বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বোচ্চ পদে যিনি রয়েছে তিনি হলেন গভর্নর। তবে এ পদটি স্থায়ী নয়, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে এখন পর্যন্ত অনেকেই এ পদে নিযুক্ত হয়েছেন আবার বাতিল হয়েছেন। তো বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর কে রয়েছেন তা আমরা অনেকেই জানি না।
আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দেব, বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর কে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর কে এবং গভর্নর সম্পর্কে যদি আপনি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর কে
বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর কে এ প্রশ্নের উত্তর অনেকেই খুঁজে থাকেন। এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানাতে আমরা আপনাকে সাহায্য করবো। তো চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর কে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নাম জানার আগে জেনে নিন গভর্নর আসলে কি। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম হলো বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের আর্থিক ব্যাবস্থা পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রনের দায়িত্ব পালন করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের সার্বিক ব্যাংক ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কাজ হলো অর্থবাজার ও মুদ্রাব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রন করা। দেশের সবচেয়ে বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বলা হয় বাংলাদেশ ব্যাংক কে। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৭২ সালে তবে এর কার্যক্রম শুরুর তারিখ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশ ব্যাংক ১০ জন সদস্য নিয়ে পরিচালনা হয়ে থাকে। এ সদস্যদের মধ্যে কার্যনির্বাহী প্রধান হলেন গভর্নর।
গর্ভনরের পদটি বাংলাদেশ ব্যাংকের সবচেয়ে বড়। তবে গভর্নর পদটি স্থায়ী নয়, স্বাধীনতার যুদ্ধের পর থেকে এ পদে কয়েকজন কে নিযুক্ত করা হয়েছে। আবার বাতিল ও করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১৩ জন গভর্নর পদে নিযুক্ত হয়েছেন এবং দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর হলেন অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর’। এর আগে ১২ তম গভর্নর ছিলেন আবদুর রউফ তালুকদার। আবদুর রউফ তালুকদার ৯ আগষ্ট ২০২৪ তারিখে পদত্যাগ করলে আহসান এইচ মনসুরকে গভর্নর নিযুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের সিধান্তে ড. আহসান এইচ মনসুরকে গভর্নর পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৪ আগষ্ট ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব তিনি নিয়েছেন। তিনি গভর্নর পদে নিযুক্ত হওয়ার আগে বাংলাদেশ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ছিলেন। তার আগে ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ওয়ালটনের একজন স্বাধীন পরিচালকের দায়িত্বেও কাজ করেছেন তিনি। ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক হিসেবে প্রথম তার কর্মজীবন শুরু হয়। তিনি বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী। তাকে দেশের আর্থিক খাতের বিশ্লেষক হিসেবে ধরা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর তালিকা
বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক দ্বারা পরিচালনা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালনা করার জন্য একজন করে প্রধান কার্যনির্বাহী থাকেন যার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালনা হয়ে থাকে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালক পদের নাম হলো গভর্নর। বাংলাদশ ব্যাংকের গভর্নর সম্পর্কে আমাদের মধ্যে অনেকের ধারনা নেই। আপনি কি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও গভর্নরের তালিকা জানতে চাইছেন? জানতে হলে নি¤েœর আলোচনা থেকে জেনে নিন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর তালিকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালনার জন্য একজন করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাখা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদ স্থায়ী নয়, ৪ বছর মেয়াদে গভর্নরের পদ হয়ে থাকে। তবে সরকার চাইলে এ মেয়াদ বাড়াতে অথবা কমাতে পারেন। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের মোট গভর্নর হয়েছেন ১৩ জন। জেনে নিন বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ জন গভর্নরের পদ গ্রহন ও পদ থেকে পরিত্যাগের তালিকা।
প্রথম গভর্নর- বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত কালে প্রথম গভর্নর পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল জনাব এ. এম.হামিদুল্লাহ কে। তাকে ১৯৭২ সালের ১৮ জানুয়ারি গভর্নর পদে নিযুক্ত করা হয়। তিনি ১৯৭৪ সালের ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময় গভর্নর পদের দায়িত্ব পালন করেন।
দ্বিতীয় গভর্নর- বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বিতীয় গভর্নর হয়েছিলেন নাজিরউদ্দীন আহমেদ। তিনি ১৯ নভেম্বর ১৯৭৪ সাল থেকে ১৩ জুলাই ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত সময় গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ছিলেন সে সময়ের বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ।
তৃতীয় গভর্নর- মোঃ নুরুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের তৃতীয় গভর্নর। তার গভর্নরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সময়কাল ছিল ১৩ জুলাই ১৯৭৬ থেকে ১২ এপ্রিল ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত। তিনি সবচেয়ে বেশি সময় ধরে গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
চতুর্থ গভর্নর- চতুর্থ গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন শেগুফতা বখত চৌধুরি। তিনি ১২ এপ্রিল ১৯৮৭ সালে গভর্নর পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন এবং পদ থেকে পরিত্যাগ হয়েছিলেন ১৯ ডিসেম্বর ১৯৯২ সালে।
পঞ্চম গভর্নর- খোরশেদ আলম ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পঞ্চম গভর্নর। তিনি গভর্নরের পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন ১৯৯২ সালের ২০ ডিসেম্বর এবং পদত্যাগ করেছিলেন ২১ নভেম্বর ১৯৯৬ তারিখে।
ষষ্ঠ গভর্নর- বাংলাদেশ ব্যাংকের ষষ্ঠ গভর্নর পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল মোঃ লুৎফর রহমান কে। তিনি ২১ নভেম্বর ১৯৯৬ সাল থেকে ২১ নভেম্বর ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত গভর্নরের দায়িত্বে ছিলেন।
সপ্তম গভর্নর- বাংলাদেশ ব্যাংকের সপ্তম গভর্নর ছিলেন মোঃ ফরাসউদ্দিন। তিনি গভর্নরের পদ গ্রহন করেছিলেন ২৪ নভেম্বর ১৯৯৮ সালে এবং পদ থেকে পরিত্যাগ করেছিলেন ২২ নভেম্বর ২০০১ সালে।
অষ্টম গভর্নর- বাংলাদেশ ব্যাংকের অষ্টম গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন ফখরুদ্দিন আহমদ। তিনি ২৯ নভেম্বর ২০০১ সাল থেকে ৩০ এপ্রিল ২০০৫ সাল পর্যন্ত গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
নবম গভর্নর- সালেহউদ্দিন আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নবম গভর্নর। তিনি ১ মে ২০০৫ সালে গভর্নর পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন এবং পদ থেকে পরিত্যাগ করেছিলেন ৩০ এপ্রিল ২০০৯ সালে।
দশম গভর্নর- বাংলাদেশ ব্যাংকের দশম গভর্নর ড. আতিউর রহমান। তিনি ১ মে ২০০৯ সালে গভর্নর পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন এবং পদ থেকে পরিত্যাগ করেছিলেন ১৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে।
একাদশ গভর্নর- ফজলে কবির বাংলাদেশ ব্যাংকের একাদশ গভর্নর হয়েছিলেন। তিনি ১৬ মার্চ ২০১৬ সালে গভর্নর পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন এবং পদ থেকে পরিত্যাগ করেছিলেন ৩ জুলাই ২০২২ তারিখে।
দ্বাদশ গভর্নর- বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বাদশ গভর্নর হলেন আব্দুর রউফ তালুকদার। তিনি গভর্নর পদে ছিলেন ৪ জুলাই ২০২২ থেকে ৯ আগষ্ট ২০২৪ সাল পর্যন্ত।
ত্রয়োদশ গভর্নর- বাংলাদেশ ব্যাংকের ত্রয়োদশ অর্থ্যাৎ সর্বশেষ গভর্নর হয়েছেন আহসান এইচ মনসুর। তিনি ১৩ আগষ্ট ২০২৪ তারিখে গভর্নর পদে নিযুক্ত হয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম গভর্নর কে
বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল ধরনের কাজ কর্মের দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, যার পদের নাম গভর্নর। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই একজনকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদে নিযুক্ত করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় প্রথম গভর্নর কে হয়েছিলেন এ নিয়ে অনেকেই প্রশ্নের মুখোমুখি হন। তো জেনে নিন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম গভর্নর কে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম গভর্নর হয়েছিলেন এ.এম.হামিদুল্লাহ। তার হাত ধরেই প্রথম শুরু হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদের সূচনা। তিনি একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ। গভর্নর হওয়ার আগে তিনি পাকিস্তানি ইস্টার্ন ব্যাংকিং করপোরেশন এর ব্যবস্থাপনার পরিচালক পদে নিযুক্ত ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীনতার যুদ্ধে জয় লাভের পর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক কে কার্যকর ঘোষনা করা হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ পাশ হয়েছিল ১৯৭২ সালে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হওয়া পর একজন করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাখার সিধান্ত নেওয়া হয়। যিনি হবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, আর তিনি ব্যাংকের সার্বিক কাজ পরিচালনা করবেন। সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম গভর্নর পদে নিযুক্ত করার সিধান্ত নেওয়া হয় এ.এন.এম হামিদুল্লাহ কে। তিনি ১৮ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে প্রথম গভর্নর পদে নিয়োগ দেন। পরবর্তীতে ১৮ নভেম্বর ১৯৭৪ সালে তিনি পদ থেকে পরিত্যাগ গ্রহন করেন। বর্তমানে গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেছেন আহসান এইচ মনসুর’।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বয়সসীমা
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিযুক্ত করার জন্য, গভর্নরের একটি বয়সীমা দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ বয়সসীমা নির্দিষ্টভাবে থাকে নি। একবার পরিবর্তন করা হয়েছে গভর্নরের বয়সসীমা। তাহলে বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বয়সসীমা কত এ নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন আসে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বয়সসীমা সম্পর্কে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বয়সসীমা ৬৫ থেকে দুই বছর বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ বছর করা হয় ২০২০ সালে। ২০২০ সালের সংশোধনী আইন অনুযায়ী গভর্নরের বয়স ৬৭ না হওয়া পর্যন্ত গভর্নর পদে থাকতে পারবে এবং নিয়োগ দেওয়া যাবে। ২০২০ সালে এ বয়সসীমা নির্ধারিত হয়েছিল এবং সে অনুযায়ী গভর্নর পদে কোনো ব্যাক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হতো এবং পদ থেকে পরিত্যাগ করানো হতো। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিয়োগে বিধানটি বাতিল করার সিধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে গভর্নর পদে নিযুক্ত হয়েছেন ডা. আহসান এইচ মনসুর। তবে তাকে যখন গভর্নর পদে নিযুক্ত করার সিধান্ত নেওয়া হয় তখন তার বয়স ৭২ বছর ৮ মাস। ২০২০ সালের আইন অনুযায়ী তিনি গভর্নর পদে নিযুক্ত হতে পারতেন না। আর সে কারনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২০২০ সালের বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ আইন সংশোধন করেছেন। গভর্নরের বয়সসীমা ৬৭ বছর নির্ধারিত থাকায় আর্থিক খাতে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও দক্ষ ব্যাক্তি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে বলে জানানো হয়েছে। আর সে জন্য গভর্নরের ৬৭ বছর বয়সসীমা তুলে নেওয়া হচ্ছে। এছারাও এশিয়ার অনেকগুলো দেশেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্দিষ্টভাবে নেয়।
সুতরাং আলোচনা থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৬৭ বছর আর থাকছে না, তবে নির্দিষ্টভাবে বলা হয় নি বয়সসীমা কত হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর কে নিয়োগ দেন
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নির্দিষ্ট নয়, এ বিষয় আমরা অনেকেই জানি। এখন পর্যন্ত মোট ১৩ জন ব্যক্তি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদের দায়িত্ব গ্রহন করেছেন। আর সর্বশেষ গভর্নর করা হয়েছে ড. আহসান এইচ মনসুর কে। যেহেতু গভর্নর পরিবর্তনশীল, তাই অনেকেই জানতে চাই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর কে নিয়োগ দেন। তাহলে চলুন সঠিক উত্তর জেনে নিন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর কে নিয়োগ দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সরকার নিয়োগ দিয়ে থাকেন। সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদে কোনো ব্যক্তিকে নিযুক্ত করা হয়। এছারা গভর্নর নিয়োগে কোনো ধরনের নির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হতে কি কি যোগ্যতা লাগবে এমন কোনো কিছু কোথাও বলা হয় নি।
সরকার যাকে ইচ্ছা, যাকে সরকারের পচ্ছন্দ হবে তাকেই বানাতে পারবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। সুতরাং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর কে হবেন তা সম্পূর্ন নির্ধারিত হবে সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী।
অর্থনৈতিক খাতের বড় একটি অংশ হলো বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দেশের গুরুত্বপূর্ন বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কর্মকর্তা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূন পদ হলেন গভর্নর। গভর্নরের সঠিক পরিচালনা ও সঠিক সিধান্ত একটি দেশের অর্থনীতির প্রগতি বাড়িয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। তাই দেশের গভর্নর অবশ্যই যোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য হওয়া দরকার।
লেখকের শেষ বক্তব্য
বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গর্ভনর কে সে সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গর্ভনর কে সে সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।