শারিরিক অসুস্থতার পাশাপাশি আমরা মানসিকভাবেও অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ি। বিভিন্ন কারনে এ সমস্যায় আমাদের পড়তে দেখা যায়। এ সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় আমাদের অনেকের জানা নেয়। তবে এ সমস্যার প্রভাব দৈনন্দিন জীবনে আমাদের প্রায় হয়ে থাকে, তাই জানতে হবে মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় কি।
আপনি যদি মানসিক রোগ বা অসুস্থতায় ভুগে থাকেন এবং মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। আমাদের আজকের আর্টিকেলে মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় এবং মানসিক রোগ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ন তথ্যগুলো আলোচনা করা হয়েছে।
মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়
বর্তমান সময়ে মানসিক রোগিদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে বিভিন্ন কারণে আমরা শারিরিক অসুস্থতার পাশাপাশি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি। তবে আমরা শারিরিক অসুস্থতাকে গুরত্বর ভাবে দেখলেও মানসিক সমস্যাকে তেমন গুরত্ব দেয় না। তবে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগলে শেষ পর্যায়ে মানসিক রোগ হতে দেখা যায়। তাই আমাদের এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে মানসিক সমস্যা দেখা দিলে, প্রাথমিক পর্যায়ে সেটার ব্যবস্থা নিতে হবে এবং জানতে হবে মানসিক রোগ, প্রতিরোধ কিভাবে করা যায়। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় কি।
- মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পেতে, মানসিক সমস্যা দেখা দেওয়ার সাথে সাথে মনোরোগ বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা গ্রহন করুন।
- ব্যস্ততার মধ্যে থাকুন, ব্যস্ত থাকলে মানসিক চাপ কম হবে এবং মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
- বন্ধু-বান্ধবের সাথে সময় কাটান, গল্প করুন।
- আপনার যেটা পচ্ছন্দ, যে কাজটা করে আপনি আনন্দ পাবেন সে কাজগুলো করুন।
- অতিরিক্ত পরিশ্রম করা থেকে দূরে থাকুন, শরীরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম দিন।
- খাবার তালিকায় পুষ্টিকর খাবারগুলো রাখুন।
- নেশা ও আ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্য থেকে দূরে থাকুন।
উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো মানসিক রোগ থেকে আপনাকে মুক্তি এনে দিতে পারে। তবে মানসিক রোগের লক্ষন যদি বুঝতে পারেন, দেরি করবেন না দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
মানসিক রোগ কত প্রকার
মানসিক রোগ খুবই যন্ত্রনাদায়ক ও অস্বস্তিকর। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে তীব্র যন্ত্রনায় ভুগতে হয়। মানসিক রোগ সম্পর্কে আমাদের অনেকের ধারনা নেয়, যে আসলে মানসিক রোগটা কি? অনেকেই আবার মনে করনে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো পাগলেরা বা মানসিক হাসপাতালালের রোগিরা যারা ছোটাছুটি, এলোপাথারি ভাবে চলাফেরা করে তারাই মাসসিক রোগি। তবে এটি সত্যি নয়, মানসিক রোগ কয়েক ধরনের হয়। চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক মানসিক রোগ কত প্রকার। তাহলে জেনে যাবেন আসলে মানসিক রোগি কারা।
মনের রোগ হলো মানসিক রোগ। মানুষের দৈনন্দিন জীবনের চলাফেরায়, আচার-আচরণে, অস্বাভাবিক কোনো কিছু প্রকাশ পেলে তা মানসিক রোগ। মানসিক রোগগুলো মস্তিষ্কের সাথে জড়িত। মানসিক রোগ একজন মানুষের শারিরিক ও মনের ওপর প্রভাব পড়ে। মানসিক রোগকে বিভিন্নভাবে ভাগ করা যায়। তবে মানসিক রোগকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ হয়।
- নিউরোটিক
- সাইকোসিস
নিউরোটিক: এ ধরনের মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা তেমন ঝুঁকিপূর্ন নয়। অতিরিক্ত উদ্বেগ হওয়া, সাধারন দুশ্চিন্তা, মাদকাসক্ত, বিষন্নতা, অতিরিক্ত মেজাজ, যৌন সমস্যা, এসবের কারনে এ রোগ হয়ে থাকে। তবে আর্থিক দুরাবস্থা, বেকারত্ব জীবন, মা-বাবার ডিভোর্স থেকে এ রোগ ঝুঁকিপূর্ন হতে পারে। এসব রোগিদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্য অর্থে এ ধরনের মানসিক রোগকে মৃদ্যু মানসিক রোগ বলা হয়।
সাইকোসিস: এ ধরনের মানসিক রোগ ঝুঁকিপূন । বাইপোলার মুড ডিসঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া এ রোগের অন্তর্ভূক্ত। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা গুরুত্বর পর্যায়ে চলে যায়। দৈনন্দিন জীবনে তারা কিছুই করতে পারে না এবং নিজেরা কি করে মনে থাকেন। এ ধরনের মানসিক রোগ জটিল হয়ে থাকে। তবে সঠিক চিকিৎসা নিলে ভালো করা সম্ভব।
মানসিক রোগ কেন হয়
মানসিক রোগ, রোগাক্রান্ত ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবন যাত্রাকে ব্যহত করে। শুধু শারিরিক রোগই রোগ নয়, মস্তিষ্ক বা মনেরও রোগ আছে, যেটাকে আমার মানসিক রোগ বলি। কেন হয় এ রোগ এ বিষয় নিয়ে অনেকেই চিন্তিত, অনেকেই বুঝে উঠতে পারে না কি কারনে এ রোগ হয়ে থাকে। তো জেনে নিন মানসিক রোগ কেন হয়।
মানসিক রোগ কেন হয় তা নিশ্চিতভাবে বলা যায় নি এখনও, তবে কিছু বিষয়ের ওপর ধারনা করা হয়, কেন হয় মানসিক রোগ। মানসিক রোগের কারনগুলোর নিমে দেওয়া হল-
- জেনেটিক কারনে মানসিক রোগ হতে দেখা গেছে। আপনার কোনো পূর্বপুরুষের মস্তিষ্কের কোনো রোগ থাকলে এ রোগ আপনার হতে পারে। তবে নিশ্চিতভাবে বলা যায় না যে হবেই, কিছু লোকের ক্ষেত্রে হতে দেখা গেছে।
- অতিরিক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহনের ফলে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
- শরীরের মধ্যে কোনো কঠিন রোগ-ব্যাধি বাসা বাধলে এ রোগ হয়ে থাকে।
- অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, বার বার একই কথা মনের মধ্যে ঘুরপাক করলে এ রোগ হতে পারে।
- ঘুমের সমস্যাই ভুগলে, ক্রমাগত ঘুমের সমস্যা হতেই থাকলে একসময় মানসিক রোগ হতে পারে।
- অতিরিক্ত ভয় পেলে, হঠাৎ করে ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে উঠলে এ রোগ হতে দেখা যায়।
- মস্তিষ্কের মধ্যে কোনো কারণে বড় ধরনের আঘাত পেলে মানসিক রোগ হয়ে থাকে।
- পরিবেশগত কারনেও এ রোগ হয়ে থাকে।
- ইন্টারনেটের অতিরিক্ত ব্যবহারে মানসিক সমস্যা হতে পারে।
- অতিরিক্ত চাপ থেকে মানসিক রোগ হয়ে থাকে।
- প্রেমে ব্যর্থ হলে মানসিক রোগ হয়ে থাকে।
উপরের বলা উল্লেখিত কারনগুলোর জন্য মানসিক রোগ হতে পারে। তবে মানসিক রোগের এগুলো সম্ভাব্য কারন, নিশ্চিতভাবে বলা কঠিন কি কারনে মানসিক রোগ হয়ে থাকে।
মানসিক রোগের শারিরিক লক্ষণ
শারিরিক রোগের মত মানসিক রোগও গুরুত্বর একটি রোগ। তাই আমরা শারিরিক রোগগুলোকে যেমন গুরুত্বসহকারে দেখি এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করায় তেমনিভাবে মানসিক রোগেরও চিকিৎসা নিতে হবে। মানসিক সমস্যাগুলো বা মানসিক রোগের লক্ষণগুলো দেখার সাথে সাথে চিকিৎসা গ্রহন করা উচিত, আর যদি মানসিক সমস্যাগুলোকে গুরুত্বরভাবে না দেখেন তাহলে এ সমস্যা জটিল পর্যায়ে চলে যাবে। তাই জানতে হবে মানসিক রোগের শারিরিক লক্ষণগুলো কি কি। আমাদের শরীরে কোনো রোগ হলে যেমন কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় তেমনি মানসিক রোগ হলেও কিছু লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকে। তো চলুন নিচের আলোচনা থেকে জেনে নিন মানসিক রোগের শারিরিক লক্ষণ কোনগুলো।
- মানসিক রোগিরা অনেক সময় একা একা কথা বলে।
- এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিজের প্রতি যত্ন নেওয়া কমিয়ে দেয়।
- বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর করা।
- সবসময় মন খারাপ হয়ে থাকা, একটানা যদি অনেকদিন ধরে মন খারাপ থাকে তাহলে এটা মানসিক রোগের লক্ষণ।
- কথা আগের তুলনায় কম বলবে।
- সবার সাথে থাকতে পচ্ছন্দ করবে না, একা একা থাকতে পচ্ছন্দ করবে।
- অল্প কোনো কারনে হতাশ হয়ে যাওয়া।
- মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া।
- সবসময় ক্লান্ত অনুভব করা।
- অল্প কারনেই উত্তেজিত হয়ে যাওয়া।
- অন্যদের প্রতি সন্দেহ করা।
- কোনো কাজে মন বসবেনা, কাজ করার আগ্রহ থাকবেনা। যে কাজগুলো করতে আনন্দ পান সেগুলো করারও আগ্রহ কমে যাওয়া মানসিক রোগের লক্ষণ।
উপরের এ লক্ষণগুলো যদি আপনার মধ্যে থেকে থাকে তাহলে বুঝবেন আপনি মানসিক সমস্যাই ভুগছেন। তাই গুরুত্বর লক্ষণগুলো যদি আপনার মধ্যে দেখতে পান, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন এবং লক্ষণ যদি গুরুত্বর না হয়, তাহলে মানসিক রোগ প্রতিরোধ করার চেষ্টা করবেন।
মানসিক রোগ কি ভালো হয়
মানুষের শরীরে শারিরিক অথবা মানসিক দুই ধরনের রোগ হয়ে থাকে। শারিরিক রোগের যেমন চিকিৎসা আছে তেমনি মানসিক রোগেরও চিকিৎসা রয়েছে। বর্তমানে মানসিক রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি আরও উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও অনেক মানুষের ভ্রান্ত ধারনা রয়েছে যে মানসিক রোগ সারিয়ে তোলা সম্ভব নয়। মানসিক রোগির চিকিৎসা নিলে রোগের সমস্যা আরও বেড়ে যাবে বলে তাদের ধারনা। তাই তারা বলেন, মানসিক রোগের চিকিৎসার কোনো প্রয়োজন নেয়। তবে শরীরের রোগ হোক কিংবা মনের রোগ হোক, যেকোনো ধরনের রোগের চিকিৎসা রয়েছে এবং চিকিৎসা নেওয়া টা প্রয়োজন।
মানসিক রোগ ভালো হবে কি না, সেটা নির্ভর করবে রোগের ধরনের ওপর। কারণ মানসিক রোগ শুধু এক ধরনের হয় না, বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এমন কিছু মানসিক রোগ আছে যেগুলো পুরোপুরি ভালো হয় না, সেগুলোকে ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রনে রাখতে হয়। আর বেশিরভাগ মানসিক রোগগুলো পুরোপুরি ভালো করা সম্ভব। তবে মানসিক রোগ ভালো করতে বেছে নিতে হবে সঠিক ডাক্তার এবং চিকিৎসা সঠিক নিতে হবে। মানসিক রোগের উপসর্গ দেখার সাথে যদি চিকিৎসা নেওয়া হয় এবং এ রোগ নির্নয় যদি সঠিকভাবে হয়, তাহলে এ রোগ সারিয়ে তোলা সহজ হয়।
মানসিক রোগ ভালো করতে হলে উপসর্গ দেখার সাথে সাথে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। দেশে অনেকগুলো মানসিক রোগের উন্নত হাসপাতাল রয়েছে সঠিক চিকিৎসা নিলে, বেশিরভাগ মানসিক রোগিকে সুস্থ করা সম্ভব।
মানসিক রোগ থেকে মুক্তির আমল
আমাদের জীবনে অসুস্থতা থাকবেই। সুস্থতার সাথে অসুস্থতা আমাদের জীবনের একটি অংশ। তবে অসুস্থতা আমাদের শারিরিক ও মানসিকভাবে অনেক কষ্ট দেয়, তাই তা থেকে আমাদের বাঁচতে মহান আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইতে হবে। আমাদের জীবনে চলার পথে, বিভিন্ন দুশ্চিন্তা আমাদের মধ্যে চলে আসে। সে দুশ্চিন্তা থেকে আমাদের বড় ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। তবে দুশ্চিন্তা না করে মহান আল্লাহর ওপর আস্থা রেখে দোয়া করলে দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যাবে। তাই দুশ্চিন্তা দূর করতে এবং মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করতে হবে। দোয়ার মাধ্যমে আমরা সকল ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি।
দুশ্চিন্তা থেকেই আমাদের মানসিক রোগ হয়। তাই মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকতে হবে। দুশ্চিন্তা দূর করতে মহান আল্লাহর নিটক বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করুন এবং জিকির করুন। জিকির ও তওবার মাধ্যমে মনে প্রশান্তি আসে এবং দুশ্চিন্তা দূর হয়। তাই দুশ্চিন্তা দূর করতে বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করুন এবং জিকির করুন।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) যখন হতাশগ্রস্থ হতেন তখন বলতেন-
উচ্চারণ: ইয়া-হাইয়ু ইয়া-ক্বায়য়ূম বিরহমাতিকা আস্তাগিছ। অর্থ: হে চিরঞ্জীব! আপনার রহমতের মাধ্যমে আপনার নিকটে সাহায্য চাই। ( তিরমিজি, মুসতাদরেকে হাকেম, মিশকাত)
মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পেতে বেশি বেশি সূরা: ইখলাস ও দুরূদ শরীফ পাঠ করুন। তাহাজ্জুদ ও সালাতুল হাজতের সালাত পড়–ন। নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর নিটক মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পেতে দোয়া করুন। বিপদ থেকে মানসিক দুশ্চিন্তা আসলে একটি দোয়া আছে যেটি পড়বেন। দোয়াটি হলো- লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জ¦লিমীন। এ দোয়াটি বিশ্বাসের সহিত পাঠ করলে মহান আল্লাহ তায়ালা পাঠকারীর দোয়া কবুল করেন।
দুশ্চিন্তা দূর করতে ও মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পেতে উপরের বলা দোয়া ও জিকিরগুলো করবেন। আর কোনো পরিস্থিতিতে হতাশ হবেন না, দুশ্চিন্তা করবেন না। সবসময় মনে রাখবেন মহান আল্লাহ তায়ালা ধৈর্যশীলদের পাশে থাকেন। তাই কোনো অবস্থাতে দুশ্চিন্তা না করে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখুন। তাহলেই শুধু মানসিক রোগ নয়, সব ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। ইন-শা-আল্লহ”
পরিশেষে বলতে চাই, মানসিক রোগ এর চিকিৎসা এখন অনেক উন্নত হয়েছে। তাই ভয় পাবেন না, তবে অসচেতন হওয়া যাবে না। কারণ মানসিক রোগ বেশি পর্যায়ে যাওয়া মূল কারণ হলো সচেতন না হওয়া এবং গুরুত্ব না দেওয়া। মানসিক স্বাস্থে কোনো অস্বাভাবিক ও গুরুতর লক্ষণ দেখা দিলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন। মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পেতে নিজের মানসিক স্বাস্থের প্রতি ভালোভাবে যত্ন নিন এবং মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করুন।
লেখকের শেষ বক্তব্য
মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।