পেটের মেদ খুবই অস্বস্তিকর একটি বিষয়। এ অস্বস্থিকর বিষয় নিয়ে অনেকেই ভোগান্তিক, কি করে এ থেকে সমাধান পাওয়া যায় এ নিয়ে আমাদের আজকের আর্টিকেল। ৭ দিনে যদি আপনি আপনার পেটের মেদ কমাতে চান তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনাকে পড়তে হবে।
আপনার পেটের অতিরিক্ত মেদ কাটিয়ে উঠতে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনাকে সহায়তা করবে। পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে এমন কয়েকটি বিষয় নিয়ে আমরা এ আর্টিকেলে তুলে ধরেছি। তো চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক ৭ দিনে পেটের মেদ কিভাবে কমানো যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।
৭ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়
ছোট অথবা বড়, নারী কিংবা পুরুষ প্রায় অনেকেই পেটের মেদ নিয়ে চিন্তিত। পেটে মেদ বিভিন্ন কারনে জমে থাকে, মেদ কমানোর উপায় জানার আগে চলুন সেগুলোর সাথে আগে পরিচিত হয়। খাদ্য তালিকায় সঠিক খাবার না রাখা, শারিরিক প্ররিশ্রম না করা, অতিরিক্ত খাবার গ্রহন করা, পর্যাপ্ত পরিমানে না ঘুমালে অথবা মানসিক চাপ এসবের কারনে পেটে মেদ জমে থাকে। তবে পেটে মেদ বাড়ার জন্য মূলত আমরা নিজেরাই দায়ী। একটু সাবধানতার সাথে চলাফেরা করলে মেদ নামক সমস্যাই আমাদের পড়তে হবে না। যাই হোক পেটে মেদ জমে গেছে, কি করবেন? ৭ দিনে মেদ কমাতে চাইছেন? তো চলুন জেনে নিন ৭ দিনে পেটের মেদ কমানেরা উপায় সম্পর্কে।
৭ দিনে পেটের মেদ কমানো শুনতে অবাক লাগলেও পরিশ্রম ও ধৈর্য এ দুটি বিষয়ের ওপর আপনি থাকতে পারলে। আপনিও আপনার পেটের অতিরিক্ত চর্বি বা মেদ কমাতে পারবেন ৭ দিনে।
- পেটের মেদ কমাতে আপনাকে সহায়তা করবে পানি। প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন, পেটের মেদ কমা ছাড়াও শরীরকে সুস্থ রাখতে পানি খুবই উপকারী।
- পেটের মেদ কমাতে অতিরিক্ত লবনযুক্ত খাবার পরিহার করুন।
- প্রতিদিন চিনি ছাড়া লেবু পানি পেটের মেদ কমাতে খাবেন।
- ৭ দিনে যদি আপনি পেটের মেদ কমাতে চান, তাহলে আপনাকে অ্যালকোহল, চিনি ও ক্যাফেইনযুক্ত খাবারগুলো পরিহার করতে হবে।
- জিরা পানি পেটের মেদ কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। পেটের মেদ কমাতে প্রতিদিন সকালে এ পানিয় পান করবেন।
- পেটের মেদ কমাতে নিয়মিত গ্রিন টি পান করুন। পেটের মেদ কমা ছাড়াও গ্রিন টি শরীরের আরও বিভিন্ন উপকার করে থাকে।
- পেটের মেদ কমাতে সাগু দানা খুবই উপকারি। সাগু দানার মধ্যে থাকা ওমেগো থ্রি ওজন কমাতে বা মেদ কমাতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে।
৭ দিনে মেদ কমাতে উপরের বলা টিপসগুলো আপনি ফলো করতে পারেন। এছারাও ৭ দিনে মেদ কমাতে হলে খাবার তালিকা ঠিক রাখতে হবে এবং ব্যায়াম করতে হবে। সঠিক খাবার তালিকা ও ব্যায়াম নিয়ে বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি আপনাকে পড়তে হবে।
পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা
পেটের মেদ বাড়ানোর কারনগুলোর মধ্যে বিশেষ একটি কারণ হলো খাদ্য তালিকায় সঠিক খাবার না রাখা। অস্বাস্থকর জীবনযাপন পেটের মেদ বাড়ার প্রধান লক্ষন হিসেবে ধরা হয়। তাই পেটের মেদ যদি বাড়তে থাকে, তাহলে প্রথমে অবশ্যই খাবার তালিকার দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া জরুরি। এমন অনেক খাবার আছে, যেগুলো খাদ্য তালিকায় থাকলে অনায়াসে পেটের মেদ বাড়তে থাকে। তাই ওজন কমাতে আমাদের সেসব খাবারগুলো বাদ দিতে হবে। আবার এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলো খাবার তালিকায় থাকলে পেটের মেদ কমে যায়।
সাধারনত মদ্যপান, অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার, অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার, অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার, চর্বি জাতীয় খাবার, বাইরের অস্বাস্থকর খাবারগুলো যদি নিয়মিত খাদ্য তালিকায় থাকলে তাহলে সেগুলো গ্রহনের ফলে পেটের মেদ বেড়ে যায়। পেটের মেদ কমাতে এ জাতীয় খাবারগুলো পরিহার করতে হবে। আর যে খাবারগুলো পেটের মেদ কমাতে ভূমিকা রাখে সে খাবারগুলো খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা সম্পর্কে।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলো পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলোর মধ্যে ছোলা, বিটরুট, ব্রকলি, ওটস, মসুর ডাল এ খাবারগুলো খাবেন। এ জাতীয় খাবারগুলো নিয়মিত খেলে পেটের মেদ অনেকটাই কমে যাবে।
শুকনো ফল: পেটের মেদ কমাতে খাদ্য তালিকায় শুকনো ফলগুলো রাখতে পারেন। বাদাম, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, আখরোট, খেজুর, কিসমিস এ জাতীয় খাবারগুলো গ্রহনে পেটের মেদ কমে।
সামুদ্রিক মাছ: সামুদ্রিক মাছ থেকে ওমেগো থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। ওমেগো থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় এগুলো খেলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ সহজেই কমিয়ে আনা যায়।
মসলা: দারুচিনি, আদা, হলুদ, কাঁচামরিচ এ মসলাগুলো খেলে পেটের মেদ কমে। এগুলো থেকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে।
শাকসবজি: ওজন কমাতে সহায়তা করে এমন শাকসবজিগুলো খাবারতালিকায় রাখা জরুরি। পালংশাক, লাউ, ফুলকপি, ব্রকলি, গাজর, করলা, শসা এ শাকসবজি গুলোতে থাকা পুষ্টি উপাদান ওজন কমাতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে।
আঁশযুক্ত ফল: ওজন কমাতে যদি আপনি ফল খেতে চান, তাহলে আঁশযুক্ত ফলগুলো খাবার তালিকায় রাখতে হবে। আপেল, নাশপাতি, পেয়ারা এগুলো আঁশজাতীয় ফল। এ ফলগুলো পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে।
ডিম: প্রতিদিন পেটের মেদ কমাতে প্রয়োজনীয় একটি খাদ্য উপাদান হলো ডিম। ডিমে থাকা প্রোটিন শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি কমাতে ভূমিকা রাখে।
চিয়া বীজ: পেটের মেদ কমাতে চিয়া বীজ খুবই উপকারী একটি খাদ্য উপাদান। এর মধ্যে থাকা প্রোটিন সহজেই পেটের মেদকে কমিয়ে আনতে পারে। এর জন্য নিয়মিত ২ চা চামচ করে চিয়া বীজ খাওয়ার অভ্যাস করুন।
মেথি: মেথি শরীর থেকে অতিরিক্ত ওজন বা মেদ কমাতে সহায়তা করে। তাই মেদ কমাতে এটি খেতে পারেন।
তরমুজ: ফলের মধ্যে ওজন কমাতে তরমুঝজ খেতে পারেন। তরমুজ থেকে প্রচুর পানি পাওয়া যায়, যার কারণে পেটের মেদ কমাতে এ ফল সাহায্য করে থাকে।
কলা: কলা থেকে এমন কিছু এনজাইম রয়েছে, যার কারণে এটি খেলে পেটের মেদ কমে।
টকদই: পেটের মেদ কমাতে উপকারি একটি খাদ্য উপাদান হলো টকদই। তাই মেদ কমাতে এ খাবারটি খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।
উপরের বলা খাবারগুলো পেটের মেদ কমাতে খুবই উপকারী। এ খাবারগুলো নিয়মিত খেলে এবং যে খাবারগুলোতে মেদ বাড়ে সেগুলো পরিহার করলে অস্বাস্থকার ওজন বা পেটের মেদকে নিয়ন্ত্রনে আনা যায়।
পেটের মেদ কমাতে লেবু
পেটের মেদ নিয়ে মানুষের যত দুশ্চিন্তা। যারা মেদের সমস্যাই ভুগছে, পেটের মেদ কমানোর জন্য কত কিছুই না তারা করে থাকে। অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন পেটের মেদ কমাতে লেবু খাওয়া যাবে কি-না বা কতটা উপাকরী মেদ কমাতে লেবু। পেটের মেদ কমাতে লেবু সত্যিই উপাকারী। লেবুতে কম পরিমাণে ক্যালোরি থাকে, যার কারনে পেটের মেদ কমাতে এটি সাহায্য করে। এছারাও লেবুর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থগুলোকে বের করে, শরীরকে হাইড্রেট রাখে। পেটের মেদ কমাতে কিভাবে খাবেন লেবু জেনে নিন।
ওজন কমাতে যারা লেবু খেতে চান, তারা হালকা কুসুম গরম পানির সাথে লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে লেবু পানি পান করলে, ক্ষুধা কম লাগে। যার কারনে অনান্য খাবারের প্রতি চাহিদা কমে যায়। অনান্যা খাবার সারাদিনে কম খাওয়ায় ফলে শরীরে কম ক্যালোরি যোগ হয়। আর এ কারনে লেবু পানি পেটের মেদ কমায়। সকালে খাবারের কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে লেবু পানি পান করুন। লেবু পানির সাথে মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। এভাবে খেলেও মেদ কমাতে উপকার পাওয়া যায়।
স্বাস্থ সচেতন মানুষেরা তাদের খাদ্যাভ্যাসে লেবু পানি বেছে নিয়ে থাকে। লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এটি শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দিয়ে থাকে। তবে শুধু লেবু খেলেই যে মেদ কমে সেটা কিন্তু না। লেবু খাওয়ার সাথে, যে খাবারগুলোতে মেদ জমে আপনার সে খাবারগুলো পরিহার করতে হবে। তবে যাদের আলসার এবং অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তারা লেবু থেকে বিরত থাকবেন।
পেটের মেদ কমানোর ব্যায়াম
শরীরের তুলনায় পেটে মেদ জমে যায় বেশি, অনেকের এ নিয়ে ভুগতে হয়। তবে এ নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেয়। পরিশ্রম করলে এ থেকে সমাধান পাওয়া সম্ভব। খাবার তালিকায় সঠিক খাবারের পাশাপাশি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করা যায়, তাহলে শরীরে জমে থাকা মেদ অনেকটাই কমানো যায়। পেটের মেদ কমাতে কোন ধরনের ব্যায়াম করতে হবে অনেকের সে বিষয়ে ধারনা নেই। তো চলুন জেনে নিন পেটের মেদ কমানোর জন্য কোন ধরনের ব্যায়াম করতে হবে।
ভুজঙ্গাসন: এ ব্যায়াম করতে প্রথমে মেঝেতে উপুর হয়ে শুয়ে পড়ুন। এরপর পাজরের দুই পাশে , মাটিতে হাতের তালু রেখে ভর দিন। এখন শুধু কোমর থেকে পা আপনার শরীরের এইটুকু অংশ মাটিতে থাকবে। এভাবে আপনার শরীর রাখার পর তালুর ওপর ভর দিয়ে কোমর থেকে শরীরের ওপরের অংশ ধীরে ধীরে ওপরের দিকে তুলুন এবং মাথাটা বাঁকিয়ে উপরে তাকান। এভাবে উপরে ২০ সেকেন্ড মতো তাকিয়ে থাকার পর আবার পুনারায় আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। এভাবে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার করার চেষ্টা করুন।
কুম্ভকাসন: এ ব্যায়ামের সাথে অনেকেই আমরা পরিচিত। এ ব্যায়ামটি করার জন্য প্রথমে আপনি মাটিতে একটি চাদর বিছিয়ে উপুর হয়ে শুয়ে পড়ুন। এরপর আপনার সম্পূর্ন শরীর হাতের কনুই এবং পায়ের আঙুলের উপর ভর দিয়ে, সম্পূর্ন শরীর উপরের দিকে তুলুন। এভাবে ৩০ সেকেন্ড অথবা এর থেকে বেশি সময় ধরে থাকার চেষ্টা করুন।
ধনুরাসন: এ ব্যায়ামটি করতে হলে প্রথমেই আপনি উপুড় হয়ে শুয়ে যাবেন। এরপর হাটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা পিঠের দিকে নিয়ে এসে, পায়ের পাতা শক্ত করে হাত দিয়ে চেপে ধরুন। এ অবস্থায় আপনার কোমড় ও তলপেট শুধু মেঝেতে থাকবে। এভাবে উপর দিকে ২০ সেকেন্ড মতো তাকিয়ে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন।
সাইক্লিং: শরীরের মেদ কমাতে সাইক্লিং খুবই উপকারি একটি ব্যায়াম। এর জন্য প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট করে সাইক্লিং করুন।
জগিং: পেটের মেদ কমাতে নিয়মিত জগিং করুন।
উপরের বলা ৫ ধরনের ব্যায়াম আপনার পেটের মেদ অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারবে। তাই পেটের মেদ কমাতে উপরের এ ব্যায়ামগুলো বেছে নিন।
ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায়
অনেকই ব্যায়াম না করে শরীরের ওজন কমাতে চান। ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমাতে কি কি উপায় বেছে নিতে পারেন সে বিষয় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। কিছু অভ্যাস আছে সেগুলো যদি আপনি করতে পারেন তাহলে ব্যায়াম ছাড়াও পেটের মেদ অনেকটাই কমানো যায়। তবে কঠোরভাবে সে অভ্যাসগুলো আপনাকে পালন করতে হবে। নিচের আলোচনা থেকে জেনে নিন ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায়গুলো কি কি।
- পেটের মেদ কমিয়ে আনতে দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সেটা আজ থেকেই পরিহার করুন। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় খাবার দ্রুত খাওয়ার ফলে, খাবার ভালোকরে চিবিয়ে খায়না। তবে পেটের মেদ কমাতে চাইলে আপনাকে ধীরে ধীরে খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে হবে।
- নিয়মিত রোদ পোহান, রোদ থেকে পাওয়া ভিটামিন ডি পেটের মেদ কমাতে ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিদিন ১৫ মিনিট করে শরীরকে রোদ দিন।
- খাবার খাওয়ার সময় অন্য মনষ্ক হয়ে খাওয়া পরিহার করুন। আমাদের মধ্যে অনেকের টিভি বা ফোন দেখে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। তবে আনমনে খেলে পেটের মেদ বাড়ে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই পেটের মেদ কমাতে এ অভ্যাস থাকলে সেটা বাদ দিন।
- অতিরিক্ত ক্যালোরিযুক্ত খাবারগুলো পরিহার করুন এবং যে খাবারগুলেতে ক্যালোরি কম রয়েছে সেগুলো মেদ কমাতে খাওয়ার অভ্যাস করে তুলুন।
- অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অনেক সময় আমরা একেবারেই পেট টাইট করে খেয়ে নিই। তবে এভাবে খাওয়া শুধু মেদ বাড়ায় এমন না, স্বাস্থের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
- পেটের মেদ যাতে কমানো যায়, সেজন্য অবসর সময়গুলোতে স্যালাড খাবেন। গাজর, টমেটো, লেটুস পাতা, মাশরুম স্যাালাডের জন্য বেছে নিবেন। এগুলো খাওয়ার ফরে শরীরে কম ক্যালোরি প্রবেশ করে যা আপনার মেদ কমিয়ে আনতে ভূমিকা রাখে।
- অস্বাস্থকর খাবারগুলো একেবারেই আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে অস্বাস্থকর খাবারগুলো মেদ জমানোর প্রধান কারন।
উপরের আলোচিত বিষয়গুলো ব্যায়াম ছাড়া আপনার পেটের মেদ কমাতে অনেক উপকারে আসবে বলে আশা করা যায়। তবে ব্যায়াম করতে পারলে তাড়াতাড়ি পেটের মেদ কমিয়ে আনতে পারবেন। তাই এ বিষয়গুলোর সাথে ব্যায়ামটাও করতে পারেন।
পরিশেষে বলতে চাই, শরীরে অতিরিক্ত মেদ, স্থায়ী কোনো রোগের কারন হয়ে দাড়ায়। তাই আমাদের শরীরে যাদে মেদ না জমে সেজন্য আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। আর যদি মেদ জমেও যায়, তাহলে সেটিকে অবশ্যই কমিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে।
লেখকের শেষ বক্তব্য
৭ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি ৭ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।