হয়। পাকা কলাতে থাকে ট্রিপটোফ্যান আমাইনো এসিড, এই অ্যামাইনো এসিড মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয় যার ফলে দেহে ক্লান্তি আসে।
  • কলাতে থাকে প্রচুর পরিমানে শর্করা। সেজন্য বেশি কলা খেলে দাঁতের সমস্যা দেখা দেয়।
  • অতিরিক্ত কলা খেলে হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যায়। কলাতে থাকে পটাশিয়াম। আর পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে এ সমস্যা দেখা দেয়।
  • যাদের এলার্জি, অ্যাজমা, স্বর্দি, কাশির সমস্যা আছে তারা অতিরিক্ত কলা খাবেন না।
  • ডায়াবেটিস রোগিরাও অত্যাধিক মাত্রায় কলা খাবেন না। কারন কলাতে সুগারের পরিমান থাকে।
  • অতিরিক্ত কলা খেলে পেট ফেঁপে যায় এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়।
  • অতিরিক্ত কলা খেলে আমাদের শরীরে অনিয়মিত ওজন বৃদ্ধি পায়।
আরো পড়ুনঃ-  হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার - হার্টের রোগীর খাবার তালিকা

কলার পুষ্টিগুনের শেষ নেই তবে অতিরক্ত কলা খেলে আমাদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। তাই দৈনিক দুইটি কলা খাবেন এবং সঠিক সময়ে খাবেন।

কাঁচা কলার পুষ্টিগুন

পাকা কলা আমরা এমনিতেই খোসা ছাড়িয়ে খেয়ে নিতে পারি। তবে কাঁচা কলা আমাদের সবজি হিসেবে রান্না করে খেতে হয়। পাকা কলার উপকার সম্পর্কে আমরা প্রায় সবাই জানি তবে কাঁচা কলা খাওয়ার উপকার সম্পর্কে আমাদের অনেকের জানা নেই। তবে কাঁচা কলার মধ্যেও বিভিন্ন পুষ্টিগুন থাকে যা খেলে আমাদের শরীরে পুষ্টির যোগান দিয়ে থাকে।

  • কাঁচা কলা খেলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমায়। যারা ওজন কমাতে চান প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় কাঁচা কলা রাখুন।
  • কাঁচা কলা খেলে শরীরে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রন করে।
  • কাঁচা কলা খেলে পেটের ভেতরের খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলো দূর হয়। পেটে থাকা বিভিন্ন ইনফেকশন দূর করে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। হজম শক্তি ঠিক রাখতে কাঁচা কলা সেদ্ধ করে লবন দিয়ে খাবেন।
  • নিয়মিত কাঁচা কলা খেলে শরীরের হাড় মজবুত হয়। কাঁচা কলায় থাকে ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস যা হাড়কে ক্ষয় হওয়া থেকে বাঁচায়।
  • পেটের সমস্যা দূর হয় কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে। যার গ্যাসট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন তারা খাবারের তালিকায় কাঁচা কলা রাখুন।
  • কাঁচা কলা খাওয়া হার্টের জন্য বেশ উপকারি। নিয়মিত কাঁচা কলা খেলে হার্টের সমস্যা দূর হয়।
  • কাঁচা কলার মধ্যে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম আছে যা আমাদের কিডনির জন্য ভালো।
  • নিয়মিত কাঁচা কলা খেলে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রনে থাকে।
  • চুল ও ত্বকের জন্য বেশ উপকারি কাঁচা কলা।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরে শক্তি জোগায়।

যাদের ডায়রিয়ার সমস্যা আছে তারা কাঁচা কলা খাবেন। কাঁচা কলা খেলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় এবং ডায়রিয়া জনিত সমস্যার সমাধান করে।

কাঁচা কলাকে ভিটামিনের উৎস বলা হয়। তাই পাকা কলা খাওয়ার পাশাপাশি কাঁচা কলাও নিয়মিত রান্না করে খাবেন। তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। অতিরিক্ত কাঁচা কলা খেলে পেটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে, বমি বমি ভাব ও গ্যাস হতে পারে। তাই আপনার খাদ্যতালিকায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাঁচা কলা খাওয়া বাদ দিতে হবে।

লেখকের শেষ বক্তব্য

কলা খাওয়ার উপকারতিা ও অপকারতিা – কাঁচা কলার পুষ্টগিুন সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি কলা খাওয়ার উপকারতিা ও অপকারতিা – কাঁচা কলার পুষ্টগিুন সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।

Leave a Comment